#নেশালো_সে?
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম?
১৬.
“ভোরের প্রভাতি আলোতে ঘুম ভাঙলো আরিশার’!!ঘুম ঘুম চোখে হর্ঠাৎই মনে হলো তার সে কাউকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে’!!চমকানোর মতো আচমকাই চোখ খুললো সে’!!পাশে আয়ানকে দেখে সে বুঝে ফেলেছে কাল রাতে তারা গল্প করতে করতেই এখানে ঘুমিয়ে পড়ে ছিল’!!আয়ানের কাঁধে মাথা দিয়েই ঘুমিয়ে ছিল আরিশা’!!আর আয়ানের মাথাটা ছিল ছাঁদের দেয়ালের সাথে হেলানো’!! মাথা তুলে অপলক ভাবে তাকালো আরিশা আয়ানের দিকে’!!এই মুহূর্তে আয়ানকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে আরিশার কাছে আয়ানের পড়নে একটা রেড কালারের টিশার্ট সাথে ব্লাক জিন্স চুলগুলো এলেমেলো ভাবে পড়ে আছে কপালে,ছাঁদের হালকা শীতলাতাপ বাতাসে তার চুলগুলো উরছে’!!পলকবিহীন তাকিয়ে আছে আরিশা আয়ানের দিকে’!!হর্ঠাৎই তার ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসলো আরিশা’!!নিজেই নিজেকে বকে দিয়ে বললোঃ
———-“তুই যে পাগল হয়েছিস তা কি বাড়ির মানুষ জানে আরিশা…
“বলেই নিজের মাথায় নিজেই একটা চাটি মারে’!!হর্ঠাৎই তার মনে হলো এখনি তার এখান থেকে যাওয়া উচিত কেউ দেখে ফেললে প্রবলেম হয়ে যাবে’!!কিন্তু আয়ানকে এইভাবে একা রেখে যাওয়াটাও ভালো লাগছে না আরিশার’!!কিছুক্ষণ ভেবে চিন্তে ডিসিশন নিলো আয়ানকে ডাকবে আরিশা’!!যেই ভাবা সেই কাজ’!!আলতো করে আয়ানের কপালে হাত রাখলো আরিশা’!!কপালে অবাধ্য চুলগুলো হাত দিয়ে সরিয়ে দিয়ে মুচকি হাসলো সে’!!আস্তে আয়ানের কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো সেঃ
———-“আয়ান…..
“দু-বার আয়ানের নাম ধরে ডাকতেই আয়ান হাল্কা নড়েচড়ে উঠলো’!!তারপর আরিশাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুম ঘুম কন্ঠে বলল সেঃ
———–“আর একটু ঘুমাই….
“এই মুহুর্তে আরিশা পড়ে গেছে মহা বিপদে’!!কি করবে বুঝতে পারছে না সে’!!এদিকে আকাশটাও বেশ পরিষ্কার হতে শুরু করেছে’!!যেকোনো মুহূর্তে কেউ চলে আসতে পারে এখানে’!!আরিশার বাবার আবার সকালে ছাঁদে আসার অভ্যাস আছে’!!ভাবতেই আরিশার ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে’!!আরিশা একটু উচ্চ স্বরেই বলে উঠলঃ
———-“আয়ান যেকোনো মুহূর্তে এখানে কেউ চলে আসতে পারে, আর আমাকে আর আপনাকে একসাথে দেখলে প্রবলেম হয়ে যাবে তো প্লিজ উঠুন রুমে গিয়ে ঘুমান….
“এভাবে আরো বেশ কয়েক বার ডাকার পরও আয়ানের কোনো হেলদোল দেখতে পেলো না আরিশা’!!শেষমেশ কোনো উপায় না পেয়ে আয়ানের হাতে কামড় বসিয়ে দেয় আরিশা’!!আচমকা হাতে ব্যাথা অনুভব হতেই চোখ খুলে তাকালো আয়ান’!!আয়ান উঠতেই আরিশা দু-কদম পিছনে চলো গিয়ে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো’!!যেন কি হলো কিছুই জানে না সে….
…..
“আয়ান লাফ মেরে বললোঃ
——–“হাতে মনে হলো কেউ কামড় দিলো…
———-“ওসব কামড়ের কথা পড়ে ভাববেন আগে রুমে যান আয়ান কেউ এইভাবে ছাঁদে দেখতে পেলে কেলেংকারী হয়ে যাবে…
“আয়ান নিজেও বিষয়টা বুঝতে পেরেছে তাই আর কথা বারালো না সে তারওপর ঘুমের রেশ এখনও কাটে নি তার’!!তাই সেও আর কিছু না বলে নেমে আসলো ছাঁদ থেকে গিয়ে নিজের রুমে ঘুমিয়ে পরলো’!!তারপরও মাথার ভিতর একটা প্রশ্ন রয়েই গেলো তারঃ
——–“হাতে কামড় কে দিলো….
.
“অন্যদিকে আয়ান রুমে যেতেই সস্থির নিশ্বাস ফেললো আরিশা’!!তারপর সেও আর কিছু না ভেবে চুপি চুপি তার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলো….
___________________________
সকাল_৯ঃ০০টা……
“সূর্যের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল আয়াফের’!!নিজের বুকে ভাড়ি কিছু অনুভব হওয়াতে চোখ খুলে তাকালো সে’!!আফিয়াকে নিজের বুকের উপর দেখে মুচকি হাসলো আয়াফ’!!তাকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো ঘুমাচ্ছে আফিয়া’!!খুব সযত্নেই জড়িয়ে ধরে আছে আফিয়া আয়াফকে’!!আয়াফ তার হাত দিয়ে আফিয়ার চুলে হাত বুলাতে বুলাতে বললোঃ
———“কালকের জন্য আমি সত্যি সরি আসলেই চাইনি এমনটা করতে কিন্তু কি করবো বলো তোমায় দেখলে সত্যি কেমন একটা হয়ে যাই আমি!একটা ঘোর লাগানো নেশালো অনুভতিতে আঁটকে যাই আমি’!!তাই আমি ভেবেছি মায়াবতী আর লুকোচুরি নয় আজকেই সব সত্যি বলবো তোমায় সেদিন কেন বিয়ের আসরে তোমার বোনকে পালিয়ে যেতে সাহায্য ছিলাম,কেন সেদিন রাতে তোমায় লাল ড্রেস পড়ানোর জন্য উতোলা হয়ে পড়েছিলাম আমি’!!সব বলবো আমি’!!ভেবে হাসলো আয়াফ’!!তারপর আফিয়ার কপালে ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে বললো সেঃ
———“আজকে তোমায় সব বলে অনেক বড় সারপ্রাইজ দিবো আমি “মায়াবতী”!!শুধু একটু অপেক্ষা করো….
“বলেই আফিয়াকে ছাড়িয়ে উঠে পড়ে আয়াফ’!!তারপর চলে যায় সে ওয়াশরুমে…..
.
“অন্যদিকে আফিয়া ঘুমে এতটাই মগ্ন ছিল যে তার কান পর্যন্ত আয়াফের কথা গুলো পৌঁছালো না’!!পৌঁছালে হয়তো খুব খুশি হতো সে…..
||
“দুপুর_১২ঃ০০টা…..
“আয়ান চলে যাবে তাদের বাড়িতে’!!এই দুপুরবেলা কেউ যায় এটা বলে আটকাচ্ছে শাশুড়ী মা কিন্তু আয়ানের এই মুহুর্তে বাড়িতে যাওয়াটা জরুরি তার কিছু কাজ আছে’!!আসলে দোষটা তারই ছিল সকালে ঘুম থেকে উঠতেই দেরি হয়ে গেছে’!!তবে এর জন্য যে সে নিজেই দায়ী এটা বুঝে গেছে আয়ান’!!আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চুল ঠিক করে বের হলো আয়ান’!!তার রুমের পাশের রুমটি ছিলো আরিশার’!!কিছু একটা ভেবে আয়ান সেই রুমের দিকে পা বাঁড়ায়’!!রুমটা ফাঁকা ছিল হয়তো আরিশা নিচে গেছে’!!আয়ান একটা ছোট্ট চিরকূট আর একটা ছোট্ট বক্স রাখলো আরিশার টেবিলের উপর’!!তারপর রুম থেকে বেরিয়ে গেল সে’!!নিচে নামতেই দেখলো আয়ান সবাই তার জন্য অপেক্ষা করছে শুধু আয়াফ বাদে’!!কারন আয়াফ চলে গেছে অফিসে’!!আফিয়া যেত ভার্সিটি কিন্তু যায় নি হয়তো তার জন্যই এইরকম নানা কিছু ভেবে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলো আয়ান’!!তারপর সবার কাছ থেকে বিদায় নিলো সে’!!তার পাশেই ছিল আরিশা’!!আয়ান দরজা পর্যন্ত আসতেই বললো শাশুড়ী মাকেঃ,
———“ভালো থাকবেন আন্টি,আর আমার বোনটার দিকেও খেয়াল রাখবেন জানি আপনারা খুব ভালোবাসেন আমার বোনটাকে….
“শাশুড়ী মা মুচকি হেঁসে বললোঃ
———“তুমি কোনো চিন্তা করো না বাবা আফিয়া খুব থাকবে এখানে….
———“আমি জানি আন্টি…
———-“তুমি কিন্তু আজকে থাকতে পারতে….
———-“একদমই সময় হবে না তা না হলে অবশ্যই থাকতাম আমি….
“আয়ান আফিয়ার কাছে গিয়ে বললোঃ
———-“ভালো থাকিস আর সবাইকে ভালো রাখিস কিন্তু….
———–“তুমি আজকে থাকতে পারতে ভাইয়া….
————“রাগ করিস না বোন আবার অন্যআরেক সময় বলেই বোনকে জড়িয়ে ধরে আয়ান!
“আয়ান এবার চলে যায় আরিশার সামনে তারপর মিষ্টি করে নরন গলায় বললো সেঃ
———-“ভালো থেকো আর এতদিন জ্বালানোর জন্য সরি (কানে হাত দিয়ে)….
“বিনিময়ে আরিশা কিছু বললো না’!!শুধু হাল্কা হাসলো’!!মনটা খারাপ লাগছে তার’!!কিন্তু কেন লাগছে বুঝতে পারছে না আরিশা’!!
“এইভাবে একে একে সবার কাছ থেকে বিদায় জানিয়ে চলে গেল আয়ান গাড়ি করে তার গন্তব্যে’!!আয়ান যেতেই একে একে সবাই বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেল’!!আরিশা কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল আয়ানের যাওয়ার পানে’!!কিছুক্ষণে মধ্যেই আয়ানের গাড়ি রাস্তার মাঝে বিলীন হয়ে গেল’!!একটা ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস ফেলে আরিশা চলে গেল ভিতরে’!!কিছুতেই ভালো লাগছে না তার’!!চুপচাপ নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে শুয়ে পরলো সে’!!কোথাও এক শূন্যতা কাজ করছে তার’!!নীরবে চোখ বন্ধ করে নিলো’!!অদ্ভুত চোখ বন্ধ করলেই আয়ানের মুখটা ভেসে আসছে সামনে’!!কিছুক্ষণ এভাবে কাটানোর পর একরাশ বিরক্ত নিয়ে উঠে বসলো বিছানার উপর আরিশা’!!মুখ থেকে অটোমেটিক বেরিয়ে আসলো তারঃ
———“এটা কেমন আয়ান আপনি চলে গিয়েও জ্বালাচ্ছেন আমায়’!!এটা ঠিক না….
“হর্ঠাৎই আরিশার চোখ গেল টেবিলের উপর রাখা একটা হলুদ রঙের খামে দিকে’!!পাশেই একটা ছোট্ট বক্স’!কৌতুহলে আরিশা চলে গেল তার টেবিলের কাছে খাম আর বক্সটা কাছে’!!তারপর হাতে নিয়ে খাম আর বক্সটা ঘুরিয়ে দেখতে লাগলো সে’!!খামের উপরে লেখা শুরু তোমার জন্য….
“আরিশা কোনোকিছু না ভেবেই খামের ভিতর থেকে একটা চিরকূট বের করলো’!!তারপর বিছানায় বসে মন দিয়ে পড়তে শুরু করল সে’!!প্রথমেই লেখা……
-“ডিয়ার আরিশা,
“সত্যি বলতে কি তোমাকে প্রথম যেদিন সিঁড়ির উপর দেখেছিলাম সেদিনেই এক অদ্ভুত ভাবে মায়ায় জড়িয়ে গেছি আমি’!!বলতে পারো “লাভ এট ফাস্ট সাইড”!!বুকের বাম পাশে কেমন একটা করে উঠলো সেদিন’!!তোমার মায়াবী চোখ দেখে এক অদ্ভুত আকৃষ্টতা অনুভব করি আমি’!!এমনটা আগে কোনোদিন হয় নি আমার’!!তারপর তোমাকে এটা ওটা নিয়ে জ্বালাতে ভিষণ ভালো লাগতো আমার’!!এর জন্য আবারো সরি বলছি আমি’!!কেনো জানি না তোমার সাথে সময় কাটাতে ভিষণ ভালো লাগে আমার’!!কাল রাতে কাটানো সময়টা এখনও আমার চোখের সামনে ভাসছে খুব’!!প্রতিটি মুহূর্তে আমি তোমায় অনুভব করি’!!হয়তো তোমায় আমি ভালোবেসে ফেলেছি’!!তবে আমি তোমার জোর করবো না আমায় ভালোবাসার জন্য’!!হয়তো আমার দিক থেকে যতটা তোমার জন্য ফিলিংস আছে তোমার দিক থেকে হয়তো নেই’!!তাই অবশেষে বলবো আমি_
“আমার প্রতি তোমার কোনো ফিলিংস থাকলে অথবা আমার শূন্যতা তোমায় কাঁদালে!অথবা যদি আমার মতো তোমারও আমার প্রতি ভালোবাসা থেকে থাকে তবে নিচে নাম্বারে ফোন করে জানিও… আর হা সকালে তোমার দেওয়া কামড়টা কিন্তু খুব জোরে ছিল নেক্সট টাইম যেদিন দেখা হবে সেদিন সব সুদে আসলে ফেরত দিবো কিন্তু…..
“ইতি তোমায় জ্বালানো সেই ছেলেটি….
“আয়ান”
“প্রথম কথাগুলো পড়ে আনমনে হাসলেও লাস্টের কথাটা শুনে আরিশার চোখ বড় বড় হয়ে গেল’!!মুখ দেখে বের করলো সেঃ
——–“আপনি সত্যি পাগল আয়ান….
“তারপর বক্সটা খুলে দেখলো একটা সুন্দর লকেট’!!মুচকি হাসলো আরিশা’!!আর ভাবলো সে ফোন কি করবে সে নাকি করবে না……
__________________________________________
_______________________
“মাঝখানে কাটলো দুদিন!
“এই দুদিনে আয়াফ এতটাই তার কাজে ব্যস্ত ছিল যে আফিয়াকে কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারলো না সে’!!রোজ রাতেই ভাবে আয়াফ আজকে বাসায় গিয়ে বলবে আফিয়াকে’!!কিন্তু এই দুদিন রাতে আয়াফ এতটাই ব্যস্ত ছিল যে রাতে আয়াফ বাসায় ফিরতে ফিরতে আফিয়া ঘুমিয়ে পরতো’!!একরাশ হতাশ ভাব নিয়ে ঘুমিয়ে পরতো আয়াফ’!!তবে আজকে ভেবেই নিয়েছে যত যাই হোক আজকে রাতে আফিয়াকে বলবেই সে’!!
“আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এসব ভাবছিল আয়াফ’!!আর অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল সে’!!এমন সময় টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে সোফায় বসলো আফিয়া’!!আজকে ভার্সিটি যাবে সে’!!আয়াফ আফিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে আসো’!!আর হ্যাঁ আজকে রাতে আমি না আসা পর্যন্ত তুমি ঘুমাবে না আমি তোমায় কিছু বলবো’!!আফিয়া সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললোঃ
——-“কি বলবে তুমি…..
——–“সেটা না হয় রাতেই বলি…
“বলেই বেরিয়ে আয়াফ রুম থেকে’!!তারপর আফিয়াও তৈরি হয়ে বেরিয়ে গেল নিচে’!!তারপর ব্রেকফাস্ট সেরে দু-জনেই একসাথে বেরিয়ে পরলো নিজেদের গন্তব্যে……
||
“নিজের রুমে পায়চারি করছে আরিশা’!!হাতে তার ফোন আর আয়ানের দেওয়া সেই চিঠিটা’!!বেশ দু-দিন যাবৎ সে ভাবছে আয়ানকে ফোন করবে’!!আবার ভাবছে না করবে না’!!এসব ভেবে তার মাথা প্রায় বিগড়ে যাচ্ছে’!!এই চক্করে তার ভার্সিটি যাওয়াও হচ্ছে না সামনেই তার অর্নাস ফাস্ট ইয়ারের পরিক্ষা’!!কিন্তু সে ওসব বাদ দিয়ে আয়ানকে কি বলবে কি বলবে না এটা ভেবে যাচ্ছে’!!একরাশ হতাশা আর ভয় নিয়ে আয়ানের নাম্বারটা লিখলো তার ফোনে’!!তারপর ফোন করলো আয়ানের নাম্বারে’!!প্রথম কলে ফোন তুললো না আয়ান’!!পরে আবারো কল করলো আরিশা’…
.
“অন্যদিকে নিজের রুমে বিছানা লেপ্টে গভীর ঘুমে মগ্ন আয়ান’!!এতটাই মগ্ন যে তার ফোন বাজছে তা তার কান পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না’!!বেশ কয়েকবার কল বাজার পর আয়ান বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে ফোনটা তুলে বললোঃ
——–“হ্যালো….
“ওপাশ থেকে আরিশা চুপ!আয়ানের ভয়েস শুনেই চুপ হয়ে গেছে সে কি বলবে এখন’!!এদিকে ফোন করে কথা না বলার জন্য আয়ান বেশ বিরক্ত হয়ে বললোঃ
——–“কথাই যখন বলবেন না তখন ফোন কেন করছেন….
“এইবারের কথায় আরিশা কাঁপা কাঁপা গলায় বললোঃ
———-“হ্যালো কেমন আছেন?
“অবাক হয় আয়ান….
____________
“আয়াফ আফিয়ার ভার্সিটির সামনে গাড়ি থামিয়ে দিল’!!আফিয়াও চুপচাপ গাড়ি থেকে বের হয়ে আয়াফকে বললোঃ
———“বাই….
“বিনিময়ে আয়াফ একটু উওেজিত হয়ে বললোঃ
———“রাতে ঘুমিয়ে পড়বে না কিন্তু….
“আফিয়া আয়াফের কথা শুনে বেশ অবাক হচ্ছে কি এমন কথা বলবে আয়াফ যে এত করে বলছে তাকে রাতে না ঘুমাতে’!!খুব বেশি না ভেবে আফিয়া মুচকি হেঁসে বললোঃ
———“ঠিক আছে….
“তারপর আফিয়া চলে গেল ভার্সিটির ভিতরে’!!আয়াফ কিছুক্ষণ আফিয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে মনে মনে বললোঃ
———“আজকে বলতে পারবো তো মায়াবতী,
হয়তো হ্যাঁ, হয়তো না!
“ভেবেই দীর্ঘ শ্বাস ফেললো আয়াফ’!!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………
???[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ!!
আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে!!]???