#নেশালো_সে?
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম?
১৪.
“রেস্টুরেন্টে বসে আছে আফিয়া আর ওর ঠিক উল্টো দিকে বসে আছে আশিক’!!কোনো এক জরুরি কথা বলবে আশিক আফিয়াকে তার জন্যই নিয়ে এসেছে আশিক আফিয়াকে রেস্টুরেন্টে’!!
“কয়েকঘন্টা আগে…..
“আফিয়া ভার্সিটি ঢুকতেই আশিক এসে হাজির’!!বেশ কয়েকদিন দেখে নি আফিয়া আশিককে কারন অনেক দিন আশিক আসে নি ভার্সিটিতে’!!আশিককে এই মুহুর্তে অনেকটাই অগোছালো লাগছে’!!চুলগুলো তেমন ঠিক নেই চোখের নিচে হাল্কা কালো দাগ পড়েছে হয়তো রাতে ঘুম হয় নি তার’!!এতে আফিয়া বেশ অবাক হয়’!!আফিয়া কিছু বলার আগেই আশিক বলে উঠলঃ
———-“ভার্সিটি শেষে আমার সাথে একটু রেস্টুরেন্টে যাবি তোর সাথে কিছু কথা ছিল’!!
“আশিক এমন ভাবে কথাটা বললো যে আফিয়াও আর বারন করতে পারে নি’!!মাথা নাড়িয়ে সেও হ্যা সমর্থন দেয়’!!তারপর আর কি ভার্সিটি শেষ করে আফিয়া আশিক দুজনেই চলে যায় ভার্সিটির কাছ থেকে কিছুটা দূরে এই রেস্টুরেন্টে’!!
“বর্তমানে……
“চুপচাপ বসে আছে দুজনই’!!কুটকুটে নীরবতা বিরাজ করছে দুজনের মাঝখানে’!!এমন সময় একজন ওয়েটার এসে দু-কাপ কফি দিয়ে গেল ওদের সামনে’!!আফিয়া তার কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে বলে উঠলঃ
———-“কতক্ষণ চুপ করে থাকবি এখন তো কিছু বল?
———-“হুম বলছি….
“আশিকের কথা শুনে আফিয়াও অতি আগ্রহের সঙ্গে তাকালো আশিকের দিকে’!!আশিক এক দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললোঃ
———-“প্লিজ দোস্ত কথাগুলো শোনার পর আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করবি না…
“এবার আফিয়া পরে গেল বিপদে’!!এমন কি বলবে আশিক যে এমন করে বলছে’!!আফিয়ার ভাবনার মাঝখানে আশিক আবারো বলে উঠলঃ
———-“কি হলো কথা বলছিস না কেন?
———-“কি এমন বলবি তুই যে যা শোনার পর তোর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিবো আমি….
———–“প্লিজ দোস্ত এত প্রশ্ন না করে বল প্লিজ…(মিনতির সূরে)
———-“আচ্ছা ঠিক আছে করবো না বন্ধ বল এখন….
———–“আমি কি তোর হাতটা ধরতে পারি প্লিজ….
“এইবারের কথা শুনে আফিয়া পড়ে গেল অসস্তিতে ‘!!কি বলবে বুঝতে পারছে না আফিয়া’!!এদিকে আশিকের এত মিনতির স্বরে কথাগুলো শুনেও কষ্ট লাগছে’!!আফিয়ার ভাবনার মাঝে আবারো আশিক বললোঃ
————“প্লিজ দোস্ত শুধু একবার ধরতে চাই আমি তোর হাত প্লিজ….
“আফিয়া অনেকক্ষণ ভেবে চিন্তে বলে উঠলঃ
———–“ঠিক আছে ধর!
“আশিক আফিয়ার কথা শুনে খুশি হয়ে ধরলো আফিয়ার হাত’!!আফিয়ার হাত খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ছোট্ট একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে উঠল আশিকঃ
———–“তোকে যেদিন প্রথম দেখেছিলাম আমি সেদিন থেকেই খুব ভালো লাগতে শুরু করে আমার’!!তারপর তোর সাথে বন্ধুত্ব করা,কথা বলা সবকিছুই ভালো লাগে আমার’!!তোর বাচ্চামো গুলো সবার সাথে এমনিতেই মিশে যাওয়ার অভ্যাসগুলো সবকিছুই আমার খুব ভালো লাগতো’!!তারপর জানি না তোর প্রতি এই ভালো লাগাগুলো কখন ভালোবাসায় রূপ নিলো’!!আমি তোকে ভালোবেসে ফেলেছি আফিয়া’!!কিন্তু যেদিন থেকে তোর মুখ থেকে শুনেছি বন্ধুত্বে ভালোবাসা পছন্দ করোস না তুই সেদিন থেকেই আমার ভয় হতে শুরু করে,যদি আমার একটা ছোট্ট ভুলের জন্য তোর সাথে কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়,,তাহলে তো আমার সত্যি সত্যি নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে!তোর সাথে কথা না বললে আমার ভালো লাগে না আর তুই যদি আমি তোকে ভালোবাসি শুনে কথা বলা বন্ধ করে দিস এই জন্যই বার বার তোকে প্রপোজ করার পরই আমি বলতাম সব নাটক ছিল!কিন্তু ওগুলোর কোনোটাই নাটক ছিল সব আমার অনুভূতির কিছু অংশ ছিল’!!সেদিন যখন তুই বললি তোর বিয়ে হয়ে গেছে বিশ্বাস কর মনে হলো কেউ আমার কলিজা ছিঁড়ে ফেলেছে’!!তারপর থেকেই একটু ভার্সিটি আসা বন্ধ করে দিলাম সবার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিলাম সব সময় একা একা রুমে বসে থাকতাম’!!বার বার মনে হতো তোকে কিছু না বলেই কি আমি মরে যাবো’!!তারপর ভাবলাম একবার তোকে সব সত্যি বলে দেই এতে আমার নিজেরও কিছু কষ্ট কমে যেত’!!প্লিজ দোস্ত এগুলো শোনার পর আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিস না’!!আমি কথা দিচ্ছি আজকে পর আর কোনোদিন তোর সামনে আমি ভালোবাসার কথা বলবো না’!!শুধু আজকে বলে দিলাম’!!দিন শেষে এতটুকু তো জানবো তুই জানিস আমি তোকে ভালোবাসতাম’!!আমি কখনোই তোর আর আয়াফের মাঝখানে আসবো এটা আমি তোকে কথা দিচ্ছি’!!তাই প্লিজ দোস্ত আমার উপর রেগে গিয়ে কথা বলা বন্ধ করিস না প্লিজ’!!আমি আবারো বলছি কোনোদিনও তোদের মাঝখানে যাবো না আমি’!!আমি শুধু তোকে জানাতে চেয়েছিলাম তাই জানিয়ে দিয়েছি’!!তোকে বলতে না পারার যন্ত্রণাটা যে কষ্ট দিচ্ছিলো দোস্ত’!!তাই বলেছি প্লিজ কথা বলা বন্ধ করবি,একদম আগের মতোই বন্ধু হয়ে থাকবি আমার!’
“পুরো একশ্বাসে কথাগুলো বলে থেমে যায় আশিক’!!এখনও আফিয়ার হাত ধরে আছে সে’!!
“অন্যদিকে আফিয়া একদম চুপ করে বসে আছে’!!যেন আশিক কি বললো সব মাথার উপর দিয়ে গেল তার’!!আফিয়া ভাবতেই পারে নি আশিকের করা নাটকগুলো সত্যি হয়ে যাবে’!!আফিয়ার এতটা চুপ থাকতে দেখে আশিক ঘাবড়ে গিয়ে বললোঃ
———-“তুই আমার উপর রাগ করে নেই তো!
———“আমি এখন বাড়ি যাবো আশিক!বাকি কথা কালকে বলবো….
“বিনিময়ে আশিকও অন্যকিছু বলার সুযোগ বা সাহস কোনোটাই পেল না’!!শুধু এতটুকুই বললো সেঃ
———-“ঠিক আছে!
_______________
“রেস্টুরেন্টের বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে আফিয়া আর আশিক!উদ্দেশ্য হচ্ছে আফিয়াকে একটা রিকশা ঠিক করে দেওয়া’!!এমন সময় ওই রাস্তা দিয়ে নিজের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিল আয়াফ’!!রেস্টুরেন্টের সামনে আফিয়াকে দেখে অবাক হয় সে’!!তারওপর আবার একটা ছেলে আছে সাথে’!!এমনিতেই রেগে ছিল আয়াফ আফিয়া উপর’!!এখনের দৃশ্য দেখে রাগ তার আকাশ সমতুল্য হয়ে গেছে’!!আয়াফ রেগে গিয়ে তার গাড়িটা নিয়ে দাঁড় করালো আফিয়া আর আশিকের সামনে…
.
“আচমকা আফিয়দের সামনে একটা গাড়ি এসে থামাতে দুজনেই ঘাবড়ে যায়’!!পরক্ষণেই গাড়ি দরজা খুলে আয়াফকে দেখে দুজনেই ঘাবড়ে যায়’!!আয়াফ চেঁচিয়ে বললোঃ
———-“গাড়িতে উঠো….
———-“আমি আমাদের বাড়িতে যাবো….
———-“বেশি কথা বলতে ভালো লাগছে না আমার গাড়িতে উঠো আগে তুমি….
———“কিন্তু আয়াফ….
———“আমি তোমাকে উঠতে বলছি(দমক দিয়ে)
“আয়াফের দমক শুনে পুরো কেঁপে উঠলাম আমি’!!তারপর আমিও আর কিছু না বলে ভয়ে চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসলাম’!!আমি বসতেই আয়াফ দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে শুরু করল’!!ঝড়ের গতিতে গাড়ি চালাচ্ছে আয়াফ’!!আর আমি ভয়ে পুরো আধমরা হয়ে যাচ্ছি!!
.
“এদিকে ওরা যেতেই আশিক ছোট্ট একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেললো’!!
||
“হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে আয়াফ আফিয়াকে’!!আর বেচারি আফিয়া ভয়ে কিছু বলতেই পারছে না’!!এই মুহূর্তে পুরো রেগে আগুন হয়ে আছে’!!না জানি কি করে ফেলে আমায়…..
“সিঁড়ি বেয়ে টানতে টানতে উপরে নিয়ে গেল আফিয়াকে তারপর দরজা বন্ধ করে দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে রেগে বলে উঠল আয়াফঃ
———-“তোমার সাহস কি করে হলো আমায় না বলে বাপের বাড়ি যাওয়ার,তারওপর আবার রাস্তায় অন্য ছেলের সাথে কি করছিলে তুমি,তুমি জানো কাল রাতটা কাটাতে আমার কতোটা কষ্ট হইছে, ইচ্ছে করছে একদম মেরে ফেলি তোমায় বলেই দেয়ালে স্ব-জোরে নিজের হাতে আঘাত করলো আয়াফ’!!আয়াফের এমন কাজে আফিয়া পুরো ভয়ে চুপসে গেছে’!!কি করবে বুঝতে পারছে না’!!আফিয়ার চুপ থাকাতে দেখে আরো রেগে যায় আয়াফ! দমকের স্বরে বলে উঠল সেঃ
———–“কি হলো কথা কানে যাচ্ছে না উওর দেও আমায়….
“আয়াফের দমক শুনে আফিয়া কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলঃ
———–“বিশ্বাস কর আমি বুঝতে পারি নি শাশুড়ী মায়ের পারমিশনের পর তোমার পারমিশন লাগবে তবে আমি যাওয়ার সময় তোমায় ফোন করেছিলাম কিন্তু তোমার নাম্বার বন্ধ ছিলো তো তাই জানাতে পারি নি’!!সরি ভুল হয়ে গেছে আর এমন ভুল হবে না, এইবারের মতো সলি জামাই…..
“আফিয়ার কথা শুনে আয়াফ কি বলবে বুঝতে পারছে না’!!একটু ক্ষিপ্ত মেজাজে বলে উঠল সেঃ
———–“ওই ছেলেটা কে ছিলো….
———–“ও আমার বন্ধু আশিক হ্যা আমার একার নয় রুহি তিশারও বন্ধু একটু কফি খেতে গিয়েছিলাম অনেক রিকুয়েষ্ট করেছিলো তাই….
“বিনিময়ে আয়াফ কিছু বললো না চুপচাপ গিয়ে বসে পরলো বিছানায় তারপর জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে লাগলো সে’!!নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সে’!!
!!
“এদিকে আমি এখনো ভয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি দেয়ালে ঘেঁষে’!!বাবা জামাইর এতো রাগ কোথা থেকে আসে বুঝি না বাপু,একটু তো না বলেই গিয়েছিলাম এতে এত রাগ করার কি আছে?এতই যখন কষ্ট হচ্ছিল তখন রাতে একটা ফোনও তো করতে পারতো!হুহ….
“কিছুক্ষণ পর…..
“আমি আস্তে আস্তে চলে গেলাম আয়াফের সামনে’!!তারপর ওর কোলে বসে দু’গাল চেপে ধরে বললামঃ
———“সরি জামাই, বিশ্বাস কর আমি বুঝতে পারি নি তোমার একরাতে এত কষ্ট হবে,প্লিজ এইবারের মতো মাফ করে দেও,আমি কথা দিচ্ছি আর কোনোদিন তোমায় না বলে কোথাও যাবো না…..
“এদিকে আয়াফ এখনও অভিমান করে উল্টোদিকে মুখ করে বসে আছে’!!
———“আরে সরি বললাম তো,এত রাগ করলে চলে নাকি…(নিজের দিকে ঘুরিয়ে)
———-“তুমি জানো কতটা কষ্ট পেয়েছি আমি….
———-“তার জন্য সরি বললাম তো…
“বলেই আয়াফের গালে একটা চুমু দিয়ে দিলো আফিয়া’!!এদিকে আয়াফ যেন শকট আফিয়া কি করলো সব যেন তার মাথার উপর দিয়ে গেল’!!আয়াফ এটা আশা করে নি’!!আয়াফ অবাক হয়ে বললোঃ
———–“এটা কি ছিল….
———–“কি ছিলো কিছুই ছিলো না….
“বলেই নাচতে নাচতে চলে যায় আফিয়া ওয়াশরুমে’!!আর আয়াফ গালে হাত দিয়ে মুচকি হাসলো’!!হর্ঠাৎই আফিয়া ওয়াশরুমের দরজা খুলে বলে উঠলঃ
———-“আমায় তো নিয়ে এসেছো এখন আরিশাকে কে আনবে….
———“মানে….
———-“আমাদের তো বিকেলে আসার কথা ছিল কিন্তু তুমি তো জোর করে নিয়ে এলে এখন আমি চলে এসেছি কিন্তু আরিশা তো রয়ে গেল,এখন ওকে কে আনবে….
———-“ওহ দেখছি….
———“দেখতে হবে না তোমার ফোনটা দেও তো…
“বলেই ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলো আফিয়া’!!তারপর আয়াফের ফোনটা নিয়ে কল করলো আরিশাকে’!!প্রথম কলেই ধরে ফেললো আরিশা’!!ধরেই বলে উঠল সেঃ
———“হ্যালো….
———“হুম হ্যালো মিস ননদিনী….
———“ভাবি তুমি ভাইয়ার মোবাইল থেকে কল করছো…
———-“হুম আসলে….
———-“কোথায় তুমি বাসায় যাবে না….
———-“আসলে হইছে কি ননদিনী, তোমার ভাইয়া জোর করে ভার্সিটি থেকে তুলে নিয়ে এসেছে আমায় বাসায়…
“এদিকে আফিয়ার কথা শুনে আয়াফ আরিশার দুজনের চোখ বড় বড় হয়ে গেল’!!আয়াফ ভাবতে পারে নি আফিয়া সত্যি কথা বলে দিবে’!!আর আরিশা চমকে বলে উঠলঃ
———-“কি?
———-“হুম,তাই বলছিলাম কি তুমিও চলে আসো তবে হ্যা একা আসার দরকার নেই আয়ানকে সঙ্গে নিয়ে এসো….
———-“কেন ভাবি আমি একাই চলে যেতে পারবো…
———-“না একা আসার দরকার নেই দাঁড়াও তোমায় কিছু বলতে হবে না আমি আয়ানকে ফোন করে বলে দিচ্ছি…
“বলেই ফোন কাটলো আফিয়া’!!আর এপাশে আরিশা বেশ কয়েকবার বললোঃ
———“হ্যালো হ্যালো ভাবি আমার কথাটা তো শোনো,,এই না আমি যামু না আয়ানের সাথে কালকে থেকে জ্বালিয়ে মারছে আমায়…..
“এমন সময় পিছন থেকে আয়ান বলে উঠলঃ
———“কে জ্বালিয়ে মারছে তোমায় শুনি…
“আচমকা এমন কথা শুনে হকচকিয়ে উঠলো আরিশা’!!পিছনে আয়ানকে দেখে ঘাবড়ে যায় আরিশা’!!আরিশা কিছু বলার আগেই আয়ানের ফোনটা বেজে উঠল!সাথে সাথে হ্যালো বলে বললো সেঃ
———–“ঠিক আছে তুই কোনো চিন্তা করিস না আমি তোর ননদিনীকে ঠিক মতোই বাড়ি পৌঁছে দিবো!
“রহস্যময়ী হাসি দিয়ে’!!আয়ানের হাসি দেখে আরিশা কপাল কুঁচকে গেল’!!না জানি কি হবে এখন?
||
“আয়ানের সাথে কথা বলে এক সস্থির নিশ্বাস ফেললাম আমি’!!যাক বাবা এখন আর কোনো চিন্তা নেই’!!এদিকে আয়াফ নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে থেকে বলে উঠলঃ
———“আয়ান কে…?
———-“আমার কাজিন,ওই নিয়ে আসবে আরিশাকে বলেই চলে যায় আফিয়া’!!আর আয়াফও বসে পড়ে বিছানায়…..
__________________________________________
_______________________
“পাক্কা দেড় ঘন্টা সেজেগুজে রুম থেকে বের হলো আরিশা’!!পড়নে তার জর্জেট সাদা রঙের চুড়িদার, চুলগুলো খোলা,হাতে চুরি ঠোঁটে লাল লিপস্টিক, চোখে কাজল দিয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে’!!আয়ান তো দেখেই ফিদা হয়ে গেছে’!!আয়ানকে এই হা হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে আরিশা আয়ানের সামনে গিয়ে বললোঃ
———“এইভাবে হা করে তাকিয়ে কি দেখছেন?
———“তোমাকে….
———“কি?
———“ইয়ে না মানে কিছু না চলো বলেই আম্মুর কাছ থেকে বিদায় জানিয়ে বের হয়ে যায় আয়ান…
“আয়ানের কাজ দেখে হাসলো আরিশা’!!তারপর আম্মুর কাছে গিয়ে বললো সেঃ
——–“আজকে তাহলে যাই আন্টি আবার আসবো কিন্তু আপনার হাতের রান্না কিন্তু আমি খুব মিস করবো বলেই জড়িয়ে ধরে আরিশা আফিয়ার মাকে….
“আফিয়ার আম্মুও খুশি হয়ে বললোঃ
———“আবার আসবে কিন্তু তখন আরো ভালো ভালো রান্না করে খাওয়া বো তোমায়….
“মুচকি হেঁসে বললো আরিশাঃ
———“ঠিক আছে আন্টি….
“তারপর আম্মুর কাছ থেকে বিদায় জানিয়ে চলে আসলো আরিশা’!!আরিশা আসতেই দেখলো আয়ান গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে’!!এমনটা নয় আরিশার ভালো লাগে নি আয়ানকে’!!তারও ভালো লেগেছে কিন্তু এখনই কিছু বলবে না সে’!!হাসলো আরিশা’!!আরিশাকে হাসতে দেখো আয়ান বলে উঠলঃ
——–“সারাদিন পাগলের মতো খালি হাসো কেন?
———“কি আমি পাগল আপনার বউ পাগল…
———-“হুম আমার বউই তো পাগল..
“বলেই আয়ান গাড়ির ভিতর বসে পড়ে!অন্যদিকে আয়ান কি বললো কিছুই বুঝলো না আরিশা’!!আরিশার ভাবনার মাঝে বলে উঠল আয়ানঃ
———“বলছি কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাসায় যাওয়ার ইচ্ছে আছে নাকি….
———“না দাঁড়িয়ে যাবো কেন?
“তারপর আরিশাও বসে পরে গাড়ির ভিতর’!!আরিশা বসতেই আয়ান গাড়ি চালাতে শুরু করল’!!গাড়িও চলছে তার আপন গতিতে…….
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………
???[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ!!
আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে!!]???
#TanjiL_Mim♥️