নিভৃত কুহক পর্ব ৭

0
466

#নিভৃত_কুহক (পর্ব ৭)

ডিসেম্বর, ২০০২

১.
আজ সুমির বিয়ে। একটু আগেই ওকে পার্লার থেকে সাজিয়ে নিয়ে এসেছে। একদম পরির মতো লাগছে ওকে। রেহনুমাও আজ বহুদিন পর একটু সেজেছে। অরেঞ্জ রেড কালারের একটা শাড়ি পরেছে ও। জমিন জুড়ে কাজ, সাথে গোল্ডেন পাড়। সাথে সুন্দর মানানসই লাল ব্লাউজ, পাড়ের সাথে মিলিয়ে গোল্ডেন কাজ করা হাতা। নিজেই বানিয়েছে ওরটা। সুমির ব্লাউজ, শাড়ির ফলস সহ আর সবকিছু ওর সুঁই-সুতা দোকান থেকেই করে দিয়েছে।

আরিফ এসেছে একটু আগেই, লালচে খয়েরি রঙের একটা পাঞ্জাবি পরেছে আজ। ভালো করে খেয়াল করলে বোঝা যায় পাঞ্জাবিটা পুরনো। মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল রেহনুমার। নাহ এরপর সুন্দর একটা পাঞ্জাবি কিনে দিতে হবে ওকে।

বিয়ের ভীড়ে ওর সাথে একবারই কথা বলতে পেরেছে এর মাঝে। ওকে দেখে প্রথমটায় চিনতে সময় নিয়েছিল আরিফ। একটা সময় মুগ্ধ গলায় বলেছে, ‘আপনাকে তো চিনতেই পারিনি। শাড়িতে খুব সুন্দর লাগছে তো।’

রেহনুমা ভাবে এই জীবনে প্রথমবারের মতো ওকে এমন কথা কেউ বলল। ভালো লাগাটা বাড়ছেই দিনকে দিন। আরিফ আজ নানান ছুতোয় ওর কাছে আসছে। রেহনুমা এক ফাঁকে বাবা মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে ওকে। মা একবার অনুসন্ধিৎসু চোখে ওর মুখের দিকে তাকাতেই, ও চোখ নামিয়ে নিয়েছিল। মা কী খুশি হলেন না? ভাবনাটা আসতেই মুখে একটা দুশ্চিন্তা ফুটে ওঠে।

ঠিক তখন কানের কাছে কেউ বলে ওঠে, ‘সব ঠিকঠাক তো?’

রেহনুমা পাশ ফিরে তাকাতেই দেখে আরিফ হাসিমুখে দাঁড়িয়ে। ঠিক খেয়াল করেছে ওর মনের দুশ্চিন্তাটুকু। মাথা নেড়ে বলে, ‘ঠিক আছে সব। আপনি কিন্তু প্রথম ব্যাচেই খেয়ে নেবেন। আমার বসতে বসতে একেবারে শেষ ব্যাচ।’

আরিফ আবার সেই পরিচিত মায়ার সুবাতাস টের পায়। ও মাথা নাড়ে, বলে, ‘অসুবিধে নেই। মিতা আপা আসুক, তখন আপনার সাথেই না হয় বসব।’

রেহনুমার হঠাৎ করেই মিতা আপার কথা মনে হয়। এই মানুষটার কাছে ও কৃতজ্ঞ। উনি না হলে যে আরিফের খোঁজ ও পেত না।

একটু পরেই মিতা আপাকে দেখা যায়। ওকে দেখে কাছে এসে জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘ইশ, তোক তো আজ দারুণ লাগছে।’

তারপর আরিফের দিকে একবার তাকিয়ে ফিসফিস করে বলে, ‘আচ্ছা, আরিফও এসেছে। তার মানে আমাকে না জানিয়ে তোরা তলে তলে অনেক দূর এগিয়েছিস।’

রেহনুমা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে। মিতা আপা ওর গালে গাল ছুঁইয়ে বলেন, ‘ছেলেটা কিন্তু ভালো।’

রেহনুমা মনে মনে বলে, হ্যাঁ, সেটা আমি জানি তো!

একটু পরেই বিয়ে বাড়িতে একটা চাঞ্চল্য দেখা যায়, বর এসেছে। সবাই দৌড়ে যায় গেট ধরতে, রেহনুমা সুমির পাশে একটা হাত চেপে ধরে বসে থাকে। এতদিন একসাথে থাকার বাঁধন আজ বুঝি ছিন্ন হতে চলল। ছোট বোনটা আজ ওকে একা করে চলে যাবে নতুন সংসারে।

আরিফ দূর থেকে রেহনুমাকে দেখছিল। এই মানুষটার মুখে হাসি দেখলে কেন জানি ওর ভীষণ ভালো লাগে। কোথাও একটা ভীষণ মিল আছে ওর সাথে। এই বিয়েতে রেহনুমাকে ভালো অংকের একটা টাকা জোগাড় করে দিতে হয়েছে। সেদিন ওকে নিয়ে ব্যাংকে গিয়েছিল। অতগুলো টাকা একা তুলতে সাহস পাচ্ছিল না। ছোট বোনের জন্য ওর জমানো সব টাকা তুলে ফেলেছিল। সেদিন হুট করে নিজের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। ওকেও ঠিক এমন করে পরিবারের সবার চাহিদা মেটাতে হয়। বড় বোনের বিয়ে দিল, ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা চালাচ্ছে। শুধু নিজের দিকটা অপূর্ণ রয়ে গেল, ঠিক রেহনুমার মতো। নাহ, এবার যে সব অপূর্ণতা ঘোচাতে হয়।

ফেব্রুয়ারি, ২০০৩

২.
আজ এক মাসের বেশি হয়ে গিয়েছে সুমির বিয়ে হয়েছে। এর মাঝে জামাই নিয়ে একদিন থেকেও গেছে। দুই রুমের এই ছোট বাসায় ওদের জন্য থাকা আসলেই দারুণ সংকোচের ব্যাপার। ওদের জায়গা করে দিতে সেদিন রাতে রেহনুমাকে পাশের বাসায় থাকতে হয়েছিল। ওরা অবশ্য এক রাতের বেশি ছিল না। রেহনুমার মাও আর জোরাজোরি করেননি। সোহেল ছেলেটা ভালো, তেমন বড়লোকি চাল নেই। সুমি এর মধ্যেই খুব আহ্লাদী হয়েছে। এক মুহুর্ত জামাই ছাড়া থাকে না। রেহনুমার বেশ মজা লেগেছে। ওর ছোট্ট বোনটা কেমন করে সংসারী হয়ে যাচ্ছে।

আরিফ ক’দিন আগেই একটা দারুণ কথা বলেছে। কথাটা ভাবতেই এখনও ওর বুক ধুকপুক করছে। সেদিন সন্ধ্যেবেলা ওর দোকানে এসে হাজির, চোখমুখ উদভ্রান্ত। রেহনুমা প্রথমে ভয়ই পেয়েছিল, কোনো দুঃসংবাদ নয়তো? ওর সাথে নাকি কী একটা জরুরি কথা আছে সেটা বলবে। রেহনুমা কথাটার গুরুত্ব বুঝে সেদিন আগেই দোকান বন্ধ করে ওর সাথে বসেছিল। প্রথমে অনেকক্ষণ কথাই বলেনি আরিফ। তারপর হঠাৎ একটা সময় ওর দিকে মুখ তুলে তাকিয়ে আকুল গলায় বলেছিল, ‘রেহনুমা, আমার জীবন পূর্ণ করতে তুমি কি সাহায্য করবে?’

রেহনুমার বুক কেঁপে উঠেছিল, পৃথিবীর কোথাও যেন একটা কিছু হয়ে গিয়েছিল। আরিফ ওকে তুমি করে বলছে। ও ফ্যালফ্যাল চেয়ে বলেছিল, ‘আমি কি পারব? আমার যে দেবার মতো কিছুই নেই।’

আরিফ ওর হাত ধরে বলেছিল, ‘তুমিই পারবে। আমার জীবন পূর্ণ করতে তোমার মায়াটুকুই যথেষ্ট।’

রেহনুমা ওর ধরে থাকা হাতের দিকে চেয়েছিল, এমন দিনও আসবে তা কী কেউ জানত! একটা ছেলে আকুল হয়ে ওর হাত ধরে ওকেই চাইবে, এর চেয়ে সুখের আর কিছু আছে! একটা দারুণ ভালো লাগায় পুরো শরীর-মন আচ্ছন্ন হয়ে যেতে থাকে।

মাকে যে জানাতে হয়। আরিফ খুব তাড়া দিচ্ছিল। বলেছিল, জীবনে এমনিতেই অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। তাই আর একটা দিনও নষ্ট করতে চাই না। হ্যাঁ, কথাটা সত্যি। রেহনুমা হিসেব করে, ওর এখন তেত্রিশ চলছে, আরিফের সাঁইত্রিশ। আসলেই যে ওদের অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।

রাতের খাওয়া শেষে রেহনুমা মায়ের সাথে গল্প করতে বসে। সুমিকে নিয়েই গল্প। ও কত সুখে আছে সেই গল্প। মায়ের চোখেমুখে একটা সুখের ছোঁয়া। একটা সময় রেহনুমা সাহস করে বলে, ‘মা, একটা কথা ছিল।’

মনোয়ারা চোখের পলক ফেলে বলেন, ‘কী কথা?’

রেহনুমা মাথা নিচু করে দাঁতে নখ কাটতে কাটতে বলে, ‘সেদিন বিয়েতে আরিফকে দেখেছিলে, মনে আছে?’

মনোয়ারা ভ্রু কুঁচকে বলেন, ‘কোন আরিফ?’

তারপর হঠাৎ করেই মনোয়ারা বেগমের মনে পড়ে, সেদিন বিয়েতে একটা হ্যাংলা, লম্বামতো ছেলেকে রেহনুমা পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। সেই ছেলেটার কথাই বলছে ও?

একটু সতর্ক হয় মনোয়ারা, গম্ভীরমুখে বলেন, ‘সেই ইন্স্যুরেন্সে চাকরি করা ছেলেটা?’

রেহনুমা মায়ের মুখের বদলটা টের পায়, একটু দমে গিয়ে বলে, ‘হ্যাঁ মা। ওর নাম আরিফ। মিতা আপা একবার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। ও খুব ভালো ছেলে। ওদের বাবা মা এ মাসের শেষে একবার আসতে চায় আমাদের বাসায়।’

শেষের কথাটা বলতে রেহনুমার ভীষণ লজ্জা হতে থাকে, মুখটা নিচু করে ফেলে।

মনোয়ারা বিরক্তির সাথে বলে, ‘শেষ পর্যন্ত এমন একটা ছেলেকে তুই বিয়ে করবি? এত উতলা হয়েছিস কেন তুই? সুমির সাথে আমার কথা হয়েছে। ও বলেছে সোহেল নাকি ভালো পাত্র দেখছে তোর জন্য। ওরা এত বড়লোক, নিশ্চয়ই একটা ভালো পাত্র খুঁজে নিয়ে আসবে। আর সেখানে তুই অমন একটা ছেলে পছন্দ করলি? এটা জানলে সুমির শ্বশুর বাড়িতে ওর প্রেস্টিজ থাকবে? তোর যখন দেরি হয়েই গিয়েছে আরও ক’টা দিন অপেক্ষা করতে দোষের কী? ওরা ওদের মতো করে ঠিক একটা ভালো পাত্র যোগাড় করবে।’

রেহনুমা স্তম্ভিত হয়ে মায়ের কথা শোনে। ওর বিয়ে এখন সুমির শ্বশুর বাড়ির মতামতের উপর নির্ভর করবে! ওদের স্ট্যাটাসের সাথে যায় এমন ছেলে না হলে চলবে না? রাগে ওর শরীর জ্বলে যায়।

ও কঠিন গলায় বলে, ‘মা, আমার বিয়ের জন্য কাউকে কষ্ট করতে হবে না। আমি আরিফকেই বিয়ে করব। এ মাসের শেষ শুক্রবার ওরা আসবে বিয়ের তারিখ ঠিক করতে। বাবাকে বোলো।’

মনোয়ারা বেগম চমকে মেয়ের দিকে তাকান, রেহনুমা তো কখনও এমন করে কথা বলে না। তার মানে ও বিয়ে করবেই এই ছেলেকে। ভেতরে ভেতরে একটু শংকিত হয়ে পড়েন। সুমির শ্বশুর বাড়ির দোহাই দিয়ে যে ওকে ফেরানো যাবে না এটা বুঝতে পেরেছেন।

এবার গলা নরম করে বলেন, ‘কিন্তু তুই চলে গেলে আমাদের কে দেখবে? ওই আরিফ ছেলেটা যদি তোকে না করে আমাদের টাকা পয়সা দিতে? জানিসই তো, তোর বাবার আয় কম, বয়সও হয়েছে। আর ক’দিন চাকরি করবে। সুমির তো নিজের রোজগার নেই, তাই ওর কাছেও তো চাইতে পারব না। আর আমার পোড়া কপাল, একটা ছেলে যদি থাকত, তাহলে আজ এই দুশ্চিন্তা করতে হতো না আমার।’

রেহনুমার মাথায় যেন বাজ পড়ে। এতক্ষণে পুরো ব্যাপারটা ওর কাছে পরিস্কার হয়ে যায়। মা কেন এতক্ষণ ওর বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না। যেখানে ওর মতো একটা কালো মেয়েকে ক’দিন আগে বেকার, ডিভোর্সড ছেলের কাছেও বিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিলেন। আজ আরিফের মতো ছেলেও ওনার পছন্দ হচ্ছিল না। ব্যাপারটা তাহলে নিজেদের আর্থিক নিরাপত্তা! রেহনুমার ভীষণ কষ্ট হয়, সেইসাথে মায়াও হয়।

মাকে জড়িয়ে ধরে বলে, ‘মাগো, আমি কি তোমাদের না দেখে থাকতে পারি? আমি এখন যেমন করছি, বিয়ের পরও ঠিক তেমনই করব। আর এটা আরিফের সাথে আমি আগেই কথা বলে নিয়েছি। ওর কোনো আপত্তি তো নেইই, বরং পারলে আরও বেশিই করে ও তোমাদের জন্য।’

মনোয়ারার চোখ ভিজে ওঠে, আর্দ্র গলায় বলেন, ‘মা রে, আমাকে স্বার্থপর ভাবিস না। জানি, একমাত্র তুই আমাদের ভরসা। সুমির জামাই অনেক বড়লোক হলেও, সুমির হাতে কোনো টাকা পয়সাই দেয় না। ও পারবে না কিছু করতে। তোর তো নিজের ব্যবসা, তুই পারবি।’

কেন জানি আজ নিজেকে সত্যিই অনেক দায়িত্ববান মনে হয় রেহনুমার। নিজের কাছেই নিজের গুরুত্ব খুঁজে পায়। এ সংসারে তাহলে ওরও গুরুত্ব আছে!

৩.
আজ আরিফরা আসবে বিয়ের কথা ফাইনাল করতে। রেহনুমা সকাল থেকেই মাকে রান্নায় সাহায্য করছে। মনোয়ারা বার বার নিষেধ করেছে, শোনেনি। সুমি শেষ পর্যন্ত আসতে পারেনি। ওর শ্বশুর বাড়িতে নাকি বিশাল প্রোগ্রাম আছে। রেহনুমাই না করেছে আসতে। সুমি বলেছে বিকেলে পারলে আসবে।

বারোটা বেজে গেছে, হাতে খুব বেশি সময় নেই। মনোয়ারা এবার তাড়া দেয়, ‘রেহনুমা, তুই এবার যা তো। গোসল করে শাড়িটা পরে নে।’

রেহনুমা এবার ওঠে, হ্যাঁ এখন রেডি না হলে দেরি হয়ে যাবে।

গোসল সেরে চট করে শাড়ি পরে নেয়। হালকা একটু সাজে। আজ কেন জানি অন্যান্য দিনের মতো সাজতে খারাপ লাগছে না। আগে যখন পাত্র দেখতে আসত কিংবা ও যেত তখন সাজতে কেমন বাধোবাধো ঠেকত। কিন্তু আজ সেই অস্বস্তিটা নেই। প্রিয় মানুষের জন্য সাজছে, ভাবতেই বুকটা কেমন করে ওঠে।

দু’টো বেজে গেছে। এর মাঝে কথা হয়নি আরিফের সাথে। কেন জানি আজ লজ্জা লাগছে। সকালে শুধু একটা মেসেজ পাঠিয়েছিল ‘তোমার অপেক্ষায়।’

আরিফের ফিরতি মেসেজ আসেনি, হয়ত ব্যস্ত আজ। একটু কেমন লেগেছিল, কিন্তু সে ভাবনাটা আর বাড়তে দেয়নি।

কিন্তু দুপুর তিনটে নাগাদও যখন ওরা আসে না, মনোয়ারা ওকে বলেন ফোন করতে। রেহনুমার কেন জানি এখন ভয় করছে। কাঁপা হাতে ফোন দিতেই দেখে আরিফের ফোন বন্ধ। বুকটা ধক করে ওঠে। আবার দেয়, বারবার দিতেই থাকে। বন্ধ ফোনটা! মন দূর্বল হয়ে আসে, ওরা কি আসবে না? ওর বাবা মা কি শেষ পর্যন্ত মত বদলেছে? কিন্তু আরিফ তো বলেছিল ওকে ওর পরিবার পছন্দ করেছে। নাকি শেষ পর্যন্ত কালো মেয়ে বিয়ে করাবে না?

মনোয়ারা মন খারাপ নিয়ে মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন। বাবা একটু পর পর রাস্তার মোড়ে গিয়ে দেখে আসে। কিন্তু না, কেউ আসে না। সময় গড়ায়, দুপুরের সূর্য গড়িয়ে বিকেল হয়, গাছের ছায়াগুলো লম্বা হতে থাকে। একটা সময় সন্ধ্যা নামে।

রেহনুমা শাড়ি পরে বসেই আছে জানালার ধারে। সকাল থেকে আজ মেয়েটা না খাওয়া। মনোয়ারা কাছে এসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, ‘মা রে, এবার খেয়ে নে। ওরা মনে হয় আজ আসবে না।’

রেহনুমা মাথা নাড়ে, হ্যাঁ ওরা আসবে না। একটু আগেই আরিফের একটা মেসেজ এসেছে, ‘সরি, আসতে পারলাম না। আমি তোমাকে পরে সব বুঝিয়ে বলব।’

রেহনুমার চোখে বিন্দু বিন্দু জল জমে। একজনকে নিজের করে ভেবেছিল, সেও ফাঁকি দিল। ওর মতো মেয়েদের জন্য পৃথিবী সত্যিই একটা নিষ্ঠুর জায়গা।

সে রাতে রেহনুমার ঘুম আসে না। বার বার ভাবতে থাকে আরিফ কেন এমন করল? যদি ওর মনে দ্বিধা ছিলই তাহলে বলল না কেন? খুব ইচ্ছে করছে পুকুর পাড়ে গিয়ে বসে থাকতে, একা।

(চলবে)

মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস
শিমুলতলী, গাজীপুর
২২/০৪/২০২৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here