#ধূসর_রঙের_প্রজাপতি
#ফাতেমা_তুজ
#part_51
দুপুরের তীব্র রোদ ভেদ করে যখন বিকেলের মিষ্টি রোদ উঁকি দেওয়া শুরু করলো তখনি হাওর যেন নতুন রূপে ধরা দিলো। সে অনুভূতির কথা প্রকাশ করা কষ্ট সাধ্য। মৃদু বাতাসের সাথে পাখির গুঞ্জন পরিবেশ টাকে মধুর করে যাচ্ছে। বোট চলছে টেকের ঘাটের উদ্দেশ্যে। মাঝে একটা সবুজ ঘাসে ঘেরা চরের মতো স্থান পরিলক্ষিত হয়। কিছুক্ষণের জন্য বোট থামানো হয় সে চরে। সবাই নেমে গেল। ঝিল আর অভিনব লম্বা করে দম নিয়ে মুক্ত সমীরন গ্রহন করে। অভিনবর মাথায় উদ্ভট এক চিন্তা এসে ধরা দেয়। এতো বড় সবুজে ঘেরা মাঠ টা উপেক্ষা করতে পারলো না সে। ঝিলের হাত ধরে বলল
_ দৌড়ানো যাক ?
_ দৌড়াবো কেন ?
_ পাখির মতো ফিলিংস নেওয়ার জন্য। দু হাত মেলে দিয়ে এক দমে দৌড়াতে থাকলে পাখির মতোই উড়ে যাচ্ছো মনে হবে।
বিষয় টা বেশ মনে ধরলো। মাথা কাত করে সম্মতি জানালো ঝিল। অভিনবর হাতে এক হাত আর অন্য হাত মেলে দিলো। অভিনবর হাসি মাখা মুখ টা বুঝিয়ে দিলো এখনি দৌড়াতে হবে।
সবুজের মাঝে দুই মানব যেন মিশে গেছে। পাখির মতো ডানা ঝাপটে দৌড়াতে লাগলো দুজনে। বিশাল মাঠ টা চক্কর কেঁটে দুজনেই ক্লান্ত হলো বেশ । তবু ও অধরে হাসি যেন রয় না। হাসতে হাসতে সবুজেই শুয়ে পরলো। আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলো বেশ কিছুটা সময়। অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে। হাঁপাতে হাঁপাতে ঝিল বললো
_ দারুন ছিলো এটা। ইসস যদি আরেকটু দৌড়ানো যেত , তাহলে আরো ভালো হতো ।
_ আমার সমস্যা ছিলো না। তবে তোমার পা ব্যথা করবে। তুমি তো নিয়মিত এক্সারসাইজ করো না।
_ এখন থেকে করবো।
_ আচ্ছা। এখন চলো উঠা যাক ।
অভিনব উঠে বসলো। ঝিল এখনো ক্লান্ত। ঝিল কে বুকে টেনে নিলো অভিনব । মিনিট দুয়েক জড়িয়ে ধরে তারপর উঠে পরলো দুজনেই । মোটা মোটি সবাই বোটের কাছে চলে এসছে। বোটে উঠতেই বোট চলা শুরু করলো। ক্লান্ত ঝিল অভিনবর গাঁয়ে সমস্ত ভর ছেড়ে বলল
_ এই ট্যুর টা বেশি ভালো । কোনো নিয়ম নেই। শুধু শান্তি আর শান্তি।
_ কে বলেছে নিয়ম নেই ? আলবাত আছে।
_ আমার চোখে তো কিছু পরলো না।
অভিনব পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে ইশারায় পড়তে বললো। ঝিল ভদ্র মেয়ের মতো কাগজ টা পড়তে লাগলো।
[ তাহিরপুর উপজেলায় অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওর, টেকেরঘাট, বারেকাটিলা, নীলাদ্রিসহ পর্যটন এলাকায় জনসমাগমের ওপর ১০টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ২৫ আগস্ট থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে । নির্দেশনাগুলো হলো-
* হাওর কিংবা নদীতে যাত্রা শুরুর অন্তত ছয় ঘণ্টা আগে নির্ধারিত ফরমে তাহিরপুর থানা ও উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নৌযানের নাম, পর্যটকের সংখ্যা, যাত্রা ও ফেরার সময় উল্লেখসহ লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
* টাঙ্গুয়ার হাওরে চলাচলকারী কোনো নৌযান অতিরিক্ত পর্যটক বা যাত্রী বহন করতে পারবেন না।
* ভ্রমণের সময় নৌযানের চালক ও পর্যটকদের অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরতে হবে। বিশেষ করে হাওরে কিংবা নদীতে কোনো পর্যটক লাইফ জ্যাকেট ছাড়া নামতে পারবেন না।
* বিরূপ আবহাওয়া থাকলে হাওর কিংবা নদীতে ভ্রমণ করা যাবে না।
* করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভ্রমণের সময় সবাইকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
* প্রতিটি নৌযানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ডাস্টবিন স্থাপন করতে হবে।
* নির্ধারিত স্থান ছাড়া হাওর বা নদীর কোথাও ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না।
* পর্যটকবাহী নৌযানে উচ্চস্বরে মাইক বা লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে না।
* প্রতিটি নৌযানে পর্যটকদের জন্য মানসম্মত পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতা ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
* ভ্রমণকালে পর্যটকরা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করবেন এবং নিজেদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সচেষ্ট থাকবেন। ]
** লাইন গুলো সংগ্রহিত **
কাগজ টা অভিনবর হাতে দিয়ে সটান হয়ে বসলো ঝিল। অভিনবর দিকে না তাকিয়েই বলল
_ মোট কথা সমস্ত দায় ভার এজেন্সির সাথে। আমাদের তো শান্তি ই !
দু দিকে মাথা কাত করে সম্মতি জানায় অভিনব। বার বার হাই তুলছে ঝিল। তাই অভিনব শুধাল
_ কফি খাবে ?
_ আচ্ছা।
নিজ হাতে কফি বানিয়ে নিলো অভিনব। ঝিলের ইচ্ছে তে এক কাপ কফি বানিয়েছে। দুজনে নাকি এক কাপ থেকে কফি খাবে। এতে দুজনে ভালোবাসা বাড়বে। অভিনবর কাছে ও বিষয় টা ভালো লেগেছে। এমনি তেও স্ত্রীর সাথে বসে এক প্লেটে খাওয়া কিংবা পানির পাত্রে স্ত্রীর ঠোঁট লাগানো স্থানে ঠোঁট লাগিয়ে পানি পান করা সুন্নত।
*
বেশ অনেকক্ষণ জার্নি করার পর টেকের ঘাটের দেখা মিলে। সবাই দাড়িয়ে ছিলো। না চাইতে ও মুখ দিয়ে ওয়াও শব্দ টা উচ্চারিত হয়। নীলাদ্রি লেকের বড় বড় টিলা চোখে পরে। এটি মূলত লাইমস্টোন বা চুনাপাথরের খনির পরিত্যক্ত লেক। মেঘালয়ের সীমান্তবর্তী তে এর অবস্থান। পর্যটক রা নীলাদ্রি লেক নামে জানলে ও স্থানীয় দের কাছে টেকের ঘাট পাথর কোয়ারি নামে পরিচিত।
ঘন নীল জলের এক পাশে মেঘালয়ের পাহাড় , তার চারপাশে ছড়ানো ছিটানো পাথর। অনেকেই একে বাংলার কাশ্মীর নামে অভিহিত করে । মোহনীয় এই লেকের সৌন্দর্য হৃদয়ে দাগ কাটবে।
ঘাটে বোট থামানো হলেই সবাই নেমে যায়। অভিনবর চোখ চার দিকে উঠা নামা করছে। নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পরেছে সে। প্রতি টা সৌন্দর্য ওকে নতুন ভাবে সম্মোহন করে। ঝিলের কাঁধে ডান টা দিয়ে একটু কাছাকাছি হয়ে হাঁটে। অভিনবর স্পর্শ ঝিল অনুভব করে নি। কারন সে মত্ত রয়েছে প্রকৃতিতে। অভিনব শুধাল
_ এখানে একটা বাড়ি বানালে কেমন হয় বলো তো ?
_ খুব ভালো। আমি রোজ মেঘালয় থেকে আসা সূর্যোদয় দেখবো। কি সুন্দর তাই না ?
অভিনব ডান হাত উঁচু করে নীলাদ্রি লেক বরাবর নির্দেশনা দেয়। ঝিল প্রশ্ন নিয়ে তাকায়। অভিনব বলে
_ লেকের এপাশ টা বাংলাদেশ আর অন্য পাশ টা ভারত।
_ ওয়াও , এটাই বাংলাদেশের শেষ সীমান্ত ?
_ হুম।
_ চলো না ঐ পাশ টা যাই !
কথা টা অতি আবেদনময়ী স্বরে বলে ঝিল। অভিনব হাসে , ঝিলের দিকে একটু ঝুঁকে বলে
_ যেতেই পারি যদি আমার ক্রস ফায়ারে আপনি খুশি হোন।
ভ্রু কুটি করে তাকায় মেয়েটা। অভিনবর কথাটা যেন মাথার উপর দিয়ে গেল। অভিনব একটু এগিয়ে হাঁটে। পেছন থেকে ঝিল প্রশ্ন ছুঁড়ে
_ ক্রস ফায়ার কেন হবে ?
_ গার্ড রা আছে তো ! সীমান্তবর্তী নিরাপত্তা বলে ও তো কিছু হয় ? এতো সহজে সব কিছু তো পাওয়া যায় না। তবে একটা কাজ করা যায় তুমি আর আমি ইন্ডিয়ান আর্মি তে জয়েন করি তারপর সীমান্ত পারাপার করবো না হয় ?
রসিকতায় গা জ্বলে উঠে মেয়েটার। কিছু অজানা থাকা টা স্বাভাবিক । তাছাড়া সবাই তো ওর মতো অতি বিজ্ঞ নয়। অভিনবর আড়ালে ভেঙ্চি কাঁটে ঝিল। একদিন ওর ওহ সময় আসবে।
সবাই লেকে নামার প্রস্তুতি নেয়। গার্ড সবাই কে লাইভ জ্যাকেট পরে নিতে বলেন। লেকের গভীরতা প্রায় 300 ফিট। অভিনব ধরে ধরে কোমর অব্দি পানিতে নামিয়ে নেয় ঝিল কে। সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে যত এগোচ্ছে ততো ঠান্ডা পানি অনুভব হচ্ছে। ঝিলের মনে পরে গেল বিখ্যাত সাত রঙের চায়ের কথা। এটা কে ও তেমনি ধরা যায়। তবে এটাকে টেম্পারেচার আপ ডাউন।
সন্ধ্যার ভিউ টা চোখে ধাঁধানো সুন্দর। বড় বড় পাহাড় গুলো কে ছায়া মানবের মতো লাগে। মনে হয় এই লেকেই ডুবে যেতে।
পায়ে পাথরের স্তর অনুভব হয়। অভিনবর বাহু ধরে সাঁতার কাটে ঝিল। তাঁর সাঁতারের সীমা শুধু হাত পা ছড়ানো। অভিনব হঠাৎ করেই আরো গভীরে নিয়ে যায়। এতে ভয় পেয়ে যায় ঝিল। বিরক্ত প্রকাশে অভিনব বলে
_ সেফটি জ্যাকেট পরে আছো না ?
_ যদি ফুটো হয়ে যায় ?
_ আমি আছি তো ! আশ্চর্য মানবী তুমি , আমাকে ভরসা করে ও করো না।
_ ভয় লাগে।
কথা টা মিনমিনিয়ে বলে ঝিল। অভিনবর মনে ব্যথা লাগে। ঝিল কে এক হাত জড়িয়ে নেয়। মাথা টা বুকে চেপে ধরে বলে
_ বাঁচলে এক সাথেই বাঁচবো, আর মরলে এক সাথেই মরবো।
.
সন্ধ্যা নেমে গেছে। একটু পাড়ের দিকে এসে সকলে সমস্ত ভর ছেড়ে দেয়। পানি টাকে বিছানার মতো আলিঙ্গন করে চোখ বুঁজে । পরম আবেশে শরীর কেঁপে উঠে। অদ্ভুত ভালো লাগায় সর্বাঙ্গে বিদ্যুৎ চমকে যায়। মৃদু সমীরন এসে শরীরের প্রতি টি লোম কূপ স্পর্শ করে। ঠিক তখনি রক্তে শীতল তরল নেমে যায়। কি অসাধারন অনুভূতি তে ভাসতে থাকে। পানির উপর এভাবে শুয়ে থাকা যেন অমৃত স্বাদ। ঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে । প্রতি টি বিন্দু কনা চোখ মুখ নাকে এসে লাগছে। ঝিল পিট পিট করে তাকায় আবার চোখ নিভে যায়। আনমনেই হেসে উঠে। অভিনবর দিকে তাকাতেই পরিলক্ষিত হয় এক জোড়া গভীর দৃষ্টি তাঁকে দেখে যাচ্ছে।
যে চোখ প্রেম নিবেদন করছে। যে নয়নে নিজের মৃত্যু দেখে ঝিল। হতচকিয়ে যায় মেয়েটা। সন্তর্পণে কাছে টেনে নেয় অভিনব। নেশাক্ত চাহনি আর মাদকতাময় কন্ঠে বলে ” ভালোবাসি ”
সন্ধ্যায় ফিরে এসে ক্লান্ত সবাই। ছাঁদের উপর খাবার সার্ভ করা হয়। পুরো হাওর অন্ধকার।থেকে থেকে ছোট ছোট আলো দেখা যাচ্ছে। হন্টেড প্লেস বললে ও ভুল হবে না। পাখির হিস হিস ফোঁস ফোঁস শব্দ রোমাঞ্চকর অনুভূতি দিয়ে যাচ্ছে। ডিনারের জন্য ছিলো , ভাত , হাঁসের মাংস , সবজি , ডাল , আর লেমন ট্রি। পেট পুরে খেয়ে সবাই হালকা গান বাজনা করে নিলো।
গানের তালে প্রেম নিবেদন। প্রতি টা কাঁপল ই নিজেদের পুরনো দিন গুলো অনুভব করছে। না জানি কত বাঁধা পেরিয়ে আজ এতো টা স্বস্তি। প্রেম বড় কঠিন ব্যধি ।
বোট হাওরে ভাসতে থাকে। অর্থাৎ নোঙর বাঁধা হবে না। এতে নাকি আরো বেশি মজা পাওয়া যায়।
সবাই ক্লান্ত থাকাতে বিছানায় গা এলাতেই ঘুমিয়ে পরে। তবে রাতে বৃষ্টি হওয়াতে অদ্ভুত আনন্দ মিলেছে। বৃষ্টির আওয়াজের সাথে ঠান্ডা শিরশির বাতাসে ঘুম এতো ভালো হয় তা কারোই জানা ছিলো না। আসলে ক্লান্ত দেহ শুধু একটু স্বস্তি চায়।
*
দ্বিতীয় দিন
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে এক কাপ চা খেয়েই নেমে গিয়েছে টেকের ঘাটে। দোতলা লাল দালান দেখে ঝিলের মনে কৌতুহল জাগে। অভিনব হলো তাঁর এক মাত্র ডিকশনারি। তাই অভিনবকেই প্রশ্ন করলো ” এটা কি ? ”
তবে অভিনব উত্তর দিতে পারলো না। ঝিল ভয়ঙ্কর চোখে তাকালো। আসলেই মানুষ কখনো ডিকশনারি হতে পারে না। পরিশেষে ট্রাভেল এজেন্সি র সাথে কথা বলে জানতে পারলো লাল রঙা দালান টা টেকের ঘাটের এক মাত্র ক্লিনিক।
বোটের কাছ থেকে চেঁচামেচির শব্দ কানে এলো। অভিনবর সাথে ঝিল ওহ এক প্রকার দৌড়ে সে দিকে যায়। রোহন বাচ্চাদের মতো চিৎকার করছে। তাঁর ই সাথে হাসছে গগন কাঁপিয়ে। এতো খুশির হেতু খুঁজে পায় না ঝিল। মৌনতার কাঁধে ধাক্কা মেরে বলে
_ তোর দিওয়ানা এতো খুশি কেন ?
_ আরে বোয়াল মাছ পেয়েছে !
_ বোয়াল মাছ ?
_ বোটে জাল ছিলো ভোর থেকেই জাল ফেলে বসে ছিলো। আমার সাথে বাজি ধরেছে মাছ ধরে দেখাবে। দুই ঘন্টা পর এই বোয়াল মাছের দেখা মিলেছে।
ঝিল ঠোঁট দুটো প্রসারিত করে। রোহনের পিঠে এক প্রকার চাপড় মেরেই বলে
_ বাহহ কি উন্নতি হলো। এক বার মাছ ধরতে বলেছিলাম আমি। সারাদিন পরে দুটো চুনো পুঁটি নিয়ে ফিরেছিলো তুমি আর আহনাফ ভাইয়া। আজ গার্লফ্রেন্ড এর জন্য একে বারে বোয়াল মাছ ?
দাঁত কেলিয়ে হাসে রোহন। এতো বড় মাছ ধরতে পারবে কল্পনা ও করতে পারে নি। ঝিলের চুল টেনে দেয় । তাঁরপর মৌনতার চুল এলোমেলো করে দেয়। মৌনতা রাগে গজগজ করে উঠে। ঝিল অবাক হয়ে দেখে সে দৃশ্য। রোহন বরাবর ই শান্ত স্বভাবের , কিন্তু আজ যেন নিজের সমস্ত সত্তা উজার করে দিয়ে নতুন রূপে ধরা দিয়িছে সে। এটা কি প্রেমের মিল বন্ধন। ঝিলের কাছে এসে অভিনব দাঁড়িয়ে ছে বেশ অনেক ক্ষন। অথচ ঝিলের ধ্যান নেই। অভিনবর ভারী নিশ্বাস কানে আসে। সে নিশ্বাস লক্ষ্য করে বা পাশ মুরে তাকাতেই এক চিলতে হাসি ফুটিয়ে অভিনব বলে
_ প্রতি টি মানুষের জীবনেই সঠিক প্রেমের প্রয়োজন রয়েছে। সেটা যখনি হোক , টিনেজার বয়সে কিংবা বিয়ের পরে। সঠিক প্রেম আর আপন মানুষের প্রয়োজন অনেক ।
ঝিল আবেগে আপ্লুত হয়ে নয়ন ভরিয়ে ফেলে। অভিনব দু হাতের আঙুলি দিয়ে সে জল মুছে দেয়। সময় নিয়ে কপালে চুমু খেয়ে বলে ” চলো ”
** নীলাদ্রি লেকের ছবি কমেন্টে দিয়ে দিবো। একটু গঠন মূলক মন্তব্য করুন। গল্পের সমাপ্তি দরজায় কড়া নেড়ে যাচ্ছে।
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।
চলবে