ধর্ষন করে বিয়ে পর্ব-১৬

0
1199

ধর্ষন করে বিয়ে
.
লেখকঃ সানভি আহমেদ সাকিব।
পর্ব ১৬
Last Part..
.
সানভি বারবার নিলিমার কপালে চুমু খেতে থাকে।
তারপর মনে হয় এবার সময় শেষ আর দেরি করা ঠিক হবেনা।
শেষবারের মতো বলে i love you Nilima I love you..
আমাকে মাফ করে দিয়ো।,
তারপর সব মায়া কাটিয়ে চলে আসে ছাদে।
নিলিমার মুখটা বারবার মুখের সামনে ভেসে উঠে।
ইচ্ছা হয় বেচে থাকার কিন্তু আবার মনে হয় তার সেই কথা।
ধর্ষক কখনো ভালোবাসতে পারেনা।
.
পরক্ষনেই মুড চেন্জ।
নেই কোনো বেচে থাকার অধিকার তার।
সমাজের সবচেয়ে বাজে লোক হলো ধর্ষনকারি।
আর সেও ওই কাতারেই পড়বে। হোক যতই ভালো মানুষ। সে ধর্ষক।হয়তো কেও যানেনা কিন্তু তার ভিতর থেকে অপরাধবোধ কাজ করে।
এতোদিন মনে হয়নি তার যে সে একটা ধর্ষক কিন্তু আজ
নিলিমার কথায় মনে পড়ে গেলো।
সত্যিই তো বলেছে সে।
আমি ধর্ষন করলাম আর আমিই তাকে অবহেলা করি।
.
সবাই যানে একটা ধর্ষক কতটা খারাপ মানুষ।কতোটা নিচ।
সমাজের সবচেয়ে নিচের স্তরে তাদের বসবাস।
আর মন তাদের নেই বললেই চলে।কিন্তু কেও কখনো খুজে দেখেনা ধর্ষকের ধর্ষনের পেছনের কারনটা কি।
খোজার চেষ্টাও করেনা।।কেনো করবে মেয়েটা তো আজ সবার উপড়ে।তাদের একটা কথা সবাই বিশ্বাস করবে।
কিন্তু একটা ছেলে যদি ওই কথাটাই বলে কেও বিশ্বাস করবেনা।
.
যাই হোক এসব আমার ব্যাপার না আমাকে মরতে হবে।
থাকবো না আর এই পৃথিবিতে।
পকেট থেকে ব্লেডটা বের করে সানভি।
এবার বেশ কনফিউশনে পড়ে যায় সে।
ছাদ থেকে লাফ দিবে নাকি ব্লেড দিয়ে হাত কাটবে কোনটা??
দারুন একটা আইডিয়া এসে যায় মাথায়।
আগে হাত কাটবে তারপর লাফ দিবে।
বাহ নিজের মনেই প্রসংসা করে উঠে সে।
ফেসবুক পেজ : নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
.
ধর্ষকের বুদ্ধি বলে কথা। একটু তো শার্প হওয়ারই কথা।
ব্লেডটা হাতের ওপর রাখে সে। আলতো করে চালায় সে হাতের ওপর।
উপরের চামরাটা কেটে যায়।
হালকা কাটছে।
একটু একটু রক্ত বের হচ্ছে।
এমন সময় ফোনটা বেজে উঠে।
সালার কল আসার আর সময় পেলোনা।
আর এতোরাতে কেই বা কল দিবে।
নাম্বার এর দিকে তাকিয়ে দেখে নিলিমা।
,
কল রিসিভ করতে চায়না তারপরও করে।
শেষবারের মতো কন্ঠটা শুনতে ইচ্ছা হয় ভিষন।
– কোথায় তুমি??(নিলিমা)
– ছাদে।(সানভি)
– এতো রাতে ছাদে কি করো।(নিলিমা)
– কিছুনা ভালো লাগছিলো না তাই একটু হাটতে আসছিলাম।(সানভি)
– রুমে আসো।(নিলিমা)
– যাবো দশটা মিনিট সময় দাও।(সানভি)
– ২০ সেকেন্ড এর রাস্তা ১০ মিনিট কেনো লাগবো।(নিলিমা)
– বললামম তো সময় লাগবো।(সানভি)
নিলিমা কথা বলতে বলতে ছাদে চলে আসে।
সানভি নিলিমাকে দেখা মাত্রই।
ব্লেডটা নিচে ফেলে দেয়।
তারপর শার্টের হাতাটা নিচে নামিয়ে দেয়।
.
– এতো রাতে ছাদে কি??(নিলিমা)
– বললাম তো এমনিই।(সানভি)
– এমনিই মানে, এতো রাতে এমনি এমনি কেউ ছাদে আসে না কি করছিলা বলো।(নিলিমা)
– কিছুনা তুমি যাও আমি আসতাছি।(সানভি)
– তুমি আমার সাথে যাবে।(নিলিমা)
– তোমার সাহস তো কম নয় আমাকে অর্ডার করতাছো।(সানভি)
,
নিলিমার মনে হঠাৎ কোথা থেকে এতো সাহস আসে বুঝতে পারেনা। সানভির হাত ধরে টান দেয় সে।
হঠাৎ গরম পানিয় কিছু অনুভব করে হাতে।
হাতটা চোখের সামনে আনতেই ভয় পেয়ে যায় নিলিমা।
– রররক্ত!!(নিলিমা)
– মানে?(সানভি)
– তোমার হাতে রক্ত কিসের দেখি।(নিলিমা)
কাপা কাপা কন্ঠে বলে।
সানভির হাতটা জোর করে সামনে এনে চাদেরর আলোয় দেখতে পায়।
হাতটা কিছু দিয়ে কাটা।
নিচে তাকাতেই ব্লেডটাও স্পষ্ট দেখতে পায় সে।
,
– সানভি এগুলা কি??(নিলিমা)
– কি কিছুনা তো।(সানভি)
– কি করছিলা এগুলা তুমি??(নিলিমা)
– কই কিছুনা শুধু পৃথিবি থেকে একটা ধর্ষক কমিয়ে দিতে চাইছিলাম।(সানভি)
নিলিমা কি বলবে বুঝতে পারেনা।
শুধু এটাই ভাবে আজ তার একটা কথার জন্য সানভি মরতে গেছিলো।যদি সময়মতো না আসতাম তাহলে সে আজকে সুইসাইড করতো।
.
আর কিছুই ভাবতে পারেনা সে।
ব্লেডটা হাতে নিয়ে সানভির থেকে দুরে চলে যায় সে।
এরপর ব্লেডটা হাতের ওপর রেখে বলে,
– সানভি তুমি যে কাজটা করতে পারোনি সেটা আজ আমি করবো।(নিলিমা)
– কি করছো তুমি থামো।(সানভি)
বলেই নিলিমার দিকে এগোয়।
– ওখানেই দাড়াও সামনে এগুলে আমি ব্লেডটা চালিয়ে দিবো।(নিলিমা)
– পাগলামি করোনা নিলিমা থামো।(সানভি)
– পাগলামি আমি না তুমি করেছো এতোদিন।যদি মেনেই না নিবে তাহলে বিয়ে কেনো করেছিলো রাস্তারর পাশে ছেড়ে দিলেই পারতে।(নিলিমা)
– নিলিমা চুপ করো প্লিজ।(সানভি)
– আজকে তোমার হাতে দুইটা অপশন আছে হয় তুমি আমাকে ভালোবাসবা আগের মতো নয়তো আমাকে হারাবে চিরতরে।(নিলিমা)
.
সানভি এবার দোটানার মধ্যে পড়ে যায়।
কি করবে সে।
– তুমি ভালোবাসবে না তাইতো।(নিলিমা)
বলেই ব্লেডটা জোরে চেপে ধরতেই হালকা কেটে যায়।
সানভি চিৎকার করে বলে উঠে,
– আমি তোমাকে ভালোবাসি।(সানভি)
নিলিমা ব্লেডটা ফেলে দিয়ে দৌড়ে এসে সানভিকে জড়িয়ে ধরে।
অনেক দিনের অপুর্ন বুকটা আজ পুর্নতা পেলো।
সানভি নিলিমার কপালে অজস্র চুমু দিতে লাগলো।
নিলিমা হেসে ফেললো সানভির পাগলামি দেখে।
তারপর দুজনের কাটা হাতদুটো থেকে রক্ত নিয়ে একসাথে করে সানভি বললো,
– মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দুইজন কে আর কেও আলাদা করতে পারবে না।(সানভি)
– I love you…(Nilima)
– I love you tooo.(Sanvi)
.
সানভি নিলিমাকে কোলে তুলে নেয়।
তারপর রুমে চলে আসে।
বিছানায় এনে নামিয়ে দেয় নিলিমাকে।
তারপর হাত পা বেধে ফেলে দড়ি দিয়ে।
আস্তে আস্তে নিলিমারর দিকে এগিয়ে যায় সানভি।
তারপর হাতদুটা চেপে ধরে।
নেশাগ্রস্থের মতো ঠোটের দিকে তাকায়।
তারপর ডুবে যায় নিলিমার ঠোটের মধ্যে।
.
এখন,
ধর্ষন হবে আবারো।
তবে এবার জোর করে নয় ভালোবেসে ধর্ষন।
…………………………………………………………………
…………….
১ বছর পর…..
সানভি হাসপাতালে অপেক্ষা করতাছে কখন
ডাক্তার বের হবে সেই প্রত্যাশায়।
অনেক টেনশন হচ্ছে তার।
মাথা দিয়ে ঘাম ছুটে যাচ্ছে।
.
আজ নিলিমার ডেলিভারির ডেট।
বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে না কিছুই কি হচ্ছে ভিতরে।
কিছুক্ষন পর ডাক্তার বেরিয়ে এলো।
মুখটা গম্ভির করে বের হলো,
– আপু নিলিমা কেমন আছে??(সানভি)
– নিলিমা তো ভালোই আছে তবে।(ডাক্তার)
– তবে কি??(সানভি)
ঢোক গিলে সানভি কিছু হয়নি তো আবার।
– আপনি বাবা হয়েছেন।(ডাক্তার)
বলেই মেয়েটি হেসে উঠে।
সানভি কোনো কিছুর প্রতিক্ষা না করে দৌড়ে ভিতরে ডুকে।
.
– আ আ আমি বাবা হয়েছি।(সানভি)
আনন্দে কথা আটকে যাচ্ছে তার।
মুখ দিয়ে হাসি আর চোখ দিয়ে পানি পড়তাছে।
নিলিমার হাতটা ধরে একটা চুমু দেয় সে।
তারপরর পিচ্চিটার দিকে তাকায়।
,
– নাম কি রাখছো ওর??(সানভি)
– নীলাসা।(নিলিমা)
– হুর তোমার সাথে কথা নাই।(সানভি)
– কেনো?.(নিলিমা)
– কারন আমি এখন আমার আম্মুর সাথে কথা বলবো।(সানভি)
হিহিহি হেসে উঠে দুজনে।
হঠাৎ সানভির মাথায় একটা থাপ্পড় মারে কেউ।
পেছনে তাকিয়ে দেখে তার বাবা।
– এখানে বসে থাকলে হবে যা মিষ্টি নিয়ে আয়।(বাবা)
সানভি বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেদে ফেলে।
– আজ পুরো মিষ্টির দোকানটাই কিনে নিয়ে আসবো।(সানভি)
হিহিহি
সমাপ্ত….
কেমন লেগেছে একটা ভালোবাসাময় ধর্ষনের কাহিনি জানাতে ভুলবেন না।
আর যাদের পাশে পেয়েছি এই কয় দিন আশা করি সবাইকেই পাশে পাবো আগামি গল্পেও।
……………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here