ধর্ষন করে বিয়ে পর্ব-১০

0
860

ধর্ষন করে বিয়ে
Love_Factor
Writer : Sanvi Ahmed Shakib
পর্ব ১০
.
গাড়িতে উঠে বসে দুজনে।
নিলিমা কেদেই চলেছে। গাড়িটা নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে তারা সবার আগে।
বাসা থেকে বের হতেই। নিলিমার কান্না আরো বেড়ে যায়।
সানভির রাগ মাথায় উঠে যায়।
ধমক দিয়ে বলে,
– চুপ করো।এতে কাদার কি আছে।(সানভি)
ধমক খেয়ে নিলিমা চুপ হয়ে যায়।
ফুপিয়ে কাদতে থাকে। এইটা আরো বিরক্তিকর লাগে সানভির কাছে।
,
– প্লিজ থামবে?(সানভি)
– তাহলে একবার বলো ভালোবাসি।(নিলিম
া)
– কখনো বলবো না (সানভি)
– আমি আদায় করে নিবো।টেনশন নিয়োনা।(নিলিমা)
,
আবার কাদতে শুরু করে নিলিমা।
সানভি উপায় না পেয়ে কানে হেডফোন গুজে দিয়ে হার্ড রক একটা গান শুনতে থাকে।
এরকম গান কখনো শোনেনা সে।একটুও ভালো লাগেনা তার এরকম গান।কিন্তু আজকে ভালো লাগতাছে।
কানের কাছে কান্নার শব্দ শোনার চাইতে গান শোনা অনেক ভালো।
,
হঠাৎ নিলিমা হেডফোনটা খুলে দেয়।
সানভি আবারো কানে নেয়। নিলিমা আবারো খুলে দেয়।
এভাবে কিছুক্ষন করার পর।সানভি গাড়ি দাড় করায়।
.
– সমস্যা কি তোমার?কিছু বলছিনা বলে কি ভাবেছো তোমাকে আমি মেনে নিয়েছি।আর একবার যদি কান্নার শব্দ পাই তাহলে খারাপ হয়ে যাবে।(সানভি)
.
হঠাৎ নিলিমা সানভির কাছে চলে যায়।
সানভি কিছু বুঝে উঠার আগেই নিলিমা কিস করতে শুরু করে।
সানভি নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ঠাস করে একটা চড় মারে নিলিমাকে,
তারপর গাড়ি স্টার্ট করে।
,
নিলিমা বাইরের দিকে তাকিয়ে কাদতে থাকে।
শব্দ করেনা।শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়তাছে।
সে ভুলে গিয়েছিলো সানভি তাকে মেনে নেয়নি।
তারপরও সে কেনো কিস করলো নিজেও ভেবে পায়না।
খুব কষ্ট হয় তার।
,
ওদিকে সানভির চোখ দিয়ে পানি না বের হলেও মন থেকে রক্ত বের হচ্ছে।নিজের হ্রদপিন্ডে নিজেই আঘাত করেছে।
ক্ষতটা তার মনে হয়েছে।বাইরে যতই বলুক ভালোবাসি না।
কিন্তু মন থেকে তো নিলিমাকেই ভালোবাসে।
.
সারা পথ আর কোনো কথা হয়নি।
দুজন দুজনকে আর দেখেনি।
চুপচাপ বাসায় চলে আসে।
ঘরে গিয়ে শাশুড়িকে সালাম করে নিলিমা।
তারপর মায়ের বুকে লুটিয়ে পড়ে।
সানভি সোজা রুমে চলে যায়।
গিয়ে ফ্রেস হয়। নিলিমাকে কোথাও দেখতে পাচ্ছে না।
হয়তো আম্মুর কাছে।

এই ভেবে তার মায়ের রুমের দিকে পা বাড়ায়।
রুমের কাছাকাছি যেতেই নিলিমার কন্ঠ শুনতে পায়,
সানভি আরেকটু এগিয়ে যায় এবার স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে কি বলছে তারা।
সানভি শুনতে পায়,

– সানভি অনেক ভালো মা। ওকে তো সেই ৭ বছর আগে থেকেই চিনি।ওকে কোনোদিন আমি কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে দেখিনি আর ঝগড়া তো না ই।(নিলিমা)
.
– হুমম ছেলেটা আমার ভালো তবে খুব কঠিন হয়ে গেছে তোমাকে এবার দায়িত্ব নিতে হবে ছেলেটাকে আগের মতো হাসিখুশি বানানোর।(মা)
।.
– অবশ্যই মা দোয়া করবেন।(নিলিমা)
,
সানভি এতটুকু শুনেই চলে যায়।
রুমে গিয়ে ভাবতে থাকে,
এবার কি মেনে নেওয়া উচিত?
আবার মনে হয়,
৭টা বছর কষ্ট দিছে আমাকে আর মাত্র তিনদিন হলো কেবল এখনি এতো পরিবর্তন কেনো আমারর মনে।
নাহহ আমাকে আরো শক্ত হতে হবে।
.
রাত তখন প্রায় আটটা।
সিয়াম বাসায় গিয়ে ব্যাগটা রাখে তারপর জিনিসপত্র গুলা বের করে ব্যাগ থেকে।
সিয়ামের মনটা খারাপ। নিহা সেইররকম ঝাড়ি দিছে আর নাম্বারতো দেয় নি।,
অন্তত নাম্বারটা পেলে ভালো হতো।লেগে থাকতে পারতাম।
এইগুলা ভাবতে ভাবতে ব্যাগ থেকে জিনিসগুলা বের করে।
,
হঠাৎ একটা চিরকুট দেখতে পায় ব্যাগের ভিতর।
চিরকুটটা বের করে পড়তে থাকে সিয়াম।
– গাধা কোথাকার।নাম্বার কেও ওইভাবে চায়।একটু স্টাইলিশ ভাবেও বলতে পারেনা।কালকে আমার কলেজের সামনে আসবা বয়ফ্রেন্ড এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো।(নিহা)
,
হতাশ হয়ে চিঠিটা রেখে দেয় সিয়াম।
প্রথমে ভেবেছিলে নাম্বারটা নিচে দেওয়া আছে পুরোটা পড়ে দেখে বয়ফ্রেন্ড এর সাথে দেখা করিয়ে দিবে।
,
সালার প্রেম করার আগেই ছেকা খেলাম।
আমার দ্বারা কিচ্ছু হবেনা।তবে মেয়েটা ভালো ছিলো।
এইসব ভাবে সিয়াম।
কালকে সে কলেজে যাবে চিন্তা করে অন্তত ওদের পক্ষ হতে ট্রিট তো পাবে। ক্রাশের বয়ফ্রেন্ড ট্রিট দিবে ছেকা পার্ট হিসেবে হলেও যেতে হবে।
,
সিয়াম বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ঘুমিয়ে পড়ে।
,
ওদিকে সানভিও বেশ ক্লান্ত।সেও ঘুমিয়ে পড়ে।
নিলিমা খাওয়ার জন্য ডাকতে এসে দেখে সানভি ঘুমাচ্ছে তাই আর বিরক্ত করেনা।নিজেও না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ে।
হঠাৎ গভির রাত ঘুম ভেঙে যায় সানভির।
নিলিমার দিকে তাকায় সে।
,
একদম বাচ্চাদের মতো করে ঘুমাচ্ছে নিলিমা।
সানভি নিলিমার গালে হাত রাখে।
নিলিমা কেপে উঠে।ঘুম ভেঙে যায় তার।তবুও চোখ বন্ধ করে রাখে। সানভি নিলিমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
নিলিমার চুলগুলা খুব ভালো লাগে সানভির।
বলতে পারেন চুল দেখেই প্রেমে পড়েছিল।
.
সানভি আলতো করে একটা চুমু দেয় কপালে।তারপর শুয়ে পড়ে আবারো।নিলিমার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যায়
সে জানে সানভি তাকে কতটা ভালোবাসে।শুধু এই জেদের কারনে আজ সানভি তার থেকে দুরে অনেক দুরে।
,
এতো কাছে থেকে তবু্ও করিনি খেয়াল,
তোমার আমার মাঝে অদৃশ্য দেয়াল।
তোমাকেই বুঝি খুজেছি আমি এতকাল।
এক ঝলকে বদলে গেলো আমার দিনকাল।
.
আশা করি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে পাশে থাকবেন।
আপনাদের Response পেলে পরের পর্ব খুব তাড়াড়াড়ি দেবো।
.
কেমন লাগছে লাইক, কমেন্ট করে জানাবেন প্লিজ প্লিজ প্লিজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here