দেবী পর্ব ৩৫

0
296

#দেবী
লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি (ছদ্মনাম)
কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ।
৩৫ঃ

সিরাজপুর রেলস্টেশন থেকে বেড়িয়ে গরুর গাড়িতে উঠে বসলো রুহুল। কয়েকদিন পর আজ সে সিরাজপুরে আসলো। ঢাকার কারখানায় রঙের কাজ চলছে। রুহুলের চেনা এক বিস্বস্ত লোক ই সেই কাজ দেখা শুনা করছে।তাই তো নিশ্চিন্তে সিরাজপুরে থাকতে পারছে। গরুর গাড়িতে বসেই ভালো লাগলো রুহুলের। নিজের গ্রাম, নিজের জেলা আলাদা টান।

তবে একটা জিনিস রুহুলের অবাক লাগলো যখন দেখলো অন্যদিনের তুলনায় আজ সিরাজপুরে মানুষের আনাগোনা কম। বকুলতলায় বাশের মাচাতে যেখানে যুবকরা আড্ডা দেয় সেখানে তারাও নেই। আবার ফারুকের চা এর দোকান ও বন্ধ। রুহুলের মনে কেমন যেন কু ডাকছে। কি এমন হলো আজ সিরাজপুরে যার জন্য সব বন্ধ। কোনো বিশেষ কিছু ছাড়া তো এমন হওয়ার কথা না।

ভাবতে ভাবতেই রুহুল সিরাজী মঞ্জিলে গিয়ে পৌছালো। গেইটের কাছে থেমেই যখন ভাড়া মিটিয়ে ভিতরে ঢুকবে তখনই তার কানে এলো কালিমা শাহাদাত এর ধ্বনি। রুহুলের বুক কেপে উঠলো অজানা শঙ্কায়। লেখিকা স্রোতস্বীনি। রুহুল হন্তদন্ত হয়ে মঞ্জিলের ভিতরে ঢুকলো। রুহুল কে দেখেই কাধে লাশ নিয়ে যাওয়া বাদ দিয়ে থেমে গেলো সকলে। সবার মুখে মুখে কালিমা শাহাদাত। হয়তো লাশ মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে। আর কিছুক্ষণ পরেই জানাজা এবং তার পরেই দাফন করা হবে। আর অন্দরমহলে ও কান্নার রোল।

রুহুল কে দেখেই দুলাল সিরাজী ঢোক গিললো। কালিমা যেন তার মুখ থেকে উচ্চারিত হচ্ছেই না। অন্যদিকে জামালের শরীর কাপা শুরু হয়ে গেছে। কারণ রুহুল জামাল ভাল করেই জানে কাকনের কথা শুনলে রুহুল জামালকেও জীবিত কবর দিতে একবার ও দ্বিধা করবে না।

রুহুল দুলাল সিরাজীর কাছে এসে বললেন, “কে মারা গেছে দাদাজান, কার লাশ নিয়ে যাচ্ছেন? ”

দুলাল সিরাজী আমতা আমতা করে বললেন, “আসলে রুহুল, দেখো যা হইছে হেইডা আর উইঠা আসবো না। লাশ দাফন কইরা এই বিষয়ে কথা কমু।আর পুরা সিরাজপুরের মানুষজন দিয়া ভইরা আছে মঞ্জিল তুমি ঘরে যাও। ঘরের কথা বাইরে কওয়া ঠিক না।তুমি গোসল সাইড়া মসজিদে আইসো। ”

–” কি হয়েছে টা কি,কে মরেছে বলছেন না কেন।আমার আব্বা ঠিক আছে তো? ”

–“সে ঠিক আছে। এইখানে সব কথা কওয়া যাইবো না।আর এই তোমরা দাড়াইলা কেন মসজিদে চলো। ”

–“আশ্চর্য কার লাশ দাদাজান আপ..”
রুহুল তার কথাটি সম্পুর্ন করতে পারলো না।তার আগেই সামিয়া চিৎকার করে ডাক দিলো রুহুলকে, –“দাদাভাই। ”

রুহুল ফিরে সামিয়ার মলীন মুখ দেখলো। কান্নার ফলে চোখ মুখ ফুলে গেছে। রুহুল দ্রুত সামিয়ার কাছে গেলো। সামিয়া রুহুল কে দেখে কাদতে শুরু করলো।
রুহুল বললো, “সামিয়া বুড়ি তুই অন্তত বল কার কি হয়েছে,,?”
রুহুল আবারো চিৎকার করে বললো, “কথা বলছিস না কেন?”

–“দাদাভাই আসলে ভাবিজান রে.. ”
রুহুল সামিয়ার দুই বাহু ধরে বললো, ” ভাবিজান মানে,, এই লাশ কার ছিল ?”

রুহুল সামিয়া কে ছেড়ে দিয়ে দৌড়ে অন্দরমহলে গেলো। বাড়ি ভর্তি লোকজন রুহুল বসার ঘরে গেলো দেখলো সবাই আছে অথচ কাকন নেই। রুহুল দ্রুত সিড়ি বেয়ে নিজের কক্ষে গেলো। কক্ষে যেয়ে দেখলো সুভা পাথরের মত বিছানায় বসে মেঝের দিকে চুপচাপ দৃষ্টি নিবদ্ধ করে আছে। রুহুল সুভার কাছে গেলো। সুভার হাত দুটো ধরে বললো, ” আম্মা,, আম্মা! ”

সুভা রুহুলের দিকে চেয়ে ফুপিয়ে কেদে উঠলো। সুভার এমন কান্না দেখে রুহুল আরো ভয় পেয়ে গেলো। ভয়ে গলা দিয়ে যেন কথা বের হচ্ছে না।রুহুল জোরে শ্বাস নিয়ে বললো, “আম্মা, আম্মা উনি কোথায়? কথা বলেন আম্মা!”

এর ই মাঝে সামিয়া এলো। এসেই বলল, ” দাদাভাই আসলে ভাবজান রে মানে ওনারে ”

–” এই কি ভাবিজান ভাবিজান করছিস। কেউ পরিষ্কার ভাবে কিচ্ছু বলছে না কেন আমায়! ”

সামিয়া কাদতে কাদতে বললো, “আসলে গতকাল রাতে ভাবিজানের ঘরে”

–“গতকাল রাতে ঘরে কি?”
_______________________
গতকাল রাতেঃ~

রক্তে রাঙা হয়ে আছে মেঝে। খাটের পাশেই বাটাম ফেলে রাখা হয়েছে যেটা রক্তে মাখা।
কক্ষ ভড়ে গেছে সিরাজী মঞ্জিলের মানুষদের দিয়ে।
খাটের কাছেই মেঝেতে জড়বস্তুর মতো পড়ে আছে মহীবুলের দেহ। হেলালের মতোই ভয়ংকর ভাবে খুন করা হয়েছে মহীবুল কেও। রক্ত দিয়ে যেন ডুব দিয়ে উঠেছে মহীবুলের দেহ । মহীবুলের এমন অবস্থা দেখে সকলেই অবাক হলো।লেখিকা স্রোতস্বীনি। দুলাল, জামাল, সামিয়া, মালেকা, মহীবুলের মা , দাদিমা সকলেই হতভম্ব। এক শোক যেতে না যেতেই আরেক শোকের আগমন। জামাল মাতাল হলেও ছেলের লাশ দেখে মাটিতে বসে পড়ে। সকল নেশা যেন গায়েব হয়ে গেছে। জামাল মহীবুলের বুকে হাত রাখলো। কয়েকবার ধাক্কিয়ে ডাকলো,”মহী, বাপজান,, আমার আব্বা,,কথা ক ওঠ।”

কিন্তু মৃত দেহ কি আর কথা বলতে পারে,পারে না। মহীবুলের মা কাদতে কাদতে বললো, ” আল্লাহ গো, আমার মহীবুল রে কডায় খুন করলো?”
ছেলের জন্য জামাল আর জামালের স্ত্রী দুজন ই কাদতে শুরু করলো। সামিয়া লাশ দেখে বললো, “কে খুন করছে মেজো ভাই রে এইভাবে? ”

–“আ,,আমি খুন ককরেছি ”
সকলেই আশ্চর্যের পর্যায়ে চলে গেলো। সকলের চোখ নিবদ্ধ হলো খাটে বসে থাকা সুভার উপর। সুভা মহীবুলের লাশের দিকে চেয়ে থেকেই কথাটি বললো। সুভার দুহাত রক্তে রাঙা হয়ে আছে।

মহীবুলের মা কাদতে কাদতে বললো, “ভাবি আপনে আমার পোলারে মারছেন?কেন ভাবি কি দোষ করছিল কেন মারলেন কন? ”

–“তোমার ছেলে একটা লম্পট,দুশ্চরিত্র। রাত দুপুরে নিজের বড় ভাই এর বউ কে ধর্ষণ করার জন্য ঢুকেছিল। তাই আজকে মৃত্যু উপহার পেয়েছে। ”

জামাল সুভার দিকে তেড়ে এসে বললো, “তাই বইলা তুই আমার পোলারে মারবি। নষ্ট করলে করতো তর পোলারে আবার বিয়া করাইতাম। খুন করলি তুই?”

সুভা জামাল কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো। তীব্র ক্রোধে বললো, ” আজ যদি তোর ছেলে না মরতো তাহলে আমার ছেলে মরে যেতো। আমার খোকা বেচে থেকেও মরে যেতো। তোর লম্পট ছেলের বেচে থাকার
অধিকার নেই।”

দুলাল সিরাজীর স্ত্রী কাদতে কাদতে বললো, ” তাই বইলা তুমি খুন করবা আমার নাতি ডারে। এত বড় সাহস কই থিকা আইসে তোমার। ”

–” ওর ভাগ্য ভালো ওকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। আমার খোকা থাকলে আজ ওকে হাজার টুকরো করে রাস্তার কুকুর দের ভোগ করতে দিতো। আর সেই সাথে এই সিরাজী মঞ্জিলে প্রলয় শুরু হয়ে যেতো।”

–” আমার মহী, আমার পোলা ডারে তাই এমনে মারলেন ভাবি।আপনের হাত কাপলো না। আপনের ও তো সন্তান আছে।আমার বুক খালি করতে পারলেন। ”

–” অন্যায় কারী কে শাস্তি দিতে আমার হাত কাপবে না। আমার সন্তানের সাথে অন্যায় কারী দের কোনো ক্ষমা নেই। কাকন আর রুহুল দুজনেই আমার সন্তান।”

দাদিমা আবারো বললো,”তার মানে কি তুমিই হেলাল রেও তুমি খুন করছো বড় বউ?”

সুভা স্বাভাবিক ভাবেই বললো, “জানি না আমি।”
তারপর জামাল কে উদ্দেশ্য করে বললো, “জামাল তোর ছেলের নোংরা দেহ নিয়ে বিদেয় হ আমার ছেলের কক্ষ থেকে।তোদের পচা রক্ত আমি পাড়াতেও চাই না।”

সুভার এমন হুংকারে সকলেই তাজ্জব বনে গেলো। এই কি সেই শান্তশিষ্ট সুভা যে সর্বদা মুখ বুজে সহ্য করতে এসেছে। মানুষ ও খুন করতে পারে।

আলমারির সাথে পিঠ ঠেকিয়ে মেঝেতে বসে হাটুতে মুখ বুজে কাদছে কাকন। কাদতে কাদতে হেচকি উঠে গেছে। গায়ের শাড়ির আচল বেশ খানিকটা ছিড়ে গেছে। তবুও গায়ে জড়িয়ে রেখেছে কাকন। সকলের কথাই সে শুনছে কিন্তু সেগুলো তে তার কোনো হুশ নেই। কাকন নিজের মত করে কেদেই চলেছে।

সামিয়া ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলো কাকনের দিকে। কাকনের হাতে হাত রাখার আগেই কাকন সরিয়ে নিলো। সামিয়া মনে মনে আহত হলো। সামিয়া আবারো কাদতে কাদতে এগিয়ে যেয়ে জড়িয়ে ধরলো।কাকন জোরে জোরে কাদতে শুরু করলো। কাকনের এমন কান্না দেখে সুভার কলিজা যেন জ্বলে যাচ্ছে। সুভা মহীবুলের লাশের দিকে চেয়ে বললো, “উচিত শিক্ষা হয়েছে। বাপের মতোই লম্পট হয়েছে একটা।”

প্রায় ১ঘন্টা যাবৎ নির্বাক হয়ে সব দেখছে দুলাল সিরাজী। কি বলবে সে,, কাকে দোষ দেবে। একদিকে কাকনেরর এই দশা। অন্যদিকে নিজের বংশধর এর মৃত্যু। সিরাজপুরের মানুষ যদি জানতে পারে নিজের ভাবি কে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল মহীবুল তাহলে দুলাল সিরাজীর মান সম্মান যাবে কোথায়।

সুভা দুলাল সিরাজীর চিন্তামাখা মুখ দেখে বললো, “তোমাদের ভালোর জন্যই বলি লাশ টা যত তাড়াতাড়ি পারো দাফন করে ফেলো।আমার খোকা আসলে না জানি লাশ ই খুজে না পাও। ”

জামাল তেড়ে সুভাকে মারতে গেলো। কিন্তু তার আগেই দুলাল সিরাজী বাধা দিলো। জামাল হাত নামিয়ে বললো, “আব্বাজান আপনে আমারে বাধা দিলেন। এই খা*** আমার পোলারে খুন কইরা নাটক শুরু করছে আর আপনে কিচ্ছু কইতাছেন না। ”

দুলাল সিরাজী বললেন, ” কার কি হইবো সেইডা পরে ভাবা যাইবো। মহীর লাশ এইখান থিকা সরানোর ব্যবস্থা করো। ”

–“আব্বা আপনে বাইচা থাকতে এই মা* এত বড় অন্যায় করলো। আর আপনে আমারেই কইতাছেন।”

–“হ্যাঁ কইতাছি কারণ রুহুল যদি শুনে যে তার স্ত্রীরে তোমার পোলা জোর-জবরদস্তি করবার চাইছে তাইলে লাশ এর অবস্থা আরো খারাপ হইবো।আর সেই সাথে তোমার ও। ”

দুলালের স্ত্রী, মহীবুলের মা, মালেকা সকলেই কাদছে। জামাল ও মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। মুখে সুভা আর কাকন কে নানা অশ্রাব্য গালি দিচ্ছে। তবে মনে মনে ঠিক নিজের উপর রাগ করছে। নেশার ঘোরে ছেলেকে যদি অনুমতি না দিতো অন্তত তার ছেলে জীবিত থাকতো। সে নিজেও ভাবে নি সত্যিই তার ছেলে এখানে আসবে আর নিজের করা ভুলের জন্য নিজের জান ই হারাবে। হায়রে কপাল।

দাদিমা বিলাপ করতে করতে বললো, “ওরে কেমনে খুন করলা বড় বউ। না জানি আমার নাতী ডা কেমন করছে। আহারে কত কষ্ট ই বানি হইছে। ওর চিৎকার শুইনা দৌড়ায়া আসলাম সক্কলে মিলা অথচ আইসা দেখলাম মইরা গেছে। মহী দাদা আমার ওঠ। ”

মালেকা চোখের পানি মুছে বললো, ” মহীবুল কি সত্যিই কাকন রে জোর করছিল আপা?”

মালেকার কথা শুনে কাকনের তখনকার কথা মনে পড়লো। কাকনের গলা দিয়ে যেন কথাই বের হচ্ছিল না। মহীবুল এক হাতে মুখ চেপে ধরেছিল। আর আরেক হাত দিয়ে হাত আটকে রেখেছিল। কাকন দুস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারে নি রুহুল ব্যতীত অন্যকেউ তাকে স্পর্শ করবে। নিজেকে নিজের কাছেই অপবিত্র মনে হচ্ছে কাকনের। চোখের সামনে মহীবুলের নোংরা প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠছে কাকনের।

সুভা কাকনের দিকে চাইলো তারপর হেলালের লাশের দিকে চেয়ে বললো, ” কাকনের চিৎকার শুনতে পাই আমি। প্রথমে মনের ভুল মনে করেছিলাম কিন্তু যখন আবার আম্মা বলে ডাক দিলো তখন আমি দোতলায় আসি। তারপর এসে দেখি মহীবুল কাকনের সাথে জোর করছে। কাকন নিজেকে ছাড়াবার চেষ্টা করছিল কিন্তু মহীবুল ওর সাথে খারাপ কিছু করতে চাচ্ছিলো। কাকন কে এমন অবস্থায় দেখে আমার রাগ উঠে যায় তাই আমি দড়জার কাছে থাকা বাটাম টা দিয়ে ওর মাথায় আঘাত করি। রাগের মাথায় অনেকবার আঘাত করার ফলে মহীবুল মরে গেছে।”
খুব স্বাভাবিক ভাবেই কথাগুলো বললো সুভা। সুভার মাঝে যেন কোনো ভাবান্তর নেই। এটা যেন খুব সহজ কাজ ছিল সুভার জন্য।

দাদিমা কাদতে কাদতে বললো, “কত সহজে কইলা এত ডাও কি সহজ আছিল। আমার এক পোলার বউ পুত্র হারা হইছে। এখন আরেক পোলা ডাও আছে। তুমি কেমনে করতে পারলা,নিষ্ঠুর মাও তুমি। ”

মহীবুলের মা বললো, “আমার মহী রে খুন না করলেও পারতেন আপা। মানুষ ই তো ভুল করে। আমার মহীও না হয় করছে। তাই বইলা খুন করলেন। ”

–“হ্যাঁ মানুষই ভুল করে কিন্তু এই সিরাজী মঞ্জিলে কোনো পুরুষ মানুষ নয়। সবগুলোই নরপিচাশ। আর নরপিশাচদের ক্ষমা করতে নেই । তোমার ছেলে তার শাস্তি পেয়েছে। আর তার করা অন্যায় ক্ষমার অযোগ্য ছিল।

দুলাল সিরাজী মনোযোগ দিয়ে হেলাল কে পরখ করলেন। সুভার কথা গুলো শুনে দুলাল ভয় পেয়ে গেলো। তবে একটা জিনিস লক্ষণ করলো যেটি হলো সুভার কন্ঠে কোনো জড়তা নেই। দুলাল সিরাজী নিশ্চিত হেলালের হত্যাকাণ্ডে ও সুভার কোনো হাত আছে।লেখিকা স্রোতস্বীনি। তবে এগুলো সে প্রমাণ করবে কিন্তু তার আগে মহীবুলের লাশ দাফন করা জরুরী। রুহুল আসলে সত্যি বলতে ও পারে সকল কে। আর সিরাজপুরের মানুষকে জানানো যাবে না কে মহীবুলকে খুন করেছে এবং কেন করেছে। কারণ দুলাল সিরাজীর কাছে সবার আগে সিরাজী মঞ্জিলের মানসম্মান।

চলবে….
#দেবী
#Srotoswini_স্রোতস্বীনি

বিদ্রঃ দয়া করে কেউ কপি করবেন না। ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে পাশে থাকবেন।ধন্যবাদ।

®️ Srotoswini-স্রোতস্বীনি ✍️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here