#দেবী
লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি (ছদ্মনাম)
কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ।
৩৩ঃ
মঙ্গলবার সিরাজপুরে বড় হাট বসে। আজ অনেক দিন পর রুহুল হাটে এসেছিল কাজে। ব্যবসায়িক কাজ সেড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে হাটতে শুরু করলো রুহুল।তবে রুহুলের সঙ্গ দিয়েছে লতিফ। লতিফ রুহুলের সাথেই হাটছে। রুহুল খেয়াল করছে লতিফ কেমন চিন্তিত। রুহুল লতিফ কে বললো, “কি ব্যাপার বল তো লতিফ তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন?
লতিফ মাথা চুলকে বললো, ” কেমনে যে কই”
–“কিভাবে আবার বলবি। মুখ দিয়ে বল। ”
লতিফ রুহুল কে বললো, “আইচ্ছা দাদাবাই আপনে একখান কথা কইবেন। ”
–“একটা কেন দরকার হলে দুটো বলবো । ”
–“কইতেছিলাম যে ভাবি মা কি আপনেরে মাইর দেয়।”
রুহুল লতিফের কথায় ভড়কে গেলো। সাথে সাথে লতিফের মাথায় থাপড় মেরে বললো, ” দিন দুপুরে কিছু খেয়েছিস নাকি? ”
–“খোদার কসম আমি ওইসব ছুই ও না। ”
–“একটা মারবো ফালতু কথা বলবি তো।”
লতিফ করুণ চোখে চেয়ে বললো, ” খুব কষ্টের মধ্যে আছি আমি দাদাবাই । হের লিগাই কইতেছিলাম।”
রুহুল বললো, “তা আমার স্ত্রী আমায় কেন মারতে
যাবে।আর সেটা শুনেই বা তোর কি কাজ? ”
–“আসলে কি আর কইতাম, রানু পুয়াতি হইছে।দিনে যতবার বমি করে ততবার আমারে কিলায়। এহোন আমার পিঠ খালি বিস করে। খুব চিন্তার মধ্যে আছি। ”
লতিফের কথায় রুহুল হেসে দিলো।বললো, ”
রানু মা হতে চলেছে?”
লতিফ লাজুক হেসে বললো “হয়, কবিরাজ নাড়ি পরীক্ষা কইরা দেখছে রানু পুয়াতি। ২মাস হইছে কেবল আপনে দুয়া রাইখেন দাদাবাই। ”
–“খুব ভালো খবর ওর যত্ন নিস। আর কিছুদিন কম কাজ কতে বলবি রানুকে বুঝেছিস। ”
–” আইচ্ছা। ”
রুহুল পুরো রাস্তা ভাবলো তাদের বিবাহের পর সে নিজ দায়িত্বে রানু আর লতিফের বিয়া করালো। আবার লতিফ তার চেয়ে বয়সে ছোট হয়েও বাবা হতে চলেছে। আর ২৯ বছর বয়স হয়ে গেছে অথচ রুহুল বাবা ডাক শুনছে না।লেখিকা স্রোতস্বীনি। রুহুলের কেন যেন নিজের ভাঙতে ইচ্ছে করছে। সেও বাবা হতে চায়। অনেকেই তো অল্প বয়সেই মা হয় কাকন কেও সে বলবে। হ্যাঁ খুব শীঘ্রই সেও বাবা ডাক শুনতে চায়। নিজের সন্তানদের নিয়ে নিযের দুনিয়া সাজাতে চায়।
রুহুল সিরাজী মঞ্জিলে পা রাখতে না রাখতেই দুলাল সিরাজীর তলব।অন্যদিকে রুহুলের আসার কথা শুনেই কাকন রুহুলের জন্য শরবত বানিয়ে আনলো। রুহুল নিজ কক্ষ হতে যাওয়ার আগেই কাকন দৌড়ে রুহুলের সামনে চলে এলো। কাকন শরবতের গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বললো, “আপনার জন্য লেবুর শরবত। ”
কাকনের এমন ছোট খাটো যত্ন গুলোর রুহুলের অনেক ভালো লাগে। রুহুল মুচকি হেসে শরবত টা এক ঢোকে খেয়ে নিলো। রুহুল বিছানায় পড়ে থাকা একটি থলে কাকন কে দিলো। কাকন থলে খুলে দেখবে তার আগেই রুহুল বললো, “আমি দাদাজানের কাছে যাচ্ছি। আশা করি আপনার ভালো লাগবে। ”
কাকন নিজের হাত মুছে ব্যাগটি খুললো। খুলে দেখলো একটা সুন্দর শাড়ি আর সাথে আলতা। কাকনের মুখে হাসি ফুটলো। আলতা পড়তে যে কাকনের অনেক ভালো লাগে। ভাবতে লাগলো এত ভালো বাসা, এত সুখ কেন দেয় রুহুল তাকে।
রুহুল দুলাল সিরাজীর কক্ষে গেলো। রুহুল কে দেখেই দুলাল সিরাজী নিজের সিন্দুক খুললো। ঢাকায় ক্রয়কৃত জায়গায় দলিল টি বের করলো। আর সাথে বেশ কয়েক হাজার টাকা।
রুহুল বললো,”আমাকে কেন ডেকেছিলেন দাদাজান?”
–“এইডা ফ্যাক্টরি যে তৈরি হইতাছে ওই জায়গার দলিল। আর এই যে টাকা ডা দেখতাছো এইডা দেয়াল রঙ করা আর বাদ বাকি জিনিসের জন্য। ”
–” সে বুঝলাম তো এখন কি করতে পারি। ”
–“তুমি এই সপ্তাহের মধ্যেই ঢাকা যাইবা আর রঙের কাম সাইরা আসবা। ”
–“আমি যাবো না দাদাজান।এবার মহীবুল কে পাঠান।”
–“মাথা গেছে তোমার। মহী এগুলা বুঝবো। অর্ধেক টাকা ও নিজেই মাইরা দিবো বোঝো না তুমি। ”
–” সে দিলে দেবে। তবে আপনি সকল দায়িত্ব আমায় দিয়ে সম্পর্কে দুরত্ব সৃষ্টি করছেন সেটা কি বুঝেন?”
–“সব ই বুঝি রুহুল। কিন্তু নিজেগো জমিদারি রক্ষা করতে চাইলে নাবুঝের মতোই করতে হইবো। ”
–“সারাজীবন জমিদারি করেই গেলেন। নিজের বংশ মান সম্মান এগুলোই আপনার কাছে সব থেকে গেলো”
–“কি কইতে চাও কি তুমি হ্যাঁ? ”
–“কিছু না। এগুলো আপনার কাছেই রাখুন। যদি যাই যাওয়ার আগে নিয়ে যাবো।”
কথাটি বলে রুহুল আর একমুহূর্ত দাড়ালো না বেরিয়ে গেলো কক্ষ থেকে।
_________________________
‘মা’ এই দুনিয়ায় সবচেয়ে আপন। একজন মা নিজের শেষ নিশ্বাস অব্দি কেবল সন্তানের কথাই ভেবে চলে।সন্তানের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও দ্বিধাবোধ করে না। মালেকা এমন একজন মা যে তার একমাত্র পুত্রকে সাদা কাফনে দেখেছে। একজন মায়ের কাছে এর চেয়ে বেশি কষ্টের বোধহয় কিছুই হয় না। সিরাজী মঞ্জিলের মোটামুটি সকলেই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। স্বাভাবিক হতে পারে নি কেবল মালেকা।
মালেকা নিজ কক্ষেই বেশি থাকে। ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করে না। কারো সাথে বেশি একটা মেশে ও না, কথাও বলে না। কেউ বিষয়টি পাত্তা না দিলেও সুভা বিষয়টি অবলোকন করে মালেকার কাছে আসলো। সুভা মালেকার প্রিয় ভুনা মাংস আর ভাত নিয়ে এলো মালেকার কাছে। ভাত এনে মালেকার কাছে রাখলো।
মালেকা সুভা কে দেখেই যেন মুখ কালো করে ফেললো। ভাত ফেলে দিতে চাইলে সুভা মালেকার দুহাত নিজের হাতের মুঠোয় নিলো। বললো, ” আমার ওপর রাগ তোমার ভাত কেন ফেলবে মালেকা। বেশ আমাকেই ফেলে দাও না হয়। ”
–“আপনের এইসব নাটক অন্য কাউরে দেখাইয়েন আমারে না দেখাইলেও চলবো। ”
–“আমি জানি তুমি আমায় পছন্দ করো না।এটা আজ থেকে নয়। যেদিন এ বাড়িতে বউ হয়ে এসেছি সেদিন থেকেই। কিন্তু আমি তো তোমায় পছন্দ করি। ”
–” এত কথা শুনবার চাই না। এক্ষুনি বের হন আমার ঘর থিকা।”
সুভা ভাত মাখিয়ে মালেকার মুখের কাছে ধরে
বললো, “চলে যাবো, আগে খেয়ে নাও তারপর। ”
মালেকা মুখ সড়িয়ে নিয়ে বললো, ” আমি খামু না।”
–” তুমি না খেলে হেলাল ফিরে আসবে না মালেকা। অন্তত বেচে থাকার জন্য তো খেতে হবে তাই
খেয়ে নাও। ”
–“আপনে তো খুব খুশি হইছেন তাই না। আপনের রুহুল তো বাইচা আছে আমার হেলাল তো নাই। ওরে রাইখা কেমনে খামু আমি আপনে কন। ”
–” মা হয়ে সন্তানের ক্ষতি কি করে চাইবো আমি বলো।আমার যে দুটো ছেলে ছিল। হেলাল আমারো সন্তান ছিল। তুমি নিজে হয়তো আমার খোকার ক্ষতি চাও কিন্তু আমি হেলালের ক্ষতি কখনো চাই নি।
–“ওহহ তাই আমি আপনের রুহুলের ক্ষতি চাই তাই না, আর আপনে খুব ভালো চাইছেন হেলালের? ”
–” আমার খোকা পেটে থাকতে আমাকে সিড়ি থেকে তুমিই ফেলে দিয়েছিলে তাই না মালেকা।?”
মালেকা সুভার দিকে চাইলো। মালেকার চোখ মুখে আতঙ্ক। সুভা মুচকি হেসে জোর করে মালেকার মুখে ভাত দিলো। তারপর বললো, “আমি কিন্তু জানতাম। তবে ৩০ বছর ধরে নিজের মাঝে এই কথাটি রেখেছি। কাউকে বলিনি আমি কেন জানো? কারন আমি প্রথম দেখায় তোমাকে নিজের ছোট বোনের জায়গা দিয়েছিলাম। আজ ও নিজের ছোট বোন ই ভাবি। ”
মালেকা উৎসুকভাবে বললো, “আপনে জাইনা ও কাউরে কন নাই কেন ওইদিন?”
–” বললে তোমার জায়গা এই সিরাজী মঞ্জিলে কি আদোও হতো।বিলাল সিরাজী তো তোমায় জ্যান্ত পু’তে ফেলতো মাটিতে। বড় বোন হয়ে তোমার বেহালদশা আমি সইতে পারতাম না মালেকা। ”
মালেকা হাউমাউ করে কাদতে শুরু করলো । বললো, “আপনে এত ভালো কেন আপা। কেমনে সহ্য করেন এত কিছু। আমি যে পারি না, পারতাছি না। ”
–“সময়ের সাথে সব সয়ে গেছে মালেকা। এই মঞ্জিলে আসার আগেই নিজের সবকিছু বিসর্জন দিয়ে আসতে হয়েছিল। সেদিন থেকেই আর কোনো রকম লাগে না।”
–” আমার খুব কষ্ট হয় আপা। আপনে তাও সুয়ামির ভালোবাসা পাইছেন। রুহুল ও আছে আমি তো কিছুই পাইলাম না। ”
–” হেলালের জন্য তোমার কষ্টটা বুঝি আমি। আমিও যে একজন মা। তবে আজ থেকে হেলাল কে নিজের মনের মাঝে বাচিয়ে রাখো। আর আলেয়া আর সামিয়া তো আছেই। লেখিকা স্রোতস্বীনি। আমরা আছি। ভেঙে পড়লে চলবে না। হেলালের খুনির শাস্তি হবে আমার খোকা নিজে দেবে। তুমি একটু ধৈর্য্য ধরো। কি পারবে তো ধৈর্য্য ধরতে? ”
মালেকা সুভাকে জড়িয়ে ধরে বললো, “আমি কোনোদিন আপনেরে আপন মানি নাই। সব সময় আপনের ক্ষতি চাইছি এই জন্য আইজ আমার ক্ষতি হইয়া গেছে।আইজ থিকা আপনে আমার বইন। আমারে মাফ কইরা দেন। ”
সুভাও মালেকার মাথায় হাত রাখলো। বললো, ” আমি তোমায় আজ থেকে ৩০ বছর আগেই মাফ করে দিয়েছি। তবে এই দুনিয়ায় যদি কাউকে ক্ষমা করতে না পারি তাহলে সে কেবল বিলাল সিরাজী কে।”
_____________________
রুহুল খোলা বাড়ান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। মাথা ভর্তি দুশ্চিন্তা। পারিবারিক সমস্যা গুলো হলো দুনিয়ার নিকৃষ্ট সমস্যা। লেখিকা স্রোতস্বীনি। কত সুন্দর পরিবার ছিল তাদের।ছয় ভাই-বোন মিলে হাসি খুশি তেই দিন পার করতে চেয়েছিল রুহুল। অথচ ভাই বোন বড় হওয়ার সাথে সাথেই কেমন পরিবারের সুখ শান্তিও যেন হারিয়ে গেলো।
তার ওপর হেলালের আকষ্মিক মৃত্যু আরো বেশি ভাবায় রুহুল কে। হেলালের হত্যাকারীকে এখনো ধরতে পারলো না রুহুল। এত চর লাগিয়েছে সিরাজপুরের আনাচে কানাচে তবুও কোনো সুত্র পাচ্ছে না এই বিষয়টি রুহুল কে প্রচুর ভাবাচ্ছে। হঠাৎ কাধে কারো স্পর্শ পেয়ে ঘুরে তাকাল রুহুল।
রুহুল হাত বাড়িয়ে দিলো কাকনের দিকে।কাকন হাত না ধরে রুহুল কেই জড়িয়ে ধরলো। রুহুল ও কাকনের মাথায় চুমু দিলো। কাকন বললো, “একা একা চন্দ্রবিলাশ করছেন বুঝি?”
–” উহু,আপনাকে ছাড়া আমি চন্দ্রবিলাশ করতে
পারি না বিবিজান। ”
–“তাহলে কি করছিলেন?”
–” ভাবছিলাম।”
–“কি ভাবছিলেন?”
রুহুলের হাত আগলা হয়ে আসলো। কাকন কে ছেড়ে দিয়ে বললো, “ভালো লাগছে না আর এত যন্ত্রণা। মাথা প্রচন্ড ব্যাথা করে দুশ্চিন্তা করলেই। মুক্তি পেতে চাইছি কিন্তু মুক্তি মিলছে না। ”
–“কেন করতে হবে এত দুশ্চিন্তা। ঝেড়ে ফেলুন এসব। আমার আপনাকে এমন ভালো লাগছে না এমন দেখতে। ”
–“কি করবো বলুন। পারিবারিক অশান্তি, ব্যবসায়িক ঝামেলা সব কিছু আমায় ঘিরে ধরেছে যেন। ”
–” সেসব আমি জানতে চাই না। আমি আমার সাহেব কে দিনশেষে প্রাণবন্ত হাস্যজ্জ্বল দেখতে চাই ব্যাস।”
রুহুল কাকনের থুতনি উচু করে কপালে চুমু খেলো।
বললো,”বেশ আজকের পর থেকে হাসি খুশি থাকবো।”
কাকন রুহুলের চেহারার দিকে চেয়ে বললো, “আমাকে ছাড়া থাকতে কেমন লাগে আপনার?”
–“ভালো লাগে না। নিজের সাথে নিজের বুকের ভেতর বিদ্রোহ শুরু হয় ।”
–“আমার ও ঘুম হয় না। আপনার বুকে মাথা রেখে ঘুমানোর অভ্যাস না করালেও পারতেন মশাই ”
–“কাল- পরশুর মধ্যে ঢাকা যাবো। হয়তো বেশ কিছু দিন থাকতে হবে। আপনি দয়া করে সাবধানে থাকবেন।
–“আবার যাবেন? ”
–“হুম”
–“এইবার থেকে যান না।”
–” যেতেই হবে। তবে তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো।”
–” তাহলে আমায় মহিলাশালায় দিয়ে আসুন।”
–” মোটেও না। আপনি এই বাড়িতেই নিরাপদ। আমি চাই না আপনার কিছু হোক। হেলালের মৃত্যুর পর আমার ভয় বেড়ে গেছে।আমি আপনাকে হারাতে পারবো না বিবিজান। ”
–” কেন আমি যদি হারিয়ে যাই তখন কি আর হবে, নাহয় আরেকটি বিয়ে করে নেবেন। ”
রুহুল কাকনের হাত শক্ত করে মুঠোয় নিয়ে বললো, “খবরদার আজকের পর যেন এই কথা না শুনি। আপনি ছাড়া আমি আমার জীবনে অন্য কাউকে কল্পনা ও করতে পারি না। আমি আপনাকে কোনোদিনো হারাতে দেবো না। সে আপনি চান
আর না চান আমার কাছেই থাকতে হবে। ”
–” আরে আরে আমি মজা করছিলাম আমি।”
–“এই মজা আর দ্বিতীয় বার করবেন না আপনি। ”
–“আচ্ছা ভুল হয়ে গেছে। আর বলবো না। ”
–” ভুল যখন করেছেন শাস্তি পেতে হবে। ”
–“শাস্তি,কি শাস্তি?”
রুহুল মনে মনে বললো, “আপনাকে শাস্তি নয় উপহার দেবো। আপনাকে খুব শীঘ্রই আমার সন্তানের জননী বানাবো বিবিজান। ”
রুহুল মুখে বললো,” ঢাকা থেকে এসে বলবো। আপাতত শাস্তি পাওয়ার জন্য তৈরি হতে থাকুন ”
কাকন রুহুলের কথায় হেসে দিলো। বললো, “আপনার শাস্তি আমার খুব ভালো করেই জানা আছে। আমাকে আর যাইহোক শাস্তি দিতে পারবেন না আপনি। ”
রুহুল কাকন কে কাছে টেনে নিয়ে বললো, “কি করে শাস্তি দেবো বলুন। আপনাকে কষ্ট দিলে যে আপনার চেয়ে বেশি আমি নিজে কষ্ট পাবো।”
কাকন রুহুলের গলা জড়িয়ে ধরে বললো, ” ভীষণ ভালোবাসেন বুঝি?”
–” ভীষণ ভালোবাসি।”
চলবে…..
#দেবী
#Srotoswini_স্রোতস্বীনি
বিদ্রঃ দয়া করে করে কপি করবেন না। ভালো লাগলে লাইক,কমেন্ট,শেয়ার করে পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ।
®️ Srotoswini-স্রোতস্বীনি ✍️