#দেবী
লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি (ছদ্মনাম)
কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ।
২৯ঃ
সিরাজী মঞ্জিলে আজ আবারও মানুষজন এ ভড়ে গেছে। মেহমানে গিজ গিজ করছে।আসমা তার স্বামী সন্তান দের নিয়ে আজ সকালেই এসেছে। সামিয়ার সমবয়সী পারুল কে পেয়ে সামিয়া খুব খুশি।
বিকেল হতে না হতেই পাটায় হলুদ বাটার আওয়াজে যেন সুর ভাসছে।সামিয়ার জন্য গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়েছে। সামিয়া কে সকলেই হলুদ দিচ্ছে।রুহুল আর কাকন একসাথে হলুদ দিয়ে দিয়েছে সামিয়াকে। আর সামিয়া বসে আছে হলুদরানি সেজে।আর তার পাশেই আলেয়া,রোকেয়া, কাকন আর পারুল বসে আছে।
মালেকা সামিয়া কে হলুদ দিয়ে দেওয়ার সময় মেয়েকে জড়িয়ে কাদতে শুরু করেছে। বাড়ির ছোট মেয়েরা হলো মায়ের সবচেয়ে আদরের। এদের আদর ভালোবাসা,সখ,আল্লাদ মায়ের কাছেই বেশি। মালেকা আলেয়ার চেয়ে বেশি সামিয়া কেই ভালোবাসে। এই জন্যই বোধহয় হলুদ দিতে এসেই চোখের জলে ভাসিয়ে দিচ্ছে। মেয়েকে বিদায় দিতে যে ভীষণ কষ্ট হবে তার।
কাকন পাশেই বসে ছিল। মালেকার সামিয়াকে এভাবে জড়িয়ে ধরে কাদা দেখে ভাবলো তার বাবা-মা বেচে থাকলে তার হলুদের দিন ও বোধহয় এভাবেই কাদতো। কাকনের মা ও তো কাকন কে অনেক ভালো বাসতো তবে সারাদিন বলতো তুই বড় হ তোকে তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বিদেয় করবো। কাকন মায়ের কথা মনে করে সেখান থেকে উঠে এলো। চোখের পানি যখন তখন বের হয়ে যেতে পারে। এই সুখের সময় কাদতে চায় না কাকন।
কিছু কদম যাওয়ার পর কাকন নিজের পেটে ঠান্ডা কোনো কিছুর ছোয়া পেলো। কাকন পেটে হাত দিলো।তারপর হাতে দেখলো হলুদ লাগানো। কাকন এদিক ওদিক চেয়ে দেখলো রুহুল দুলাল সিরাজীর সাথে কথা বলছে।লেখিকা স্রোতস্বীনি। কাকন ভ্রু কুচকে তার দিকে তাকালে রুহুল মুচকি হেসে চোখ টিপ দিলো।
কাকন কক্ষে এসে কাপড় নিয়ে সোজা গোসলখানায় চলে গেলো । বেশ অনেকক্ষণ গোসল করার পর কক্ষে এসে চুল মুছতে লাগলো।
বিছানার ওপর একটি প্যাকেট দেখতে পেলো। উপড়ে লেখা ঢাকাই শাড়ি ঘর। কাকনের কেন যেন খুলতে ইচ্ছে করলো। খুলে দেখলো একটি লাল রঙের শাড়ি। কাকনের আর বুঝতে বাকি রইলো না এই ঢাকাই শাড়ি কে এনেছে। নিশ্চয় রুহুল সামিয়ার বিয়ে উপলক্ষে এই শাড়িটি এনেছে। কাকনের খুব পছন্দ হলো শাড়িটি।
________________________
আজ বিয়ে তাই সকলেই তৈরি হচ্ছে। কাজ সেড়ে কাকন রুহুলের দেওয়া শাড়িটি শাড়িটি পড়ছে। নতুন শাড়ি কুচু গুলো সুন্দর হচ্ছে না। বারবার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। কাকন তবুও নিজেকে ঠিক করে শাড়ি পড়ে নিলো। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কাকন সুন্দর করে চুল গুলো খোপা করে নিলো। তারপর শাড়ির কুচু গুলো দেখলো সব ঠিকঠাক কিনা। চুলে কিছুর স্পর্শ পেয়ে আয়নায় তাকিয়ে দেখলো কানের পিছে খোপায় একজোড়া লালজবা ফুল। কাকন ফুলে হাত দিয়ে পিছনে ফিরলো দেখলো রুহুল আলমারী থেকে পাঞ্জাবি বের করছে।
কাকন উৎসুকভাব বললো, “জবা ফুল জোড়া কি আপনি গুজে দিয়েছেন চুলে? ”
রুহুল পাঞ্জাবি পড়তে পড়তে বললো, ” কই না তো ”
–“মিথ্যে বলবেন না। আপনি ছাড়া তো কেউ নেই।”
–” কই আমি ব্যাতীত তো আপনার বর ও আছে। ”
–“আপনি সত্যিই অদ্ভুত। ”
–“আর আপনি বড্ড বোকা বিবিজান। আমি ব্যাতীত আপনার কেশে ফুল গুজে দেওয়ার সাধ্য কারো নেই।”
কথাটি বলে রুহুলে কাকনের দিকে এগিয়ে এলো। শাড়ির আচল মাথায় দিয়ে দিলো। তারপর পা থেকে মাথা অব্দি দেখে বললো, “এবার আপনাকে দারুণ লাগছে। একদম আমার বিবিজান বিবিজান।”
______________________
সিরাজী মঞ্জিলের গেইটের কাছে বকুলদের চার চাকার গাড়ি থেমেছে। এমন গাড়ি সিরাজপুরের অনেক মানুষই আজ প্রথম দেখছে। দুলাল সিরাজী সোনার চেইন পরিয়ে বকুল কে নামিয়ে নিলো। রুহুল নিজে এগিয়ে যেয়ে বকুল কে মিস্টি মুখ করিয়ে নিয়ে এলো মঞ্জিলে। লেখিকা স্রোতস্বীনি। বকুলের সাথে ঢাকা শহরের অনেক আত্মীয় স্বজন আজ বরযাত্রী হয়ে এসেছে সিরাজী মঞ্জিলে।
রুহুল নিজ দায়িত্বে সকলের দেখা শোনা করছে। হেলাল মহীবুল ও বেশ দোড়াদোড়ি করছে। করতেই হবে বাড়ির মেয়ের বিয়েতে দুলাল সিরাজী কোনো ত্রুটি রাখবেন না। বকুলের বাবাসহ সকলেই এমন আয়োজনে মুগ্ধ। বরযাত্রী রা এমন বড় বাড়ি দেখে প্রশংসা করছে।
সামিয়া নিজের কক্ষেই বসে আছে। একদম বকুলের মনের মতো করেই সাজানো হয়েছে। নীল শাড়ি আর সোনালি রঙের ঘোমটা দেয়া মাথায়। গা ভর্তি সোনার গয়নায় সামিয়ার মুখ জলজল করছে। সামিয়া যেন আজ একদম চুপচাপ স্বভাবের হয়ে গেছে। ভিতরে ভিতরে লজ্জা আর ভয় দুটোই ঘিরে রেখেছে।
বরযাত্রী হয়ে বকুলের বোন বিন্তিও এসেছে। সে সামিয়ার সাথে দেখা করতে চায় তাই তাকে সামিয়ার কাছে নিয়ে যাওয়া হলো। বিন্তি কক্ষে কাকন কে দেখেই রুহুলের কথা মনে করলো। এই জগতে বোধহয় বিন্তি একজন মানুষকেই হিংসে করে আর সে হলো কাকন।
বিন্তি কে দেখেই সামিয়ার কাছে বসতে দেওয়া হলো। বিন্তির সাথে সকলেই টুকিটাকি কথা ও বললো।
বিন্তি কাকন কে বললো, “তোতমাকে সুসুন্দর লাগছছে কাককন, নিনিশ্চয় রুরুহুল ভাভাই পপছন্দ ককরেছে।”
কাকন লাজুক হেসে বললো, “আপনাকেও অনেক সুন্দর দেখাছে বিন্তি আপা ”
রোকেয়া বললো, “বারে আমার দাদাভাই এর বউ বইলা কথা সুন্দর না লাগলে কি চলে। ”
–“হ্যাঁহ্যাঁ ঠিঠিক ই ববলেছেন। রুরুহুল ভাই এর ববউ সুসুন্দর তো হহবেই ”
আলেয়া বললো, ” দাদাভাই নিজে পছন্দ কইরা শাড়ি আইনা দিছে ভাবি রে।আইজ আর চোখ ফিরাইতে পারবো না তাই না ভাবিজান ”
কক্ষে থাকা সকলেই হেসে দিলো।
বিন্তি আবারো বললো, “হ্যাঁ কাকাকন আআসলেই অঅনেক সুন্দদর ”
কাকন বললো, ” বিন্তি আপা আপনিও অনেক সুন্দর। এখানে আমরা সকলেই সুন্দর। আল্লাহ তায়লা সবাইকে সেই রুপেই তৈরি যতটুকু রুপে তাকে সুন্দর লাগবে।আল্লাহ নিজে মানুষ মুখের গঠন দেন। তাই দুনিয়ার সকল মানুষ ই সুন্দর।
পারুল বললো, “হ্যাঁ এইডা আমিও শুনছি।বিন্তি আপা আপনে কিন্তু অনেক সুন্দরী।”
কাকন বললো, “হ্যাঁ আর উনি অনেক শিক্ষিত। আবার অনেক সুন্দর মানুষের মুখ ও আকতে পারে। বিন্তি আপা সত্যিই আমার চেয়েও সুন্দর। ”
বিন্তি মনে মনে বললো, ” তোমার চেয়ে সুন্দর হলে বোধহয় আজ তোমার জায়গায় আমি থাকতাম।”
________________
যেহেতু সিরাজপুর থেকে ঢাকা অনেক দুরের পথ তাই তাড়াতাড়িই বিয়ে পড়ানো হলো। বিয়ে পড়ানোর সময় সামিয়া এক প্রকার হাউমাউ করেই কেদেছে।কাদতে কাদতে সামিয়ার দাত লেগে গিয়েছিল।বেশ অনেক্ক্ষণ পর সামিয়ার জ্ঞান ফেরে। জ্ঞান ফেরানোর পর ও সামিয়া অনেক কষ্টেই কবুল বলে। বোধহয় কবুল বলার মুহুর্ত টাই নারীদের জীবনে সবচেয়ে আতঙ্কের।
যেখানে সকলের অনেক জোড়াজুড়িতে সামিয়া কবুল বলেছে অন্যদিকে বকুল সহজভাবেই কবুল বলেছে। বিয়ে শেষে মোনাজাত পড়ানো হয়। মিস্টি মুখ করা হলে সামিয়া আর বকুল কে পাশাপাশি বসানো হয়।
সামিয়া বকুলকে দেখেই চেয়ে রইলো।এভাবে তাকিয়ে থাকাতে সকলের হাসাহাসি তে চোখ ফেরালো বকুল। বকুল এর মামাতো ভাই নয়ন ঢাকা থেকে আসার সময় নিজের ক্যামেরা নিয়ে এসেছে। যা দিয়ে সামিয়া আর বকুলের এই সুন্দর মুহুর্তের কিছু ছবি ক্যামেরা বন্দি করলো।
রুহুলের সাথে নয়নের বেশ অনেকদিনের পরিচয়।বকুলের খাতিরেই পরিচয় হয়েছিল । তাই রুহুল জানালো তার আর কাকনের ও যেন একটা ফটো তুলে দেওয়া হয়। রুহুল ছেলেটিকে দাড় করিয়ে কাকন কে খুজতে গেলো।লেখিকা স্রোতস্বীনি। যেহেতু বাড়ি ভর্তি লোকজন তাই রুহুলের কাকন কে খুজতে অসুবিধেই হচ্ছে।
অনেক খোজাখুজির পর রন্ধনশালায় উকি দিয়ে রুহুল দেখলো কাকন সুভার সাথে পাতিলে ভড়ে খাবার বাড়ছে। বোধহয় এগুলো সামিয়ার শশুড় বাড়ি পাঠানো হবে।সিরাজী মঞ্জিলের নিয়ম মেয়ে শশুড়বাড়ি পাঠানোর সময় হাড়ি ভড়ে ক্ষীর আর খাবার দিতে হবে।
রন্ধনশালায় সচারাচর বাড়ির পুরুষেরা যায় না। দরজার কাছে রুহুল কে দেখে দাদিমা বললেন,” কিরে কাকন তর সুয়ামি দেখি তর খোজ করতে করতে রন্ধনশালায় চইলা আসছে। ”
কাকন মাথা তুলে চেয়ে বললো, ” কিছু বলবেন? ”
দাদিমা আবারও বললো, “কিছু কইবো মানে। সুয়ামি রান্ধন ঘরে আইসা খাড়াইছে যা দেখ কি কয়।পাগলি মাইয়া বুদ্ধি নাই?”
রুহুল সুভার দিকে একবার চাইলো।তারপর মাথা নিচু করে বললো, “একটু এদিকে আসুন দরকার আছে। ”
সুভা ছেলের কথায় মুখ চেপে হাসলো।বললো, “কাকন তুমি যাও।বাকি টুকু আমি সামলে নিতে পারবো। ”
কাকন মাথা নেড়ে রন্ধনশালা থেকে বেরিয়ে এলে রুহুল কাকনের হাত ধরে বললো, “চলুন।”
কাকন বললো, “এভাবে হাত ধরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। সবাই দেখছে তো ? ”
–“দেখুক আমি তো আর পরনারীর হাত ধরি নি ”
–“তবুও সবাই কি ভাববে? ”
–“যার যা ভাবার ভাবুক। ”
কথাটি বলেই রুহুল নয়নের কাছে গেলো। তারপর বললো, “আমি আর বিবিজান বাগানের গোলাপ গাছের আশে দাড়াবো তুমি আমাদের একটা সুন্দর করে ছবি তুলে দেবে কেমন।পারবে তো নাকি? ”
রুহুলের কথায় নয়ন মুচকি হেসে বললো, “ঠিক আছে, সুন্দর ছবি তুলে দেওয়াই আমার কাজ রুহুল ভাই। ”
রুহুলের কথা মতো নয়ন ক্যামেরা নিয়ে বাগানে গেলো।হরেক রকমের ফুল গাছের মাঝে লাল গোলাপ গাছের সামনে দাঁড়িয়ে পড়লো রুহুল-কাকন। সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত রুহুল আর লাল শাড়ি পরিহিত কাকন। রুহুল কাকনের কাধে হাত রেখে দুজন পাশাপাশি দাড়ালো। এভাবে পরপুরুষ এর সামনে রুহুল কাকনের হাত রেখেছে কাকন লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো।
নয়ন ক্যামেরায় চোখ রেখেই বললো, “ভাবি ভাইয়ের আরেকটু পাশে যান আর একটু হেসে এদিকে তাকান।
নয়নের কথায় রুহুল কাকনের আরো নিকটে এলো। আর কাকন ক্যামেরার দিকে চাইলো।তারপর সাদা- কালো রঙে ক্যামেরাবন্দী হয়ে গেলো রুহুল কাকন।
ছবি তোলা শেষে নয়ন বাগান থেকে বেড়িয়ে গেলে কাকনের কোমড় জড়িয়ে ধরে রুহুল বললো, “বলুন তো গোলাপ গাছের সাথে ফটো তুললাম কেন?”
–“কেন তুললেন”
–“কারণ গোলাপ ফুল হলো ভালোবাসার প্রতীক।আর আপনি আমার ভালোবাসার বিবিজান। ”
–” আর আমি আজ জানলাম।”
–“আরেকটা কথা কি জানেন?”
–“কি কথা?”
–“এই ছবি টা অনেক বড় করে বাধিয়ে রাখবো আমি। আর আমাদের নাতি-নাতনি দের দেখাবো।”
–“হাহাহা, আপনি সত্যিই একটা বাচ্চা। ”
____________________
সামিয়ার এখন বিদায়ের পালা। সামিয়া খুব কাদছে। এই প্রথম বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাচ্ছে এত দুরের পথ কেদে কেটে নাজেহাল দশা। সেই সাথে সিরাজী মঞ্জিলের প্রতিটি সদস্য কাদছে। রুহুল ও ছোট বোনের বিদায় দিতে কষ্ট পাচ্ছে। দুলাল সিরাজী বকুলের হাতে সামিয়া কে তুলে দিলেন।
রুহুল বকুলের হাত ধরে বললো, “সামিয়া বুড়ি আমাদের অনেক আদরের। ওকে কোনোদিন কষ্ট দিস না। বিশ্বাস করে তোর হাতে তুলে দিলাম ”
বকুল বললো, ” মাথায় করে রাখবো তোর বোন কে।”
সন্ধ্যা হয়ে আসছে অনেক দুরের পথ। ররজনীগন্ধা আর গোলাপ ফুল মিশ্রিত চার চাকার সজ্জিত গাড়িতে উঠে বসলো বকুল।সামিয়াকে গাড়িতে উঠিয়ে দিলো রুহুল আর দুলাল সিরাজী। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়িটি রওনা হলো ঢাকার উদ্দেশ্যে।
বাড়ির অর্ধেক মেহমান যেন নেই বললেই চলে।বাকিরা সকলেই যার যার মতো অন্দরমহলে ঢুকলো। মালেকা মেয়ে বিদেয় দিয়ে আবারো কান্না কাটি করছে।সকলের ই মন টা খারাপ লাগছে।
কাকন দেখলো রুহুল ও কিছুটা মন উদাস করে আছে তাই কাকন এগিয়ে গেলো রুহুলের দিকে। কাকন রুহুলের হাত ধরে বললো,”কষ্ট হচ্ছে আপনার?”
রুহুল বললো, “না, আসলে কাজের চাপে বোধহয় মাথা টা একটু ধরেছে আর কি। মাথা টিপে দিতে পারবেন? ”
–“বেশ কক্ষে চলুন আপনার মাথায় তেল মালিশ করে দেই। আশাকরি আপনার আরাম লাগবে। ”
–“হুম “।
রুহুল আর কাকন সিড়ি বেয়ে উপরে চললো। দোতলায় সিড়ির শেষ ধাপে কাকনের খালি পায়ে কেমন যেন ভেজা ভেজা লাগলো। কাকন নিচে তাকিয়ে দেখলো লাল তরল। কাকন ঘাবড়ে যেয়ে রুহুল কে ঘামচে ধরলো।লেখিকা স্রোতস্বীনি। রুহুল ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো, ” কি হলো?”
পরক্ষণেই নিচে তাকিয়ে দেখলো রক্ত। রুহুল রক্তের গতিপথ অনুসরণ করে দেখলো উপর থেকে আসছে। তারমানে তিনতলা থেকে আসছে এই রক্ত।
রুহুল কাকন কে ছেড়ে দিয়ে সিড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলো।কাকন ও ভয়ে ভয়ে তিনতলায় গেলো।সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে যা দেখলো তা দেখে জোড়ে চিৎকার করে রুহুল কে জড়িয়ে ধরলো কাকন। রুহুল নিস্তব্ধ হয়ে গেছে যেন। আর কাকন এমন লাশ দেখে ভয়ে রুহুলের বুকে মুখ গুজে রেখেছে। কাকনের সারা
শরীর কাপছে।
তিনতলায় রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ হয়ে পড়ে আছে ‘হেলাল’। নৃশংস ভাবে হ’ত্যা করে রাখা হয়েছে হেলাল কে।
চলবে….
#দেবী
#Srotoswini_স্রোতস্বীনি
বিদ্রঃ দয়া করে কেউ কপি করবেন না। ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে পাশে থাকবেন, ধন্যবাদ।
®️ Srotoswini-স্রোতস্বীনি ✍️