#দেবী
লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি (ছদ্মনাম)
কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ।
২৫ঃ
সকাল থেকেই তোরজোড়। বকুল রা ঢাকায় ফিরে যাবে। রুহুল নিজ দায়িত্বে তাদের স্টেশন অব্দি নিয়ে যাবে। বেলা ১১টার দিকে বকুল রা বাড়ি থেকে বেরোবে। আর ১২টার ট্রেনে চলে যাবে ঢাকা।
সামিয়া ভদ্রতার খাতিরে হবু শশুড় শাশুড়ীর কাছে দাঁড়িয়ে আছে। তবে মনে মনে ভীষণ লজ্জা লাগছে তাদের সাথে কথা বলতে। কাকন ভদ্র গৃহবধুর ন্যায় স্বামীর পাশে দাড়িয়ে আছে।আর কাকনের পাশেই সুভা। বকুল দাদিমা কে সালাম করার জন্য এগিয়ে গেলো। সামিয়ার পাশে দিয়ে যাওয়ার সময় সামিয়ার হাতে কিছু একটা দিয়ে গেলো। সামিয়া হাত মুঠো করে নিলো সঙ্গে সঙ্গে। বকুল এমন ভাবে চলে গেলো যেন কিছু ঘটেই নি। কিন্তু সামিয়ার বুকে ঠিক ই ধুক ধুক করছে এটা ভেবে যে তার বাড়ির সদস্য রা দেখলো কি না। সাম্মিয়া সকলের মুখপানে তাকালো দেখলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বিন্তি বার বার রুহুলের দিলে তাকাচ্ছে। কিন্তু রুহুলের নজর অন্যদের দিকে। রুহুলের দিকে যে বিন্তি তাকিয়ে আছে তাতে রুহুলের কোন হেলদোল নেই।লেখিকা স্রোতস্বীনি। এখন চলে যাওয়ার পালা। রুহুল তার আম্মা আর বিবিজান এর দিকে মুচকি হেসে তাদের সাথে চললো স্টেশন অব্দি এগিয়ে দিতে। বকুল পরিবার সহ যখন সিরাজী মঞ্জিলের গেইট পার করলো তখন সামিয়া দৌড়ে কক্ষে চলে গেলো। সামিয়ার কেমন যেন লজ্জা করছে চিঠিটা খুলতে। এতদিন তো চলচিত্রে দেখেছিল নায়ক নায়িকাকে চিঠি দিতে। আর আজ সামিয়াও চিঠি পেলো জীবনের প্রথম চিঠি। সামিয়া হাতের মুঠো হতে চিঠিটা বের করলো। তারপর পড়া শুরু করলো —
” দুষ্টু সামিয়ারানি,
ঘর থেকে বের করে দিয়ে কাজ টি ঠিক করো নি। তুমি বড় অবুঝ পাগলি। আমার ভালোবাসা কি বোঝো না। একটু মজাই তো করেছিলাম। তাই বলে ঘর থেকে বের কতে দিবে। জানো তোমার সাথে না বলা কত কথা ছিল।গত দু’মাস তুমিহীনা থাকার পর কত ইচ্ছে ছিল মন ভরে আমার প্রাণের মানুষটাকে দেখবো কিন্তু তুমি দেখতেই দিলা না। সে যাক, আর পনের দিন তারপরেই আমার নামে কবুল করে তুমি সারাজীবনের জন্য আমার হয়ে যাবে তারপর দেখবো কিভাবে আমায় এড়িয়ে চলো। আর হ্যাঁ বিয়েতে কিন্তু আমার দেওয়া নীল শাড়ি পড়বে তুমি। নীল রঙ আমার ভীষণ প্রিয়। আমি নীল রঙ পরিহিত আমার সামিয়া রানি কে দেখতে চাই। আর অনেক সুন্দর করে সাজবে ঠিক আছে।আর হ্যাঁ এবার আমি খালি হাতে চলে যাচ্ছি কিন্তু আগামীবার দোকলা যাবো সঙ্গী হবে তুমি। তখন দেখবো কিভাবে আমাকে তাড়িয়ে দাও । আর গতবার আমাকে ঝাল খাওয়ানোর কথা মনে আছে কি,আমার কিন্তু ঠিক ই মনে আছে তাই সেই শাস্তি টা কিন্তু এখনো তোলা আছে, যেটা চক্রবৃদ্ধি মুনাফাহারে বাসর রাতে সোধ নিবো।বিদায় বেলা একটা বার কথা বলার ও সুযোগ দিলে না এ ব্যাথা নিয়েই চললাম সুদুর ঢাকা শহরে। নিজের খেয়াল রেখো, ভালোবাসি প্রিয়তমা।”
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
চিঠিটা খোলার আগে যতটা হৃদয় ধুকপুক করেছে তার চেয়েও শতগুণে এখন শুরু হয়েছে। সেই সাথে অজস্র ভালো লাগা। সামিয়া চিঠিটা বুকে জড়িয়ে ধরে বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লো। আবারও চিঠিটার দিএক চেয়ে চেয়ে হেসে দিল, চুমু খেলো। প্রথম প্রেম,প্রথম ভালোলাগা,প্রথম ভালোবাসা এর চেয়ে সুন্দর অনুভূতি আর কোনো কিছুতেই নেই। সামিয়াও এমন ভালোবাসা প্রথম অনুভব করছে।
___________________
ঘটে গেছে এক অঘটন। আজ গুদাম ঘর থেকে আসার সময় পথে জমে থাকা পানতে পা পিছলে জামাল পড়ে যায়। হাত টা বেকায়দায় পড়ে ভেঙে গিয়েছে। সেই সাথে পা ও মচকে গেছে। জামাল সিরাজী হাতের ব্যাথায় চিৎকার করে কাদছে সেই চিৎকারে সিরাজী মঞ্জিলের সকলে জামালের সম্মুখে হাজির হলো। কর্মচারী রা জামাল কে ধরে নিয়ে এসেছে। ডাক্তার স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছে টানা একমাস পা এভাবেই রাখতে হবে। হাত একদম সাদা কাপড়ে মোড়ানো । জামালের এমন অবস্থা দেখে কেদে কেটে হয়রান দাদিমা আর মহীবুলের মা।
দুলাল সিরাজীও কিছুটা চিন্তিত। তার এক ছেলে শয্যাশায়ী। আরেক ছেলে হাত পা ভেঙে গৃহবন্দী। তবে এমন অবস্থা দেখে ভালো লাগছে কেবল কাকনের। অন্যায়কারী যখন শাস্তি পায় কাকন এর মনে আলাদা তৃপ্তি অনুভব হয়। কাকন মনে মনে একপ্রকার খুশিই হয়েছে ওর মনে হচ্ছে গতকাল করা নিজ স্ত্রীর উপর অন্যায়ের শাস্তি হয়েছে আল্লাহ কতৃক জামালের।
দাদিমা কাকন কে জামালের জন্য হলুদ মেশানো দুধ আনতে বললেন। কাকন সেই কথা মতো জামালের কক্ষ থেকে বের হলো।তবে সামনেই মহীবুলকে দেখলো। মহীবুল কাকনের দিলে ক্রুদ্ধ চোখে তাকালো।
তারপর বললো , “খা*** ঝি, তরে..”।
হেলাল মহীবুলকে বাধা দিয়ে বললো, ” ভাবিমা তুমি তোমার কামে যাও। ঘরে চল মহী। ”
কাকন কিছুটা ভড়কে গেলো ওর কি দোষ। ওকে বিনা কারণে এগুলা বলা হলো কেন। মহীবুল ওর শকুন চোখ দিয়ে কাকন কে ভস্ম করে দেবে এমন ভাবে চেয়ে রইলো।
কাকন চলে গেলো। পিছন ফিরে দেখলো মহীবুল এখন ও ওভাবেই দাড়িয়ে আছে। আর হেলাল হাত ধরে টেনে ভিতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
কাকন দুধ গরম করছে চুলোয় কিন্তু মহীবুলের এমন আচরণ এ মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে।বিনা কারনে এমন নোংরা গালি শুনএল যে কেউ মন খারাপ করাটা স্বাভাবিক কাকমের তাই হয়েছে। তবে সেখানে যেহেতু হেলাল ছিল কাকন ভাবলো হেলাল কে জিজ্ঞেস করবে। হেলাল অন্তত কাকন কে কিছুটা হলেও সম্মান করে।
কাকন দুধে হলুদ মিশিয়ে নিয়ে গেলো জামালের জন্য। জামালের ঘরে সিরাজী মঞ্জিলের সকলের যেন ঘাটি হয়েছে। সকলেই উপস্থিত সেই কক্ষেই। রুহুল জামাল সিরাজীর মাথার কাছে বসে আছে। আর কিভাবে কি করতে হবে সব বুঝিয়ে দিচ্ছে। কাকন মহীবুলের মা এর হাতে দুধ টুকু দিলো। তারপর সে তার স্বামীকে খাইয়ে দিলো।
কাকন দেখলো হেলাল বেরিয়ে যাচ্ছে। কাকন ও হেলালের পিছে পিছে বেরোলো। কাকন দৌড়ে হেলালের সামনে গেলো। তারপর বললো, ” ছোট ভাই আপনার সাথে কিছু কথা ছিল?
হেলালের কাকনের এভাবে আসা দেখেই ভড়কে গেছে। তবুও বললো, “হ্যাঁ কও কি কইবা ”
–“আসলে মেজোভাই আমাকে তখন গালি দিলো কেন। আর পরেই বা কি বলতে চেয়েছিল। আপনি বাধা দিলেন কেন? “(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
–“সেইগুলা তোমার শুনা লাগবো না। ”
–“না আমি শুনতে চাই।কেন সে আমাকে গালি দিলো?”
–” কইলাম তো কিছু না। ”
–” দেখুন মিথ্যে বলবেন না একদম। আর আমাকে না বললে আমি কিন্তু আমি আপনার দাদাভাই কে বলে দিবো তখনকার ঘটনা।”
কাকন যে বলে দিতে পারে এটাতে হেলাল নিশ্চিত তাই বললো, “আসলে মহী তোমায় পছন্দ করে না তো।চাচাজান এর হাত ভাঙছে রাগে তোমারে ওগুলা কইছে। তুমি কিছু মনে কইরো না। ”
–“কেন আমাকেই কেন বলবে। আর কিছু একটা তো বলতেও চেয়েছিল। আপনি বলতে দিলেন না কেন।”
–“দেখো ভাবিমা তুমি দাদাভাই এর বউ বইলা অনেকক্ষণ ধইরা কথা শুনতাছি। ও তোমারে কিছু কইতে চায় নাই।চাচাজানের হাত পাও ভাংছে তাই ওমন করছে। আর কিছু না।”
কথাটি বলেই হেলাল চলে গেলো। কিন্তু কাকনের মন ঠান্ডা হলো না। কাকন কাধে কারো হাত এর ছোয়া পেলো। ফিরে দেখলো রুহুল।
রুহুল কাকন কে ভ্রু কুচকে বললো, “কি হয়েছে? ”
কাকন মেকি হাসি হেসে বললো, “না কিছু না।
–” হেলালের সাথে কি কথা বলছিলেন শুনি। ”
–“না তেমন কিছু না। কিছু বলবেন”
রুহুল হেসে বললো, “হুম, চলুন নিজ স্বামী সেবা করবেন এখন। ”
কাকন কিছুটা অবাক হিয়ে বললো, “কেন আপনি কি অসুস্থ। শরীর খারাপ করছে আপনার। ”
রুহুল বললো, “স্ত্রীর সেবা পাওয়ার জন্য কি আমায় অসুস্থ হতে হবে। বেশ আল্লাহ তায়লা দয়া করে আমায় অসুস্থ বানিয়ে দেন।”
কাকন রুহুলের মুখে হাত দিয়ে থামিয়ে বললো,”এমা ছি ছি কিসব বলছেন। বালাইষাট আপনার মাথা ঠিক আছে।আপনি কেন অসুস্থ হতে চান । ”
রুহুল কাকনের হাতটিতে চুমু দিয়ে বললো,” মজা করছিলাম।এটা অসুস্থ হওয়ার সেবা না। অন্য সেবা করতে হবে।তাই কক্ষে যেতে হবে আপনার।কক্ষে চলুন দেখতে পাবেন এখন স্বামীর কি সেবা করতে হবে।”
কাকন নিজেকে রুহুলের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললো, “ছি, মাথা ঠিক আছে আপনার। দিনের বেলা কিসব আবোল তাবোল বলছেন বলুন তো। ”
রুহুল কাকনের কথায় উচ্চস্বরে হেসে বললো, ” বাহ আমার বিবিজান দেখি বড় হয়ে গেছে।তবে আপনি যে সেবা ভাবছেন সেই সেবা এখন করতে হবে না। আপাতত এখন আমায় গোসল করিয়ে দিতে হবে।”
কাকন নিজের বলা কথার জন্য লজ্জা পেলো।আমতা আমতা করে বললো, “তো আপনি কি ছোট বাচ্চা নাকি যে আমায় আপনাকে গোসল করিয়ে দিতে হবে”
–“হ্যাঁ হবে স্বামীকে গোসল করিয়ে দিতে ছোট বাচ্চা হওয়া লাগে না। এখন যদি আপনি আমাকে গোসল করিয়ে না দেন তবে আজ আমি আপনাকে গোসল করিয়ে দেবো। আমার কোনো আপত্তি নেই।”
–না না চলুন আমিই গোসল করিয়ে দিচ্ছি আপনাকে।”
রুহুল কাকনের হাত নিজের মুঠোয় নিয়ে বললো,”হ্যাঁ হ্যাঁ চলুন বিবিজান আপনার পতিসেবা করুন”
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
______________________
কাকন নিজ কক্ষ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হলো।এখন আর কোনো কাজ নেই তাই সামিয়া অথবা রন্ধনশালায় সময় পার করতে হবে।নিচে নামবে তখনি সেই সিড়ির দিকে চোখ গেলো যা তিনতলা অব্দি যায়। সন্ধ্যাবেলা সাধারণত এই সময়ে সকলেই যার যার ঘরে থাকে। পুরুষ মানুষগুল সকলেই মঞ্জিলের বাইরে নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত থাকে । গতকাল এর গুপ্তকক্ষের কথা মনে পড়ে গেলো কাকনের। কাকনের এক মন বলছে ওখানে যা আরেক মন বলছে যে না ওখানে যাস নে। কিন্তু কাকনের যে একটা প্রশ্নের উত্তর এর সন্ধানে পেয়েছে সেখানে। কাকন এদিক ওদিক উঁকি দিয়ে দেখলো না কেউ নেই। কিছু একটা ভেবে কাকন কক্ষ গেলো। একটা হারিকেন আর দেশলাই হাতে নিলো। তারপর সিড়ির কাছে যেয়ে হারিকেন ধরালো। হারিকেন টা হাতে নিয়ে সিড়ি বেয়ে তিনতলার উদ্দেশ্যে গেলো চারিদিকে অন্ধকার দেখে বেশ ভয় পাচ্ছে কাকন। যত সেই কক্ষেই দিকে এগোচ্ছে ততই যেন ভয় ঘিরে ধরছে কাকন কে। হাতের হারিকেন টা নিয়েই সেই জায়গায় দাড়ালো। তারপর হারিকেন টা নিচে নামিয়ে রাখলো। কিন্তু এত গুলো আসবার সে সড়াবে কি করে। কারো সাহায্য ও তো চাইতে পারবে না সে। ফিরে যাবে নাকি সে কক্ষের সামনের স্তুপ সড়িয়ে ভিতরে যাবে। অনেক ভাবার পর কাকন সিধান্ত নিলো সে কক্ষে প্রবেশ করবেই। কাকন আস্তে আস্তে সকল আসবাব সড়াতে লাগলো এর ই মধ্যে আকাশে বাজ পড়ার আওয়াজ হলো। কাকন আরো ভয় পেলো এমন আওয়াজে। কেমন ভয়ংকর ভয়ংকর লাগছে মনের মধ্যে। ধীরে ধীরে বৃষ্টির আওয়াজ শোনা গেলো। সেই সাথে বাজ এর ভয়াবহ শব্দ। কাকন এর কাছে যেন এটা একটা দারুণ সুযোগ কক্ষে প্রবেশ করার। যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে তাই পুরুষেরা আসতে দেরি হবে। কাকন আবারো নিজের সব শক্তি দিয়ে সব কিছু সড়াতে লাগলো। ঘেমে একাকার ক্লান্ত লাগছে তবুও হাল ছাড়ে নি কাকন। প্রায় আধ ঘন্টা পর সকল স্তুপ সড়াতে সক্ষম হলো কাকন। হারিকেন টা নিয়ে এগিয়ে গেলো কক্ষের দিকে। পুরাতন রাজকীয় ডিজাইনের দরজা সাথে তালা লাগানো। কিভাবে খুলবে বুঝতে পারলো না কাকন। না জানি এর চাবির ঝোপা কার কাছে আছে। রুহুল কে বললে হয়তো রুহুল দেবে আবার না ও দিতে পারে। আর রুহুল কে কাকন বলতেও চায় না। তবে কাকনের মন ও বলছে রুহুল দেবে না। কাকন হারিকেন নিয়ে ইট বা ভারী কিছু খুজলো।লেখিকা স্রোতস্বীনি। কিছুক্ষণ খোজাখুজির পর ভারী কাঠের মোটা একটা অংশ পেলো। নিজের সর্বশক্তি দিয়ে তালাতে বারি দিতে থাকলো। পুরণো জং ধরা তালা টি কিছুক্ষণ পর ই খুলে গেলো। নিজেকে এখন কাকনের স্বার্থক মনে হচ্ছে। কাকনের হৃদয়ের গতি যেন কেন বেড়ে গেলো হঠাৎ করেই। এত কষ্ট করে কক্ষটিতে ঢোকার প্রয়াস চালালো অথচ এখন যেন পা চলছেই না। কাকন ঢোক গিললো মেঝেতে রাখা হারিকেন টি হাতে নিলো। আস্তে করে দরজার পাল্লা খুললো। কেমন পচা পচা দুর্গন্ধ নাকে এলো। বাম পা ফেলে কক্ষে প্রবেশ করে চারপাশ দেখতে লাগলো। কেমন পোকামাকড় দিয়ে ভড়ে আছে কক্ষ টি। বাম হাত দিয়ে আঁচল দিয়ে নাক ঢাকলো কাকন। কক্ষে আলোর ছায়া পেয়ে পোকামাকড় গুলো কেমন ছুটোছুটি করে পালাচ্ছে। কাকন আরো এগিয়ে গেলো তবে কিছুদুর যাওয়ার পর শক্ত কিছু একটার সাথে পা বেজে নিচে পড়ে গেলো কাকন।অসাবধানতায় পায়ে হালক ব্যাথা ও পেলো। হারিকেন এর কাচে ফাটল ধরলো। তবুও কাকন হারিকেন টা হাতে নিলো। তারপর হারিকেনের আলো মেঝেতে ফেললো। আর তারপর যা দেখলো তা দেখে ভয়ে হাত থেকে হারিকেন টা নিচে পড়ে গেলো।
চলবে…
#দেবী
#Srotoswini_স্রোতস্বীনি
বিদ্রঃ দয়া করে কেউ কপি করবেন না। ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
®️ Srotoswini-স্রোতস্বীনি ✍️