#তোর_শহরে_ভালোবাসা ?
পর্ব-২৮
ফাবিহা নওশীন
??
সামুর সেন্স ফিরতেই পিটপিট করে চোখ মেলে তাকায়।তারপর হাত কপালে রাখে।মাথাটা কেমন যন্ত্রণা করছে।হঠাৎ সামু উঠে বসে।উঠে বসে নিজেকে আদির রুমে আবিষ্কার করে।
চারদিকে চোখ বলায়।অনেক রাত হয়ে গেছে বুঝাই যাচ্ছে।যেমনটি রেখে গিয়েছিলো তেমনি আছে।দেয়ালে ওর নিজ হাতে সাজানো আদি আর ওর নানা মুহুর্তের ছবি।তখনি বিয়ের ছবিটার কথা মনে পড়ে।মাথা ঘুরিয়ে বেডের পাশে তাকালো।বড় করে বাধানো ছবির ফ্রেমটা সেখানেই আছে।বেড থেকে নেমে সবকিছু ছুয়ে ছুয়ে দেখছে।ওর ভালোবাসা,স্বপ্ন,অনুভূতি মিশে আছে ঘরের প্রতিটি জিনিসের প্রতি।কেমন মায়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে।নিজের ব্যবহৃত কাবার্ড খোলে।ওর জামাকাপড় ভাজে ভাজে সাজানো।মনে হচ্ছে কেউ হাত দেয়নি এতকাল।
হঠাৎ সামুর আদিবার কথা মনে হলো।সামু কাবার্ড বন্ধ করে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।তারপর দৌড়ে সিরি বেয়ে নামছে।তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়ে যেতে নিলেই আদি ওকে ধরে ফেলে।
তারপর সামুর দিকে চেয়ে বললো,
–হাত-পা ভাংবে তো,,
সামু আদিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে চেঁচিয়ে বললো,
–আদিবা কই?
আদিবা নিহাদের সাথে খেলছিলো।নিশি,জয়,আদির মা ওদের দেখছিলো আর নানা খোশগল্প করছিলো।আদিবা সামুর গলার আওয়াজ পেয়ে উঠে দাড়ালো।তারপর সামুর কাছে আসতে আসতে বললো,
–মাম্মা আমি এখানে!!
সামু এগিয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো আদিবাকে।তারপর গালে,কপালে চুমু দিয়ে বললো,
–মাই সানসাইন তুমি কোথায় ছিলে?জানো না তোমাকে না দেখলে আমার কত কষ্ট হয়।তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারি না।
–কিন্তু মাম্মা তুমি তো ঘুমাচ্ছিলে তাই তোমাকে বিরক্ত করিনি।এখানে খেলছিলাম।
নিশি,জয়,আদির মা এগিয়ে এলো।
সামু বললো,
–আমি ঘুমাচ্ছিলাম!!না আমি তো,,(তখনই ওর মনে পড়লো আদি কি করেছে)
তোমার পাপা কই?
আদিবা পিছনের দিকে ইশারা করলো।সামু ঘুরে আদিকে দেখে।তারপর ওর দিকে এগিয়ে যায়।আর দাতে দাত চেপে বলে,
–আমি ঘুমাচ্ছিলাম?তুমি কি করেছো?
আদি দাত কেলিয়ে আমতা আমতা করে বলল,
–ইয়ে মানে,,,আসলে,,,(সিরিতে পিছিয়ে উপরে উঠতে উঠতে)
সামান্তা আগাতে আগাতে বললো,
–কি আসলে কি?
–না,,মানে,,,
বলেই দৌড়।
–আদি,দাড়াও,পালাচ্ছো কেন?থামো বলছি।আজ তোমার একদিন কি আমার একদিন।
সামু রাগে ফুসফুস করতে করতে আদির পিছনে গেলো।
আদিবা মাম্মা,পাপাকে দেখে নিশিকে জিজ্ঞেস করলো,
–আচ্ছা,মাম্মা কি পাপাকে মারবে?
নিশি ভ্রু চুলকে বললো,
–শুধু মারবে না,হাড়গোড় ভেঙে দেবে।
আদি হা করে নিশির দিকে একবার চেয়ে সিড়ির দিকে চাইলো।
জয় বললো,
–নাগো মামনি,,মাম্মা পাপাকে কেন মারবে ওরা জাস্ট কথা বলবে।
জয়ের কথা শুনে নিশির হুশ এলো।
আদি দৌড়ে নিজেদের রুমে চলে গেছে।সামুও পিছু পিছু গেলো।তারপর বললো,
–পালাচ্ছো কেন?তুমি আমাকে স্পে,,আজ তোমার খবর আছে।
তারপর হাতের কাছে যা পাচ্ছে ছুড়ে মারছে।আদি বারবার সরে যাচ্ছে।কোনটা ওর লাগছে আবার কোনোটা লাগছে না।
–সামু আমি আহত থেকে নিহত হয়ে যাবো।আমার মাসুম মেয়েটার কি হবে?একটু ওর কথা ভাবো।
সামু কথা না বলে ডেসিন টেবিলের উপরে থেকে লোশনের বোতল ছুড়ে মারে।সেটা একদম আদির পিঠ বরাবর লাগে।আদি কিছুটা ব্যথা পাওয়ায় ক্লান্ত হলে সামু ওকে ধরে ফেলে ওর চুল টেনে বলে,
–তুমি আমাকে অজ্ঞান করে কিডন্যাপ করেছো?ছিঃ এমন কাজ কি করে করলে?তোমাকে এই ক্রাইমের জন্য পুলিশে দেওয়া দরকার।বিদেশে থেকে এই শিখেছো?
আদি নিজের চুল ছাড়িয়ে সামুকে চেপে ধরে বললো, জ্বি না।পূর্ব অভিজ্ঞতা।এর আগেও কিডন্যাপ করেছিলাম একজনকে।
তারপর ভ্রু নাচালো।সামুর আগের ঘটনা মনে পড়ে গেলো।তারপর আদিকে ছেড়ে নিজেকে ছাড়িয়ে বললো,
–বাবা কই?তার সাথে দেখা করবো।
আদিও সচকিত হয়ে গেলো তারপর বললো, ঘরেই আছে।চলো।
সামু মায়ের সাথে কথা বলে বাবার ঘরের দিকে এগুলো।যতই এগুচ্ছে বুক ধিকধিক করছে।এত বছর পর সামনে যাবে তাও তার এই অবস্থা।কিভাবে দেখবে তার এই অবস্থা।
সামু ধীর পায়ে ঘরে যায় নিশি সামুকে জড়িয়ে ধরে।দুজনের চোখেই পানি।কেননা একে অপরের ভাবি,ননদ ছিলো না।বরং ভালো বন্ধু ছিলো।
নিশি বিছানায় বসে বাবার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল,
–বাবা,চোখ খোলো দেখো কে এসেছে।
আস্তে আস্তে চোখ খোলে জিজ্ঞেস করলো,
–কে এসেছে?
–বাবা সামু এসেছে।(সামুর দিকে ইশারা করে)
আহনাফ চৌধুরী সামুকে দেখে অনেক অবাক হয়।তারপর হাত বাড়িয়ে ইশারা করে।সামু হাত ধরে পাশে বসে।
–মা,তুই এসেছিস?এই বুড়ো বাপের প্রতি রাগ, অভিমান কমেছে?
–তোমার প্রতি আমার কোনো দিন রাগ,অভিমান ছিলো না আর না আছে।তুমি আমার কাছে সবসময় একি ছিলে।আমি খোজ নেইনি কারণ আমি আমার অতীত ভুলে থাকতে চেয়েছিলাম তাই।
আদিবা আদির কোলে দরজার সামনে।ভিতরে কি হচ্ছে জানার জন্য আকুপাকু করছে।তারপর আদিকে বললো, চলো।
আদি আদিবাকে বেডের সামনে নিয়ে দাড়ালো।সামু তখনও বাবার সাথে কথা বলছে।বিছানায় শুয়ে থাকা ব্যক্তিকে দেখে আদিবার কোতুহলী হলো।নিজের কৌতুহল চাপা রাখতে না পেরে আদিকে জোরে জিজ্ঞেস করলো,
–পাপা,এটা কি আমার দাদু?
সবার দৃষ্টি আদিবার দিকে।সবাইকে এভাবে চেয়ে থাকতে দেখে আদিবা ঘাবড়ে যায়।আদিবা আদির দিকে চেয়ে রইলো।
আদি মুচকি হেসে বললো,
–হ্যা মা এটাই তোমার দাদু।
আদির বাবা অবাক হয়ে বললো,
–বাচ্চাটা কে?
নিশি উচ্ছ্বসিত হয়ে বললো,তোমার নাতনী।ভাইয়া আর সামুর মেয়ে।
বিস্ময় নিয়ে বললো,
–কি!!
আদির বাবার চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে গেলো।
–কি বলছিস আদির মেয়ে?
আদি বললো,হ্যা।বাবা।
আদি আদিবাকে বিছানায় নামিয়ে দিলো।আদিবা কাছে গিয়ে বসে।
উচ্ছ্বসিত হয়ে সামুকে জিজ্ঞেস করে,
–কি নাম ওর?
সামু বলার আগেই নিশি বললো,
–বাবা ওকে জিজ্ঞেস করো,,দেখো কত সুন্দর করে বলে?
–কি নাম তোমার?
–আদিবা সাজান্তা চৌধুরী।
–বাহ!বেশ সুন্দর নাম তো আমার ছোট গিন্নির।আমাকে তোমার পছন্দ হয়েছে?
–হ্যা,তোমার কি সুন্দর বড় বড় দাড়ি,,নানা ভাইয়ের মতো?
–বিয়ে করবে আমাকে,?
–না,,
–কেন?(মন খারাপের ভান করে)
–তুমি অনেক বুড়ো।দাঁড়ি পেকে গেছে।নানার ও পেকে গেছে।তাই তাকেও বলেছি বিয়ে করবোনা।
–তাহলে কাকে বিয়ে করবে?
–পাপা বলেছে আমি মাম্মার চেয়েও সুন্দর।তাই আমি পাপার চেয়ে বেশি হ্যান্ডসাম বয়কে বিয়ে করবো।
সবাই ওর কথা শুনে হেসে দেয়।আহনাফ চৌধুরী ও হাসছে।
–আমার ছোট গিন্নি এসে পড়েছে।এবার আমি সুস্থ হয়ে যাবো।
–হ্যা বাবা,তাড়াতাড়ি বিছানা ছাড়ো তো।তোমাকে এভাবে মানায় না।(সামু)
–হ্যা,তোরা এসে গেছিস আমি এবার সুস্থ হয়ে যাবো।
সামুর মুখ কালো হয়ে গেলো।ও এখানে এই জন্যই আসতে চায়নি।এখানে আসলে মায়ায় জড়িয়ে যাবে।যেতে ইচ্ছে করবেনা।সবাই থাকতে বলবে,,মানাও করতে পারবেনা।
–কি রে সামু,চুপ করে আছিস কেন?চলে যাবি আবার?
আদিবা বলে উঠে,
–কেন যাবো?পাপা বলেছে এটা আমাদের বাড়ি,আমার বাড়ি।আমরা এখানেই থাকবো।মাম্মা,পাপা,তুমি সবাই একসাথে থাকবো।কত মজা হবে।তাই না মাম্মা?
সানুর দিকে অতি আগ্রহের সাথে চেয়ে আছে হ্যা শুনার আশায়।সামু আদিবার চোখের ভাষা বুঝতে পারছে।নাহ মেয়েটাকে আর কষ্ট দিবেনা,ওর ফ্যামিলি থেকে দূরে রাখবেনা।
সামু মৃদু হেসে বললো, হ্যা।
আদিবা লাফিয়ে উঠলো।আমরা এখানে থাকবো।দাদু আমরা এখানে থাকবো।
আদিও আশ্বস্ত হলো। সবার সামনে যখন বলেছে তারমানে থাকবে।
আদির বাবা বললো, কথা দে,যাবি না,,
–কথা দিলাম।
.
.
সামু আদিবাকে ঘুম পাড়াচ্ছে।আদিবা পাপা মাম্মার রুম দেখে,ছবি দেখে অনেক খুশি হয়েছে।ওর খুব পছন্দ হয়েছে।দৌড় ঝাপ করে ক্লান্ত হয়ে গেছে।নতুন জায়গায় এসে ঘুমাতেই চায়নি।অনেক রাত হওয়ায় জোর করে ঘুম পাড়াচ্ছে।
আদিবাকে মাঝে শুইয়েছে।সামু একপাশে আর আদির জন্য অন্য পাশে জায়গা রেখেছে।সামুর চোখ লেগে এসেছে।হঠাৎ কারো স্পর্শ পেয়ে চোখ মেলে।আদি ওর কোমড় জড়িয়ে ওর পাশেই শুয়ে আছে।সামু রেগে গেলো।
–আদি,,তুমি এখানে কেন?নিজের জায়গায় যাও।
–উহু,,
–আদি,,ভালো হবে না কিন্তু,, তুমি ভুলে গেছো তুমি আমাকে কিডন্যাপ করেছো?
–ভুলিনি।এর জন্য তুমি আমাকে অনেক মেরেছো।আর দেখো তোমাকে কিডন্যাপ না করলে তুমি আসতে না।আর না আসলে আদিবা একটা হাসিখুশি পরিবার পেতো না।।আর তোমারও তো ভালো লেগেছে।তুমি ওদের সাথে কতটা খুশি আমি দেখেছি।
–সেটা আগেই সম্ভব হতো যদি তুমি ৫বছর আগে অমন কাহিনী না করতে।
–এর জন্য তো আমি সরি বলছি,আমি অনেক অনুতপ্ত।এছাড়া আমি আর কি করতে পারি?মরে যেতে বলছো?
সামু আর কোনো কথা বললো না।আদির ঘুমের অপেক্ষা করছে। ও ঘুমিয়ে পড়লে অন্য পাশে চলে যাবে।
অনেকক্ষণ পর সামু আদির নাড়াচাড়া না পেয়ে বুঝলো ঘুমিয়ে পড়েছে।তারপর হাত সরিয়ে উঠতে নিবে তখনই আদি ঝাপটে ধরে।
সামান্তা অবাক হয়ে বললো,
–তুমি জেগে আছো?ঘুমাওনি?
—ঘুমিয়েছিলাম নাড়াচাড়ায় জেগে গেছি।আমার ঘুম অনেক হালকা। সামান্য শব্দ আর নড়াচড়ায় ঘুম ভেঙে যায়।
–কি তোমার ঘুম হালকা? মজা করছো?বোম মেরে দিলেও তোমার ঘুম ভাংগে না।
–আমার কোনো কিছুই আগের মতো নেই।সব অভ্যাস বদলে গেছে।এখন আমার এত ঘুম আসেনা।৫বছর যাবত ঘুম হারিয়ে গেছে।
–আমার এখানে থাকলে আমি নড়াচড়া করবোই।তোমার জায়গায় যাও।
–যাবোনা।
–তুমি কি জোর জবরদস্তি করবে?
সামুর কথা শুনে ওকে ছেড়ে দিয়ে উঠে গেলো।
–নাহ,,আমি আর কোনো দিন কোনো কিছুর জন্য তোমাকে জোর করবোনা।আমাকে মাফ করার জন্য ও না।তবে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে মাফ চাইবো।আমার বিশ্বাস একদিন না একদিন তুমি আমাকে মাফ করবেই।
আদি সোফায় গিয়ে শুয়ে পরলো।সামু আদির দিকে চেয়ে রইলো।ওর এক কথায় এতটা দূরে যাবে ভাবেনি।
সকালে ঘুম ভাংতেই সামু ঘড়িতে সময় দেখে ৮টা ১০।সামু উঠে বসে।ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়ে গেছে।আদিবা কিংবা আদি কেউ রুমে নেই।
সামু মনে মনে বলছে,
–যা বাবা,,দুই ঘুম কাতুরে উঠে গেছে আর আমি পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছি।
সামু উঠে বারান্দায় গিয়ে দাড়ালো।সেই বেড,দোলনা সব আছে।সামু রেলিং ধরে দাড়ালো।গার্ডেনে চোখ যেতেই দেখে আদি আর আদিবা ফুটবল খেলছে।আদিবা ফ্রক বদলে টিশার্ট আর হাফ প্যান্ট পড়েছে।চুলের বেনী খোলে ঝুটি করেছে।এসব যে আদি করে দিয়েছে বুঝতে বাকি নেই।
–আদি তুমি অনেক বড় হয়ে গেছো।বাবা হয়েছো বলে কথা।
তারপর আদিবাকে ডাকলো।
–আদিবা!!
আদিবা খেলা রেখে সামুর দিকে চাইলো।তারপর জোরে শব্দ করে বললো,
–মাম্মা আমি পাপার সাথে খেলছি।তুমিও এসো।
–আসছি।
সামু কোনোরকমে ফ্রেশ হয়ে গার্ডেনে চলে গেলো।
সামু দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওদের দেখছে।হঠাৎ করে আদি খেলা থামিয়ে বললো,
–আদিবা আজ আর খেলতে হবেনা।ব্রেকফাস্ট করে রেডি হয়ে নেও।নতুন স্কুলে ভর্তি হতে হবে।
সামু যেতে চাইলে রেডি হয়ে নিও।
বলেই আদিবাকে নিয়ে চলে গেলো।সামু বুঝতে পারলো গতকালের ঘটনার জন্য আদি অভিমান করে আছে।
আদিবা দাদির হাতে খাচ্ছে।আর দাদা হুইলচেয়ারে বসে আছে।নার্স এসে কি সব বলছে।আদি ফ্রেশ হওয়ার জন্য রুমে যেতেই থ।হা করে চেয়ে আছে সামুর দিকে।সামু প্লাজো পড়া।শরীরে টাওয়ার জড়ানো তার উপর কাধে ওড়না জড়ানো।চুলে তোয়ালে পেচানো।বিরক্ত আলমারিতে কি যেন খুজছে।এমন অদ্ভুৎ পোশাকে সামুকে দেখে আদি চোখ বড়বড় করে চেয়ে আছে।সামু আদিকে দেখে
আহ করে চিতকার দেয়।
–তুমি!!
–তুমি এটা কি পড়েছো?
সামু এগিয়ে গিয়ে কোমড়ে হাত দিয়ে চোখ মুখ কুচকে বললো,
–আমাকে কিডন্যাপ করেছো?কিন্তু আমার জন্য জামাকাপড় এনেছো?
আদি বিস্ময় নিয়ে বললো, কেন আলমারি ভর্তি জামাকাপড়।এত জামাকাপড়েও হয় না?
সামু আমতা আমতা করে বলল,
–ইয়ে,,মানে,,একটা জামাও গায়ে লাগছেনা।আগের চেয়ে মোটা হয়ে গেছি।
আদি সামুকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিয়ে হোহো করে হেসে দিলো।
তা দেখে সামুর রাগ বেড়ে গেলো।
–হো হো করে না হেসে আমার জামার ব্যবস্থা করো।আমি এভাবে আর কতক্ষণ থাকবো?
–আরে এভাবেই থাকো।ড্রেসটা সেই।সামনের ঈদে এই ড্রেস ভাইরাল হবে ১০০% হাহা।।
সামু আদির কথা শুনে রাগে ফুসছে।
চলবে,,,