তোর নামের রোদ্দুর২ পর্ব 36

0
1344

#তোর_নামের_রোদ্দুর-২
#লেখনিতে:মিথিলা মাশরেকা
পর্বঃ৩৬

-শুদ্ধ তো শুদ্ধই নয়!ইরহাম আজাদ শুদ্ধ নামে যে মানুষটাকে চিনে এসেছো এতোদিন,সে আসলে কেউই হয়না তোমাদের ইনসিয়া।ওই মানুষটা নাম,পরিচয়হীন একটা মানুষ।কোনো পরিচয় নেই ওর।আসাদুজ্জামান আজাদের সাথে রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই ওর।ওকে তো অ্যাডপ করা হয়েছিলো।কোনো এক এতিমখানা থেকে!

আয়ানের কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম।চোখের সামনে থাকা ওনার হাতের পেপারটায় সত্যিই বাচ্চা এডপশনের সবরকমের ফর্মালিটিজ লেখা।তাতে আব্বুর সইও আছে।টুপ করে দুফোটা জল গরিয়ে পরলো চোখ থেকে।হুশ ফিরতেই চেচিয়ে বললাম,

-হাউ ডেয়ার ইউ?আপনি আবারো আমাকে জাল কাগজপত্র দেখিয়ে ভুল বোঝানোর চিন্তায় আছেন?শুদ্ধ আসাদুজ্জামান আজাদেরই সন্তান!উনিই ইরহাম আজাদ শুদ্ধ!আর…

আয়ান আবারো মুখ বেধে দিলেন আমার।ছটফট করতে লাগলাম।উনি বললেন,

-আমাকে শেষ করতে দাও আগে!বলেছি তো,বলার হিউজ অপারচুনেটি করে দেবো তোমাকে।কি যেনো বলছিলাম?ও!হ্যাঁ,এইতো!আমার তরফ থেকে তোমার জন্য গিফট্!সারপ্রাইইইজ!

….

লিসেন ইনসিয়া,এতিমখানার সমস্ত ডিটেইলস্ ওখানে দেওয়া আছে।মিসেস আজাদ প্রেগন্সিতে পরে টরে গিয়েছিলেন হয়তোবা।হসপিটালে সিজারিয়ান অপারেশনে মিসেস আজাদ যে শুধু প্যারালাইজড্ হয়েছিলেন তাই নয়,তার সন্তানও মৃত হয়েই জন্ম নিয়েছিলো।তাছাড়া ডক্টরেরা এটাও বলেছিলো,তার ওভারির কোনো প্রবলেমের জন্য নাকি সন্তানধারন ক্ষমতাও হারিয়েছিলেন উনি।তিনদিন সেন্সলেস অবস্থায় পরে ছিলেন উনি।এই সবটার মেডিকেল রিপোর্টও আছে।এই দেখো!

তবে হ্যাঁ,মিস্টার আজাদের বুদ্ধির তারিফ করতে হয়!ওয়াইফকে কষ্ট দেবেন না বলে কোনোভাবেই তাকে জানতে দেননি,বাচ্চাটা মৃত ছিলো।ইনফ্যাক্ট,কাউকেই জানতে দেননি।সবাই জানতো,তাদের সন্তান ভেন্টিলেশনে আছে।আর যুগটাও কিছুটা পিছানো ছিলো,ডক্টর একবার মানা করাতেই ভয়ে তোমাদের শেহনাজ মন্জিলের কেউ বাচ্চার দিকে পা বাড়ায় নি।মৃত সন্তান জন্ম দেওয়া সত্ত্বেও তিনদিন পর মিসেস আজাদের কোলে আসে ফুটফুটে,জীবিত সন্তান,অ্যাডপটড্!শুদ্ধ!

গায়ের জোর কমে আসতে লাগলো।সমস্ত ডিটেইলস্ ওভাবেই দেওয়া যেভাবে উনি বলছেন।শুদ্ধ,আব্বু,দীদুন,দাদুভাই সবার অদ্ভুত ব্যবহারগুলো চোখের সামনে ভাসতে লাগলো আমার।এজন্যই কি তবে শুদ্ধ সে রাতে জিজ্ঞাসা করেছিলেন আমাকে,সম্পর্ক কি দিয়ে বিবেচনা করা উচিত?এই কথাটা তবে উনি জানেন?আয়ান বললেন,

-হ্যাঁ,এখন তুমি বলতে পারো আমি এতোসব কিভাবে জানি।আসলে,কথাটা শুদ্ধই কোনোভাবে জেনে যায় দুবছর আগে।অনেকটাই ভেঙে পরে বলে ফেলেছিলো আমার কাছে এ কথাটা।হয়তো মিস্টার আজাদ সামলে নিয়েছিলেন ওকে।তাই আর এ নিয়ে কথা বাড়ায় নি ও।আর আমিও বরাবরের মতো ওর কোনো কষ্টকে পাত্তা দেইনি!

পুরোপুরিভাবে নুইয়ে গেলাম।যদি এটাই সত্যি হয়,তবে শুদ্ধ সবটাই জানেন!নিজেকে রক্তশুন্য বলে মনে হতে লাগলো।উনি জানেন,আম্মু ওনার নিজের আম্মু না।আব্বু ওনার নিজের আব্বু না।এটা জানার পর কি কি অনুভুতি হয়েছিলো তার?এতোবড় সত্যিটা শুনে কিভাবে সামলেছিলেন উনি নিজেকে?এই মানুষটা এতোটা কষ্ট বুকে রেখে কি করে সবার মধ্যে হাসিখুশিভাবে থাকেন?কিভাবে?আয়ান বলছেনই,

-তোমাদের বিয়ের পরথেকেই,আমি চেয়েছিলাম যেকোনোভাবে তোমাদের সম্পর্কটা নষ্ট করতে,তাই ইচ এন্ড এভরিথিং কালেক্ট করি শুদ্ধর বিষয়ে!জানতে পারলাম,তোমার দাদুভাইকে মিস্টার আজাদ বলেছিলো শুদ্ধর সত্যিটা।তাই তিনি ঠিক করে যান,মারা যাওয়ার আগে অন্তত তোমাকে শুদ্ধর পিছুটান করে যাবেন।এজন্যই সেদিন ছেলেখেলার মতো আংটি পরিয়েছিলো শুদ্ধ তোমাকে।ইফ আ’ম নট রং,হয়তো সেদিনই শুদ্ধ সত্যিটা জেনে যায়।কারন তারপরই একটু একটু করে বিধ্বস্ত হতে দেখছিলাম ওকে।গুটিয়ে রাখতে শুরু করেছিলো নিজেকে ও।

এরপর আসে তোমাদের বিয়ের দিন!সেদিন শেহনাজ মন্জিলে ঘটা ঘটনাগুলোর কিছুই জানায়নি শুদ্ধ আমাকে।তবে হ্যাঁ,জেনেছি অনেকটাই আমি।বিয়েটা যে তোমাদের অস্বাভাবিকভাবে হয়েছে সেটা বুঝতে পেরেছিলাম।আর পরে তোমার আব্বুর অমতের বিষয়ে মাহির কাছ থেকে জানতে পারি।যদিও ও জানে না কিছুই,তবুও যেটুক‌ বলেছিলো,ইট ওয়াজ প্রিটি এনাফ!

তোমাদের বিয়ের দিন যখন মিস্টার আজাদ আমাকে ফোন করেছিলো,কলটা মুন রিসিভ করেছিলো ইনসিয়া।শুদ্ধের বিয়ে শুনে সুইসাইড করতে যায় ও।আমি তখনও অফিসে,মোবাইল বাসাতেই ফেলে এসেছিলাম।অফিসের এক স্টাফ জানায় আজাদ ম্যানশনে চলে যেতে।তারপর সেখানে কোনোকিছু না জেনে পুরো বাসাকে নববধুর মতো সাজিয়েছিলাম আমি নিজের হাতে।বোনের সুখ মিস্টার আজাদের কাছে ভিক্ষা চাইবো বলে নিজের সবটুকো বিশ্বস্ততা দিয়ে কাজ করে এসেছি এতোগুলো দিন।নিজের পরিবারের খবরও নেইনি সেদিন।আর দিনশেষে?দিনশেষে খবর পাই শুদ্ধর বিয়ের আর মুনের সুইসাইড এটেমপ্টের।

তুমি ভাবতে পারো?ভাবতে পারো ইনসিয়া কি অবস্থা হয়েছিলো কথাদুটো শুনে আমার?পাগলের মতো চলে যাই হসপিটাল।তোমাকে বিয়ে করে ঢাকায় ফিরে শুদ্ধ ফোন করেছিলো‌ আমাকে।মুনকে হসপিটালে ফেলে‌ ছুটে যাই ওর কাছে।ওকে খুন করবো বলে।কিন্তু ওকে ড্রাংক‌ দেখে বুঝে গিয়েছিলাম,কিছু একটা হয়েছে,যাতে আমার কিছু করার আগেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে ও!

শুদ্ধ আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো বলে ফেলেছিলো সেদিন,রক্তের সম্পর্ক নেই বলে সত্যিই কি আমি এসবের যোগ্য নই আয়ান?তারপর ওর ব্যাপারে আমি সবটা খোজ লাগাই।একদম জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে সবটা।যখন জেনে যাই,ও‌ অ্যাডপ্টড্,আই ওয়াজ ড্যাম শিওর!তোমার আব্বু শুদ্ধর মিথ্যে পরিচয়টা কোনোভাবে জেনে গিয়েছিলেন।এজন্যই চাননি একজন পরিচয়হীন কারো হাতে তোমাকে তুলে দিতে!কিন্তু আমার বোন?আমার বোনকে তো সবটা জেনেই আমি শুদ্ধর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলাম।তাহলে আমার দোষটা কোথায় ইনসিয়া?বলো!আমার দোষটা কোথায়?

এতোক্ষনে সবটা পরিষ্কার হতে লাগলো আমার।আব্বু কেনো পছন্দ করতেন না শুদ্ধকে।আব্বুকে চিনি আমি।উনি যেকোনো সম্পর্কের বিষয়ে খুবই কঠোর।তা বলে একটা মানুষকে,শুদ্ধের মতো কাউকে তার সত্ত্বা দিয়ে বিবেচনা না করে,রক্তের সম্পর্ক আছে কি না সেই প্রশ্নে এভাবে দুরে ঠেলে দিলেন উনি?এমনটা আশা করিনি তার থেকে।এই ছোট বিষয়টার জন্য উনি শুদ্ধকে আমার জীবনেই চাননি।ভাবতেও নিজের কাছে নিজেকেই ছোট মনে হতে লাগলো।দীদুন ঠিকই বলেছিলো।বিয়ের দিন আব্বুর কাছে চাওয়া আমার দোয়া কবুল হয়েছে।আজ সত্যিই শুদ্ধর সেই রক্তের সম্পর্ক না থাকা কারনটাই আম্মুর জীবন বাচিয়েছে।আয়ান বললেন,

-শুদ্ধকে যতোদুর আমি চিনি,তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসলেও,আপন করাটা ওর কাছে অসম্ভব ছিলো।কারন তুমি ওকে ভালোবাসো না।আর ওউ ওর জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যিটা লুকিয়েছে তোমার থেকে।এই এতোবড় বড় দুটো কারনে,তোমরা একে অপরকে ডিসার্ভ করো না ইনসিয়া!

আয়ান মুখ খুলে দিলেন আমার।দম মেরে বসে আছি আমি।উনি আমার হাতটাও খুলে দিলেন।তারপর পায়ের বাধনও।বললেন,

-এবার বলো ইনসিয়া,আমি ভুলটা কি করছি?শুদ্ধও একতরফা ভালোবাসে তোমাকে,আর মুন ওকে।তোমার বাবা শুদ্ধকে মানেন না,কিন্তু আমি মানি।তাই তোমাকে নিয়ে কোনোদিনই খুশি হবে না শুদ্ধ!শুদ্ধর লাইফ থেকে তুমি সর্….

-শুদ্ধর ভালোবাসা একতরফা নয় মিস্টার চৌধুরী।আমিও ওনাকে ভালোবাসি।

নিচদিক তাকিয়ে একদম শান্তভাবে বললাম কথাটা।আয়ান কিছুক্ষন ভ্রুকুটি করে তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে।তারপর জোর করে হেসে বললেন,

-ইউ আর কিডিং রাইট?মজা করছো তুমি?একজন বেনামী মানুষকে….

এবার উঠে দাড়িয়ে তারদিক শক্ত চোখে তাকিয়ে বললাম,

-মজা করার মতো সম্পর্ক নয় আমাদের মিস্টার চৌধুরী!আর শুদ্ধ বেনামী নন!উনি আমার বর!ইরহাম আজাদ শুদ্ধ!আমি ওনাকেই‌ ভালোবাসি!আপনার এইসব কথায়,এইসব ফালতু কাগজপত্রে তার পরিচয় বা আমার ভালোবাসায় বিন্দুমাত্র আঁচ আসবে না মিস্টার চৌধুরী!আমি আসতে দেবো না!

আয়ানের কুচকানো কপাল‌ শিথিল হলো।বিরক্তির চেহারা করে আশেপাশে তাকালেন।জোরে একটা শ্বাস ফেলে চোয়াল শক্ত করে বললেন,

-কান খুলে শুনে নাও ইনসিয়া!এতোক্ষন যা যা বললাম তোমাকে,তার প্রতিটা বর্ন সত্যি।বাট ট্রাস্ট মি,আরো আকাশপাতাল এক করে এ কথার সত্যতা তোমার কাছে প্রমান করার মিনিমাম ইচ্ছে আমার নেই।তুমি তো সেটাই করবে,যেটা আমি করতে বলবো তোমাকে!শুদ্ধর জীবন থেকে সরে যাবে তুমি!

-যদি না করি?

-যদিও পালিত,তবুও শুদ্ধের সবচেয়ে কাছের,ওর আম্মুকে আর কোনোদিনও দেখতে পাবে না ও!

দু পা পিছিয়ে গেলাম।পরে যাচ্ছিলাম,চেয়ার ধরে কোনোমতে সামলালাম নিজেকে।আমি দুরে গেলে শুদ্ধ বেচে গিয়েও মরে যাবেন,আর আম্মুর কিছু হয়ে গেলে যে শুদ্ধ সত্যিসত্যিই মরে যাবেন!কি করবো আমি এখন?কোনদিকে যাবো?আয়ান টেবিলে রাখা পেপারওয়েটটা হাতে নিয়ে হাটতে হাটতে বললেন,

-তুমি শুদ্ধকে হ্যাকিং নিয়ে কিছু বললে সেটা খুব একটা গায়ে মাখতো না ও,আমি জানি।কারন তুমি নিজেই তা বিশ্বাস করো নি।তোমাকে দিয়েই বিশ্বাস জিনিসটা পরখ করা হয়ে গেছে আমার।তাই এবার ওকে তুমি শুধু ব্যাংক রোবারি না,পরিচয়হীন,ঠকবাজ বলে কথা শোনাবে।বলবে,ওর কোনো কিছুই নিজের না।আজাদ গ্রুপের উত্তরসুরী নয় ও।ওর যা আছে,কোনোকিছুই ওর প্রাপ্য না।আরো যেভাবে বললে ও নিজে থেকে দুরে সরিয়ে দেবে তোমাকে,সেভাবে বলবে।

শব্দ করে কেদে দিলাম।মাটিতে বসে পরে আয়ানের পা জরিয়ে ধরলাম আমি।বললাম,

-ছেড়ে দিন আমাদের আয়ান!প্লিজ যেতে দিন আমাদেরকে!পারবো না আমি!পারবো না শুদ্ধকে এসব বলতে!আপনি তো বললেন আপনি শুদ্ধকে আঘাত করবেন না।এসব বললে যে শুদ্ধ জীবন্ত লাশ হয়ে যাবে আয়ান!দয়া করুন!একটু দয়া করুন আমাদের উপর!

আয়ান তার পা সরিয়ে নিলেন।বললেন,

-হ্যাঁ আমি বলেছি,শুদ্ধকে আঘাত করবো না।কিন্তু এই সাময়িক ধাক্কা না দিলে তুমি ওর জীবন থেকে সরবে না,আর মুনও ওর জীবনে আসবে না।ইটস্ আ….

-সাময়িক ধাক্কা?উনি পাগলের মতো ভালোবাসেন আমাকে আয়ান!পাঁচ পাঁচটা বছর ধরে!আমি তার জীবন থেকে সর্….

-লিসেন,আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু নো ইউর লাভস্টোরি!কোনো ইন্টারেস্ট আমার নেই ওতে!আমি আমার বোনের জীবনের ভালোবাসাটা শুধু ফিরিয়ে দিতে চাই।দ্যাটস্ ইট!তোমাকে যখন শুদ্ধ ওর লাইফ থেকে সরিয়ে দেবে,আমি বুঝাবো ওকে,মুন ওকে কতোটা ভালোবাসে।তাছাড়া মুনের প্রতি যে ওর কোনো সফট্ কর্নার নেই,তাও নয়।ও বরাবরই টেক কেয়ার করতো মুনের।এখন তো জানে ওকে আবারো বিদেশ পাঠিয়েছি আমি।যখন জানবে ও হসপিটালাইজড্,ঠিক চলে যাবে ওর কাছে।তোমার কাছে আর এসব ব্যাখা করার প্রয়োজনবোধ করছি না আমি।

-কিন্তু আয়ান…

-এনাফ অফ ইট ইনসিয়া!আর কোনো কথা নয়!চয়েজ ইজ ইউরস্!হয় তুমি সরবে শুদ্ধর জীবন থেকে,নয়তো ওর পালিত মা!বিশ্বাস করো,যদি এমনটা না করো তুমি,তোমার আম্মুর চেয়ে মিসেস আজাদকে আরো বেশি কষ্ট পেতে হবে।তাকে….

-না!না আয়ান!কিছুই করবেন না আম্মুকে প্লিজ!কিছুই করবেন না!আপনি যা বলবেন,তাই করবো আমি!সবটা বলবো!ঠকবাজ বলবো,পরিচয়হীন বলবো,লোভী,হ্যাকার সব,সব বলবো শুদ্ধকে!ওনার ঘৃনা নিয়ে সরে যাবো ওনার জীবন থেকে!চিরতরে!

আয়ান বাকা হাসলেন।বুকে দুহাত গুজে চিৎকার করে কাদতে লাগলাম আমি।পৃথিবীটা এতো‌নিষ্ঠুর কেনো শুদ্ধ?সময়টা এতো বেসামাল কেনো?যেখানে আপনি ভালোবাসি শোনার অপেক্ষায়,সেখানে এতোগুলো কঠোর কথা শুনতে হবে আপনাকে শুদ্ধ।বিয়ের দিন আব্বু হয়তো এগুলোই বলেছিলেন আপনাকে।তাই আপনার ওই অবস্থা হয়েছিলো সেদিন।আজ আমি এগুলো বললে আপনি তো শেষ হয়ে যাবেন শুদ্ধ!কি করবো আমি বলুন?কি‌ করবো?করার কিছু আছে কি আমার?নিয়তি যে প্রতিবারই আমাদের সামনে এই অসহনীয় পরিস্থিতি দাড় করিয়ে দিচ্ছে।আর এবার হয়তো শেষবারের মতো!চিরতরে সরে যেতে হবে আমাকে আপনার জীবন থেকে!আজীবনের জন্য!

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here