#তোর_নামের_রোদ্দুর-২
#লেখনিতে:মিথিলা মাশরেকা
পর্বঃ২৭
হাত পিছনে দিয়ে টেবিলে ঠেস দিয়ে কোনোমতে দাড়িয়ে আছি।শুদ্ধ আরেকটু এগোলেই উপরে উঠে বসার মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া শেষ আমার।গোসল শেষে তোয়ালে মাথায় পেচিয়ে বেরিয়ে আগে ব্যালকনিতে ভিজে জামাটা মেলে দিয়ে আসছিলাম।শুদ্ধ বেডে সুন্দরমতো বসে কিছু ফাইলস্ নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিলেন।আমি মানুষটার কোনো খেয়ালই নেই তার।
সকাল থেকে কথাও বলেননি তেমন।ব্রেকফাস্ট শেষে বাকিটা সময় কেটেছে আমার আপু,ভাইয়াদের রঙ বেরঙের কথা শুনতে শুনতে।আর উনি?রিল্যাক্সে অফিসের কাজে ব্যস্ত!রাগ হলো।ধুপধাপ করে হেটে শব্দ করে চেয়ার টেনে বসলাম।শুদ্ধ একপলক আমার দিকে তাকিয়ে আবারো নিজের কাজে মনোযোগ দিতে যাচ্ছিলেন।কি মনে করে আবারো তাকালেন আমার দিকে।
বিরক্তি,রাগ নিয়ে দাতে নখ কাটতে লাগলাম আমি।চোখ তুলে দেখি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে,বেড থেকে নেমে শুদ্ধ এগোচ্ছেন আমার দিকে।গভীর চাওনি তার।এবার আমার চাওনিরও বদল ঘটলো।রাগটা কিঞ্চিত ভয়ে পরিনত হলো।কাচুমাচু হয়ে উঠে দাড়ালাম।ততোক্ষনে শুদ্ধ এগিয়েছেন অনেকটাই।উনি একহাতে চেয়ারটা টেনে সরিয়ে দিলেন একপাশে।একটা শুকনো ঢোক গিলে টেবিলের সাথে লেপ্টে গিয়ে বললাম,
-ক্ কি?
শুদ্ধ আমার একপাশ দিয়ে হাত রাখলেন টেবিলে।চোখ খিচে বন্ধ করে নিলাম।গোড়ালি উচিয়ে টেবিলে উঠে বসতে যাবো,গলায় স্পর্শ!নুইয়ে গেলাম পুরোপুরি।যদিও তার স্পর্শ নতুন নয় আমার কাছে,কিন্তু প্রতিবারই নিজেকে এলোমেলো লাগে।তোয়ালে দিয়ে পেচিয়ে রেখেছি সব চুল।খানিকটা ভেজা চুল ছাড়া পেয়ে গলায় লেগে আছে।সেটাই সরিয়ে দিয়েছেন শুদ্ধ।কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে চোখ মেললাম।শুদ্ধ আরো কাছে চলে আসছিলেন।এবার লাফিয়ে টেবিলেই উঠে বসলাম আমি।শুদ্ধ পাশ দিয়ে হাত দিয়ে কলম নিয়ে সরে গেলেন।বেডে বসে বিরক্তি নিয়ে বললেন,
-বাদরের মতো লাফালাফি না করলে চলে না?
ফু দিয়ে নিশ্বাস ছাড়লাম।টেবিলে থেকে নেমে তার সামনে দাড়িয়ে কোমড়ে হাত গুজে বললাম,
-আমি বাদর?
-কোনো সন্দেহ?
-আপনি….
-একচুয়ালি না।তুই বাদর না!
ভাব নিয়ে বলতে যাচ্ছিলাম,
-রাইট ই্….
-আস্ত বাদরনি একটা!
রাগে পায়ের তলার মাটিও গরম হয়ে গেলো আমার।উনি ভাবলেশহীন।হাতের কলমটা ছিনিয়ে নিয়ে তারদিকে তাক করে বললাম,
-কি বললেন?আরেকবার বলুন?
বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে কলমটা হাত থেকে নিয়ে ফাইলে কিছু লিখতে যাচ্ছিলেন উনি।আমি ফাইলটাও সরিয়ে নিলাম।শুদ্ধ হাত ধরে টান লাগালেন।একটানে কোলে বসিয়ে নিলেন আমাকে।একহাতে কোমড় জরিয়ে রেখে আরেকহাতে ফাইল নেওয়ার চেষ্টায় উনি।কিন্তু আমার মুল চিন্তা ফাইল দেবো না তাকে আজ!অপমান করেছেন উনি আমাকে!আপাতত গায়ের জোর খাটিয়ে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টায় আছি।
হুট করে আমার মাথার তোয়ালে খুলে দিলেন শুদ্ধ।কি হলো?ফাইল ছেড়ে তোয়ালে কেনো?ঘাড় ঘুরিয়ে আড়চোখে তাকালাম তার দিক।উনি আমার থুতনি ধরে ঘাড় ঘুরিয়ে দিলেন।তারপর কাধে নাক ডুবালেন।দুহাতে পেট জরিয়ে রেখে ঘোর লাগা কন্ঠে বললেন,
-এটাই চাচ্ছিলি তুই,তাইনা?
শিহরন শুরু সারা শরীরজুড়ে আমার।শ্বাস আটকে যাওয়ার সে মুহুর্তেই নিরবে হাত থেকে ফাইলটা পরে গেলো।কাপতে কাপতে দুহাতে তার হাত সরাতে যাবো,উনি নিজেই আমাকে কোল থেকে নামিয়ে পাশে বসিয়ে দিলেন।গা ছাড়া ভাব নিয়ে ফাইলটা হাতে আবারো বেডে লেখতে বসলেন শুদ্ধ।আমি তো আটকেই আছি।উনি লেখালেখি করতে করতে বললেন,
-মাথা ঠিকমতো মুছে ফেল!জ্বর হবে!
….
-আর শোন!আমার কাজে ডিস্টার্ব করবি না একদম।একটু ছুয়ে দিলেই যার শরীর অবশ হয়ে আসে,এইভাবে কাপাকাপি শুরু হয়ে যায়,তার এটলিস্ট আমাকে গায়ের জোর দেখানো মানায় না!
সবটা বুঝে তোয়ালেটা নিয়ে চুপচাপ সরে এলাম বিছানা থেকে।মাথা মুছে নিলাম।নিউরনগুলো আচমকাই একটু বেশি কর্মক্ষম হয়ে উঠে জানান দিলো,
” লোকটা কাছে আসলে সত্যিই আমরা কাজ করা অফ দেই মনু।শুধু ওই বেটা হৃদপিন্ডটার কাজের গতি বাড়ে।যেটা শরীরের কাপাকাপি বাড়াতে আর তোকে অবশ করে দেওয়ার জন্য এনাফ।তাই তাকে ওসব গায়ের জোরটোর দেখাতে যাস না!কান খুলে শুনে নিয়ে মেমোরি সেলে সিল মেরে বসিয়ে নে ইনসু,ওই স্পর্শে সর্বনাশ আকা তোর!সর্বনাশ!”
-ইনসিয়া ভাবিইইইই!
মাহির ডাক।আগে দরজায়,তারপর শুদ্ধর দিকে তাকালাম।উনি সামনে থেকে ফাইলগুলো সরিয়ে বললেন,
-আমি খুলছি দরজা!
-দরজা তো খোলাই আছে,ওকে….
-ও?দরজা খোলাই রেখেছেন আপনি?হ্যাটস্ অফ!
আমি গলা উচিয়ে বললাম,
-মাহি?ভেতরে আসো।দরজা খোলাই আছে।
দাত কেলিয়ে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো মাহি।একহাতে আরেকহাতের আঙুল মোচড়াতে মোচড়াতে বললো,
-ইয়ে,ফুপি লান্চের জন্য ডাকছে তোমাদের।
-মাহি?এদিকে আয় তো!
উঠে যাচ্ছিলাম আমি।কিন্তু শুদ্ধের ডাকটা কেমন যেনো সুবিধার মনে হলো না।মাহি হাসিমুখে এগিয়ে গেলো তার দিকে।চেয়ার ধরে আগ্রহ নিয়ে দাড়িয়ে রইলাম।শুদ্ধ আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
-তুই মুর্তির মতো দাড়িয়ে রইলি কেনো?যা!
-আমি….
-যা!
মাহি যতোটা মাসুমভাবে হাসছিলো,ততোটাই খটকা লেগেছে শুদ্ধর ওমন ডাকে।হুট করেই আলিফের কথা মনে পরে গেলো।মাহির হাত ধরে বললাম,
-এ্ একসাথে যাবো আমরা।
শুদ্ধ আর কিছু বললেন না।আমি মাহিকে নিয়েই বেরোলাম।ডাইনিংয়ে সবাই খেতে বসে গেছে।দুমিনিটে শুদ্ধও চলে আসলেন।কিন্তু কেনো জানি না চিন্তা হচ্ছে আমার।খাওয়া বাদ দিয়ে নাড়ছি শুধু।শুদ্ধ ধীর গলায় বললেন,
-খাওয়া ছেড়ে ওমন করছিস কেনো তুই?
-হুম?ক্ কিছু না।
-তাহলে খাচ্ছিস না কেনো?সবার সামনে তখনকার মতো কোলে বসিয়ে খাইয়ে দেবো?
বড়বড় করে তাকালাম।উনি আবারো বললেন,
-কি বলিস?আমি কিন্তু সে সাহস…
বলতে বলতেই উনি হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন।আমি দাড়িয়ে গিয়ে কিছুটা জোরেসোরেই বললাম,
-না!
উপস্থিত সবাই তাকিয়ে আমার দিকে।তাপসী আপু বললো,
-কিরে ইনসু?কি হলো তোর?
শুদ্ধ আমাকেই বিরক্তি দেখিয়ে বললেন,
-হোয়াটস্ রং উইথ ইউ?শুধুশুধু এভাবে লাফালাফি করার কোনো মানে হয়?
শুধুশুধু?শব্দটা বেরোলো মুখ দিয়ে,তবে ধীরে।যীনাত আপু বললো,
-খাবি তো!নাকি?হয়েছে কি?
-ক্ কিছু না তো।কিছুইনাহ্!
মেকি হেসে বসে পরলাম।পাশে বসা ইশান ভাইয়া ঝুকে তাপসী আপুকে বিরবির করে বললো,
-আরে বোঝো না?ডাইনিং টেবিলের নিচে বিড়াল এসেছে হয়তোবা।
ওরা হাসতে লাগলো।চোখ বন্ধ করে জিভ কাটলাম।কিছু না ঘটলেও,আমার বোকামির জন্যই এইসব কথা শুনতে হয় আমাকে।তায়্যিব খাওয়া শেষ করে আমার পাশে এসে বললো,
-ইনসু মাম্মাম,শুদ্ধ মামু চুপিচুপি তোমার প্লেটের মাংস আগে ওর ভাতে মাখিয়ে এটো করে আবার তোমার প্লেটে ফেরত দিয়েছে।আমি দেখেছি!
সবাই একটু আটকে থেকে জোরে হাসতে লাগলো।বড়রাও ঠোট টিপে হাসছে।ব্যস!হয়ে গেলো!এটাই দেখার বাকি ছিলো।তীক্ষ্মচোখে তাকালাম শুদ্ধর দিকে।উনি কোনোদিক না তাকিয়ে খেতে খেতেই বললেন,
-চিকেনটা ঝাল হয়েছে।
চোখ সরিয়ে নিলাম।আই উইশ,যদি ভ্যানিশিং গ্যাজেট থাকতো আমার!কখনো কখনো গায়েব হয়ে যাওয়ার সুপারপাওয়ার বড্ড দরকার পরে যায়।গলা ঝেড়ে সেজোকাকু বললো,
-শুদ্ধ?তোমাদের বৌভাত রিসেপশন…
শুদ্ধ খাবার নাড়তে নাড়তে বললেন,
-ওটা থাক আব্বু।
বিস্ময়ে সবাই তাকালো তারদিক।সেজোমা বললো,
-থাকবে মানে?
-মানে আমি চাইছি না এখন বৌভাতের অনুষ্ঠানটা হোক।ইনফ্যাক্ট আমি চাই অনুষ্ঠানটা ততোদিন পর্যন্ত হবে না যতোদিন অবদি ছোটকাকু সবটা মেনে নিচ্ছে!
এবার আরো বিস্ময় সবার চেহারায়।সেজোকাকু,যীনাত আপু বাদে বাকি সব একজন আরেকজনের দিকে তাকালো।তাপসী আপু বললো,
-মেনে না নিচ্ছে মানে কি শুদ্ধ?ছোটকাকু তো…
যীনাত আপু বললো,
-আ্ আসলে হুট করে বিয়েটা হয়ে গেলো তো কাল।ছোটমামা চায়নি এতো তাড়াতাড়ি এসব হয়ে যাক।তাই আর কি…কাল ওনার চেহারাটা বলে দিচ্ছিলো,যথেষ্ট রেগে আছেন উনি শুদ্ধর উপর।শুদ্ধ ত্ তাই বলছে মেনে নেওয়ার কথা।
মামী বললেন,
-এই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে এমন রাগ করেছে যে….
সেজোমা বললো,
-ছোটখাটো বিষয় কেনো ভাবি?সব বাবাই চায় মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানটা ধুমধাম করে হোক।আর ইনসু তো ইয়াদ ভাইয়ের প্রান!এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না।
-না মানে শুধু এই কারনেই রিসেপশনটা….
-আমি বলে দিয়েছি রিসেপশন এখন হবে না,হবে না।দ্যাটস্ ইট!আর কথা বাড়িও না তোমরা!
খাবার শেষ করে এটুকো বলে শুদ্ধ হাত মুছে উঠে গেলেন।মুগ্ধ হয়ে তার চলে যাওয়ার দিকেই তাকিয়ে রইলাম।আমিও এমনটাই চেয়েছিলাম।আব্বুকে ছাড়া সবটাই মানতে কষ্ট হচ্ছে আমার।আর এই মানুষটা আমার ভালো লাগা,খারাপ লাগা সবটাই এভাবেই বুঝে যায়।না বললেও!
____________
বিকেলে ভাইয়া আপুরা ছাদে বসে সবাই আড্ডা দিচ্ছিলো।ওদের সাথেই গেলাম আমিও।শুদ্ধ রুমে ছিলেন না।সবার সামনে ডাকিও নি তাই।অবশ্য ভাইয়ারা খোজ করছিলো।সেজোমা বললো কাকুর সাথে তার রুমে সে।তাই আর কেউ ডাকে নি।আধাঘন্টার মতো পেরিয়ে গেছে।এরমধ্যেই,
-সিয়া!
শুদ্ধের ডাক!এই ডাকে কেমন কেমন যেনো লাগে।মনের মাঝে ঝংকার দিয়ে ওঠে একরকম।কখনো মনে হবে সব সুখ হৃদয়ের দরজায় কড়া নাড়ছে,কখনো মনে হবে সমস্ত লাজুকতা চারপাশ থেকে ধেয়ে আসছে,কখনো মনে হবে হারিয়ে গেলাম ওই ডাকের অতলে,কখনো বা মনে হবে পূর্নতায় নিঃশেষ হয়ে যাই আমি।আনমনে হাসি ফুটলো ঠোটের কোনে।তাপসী আপু বললো,
-গাইস?ওই দেখ!বউকে চোখে হারাচ্ছে শুদ্ধ!
ওরা হাসাহাসি শুরু করলো।আরো অনেক কথা হবে এখানে এখন।নিজেকে সামলানো খুব জরুরি।কাচুমাচু করতে লাগলাম।
-সিয়া!
-ওরে বাপরে!শুদ্ধ আসলেই তোকে চোখে হারাচ্ছে ইনসু!যা জলদি!নইলে আবার আমাদের আজাদ ম্যানশন থেকে বের না করে দেয়!তোমাদের জন্যই আমার বউ থাকে না আমার কাছে!
তামিম ভাইয়ার কথায় কান গরম হয়ে গেলো আমার।একছুটে চলে এলাম ওখান থেকে।যেমন এই লোক,ডাক লাগানোর সময় হুশ থাকে না!তেমন এই পরিবার,একবার শুরু করলে পর রক্ষে নেই!
রুমে এসে দেখি শুদ্ধ কফি হাতে ব্যালকনিতে বাইরে তাকিয়ে।কোনো আওয়াজ করিনি আমি।উনি আমার দিক না ফিরেই বললেন,
-কোথায় ছিলি?
-ভ্ ভাইয়া আপুদের সাথে ছাদে।
-ও।
উনি চুপচাপ কফি মগে চুমুক দিলেন।আরেকটু এগিয়ে গিয়ে বললাম,
-ওভাবে ডাকলেন যে?কিছু বলবেন?
….
-কিছু বলছেন না যে!
-তোর একাডেমিক কাগজপত্র এ বাসায় এনেছিস?
একটু অবাক হলাম।প্রকাশ না করে বললাম,
-না।ওগুলো শেহনাজ মন্জিলেই।
-ওহ্।
-হঠাৎ ওগুলো….
-নিয়ে আসতে হবে কাউকে দিয়ে।পড়াশোনাটাও তো করতে হবে তাইনা?সামনেই ভর্তি পরীক্ষা!আর তোর যা পড়াশোনা দেখছি!
পড়াশোনার কথা মনে পরতেই মন খারাপ হয়ে গেলো আমার।এই সবটাই সবটা এলোমেলো করে দিয়েছে।পরিকল্পনা তো অন্যটাই ছিলো।যাই থাক!আমার সব পরিকল্পনাই এখন শুদ্ধকে ঘিরে।নিচদিক তাকিয়ে ছিলাম।শুদ্ধ কফির মগ রেখে শক্ত করে জরিয়ে ধরলেন আমাকে।বললেন,
-বিশ্বাস কর সিয়া,তুই আছিস বলেই আমি আছি।এই জীবনে তোর অস্তিত্ব না থাকলে শুদ্ধরও কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।শেষ হয়ে যাবে শুদ্ধ।তুই ছাড়া কেউ,কোথাও খুজে পাবে না শুদ্ধকে!কেউ না!
আলতোভাবে হাত রাখলাম তার পিঠে।এভাবে তার বলা কথাগুলো যেনো নিশব্দে ভেঙেচুরে দিয়ে যাচ্ছিলো ভেতরটা,কোনো রিয়্যাক্ট করতে পারছি না।কিন্তু তার অনুপস্থিতির কথাটা মস্তিষ্কে আঘাত করতেই খামচে ধরলাম তার টিশার্ট।চোখ বন্ধ করে যেনো শুনতে পেলাম,দুজনের ভেতরটা একই কথা বলছে।আর যাই হোক,বিচ্ছেদ নয়!কোনোভাবেই,বিচ্ছেদ নয়!
#চলবে….