তোর নামের রোদ্দুর২ পর্ব 25

0
1075

#তোর_নামের_রোদ্দুর-২
#লেখনিতে:মিথিলা মাশরেকা
পর্বঃ২৫

টকটকে লাল লেহেঙ্গা,সর্বাঙ্গে গয়না,গলায় ফুলের মালা,মাথায় ঘোমটা,ইন্সট্যান্ট মেহেদীতে রাঙানো দুহাত সবটা মিলিয়ে বিয়ের কনে আজ আমি!কিন্তু ছোটছোট কারনে উৎসবমুখর হয়ে থাকা শেহনাজ মন্জিল আজ বিয়ের উৎসবে মেতে উঠতে পারে নি সেভাবে।বিয়েটা হয়েই গেলো।আমার আর শুদ্ধর।যার সাথে চেয়েছিলাম,তার সাথেই।তবে যেভাবে চেয়েছিলাম,সেভাবে নয়।সবরকম নিয়মনীতি মেনেই আজ বিয়েটা হলো।বাসার প্রতিটি মানুষের মুখে হাসিই ছিলো।আব্বু ব্যাতিত।সবাই হাসিমুখে নিজনিজ দায়িত্ব পালন করেছে।আর উনি?শুধু শান্ত হয়ে বসে ছিলেন।হয়তো দীদুন জোর করেছিলো,নয়তো শেষ অবদি তার অমতে বিয়েটা হয় কি না তাই দেখার জন্য বসে ছিলেন উনি।

পাথরের মতো বসে থেকে তিনবার কবুল বলে দিয়েছি।সবার সামনে শুদ্ধকে স্বামী বলে স্বীকার করে নিয়েছি।চোখের জল শেষ হয়ে এসেছে,নাকি থেমে গেছে তা জানি না।তবে কান্না থেমে যাওয়ার কারন অনেকগুলো ছিলো,এটা আমার মন জানে।দুঃখ একটাই,বিয়েটা যেভাবে হলো তা কোনোদিনও চাই নি আমি।আব্বুর কথা শুনেও আর পাঁচটা মেয়ের মতোই আশা বেধেছিলাম,হয়তো আব্বুর ভুল ভাঙবে,উনি নিজে আমার ভালোবাসার মানুষটাকে আমার পাশে এনে দাড় করাবেন,এমনটাই পরিস্থিতি তৈরী করবে আমার সেই ভালোবাসার মানুষ।কিন্তু হলো তো উল্টোটাই।

আব্বু তার মতে অটল রইলেন,আর শুদ্ধও তাকে বোঝানোর জন্য তেমন কিছুই করেন নি।বরং রেজিস্ট্রির কাগজ দেখিয়ে আব্বুকে আরো রাগীয়ে দিয়েছেন।উনি চাইলেই পারতেন আব্বুকে বোঝাতে।সময় নিয়ে।অবশ্য সময়!আর কতোই বা সময় নেবেন উনি?পাঁচটা বছর কি কম ছিলো?কিন্তু তা বলে আমাকেও থ্রেট দিতে পিছপা হন নি উনি।আমি নিজেকে কি করে সামলাবো?

জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন দুটো মানুষের এতো ভিন্নরুপ মানতে পারছি না একদমই।ভয় হচ্ছে।সম্পর্কের মায়াজালে জরিয়ে নিজের দায়িত্বগুলো ঠিকমতো পালন করতে পারবো তো?বিয়েটা শেষে যীনাত আপু আর ইরাম ধরে বাইরে নিয়ে এলো আমাকে।আম্মু কাদছিলো অনেক আগে থেকেই।বড়মা,মেজোমা,ইরামও।ইরাম কাদতে কাদতে আমাকে জরিয়ে ধরে বললো,

-মিস করবো।একটুখানি।তোমাকে নয়।এক ড্রামেবাজের ড্রামাকে!

শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম ওকে।দীদুন এগিয়ে বললো,

-এতোটা আনন্দ!আফসোস একটাই,এই আনন্দে তোর দাদুভাই শামিল হতে পারলেন না।

আমি দীদুনকেও জরিয়ে ধরলাম।দীদুন ফিসফিসিয়ে বললো,

-আরেকটা আফসোস,তোর বাসরঘরে যাওয়াটা হলো না।শুদ্ধটার একটু বেশিই তাড়া কিনা!

দীদুনকে ছেড়ে সোজা হয়ে দাড়ালাম।অনেকটাই পেছনে আম্মু দাড়িয়ে।এগিয়ে গিয়ে সামনে দাড়াতেই আম্মু আমাকে জরিয়ে ধরে আরো জোরে কেদে দিলো।নিশব্দে চোখ দিয়ে পানি পরছে আমার।শুদ্ধ এগিয়ে এসে আম্মুকে একহাতে জরিয়ে বললেন,

-কেদো না ছোটমা।ভরসা রাখো।

আম্মু কান্না কমিয়ে‌ বললো,

-ওকে দেখে‌ রেখো শুদ্ধ।

শুদ্ধ মাথা নিচু করে বললেন,

-যো হুকুম।

গুটিগুটি পায়ে আব্বুর দিকে এগোলাম।উনি অন্যদিক মুখ করে দাড়িয়ে।আম্মু শুদ্ধকে ছাড়িয়ে এসে বললো,

-ইনসুর আব্বু,এবারতো স্বাভাবিক হন আপনি!মেয়েটা চলে যাচ্ছে!এখনও আপনি এভাবে….

আম্মু হুহু করে কাদতে লাগলো আবারো।আর কেউ বুঝুক,না বুঝুক।সহধর্মীনি হিসেবে আম্মুর বুঝতে বাকি নেই আব্বু চাননি বিয়েটা।তবুও শুদ্ধকেই‌ সাপোর্ট করেছে সে।এতোটা ভরসা,ভাবতেও অবাক লাগে।অবশ্য শুদ্ধ কি তেমন মানুষই নন?চোখ বন্ধ করে যাকে ভরসা করা যায়?তবে আজ আমাকে তার এইরুপ কেনো দেখতে হলো?আব্বু তখনও চুপ।আমিই আব্বুর হাত ধরে মাথায় নিয়ে বললাম,

-জানি,দোয়া চাইতে হবে না আপনার কাছে।সেটা আজীবন করে যাবেন আপনি আমার জন্য।কিন্তু আজ একটা নির্দিষ্ট দোয়া চাওয়ার আছে আপনার কাছে।তাই মুখ ফুটেই বললাম।দোয়া করবেন আব্বু,যে কারনটায় আপনি আমাকে ভুল দেখিয়েছেন,সেই কারনটাই যেনো আপনার আমার জীবনের জন্য আশীর্বাদ হয়ে নামে।আমার বিশ্বাস,আপনিও মনে মনে এটাই চান।আর আপনি দোয়া করলে তা বিফলে যাবে না আব্বু।আজ ঠিক যে যে কষ্ট নিয়ে আমি শেহনাজ মন্জিল ছাড়লাম,সে দিনটা দুরে নেই,যেদিন ঠিক এই সমস্ত কষ্টগুলোই সুখের কারন হবে আপনার আমার।দোয়া করবেন।

আব্বু একপলক অসহায়ের মতো তাকালেন আমার দিকে।শুদ্ধ এসে পাশে হাত ধরে দাড়ালেন আমার।তার চোখমুখ শক্ত।একপ্রকার টেনেই নিয়ে আসলেন ওখান থেকে আমাকে।কাকুরা সবাই মিলে গাড়িতে তুলে দিলেন।উদ্দেশ্য!এক নতুন গন্তব্য!আজাদ ম্যানশন!শুদ্ধর বাসা‌ আর আমার শশুড়বাড়ি!

.
গাড়িতে কান্না করি‌নি‌ একদমই।শুদ্ধ‌ জরিয়ে‌ রেখেছিলেন সারা রাস্তা আমাকে।পৌছালাম আজাদ ম্যানশন।গাড়ি থেকে নেমে চোখ ধাধিয়ে‌ গেলো আমার।এটুকো সময়ের মধ্যেই দোতালা বাসাটা রঙিন বাতিতে সেজেছে।গেইট থেকে শুরু করে,ফুল লাইটিংয়ের কোনো কমতিই নেই।আকাশেও বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।বৃষ্টি নেই,তবে একটু পরপর আলোর ঝলকানি।শুদ্ধ নেমে এসে হাত ধরলেন আমার।বাসার দিকে তাকিয়েই শান্ত গলায় বললেন,

-ওয়েলকাম।

আমি তাকিয়ে ছিলাম তারদিক।শান্তশিষ্ট চাওনি,হালকা লাল নাকচোখ,এলোমেলো চুল।অনেকটাই অগোছালো লাগছে তাকে।কারনটা আমি ছাড়া আর কি?কিন্তু বিয়েটা তো হয়ে গেছে।যেমনটা উনি চেয়েছিলেন।আমিও চেয়েছিলাম,কিন্তু এভাবে নয়।আজ ভালোবাসা থেকে নয়,মনের শতসহস্র কষ্ট থেকে কবুল বলতে হয়েছে আমাকে।তার ধমকি শুনে।তবে উনি এমন কেনো করছেন?আমার‌ সমবয়সীই একটা মেয়ে‌ দৌড়ে এসে হাত জরিয়ে ধরে বললো,

-ওওও মা!ইনসিয়া ভাবী তো সত্যিই দেখতে মাশাল্লাহ্!এই শুদ্ধ ভাইয়া সবসময় বেস্টটা কোথথেকে খুজে আনে কে জানে!

আমি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম।আমাকে ওভাবে দেখে মেয়েটা একগাল হেসে বললো,

-আরেহ্!চিল!আমি তোমার একমাত্র ননদীনি আর শুদ্ধ ভাইয়ার একমাত্র মামাতো বোন।মাহি!বাকিসব পরে জানবে।চলো ভেতরে চলো এবার!

অন্য গাড়ি থেকে যীনাত আপুও নেমে এলো।শুদ্ধ আমার হাত ছেড়ে দিলেন।ওরা দুজন আমাকে নিয়ে এগোলো।বাসার ভেতরে কয়েকটা চেনাজানা মুখ।ইমরোজ ভাইয়া,তামিম ভাইয়া,রিফাত ভাইয়া,ইশান ভাইয়া,তাপসী আপু।সবাই হাসিমুখে দাড়িয়ে।সবাইকে দেখে নিলাম খানিকটা সময় নিয়ে।যীনাত আপু ইশারা করলো সেজোমার দিকে।এগিয়ে গিয়ে সালাম দিলাম।হাটুগেরে বসে বললাম,

-কেমন আছো‌ সেজোমা?

-ভালো না থেকে উপায় আছে ইনসু?আম্মু বলে ডাকার জন্য তুই‌ এসে গেছিস যে!

জড়িয়ে ধরলাম তাকে।শুদ্ধর একটাই মামী,দুজন খালা।ওনারা মিলে দু একটা নিয়মকানুন শেষ করলেন।তারপর মাহী আর যীনাত আপুই ধরে এনে এক ঘরের ফুলের বিছানায় বসিয়ে দিয়ে গেলো আমাকে।চোখ মেলে সারা রুমটা দেখলাম।অত্যন্ত পরিপাটিভাবে সাজানো গোছানো।ফুলের সাজটাও মন কাড়ার মতো।কিন্তু কিছুতেই মন লাগছে না আমার।কেমন যেনো মনে হয়ে দম আটকে আসছে।হাশফাশ করতে লাগলাম।

টেবিলের বইয়ের সামনে কলমদানিটার পাশে একটা ফটোফ্রেম।ছবিটা শুদ্ধের।সাদা গেন্জির উপর কালো জ্যাকেট পরে মুচকি হেসে তাকিয়ে আছেন উনি।বরাবরই ওই হাসিতে চোখ আটকে যায় আমার।দরজা খোলার শব্দে হুশ ফিরলো।শুদ্ধ এসেছেন।উনি দরজা লক করে বেডের দিকে এগিয়ে এসে তাচ্ছিল্যে হেসে বললেন,

-তামিম ভাইয়াকে সত্যিই ক্রেডিট কার্ড ধরিয়ে দিয়ে এসেছি সিয়া!কথা রেখেছি।ওয়েট করাই‌ নি তোকে!আমার বউ কে!

আমি চুপ করে তার দিকে তাকিয়ে।শুদ্ধও চুপ।কিছুক্ষন আমার দিক তাকিয়ে রইলেন উনি দাড়িয়ে থেকে।আমি চোখ নামিয়ে নিতেই শেরওয়ানির গলার দিকটা টানতে টানতে ব্যালকনির দিকে এগোলেন উনি।থাই গ্লাসের ওপারে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আলোর ঝলকানি।গ্লাস ঠেলে সরাতেই বজ্রপাতের শব্দটাও ভেতরে আসতে লাগলো এবার।বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি।শুদ্ধ একধ্যানে বাইরে তাকিয়ে।অনেকটা সময় কেটে গেলো।কিন্তু শুদ্ধ ওভাবেই দাড়িয়ে।লেহেঙ্গা,ভারীভারী গয়না সামলে এগিয়ে গেলাম তার দিকে।আমার উপস্থিতি টের পেয়ে শুদ্ধ বললেন,

-আজকের রাতটা এমন কেনো হলো সিয়া?আজ তো পূর্নিমা হওয়ার কথা ছিলো।পুর্ন চাঁদের আলোতে আমার এই বারান্দা আলোকিত হওয়ার কথা ছিলো।সে চাঁদের আলোতে চন্দ্রবিলাস করতে থাকা দুটো চকরের গুন্জন শোনার কথা ছিলো।তবে এই ভারীবর্ষন কেনো?এই বিদ্যুৎ চমকানোর আলো কেনো সিয়া?শব্দটা বজ্রপাতের গর্জন কেনো?কেনো সিয়া?কেনো এমন হলো সবটা?কেনো?

-আমারও একই প্রশ্ন শুদ্ধ।সবটা কেনো এমন হলো?আপনি কেনো এভাবে….

শুদ্ধ একটানে নিজের কাছে নিলেন আমাকে।কোমড় জরিয়ে ধরলেন শক্তহাতে।খানিকটা চমকে গিয়েছিলাম।কিন্তু তার কাছে যেতেই এক বিদ্ঘুটে গন্ধ নাকে আসলো।বিস্ময় সর্বোচ্চচূড়া স্পর্শ করলো আবারো।সমস্ত ইন্দ্রিয় জানান দিতে লাগলো,যাকে ভালোবেসেছি সেই শুদ্ধ আর শুদ্ধ নেই।উনি আজ আমার আব্বুকে জেলে পাঠানোর কথা বলেছিলেন।আমাকে জোর করেই বিয়েটা করেছেন।ড্রিংক করেছেন উনি আজ!শুদ্ধ করুনভাবে বললেন,

-কি করতাম?কি করতাম আমি?বল সিয়া?আর কিই বা করে তোকে নিজের করতাম আমি?অন্য কোনো উপায়….

-ইউ আর ড্রাংক!

শুদ্ধ আটকে গেলেন।ছেড়ে দিলেন আমাকে।তারপর রেলিং ধরে বাইরে তাকালেন।বাকা বৃষ্টির ছিটেফোটা গায়ে লাগছে না।তবে শুদ্ধর অবস্থা কাটার মতো বিধছে গায়ে।এভাবে তো তাকে দেখতে চাইনি আমি কোনোদিন।পারবো না দেখতে।হাত টেনে আমার দিকে ফেরালাম তাকে।কিন্তু উনি নিচদিক তাকিয়ে।শক্ত গলায় বললাম,

-আপনি বলেছিলেন আমি কাছে থাকলে কোনো অন্ধকার কোনোদিন আপনাকে গ্রাস করতে পারবে না শুদ্ধ!

শুদ্ধও এবার বিস্ময়ে তাকালেন আমার দিক।একটু চুপ থেকে আমার দুগাল ধরে বললেন,

-তুই কাছে আছিস আমার?

চোখ নামিয়ে নিলাম আমি।জবাব নেই‌ আমার কাছে।কাছে থেকেও হাজারো দুরুত্ব অনুভব হচ্ছে যে!গাল ছেড়ে শুদ্ধ আলতো করে কপালের টিকলি,কানের‌ দুল খুলে‌ দিলেন আমার।ঘোমটা খুলে‌ চুলগুলোও খুলে দিলেন।তার প্রতিটা কাজ শরীরের কম্পন বাড়িয়ে দিচ্ছে,হৃদয়ের স্পন্দন বাড়িয়ে দিচ্ছে।তবুও‌ চুপটি করে রইলাম।কাধে থাকা লেহেঙ্গার ওড়না ধরতেই পিছন ফিরলাম আমি।উনি পিছন থেকে ঘাড়ের চুলগুলো সামনে দিয়ে ওড়নাটাসহ আমার গলার সবগুলো গয়নাও খুলে ফেললেন।লেহেঙ্গার ফতুয়ার পিঠে থাকা ফিতাটা একটানে খুলতেই লেহেঙ্গা খামচে ধরে চোখ বন্ধ করে নিলাম।দুফোটা চোখের জল বেরিয়ে এলো আমার।অস্ফুট স্বরে বললাম,

-আপনি স্বজ্ঞানে নেই শুদ্ধ!

আমার উন্মুক্ত ঘাড়ে নাক ছোয়ালেন শুদ্ধ।কেপে উঠলাম।উনি ওভাবেই থেকে নাক ঘষতে ঘষতে ঘোর লাগা কন্ঠে বললেন,

-থাকতে চাইনা আমি স্বজ্ঞানে সিয়া!চাইনা।ডুবে থাকতে চাই তোর নামে।বিলীন হতে চাই তোর নামে।জুড়ে থাকতে চাই তোর‌ নামে।পাগল হতে চাই তোর নামে।সবটা ভালোবাসা উজাড় করতে চাই তোর‌ নামে।শুধুই তোর‌ নামে!

মন হয়তো প্রস্তুত ছিলো না।সবটা মানতে হয়তো আরেকটু সময় চেয়েছিলো সে।নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ছুটে চলে আসতে ইচ্ছে করছিলো।কিন্তু পারলাম না।ভেতরের কোনো এক দীর্ঘশ্বাস বলে গেলো,
” আজ এই মানুষটাকে কষ্ট দিস না ইনসু।মানা করিস না তাকে।পুড়তে দিস না আর তাকে,তোর নামের রোদ্দুরে।যাকে ভালোবাসিস,যে তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে,যে‌ সবটাই করেছে তোকে আপন করবে বলে,তার কাছে নিজেকে সমর্পন কর আজ!বদলে যাক অপেক্ষার রোদ্দুর,প্রেমের বর্ষনে!কোনো দোষ‌ নেই‌ এতে।কোনো দোষ নেই! ”

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here