তোর নামের রোদ্দুর২ পর্ব 18

0
1261

#তোর_নামের_রোদ্দুর-২
#লেখনিতে:মিথিলা মাশরেকা
পর্বঃ১৮

গাড়ি ধীরগতিতে চলেছে গ্রামের সরু রাস্তায়।দু পাশে সোনালী ধানক্ষেত।পাকা ধান।কোনো কোনো অংশে কাটা শেষ,স্তুপ করে রাখা খড়ের আটি।তার উপর দুপুরের সোনালী রোদ্দুর।মামার কথামতোই বিকেলের আগেই বেরিয়েছি আমরা সবাই।দুর আকাশ গিয়ে এই বিস্তীর্ন সোনালী মাঠের শেষ সীমানায় নেমেছে।জানালা দিয়ে কখনো ধুপ করে গরম বাতাস,কখনো বা গাছতলায় আসতেই শীতল বাতাস চোখেমুখে লাগছে।আমি আরেকটু মাথা বাইরের দিকে বারিয়ে দিলাম।সামনে ড্রাইভিং সিট থেকে শুদ্ধ বলে উঠলেন,

-মাথা ভিতরে ঢুকা ইডিয়ট!লেগে যাবে!

রাগ উঠলো।গাড়ির ভেতরে তাকালাম আমি।যীনাত আপু,তাপসী আপু,সীমা ভাবি গালে হাত দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।সামনে সিফাত ভাইয়া শব্দ করেই হেসে দিয়েছে।ইচ্ছে করলো সোজা সামনে বসা লোকটার মাথার চুলগুলো ছিড়ে দেই।ছাইরঙা শার্টটার কাধের অংশ দেখেই দমে গেলাম।চুপচাপই রইলাম আমি।সামনে থেকে সিফাত ভাইয়া বললো,

-ও এরকমই শুদ্ধ।এই ইনসু?বরাবরের মতো আজও হয়ে যাক কম্পিটিশন?কে কয়টা অক্ষত পাতা ছিড়তে পারে?

খুশিতে চোখ চকচক করে উঠলো আমার।শুদ্ধ হেসে বললেন,

-ভুলে যাও সিফাত ভাইয়া।আজ ওসব হচ্ছে না।ব্যথা পাবে।

তাপসী আপু বললো,

-কে ব্যথা পাবে শুদ্ধ?

-কে আবার?এই সিফাত ভাইয়াকে নিয়ে একফোটা মাথাব্যথা নেই আমার।সেটা সীমা ভাবি বুঝে নেবে।চিন্তার কারনটাই আমার বউ।সিয়া খেলবে না ওসব!

একেতো বউ বলে সবার সামনে এভাবে ডাকছে,আবার খেলতেও মানা করছে!শুনবো না!খেলবোই আমি!শক্ত গলায় বললাম,

-আমি খেলবো সিফাত ভাইয়া।স্টার্ট দ্যা গেইম!

শুদ্ধ ব্রেক কষে গাড়ি থামালেন।পিছনে অন্য গাড়ি থেকে রিফাত ভাইয়া হাক ছাড়লো,

-কি ব্যাপার?গাড়ি থামলো কেনো?

শুদ্ধ মুখ বের করে বললেন,

-সংসদের অধিবেশন বসবে।দেরি হবে।চুপচাপ গাড়িতে বসে বসে বাকি সবাইকে ম্যানেজ কর।

তারপর পিছন ফিরে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

-হ্যাঁ,জনাবা কিছু বলছিলেন।বলুন?

-আ্ আমি খেলবো সিফাত ভাইয়ার সাথে।

-অনুমতি দিচ্ছি না।

বাকিসবের দিকে তাকালাম।সবাই যথেষ্ট আগ্রহ নিয়ে বসে কোনো সিরিজ দেখছে যেনো।কেউ কিছুই বলবে না এনাকে।নিজেকে সামলে বললাম,

-অনুমতি চাই নি আপনার!

-বলছিস?

-হ্ হ্যাঁ।

উনি মুচকি হেসে সোজা হয়ে বসে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বললেন,

-ইউ মে কন্টিনিউ সিফাত ভাইয়া।

কি হলো?কিছু বললো না?রাগ করলো নাকি?এরপর আবার…!একটা শুকনো ঢোক গিললাম।পাশে তাকাতেই তাপসী আপু আঙুল গলায় টেনে বুঝালো ফেসেছো জানেমন।ভয়টা বাড়লো।জোরে শ্বাস নিলাম কয়েকবার।ভয় পাস না ইনসু।কিছুই হবে না। সিফাত ভাইয়া চেচিয়ে বললো,

-লেটস্ স্টার্ট ইনসু!

চলন্ত গাড়ি থেকে অক্ষত পাতা ছেড়ার লড়াই।বাইরে বেরোলেই এটা আমরা ভাইবোনেরা সবাই কমবেশি খেলি।একবার তো ইমরোজ ভাইয়ার হাত ডালে বারিও লেগেছিলো ভালোনতোন।আমি সাবধানে নিজের মতো করে পাতা ছেড়ার ধান্দায় ছিলাম।গাড়ি থামলো সিফাত ভাইয়ার নানুবাড়ির সামনে।গাড়ি থেকে নেমে পাতা গুনে দেখা গেলো আমার আটটা পাতা অক্ষত,আর সিফাত ভাইয়ার ছয়টা।পাতাছেড়ায় বিজয়ী হয়ে বিশ্বজয়ের হাসিটা দিতে ভুললাম না।যীনাত আপু বললো,

-শুদ্ধর বউ!শী শুড বি দ্যা বেস্ট!ইনসু?তো জন্য একলাইন বলতে চাই।উহুম উহুম!দিল চিজ কেয়া হ্যায়,আপ মেরি জান লিজিয়ে…

শুদ্ধর বউ বলে?ক্রেডিটটা তো শুদ্ধর কাছেই গেলো।কিন্তু ওকে শোনাবো অন্যভাবে।বললাম,

-এই তারিফ?ওয়াক!গা ঘিনঘিন করছে আমার যীনাত আপু!এতো বাজে চয়েজ তোমার জানতাম না তো!

ও ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইলো।সিফাত ভাইয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,

-নতুন নতুন বিয়ে করেছি।আর কপাল করে পরিবার পেয়েছি।পরিবারের সবাই মিলে নতুন বউটার সামনে এতোটুকো মান সম্মান অবশিষ্ট রাখলো না!

শুদ্ধ সানগ্লাসটা চোখে দিয়ে এগোতে এগোতে বললেন,

-আমি কিন্তু কপাল করেই বউটা পেয়েছি।বাদরামোতে এক নম্বর।তোমাকেও হার মানিয়ে দিলো!

সবাই হাসতে লাগলো।একটু রাগ হলো বাদরামো বললো বলে,কিন্তু উনি খেলা নিয়ে রাগ করেননি দেখে সেটা ভুলে গেলাম।সবাই মিলে ঢুকলাম নানুবাসায়।নানুমনি,নানুভাই সহ সবাই এগিয়ে আসলো আমাদের দেখে।সালাম কুশল বিনিময় করে সীমা ভাবিকে নিয়ে পরলো সবাই।সবগুলোই টিনের ঘর এই বাড়িতে।মাঝখানে বিশাল উঠোন।সবাই সীমা ভাবির সাথে কথা বলছিলো।নানুমনি আমার দিকে এগিয়ে এসে বললেন,

-ইনসিয়া?তোর বরটা কই?

এতোক্ষন হাসিমুখ থাকলেও এবার হাসি গায়েব আমার।সবাই সবটাই জানে।সিফাত ভাইয়ার মামী সেদিন সীমা ভাবির বাসায় ঘটা সবটাই বলেছেন হয়তো।চুপচাপ মাথা নিচু করে রইলাম।

-এইতো আমি!

শুদ্ধর গলা।পিছনে তাকিয়ে দেখি সে প্যান্টের পকেটে দুহাত গুজে হেলতে দুলতে আসছে।নানুভাই বললেন,

-ও!তুমিই সে?তোমার সাথেই ইনসিয়াকে বেধে দিয়ে গেছেন বেয়াই সাহেব?মাশাল্লাহ্!ভালোই করেছেন।বেশ মানাবে তোমাদের দুজনকে।

সবাই মিলে আরো অনেক কথাই বললো।আমি মাথা নিচু করেই রইলাম।বলার,দেখার,শোনার সহ্যশক্তি লোপ পেয়েছে আমার।ওখানে কিছুক্ষন থেকে হালকা নাস্তা করে সবাই যার যার মতো বেরিয়ে গেলো।সিফাত ভাইয়ার সমবয়সী দুটো মামাতো বোন।যুথি আর যুই।একজন ফোরে,আরেকজন সেভেনে পড়ে।আমার আর আপুদের সাথে আগে থেকেই বেশ ভাব যুইয়ের।

সন্ধ্যার পর সবাই উঠোনে শীতলপাটি বিছিয়ে কথা বলছিলাম।উঠোনের এককোনে লাল লাইট জ্বলছে।আর মাঝখানে কুপি জ্বালানো।মামীরা সীমা ভাবিকে নিয়েই পরেছে।ইশান ভাইয়া বললো,

-শুনলাম আজ নাকি ইমরোজের ঘরে তল্লাশী হয়েছিলো?

ইমরোজ ভাইয়ার হেচকি উঠে গেলো।অবাক চোখ তাকালো সবার দিকে।বড়মা ওর ফেরার আগেই ঘর গুছিয়ে দিয়েছিলো বলে বেচারা টের পায়নি হয়তো।কোনোমতে হেচকি থামিয়ে বললো,

-আ্ আমার ঘরে?ক্ কে কে ঢুকেছিলো?

তাপসী আপু চোখ রাঙিয়ে বললো,

-আমরা সবাই!এইটা বল?কোন মেয়েকে ফাসিয়েছিস তুই ইমরোজ?

ভাইয়া শুকনো ঢোক গিললো।আমতা আমতা করে বললো,

-ইয়ে,এসব কি বলছিস তুই আপু?আমি মেয়ে ফাসাবো?তোর ভাইকে এই চিনলি?

-সেটাই তো!আমিও বললাম তাপসী আপুকে,ইমরোজ ওমন ছেলে না।চিরকুটে তো লেখা ছিলো মেয়েটাই ভালোবাসে ইমরোজকে!

যীনাত আপুর বলা শেষে তামিম ভাইয়া বললো,

-এই ইমরোজ তো আমার চেয়েও ফাস্ট বেরোলো!তাপসী আপু?আমি কিন্তু ওর বড়!যতই গফ বেরোক,আব্বু আম্মুকে কিন্তু আমার আগে বিয়ে দিতে বলবি!

ইমরোজ ভাইয়া কপালে হাত দিয়ে বসে রইলো।আমি পাশে পরে থাকা পাটকাঠি উচিয়ে ওর দিকে তাক করে বললাম,

-এবার বলো?কে সে?

-কেউ নাই বইন।সত্যি কেউ নাই!

-ইহ্!বললেই হলো?

-বিশ্বাস করো তোমরা,কেউ নাই।কেউ নাই সত্যি!

ইশান ভাইয়া বললো,

-তাহলে এতো সুন্দর লেটার লেখার আইডিয়া কোথথেকে টপকালো?

-একজনেরটা দেখে কপি করছি।পরে দেখে এমন হাসি পাইছে যে জানালা দিয়ে ফেলে দিছি।নইলে ওটা জানালার বাইরে যাবে কেনো?

রিফাত ভাইয়া চিন্তার ভাব ধরে বললো,

-ঠিকই তো।ওটা বাইরে কেনো যাবে?

সিফাত ভাইয়া বললো,

-কারটা কপি করছিলি?

-শুদ্ধ!

ইমরোজ ভাইয়ার কাছে শুদ্ধর নাম শুনেই বরাবরের মতো গুটিয়ে গেলাম।লোকটা আশেপাশে নেই।গেছে কোথায়?ওরা সবাই ওওও বলে আমার দিকে তাকালো।আড়চোখে এদিক ওদিক তাকাতেই দেখি উঠোনের এককোনে একটা ঘরের বারান্দায় লাল লাইটটার কাছে সেই মুখ।বাশের খুটিতে হেলান দিয়ে বুকে দুহাত গুজে এদিকেই তাকিয়ে।চোখাচোখি হতেই চোখ নামিয়ে নিলাম আমি।সাথেসাথে ওই লাল লাইটটা বন্ধ হয়ে গেলো।যদিও চাদনী রাত আর উঠোনে কুপির আবছা আলো আর ঘরগুলোর ভেতরের আলোটা আছে।তবুও সবাই আড্ডা ছেড়ে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো।শুদ্ধ ফোনের টর্চ জ্বালিয়ে বলে উঠলেন,

-আমি দেখছি!

মামীদের সাথে সবাই আবার সীমা ভাবিকে নিয়ে মেতেছে।শুদ্ধ বোর্ডের দিকে এগোলেন।তারদিকেই তাকিয়ে রয়েছি আমি।উনি সুইচবোর্ডের কাছে গিয়ে ওতে হাত লাগাতেই আ শব্দ করে কাপতে লাগলেন।আর্তনাত শুনেই একছুটে গিয়ে হাত জরিয়ে ধরলাম তার।তাকে ধরে টানাটানি করছি বোর্ড থেকে ছাড়ানোর জন্য,উনি ওভাবেই কাপছেন।চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে গেছে আমার মুহুর্তেই।চেচিয়ে উঠলাম,

-শুদ্ধ?কি হয়েছে?কি হলো?কষ্ট হচ্ছে আপনার?কি হলো আপনার?এটা…

উনি বোর্ড ছেড়ে স্বাভাবিক হয়ে দাড়ালেন।কপাল কুচকে তাকিয়ে আমি তারদিক।পিছনে সবাই শব্দ করে হেসে দিলো।শুদ্ধ এক আঙুল দিয়ে আমার গালে লেগে থাকা পানি মুছে দিয়ে পিছিয়ে দাড়িয়ে মিটমিটিয়ে হাসতে লাগলেন।যুথি বলে উঠলো,

-মানবদেহ তড়িৎ প্রবাহী।আমাদের বইয়ে তো এটাই দেওয়া।শুদ্ধ ভাইয়ার শক লাগলো,তোমার কিছু হলো না কেনো?

পাথর হয়ে গেলাম আমি।সবাই আরো জোরে হাসছে।শুদ্ধ শব্দহীন হেসে আমারদিক তাকিয়েই বললেন,

-ওর মাথায় গোবরপোড়া তাই!

প্রচন্ড রাগ উঠলো।তারপরপরই নিজের বোকামোর কথা ভেবে চোখ বন্ধ করে জিভ কাটলাম।কি করে এই কাজটা করলাম আমি?শুদ্ধ ফিসফিসিয়ে বললেন,

-জানতাম গাড়ি থেকে পাতা ছেড়ার অভ্যেস আছে তোর।সমস্যা হতো না তোর কোনো।কিন্তু কি বলতো?যাকে ভালোবাসি,তাকে নিয়ে একবিন্দু রিস্ক নিতে পারবো না।তাই তখন মানা করেছিলাম তোকে।আমার এই রিস্কি কাজে হাত লাগানো,সর্বপরি আমি তোর কাছে ঠিক কি,এ কথাটা তোকে বোঝানোর দরকার ছিলো।তাই এই এক্টিংটা আরকি…তোর বোকামো তোকে বলে দিয়েছে,আমার কিছু হলে তোর সবটা উলোটপালোট হয়ে যায়।আর তোর ওই চোখের জল আমাকে বলে দিয়েছে,ইউ আর মাইন!

উনি চলে গেলেন।যীনাত আপু হাসতে হাসতে এসে আমার কাধে হাত রাখলো।বিস্ময়ে তার চলে যাওয়ার দিক তাকিয়ে অজান্তেই বলে উঠলাম,

-এই লোকটা পাগল।

যীনাত আপু আরো শক্ত করে আমার কাধ ধরে বললো,

-সেটা তোর জন্য!তোর ভালোবাসার জন্য!আর তোরও সেই ভালোবাসার পাগলামিতে গা ভাসানো উচিত ইনসু!

একপলক তাকালাম ওরদিক।এরমধ্যে নানুমনি সবাইকে ডাক লাগালো রাতের খাবারের জন্য।কেউ কোনো কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ খাওয়ার ঘরে চললাম।

রাতের খাবার শেষে বিছানায় হাটু জরিয়ে বসে ছিলাম।রুমে তাপসী আপু তায়্যিবকে খাওয়াচ্ছে,যুই পাশেই বসে।আজ প্রথমবার নিভৃতে পদ্মাপাড়ে শুদ্ধর সাথের সেই সন্ধ্যার কথা,সেই মুহুর্তগুলোর কথা মনে পরছে আমার।হঠাৎই যুই‌ আমার কানে কানে বলে উঠলো,

-ইনসিয়া আপু?ন্যাড়া পুড়িয়ে মটরশুটি খেতে যাবে?

আমি ওর দিকে তাকালাম।ও ইশারায় উত্তর চাইলো।খুশি হয়ে লাফিয়ে উঠলাম।গুটিগুটি পায়ে মামীদের ঘরে এসে সবার সাথে বসে থাকা যীনাত আপুকে বললাম কথাটা।ও ভ্রুকুচকে তাকালো।তারপর পাশে যুইকে দেখে বুঝলো ওই বলেছে।ওউ মাথা নাড়ালো।এখন কথা হলো কে কে যাবে?কিভাবে যাবে?ধানের ন্যাড়া পোড়াতে মাঠে যেতে হবে,আর মজা করার জন্য মটরশুটিটা অন্যের ক্ষেত থেকে চুরি করা হবে।সীমা ভাবিকে নেওয়া যাবে না।ও হলো মধ্যমনি।আর তাপসী আপু তায়্যিবকে নিয়ে আছে।তাই লুকিয়ে চুরিয়ে এটা ওটা বলে অজুহাত দিয়ে আমি,যুই,আর যীনাত আপুই উঠে আসলাম।

এর আগেও এসে এ কাজ করেছি আমরা।ফোনের টর্চ জ্বালিয়ে মাঠের মাঝখানে সমানে ধানের ন্যাড়া গোছাচ্ছি।পুর্নচাঁদের আলোটাও আছে।জরো করা শেষে তিনজন গেলাম মটরশুটি ক্ষেতে।ওগুলো তুলে এনে পুড়িয়ে ওই আগুনের পাশে বসেই খেতে খেতে মজা করছি।হঠাৎই কারো ছায়া চোখে পরলো আমার!হাত দিয়ে ধাক্কা মেরে ইশারায় দেখালাম যীনাত আপুকে।চোখ বড়বড় করে এ ওর মুখের দিকে তাকালাম।মানে এখন দৌড় লাগাতে হবে।হবে?ওরা দুজনে উঠে দৌড় লাগিয়েছে।আমি পরে থাকা কিছু মটরশুটি মুঠো করে দৌড় লাগাতে যাবো,কেউ একজন হাত ধরে আটকে দিলো আমাকে।

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here