তোমাতে_আমি_মুগ্ধ –৭

0
430

#তোমাতে_আমি_মুগ্ধ (৭)
#ফারহানা_জান্নাত

–আকস্মিক রুমাইশার এমন কান্না দেখে রাহুল ভড়কে যায়। হুট করে কোথা থেকে দৌড়ে এসে এমন কান্না শুরু করছে? রাহুল আশেপাশে তাকিয়ে দেখে। বাবা’ই কে নিয়ে আসছে কিনা সেটা দেখার চেষ্টা করে। কিন্তু রাহুল কিছু দেখতে পারে না। রুমাইশা ওকে সম্পূর্ণ ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে। আহনাফ দুপুরের খাবার খাওয়ানোর জন্য রাহুলের কেবিনে আসে। রুমাইশা’কে দেখে একটা হালকা হাসি দেয়। রাহুল রুমাইশার পিঠে হাত বুলিয়ে দেয়। আর বলে,

“কি হয়ছে এভাবে কান্না করছিস কেনো? আমি মারা যাই নি পাগল। ছাড় লাগছে তো আমার, দেখি বাবাই আসছে নাকি।”

“বাবাই আর কখনো আসবে না ভাইয়া, বাবাই আমাদের উপর অভিমান করে চলে গেছে।”

“মানে!”

–রাহুল উঠতে চাইলে আহনাফ তাড়াতাড়ি এসে বাঁধা দেয়। রুমাইশা এখনো কান্না করে যাচ্ছে, রাহুল এবার কিছুটা ভয় পায়।

“রুমাইশা কি হয়ছে সত্যি করে আমাকে বল তো। পারভেজ এখানে কি করছে? পারভেজ তুই এখানে কেনো। রুমাইশা বিরক্ত লাগছে ছাড় আমাকে।”

“বাবাই আর বেঁচে নেই ভাইয়া। কাল বাবা মারা গেছে, আর মামুনি তোমাদের কাউকে জানায় নি। আপু হয়তো না গেলে কিছু জানতে ও পারতো না।”

“হোয়াট!”

“আমি ও বাবাই’য়ের কাছে যাবো ভাইয়া। কেউ ভালো না, সবাই আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আমাকে সবাই একা করে চলে যায় কেনো। আমি কি খুব খারাপ ভাইয়া?”

–রাহুল নিস্তব্ধ হয়ে যায়, বাবাই আর বেঁচে নেই? এলাকার কেউ তাকে এই খবর টা দিলো না। ওরা কি এতো’টা পর হয়ে গেছে? রাহুল বিছানায় পাগলের মতো করে। ছটফট করে উঠার চেষ্টা করে, আহনাফ রুমাইশা’কে রাহুলের কাছ থেকে সরে নেয়।

“রাহুল শান্ত হ, তুই এমন করলে রুমাইশার কি হবে বল? পাগলামি করিস না। তুই অসুস্থ ভুলে যাস না, এই ভাবে নড়াচড়া করলে ব্যাথা পাবি।”

“ব্যাথা কিসের ব্যাথা আহনাফ, ব্যাথা তো আমার বুকে হচ্ছে? মা’কে ছোট থাকতে হারায়’ছি। আর বাবাই, উনি ও আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। আর শেষ দেখা’টা ও করতে দিলো না আমার মা। কেনো আমাদের সাথে এমন হয়?”

“আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে। খাওয়া দাওয়া কর, তোর এখন ঔষধ খেতে হবে। এমন পাগলামি করিস না, তোর কিছু হলে রুমাইশা’কে সামলা’বে কে?”

“আমার খুব কষ্ট হচ্ছে আহনাফ, আমি তো মায়ের ভালোবাসা পাইছিলাম। কিন্তু রুমাইশা, সে তো মায়ের একটু ভালোবাসা পায়নি। আর এই কম বয়সে বাবাই’কে হারিয়ে ফেললো।”

“এখন এসব বলার সময় না, খেয়ে নে। দেখ রুমাইশা কাঁদছে ওকে তো সামলাতে হবে নাকি?”

–আহনাফ জোর করে রাহুল’কে একটু খাইয়ে দেয়। তারপর ঔষধ খাইয়ে দিয়ে, রুমাইশার মাথায় হাত রাখে। রুমাইশা জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়।

“আমার সাথে কেনো এমন হয় ভাইয়া। আমি যাকে ভালোবাসি তাকেই হারিয়ে ফেলি। মাকে হারিয়েছি সেই জন্মের সময়। আর বাবাই, বাবাই ও তো আমার উপর অভিমান করে চলে গেলো। আমি খুব খারাপ তাই না ভাইয়া?”

“দূর পাগলি কে বলছে তুই খারাপ। দেখি মুখটা উঠা, মেয়ে’রা এতো কান্না কিভাবে করে বল তো। কাল থেকে নিশ্চয় কান্না করে যাচ্ছিস। নিজেকে সামলা, তোর কিছু হলে তোর ভাইয়াকে কে সামলাবে? তুই ছাড়া তোর ভাইয়ার কি কেও আছে বল”

“নিজের ভালোবাসার মানুষ গুলোকে চোখের সামনে হারিয়ে যেতে দেখছি ভাইয়া। এটা’র কষ্ট তুমি কি বুঝবে? কখনো হারিয়ে ফেলছে ভালোবাসার মানুষকে?”

“এতো কথা বলিস না তো, রাত থেকে নিশ্চয় কিছু খাস নাই। পারভেজ তুমি তোমার আপুর কাছে থাকো। আমি বাহির থেকে খাবার নিয়ে আসি।”

“আমি খাবো না, পারভেজ তুই বাহির থেকে খেয়ে আয়। আমি ভাইয়ার কাছে থাকবো।”

“জেদ করিস না রুমাইশা, এভাবে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়বি।”

“আমি অসুস্থ হয়ে পরছি সেটা তো কেউ বুঝবে না। আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ আমাকে একটু একা ছাড়ো প্লিজ।”

–রুমাইশার রাগি কন্ঠে’র কথা শুনে আহনাফ নিজেকে ছেড়ে নেয়। রাহুলের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে চলে যায়। পারভেজ সেই কাল থেকে না খেয়ে আসে। সে জন্য রুমাইশা ওকে বাহির থেকে খেয়ে আসতে বলে। রাহুল চোখ বন্ধ করেই রুমাইশা’কে কাছে ডাকে।

“বনু এই দিকে আয়।”

“বলো”

“নিজেকে শক্ত কর, তোর কি মনে হয়? বাবাই কিভাবে মারা গেছে কিছু শুনছিস?”

“পারভেজ বললো, হঠাৎ নাকি বাবাই স্টক করছে। ডাক্তার নিয়ে আসার পর জানাইছে বাবাই মারা গেছে। তাই আর আলাদা করে হসপিটালে নিয়ে যায় নি।”

“বাবাই শুধু হাঁটতে পারতো না। সব দিক দিয়েই ভালো ছিলো, হঠাৎ এমন হবে কেনো। জানি না মা কিছু করছে নাকি।”

“মা কাকে মা বলছো ভাইয়া? সৎ মা কখনো মা হাতে পারে না। আচ্ছা ভাইয়া মা’রা বুঝি সন্তানদের অভিশাপ দেয়?”

“কি সব বলিস পাগলের মতো। কিছু খেয়ে নে যা, কাল’কে গেছিস, কিছু খাস নাই নিশ্চয়। ঐ তো পারভেজ জুস, ফলমূল আনছে খেয়ে নে।”

“হ্যা আপু তুই এগুলো খেয়ে নে। আর ভাইয়া তোমার শরীর এখন কেমন? বাসায় কবে যেতে পারবা।”

“আর ৩ দিন পর যেতে পারবো। বাট তুই এখানে কেনো বল তো। তোর মা বুঝি আসতে দিলো?”

“না, আমি চলে আসছি, ঐ মহিলার সাথে থাকবো না। আমি আজ থেকে তোমাদের সাথেই থাকবো। যদি না রাখো একা থাকবো। তবুও বাসায় যাবো না।”

“তুই থাকতে পারবি না পারভেজ। এখন আমার কোনো চাকরি নাই। আর মা নিশ্চয় অফিসে বসতে দিবে না। আমাদের বাড়ির চলাফেরা আর এখন এটা অনেক আলাদা।”

“তোমরা যদি পারো আমি ও পাবো। আমি তো এবার জেএসসি এক্সাম দিবো। আমি গনিত ভালো পারি, প্রাইভেট পড়াবো সমস্যা নাই। আর তুমি রয়হান চৌধুরীর ছেলে জানার পর নিশ্চয় অনেক কোম্পানির মালিক জব দিবে। তুমি জব করবা, আমরা দুজন মিলে আপু’কে মানুষ করবো।”

–পারভেজের কথায় রুমাইশা অবাক হয়ে যায়। এই টুকু ছেলে কি ভাবছে, রাহুল হালকা হাসে। ছেলেটা এখনি কি করবে প্লেন করছে। রুমাইশা হালকা রেগে বলে,

“আমি বুঝি মানুষ না? তাই নতুন করে আমাকে মানুষ করবি।”

“ভাইয়া আপুকে কি মানুষ মনে হয়? কিসের মতো লাগছে বলতো। বাঁদরের মতো? না না হাতি ও না। আমার আপু হচ্ছে পরি।”

–পারভেজ রুমাইশার মুখে ফল তুলে দিয়ে কথাটা বলে। রাহুল ফিক করে হেসে দেয়। কখন হাসাতে হয় ছেলে’টা ভালো করেই জানে। রাহুল রুমাইশার দিকে তাকিয়ে বলে,

“এক কাজ কর, তোরা চট্রগ্রাম চলে যা। গিয়ে একটা বাসা খুঁজে সুন্দর করে সাজিয়ে নে। তারপর এখানে চলে আসিস। পারভেজ আর আমি চট্টগ্রাম থাকবো। তুই এক্সামের আগে চলে যাস।”

“কেনো ভাইয়া? আপু আমাদের সাথে থাকবে না নাকি!”

“না’রে গাধা, তোর আপু তো বিবাহিত। সে জন্য জামাইয়ের সাথে থাকবে। সেদিন বিয়ে হলো তুই কি ভুলে গেছিস!”

“ওহ হ্যা”

–আহনাফ তখন রুমে আসে, রাহুলের কথা শুনে একটা সুযোগ পায়। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বলে,

“না রাহুল তোর বোন তোদের সাথে থাকবে। আমার সাথে সব সম্পর্ক শেষ করছে ও। আমি তো তোদের মতো ধনি না, তোদের মতো করে চলাতে পারবো না।”

–আহনাফ গায়ের এপ্রন টা খুলে হাতে নেয়। মুখ থেকে মাক্স খুলে রাহুলের পাশে বসে কথাটা বলে। রাহুল অবাক হয়ে রুমাইশার দিকে তাকিয়ে দেখে।

“রুমাইশা আহনাফ কি বলছে এসব? পাগল হয়ছিস নাকি। সম্পর্ক তুই ছেলে খেলা মনে করিস নাকি। চুপচাপ ওর সাথে থাকবি আর কিছু যেনো আমার না বলতে হয়। আমি এটা নিয়ে আর একটা কথা ও বলতে চাই না। আনি তোর জন্য আহনাফ’কে…”

–রাহুল বলতে গিয়ে থেমে যায়। এখন এসব বিষয়ে না বলা ভালো। রুমাইশা মুখটা ইনোসেন্ট বানিয়ে বলে,

“আমি যদি তোমাদের বোঝা হই তাহলে চলে যাচ্ছি। কিন্তু আমি আহনাফ ভাইয়া’র সাথে থাকতে পারবো না ব্যাস।”

“রাহুল বাদ দে, আমি ও এই সম্পর্ক রাখতে চাই না। আমার জিএফ আছে জানিস তো, ৩ বছরের রিলেশন। তোর জন্য আমি রুমাইশা’কে বউ হিসাবে মানতে চাইছিলাম। কিন্তু ও যখন নিজে সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছে না, তখন জোর না করায় ভালো। আর দু’বছর পর মুন্নির ডাক্তার পড়া কমপ্লিট হবে। তখন আমরা বিয়ে করবো, রুমাইশা এখনো ছোট। ওকে ওর মতো থাকতে দেওয়া উচিত আমাদের।”

“তোরা যা ভালো বুঝিস তাই কর। বাট আমার কাছে তো না আছে টাকা, না মানে কিছুই নাই। এই কয়টা দিন কিভাবে চলবো?”

“ভাইয়া আমি থাকতে কোনো চিন্তা করতে হবে না। আমি বাসা থেকে আসার সময় ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে আসছি। এটা দিয়ে ৫টা মাস চালিয়ে নিবো।”

“ওরে গাধা এটা তোর বাপের রাজপ্রাসাদ পাস নি। এই ৫ লক্ষ্য টাকা দিয়ে ৫ বছর চালাতে হবে আমাদের। তোদের দু’জনের পড়াশোনা সব চালিয়ে যেতে হবে।”

“আচ্ছা সেটা পড়ে দেখা যাবে। বাবাই না থাকুক, তাও আমি আপু’কে রানির মতো রাখবো দেখে নিও।”

“আচ্ছা হয়ছে এবার থামো তোমরা, আমি বাসায় যাবো।”

–রুমাইশা ঠোঁট উল্টায় বলে, রাহুল কিছু বলে না। পাশে শুয়ে থাকতে বলে। বাবাইয়ে’র জন্য মন খারাপ হচ্ছে সে জন্য এমন করছে মেয়েটা। আর এটা তো স্বাভাবিক।

[৭দিন পর]

–আহনাফ ঢাকায় নিজের কাছে ব্যাস্হ এখন। রাহুল চট্টগ্রাম চলে আসছে, ৩ দিন আগে। পারভেজ এই ৩ দিনে বাসার যা যা লাগে সব কিনে নেয়। বাসা ভাড়া মাসে ১২ হাজার করে। তিনটা রুম, দুইটা বাথরুম একটা কিচেন রুম। বাথরুম যে রুমে আছে সেটা রাহুল’কে দেওয়া হয়ছে। বাকি দুটা থেকে কর্ণারে যে রুম সেটা রুমাইশা নেয়। মাঝখানের রুম’টায় পারভেজ থাকে। এসব করতে প্রায় ২ লক্ষ টাকা শেষ। পারভেজের একটা কথায়।

“বাসায় যে ভাবে থাকতাম এখানে ও সেভাবে থাকবো। সবাই’কে দেখিয়ে দিবো, আমি আপু’কে কষ্টে রাখি নাই। টিভি, ফ্রিজ, খাট যা লাগে সব কিনবো।”

“পারভেজ কি করছিস? এই দিকে আয় তো। আমি ওয়াশরুমে যাবো, আর রুমাইশা কই?”

–ভাইয়ের ডাকে পারভেজ রান্না ঘর থেকে বের হয়। হসপিটালে যে চার দিন ছিলো, সেই ৪দিন ইউটিউবে যতো রান্না আছে সব দেখছে। কিভাবে রান্না করতে হয় শিখে নিছে। পারভেজ কিচেন রুম থেকে বের হয়ে রাহুলের কাছে যায়। রাহুল ওয়াশরুম থেকে এসে বিছানায় বসলে পারভেজ বলে,

“আপু কোচিং এ গেছে ভাইয়া, তুমি দেখি ভুলেই গেছো। আচ্ছা ভাইয়া তুমি বিয়ে করে একটা আমাদের জন্য ভাবি আনতে পারো তো নাকি? তাহলে তো এই কষ্ট করে আমাদের রান্না করতে হয় না।”

“এই বেকার ছেলে’কে কে বিয়ে করবে! শোন বিপদের সময় কেউ পাশে থাকে না বুঝলি। আমি ভালো হই, জব পেলে কাজের জন্য কাউকে রেখে দিবো সমস্যা নাই।”

“আমি আপুর থেকে শুনছি, তোমার নাকি জিএফ আছে। তো ভাবি’কে ডাকো ভাবির সাথে আপু কথা বলবে। ভাবি শুধু রান্না করবে আর তোমার সেবা করবে। আমি সব জোগাড় করে দিবো কেমন?”

“জানি না, রিতু এই অবস্থায় বিয়ে করবে কিনা। তখন একটা আলাদা বিষয় ছিলো। আমার টাকা ছিলো, এখন কিছু নাই৷ আচ্ছা বিয়ের কথা তোর মাথায় কে ঢুকিয়ে দিলো?”

“আরে কে আবার, স্বপ্নে দেখলাম আমি ছোট বাবা হচ্ছি। তো তুমি বিয়ে না করলে সেটা কিভাবে হবে?”

“এই পিচ্চি পাকা পাকা কথা বলিস কেনো? যা এখান থেকে। আর রুমাইশার হয়তো কোচিং শেষ গিয়ে নিয়ে আয়। আচ্ছা তুই কি বল তো? তুই বাসায় গিয়ে বাইক চুরি করে আনছিস।”

–পারভেজ হেঁসে দেয়। এখানে আসার পর, নিজের বাসায় গিয়ে রাহুলের বাইক চুরি করে আনছে। তার মা তো আর এমনি এমনি বাইক নিয়ে আসতে দিতো না। পারভেজ ফিক করে হেসে দেয়। তারপর বলে,

“আমি তো আর কার চালাতে পারি না। না হলে কার চুরি করে আনতাম হুহ। নিজ বাসা থেকে চুরি করার মজা আলাদা। আমার রান্না শেষ, আপু’কে নিয়ে আসি। তুমি বরং রিতু ভাবি’কে বাসায় ডেকে নেও।”

“আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসিস। ৯টা বাজে, খুধা লাগছে আমার।”

–১মাস কেটে গেলো চোখের পলকেই। রাহুল এখন সুস্হ হাটা চলা করতে পারছে। কিন্তু এখনো জবের জন্য বের হয়নি। বিয়ের কথা রিতুকে জানিয়েছে, রিতু বলছে সুস্থ হয়ে বাসায় পস্তাব নিয়ে যেতে। তাই আজ সে, পারভেজ, আহনাফ, রুমাইশা সাথে মুন্নি ও থাকবে। ৫জন মিলে রিতুর বাসায় যাবে বলে ঠিক করে নেয়।

“আউচ”

–রুমাইশা রেডি হয়ে রুম থেকে বের হচ্ছিলো, তখন সামনে আহনাফ কে দেখে চমকে উঠে। তার পাশে মুন্নি’কে দেখে মাথা নিচু করে। তখন ভাইয়ার রুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়। আর সাথে সাথে আহনাফে’র মাথার সাথে নিজের মাথা বাড়ি খায়। আহনাফ বিরবির করে বলে,

চলবে?…………….

(হ্যাপি ইন্ডিং দিবো, আর গল্পটা খুন শিগ্রয় শেষ করবো। কারণ মাঝখানে এসে গল্পটা এলোমেলো হয়ে গেছে। সুন্দর করে সাজাতে পারি নাই🥺। যারা গল্প পড়েন তারা রেসপন্স করবেন প্লিজ🥺 ভালো রেসপন্স আসলে তাড়াতাড়ি নেক্সট পর্ব দিবো। গল্প সম্পর্কে আপডেট পেতে গ্রুপে জয়েন হন, © ফারহানা’স গল্প ভান্ডার💖। গল্প সবার আগে পেতে পেইজে ফলো দিয়ে রাখুন। পেইজ© ツ অচেনা ডায়েরী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here