তোমাতে_আমি_মুগ্ধ –৩

0
530

#তোমাতে_আমি_মুগ্ধ (৩)
#ফারহানা_জান্নাত

“আজ থেকে আমার রুমে ঘুমাবে তুমি, কাল তো নেকামি করছো আজ এসব বাদ দিয়ে আমার রুমে যাও। রাহুল আসার পর ও পাশের রুমে থাকবে।”

–রুমাইশা আহনাফে’র দিকে তাকিয়ে কিছুটা ঝাঁঝালো কন্ঠে বলে,

“না আমি থাকবো না, আমাদের বিয়েটা স্বাভাবিক বিয়ের মতো না। তাছাড়া আমার পড়াশোনা আছে একদম বিরক্ত করবা না আমাকে। আমি এখন পড়তে বসবো।”

“মিসেস তুমি যা ভাবছো সেটা হবে না সমস্যা নাই। তবে তুমি চাইলে তোমার ভাবনা সত্যি করতে পারি। কি রাজি আছো নাকি?”

–আহনাফ রুমাইশার কানে কানে কথাটা বলে। রুমাইশার শরীর যেনো শিরশির করে উঠে। কি নির্লজ্জ কথা বার্তা বলে ছেলেটা। রুমাইশা দাঁতে দাঁত চেপে বলে,

“তুমি এতো অসভ্য কেনো ভাইয়া? আমি তোমার কতো ছোট সুন্দর করে কথা বলবা। বড়দের থেকে কিন্তু ছোট’রা শিক্ষা নেয়। তুমি যদি এমন খারাপ কথা বলো তাহলে ছোট’রা কি শিখবে বলো।”

“এ্যা! ওরে এতো জ্ঞান দিতে হবে না। তোমার উপর সম্পূর্ণ অধিকার আছে আমার। কিন্তু আমি সেটা এখন চাচ্ছি না। তবে আমার সাথে একই বেডে থাকবা তুমি ওকে? যাও আমার রুমে বই আছে পড়তে বসো।”

“ছেলে মানুষ’কে বিশ্বাস করতে নাই। হুহ্ জিএফ থাকতে ও আমার সাথে এতো ভালো ব্যাবহার করার মানে কি? আহনাফ ভাইয়ার মনে যে কি চলছে কে জানে।”

“এতো কি ভাবিস হ্যা? যা পড়তে বস আমি পড়া ধরবো। বেশি সময় নাই, ফাঁকি বাজ হলে হবে না।”

“চুপ। অসভ্য, বেয়াদব, একবার তুমি আবার একবার তুই বলো কেনো হ্যা? আমি ও কিন্তু তুই করে বলবো।”

–আকস্মিক এমন ঝারি খেয়ে আহনাফ থতমত খেয়ে যায়। এই টুকু বাচ্চা মেয়ে ওকে ঝারি মারছে! আহনাফ রুমাইশার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। রুমাইশা ভয়ে চোখ মুখ শক্ত করে বলে,

“দে-দে-দেখো ভাইয়া আমি কিন্তু একটা বাচ্চা মেয়ে। আমি আপনার বাচ্চার বয়সের, আমার কাছে আসবা না প্লিজ।”

“রুমাইশা স্টপ প্লিজ, সব কিছুর একটা সিমা থাকা উচিত। এমন পাগলদের মতো ব্যাবহার করিস কেনো? আমি তোর জামাই হই, আর তুই নিজেকে আমার বাচ্চার বয়সের ভাবছিস। তা তুই তো আমার বউ কয়টা বাচা জন্ম দিলি?”

–আহনাফ রুমাইশার গালে একটা চড় বসিয়ে দেয়। তারপর রাগি সুরে কথাটা বলে। রুমাইশা গালে হাত দিয়ে কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলে,

“সরি ভাইয়া, আর এসব বলবো না। প্লিজ তবুও আমাকে চড় দিও না। আমার ব্যাথা করছে, আমাকে কেউ চড় দেয় না কখনো।”

“আবার একটা খা, আমি তোর কোন জন্মের ভাই হই? জামাই’কে ভাই বলতে লজ্জা করে না! এসএসসি দিবি তাও বুঝিস না কোথায় কিভাবে কথা বলতে হয়।”

“ভাইয়া”

–আহনাফ আবার একটা চড় বসিয়ে দেয়। এবার রুমাইশা নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না। ফুপিয়ে কেঁদে উঠে, কাঁদতে কাঁদতে হিচকি উঠে গেছে। আহনাফ নিজেকে শান্ত করে রুমাইশা’কে বেডে বসিয়ে দেয়। তারপর বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে নিয়ে বিরবির করে বলে,

“তোমাকে কিভাবে বোঝাবো রুমাইশা, বিয়ে মানুষের একবার হয় সেটা তো বুঝতে চাচ্ছো না। আমি সম্পর্ক’টা ঠিক করতে চাচ্ছি তাড়াতাড়ি। আমার জিএফ আছে, বিয়ের পর জিএফ থাকলে সেটা পরকীয়া হয়ে যায়। তুমি বিয়ে সম্পর্কে বোঝো তবুও কেনো এমন বাচ্চামি করছো?”

“তুমি আমাকে মারছো, মা শুধু আমাকে ভালোবাসে না সে জন্য মারতো। তুমি ও আমাকে ভালোবাসো না। কেউ ভালোবাসে না আমাকে, আমি বাসায় যাবো।”

“সরি, রাগ উঠছিলো। আচ্ছা আমাকে এটা বলতো তুমি কি কাউকে ভালোবাসো?”

“কেনো?”

–রুমাইশা আহনাফে’র টি শার্ট এ নাক মুখে কথাটা বলে। আহনাফ চোখ মুখ কুঁচকে ফেলে। এই মেয়েটা এই মাত্র কি করলো! সেটা ভাবতেই যেনো তার গাঁ গুলিয়ে আসছে। কিন্তু কিছু বললো না, এমনি থেকে মেয়েটা কান্না করছে।

“শুনতে চাচ্ছি বলো, কাউকে ভালোবাসো নাকি? একটা মেয়ে স্বামীর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ছটফট করে। আর আমি নিজে তোমাকে সম্পর্ক’টা স্বাভাবিক করার কথা বলছি এমন দূরে থাকতে চাচ্ছো কেনো?”

“আমি কারো দয়া চাচ্ছি না সে জন্য। তুমি যে-দিন আমাকে ভালোবেসে চাইবা সেদিন তোমার কাছে আসবো প্রমিজ।”

“মানে!”

“কিছু না, আমি ঘুমাবো।”

“ঘুমাও”

–আহনাফ রুমাইশা’কে শুয়ে দিয়ে নিজে ও শুয়ে পড়ে। আজকে আর পড়তে বসা হলো না তার। আহনাফ ক্লান্ত ছিলো সে জন্য তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে। আহনাফ ঘুমিয়ে গেলে রুমাইশা আহনাফে’র দিকে তাকিয়ে বলে,

°ভালোবাসা এমন কেনো?
তার ভালো থাকার জন্য –
নিজেকে কষ্ট দিতে হচ্ছে।
তুমি আমার ভালোবাসা,
থাকো ভালো অন্য কাউকে নিয়ে।°

°তোমাকে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করছে খুব।
বলতে ইচ্ছে করছে,
প্রিয় আমাকে একটু ভালোবাসবে?
আমি যে তোমার,
ভালোবাসার কাঙ্গাল°

–রুমাইশা উঠে পড়তে বসে। প্রায় ২ ঘন্টা পড়ে, আহনাফে’র পাশে এসে শুয়ে পড়ে। ভোরে আজানের ধ্বনি কানে আসতে ঘুম ভেঙ্গে যায় আহনাফে’র। রুমাইশার দিকে তাকিয়ে দেখে মেয়েটা একদম গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে। বেডের মাঝখানে এমন ভাবে জায়গা রাখছে, যেনো মাঝখানে আরো দু’জন শুয়ে থাকতে পারবে।

“এটাই বুঝি পবিত্র বন্ধন! ৩বছরের ভালোবাসা রেখে ২দিনের স্ত্রীর প্রতি মুগ্ধ হচ্ছি কেনো? এ কি আমার অন্যায় না! আমি কি তবে অন্যদের মতো চরিত্র হীন হচ্ছি?”

–আহনাফ নিজেই বিরক্ত হয় এসব ভাবতে, বিরক্ত নিয়ে রুমাইশা’কে উঠতে বলে নিজে নামাজ পড়তে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর কলিং বেল বাজায় রুমাইশা গিয়ে দরজা খোলে। প্রথমে ভাবছিলো হয়তো আহনাফ কিন্তু না, দুইটা মেয়ে দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে।

“আপনারা! আপনাদের তো চিনলাম না।”

“এই মেয়ে তুমি এখানে কি করছো? আমরা কি ভুল ঠিকানায় চলে আসলাম নাকি। আচ্ছা এটা কি আহনাফে’র বাসা?”

–দরজার ওপাশে দাড়িয়ে থাকা মেয়ে দুটার মধ্যে মুন্নি নামের মেয়েটা অবাক হয়ে বলে। রুমাইশা একবার দু’জনকে ভালোভাবে দেখে নেয়।

“ভিতরে আসুন, এটা আহনাফে’র বাসা। কিন্তু আপু আপনারা কে, চিনতে পারলাম না তো।”

“তোমাকে দেখে তো ছোট মনে হচ্ছে। তাহলে আহনাফে’র নাম ধরে বলছো কেনো? আচ্ছা তুমি কি আহনাফে’র ছোট বোন?”

“নাহ!”

“তাহলে তুমি কে হও?”

“রুমাইশা কার সাথে কথা বলছো?”

–আহনাফ রুমে ঢুকতে ঢুকতে কথাটা বলে। রুমে মুন্নি আর সাথি’কে দেখে আহনাফ চমকে উঠে। এদের এই বাসার ঠিকানা কে দিলো? আহনাফ তুললিয়ে বলে,

“তু-তু-তুমি এখানে! আর এই বাসার এড্রেস তোমাকে কে দিলো!”

“আগে আমাকে এটা বলো এই মেয়েটা কে? এ যদি তোমার বোন না হয় তাহলে কে হ্যা! তুমি কি আজ-কাল মেয়ে নিয়ে থাকো নাকি?”

“মুন্নি ভদ্র ভাবে কথা বলো। না জেনে না বুঝে এসব বলতে আসবা না। তুমি এখন আসতে পারো। বিকালে দেখা করে সব বলবো আমি।”

“আগে এটা বলো মেয়ে’টা কে হয় তোমার। ওহ কাজের মেয়ে নাকি?”

“মুন্নি”

–আহনাফ চিল্লায়ে কথা’টা বলে। সবাই কেঁপে ওঠে, রুমাইশা একবার আহনাফে’র দিকে তাকিয়ে ঠোঁট উল্টায়। বুঝে নেয় এই মেয়ে’টা হয়তো আহনাফে’র জিএফ। মুন্নি কান্নার সুরে বলে,

“আহনাফ তুমি এই মেয়েটার জন্য আমাকে ঝারি মারছো? মেয়ে’টা তোমার কে হয় বললেই হয়। এমন রিয়েক্ট করছো কেনো?”

“বললাম তো বিকালে তোমার সাথে দেখা করছি যাও। আর এই এড্রেস তোমাদের কে দিলো সেটা বলো।”

“কে আবার, দু’দিন থেকে তোমার খোঁজ নাই। রাহুল ভাইয়ার কাছে ফোন করছিলাম আমি, রাহুল ভাইয়া তোমার এড্রেস দিলো।”

“রাহুল জেনে বুঝে ওর বোনের পায়ে কুড়াল মারতে যাবে কেনো?”

“মানে!”

“কিছু না এখন যেতে পারো। ভোরের আলো না ফুটতে যে কারো বাসায় যাওয়া যায় না এটা জানো না? যাও এখন এখান থেকে।”

“আহনাফ তুমি কি আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছো?”

–আহনাফ বিরক্ত হয়, রুমাইশার সামনে সে এখন কিভাবে কি বলবে? রুমাইশা রুম থেকে বেড়িয়ে আসবে তখন আহনাফ পিছন থেকে হাত টেনে ধরে।

“তুমি কোথায় যাচ্ছো? আমি কি তোমাকে কোথাও যেতে বলছি! পড়তে বসো যাও। আর সাথি তোমার বান্ধবী কে নিয়ে যাও। ওরে বুঝিয়ে বলো যে আমি বিকালে কথা বলবো। এতো জেদ আমার পছন্দ না।”

“দু’দিন পর বলবা আমাকে ও তোমার পছন্দ না। সে জন্য তো এমন ব্যাবহার করছো।”

–আহনাফ ঝাড়ি মারে একটা, সাথি মুন্নি’কে নিয়ে বাসা থেকে চলে যায়। আহনাফ রুমাইশার দিকে তাকিয়ে দেখে পড়তে বসছে। আহনাফ ভড়কে যায়, মেয়েটা এখানেই ছিলো হুট করে কখন পড়ার টেবিলে বসছে! আহনাফ আর কিছু না বলে রান্না করতে চলে যায়।

“কিরে তুই আহনাফে’র জিএফ’কে এই বাসার ঠিকানা কেনো দিছিস? তুই কি চাস বল তো। তোর বোনের সংসার ভাঙ্গাবি নাকি!”

–রুমাইশা রাহুল’কে ফোন দিয়ে কিছু কথা শুনিয়ে দেয়। তারপর রাহুল বলে,

“প্রথমত আমাকে তুই বলবি না ওকে। তোর জামাই এসব পছন্দ করে না। তোর বড় ভাই হই সন্মান তো একটু দে।”

“দূর ভাইয়া। এটা বলো তুমি মুন্নি না ফুন্নি ঐ মেয়ে’কে আমাদের এড্রেস কেনো দিছো? মেয়ে’টা সকাল সকাল এসে আমাকে আহনাফে’র বোন, কাজের লোক বানিয়ে দিছে।”

“এটা তো মানা যায় না, রানি কে চাকরানি বানানোর সাহস কই পেলো?”

“বা’ল তুই নাকি এড্রেস দিছিস। সেটা এড়িয়ে যাস কেনো? বলো না ভাইয়া কেনো দিছো।”

“আহনাফ কি চায় সেটা দেখার জন্য। দু দুটা জীবন তো নষ্ট করতে দেওয়া যাবে না। ও তোর সাথে থাকতে চাইলে মুন্নিকে ছেড়ে দিক। আর মুন্নিকে পাঠিয়েছি যাতে ও সব যেনে যায়।”

“অদ্ভুত ভাইয়া, আহনাফ যদি মুন্নি আপুকে নিয়ে হ্যাপি থাকে তাহলে থাকতে দেও। তুমি কেনো এর মাঝখানে আসছো?”

“আগে এটা বল তো, আহনাফে’র নাম ধরে ডাকার সাহস কই পেলি? শুনতে পেলে দিবে দুইটা। আর আহনাফ কই?”

“হুহ কালকে দুইটা চড় বসিয়ে দিছে। ভাইয়া বলছি সে জন্য, ভাইয়া বলতে বারণ করছে।”

“কিহ! আচ্ছা ওর মনে চলতিছে কি? আর আহনাফ কই?”

“রান্না করছে”

“তুই একটু ওর থেকে রান্না শিখে নেস রুমাইশা। বাপের বাড়ি আর শশুর বাড়ি এক না। তুই বাসায় কখনো রান্না ঘরে যাস নি, কিন্তু আহনাফ’কে তোর সাহায্য করা উচিত। তোর জন্য ও পরিবার থেকে বিচ্ছেদ হয়ছে।”

“আচ্ছা তাহলে রাখো। আমি আহনাফে’র কাছে যাই।”

“হুম”

–রুমাইশা ফোন রেখে মাথার চুল গুলো একটা ঝুঁটি করে। তারপর গায়ে ভালোভাবে ওড়না ঠিক করে নেয়। রান্না ঘরে এসে দেখে আহনাফ তরকারি কাটছে। বেচারা ঘেমে একাকার হয়ে গেছে। রুমাইশা গালে হাত দিয়ে আহনাফে’র দিকে তাকিয়ে থাকে। আহনাফ সেটা বুঝতে পেরে বলে,

“আমি সুন্দর এটা আমি নিজেও জানি। কিন্তু তুমি এভাবে তাকিয়ে থেকো না প্লিজ। এতে আমি তোমাতে মুগ্ধ হয়ে পড়বো।”

“আমি মোটেও তোমাকে দেখছি না হুহ্। আমার বয়ফেন্ড আছে, তোমাকে দেখতে যাবো কেনো! আমার চোখ এতোটা ও খারাপ না যে, বাঁদরের দিকে তাকিয়ে থাকবো সব সময়।”

“তুমি কি আমাকে বাঁদরের সাথে তুলনা করছো? তুমি জানো! কতো মেয়ে আমার জন্য পাগল।”

“হুহ চেহারা দেখে না, তুমি ডাক্তার সে জন্য সবাই পাগল। কারন মেয়েরা ডাক্তার পছন্দ করে।”

“তুমি ও তাহলে ডাক্তার পছন্দ করো বউ? বউ আমি ঘেমে যাচ্ছি একটু ওড়না দিয়ে তো ঘাম মুছে দিতে পারো।”

“আমার ঠেকা পরে নাই, যাও উঠো আমি তরকারি কেটে দিচ্ছি। আচ্ছা এটা বলো কি তরকারি করবা?”

“আলু ঝুরি করে ডিম দিয়ে রান্না করবো।”

“মাংস নাই”

–রুমাইশা মুখটা ছোট করে কথা’টা বলে। আহনাফ রুমাইশার কাহিনি বুঝতে পেরে বলে,

“তোমার বাপের অনেক টাকা আমার এতো টাকা নাই যে প্রতিদিন তোমাকে মাংস খাওয়াবো। আর এটা উচিত না প্রতিদিন এসব খাওয়া ঠিক হবে না। শাক-সবজি সব খেতে হবে এখন থেকে।”

“কিহ! কখনো না, আমি ডিম, মাংস, মাছ, এসব ছাড়া কিছু খাই না।”

“এখন থেকে খেতে হবে, এখানে কি করছো? যাও পড়তে বসো।”

“উঠো আমি তরকারি কেটে দিচ্ছি।”

“পারবা তো?”

“হুম”

–রুমাইশা এতোক্ষণ মনোযোগ দিয়ে আহনাফে’র আলু ঝুরি করা দেখছিলো। এর আগে কখনো সে এসব দেখে নি, করে ও নাই। বাসায় কাজের মানুষ ছিলো অনেক তারাই কাজ করতো। আহনাফ সেখান থেকে উঠে, গোসল সেরে নেয়। রুমাইশা হয়তো একটা আলু কাটতে ১০ মিনিট সময় নিয়ে ফেলে। তাও আহনাফে’র মতো ঝুরি করতে পারে না। আহনাফ হালকা হেসে মাথা মুছে রুমাইশার কাছে আসে।

“এতো সকালে গোসল করলে কেনো?”

“হসপিটালে যাবো, দুপুরে তো আসবো না সে জন্য। খাবার নিয়ে যাবো ওখানে তোমরা খেয়ে নিবা।”

“কেনো আজ কাজ বেশি নাকি?”

“হুম নতুন জয়েন হয়ছি যে আমি।”

“ওও”

–কথা বলতে বলতে হুট করে আহনাফ চিৎকার দিয়ে বলে উঠে,

চলবে?…………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here