#তোকে চাই❤part:39
#writer:নৌশিন আহমেদ রোদেলা❤
#
।
।
অবশেষে এডমিশন টেস্টটা শেষ হলো,,অসম্ভব রকম মানুষিক চাপ থেকে বেঁচে গেলাম।।এই কয়দিন শুভ্র আমাকে মারাত্মক পরিমানে জ্বালিয়েছে,,,এইতো সেদিন,,রাতে পড়ছিলাম হঠাৎ উনি সামনে এসে দাঁড়ালেন,,,ট্রে হাতে নির্বিকভাবে দাঁড়িয়ে আছেন,,আমি চোখ তুলে তাকাতেই পাশে বসে পড়লেন,,গম্ভীর গলায় হুকুম ছাড়লেন,,,”হা” করো।।আমি ভ্রু কুচকে বলে উঠলাম,,,”মানে?”
।
মানে বুঝো না??ওপেন ইউর মাউথ।।
।
কিন্তু কেন??
।
কেন মানে?? এসব খাবে তাই,,নাও “হা” করো।।
।
কয়টা বাজে?(রাগী গলায়)
।
১ঃ০৫,,
।
এই মাঝরাতে কেউ ভাত খায়??
।
উনি আমার কথা শুনে সাথে সাথেই ভাতের প্লেটটা রেখে অন্য একটা প্লেট নিলেন,,,
।
এবার “হা” করো,,,
।
এসব কি???
।
ফ্রুটস,,যা তুমি এখন খাবে,,
।
আপনি কি পাগল নাকি??আমি খাবো না এখন যান তো,,,,
।
খেতে তো তোমাকে হবেই,,,বুঝছো এই সময় তোমাকে বেশি মুখস্থ করতে হবে,,,আর তারজন্য বেশি বেশি ক্ষেতে হবে,,,,শুনো তোমাকে কিন্তু আমাদের ভার্সিটিতেই চান্স পেতে হবে,,,এট এনি কষ্ট,,
।
কেনো??এতো দরকার কিসের???তাছাড়া সেটার জন্য আমাকে এক্সট্রা খাওয়াতে হবে না।।।আমি নিজেও চাই যেনো আমার ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চান্স হয়।।।কিন্তু আপনার এতো ব্যাকুলতার কারন কি??(ভ্রু নাচিয়ে)
।
তোমাকে অন্য ভার্সিটিতে দিয়ে আমি শান্তিতে থাকতে পারবো নাকি??টেনশনে মরে যাবো,,আমাদের ভার্সিটি হলে তোমার সব আপটেড আমার কাছে পৌঁছে যাবে,,,সো প্লিজ সোনা,,,বেশি বেশি খাও আর পড়ো,,,,(করুন স্বরে)
।
কিন্তু শুভ্রর ইচ্ছে পূরন হয় নি,,,ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়া হয়ে উঠে নি আমার।।জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি,,,এ নিয়ে বেচারা তিন দিন যাবৎ মুখ ফুলিয়ে বসে ছিলো,,,তার নাকি এখনি হার্ট ফেটে যাচ্ছে টেনশনে।।।আপুর এখন ৬ মাস চলছে,,,কেমন একটা গুলুমুলু ভাব চলে আসছে আপুর মধ্যে,,, খুব কিউট লাগে দেখতে।।।আপুকে দেখে মাঝে মাঝে আমারও কনসিভ করতে ইচ্ছে করে,,কতো কিউট একটা অনুভূতি হবে সেটা ভাবতেই অন্যরকম অনুভূতিতে ছেঁয়ে যায় মন।।।কিন্তু শুভ্রকে বুঝিয়ে লাভ নেই,, তারমাথায় তা কিছুতেই ঢুকবে না।।।প্রথমবার আমার কাছাকাছি আসার পরই উনি আমার হাতে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিয়েছিলেন,,,যা দেখে আমি বুঝে গেছি উনি উনার ডিসিশনে অবিচল।।।কিন্তু আমার মারাত্মক ধরনের কাজটা করতে ইচ্ছে করছে খুব।।উনার ডিসিশনকে ওভারটেক করার মতো মারাত্মক কাজ।।।
।
আজ তিনদিন আমি জানতে পেরেছি যে আমি প্রেগনেন্ট।।অসম্ভব রকম ভালোলাগার সাথে চাপা ভয় ঝেকে ধরেছে আমায়।।আর ভয়টা হলো শুভ্র।।।এতোদিনে এটুকু আমার বোঝা হয়ে গেছে,,, উনি আমার জীবনের সাথে তিল পরিমান রিস্কও নিতে চান না।।।আমাকে হারানোর ভয় তার মধ্যে প্রকট।এই কথাটা বলার পর উনার কি রিয়েকশন হবে ভাবতেই গা শিউরে উঠছে।। দু’দিন যাবৎ উনাকে বলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু বাদ সাধছে গলা,,,কিছু বলতে গেলেই গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আসছে,,,সমস্ত কথাগুলোকে শুষে নিচ্ছে অন্ধকার গহ্বরে।।বাড়ির সবার মধ্যে খুশি খুশি ভাব,,মাত্র দু’মাসের মাথায় আমাদের জীবনের সাথে একটি নতুন জীবনের পথচলা শুরু হতে যাচ্ছে।।শুভ্রর ও উৎসাহের সীমা নেই,,সে চাচ্চু হবে,,,ছোটো ছোটো হাতে কেউ তাকে জড়িয়ে ধরবে তা ভাবতেই নাকি তার শরীর শিউরে উঠছে।।সবার আনন্দের মাঝে আমার আনন্দটাই চাপা পড়েছে হাজারো টেনশনের চাপাচাপিতে।।।আমার বিষয়টা কাউকে জানায়নি,,,যেখানে স্বামীকেই জানাতে পারি নি,,সেখানে অন্য কাউকে কিভাবে জানাবো??কাল আপু চট্টগ্রাম থেকে চলে এসেছে,,, কিন্তু ওকেও বলতে পারি নি,,,আসলে বলার সুযোগই হয়ে উঠে নি।।মা হওয়ার অদম্য ইচ্ছেটাকে পূরন করতেই এতোবড় ভয়ানক ডিসিশন নেওয়া,,,,কিন্তু আজ যখন সেই অনুভূতিটা আমার কাছে প্রকট তখনই সাহস গুলো যেনো উড়ে গিয়েছে।।
।
দুপুরে আপুর সাথে বসে গল্প করছিলাম হঠাৎই শুভ্র এসে টেনে হিঁচড়ে রুমে নিয়ে গেলো।।।উনার চোখ মুখ অসম্ভব রকম লাল।।।উনার এই অগ্নিরূপ আমি আগে কখনো দেখি নি,,ভয়ে আমার কলিজা শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম।।আপুও হয়তো বেশ ভয় পেয়েছে তাইতো টু শব্দটি পর্যন্ত করলো না।।শুভ্র আমাকে রুমে নিয়ে বিছানায় ছুড়ে ফেলে দরজা লাগিয়ে দিলেন।।।ঘরে ভয়াবহ নিস্তব্ধতা,,, উনি স্থির দৃষ্টিতে আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বিছানার নিচে রাখা প্রেগনেন্সি রিপোর্ট টা ছুড়ে মারলেন আমার উপর।।ভয়াবহ শান্ত গলায় বলে উঠলেন,,,
।
এসব কি রোদ??
।
………………………..
।
আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি রোদ,,,হোয়াট ইজ দিস?(চিৎকার করে)
।
…..……………………
।
কেনো করলে এমন?? হোয়াই??মানা করেছিলাম তোমায়,,,করেছিলাম কিনা??তবু এসব কেন??? সে সামথিং ইডিয়ট।।
।
কথাটা বলেই ড্রেসিংটেবিলের পাশের ফ্লাওয়ার ভাজটা ছুড়ে ফেলে খণ্ডবিখণ্ড করে দিলেন,,,চারদিকে ঝনঝন শব্দটা যেনো প্রতিধ্বনিত্ব করে উঠলো,,,
।
এতো জেদ???এতো জেদ কিসের তোমার???আমাকে মেরে ফেলতে চাও তুমি??বারবার মানা করার পরও তুমি এই স্টেপটা কি করে নিলে??তবু আমাকে না জানিয়ে??বাচ্চার বাবা যেহেতু আমি জানার অধিকার আমার ছিলো রোদ,,,,কাজটি কি তুমি ঠিক করেছো??
।
আমি মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে আছি,,,সত্যি এটাই, আমি ভুল করেছি,, শুভ্রকে জানানো টা উচিত ছিলো আমার,,কিন্তু উনার ডিসিশন টাও তো ভুলই ছিলো।।।উনি হঠাৎই আমার দুই বাহু চেপে ধরে দাঁতে দাঁতে চেপে বলে উঠলো,,,
।
রোদ??প্রতিশোধ নিচ্ছো আমার থেকে??তোমার সাথে রোড বিহেভ করার প্রতিশোধ??তাহলে সেই প্রতিশোধে নিজের জীবন কেনো জড়াচ্ছো??আমাকে মারো,,আমার সাথে যা ইচ্ছে তা করো কিন্তু নিজের সাথে,,,কেনো??তোমার কোনো ধারনা আছে কতোটা টেনশনে থাকি আমি তোমায় নিয়ে।।।আর আজ তো তুমি সেই টেনশন আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিলে,,,এভাবে তিলে তিলে মারার চেয়ে একবারে মেরে ফেলো আমায় রোদ,,,,
।
আমি চুপচাপ শুনে যাচ্ছি,,,বুকটা দুমরে মুচরে যাচ্ছে,,উনার কথার প্রতিত্তরে কিছু বলার সাহস আজ আর নেই।।এতোক্ষণে দরজার ওপাশে বাড়ির সবাই এসে দাঁড়িয়েছে।।সবার কন্ঠে উদ্বেগ স্পষ্ট তারসাথে দরজা খোলার আকুতি।।শুভ্র যেন আরো ভরকে গেলো,,,দরজার পাশে দাঁড়িয়ে চেঁচাতে লাগলো আর ক্রমাগত লাথি দিতে লাগলো,,,
।
জাস্ট গো ফ্রম হেয়ার,,,যাও এখান থেকে আমাদের মধ্যে আসার চেষ্টাও করবে না,,,গো টু হেল অল অফ ইউ।।
।
কথাটা বলেই পাশের সোফায় জোড়ে লাথি দিয়ে দিলেন,,,,সোফা মুহূর্তেই উল্টে পড়লো।।।ভয়ে আমার শরীর কাঁপছে থরথর করে,,,যেনো শরীরের মধ্যে ভূমিকম্প বয়ে যাচ্ছে,,,উনি আমাকে টেনে বিছানা থেকে নামিয়ে সোজা করে দাঁড় করালেন,,,উনার রাগ এখন আকাশচুম্বি,,,,আমার হাতদুটো শক্ত করে চেপে ধরে বলে উঠলেন,,,
।
বাচ্চা,,বাচ্চা,,বাচ্চা।।।আমার থেকে তোর কাছে এই বাচ্চা বেশি বড় হলো???কি আছে এই বাচ্চায়??যে আমার এতো অনুরোধ,, এতো আদেশও তার,কাছে ব্যর্থ হলো।।।কি হলো কথা বল,,,,ভালোবাসি তোকে,,আমার ভালোবাসাটা কেনো বুঝিস না তুই???এতো করে বললাম,,, পারবো না তোকে হারাতে,,,মরে যাবো আমি।।কিন্তু না,,, সেটা বুঝার ক্ষমতা তোর নেই।।শুনে রাখ,,,আই জাস্ট ওয়ান্ট ইউ,,,শুধু “তোকে চাই ” আমার,,,শুধু এবং শুধুই তোকে।।যে বাচ্চাটা এখনো আসেই নি আমার জীবনে তাকে তো চাইই না,,,আর তোমার বিনিময়ে তো কখনোই না,,(চিৎকার করে)
।
উনার চিৎকার,,, দরজার বাইরের সবার চেঁচামেচি,, আর শরীরের দুর্বলতায় যেনো চোখের সামনে সবকিছু অন্ধকার দেখাচ্ছিলো,,অনেক চেষ্টা করেও দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে উনার বুকে ঢলে পড়লাম,,তারপর কি হয়েছিলো জানি না।।যখন চোখ খুলি তখন আমি বিছানায়,,, আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বসে আছে শুভ্র,,,চোখ মুখ লাল,,,বিশেষ করে ফরসা নাকটা টুকটুকে লাল হয়ে আছে,,,বুঝায় যাচ্ছে কান্না করেছেন।।লোকটা আসলেই পাগল,,এইটুকুর জন্য কান্না করা লাগে বুঝি??চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম,,,মামা,,মামানি,,আপু,,ভাইয়া সবাই আছে,,এমনকি বাবা -মা ও এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে,,সবার চোখ-মুখে খুশি খুশি ভাব,,,শুধু শুভ্র ছাড়া।।।আমি বুঝতে পারছি তার মনটা হাজারো ভয়ে চুপসে আছে।।প্রিয়জনকে হারানোর ভয়।।।আমাকে চোখ খুলতে দেখেই একে একে সবাই এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কনগ্রাচুলেশন জানালো,,,বাবা-মা তো খুব খুশি,,,,তার দুই মেয়েই মা হতে চলেছে।।মামানির খুশি দেখার মতো,,সে রীতিমতো লিস্ট তৈরি করতে বসে গেছে,,,দুই বাবু আসবে কতো এরেঞ্জমেন্ট।।।সবাই যে শুভ্রকে এক দফা বকাবকি করেছে তা বেশ বুঝতে পারছি।।।সবাই রুম থেকে চলে গেলে,,,শুভ্র মুখ খুললো,,
।
সরি পুচকি,,,আম সো সরি,,,(ধরা গলায়)
।
কেনো??সরি কেনো??
।
তোমার সাথে কতো বাজে ভাবে কথা বললাম,,,আসলে এতোটা রেগে গিয়েছিলাম যে কিছু মাথায়ই আসছিলো না।।।মাফ করে দাও আমায় প্লিজ।।
।
চুপ করুন তো।।আপনাকে সরি বলতে হবে না,,,,দোষটা আসলে আমার,,আমার এমনটা করা উচিত হয় নি।।।সরি,,
।
এই পিচ্চি,,,তুমি জানো না তোমার ব্যাপারে আমি কতোটা ভিতু,,, তবু এমনটা কেনো করলে???আজ থেকে ঘুম খাওয়া সব হারাম হয়ে গেলো আমার।।।
।
আমি চুপচাপ উনার চোখের দিকে তাকিয়ে আছি,,এই চোখে আমার জন্য অপরীসীম ভালোবাসা।।।এই ভালোবাসায় মরে গিয়েও শান্তি,,,,,
।
#চলবে,,,,
।
(গল্পটা শেষ করে দিবো।।।,,,এভাবে গল্প ঝুলিয়ে রেখে নিজেরই খারাপ লাগে,,আবার ব্যস্ততার জন্য গল্পটা কনটিনিউও করা,সম্ভব নয়।।।যেভাবে শেষ করতে চেয়েছিলাম সেভাবে শেষ না করতে পারায় নিজেরই খারাপ লাগছে,,,বাট কি আর করা,,সব কিছু সবসময় ইচ্ছের পক্ষে থাকে না।।।এনিওয়ে বাচ্চাদের নাম দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের,,,নতুনদের স্বাগত তো জানাতে হবে)
#তোকে চাই❤
#writer:নৌশিন আহমেদ রোদেলা❤
#part: 40
।
।
বিছানায় বসে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছি,,,বিরক্তিভাবটা মাথায় চাড়া দিয়ে উঠেছে,, আমার বিরক্তির প্রধান এবং একমাত্র কারণ হলো শুভ্র।।সে পুরো ঘরে কার্পেট বিছাতে ব্যস্ত।।তার চিন্তার বিষয় হলো যদি আমি পা পিছলে পড়ে যাই।।মাত্র ১০ দিন হলো আমি জানতে পেরেছি আমি কনসিভ করেছি আর এর মধ্যেই উনি সারা বাড়িতে কার্পেট বিছাতে শুরু করে দিয়েছেন,,,উনার ভাব দেখে মনে হচ্ছে দুনিয়াতে একমাত্র উনার বউই বাচ্চা জন্ম দিচ্ছে,,,আর সবার বাচ্চা তো আকাশ থেকে টুপটুপ করে পড়ছে,,বিরক্তিকর।।। আর সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যাপার হলো,,মামু উনাকে অলরেডি তিনবার ডেকে গেছেন যে অফিসে ইম্পোর্টেন্ট মিটিং আছে,,বাট উনার এককথা তিনি অফিস যাবেন না।।ডেলিভারি হওয়ার আগে ঘর ছেড়েই বেরুবেন না,,,কথাটা শুনেই মেজাজটা চড়া হয়ে গেলো,,,এখনো একমাস ও হলো না আর মহাশয় সব কাজ বাদ দিয়ে ডেলিভারির চিন্তা করছে,,,ভাবা যায় এগুলো??রাগে আমার রীতিমতো মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে ,,, বাড়ির সবাই কি ভাববে??ছিহ,,,আপুও তো প্রেগনেন্ট তবু তো ভাইয়া একা হাতে সব সামলাচ্ছেন নাকি,,,আর এক উনাকে দেখো!!”উফফফ,,ইচ্ছা করছে উনাকে উষ্ঠা মেরে উগান্ডা পাঠিয়ে দিই,,যত্তোসব।।।
।
এই যে মিষ্টার???
।
হুম,,বলো
।
বলো মানে??এদিকে আসুন,,(রাগী গলায়)
।
আমি বিজি আছি বলো শুনছি,,,(কার্পেট মোড়াতে মোড়াতে)
।
আপনার কাজের গোষ্ঠী কিলাই,,,,এদিকে আসুন বলছি,,(চিৎকার করে)
।
কি হয়ছে??সমস্যা টা কি??(ভ্রু কুচঁকে)চেচাঁচ্ছো কেন??
।
চেচাচ্ছি কি সাধে??আপনি অফিস যাবেন না??
।
না,,,
।
কেন??
।
তোমাকে রেখে যাবো না,,,
।
তাহলে চলুন আমিও আপনার সাথে যাই(দাঁতে দাঁত চেপে)
।
উনি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন,,,,”তুমি কি রেগে আছো??”
।
উনার কথাটা শুনে মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেলো,,মহাশয় এতোক্ষণে বুঝতে পারছে যে আমি রেগে আছি,,,,”নাহ,,রাগবো কেন??খুশিতে নাচানাচি করছি দেখছেন না???”
।
আরে বাবা,,হয়েছেটা কি সেটা তো বলবে,,
।
কি হয়েছে মানে??আপনি অফিস যাচ্ছেন না কেন??আপনার কি মনে হয়??আমিই পৃথিবীতে ফাস্ট কনসিভ করেছি নাকি??আজিব…আপুর ৮ মাস চলছে,,তবু ভাইয়াকে দেখছেন ঘরে বসে থাকতে??(ঝাঁঝালো গলায়)
।
বউ মনি আর তুমি এক হলা??তোমাদের বয়সের ডিফারেন্স তিন তিনটা বছর।।ও তোমার থেকে যথেষ্ট স্ট্রং,,,তাই ভাইয়ার টেনশনও কম,,,
।
আপনি বলতে চাইছেন আমি স্ট্রং গার্ল নই??(ভ্রু কুচঁকে রাগী গলায়)
।
আ,,আ নাহ,,,আমি বলছি যে,,,
।
হ্যা কি বলছেন তাই শুনতে চাইছি,,,,(দাঁতে দাঁত চেপে)
।
ত,,তুমি অনেক স্ট্রং বাট আমি একদম স্ট্রং নই,,,তোমাকে এখানে রেখে গেলে আমি টেনশনেই মরে যাবো,,,
।
ফাউল কথা বাদ দিয়ে চলুন ফটাফট রেডি হয়ে নিন,,,,ডায়নিং এ যাবো তারপর আপনি সোজা অফিসে,,,,ওকে??
।
নট ওকে,,,আমি অফিস যাবো না ব্যস।। এখন চলো খাওয়া কমপ্লিট করে আসি।।
।
তাহলে আমিও খাবো না,,,ব্যস
।
রোদ,,,,ওলওয়েজ তোমার এসব জেদ ভালো লাগে না(রাগী গলায়)
।
আমি খাবো না মানে খাবো না,,,,
।
ওকে ফাইন,,,যাবো অফিসে এখন উঠো,,,(দাঁতে দাঁত চেপে)
।
সত্যি,,,উফফ আপনি কতো ভালো,,
।
হুমমম,,,আই নো আমি ভালো,,,
।
কথাটা বলেই উনি আমার গালে ঠোঁট ছুয়ালেন৷।। আর আমি রাগী চোখে তাকালাম,,,
।
কি হলো??এভাবে তাকাচ্ছো কেন??(ভ্রু কুচঁকে)
।
আপনার রিয়েকশন কপি করছিলাম,,,(একগাল হেসে)
।
আমার রিয়েকশন??
।
হুমম,,,আগে আমি আপনাকে কিস করলে এমন রিয়েকশনই তো দিতেন,,,,
।
ওহ তাই??তাহলে এখন একটা দিয়ে দেখো,,,দারুন রিয়েকশন দিবো বেবি,,,(চোখ টিপে)
।
ধেৎ চলুন তো,,,ক্ষুধা লাগছে,,,(ঠোঁট উল্টে)
।
ওকে,,,,চলুন মহারানী।।(মুচকি হেসে)
।
খাবার টেবিলে বসে আছি,,,সবাই খাচ্ছে বাট আমি খেতে পারছি না।।তার কারণ হলো আমার ব্যাপক হাসি পাচ্ছে,,,কিন্তু এমন নিসিদ্ধ জায়গায় হাসা যাবে না তাই হাসি চাপার চেষ্টায় আছি।।আমার হাসির মূল উৎস হলো অভ্র ভাইয়া।।আপুর ডেলিভারি ডেট যতো এগিয়ে আসছে ততোই উনার চুখেমুখে একটা অসহায় অসহায় ভাব ফুটে উঠছে,,,এই মুহূর্তে উনি ঠিক নীরিহ বিড়াল ছানার মতো আপুর দিক তাকিয়ে আছেন,,,উনারই যদি এই অবস্থা হয়,,,তাহলে আমার শুভ্রর যে কি হবে???আল্লাহই জানে,,,আপু খাওয়ার মাঝপথে একটু নড়েচড়ে বসতেই ভাইয়া যেনো চমকে উঠলেন,,,,কন্ঠস্বর খাদে নামিয়ে বলতে শুরু করলেন,,,ঠিক আছো??পেট ব্যাথা করছে??খেতে সমস্যা হচ্ছে??বমি পাচ্ছে,,,,এমন হাজারো প্রশ্নের স্তুপ।। আর আপু বিরক্তি নিয়ে উনার দিকে তাকিয়ে আছেন।।আপুর চাহনি দেখেই বুঝা যাচ্ছে উনি এই কাজটা ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার করে ফেলেছেন।।ব্যাপারটা আমি বেশ ইনজয় করছি,,,,শান্তি শান্তিও লাগছে,,, বাহ,,,আমার মতো আপুও দেখি “অতি ভালোবাসা” নামক প্যারায় আক্রান্ত যদিও শুভ্ররটা একটু বাড়াবাড়ি।।আমার আরো হাসি পেলো যখন মামু বললো,,,”অভ্র,শুভ্র,,লেটস গো বয়েজ।।” কথাটা শুনার সাথে সাথেই দুজনের মুখেই রাজ্যের অসহায়ত্ব ফুটে উঠলো।।অভ্র ভাইয়া আপুর দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,আর আপু নির্বিকার ভঙ্গিতে খেয়ে চলেছে।।শুভ্রর দিকে তাকিয়ে দেখলাম সে ও আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে,,কিন্তু আমি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে আপু আর ভাইয়ার কান্ড দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।।।ওদের দুজনের উঠার নাম গন্ধ না দেখে মামুও অসহায় চোখে মামানির দিকে তাকালেন,,,যার অর্থ এই,,,”তোমার ছেলেরা বউ পাগলা হয়ে গেছে এদের কিছু করো,,,এই বুড়ো বয়সে একা অফিস করতে পারবো না আমি।।” কিন্তু মামুর এই অসহায় দৃষ্টি মামানির কাছে কোনো পাত্তা পেল বলে মনে হচ্ছে না।।।উনি খুব মনোযোগ দিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে চলেছেন।।।এদের অবস্থা দেখে আমার ইচ্ছে হচ্ছিলো,,, গড়াগড়ি দিয়ে হাসি বাট উপায় নেই দেখে চেপে গেলাম।।।অবশেষে তিনজনই অফিসের জন্য পা বাড়ালান,,,আলহামদুলিল্লাহ।।।
।
।
বিছানায় হেলান দিয়ে বসে বেবির কথা ভাবছি।।মাত্র ১০ মাসে আমার লাইফটা কতোটা বদলে গিয়েছে ভাবতেই অবাক লাগে,,,১০ টা মাস আগেও,,,রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে পুরো বাসায় মাথায় করে ফেলতাম,,,সবাইকে ঘুম থেকে জাগিয়ে,,বাবা-মার মাঝখানে গিয়ে বসে থাকতাম,,আর এখন??আমার নিজেরই এমন একটা পুচকু হবে,,, ইসস ভাবা যায়??কার মতো হবে ও??আমার মতো??বাপরে তাহলে নিশ্চয় হার জ্বালিয়ে খাবে,,,তারচেয়ে বরং উনার মতো হওয়ায় ভালো,,,একদম শান্ত শিষ্ট।।।দরজায় শব্দ হওয়ায় ফিরে তাকালাম,,,উনি ফিরেছেন,,,ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম রাত এগারোটা বাজে।।সারাটা দিনে উনি যে কতোবার কল করেছেন তার ইয়াত্তা নেই।।উনাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব টায়ার্ড,,আমাকে দেখেই শুকনো হাসি দিয়ে কপালে ঠোঁট ছুইয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলেন।।।আমার চোখদুটো ওয়াশরুমের দরজায় স্থির,, কখন বেরুবেন আর আমি দেখবো,,সারাটাদিন খুব মিস করেছি উনাকে।।কিছুক্ষণ পরই উনি বেরিয়ে এলেন,,,ব্লু টিশার্ট আর এ্যাশ কালারের থ্রি-কোয়াটার প্যান্ট পড়েছেন উনি।।উনার পায়ের লোমগুলো মারাত্মক লাগছে।।এলোমেলো চুল আর হাজারো ক্লান্তি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন,,,আমি হাতের ইশারায় উনাকে কাছে ডাকলাম আর উনিও বাচ্চাদের মতো হেলেদুলে আমার কাছে এসে বসলেন,,,
।
কি??(ভ্রু নাচিয়ে)
।
আমি সোজা হয়ে বসে,,আমার কোল ইশারা করে বললাম,,”শোয়ে পড়ুন।”উনি অবাক চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে মুচকি হেসে শুয়ে পড়লেন,,কোলে মাথা রেখেই দু’হাতে কোমর জরিয়ে ধরে পেটে ঠোঁট রেখেই বলে উঠলেন,,,
।
প্রিন্সেস??মাম্মামকে একদম ব্যাথা দিবে না।।ইউ নো না??গুড গার্লরা কখনো কাউকে হার্ট করে না।।আর মাম্মামকে তো কখনোই না।।এন্ড আই নো,,মাই প্রিন্সেস ইজ আ গুড গার্ল রাইট???সো বি কুয়াইট,,,আদারওয়াইজ,,,বাবাই তোমাকে একদম কোলে নিবে না,, আর আদরও করবে না,,গট ইট???
।
আপনি এতো সিউরিটির সাথে কিভাবে বলছেন ও মেয়ে?? ছেলেও তো হতে পারে,,
।
না মেয়েই হবে,,,,
।
বাহবা,, এতো কনফিডেন্স??
।
হুমম,,,একদম তোমার মতো কিউট হবে দেখো,,,
।
নাহ,, আপনার মতো হবে,, অনেক সুন্দর।।।
।
উহুম,,,বেবির সুন্দর হওয়াটা ইম্পর্টেন্ট না,,,কিউট হওয়াটাই বেশি ইম্পোর্টেন্ট,,,
।
পার্থক্য কি হলো??(ভ্রু কুচঁকে)
।
পার্থক্য আছে রোদপাখি,,আছে।।অনেককে দেখবে সুন্দর হলেও তাদের জন্য কিউট ওয়ার্ডটা সুইটেবল মনে হয় না,,,আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখবে তেমন সুন্দর না হলেও দেখেই বলতে ইচ্ছে করে,,বাহ খুব কিউট তো।।বুঝতে পারছো ডিসটেন্স টা??(নাক টেনে)
।
হুমম বুঝলাম,,,এবার আপনি ঘুমোন তো,,,,
।
আমার কথায় উনি মুচকি হেসে চোখ বন্ধ করে নিলেন,,,আমি উনার চুলে হাত বুলিয়ে চলেছি,,,চোখ বন্ধ করা অবস্থায়ও উনাকে কি সুন্দর লাগছে,,,ইসস কি সুন্দর করে ঘুমাতে পারেন উনি,,,ভাবতে ভাবতেই উনার চোখে ঠোঁট ছুইয়ে দিলাম,,আর সাথে সাথেই উনি চোখ মেলে তাকালেন,,,
।
#চলবে
#তোকে চাই❤
#writer:নৌশিন আহমেদ রোদেলা❤
#part:41
।
।
ছি রোদ,,তুমি আমার ঘুমিয়ে থাকার সুযোগ নিচ্ছো??তুমি আমার ভার্জিনিটি নষ্ট করে দিলা রোদ??এখন আমার কি হবে??
।
চুপপপ,,,,ভার্জিনিটি না ছাই,,,,আপনার ভার্জিনিটি বিয়ের আগেই খতম,,সো এখন নেকামু কমিয়ে করেন,,,
।
ছি,,,রোদবালিকা এসব কি বলছো??আমি হলাম ইনোসেন্ট বয়,,,আর তুমি এমন অপবাদ দিচ্ছো???জীবনে মেয়েদের দিকে চোখ তোলে তাকালাম না,, আর তুমি আমাকে বানিয়ে দিলে চরিত্রহীন,,,,হাউ কোড ইউ রোদবালিকা,,,হাউ কোড ইউ??
।
এহহহ,,,মেয়েদের দিকে তাকায় দেখে নি,,মিথ্যুক।।রুমু আপুর বিয়েতে গেস্ট রুমে কি করছিলেন শুনি??তসবি পড়ছিলেন বুঝি??(রাগী গলায়)
।
ক,,,কবে??
।
মাথায় বাড়ি দিলেই সব মনে পড়ে যাবে,,,,দিবো বাড়ি??
।
আরে আরে,,,ওটা তো,,,কন,,কনভারসেশন ছিলো,,,এট’স কল্ড রোমান্টিক কনভারসেশন।।।লিপস টু লিপস(চোখ টিপে,,বাঁকা হাসি দিয়ে)
।
বাহ অসাধারন,,,,এতো কনভারসেশনের পরও আপনি ভার্জিন ছিলেন??(ভ্রু কুচঁকে)আর আমি টাচ করতেই সব শেষ??বাচ্চার বাবা হয়ে যাচ্ছে আর এতোদিনে আসছে ভার্জিনিটি বাঁচাতে হুহ।।।
।
ভ্রু কুঁচকাবে না তো,,,কতোদিন বলা লাগে???
।
কেন কি সমস্যা??(ভ্রু কুচঁকে)
।
উফফ আবার??ভ্রু কুচঁকালে তোমায় এত্তো কিউট লাগে ইচ্ছে করে,,কামড়ে কুমড়ে খেয়ে ফেলি।।
।
উনার কথায় আবারো ভ্রু কুচকে তাকালাম আর উনি হুহা করে ঘর কাঁপিয়ে হাসতে লাগলেন,,,
।
।
গাড়িতে বসে আছি,,,শুভ্র ভ্রু কুচঁকে তাকিয়ে আছে,,কপালে চিন্তার ভাজ,,,দৃষ্টি স্থির।।আর আমি একমনে আইসক্রিম খেয়ে চলেছি।।হঠাৎ করেই উনি বলে উঠলেন,,,
।
রোদ??অবোরশন করে ফেলো,,,
।
উনার কথায় আমি থমকে গেলাম,,,মাথাটা যেনো ফাঁকা হয়ে আসছে,,,
।
শুভ্র??(চিৎকার করে)আপনি পাগল হয়ে গেছেন??বাবা হয়ে নিজের বাচ্চাকে মেরে ফেলতে চাইছেন??
।
আই হেব নো আদার চয়েজ,,,,,তুমিই যদি না থাকো তো ওই বাচ্চাকে দিয়ে আমি কি করবো??ইউ হেব টু ডু ইট।।।সব ঠিক করে রেখেছি,,এবার তুমি গেলেই হয়ে গেলো,,লেটস গো।।
।
নো,,,শুভ্র,,আই কান্ট ডু দিস,,,আমার বেবি,,
।
চলো রোদ,,,
।
নো শুভ্র,,প্লিজ আপনার পায়ে পড়ি,,,এমনটা করবেন না,,,প্লিজ।।(পিছাতে পিছাতে)
।
কাম রোদ,,অযথা জেদ করো না,,,চলো,,,
।
নো,,, নো,,,কাছে আসবেন না,,,একদম কাছে আসবেন না,,,প্লিজজ না।।
।
উনি গাড়ি থেকে বের হয়ে আমাকে কোলে তোলে নিয়ে হসপিটালের পথে হাঁটা দিলেন,,,,আমি ছুটাছুটি করছি ক্রমাগত,,,
।
না না ননননননা,,,,,(চিৎকার করে)
।
ধরফর করে উঠে বসলাম,,,শরীর ঘেমে একাকার।।চারদিকে অন্ধকার,,আফসা আলোই মনে হচ্ছে এ যেনো এক আজব পুরী।।।চারদিকে উত পেতে আছে,,,ভয়ঙ্কর সব জীব।।।ক্রমাগত শ্বাস নিচ্ছি,, মনের মধ্যে বাচ্চা হারানোর তীব্র যন্ত্রনায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।।ঠিক এই সময় লাইট জ্বলে উঠলো,,,
।
রোদ??কি হয়েছে??ঠিক আছো তুমি??খারাপ স্বপ্ন দেখেছো নাকি শরীর খারাপ লাগছে??কি হয়েছে??
।
কা,,কাছে আসবেন না,,,দ,,দূরে যান,,, দূরে যান বলছি।।।(হাত দিয়ে ধাক্কিয়ে)
।
কি বলছো এসব??এমন করছো কেন??কি হয়েছে সোনা??বলো আমায়?
।
আ,,আমার বাবু,,,(কান্না ভেজা কন্ঠে)
।
কি হয়েছে আমার প্রিন্সেসের,,,,
।
আ,, আমি,,আ,,,মি
।
তুমি কি বলো??
।
আমি অবোরশন করবো না,,,প্লিজজ
।
কি বলছো এসব??অবোরশন করবে কেনো??এসব ফালতু কথা কেনো ভাবছো তুমি??
।
আমি করুন চোখে উনার দিকে তাকালাম,,এতোক্ষণে বুঝতে পারছি আমি স্বপ্ন দেখছিলাম,,,ভয়ানক দুঃস্বপ্ন।। এবার আমি উনার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লাম,,,শরীর ক্রমাগত কাঁপছে,,,উনিও আলতো হাতে জড়িয়ে নিলেন আমায়,,উনার হাতের স্পর্শে ফুফিয়ে উঠলাম আমি,,,,এতোক্ষণ কতো অসহায় লাগছিলো নিজেকে,,এখন মনে হচ্ছে সব পেয়ে গেছি,,সব।।
।
কি হয়েছে রোদপাখি??বলো আমায়??
।
আমি উনাকে সবটা বললাম,,উনি আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে নিলেন নিজের সাথে,,,
।
চুপ,,,চুপ করো,,শান্ত হও,,,তোমার মনে হয় আমি এমন করবো??ও আমার বেবি,,,মাই প্রিন্সেস,,নিজের বাবুকে মারবো এতোটা খারাপ নিশ্চয় আমি নই,,,বলো?
।
আমি চুপচাপ উনার কথা শুনছি।।যেনো হাজারো ভয় থেকে নিজেকে বাঁচাতে চাইছি,,,স্বপ্নের শুভ্র আর এই শুভ্রের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য,,,এই শুভ্রর বুকে আমি নিরাপদ,,,সাথে আমার বাচ্চাও,,,,
।
পাগলী,,,আমি থাকতে আমাদের বেবির কিচ্ছু হবে না,,,শী ইজ অলসো ইম্পোর্টেন্ট ফর মি,,,আমি বেবি চাইনি তার মানে এই নয় যে ওকে মেরে ফেলবো,,,ও আমার অস্তিত্ব।।জীবন দিয়ে রক্ষা করবো ওকে,,,কিচ্ছু হবে না ওর,,,,রোদবালিকা??
।
আমি চোখ মেলে তাকাতেই বলে উঠলেন,,,”ভাবছি একটা দু’নলা বন্দুক কিনবো,,,,আমার প্রিন্সেসকে যখন স্কুলে দিবো,,ছেলেরা ডিস্টার্ব তো করবেই,,,ওদের জন্য এক্সট্রা প্রোটেকশন কি বলো??
।
উনার কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে উনার দিকে তাকিয়েই হেসে দিলাম,,,উনিও একগাল হেসে আরো শক্ত করে জড়িয়ে নিলেন আমায়,,,,আহ,,কি শান্তি।।মেয়েদের জান্নাতটা হয়তো স্বামীর বুকেই আল্লাহ নিজ হাতে তৈরি করে দিয়েছেন।।।
।
#চলবে