#তুমি_আমার_স্নিগ্ধ_ফুল
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর
#পর্বঃ৩২
সন্ধ্যায় পারফি আর শাফিন বাসায় ফিরে আসলো। বাসায় প্রবেশ করতে দেখলো বাসায় কেউ নেই বুঝলো যে সবাই শাফিনদের বাসায় আছে তাই পারফি আর শাফিন ওদের বাসায় গেলো।
বাসায় প্রবেশ করতে দেখতে পেলো পভেল চৌধুরী আর শরিফ আহমেদ কিছু নিয়ে আলোচনা করছে আর অন্য পাশে ইয়ানা, প্রীতি, পিয়াসা ও শাহানা বেগম গল্প করছে।
পারফি আর শাফিন প্রবেশ করতে সবাই তাকালো ওদের দিকে। পিয়াসা বেগম বলে উঠলো,
সারাদিন কোথায় ছিলি দুটোয়? দুপুরে বাসায় আসলি না কেউ, আবার কোনো খোঁজ খবর ও ছিলো না।
পারফি উত্তর দিলো, ওই একটু কাজে বিজি ছিলাম তারপর পভেল চৌধুরীদের পাশে যেয়ে বসতে বসতে বললো কি নিয়ে কথা বলছো দুজন এতো মনোযোগ দিয়ে?
পাভেল চৌধুরী চিন্তিত গলায় বললো,
রফিক খান দেশে ফিরেছে খাবর পেলাম। ওকে কিভাবে ধরা যায় সেটা নিয়েই আলোচনা করছিলাম।
পারফি নির্বিকার ভাবে বললো,
ওহ্ আচ্ছা, এখন রাখো এসব কথা। তারপর শাহানা বেগমের দিকে তাকিয়ে বললো আন্টি যাও তো আমাদের পুরোনো অ্যালবাম টা নিয়ে আসো। আজ সবাই মিলে আমাদের ছোট বেলার ছবি দেখবো।
পারফির এমন কথায় উপস্থিত সবাই অবাক হলো বেশ। পারফির হঠাৎ পুরোনো ছবি দেখার ইচ্ছে জাগলো কেনো তা কেউ বুঝে উঠলো না।
একরাশ বিস্ময় নিয়ে শরিফ আহমেদ বলে উঠলো,
হঠাৎ পুরোনো ছবি দেখার ইচ্ছে জাগলো কি মনে করে?
শরীফ শিকদারের কথায় পারফি চোখ ছোট ছোট করে বললো,
কেনো দেখতে পারি না?
ত..তা কখন বললাম হঠাৎ দেখতে চাইলে তাই বললাম।
হঠাৎ হঠাৎ কোনো কাজ করার মজাই আলাদা আঙ্কেল। হতে ওতো পারে হঠাৎ কোনো কাজ করে তোমাদের চমকে দিলাম।
পারফির কথার আগামাথা কেউ বুঝলো না সবাই বেকুবের মতো তাকিয়ে রইলো পারফির দিকে। তা দেখে পারফি বলে উঠলো,
আজব সবাই এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো? আমি কি অন্য ভাষায় কথা বলছি যার জন্য আমার কথা তোমরা বুঝতে পারছো না?
শাফিন এবার পারফিকে বললো,
শালা যেভাবে জিলাপির পেচ পেচিয়ে কথা বলছিস তা সবার মাথার এক হাত উপর দিয়ে যাচ্ছে। তুই চুপ থাক আমি দেখছি ব্যপারটা এ বলে শাহানা বেগমের উদ্দেশ্য বললো আম্মু যাওতো আগে অ্যালবামটা নিয়ে আসো।
শাহানা বেগম বিস্ময় নিয়ে উঠে যেয়ে অ্যালবামটা নিয়ে আসলো তারপর সবাই গোল হয়ে এক সাথে বসলো।
পারফি অ্যালবামটা ইয়ানার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো নেও তুমি খোলো অ্যালবামটা, কজ আমরা সবাই এখানে সব পিক দেখেছি, কিন্তু তুমি দেখো নি তাই তুমি এক এক করে ছবি বের করবে আর সেটার বর্ণনা আমরা দিবো।
পারফির কথার আগামাথা কিছু না বুঝলেও ইয়ানা খুশি হয়ে অ্যালবামটা হাতে নিলো। পুরোনো পিকচার দেখতে বেশ লাগে ওর কাছে। অ্যালবাম খুলতে ভেসে উঠলো প্রথমে শাহানা বেগম আর শরিফ শিকদারের বিয়ের ছবি। যেখানে শাহানা বেগমের যুবতী বয়সের ছবিটা ভেসে উঠলো। কি অপরুপ সৌন্দর্যের অধিকারী ছিলো তা এই ছবিটাতে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। এখন মুখে বয়সের হালকা ছাপ পড়ে গিয়েছে তবুও দেখতে মা শা আল্লাহ আর এই যুবতী বয়সের তো তুলোনা এই হয় না।৷
ইয়ানা ছবিটা দেখে বলে উঠলো,
ওয়াও আন্টি তুমিতো অল্প বয়েছে দেখতে পুরোই নাইকা ছিলে।
ইশানার কথায় মুচকি হাসলো শাহানা নেগম। তখন প্রীতি বলে উঠলো দেখতে হবে না কার আন্টি, তুইও দেখতে অনেকটা আন্টির মতো আমার গুলুমুলু বেস্টু।
প্রীতির কথায় সবাই কিছুটা চমকালো। সবার চোখ পড়লো ইয়ানার দিকে। আসলেই শাহানা বেগমের সাথে অনেকটা মিল পাচ্ছে ইয়ানার। এতদিন দেখলেও বিষয়টা ওভাবে কেউ খেয়াল করে নি।
এতগুলো মানুষের দৃষ্টি এক সাথে ইয়ানার দিকে পড়তে ইয়ানা কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গেলো। তা দেখে পারফি বললো হয়েছে নেক্সট পিক দেখা যাক।
পারফির কথায় সম্মতি দিয়ে ইয়ানা পরের পেজে যেতে দেখতে পেলে দুটো ছেলে কান ধরে একে অপরের দিকে মুখ ভেঙচিয়ে তাকিয়ে আছে।
ছবিটা দেখে সবাই এক সাথে হেঁসে উঠলো। পিয়াসা হাসতে হাসতে বললে,
জানিস এই দুটো কে? পারফি আর শাফিন। ছোটবেলা বাচ্চাদের সাথে খেলতে গিয়ে কি নিয়ে জানি বাজিয়ে দিয়ে দুটোয় মিলে বাচ্চাদের সাথে মারামারি করছিলো তখন শরিফ ভাই যেয়ে দুটোর কান ধরে টেনে এনে এভাবে পুরো এক ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রেখেছিলো।
পিয়াসা বেগমের কথায় সবাই এক সাথে হেঁসে ফেললো আবার।
পারফি আর শাফিন মাথা চুলকালো তা দেখে। ছোট বেলার কথা এভাবে ফাঁস হয়ে যাওয়াতে কিছুটা বিব্রতবোধ করলো।
তারপর এক এক করে সব ছবি দেখতে লাগলো আর প্রতিটা ছবির বিবরণ এক এক জনে দিতে লাগলো। ছবি দেখতে দেখতে হঠাৎ একটা ছবির কাছে এসে ইয়ানার হাত জোড়া থেমে গেলো। সাথে কেঁপে উঠলো পুরো শরীর। নিজের চোখকে যেনো বিশ্বাস করতে পারছে না। হাতে থাকা অ্যাবামটাও কাঁপতে লাগলো সমান তালে ইয়ানার হাত কাঁপার সাথে।
এতক্ষণ অপেক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত ছবিটা সামনে আসাতে মৃদু হাসলো পারফি। সাথে তাকালো ইয়ানার কম্পনরত মুখপানে। এতক্ষণ যে এটার এই অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলো। অবশেষে অপেক্ষার প্রহর কাটলো। পারফি ইয়ানার দিকে তাকিয়ে ইচ্ছে করে বললো,
জানো এটা কে? এটাই হলো আমাদের সেই ছোট শ্রুতি যাকে সেই জন্মের পর অপহরণ করা হয়। এর পর আর কোনো খোঁজ মিলে নি আমাদের ছোট পরীর।
পারফির কথায় ইয়ানা চমকে তাকালো পারফির দিকে। কি হচ্ছে কিছু মাথায় আসছে না। এ কিভাবে সম্ভব? আস্তে ধীরে ইয়ানার পুরো শরীর অবশ হয়ে আসতে লাগলো। কম্পিত শরীর আরো কাঁপতে লাগলো। কারণ এটা আর কারো না ওর নিজের ছবি। হ্যা এটা ওর এই ছবি কারণ ওর ছোট বেলার ছবি দিয়ে অ্যালবাম ভোরে রেখেছিলো ইসহাক আহমেদ। ইয়ানার বরাবর এই ছোট বেলার ছবি দেখতে খুব ভালো লাগতো তাই প্রায় প্রতিদিন এই নিজের ছোট বেলার ছবি গুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতো। যার জন্য নিজের ছোট বেলার মুখশ্রী একবার দেখলেই চিনে ফেলতে সক্ষম। আর সেই জন্যই মাত্র একটা বাচ্চার ছবি সামনে আসতে ছবিটা চিনতে দু সেকেন্ড সময় ও লাগে নি। ছবিটা চোখের সামনে পড়তে বুকের ভিতর ধক করে উঠলো এই ভেবে যে ওর ছবি এই অ্যালবামের ভিতর আসলো কিভাবে। পরক্ষণে পারফির কথা শুনে যেনো পুরো শরীর অবশ হয়ে আসতে লাগলো।
ইয়ানাকে এভাবে কাঁপতে দেখে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পারফি বলে উঠলো,
আর ইউ ওঁকে ইয়ানা? এভাবে কাপছো কেনো? কোনো সমস্যা?
পারফির কথায় সবাই তাকলো ইয়ানার দিকে। হাঠাৎ ইয়ানাকে এভাবে কাঁপতে দেখে সবাই চমকে গেলো। সবাই জিজ্ঞেস করতে লাগলো কি হয়েছে কিন্তু কারো কথা ইয়ানার যেনো কানেই ঢুকছে না।
তখন শাফিন বলে উঠলো,
আমি বলছি ফুল পরীর এমন করার কারণ।
শাফিনের কথায় সবাই তাকলো শাফিনের দিকে। শাফিন কিছুটা সময় নিয়ে শাহানা বেগমের দিকে তাকিয়ে বললো,
আম্মু আমরা আমাদের যেই ছোট্ট শ্রুতিকে এতো বছর ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছি ও আর কেউ না আমাদের ইয়ানা। হ্যা ইয়ানা আমাদের সেই ছোট শ্রুতি বলতে বলতে কণ্ঠ কেঁপে উঠলো শাফিনের।
আর এদিকে শাফিনের কথায় উপস্থিত চমকে গেলো। বজ্রপাতের ন্যায় শাফিনের কথাটা সবার কানে বাজতে লাগলো। শাহানা বেগমের শরীর ও কম্পিত হলো শাফিনের কথায়। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে শাহানা বেগম বলে উঠলো,
ক..কি ব..বললি? আ..আমি কি স..সত্যি শুনতে প..পারছি?
পারফি এবার উঠে যেয়ে ইয়ানার পাশে বসলো। তারপর শাহানা বেগমের দিকে তাকিয়ে বললো,
তুমি ঠিক শুনতে পারছো আন্টি এটাই সত্যি। ইয়ানাই হলো আমাদের সেই ছোট্ট শ্রুতি। কথাটা বলে পারফি আলতো করে ইয়ানার হাতের উপর নিজের হাত রেখে ইয়ানার অশ্রুসিক্ত নয়নের দিকে তাকিয়ে বললো,
হ্যা এরাই তোমার আসল বাবা-মা ইয়ানা। বলেছিলাম না তুমি কারো কারো অবৈধ সন্তান না। বলেছিলাম না তুমি পবিত্র এক ফুল এবার বিশ্বাস হলো সেই কথা? তোমার বাবা-মা তোমাকে ফেলে দেই নাই ইয়ানা, তোমাকে অপহরণ করে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিলো।
পারফির কথায় ইয়ানা ছলছল চোখে তাকালো শাহানা বেগম, শরিফ শিকদার আর শাফিনের দিকে। শরীর এখনো কাঁপছে যেনো এতো বড় সত্যি এভাবে সামনে আসবে কখনো কল্পনাও করে নি।
শাহানা বেগম ইয়ানার পাশেই বসা ছিলো। তিনি কাঁপা কাঁপা হাতে ইয়ানার সারা মুখে হাত বুলিয়ে দিয়ে হঠাৎ করে ইয়ানাকে ঝাপটে ধরে ডুকরে কান্না করে বলতে লাগলো,
তুই আমার শ্রুতি? আমার সোনা মেয়ে। কেনো হারিয়ে গিয়েছিলি আমাদের জীবন থেকে মা? তোকে হারিয়ে প্রতিটা মুহূর্তে বুকের ভিতর এক হাহাকার নিয়ে বেঁচে ছিলাম। কতো খুঁজেছি তোকে কোথাও খুঁজে পাই নি। আমার কলিজা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যেতো তোকে একটা বার বুকে জড়িয়ে নেওয়ার আকুলতায়। আল্লাহ কাছো লাখো কোটি শুকরিয়া আমার কলিজার টুকরোটাকে আবার আমার বুকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তোকে আর কোথাও হারাতে দিবো না এই বুকের মাঝে লুকিয়ে রাখবো যাতে কোনো কালো ছায়া তোকে স্পর্শ করতে না পারে।
ইয়ানাও কান্না জড়িত কাঁপা কাঁপা কন্ঠে ডেকে উঠলো,
ম..মা।
ইয়ানার মুখে মা ডাক শুনে শাহানা বেগম যেনো পাগল প্রায় হয়ে গেলো। ইয়ানার সারা মুখে চুমু দিয়ে ভরিয়ে দিয়ে আবার বুকের মাঝে আগলে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লো। এ কান্না যে কষ্টের না এক সুখের কান্না। ১৭ টি বছর পর মেয়েকে বুকে ফিরে পাওয়ার সুখের কান্না।
এদিকে শরিফ শিকদার যেনো জমে বরফ হয়ে গেলো। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ইয়ানার মুখ পানে। আস্তে আস্তে চোখ জোড়া ঝাপসা হয়ে আসছে। ছেলেদের নাকি কান্না করা বারণ কিন্তু আজ শরিফ শিকদার পারছে না নিজেকে সামলাতে। এতো বছর পর মেয়েকে এভাবে ফিরে পাবে কখনো কল্পনাও করে নি। হঠাৎ কারো হাতের স্পর্শ কাঁধে পেয়ে শরিফ শিকদার ঝাপসা চোখে তাকাতে দেখতে পেলো পাভেল চৌধুরী তাকিয়ে। শরীফ শিকদার তাকাতে পাভেল চৌধুরী চোখ দিয়ে ইশারা করলো মেয়ের কাছে যেতে।
শরিফ শিকদার কাঁপা কাঁপা পায়ে এগিয়ে গেলো ইয়ানার কাছে। শরিফ শিকদারকে ইয়ানার পাশে বসিয়ে দিয়ে পারফি উঠে গেলো। শরিফ শিকদার ইয়ানার পাশে বসে কাঁপা কাঁপা হাতে ইয়ানার মাথায় হাত রাখলো।
মাথায় করো হাতের স্পর্শ পেয়ে ইয়ানা তাকালো পাশে। নিজের পাশে নিজের জন্মদাতা পিতাকে দেখে ইয়ানা ফের কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বাবা ডেকে ঝাপটে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠলো।
সাথে কেঁদে উঠলো শরীফ শিকদার ও। চোখের পানি ছেড়ে ইয়ানার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। তখন চোখে পড়লো দূরে দাঁড়িয়ে থাকা শাফিনের পানে। যে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাদের দিকেই তাকিয়ে তা দেখে শরিফ আহমেদ হাত বাড়িয়ে শাফিনকে কাছে ডাকলো।
শাফিন ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো তাদের কাছে। কাছে এসে আস্তে করে ইয়ানার সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো। ইয়ানা তাকালো অশ্রুসিক্ত নয়নে শাফিনের দিকে। শাফিন কাঁপা কাঁপা হাতে ইয়ানার দু গালে হাত রেখে বললো,
আমার বিশ্বাস হচ্ছে না আমার সেই ছোট্ট পরী বোনটা আজ এতো বড় হয়ে গেছে। আমার পরী বোনটাকে কেনো আমি ছোট বেলা কাছে পেলাম না? কেনো বোনটা আমার কাছে ফিরে আসে নি বলতে বলতে শাফিনের চোখ ঝাপসা হয়ে আসলো।
ইয়ানা ভাইয়া বলে শাফিনকে ঝাপটে ধরলো। শাফিন পরম স্নেহে বোনকে বুকের মাঝে আগলে নিলো। পাশ থেকে শাহানা বেগম আর শরিফ শিকদার ও জড়িয়ে ধরলো। আজ কারো সুখে যেনো বাঁধ মানছে না। পৃথিবীর সমস্ত সুখ যেনো উপচে পরছে তাদের, এতো দিনের হারানো সন্তানকে বুকে ফিরে পেয়ে।
কিছুটা দূরে বসে পিয়াস বেগম, পাভেল চৌধুরী, প্রীতি, পারফি মুগ্ধ চোখে দেখতে লাগলো বাবা-মা, ভাই-বোনের সুখের মুহূর্ত। ওদের সবার চোখেও আজ যেনো পানি বাধ মানছে না। এতোদিনের সবার মনের চাপা কষ্টের অবসান অবশেষে ঘটলো।
অনেক সময় পর একে একে সবাই ইয়ানাকে বুকের মাঝে আগলে নিলো পরম স্নেহের সাথে। আজ যেনো কারো সুখের কমতি নেই।
শরিফ শিকদার খুশি হয়ে বললো পাভেল দেখছিস আমার মেয়ে আমার কাছে ফিরে এসেছে। আমার মেয়ে ফিরে এসেছে আজ আমি পুরো এলাকায় মিষ্টি বিলাবো। সকল এতিম বাচ্চাদের পেট পুরে খাওয়াবো। সব ব্যবস্থা কর আমার খুশির আজ বাঁধ মানছে না।
শরিফ শিকদারের আজ এতো এতো খুশি সবাই মুগ্ধ হয়ে দেখলো। লোকটাকে এতোটা খুশি হতে আজ পর্যন্ত কেউ দেখি নি। বারাবর এই শরিফ শিকদার ছিলো কিছুটা চাপা স্বভাবের। আজ যেনো তার খুশির কাছে তার চাপা স্বভাবটা ঢাকা পড়ে গেছে।
শরিফ আহমেদকে এতো খুশি হতে দেখে পারফি বলে উঠলো,
আরে আঙ্কেল ওরুফে শশুর মশাই গুড নিউজ তো আরো একটা শোনা বাকি।
পারফির কথা বলার ধরন দেখে সবাই এক সাথে হেঁসে উঠলো সাথে সবাই উৎসুক চোখে তাকালো নিউজটা শোনার জন্য।
#চলবে?
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
হ্যাপি রিডিং….🥰
দিয়ে দিলাম ইয়ানার আসল পরিচয় এবার সবাই খুশিতো? সবাই মন্তব্য করে জানিও কে কেমন লাগছে গল্পটা।