#তুমি_আমার_স্নিগ্ধ_ফুল
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর
#পর্বঃ২৭
কেটে গেলো আরো কিছু সপ্তাহ। সবার জীবন ব্যস্ততায় ঘিরে ধরলো। প্রীতি আর ইয়ানাও পড়াশোনা নিয়ে বিজি হয়ে পড়লো। সাথে কিছু সম্পর্কের ও পরিবর্তন আসলো। ইয়ানা আর পারফির সম্পর্ক অনেকটা উন্নত হলো। আগের মতো ইয়ানা পারফির সাথে কথা বলতে জড়তায় গুটিশুটি হয়ে থাকে না এখন পারফির সাথে অনেকটা ফ্রি হয়ে গিয়েছে। পারফি বন্ধুসুলভ আচরণ ইয়ানার মন জয় করে নিয়েছে। এখন আর দুজন আলাদা ঘুমোয় না। এখন ইয়নার ঠাই হয়েছে পারফির বুকে।
ইয়ানা বুঝতে পারছে ও দিন দিন পারফির প্রতি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, এটাকে ভালোবসা বলে কিনা ঠিক জানা নেই ইয়ানার। কিন্তু এইটুকু জানে ওর জীবনে পারফি এখন সব। যার কাছে পৃথিবীর সমস্ত সুখ খুঁজে পায়।
পারফির প্রতিটা কাজে ইয়ানাকে প্রতিটা মুহূর্ত মুগ্ধ করে। এই যে প্রতিটি রাতে অফিস থেকে ফেরার সময় একটা করে ফুল নিয়ে আসবে। রাতে ঘুমানোর সময় বুকের মাঝে আগলে রাখবে। রোজ সকালে কলেজে পৌঁছে দিয়ে তারপর অফিসে যাবে আবার দুপুরে গাড়ি পাঠিয়ে দিবে ঠিক ভাবে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য। পারফির প্রতিটি কাজে খুব খুব কেয়ার করবে যার প্রতিটা কাজ ইয়ানা মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকে।
সকাল সকাল কলেজে যাওয়ার জন্য ইয়ানা রেডি হচ্ছিলো আর কথা গুলো ভাবছিলো তখন পিছ থেকে পারফি বলে উঠলো এতো মনোযোগ দিয়ে কি ভাবা হচ্ছে ম্যাডাম?
পারফির কথায় ইয়ানা ভাবনার জগৎ থেকে বের হলো। পিছু ঘুরে পারফির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো তেমন কিছু না। চলুন আমার রেডি হওয়া হয়ে গিয়েছি।
পারফি সম্মতি দিয়ে ইয়ানাকে নিয়ে পিয়াসা বেগমের থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে গেলো। কলেজের সামনে এসে ইয়ানাকে বললো সাবধানে থেকো, আজ তো প্রীতি নেই তাই একা কোথাও যেও না। আমার সময় হলে দুপুরে এসে নিয়ে যেতে আসবো।
ইয়ানা সম্মতি দিয়ে পারফিকে বাই বলে কলেজের ভিতরে ঢুকে গেলো। প্রীতি ওর নানু বাড়ি দুদিনের জন্য বেড়াতে গিয়েছে যার জন্য আজ ইয়ানাকে একা আসতে হলো কলেজে। ঠিক করেছিলো দুদিন ক্লাস করবে না কিন্তু সামনে এক্সাম আছে তাই ইম্পর্ট্যান্ট ক্লাস চলছে তাই বাধ্য হয়ে আসা লাগলো।
প্রীতি নেই দেখে ইয়ানার একা একা মন খারাপ লাগছিলো। মন খারাপ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে তখন চোখে পড়লো এলিজাকে। করিডোরে দাঁড়িয়ে আছে। সেদিন রিসিপশনের পর আর দেখে নি এলিজাকে কিন্তু আজ হঠাৎ ওদের কলেজে এলিজাকে দেখে অবাক হলো বেশ।
ইয়ানা কোনো কথা না বলে এলিজার পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিবে অমনি পিছু থেকে ডেকে উঠলো এলিজা।
এলিজার ডাকে থামলো ইয়ানা, আবার কিছু একটা মনে করে চলে যেতে নিবে অমনি এলিজা ইয়ানার সামনে এসে বললো ডাকার পড় ও চলে যাচ্ছো কেনো? দেখছো না আমি ডাকছি?
ইয়ানা চোখমুখ কঠিন করে বললো আসলে আপু শুনতে পাই নি,কিছু বলবেন?
হ্যা বলার জন্য এইতো ডেকেছি।
হ্যা বলুন কি বলবেন?
এলিজা কিছুটা সময় নিয়ে বললো তুমি পারফির জীবন থেকে সরে যাও। আমরা একে অপরকে ভালোবেসি, এখন তুমি থার্ড পারসন আমাদের মাঝে ঢুকে আমাদের আলাদা করে দিচ্ছো। তাই বলছি পারফির জীবন থেকে সরে যাও।
এলিজার কথা শুনে ইয়ানা চোখ ছোট ছোট করে তাকালো এলিজাট দিকে। তারপর তাচ্ছিল্য হেঁসে বললো কি ভেবেছেন আপনি বলবেন আপনারা একে অপরকে ভালোবেসেন আর তা বিশ্বাস করে আমি সুরসুর করে পারফির জীবন থেকে সরে যাবো?
অফকোর্স সরে যাবে, তোমার কোনো অধিকার নেই আমার পারফির জীবনে থাকার তাই ভালোয় ভালোয় বলছি পারফির জীবন থেকে সরে যাও।
ইয়ানা চোখমুখ শক্ত করে বললো জানতাম আপনি থার্ডক্লাশ একটা মেয়ে কিন্তু এখন দেখছি তার থেকেও নিচু আপনি। অন্যের হাসবেন্ডকে নিজের বলে দাবি করছেন। আর কি বললেন জানি আমি আপনাদের ভিতর থার্ড পারসন? আমি না বরং আপনি সেই থার্ড পারসন। আপনার ভিতর নূন্যতম লজ্জাবোধ টুকু ও নেই বেহায়ার মতো অন্যের হাসবেন্ডের পিছু পড়ে আছেন।
ইয়ানার কথায় এলিজা রাগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে বললো এই মেয়ে মুখ সামলে কথা বলো আর নাহলে খুব খারাপ হবে বলে দিলাম। কি যোগ্যতা আছে তোমার পারফির পাশে থাকার? কোথায় তুমি আর কোথায় পারফি। মিডিক্লাশ মেয়ে একটা, তুমি আমার পারফিকে ফাশিয়ে বিয়ে করে আমার থেকে ওকে কেঁড়ে নিয়েছো। তোমার মতো মিডেলক্লাস মেয়েদের কাজ এইতো অন্যের জিনিস কেঁড়ে নেওয়া।
ইয়ানা দাঁতে দাঁত চেপে বললো যতটুকু বলেছেন এখানেই থেমে যান। ওই মুখ দিয়ে আর একটা বাজে কথা বের করলে খুব খারাপ বলে দিলাম মিস এলিজা। মিডিলক্লাস আমি না আপনি নিজের ব্যবহারে বুঝিয়ে দিচ্ছেন আসলে কে মিডিক্লাস। নেক্সট টাইম আমার আশেপাশেও আসার চেষ্টা করবেন না এ বলে ইয়ানা চলে যেতে নিবে অমনি পিছ থেকে এলিজার কিছু কথা শুনে পা জোড়া থেমে গেলো।
এলিজা রাগে হিসহিসিয়ে বলে উঠলো তুমি একটা নির্লজ্জ মেয়ে। আগে নিজের লভেল টা দেখো তারপর পারফিকে নিয়ে ভাবো। একজন এতিম কুড়িয়ে পাওয়া মেয়ে হয়ে বিখ্যাত বিজনেসম্যান পারফি চৌধুরীকে ফাঁসিয়ে তার গলায় ঝুলে পড়েছো। এখনো সময় আছে পারফির জীবন থেকে সরে যাও।
এলিজার কোনো কথা ইয়ানার কানে গেলো না শুধু একটা কথাই কানের কাছে বারংবার বাজতে লাগলো এতিম শব্দটা।ইয়ানা পিছু ঘুরে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠলো কি যা-তা বলছেন? কে এতিম হুম? আর একটা বাজে কথা বললে আমি এখানে পারফিকে ডাকতে বাধ্য হবো বলে দিলাম।
এলিজা বাঁকা হেসে বললো এমন ভাব করছো যেনো কিছুই জানো না। নিজে তো খুব ভালো করেই জানো রাস্তায় পড়ে থাকা মেয়ে তুমি। তোমাকে কুড়িয়ে নিয়ে নিজের পরিচয় এ বড় করেছে তোমার বর্তমান বাবা। কে জানে কার কুকর্মের ফল তুমি যার জন্য রাস্তায় ফেলে রেখে গিয়েছিলো। বিশ্বাস না হলে নিজের বাবার কাছ থেকে সত্যিটা জেনে নিতে পারো। অবশ্য সবতো তোমার জানাই, এখন না জানার ভান করে আমার পারফির গলায় ঝুলে আছো। কিন্তু বেশিদিন এভাবে ঝুলে থাকতে পারবে না। পারফি যখন জানবে তুমি একটা রাস্তার মেয়ে তখন তোমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিবে।
এলিজার কথায় ইয়ানা বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো। নিজের কানকে যেনো বিশ্বাস করতে পারছে না। বিরবির করে বললো এ হতে পারে না, সব মিথ্যে, কিছু বিশ্বাস করি না আমি বলতে বলতে কোনো দিকে না তাকিয়ে ইয়ানা ছুটে কলেজের বাহিরে চলে গেলো। নিজেকে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য লাগছে। কি করবে কোন দিকে যাবে কিছু মাথায় আসছে না। ইয়না নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করে বিরবির করে বললো সব মিথ্যে, আমি জানি ও আমাকে পারফির জীবন থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য এগুলো বলেছে।
ইয়ানা নিজেকে যতই বুঝাক তবুও মনটা ব্যাকুল হয়ে যাচ্ছে। নিজেকে একটু শক্ত করে সিএনজি তে উঠে বসলো। সোজা চলে গেলো ইসহাক আহমেদের কাছে।
ইসহাক আহমেদে কাজের জন্য বের হতে যাবে তখন কলিংবেল বেজে উঠলো। ইসহাক আহমেদ দরজা খুলে ইয়ানাকে এমন বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে বিচলিত হয়ে ইয়ানাকে বাসার ভিতরে এনে গালে হাত রেখে বললো কি হয়েছে মামনী তোমাকে এমন লাগছে কেনো? কেউ কিছু বলেছে?
ইয়ানা কোনো কথা না বলে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকালো ইসহাক আহমেদের দিকে।
ইয়ানাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ইসহাক আহমেদ আরো বিচলিত হয়ে পড়লেন। বার বার ইয়ানাকে জিজ্ঞেস করতে লাগলেন কি হয়েছে।
ড্রয়িংরুমে কথার আওয়াজ পেয়ে ইতি বেগম রান্নার ঘর থেকে ড্রয়িংরুমে এসে ইয়ানাকে অমন বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে তিনি নিজেও বিচলিত হয়ে জানতে চাইলো কি হয়েছে।
ইয়ানা একবার ইতি বেগের দিকে তাকিয়ে ফের ইসহাক আহমেদের দিকে তাকিয়ে ভাঙা গলায় বললো আমি তোমার আসল মেয়ে না তাইনা বাবা?
ইয়ানার কথায় বুকের ভিতর কামড় মেয়ে উঠলো ইসহাক আহমেদের। মনে পড়ে গেলো ১৭ বছরের আগের সেই রাত্রির কথা।
আজ থেকে ঠিক ১৭ বছর আগে বৃষ্টিময় এক রাতে ইসহাক আহমেদ রাতের বেলা কাজ থেকে ফিরছিলেন। রাত কিছুটা গভীরে ছিলো আর বৃষ্টি হওয়াতে চারপাশে কোনো মানুষজন ছিলো না, কোনো গাড়ি ও ছিলো না। তিনি বুঝলো যে এখন গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে লাভ নেই। রাত বারছে তাই হাতে থাকা ছাতাটা মাথায় দিয়ে রাস্তার পাশ ঘেঁসে হাটতে লাগলেন। হাঁটতে হাঁটতে এক সময় অস্পষ্ট ভাবে একটা বাচ্চার কান্না কানে ভেসে আসলো। এতো রাতে এমন বাচ্চার কান্না কোথা থেকে ভেসে আসছে মাথায় আসলো না ইসহাক আহমেদের। আশেপাশে কোনো বাড়ি ও নেই যে সেখান থেকে কান্না ভেসে আসবে। তিনি সচেতন চোখে বারবার এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো তখন চোখে পড়লো রাস্তার অপজিট পাশে কপড়ে মোড়ানো কিছুর দিকে। তিনি ছুটে রাস্তা অপজিট পাশে যেয়ে কাপড়ে মোড়ানো জিনিসটার দিকে এগিয়ে গেলো।
সেখানে যেতে দেখতে পেলো সেখানে কাপড়ে মোড়ানো ফুটফুটে একটা বাচ্চা কান্না করে চলেছে। ল্যাম্পপোস্টের আলোতে স্পষ্ট দেখা গেলো ফুলের মতো একটা নবজাতক বাচ্চার গগনবিহারী চিৎকার।
ওই নবজাতক বাচ্চাকে এভাবে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে ইসহাক আহমেদ হাত থেকে ছাতা ফেলে দিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নিলো। বৃষ্টিতে ভিজে শরীর ঠান্ডায় বরফ হয়ে গেছে।
ইসহাক আহমেদ আশেপাশে চোখ বুলালো কেউ আছে কিনা দেখার জন্য। কিন্তু কাউকে চোখে পড়লো না। বুঝলো যে কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ফুটফুটে বাচ্চাটাকে এভাবে এখানে ফেলে গিয়েছে। তিনি বাচ্চাটার দিকে মায়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে মনে মনে ভাবলো কোন পাষাণ মা এভাবে পারলো এই ফুটফুটে বাচ্চাটাকে এভাবে ফেলে দিতে?
বাচ্চাটার কান্না ক্রমশ বেড়েই চলেছে তা দেখে তিনি বুকের মাঝে বাচ্চাটাকে আগলে নিলো। তারাতাড়ি ছাতাটা উঠিয়ে দ্রুত বাচ্চাটাকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
বাসায় আসতে কলিংবেল চাপতে ইতি বেগম দরজা খুলে দিলো। দরজা খুলে ইসহাক আহমেদের কোলে এক নবজাতক বাচ্চাকে দেখে অবাক হয়ে বললো একি এই বাচ্চা কার? এভাবে ভিজে আছে কেনো?
ইসহাক আহমেদ বিচলিত হয়ে বললো সব পরে বলছি আগে বাচ্চাটাকে ভেজা সব কিছু পাল্টে গরম করার ব্যবস্থা করো। ঠান্ডায় শরীর বরফ হয়ে গিয়েছে আর কিছুক্ষণ এভাবে থাকলে কোনো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
ইসহাক আহমেদের কথায় ইতি আর কথা না বাড়িয়ে বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নিলো। তারপর ভেজা কাপড় পাল্টে বাচ্চাটাকে উষ্ণ করতে লাগলো। বাচ্চাটার শরীর উষ্ণ হতে আস্তে আস্তে কান্নার রেশটা কমে আসলো। একসময় বিড়াল ছানার মতো ইতি বেগমের কোলে ঘুমিয়ে পড়লো।
বাচ্চাটা শান্ত হতে ইতি বেগম ইসহাক আহমেদের কাছে জানতে চাইলো কিভাবে কি ঘটেছে।
ইসহাক আহমেদ আস্তে আস্তে সব কিছু খুলে বললো ইতি বেগমকে। সব শুনে ইতি বেগমের ও খারাপ লাগলো। তখন ইসহাক আহমেদ বললো আজ থেকে ও আমাদের মেয়ে। আমরা ওকে আমাদের পরিচয়ে বড় করবো।
ইতি বেগম তাকালো বাচ্চাটার দিকে। বাচ্চাটার দিকে তাকাতে খুব মায়া হলো ইতি বেগমের। ফুটফুটে ফুলের মতো বাচ্চাটা তার সাথে লেপ্টে আছে। ইতি বেগম ও ইসহাক আহমেদের কথায় সম্মতি দিলো যে এখন থেকে এটা ওদের মেয়ে।
বাচ্চাটার নাম দিলো ইমার সাথে মিলিয়ে ইয়ানা। ইমা তখন খুব ছোট, তখন নিজের একটা বোন পেয়ে ইমা সে কি খুশি। আস্তে ধীরে ইয়ানা বড় হতে লাগলো সেই সাথে ইতি বেগম ও পাল্টে গেলো। ইয়ানার সাথে আস্তে আস্তে দূর ব্যবহার করতে লাগলো।
ইসহাক আহমেদ ইতি বেগমকে অনেক বোঝাতো কিন্তু ইতি বেগম দিন দিন নির্দয় হয়ে উঠলো। তখন থেকে ইসহাক আহমেদ একা হাতে ইয়ানাকে সামলে রাখতো। বুকের ভিতর সবসময় আগলে রাখতো। কখনো একবারের জন্য ভাবে নি ইয়ানা তার আপন মেয়ে না। তার কাছে ইমা, ইয়ানা সমান ছিলো। দুটো মেয়েকে নিয়েই ছিলো তার পৃথিবী।
সবসময় ভেবেছে ইয়ানাকে ওর আসল পরিচয় কখনো জানতে দিবে না। ইতি বেগম যতই ইয়ানার প্রতি নির্দয় থাকুক না কেনো ইসহাক আহমেদ কাঠকাঠ বলে দিয়েছিলো যদি কোনো দিন ইয়ানাকে ওর আসল পরিচয় জানায় তাহলে তার চেয়ে বেশি খারাপ আর কেউ হবে না।
ইতি বেগম ও তাই যাই করুক না কেনো ইয়ানার সাথে কিন্তু কখনো ও যে তার নিজের মেয়ে না সেটা ইয়ানার সামনে ভুলেও বলে নি।
আর রইলো ইমা, ইয়ানা ছিলো ইমার কলিজার টুকরো বোন। ইসহাক আহমেদের মতো সব সময় বোনকে আগলে রেখেছে। কখনো ভাবে নি ও ওর আপন বোন না। কখনো জানতেও দিবে না বোনকে যে ওর বোন ওর আপন বোন না। কিন্তু সত্যি কথা কি আদো কোনো দিন লুকিয়ে রাখা যায়?
#চলবে?
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
হ্যাপি রিডিং….🥰