তুমি আমার স্নিগ্ধ ফুল পর্ব ১২

0
201

#তুমি_আমার_স্নিগ্ধ_ফুল
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর
#পর্বঃ১২

পারফিকে জড়িয়ে ধরার পর ইয়ানার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পারফি ইয়ানাকে কয়েকবার ডাক দিলো। কিন্তু ইয়ানার কোনো সাড়াশব্দ পেলো না তা দেখে পারফি ইয়ানার মুখ সামনে এনে কয়েকবার গালে হালকা করে চাপর মেরে ডাক দিলো। তখন দেখলো ঠোঁট নাড়িয়ে কিছু বিরবির করে বলছে ইয়ানা। শব্দটা এতোটাই আস্তে যে পারফির কান পর্যন্ত সেই শব্দ পৌছালো না। তাই পারফি কানটা এগিয়ে নিলো ইয়ানার মুখের কাছে। তখন অস্পষ্ট ভাবে শুনতে পেলো ইয়ানা বিরবির করে পানি চাচ্ছে।

পারফি ইয়ানাকে ধরে চেয়ারে বসিয়ে দিলো। দিশেহারা হয়ে আসেপাশে পানি খুঁজতে লাগলো কিন্তু কোথাও পানির ছিটে ফোঁটাও নেই। এমন বদ্ধ একটা ঘরে পানি থাকার কথাও না। পারফি কি করবে বুঝে উঠতে পারলো না। ইয়ানার সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসে ইয়ানার দু গালে হাত রেখে ইয়ানাকে ডাকতে লাগলো। কিন্তু কোনো সারা পাচ্ছে না। হাত-পা প্রচুর ঠান্ডা হয়ে আছে এই অবস্থায় পারফি কিভাবে কি করবে ভাবতে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে। তারাতাড়ি নিজের পড়নের জ্যাকেট খুলে ইয়ানাকে পড়িয়ে দিলো। ইয়ানার হাত নিজের মুঠোয় নিয়ে উষ্ণ করার চেষ্টা করলো। এভাবে অনেক সময় পর ইয়ানা কিছুটা উষ্ণ হতে গালে হালকা করে চাপর মেরে ডাকতে লাগলো।

একটা সময় ইয়ানা কিছুটা হুঁশে আসলো। পিটপিট করে তাকাতে দেখতে পেলো পারফি ওর সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসে ওর গালে হাত দিয়ে ওকে ডেকে যাচ্ছে। দূর্বল গলায় কিছু বলতে যাবে কিন্তু পানির পিপাসায় গলা এতো শুকিয়ে আছে যে কিছু বলার শক্তি পেলো না।

এদিকে ইানাকে চোখ খুলতে দেখে যেনো পারফি নিজের জীবন ফিরে পেলো। তারাতাড়ি বসা থেকে উঠে ইয়ানাকে বুকে আগলে নিলো। এতো সময় ইয়ানার কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়াতে পারফির নিঃশ্বাস আঁটকে আসছিলো। ইয়ানাকে নিজের বাহুডোরে আগলে রেখে করুন গলায় বললো আর একটু সহ্য করো বিড়াল ছানা। নিজের ভিতর একটু শক্তি জোগাড় করো আর নাহলে এখান থেকে যাবো কিভাবে বলো? এখান থেকে যেয়ে তোমার সব কষ্ট মুছে দিবো শুধু একটু শক্ত হও স্নিগ্ধ ফুল।

ইয়ানা চুপচাপ পারফির বুকে চুপটি করে পড়ে রইলো। পারফির ব্যাকুলতা দেখে নিজেকে একটু শক্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগলো। এখান থেকে বের হতে হলেও অনন্ত নিজেকে একটু শক্ত করা প্রয়োজন। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে ইয়ানা উচ্চারণ করলো এ..খান থ..থেকে ন..নিয়ে চলুন ন..না ন..নিশ্বাস নিতে খ..খুব কষ্ট হ..হচ্ছে।

পারফি ইয়ানার কাঁপা কাঁপা কন্ঠ শুনে বললো আর একটু কষ্ট সহ্য করো স্নিগ্ধ ফুল আমি এখনি তোমাকে এখান থেকে নিয়ে যাবো। আর কখনো কষ্ট পেতে দিবো না শুধু একটু কষ্ট করো।

ইয়ানা কিছু বললো না চুপ থাকলো তা দেখে পারফি ইয়ানাকে নিজ থেকে ছাড়িয়ে দু গালে হাত রেখে বললো বিড়াল ছানা ঠিক আছো তুমি?

ইয়ানা অশ্রুসিক্ত চোখে পারফির দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে ইশারা করলো ঠিক আছে।

পারফি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ইয়ানাকে ফের চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে বললো তুমি এখানে বসো আমি দেখি কি করা যায় এ বলে দরজার কাছে এগিয়ে গেলো। বাহির থেকে দরজা লক করা। কিভাবে দরজা খুলবে তা ভাবতে লাগলো।
কিছুক্ষণ ভেবে কিছু একটা মনে করে ডাক দিলো দরজার ওই পাশে কেউ আছে?

প্রথমবার সাড়াশব্দ না পেলেও কয়েকবার ডাক দেওয়ার পর ঘুম জড়ানো কন্ঠে কেউ বললো কি হয়েছে? চেঁচাচ্ছেন কেনো?

আসলে ভিতরে যেই মেয়েটাকে রেখেছেন সে পানির জন্য ছটফট করছে। একটু পানি খাইয়ে দিয়ে যাবেন আর নাহলে মেয়েটার কিছু হয়ে যেতে পারে।

এখন দরজা খোলা যাবে না বসের নিষেধ আছে। যা বলার কাল সকালে বসকে বলেন।

মেয়েটার এখন পানি না পেলে কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। আপনার বস নিশ্চয়ই আমাদের মে/রে ফেলার আদেশ দেয় নি?এখন যদি মেয়েটার কোনো ক্ষতি হয়ে যায় তখন আপনার বসকে কি কইফিয়ত দিবেন?

লোকটা ভাবলো আসলেই যদি কিছু হয়ে যায় তখন বসকে কি বলবে? বসতো তাহলে জা/নে মে/রে দিবে ভাবতে কিছুটা ঘবড়ে গেলো লোকটা। তাই বললো আসছি আমি পানি নিয়ে এ বলে কিছুক্ষণ পর হাতে এক বোতল পানি নিয়ে এসে দরজা খুলতে লাগলো। দরজা খোলার সাথে সাথে পারফি লোকটার মুখ চেপে ধরে ভেতর থেকে দরজা আঁটকে দিয়ে লোকটার ঘাড় বরাবর ঘুষি মেরে দিলো। লোকটা সাথে সাথে জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়লো নিচে।

নিচে পড়ে থাকা পানির বোতল উঠিয়ে পারফি ইয়ানার কাছে চলে গেলো। কিছুটা পানি ইয়ানাকে খাইয়ে দিয়ে চোখমুখ পানি দিয়ে দিলো এতে যেনো ইয়ানা জীবন ফিরে পেলো। ইয়ানাকে একটু স্বাভাবিক হতে দেখে ইয়ানার হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে সামনের দিকে হাঁটা দিয়ে বললো চলো।
ইয়ানা দূর্বল শরীর নিয়ে ভয়ে ভয়ে পারফি সাথে হাঁটতে লাগলো।

পারফি সতর্কতার সাথে ইয়ানাকে নিয়ে বের হতে লাগলো। রাত অনেক গভীর তাই গার্ডের আনাগোনা কম হয়তো সবাই ঘুমাচ্ছে। পারফি সাবধানে মেইন ডোর পর্যন্ত ইয়ানাকে নিয়ে আসলো। তারপর দেখতে পেলো মেইন ডোরের কাছে একজন গার্ড ঝিমাচ্ছে। পারফি সেই সুযোগে ইয়ানাকে একটু আড়ালে দাঁড় করিয়ে ওই গার্ড কেও একি ভাবে মে/রে দরজা খুলে ইয়ানাকে নিয়ে বাসাটা থেকে বের হলো।

বাসা থেকে বের হয়ে বুঝতে পারলো গভীর কোনো জঙ্গলের মাঝে ওরা আছে। চারপাশে সারিসারি বিশাল বিশাল গাছ। সব কিছু অন্ধকারে ঘেরা এখন এই অবস্থায় কোন দিকে যাবে কি করবে কিছু বুঝতে পারলো না।

এদিকে ইয়ানা ভয়ে ভয়ে আশেপাশে তাকাচ্ছে। চারদিক থেকে শিয়ালের ডাক একটু পর পর কানে ভেসে আসছে যা শুনে কেঁপে উঠছে ইয়ানা। এক হাত পারফির হাতের মুঠোয় অন্য হাত দিয়ে ভয়ে পারফির শার্ট খামছে ধরলো। তা দেখে পারফি ইয়ানার হাতটা আরেকটু জোরে ধরে বললো ভয় পেও না আমি আছি তো।

ইয়ানা একটু ভরসা পেলো। পাশে থাকা মানুষটা যে ওকে জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করবে এতক্ষণে বুঝে গেছে তা।

হালকা চাঁদের আলোয় পারফির চোখে সরু একটা রাস্তা চোখে পড়লো। ইয়ানাকে নিয়ে সেদিকে হাঁটা দিলো এখানে এখন বেশি সময় থাকা যাবে না যতো দ্রুত সম্ভব এখান থেকে যেতে হবে।

সরু রাস্ত অনুসরণ করে হেঁটে চলেছে কিন্তু কোনো কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছে না। সাথে ফোন ও নেই যে লোকেশ দেখে এই ঘনো জঙ্গল থেকে বের হবে। এই ঘনো জঙ্গলে এভাবে বেশি সময় থাকাটাও রিস্ক।

এদিকে ইয়ানার আর পা চলছে না। এমনি দূর্বল শরীর দুদিন থেকে না খাওয়া যার জন্য প্রচন্ড খুদাও লেগেছে। হাঁটার আর শক্তি খুঁজে পাচ্ছে না বার বার পা ভেঙে আসছে। এভাবে আরো অনেক সময় হাটার পর মেইন রাস্তার দেখা মিললো। দূর থেকে ল্যাম্পপোস্টের আলোতে মেইন রাস্তা দেখা যাচ্ছে। তা দেখে ইয়ানার ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠলো। পারফির খামছে ধরে রাখা শার্ট আরেকটু দৃঢ় ভাবে ধরে বলে উঠলো ওই দেখেন মেইন রাস্তা দেখা যাচ্ছে ।

পারফি ইয়ানার দিকে তাকি বললো দেখতে পারছি চলো এ বলে দুজন দৌড়ে মেইন রাস্তায় উঠে হাঁপাতে লাগলো। দুজনের মুখে খুশির ঝলক দেখা গেলো।

এখন কথা হলো মেইন রাস্তা পর্যন্ত তো এসেছে কিন্তু এখন এতো রাতে গাড়ি পাবে কোথায়? দুই পাশের রাস্তার কোন দিকে যাবে কিছুই বুঝে উঠলো না কারণ জায়গায়টা পুরোই অচেনা। বুঝলো যে ঢাকার বাহিরে কোনো জায়গায় আছে ওরা।

দাঁড়িয়ে দুজন গাড়ির অপেক্ষা করতে লাগলো। প্রচন্ড শীত ও লাগছে। এতক্ষণে ইয়ানা খেয়াল করলো পারফির জ্যাকেট ওর গায়ে। ইয়ানা দেখলো জ্যাকেট গায়ে তারপর ও শীত লাগছে প্রচুর আর পারফি শুধু একটা শার্ট গায় দেওয়া। তা দেখে ইয়ানা আমতা আমতা করে বললো আপনার শীত লাগছে না? চাইলে জ্যাকেটটা নিতে পারেন।

পারফি ইয়ানার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বললো আমার লাগবে না আমি ঠিক আছি এটা তোমার প্রয়োজন। চলো সামনে এগিয়ে দেখি কোনো গাড়ি পাই কিনা। এ বলে ফের ইয়ানার হাত ধরে সামনে হাঁটা ধরলো। ইয়ানা বিড়াল ছানার মতো চুপটি করে পারফির সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটতে লাগলো। ল্যাম্পপোস্টের আলোয় আলোকিত রাস্তায় দুজন এক সাথে হেঁটে চলেছে অজানা গন্তব্যে। কোথায় আছে, কোথায় যাচ্ছে কিছুই জানা নেই। এভাবে হাটতে হাটতে একসময় একটা সিএনজির দেখা মিললো।

সিএনজিটা কাছে আসতে পারফি হাতের ইশারায় সিএনজি থামালো। সিএনজি ড্রাইভার কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো এতো রাতে এই নির্জন রাস্তায় মানুষ আসলো কি করে? কোনো ভূত ছদ্মবেশে আসলো নাকি ভাবতে লোকটা কাঁপতে লাগলো।

হঠাৎ করে লোকটাকে কাঁপতে দেখে বেকুব বনে গেলো পারফি। লোকটার দিকে তাকি বললো আপনি কাপছেন কেনো?

লোকটা কাঁপা কাঁপা গলায় বললো আ..আপনারা কি সত্যি মানুষ নাকি ভ…ভূত।

লোকটার কথা শুনে পারফি কি বলবে বুঝতে পারলো না। কিছুক্ষণ লোকটার দিকে তাকিয়ে থেকে বললো ভূত হলে নিশ্চয়ই এতক্ষণে আপনার ঘাড় মটকে দিতাম? দেখেন ভাই আমরা বিপদে পরে এখানে আটকা পড়ে গিয়েছি একটু হেল্প করতে পারবেন?

লোকটা এতক্ষণ এ ভাবলো আসলেই ভূত হলে এতক্ষণে তার ঘাড় মটকে দিতো। বুঝলো যে এরা মানুষ বিপদে পরেছে তাই বললো কি হেল্প?

এই জায়গাটার নাম কি বলতে পারেন?

লোকটার থেকে জানতে পারলো জায়গাটা ঢাকা থেকে অনেক দূরে গ্রাম টাইপের একটা জায়গায় আছে। এখান থেকে ঢাকা পৌঁছাতে ৫,৬ ঘন্টা লাগবে। তা শুনে পারফি বললো আমাদের পৌঁছে দিয়ে আসতে পারবেন?

লোকটা বললো আমরা তো এই জায়গার লাইনে গাড়ি চালাই। অন্য লাইনে যাওয়া যাইবো না তবে আপনারা চাইলে আমি বাসস্ট্যান্ডে পর্যন্ত পৌঁছায় দিয়া আসতে পারি। কিন্তু এতো রাইতে বাস পাইবেন না বাসের জন্য সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগবো।

আচ্ছা সমস্যা নেই আপনি তাহলে আমাদের বাসস্ট্যান্ডে পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসেন তাহলেই হবে।

আচ্ছা ওঠেন তাইলে।

পারফি ড্রাইভারকে ধন্যবাদ দিয়ে ইয়ানাকে নিয়ে সিএনজিতে উঠে বসলো। ওরা উঠতে ড্রাইভার গাড়ি চালাতে লাগলো।

এদিকে ইয়ানা দূর্বল শরীর নিয়ে সিএনজির সাথে হেলায় দিয়ে চোখ বুঁজে বসে রইলো। সিএনজির ঝাঁকুনিতে বারবার মাথাটা সিএনজির সাথে মৃদু টাক খাচ্ছে সেটা দেখে পারফি ইয়ানার কিছুটা কাছে যেয়ে মাথাটা ওর কাঁধে নিয়ে রাখলো।
ইয়ানা দূর্বল চোখে একবার পারফির দিকে তাকিয়ে মাথা উঠাতে যাবে তখন পারফি বললো যেভাবে রেখেছি এভাবে থাকো চুপচাপ।

ইয়ানা আর উঠালো না মাথা। দূর্বল শরীর নিয়ে এতক্ষণ ওভাবে বসে থাকতে হিমশিম খাচ্ছিলো। এখন কিছুটা ভালো লাগছে। কিছুক্ষণের মধ্যে পারফির কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লো।

ইয়ানার ভারী নিঃশ্বাস ঘাড়ে পরতে পারফি বুঝলো ঘুমিয়ে পড়েছে ইয়ানা। ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকালো স্নিগ্ধ মুখ পানে। কপালের পাশ দিয়ে কিছুটা জায়গা ছিলে গেছে যেখানে রক্ত জমাট বেধে আছে। মুখের দু পাশে লাল হয়ে আছে মুখ বেঁধে রাখার জন্য।
স্নিগ্ধ ফুল ওর জন্য এতটা কষ্ট পাচ্ছে ভাবতেই পারফির খারাপ লাগছে। প্রথমে হাত কাটলো তারপর আজ দুদিন থেকে কতটাই না কষ্ট পাছে।
পারফি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে নিলো যারা যারা স্নিগ্ধ ফুলকে কষ্ট দিয়েছে তাদের কাউকে ছাড়বে না। প্রত্যেককে এর শাস্তি পেতে হবে।

পারফি ইয়ানার মুখপানে তাকিয়ে থেকে কপালের সামনে আসা ছোট ছোট চুলগুলো কানের পিছে গুঁজে দিয়ে আস্তে করে বুকের মাঝে আগলে নিলো ইয়ানাকে। ইয়ানাও বিড়াল ছানার মতো চুপটি করে ঘুমিয়ে রইলো পারফির বাহুডোর।
পারফি নিজের অজান্তেই ইয়ানার কপালে ঠোঁট ছুয়ে দিলো। পরক্ষণে হুঁশ আসতে ভরকে গেলো ইয়ানা টের পেয়েছে কিনা। কিন্তু ইয়ানার কোনো হুঁশ নেই আদুরে বিড়াল ছানার মতো ঘুমিয়ে আছে তা দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।

#চলবে?

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
হ্যাপি রিডিং….🥰

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here