#তাজ-ইলোর প্রণয়ালাপন
লেখনীতে—ইলোরা জাহান ঊর্মি
পর্ব:৩৬
দরজায় হেলান দিয়ে আমি মাথা নত করে অপরাধীর মতো দাঁড়িয়ে আছি। মাঝে মাঝে আড়চোখে সামনের মহাবিপদকে দেখছি। মস্তিষ্ক বারবার দশ নাম্বার বিপদ সংকেত দিয়ে চলেছে। না জানি কখন এক রামধমকে লাফিয়ে উঠি। দুরুদুরু বুকে পুনরায় আড়চোখে সামনে তাকাতেই তাজ ভাই গম্ভীর কন্ঠে প্রশ্ন করলেন,
“কয়টা সাবজেক্টে ফেইল করেছিস?”
প্রশ্নটা শুনে ভয় আরও দ্বিগুণ বাড়ল। প্রথমে শান্ত কন্ঠ মানে পরে টর্নেডোর সংকেত। উত্তর খুঁজে না পেয়ে চুপ মেরে দাঁড়িয়েই রইলাম। তাজ ভাই পুনরায় প্রশ্ন করলেন,
“বলছিস না কেন?”
টর্নেডো আসার আগে যেভাবে হোক মুখ খুলতে হবে। নইলে পরে আমার চৌদ্দটা বেজে যাবে। মনে কিছু পরিমাণ সাহস জুগিয়ে মিনমিনে গলায় বললাম,
“এক সাবজেক্টে।”
“রেজাল্ট কবে দিয়েছে?”
“গতকাল।”
সঙ্গে সঙ্গে উনি ধমকে উঠলেন,
“থাপ্পড় দিয়ে যে কটা দাঁত উঠেছে সব ফেলে দিব, স্টুপিড। এক সপ্তাহ আগে রেজাল্ট দিয়েছে আর আমাকে বুঝাচ্ছিস গতকাল দিয়েছে। ভালোই তো মিথ্যা বলতে শিখেছিস। কথায় কথায় মুখ ফসকে তোর ফ্রেন্ড না বললে তো মনে হয় আগামী এক বছরেও জানতে পারতাম না।”
কথাটা শুনেই মোহনার ওপর রাগটা দ্বিগুণ বাড়ল। বাচালটা কোনো কথা পেটে রাখতে পারে না। কী দরকার ছিল তাজ ভাইয়ের সাথে এত বকবক করার? মাঝ থেকে আমাকে বড়োসড়ো এক বাঁশের বাগানের মালকিন বানিয়ে দিলো। মনে মনে যখন মোহনাকে হাজারটা বকা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম ঠিক তখনই আবার সেই শক্তপোক্ত কন্ঠস্বর,
“খুব পেকে গেছিস, তাই না? পড়াশোনা করতে ইচ্ছে করে না? দাঁড়া, মামুকে বলে আজই তোর বিয়ের ব্যবস্থা করছি। পড়াশোনা লাটে উঠিয়ে সংসার করবি, তা-ও ভালো। ওহ্, এতেও তো দারুণ সমস্যা আছে। তোর মতো অকর্মা মেয়ের দ্বারা সংসার হবে কি না সন্দেহ, বিরাট সন্দেহ। আজ থেকেই রান্না শিখবি। ঘরের সমস্ত কাজ শেখার পর তোকে বিদায় করব। বুঝেছিস?”
আমি এবার মাথা তুলে ভ্রুকুটি করে তাকালাম। বললাম,
“কিসের মধ্যে কী, পান্তা ভাতে ঘি। রেজাল্টের মধ্যে আবার এসব কথা ঢুকান কেন?”
“মুখের ওপর কথা বলছিস আবার”, পাশের টেবিলে সজোরে থাপ্পড় মেরে ধমকে উঠলেন তাজ ভাই।
আমি খানিক চমকে উঠলাম। মুখটা ছোটো করে মিনমিনে গলায় বললাম,
“এমন করছেন কেন? প্রশ্নগুলো খুব কঠিন ছিল। আপনি বুঝবেন কী করে?”
“না, আমি তো বুঝবই না। আমি তো জীবনে কোনোদিন পড়াশোনা করিনি। এমনি এমনি ডিটেকটিভ হয়ে গেছি। তাই না?”
আমি গাল ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। তাজ ভাই বেলকনির দিকে পা বাড়াতে বাড়াতে বললেন,
“মামু আসুক আজ বাড়িতে। তারপর তোর ব্যবস্থা করছি। ফাঁকিবাজ মেয়ে।”
আমি চোখ বড়ো করে ছুট লাগালাম তাজ ভাইয়ের পেছনে। ততক্ষণে উনি বেলকনির রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়েছেন। আমি ওনার পাশে দাঁড়িয়ে মিনতি করে বললাম,
“শুনুন না। বাবাকে বলবেন না প্লিজ। এখন থেকে আমি খুব ভালোভাবে পড়ব, প্রমিস।”
উনি আমার কথায় পাত্তা না দিয়ে বললেন,
“আমাকে পটানোর চেষ্টা করে লাভ নেই।”
“প্লিজ। আপনার সব কথা শুনব আমি, তবু দয়া করুন।”
“আমি দয়া ভিক্ষা দেই না। আর তোকে তো একদমই না।”
আমার রাগ উঠে গেল। শক্ত মুখে আপন মনে বিড়বিড় করলাম,
“শয়তান কোথাকার!”
সঙ্গে সঙ্গে তাজ ভাই সরু চোখে আমার দিকে তাকালেন। শুনে ফেললেন না কি? আমি আমতা-আমতা করতে লাগলাম। উনি হঠাৎ আমার দুই পাশে রেলিংয়ে হাত ঠেকিয়ে মুখোমুখি দাঁড়ালেন। ওনার শরীরের গন্ধ নাকে এসে লাগতেই আমি তীব্রভাবে চমকে উঠলাম। পরক্ষণেই ওনার গভীর দৃষ্টি দেখে সারা শরীরে কম্পন ধরে গেল। ফাঁকা ঢোক গিলে চঞ্চল দৃষ্টি এদিক-ওদিক বিচরণ করতে লাগলাম। অথচ ওনার কোনো হেলদোল নেই। মগ্ন হয়ে তাকিয়ে আছেন তো আছেনই। কিছুক্ষণ উস-খুস করে আমি নিজেই কাঁপা গলায় অস্ফুট স্বরে বললাম,
“সরুন।”
“স্পর্শ তো করিনি। তবে কাঁপছিস কেন?” গভীর দৃষ্টি স্থির রেখেই কোমল কন্ঠে তীরের মতো প্রশ্ন ছুঁড়লেন তাজ ভাই।
আমার কন্ঠনালি রোধ হয়ে গেল। আমার অবস্থা দেখে উনি বাঁকা হাসলেন। খানিক ঝুঁকে পড়ে ফিসফিস করে বললেন,
“এটুকুতেই এত ভয়? যখন আরও কাছাকাছি থাকব, তখন?”
আমার শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেল। কম্পিত হাতে আমি পেছনের রেলিং চেপে ধরে নতজানু হয়ে বারবার শুকনো ঢোক গিললাম। তাজ ভাই মৃদু শব্দ তুলে হাসলেন। আমার মনের শোচনীয় অবস্থা করে এখন মহারাজ বিশ্ব জয়ের হাসি হাসছেন। আবার খানিক সময় নিস্তব্ধতা বিরাজ করল। তাজ ভাই একইভাবে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন। এদিকে আমি ওনার দুহাতের মাঝে অবস্থান করে অসহায়ের মতো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছি। নড়াচড়া করারও শক্তি পাচ্ছি না। এই লোকের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে না উনি এক চুলও নড়বেন। কিছু সময় পর বাধ্য হয়ে নিজেকেই আবার মুখ খুলতে হলো। কিছুটা বিরক্তি নিয়ে নিচু স্বরে বললাম,
“সরুন, যেতে দিন। বাবা আসার সময় হয়েছে।”
“ঘড়ির কাঁটা খুব ভালোভাবে চিনি আমি। সবেমাত্র সন্ধ্যা নেমেছে”, ত্যাড়াভাবে বললেন উনি।
ওনার ত্যাড়া কথা শুনে আমার বিরক্তি আরও একধাপ বাড়ল। এভাবেই সারারাত স্ট্যাচু বানিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখবে না কি আমাকে? সাধে কি বিপজ্জনক লোক বলি? এই লোক যেখানে, বিপদ বাবাজিও সেখানে। চুপচাপ দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলাম কীভাবে ওনাকে সরানো যায়। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মাথায় বেশ ভালো একটা বুদ্ধি উপস্থিত হলো। আমি জিব দিয়ে শুকনো ঠোঁটটা ভিজিয়ে নিয়ে গলা ঝেড়ে বললাম,
“একটা কথা জিজ্ঞেস করব?”
তাজ ভাই মুখে উত্তর না দিয়ে চোখের ইশারায় অনুমতি দিলেন। ভাব যতসব! আমতা-আমতা করে বলেই ফেললাম,
“শ্রেয়ান ভাইয়ার কোনো খবর নেই কেন?”
তাজ ভাই চোখ দুটো সরু করতেই আমি পুনরায় বলে উঠলাম,
“না মানে, ওইদিনের পর তো আর উনি আমাদের বাড়িতে আসেননি। আমার উত্তর শোনার জন্য ফোনও করেননি। আটদিন কেটে গেল, অথচ ওনার কোনো খবরই নেই। কেন বলুন তো?”
আমি নিশ্চিত ছিলাম আমার মুখে শ্রেয়ান ভাইয়ার কথা শোনামাত্র উনি রেগে বোম হয়ে যাবেন। এ অছিলায় হয়তো আমি ছাড় পেয়ে যাব। কিন্তু তার কিছুই হলো না। আমাকে হতাশ করে দিয়ে উনি স্বাভাবিকভাবেই উত্তর দিলেন,
“নতুন একটা কেস নিয়ে বিজি। সময় পেলে তো আসবেই। আর তোকে ফোন করে না কেন তা আমি কীভাবে জানব? কেন, তুই করিস না?”
“আমার নিজে থেকে ফোন করতে ইচ্ছে করে না। জেনেবুঝে ঢং করছেন?” কপাল কুঁচকে চুপসানো মুখে বললাম আমি।
তাজ ভাই মৃদু হেসে আমার বাঁ হাতটা নিজের ডান হাতের মুঠোয় নিলেন। স্বভাবতই চুড়ি দুটো নাড়াচাড়া করতে লাগলেন। ওনার এই কাজটা দেখলে কেন জানি আমার সব রাগ উড়ে যায়। আবদ্ধ হাতের দিকে তাকিয়ে আমার ঠোঁটের কোণে স্মিত হাসির রেখা ফুটে উঠল। পরক্ষণেই তাজ ভাই চুড়ি দুটোতে চুমু খাওয়ার সময় যখন আমার হাতেও ওনার ঠোঁটের স্পর্শ লেগে গেল, তখন আমি দারুণ অস্বস্তিতে পড়ে গেলাম। ঠোঁটে ঠোঁট চেপে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে রইলাম। উনি হয়তো আমার অবস্থাটা বুঝতে পারলেন। উনি আমার থেকে কিছুটা দূরে সরে দাঁড়াতেই আমি আর ডানে-বায়ে তাকালাম না। ভোঁ দৌড় দিয়ে প্রস্থান করলাম। আর একটু সময় ওখানে থাকলেই হয়তো আমি দম বন্ধ হয়ে মারা যেতাম। হুটহাট লোকটা এমন এমন পরিস্থিতি তৈরি করে, ঠিকমতো নিঃশ্বাস নেওয়াও মুশকিল হয়ে পড়ে। কবে যে এর থেকে আমার মুক্তি মিলবে!
_____________________________
আজ শুক্রবার। অথচ আমার ছুটি নেই। ব্রেকফাস্ট করেই তাজ ভাই আমাকে ধমকে বই নিয়ে বসিয়ে দিলেন। নিজেও ল্যাপটপ আর দুটো ফাইল নিয়ে আমার পাশে চেয়ার টেনে বসে পড়লেন। তার কড়া আদেশ, আজ থেকে পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়া চলবে না। সে নিজে আমাকে পড়তে বসাবেন। কথাটা শুনেই আমার বিরক্তি তরতর করে কয়েক ধাপ বেড়ে গেল। কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলতে পারলাম না। উলটো মুখে প্লাস্টিক মার্কা হাসি ঝুলিয়ে সম্মতি জানাতে হলো। কারণ উনি আমার এক্সামে ফেইলের ব্যাপারটা বাবাকে না জানিয়ে আমাকে ধন্য করেছেন। আমার হয়েছে মরণ। ফোনটাও উনি নিজের জিম্মায় রেখেছেন। এদিকে আমি গাল ফুলিয়ে পা দোলাতে-দোলাতে গুনগুন করে পড়ে চলেছি। থামলেই বারবার রাম ধমক শুনতে হচ্ছে। টানা পনেরো মিনিট পড়ার পরই আমার বিরক্তি আকাশ ছুঁলো। আমি হঠাৎ পড়া থামিয়ে চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে বললাম,
“তাজ ভাই? শুনলাম গতকাল আমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল, আর আপনি না কি না বলে দিয়েছেন? ছেলেটা না কি খুব হ্যান্ডসাম ছিল?”
তাজ ভাই ল্যাপটপ থেকে চোখ উঠিয়ে ভ্রুকুটি করে আমার দিকে তাকালেন। সন্দিহান কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
“এসব কে বলল তোকে?”
আমি দাঁত কেলিয়ে হেসে বললাম,
“রিতা।”
“ওই বিচ্ছু মেয়ের তো কাজই এসব”, কপালে সূক্ষ্ম ভাঁজ ফেলে বললেন তাজ ভাই।
আমি বললাম,
“আমাকে তো তাড়াতে পারলে বাঁচেন। তো না বললেন কেন? হ্যাঁ বললেই তো ভালো হত। আপনিও শান্তি পেতেন, আর আমিও এসব পড়াশোনার বালাই থেকে মুক্তি পেতাম।”
সঙ্গে সঙ্গে উনি ওনার বিখ্যাত ধমক দিয়ে বলে উঠলেন,
“চাপড়ে দাঁত ফেলে দিব, বেয়াদব। বড়োদের সামনে নির্দ্বিধায় বিয়ের কথা বলতে লজ্জা করে না। মাথায় কি গোবর ঠাসা? পড়ায় ফাঁকি দেওয়ার ধান্দা সব? সোজা হয়ে বোস, পড় তাড়াতাড়ি।”
আমি সোজা হয়ে বসে চুপসানো মুখে মিনমিন করে বললাম,
“এভাবে ধমকান কেন? খারাপ কী বলেছি আমি? আমার তো বিয়ের বয়স হয়েই গেছে। এখন ধুমধাম করে বিয়ে করব, সংসার করব। তা না, কিসের পড়াশোনা করে অযথা সময় নষ্ট করছি।”
তাজ ভাই শক্ত মুখে গম্ভীর গলায় বললেন,
“ইদানীং মুখে খুব বুলি ফুটেছে দেখছি। কথায় আছে, পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। গান কিন্তু সাথেই আছে, শুট করব?”
আমি মুখ বাঁকিয়ে বললাম,
“আজাইরা ব্ল্যাকমেইল। আপনার সাথে যে এখন গান নেই তা আমি ভালোভাবেই জানি। কথায় কথায় ব্ল্যাকমেইল করা তো আপনার স্বভাব। মাফিয়া ডিটেকটিভ।”
“ইলু”, চোয়াল শক্ত করে ধমকে উঠলেন তাজ ভাই।
আমি মেকি হেসে বইটা কাছে টেনে নিয়ে বললাম,
“পড়ছি।”
তাজ ভাই ল্যাপটপে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ে আদেশের সুরে বললেন,
“আর একটা কথাও যেন না শুনি। তাড়াতাড়ি পড়া শেষ কর। আমাকে বেরোতে হবে।”
আমি উত্তরে কিছু বলতে যাব তখনই হঠাৎ এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে গেল। চোখের সামনে দেখলাম একটা মেয়ে ছুটে এসে ‘হানি’ বলে চিৎকার করে তাজ ভাইয়ের গলা জড়িয়ে ধরল। শুধু তাই নয়। তাজ ভাইয়ের গালে গাঢ় একটা চুমুও খেল। আমি হতবিহ্বল হয়ে ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। মেয়েটার বেশভূষা দেখে আরও ঝটকা খেলাম। ধবধবে ফরসা মেয়েটার বয়স বোধ হয় আমার থেকে কিছু বেশি হবে। পরনে হাঁটু অব্দি একটা কালো রংয়ের স্লিভলেস টপস। চুলগুলো সোনালী রংয়ের। দেখতে কোনো বিদেশিনীর মতো লাগছে। তাজ ভাই চমকে উঠে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আমার মতোই বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে রইলেন। কিন্তু পরক্ষণেই দেখলাম উনি একপ্রকার লাফিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। তারপর উচ্ছসিত কন্ঠে বলে উঠলেন,
“জেসিকা! ইউ! হাউ ইজ ইট পসিবিল ইয়ার? ইজ ইট রিয়েল?”
কথাটা বলতে বলতে তাজ ভাই এক হাতে মেয়েটাকে হালকা করে জড়িয়ে ধরলেন। মেয়েটা প্রশস্ত হেসে দ্রুত মাথা ঝাঁকিয়ে বলল,
“ইয়েস হানি। ইটস্ রিয়েল।”
আমার মাথার মধ্যে তখন ভনভন করে চক্কর দিতে শুরু করেছে। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে স্তব্ধ হয়ে তাজ ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। মেয়েটার মুখের ‘হানি’ ডাক আর তাজ ভাইয়ের মুখের উপচে পড়া খুশি আমার বুকে এসে প্রবল ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ল। তাজ ভাই তখনও মেয়েটাকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে আছেন। চোখ দুটো হঠাৎ ভীষণভাবে জ্বলতে শুরু করল। আমি কি কোনো দুঃস্বপ্ন দেখছি? তা-ই যদি হয়, তবে আমি মনেপ্রাণে চাই এটা যেন দুঃস্বপ্নই থেকে যায়। তা না হলে চোখের সামনে এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্য আমি সত্যি বলে মানতে পারব না, কিছুতেই না।
চলবে………………..?
(আজকের পর্ব একটু ছোটো হয়েছে, সেজন্য দুঃখিত। আজকে দাওয়াতে গিয়েছিলাম এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানে অনেকটা সময় ব্যয় হয়েছে। আরেক সারপ্রাইজ নিয়ে এলাম। রেসপন্স করতে ভুলবেন না কিন্তু।?)
পার্সোনাল গ্রুপ লিংক:
https://www.facebook.com/groups/935884643636506/?ref=share