“আমাদের সন্তানকে এভাবে মে*রে ফেলো না প্লীজ। ও তো এখনো পৃথিবীর আলো পর্যন্ত দেখেনি। কেন এই নিষ্পাপ একটা জীবনকে শে*ষ করে ফেলতে চাইছো তুমি? আমি হাত জোর করছি, পায়ে পড়ছি তোমার, প্লীজ আমার বাচ্চাটাকে মে*রে ফেলো না রণজয়।”
কাঁদতে কাঁদতে রণজয়ের পা জড়িয়ে ধরে বসে পড়লো শ্রুতি। রণজয়ের মুখে ফুটে উঠলো অসীম বিরক্তির ছাপ। সে বলে উঠলো,
“এইসব কী শুরু করলে তুমি? তুমি কেন জেদ করছো অযথা? আমার সহজ কথাটা কেন বুঝতে পারছো না তুমি?”
“তুমি কেন বুঝতে পারছো না? বাবা হয়ে নিজের সন্তানকে মেরে ফেলতে চাইছো তুমি? বিয়ের চার বছর পর মা-বাবা হতে চলেছি আমরা। তোমার তো খুশি হওয়া উচিত! আগেও তো তুমি বলতে যে তুমি বাবা হতে চাও। তবে এখন যখন এমন একটা মুহুর্ত আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তখন কেন আমাদের অনাগত সন্তানকে মে*রে ফেলতে চাইছো?”
“কারণ আমি ওকে চাই না। কারণ জানতে চাও তুমি তাইনা? বেশ শুনো তবে।”
রণজয় থামলো, নীচু হয়ে বসে শ্রুতির বাহু ধরে বলল,
“আমি অন্য একটা মেয়েকে ভালোবাসি শ্রুতি। তাই আমি চাই না যে আমার পথে আর কেউ কাঁটা হয়ে দাঁড়াক। তোমাকে এ্যা*ব*রশনটা তো করাতেই হবে। তাই এটা তুমি যত তাড়াতাড়ি তোমার মাথায় ঢুকিয়ে ফেলতে পারবে ততই তোমার জন্য বেটার হবে। আমি এই বাচ্চাটাকে চাই না। বুঝতে পেরেছো?”
রণজয়ের কথা শুনে যেন স্তব্ধ হয়ে পড়লো শ্রুতি, কিছু বলে উঠবার শক্তি হারালো যেন সে। রণজয় কিছুটা ধা*ক্কা দিয়েই শ্রুতিকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে চলে গেল বাড়ি থেকে বেরিয়ে হনহন করে। আরেকটু হলেই সোফার সাথে ধা*ক্কা খাচ্ছিল শ্রুতি, অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে ফেলল সে।বোবা চোখে চেয়ে রইলো শ্রুতি দরজার পানে। কী বলে গেল রণজয় তাকে? রণজয় অন্য একটা মেয়েকে ভালোবাসে! এতগুলো বছর সংসার করলো সে যে মানুষটার সাথে সে এমন একটা জঘন্য কাজ কীভাবে করতে পারলো তার সাথে? কেন সবসময় তার সাথেই এমনটা হয়? কেন? মেঝেতে পড়ে থাকা রিপোর্টসগুলোর দিকে চেয়ে ডুকরে কেঁদে উঠলো শ্রুতি। তার আর রণজয়ের বিয়ের প্রায় চার বছর পেরিয়েছে ইতিমধ্যেই। বেশ কিছুদিন থেকেই শরীরটা খারাপ যাচ্ছিল তার, তাই ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল ও। ডাক্তার তাকে কিছু টেস্ট করাতে বলেছিল, সেই টেস্টের রিপোর্টগুলি আজকে সকালে হাতে পায় শ্রুতি। সে জানতে পারে সে মা হতে চলেছে, ছোট্ট একটা প্রাণ বড় হয়ে উঠছে তার মধ্যে, তার সন্তান। খবরটা জানতে পেরে প্রচন্ড খুশি হয়েছিল সে। শ্রুতি ভেবেছিল রণজয়ও হয়তো খুশি হবে খবরটা শুনে। তাইতো সন্ধ্যেবেলায় তাকে রিপোর্টসগুলো দেখিয়ে আনন্দের সহিত এই সুখবরটা জানালো সে। কিন্তু খবরটা শোনামাত্রই যেন বেঁকে বসলো রণজয়, তার মুখ দেখেই বোঝা গেল সে একদমই খুশি হয়নি খবরটা শুনে। তারপর কিছু সময় পরে হঠাৎই সে জানালো যে সে এই বাচ্চাটাকে চায় না, সে চায় শ্রুতি এ্যা*বরশনটা করিয়ে নিক। কথাটা শুনে যেন মাথায় আকাশ ভে*ঙে পড়লো শ্রুতির।
সেই একই স্থানে ঠিক কতটা সময় বসে নিজের চোখের জল বিসর্জন করলো শ্রুতি তা তার খেয়াল নেই। এইমুহুর্তে মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে তার যেন। কী করবে না করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না সে একদমই। সবকিছু কেমন এলোমেলো লাগছে তার। হুট করেই কী ভেবে যেন শ্রুতি উঠে দাঁড়ালো। মেঝে থেকে রিপোর্টসগুলো কুড়িয়ে পাশে সোফার ওপর পড়ে থাকা নিজের সাইড ব্যাগটা হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো সে। সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত হবো হবো ভাব, আনমনে ধীরপায়ে হাঁটা শুরু করলো শ্রুতি রাস্তার একপাশ দিয়ে। কোনদিকে যাচ্ছে, আশেপাশে কী হচ্ছে না হচ্ছে সেইসবদিকে কোনো ধ্যান নেই যেন তার এখন একবিন্দুও। মস্তিষ্কের মাঝে চলছে তার হাবিজাবি ভাবনা। রণজয়ের প্রতিটা কথা এখনো যেন কানে বাজছে তার। হাঁটতে হাঁটতে বেশ অনেকটা সময় পর একটি ব্রিজের কাছে এসে পৌঁছল শ্রুতি। এগিয়ে এসে ব্রিজের একদম ধারের দিকে এসে দাঁড়ালো সে। নীচে প্রবল গতিতে বয়ে চলেছে একটি নদী। এই খোলা পরিবেশেও যেন দমবন্ধ লাগছে তার, নিঃশ্বাস আটকে আসছে। সব তো মেনে নিয়েছিল সে, তবে তার সাথেই কেন আবার এমনটা হতে হলো? কী দোষ করেছে সে? আর তার সন্তান? তার সন্তানকে মে*রে ফেলতে চাইছে রণজয়? কীভাবে বলতে পারলো রণজয় এমনটা? না, বেঁচে থাকতে কখনোই নিজের সন্তানকে এভাবে চোখের সামনে মে*রে ফেলতে দেখতে পারবে না শ্রুতি, কখনোই না। যদি তার সন্তানকে ম*র*তেই হয় তবে সেও তার সাথে নিজের জীবনটা শে*ষ করে ফেলবে। শ্রুতির মাথাটা ঝিমঝিম করছে, গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে এসেছে, হাত পা কেমন যেন অবশ হয়ে আসছে তার ক্রমে ক্রমে, চোখ মেলে রাখাও যেন দায় হয়ে পড়েছে। শ্রুতি একটা পা এগোতে যায় সামনের দিকে তখনই কেউ দ্রুত এসে টেনে সরিয়ে আনে তাকে সেই স্থান থেকে। শ্রুতির হাতে থাকা ব্যাগ এবং রিপোর্টসগুলো ছড়িয়ে পড়ে রাস্তায়, শ্রুতি গিয়ে আছড়ে পড়ে সেই ব্যক্তির বুকের ওপর। বুজে আসা চোখেই সামনের ব্যক্তিটিকে দেখার চেষ্টা করতেই অত্যন্ত চেনা এক মুখশ্রী দৃষ্টিগোচর হয় শ্রুতির, কিন্তু তারপরেই চোখজোড়া বন্ধ হয়ে আসে তার সম্পুর্নভাবে। শ্রুতি জ্ঞান হারিয়ে ঢলে পড়তেই সেই ব্যক্তিটি আগলে ধরে নেয় তাকে।
.
.
শ্রুতির জ্ঞান ফিরলে চোখের পাতা কয়েকবার পিটপিট করে চোখ মেলে তাকায় শ্রুতি। মাথাটা এখনো যেন ভার হয়ে আছে তার। ঠিকভাবে লক্ষ্য করতেই নিজেকে বিছানায় শুয়ে থাকতে অবিস্কার করে সে, কিন্তু ঘরটা তার একেবারেই অচেনা। শ্রুতি ধীরে-সুস্থে উঠে বসে আশেপাশে চোখ বুলায়। সাধারণ সাজানো-গোছানো একটা ঘর। কিন্তু এই ঘরটা কার? কোথায় সে এখন? আর কীভাবে এলো সে এখানে? সামান্য সময়ের ব্যবধানেই আবার জ্ঞান হারানোর আগের সকল কথা মাথায় আসে শ্রুতির। সাথে সাথে ডান হাতটা পেটের ওপর চলে যায় তার। তার সন্তান ঠিক আছে তো? তখন নিজের মাথা ঠিক না থাকায় কী সর্বনাশটাই না করতে যাচ্ছিল সে। কিন্তু যে তাকে এমন একটা কাজ করা থেকে আটকেছিল সে? সেই ব্যক্তি? ঠিক দেখেছিল শ্রুতি?
“চিন্তা নেই, তোমার সন্তান একদম ঠিক আছে শ্রুতি।”
শ্রুতির ভাবনার ছেদ ঘটলো পুরুষালী এই কণ্ঠস্বরে। সামনে দরজার দিকে তাকাতেই আবারো সেই অত্যন্ত চেনা মানুষটাকে দেখতে পেলো সে। এতগুলো বছর পর তাকে দেখে যেন থমকে গেল শ্রুতি, নিষ্পলক চেয়ে রইলো সে সেই মানুষটার দিকে। শ্রুতি অস্ফুট স্বরে বলে উঠলো,
“মৃন্ময়?”
মৃন্ময় এগিয়ে এসে তার সামনে দাঁড়িয়ে বলল,
“তখন রাস্তায় তুমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলে শ্রুতি, তোমার জ্ঞান ফিরছিল না। তাই কী করবো বুঝতে না পেরে তোমাকে ডক্টরের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। তোমার সাথে যে রিপোর্টসগুলো ছিল ওগুলো দেখেই যদিও বুঝেছিলাম যে তুমি প্রেগনেন্ট। পরে ডক্টরও তাই বললেন, আর বললেন চিন্তার বিশেষ কারণ নেই, তুমি হয়তো কোন কারণে প্রচন্ড মানসিক চাপের মধ্যে ছিলে তাই স্ট্রেসের জন্য জ্ঞান হারিয়েছিলে। তোমার একটু বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল। আমি তো তোমার বাড়ির ঠিকানা বা কিছু জানতাম না আর তোমার জ্ঞান তখনো ফিরেনি তাই তোমাকে জিজ্ঞাসা না করেই আমার ফ্ল্যাটে নিয়ে এসেছিলাম।”
শ্রুতি মৃন্ময়ের দিক থেকে নিজের দৃষ্টি সরিয়ে নিজেকে সামলে উঠার চেষ্টা করে বলল,
“তুমি এখানে?”
“হ্যাঁ আমি চাকরির সূত্রে এই শহরে থাকছি প্রায় এক-দুই বছর হতে চলল। কালকে অফিস থেকে ফিরতে একটু দেরি হয়েছিল আমার, আর সেই ফেরার পথেই তো হঠাৎ তোমায় দেখতে পেলাম আমি সেখানে। তোমার সাথে এতদিন পর এভাবে কখনো আবার দেখা হবে সেটা আমি ভাবতেও পারিনি। বাই দ্যা ওয়ে কংগ্রাচুলেশনস।”
মৃন্ময় মৃদু হাসলো, শ্রুতি মেঝের দিকে চোখ করেই মাথা নেড়ে বলল,
“ধন্যবাদ।”
“কিন্তু তুমি এই রাতে ওখানে কী করছিলে একা একা? আরেকটু হলে তো অঘটন ঘটে যেতে পারতো কোনো! তোমার হাসবেন্ড কোথায়? আর তোমাকে অমন বিধ্বস্থ কেন দেখাচ্ছিল?”
শ্রুতি একপলক তাকালো মৃন্ময়ের দিকে। সে জিজ্ঞাসু চোখে চেয়ে আছে শ্রুতির মুখপানে। শ্রুতির মাথায় এলো সে সারাটা রাত বাড়িতে নেই। নিশ্চয় রণজয় চিন্তা করছে তার জন্য? সেটাই তো স্বাভাবিক। শ্রুতি কোন উত্তর না দিয়েই উঠে দাঁড়ালো। বিছানার ওপরেই শ্রুতির ব্যাগ আর রিপোর্টসগুলো পড়েছিল। সেগুলো হাতে নিয়ে শ্রুতি অস্থির হয়ে পড়ে বলল,
“আমি বাড়ি যাবো, আমাকে এখনই বাড়ি ফিরতে হবে। রণজয় নিশ্চয় অনেক টেনশন করছে আমার জন্য।”
শ্রুতি ঘরের বাইরে এলো। শ্রুতিকে এভাবে বেরিয়ে আসতে দেখে মৃন্ময় তার পিছু পিছু এসে বলল,
“আচ্ছা বেশ, চলো আমি পৌঁছে দিচ্ছি তোমায় বাড়ি।”
শ্রুতি তাকে বাঁধা দিয়ে বলল,
“না, সেটার কোনো প্রয়োজন নেই। আমি একাই চলে যেতে পারবো।”
“এখনো ঠিকভাবে সকাল পর্যন্ত হয়নি শ্রুতি, ভোর হচ্ছে কেবল। বাইরে অটো-রিক্সা পাওয়া যাবে কিনা ঠিক নেই এখন। উপরন্তু তোমার এই অবস্থা। তুমি একা কীভাবে যাবে? আমি তোমাকে ছেড়ে দিচ্ছি।”
ততক্ষণে কথা বলতে বলতেই সদর দরজার কাছে এসে পৌঁছেছিল শ্রুতি আর মৃন্ময়। শ্রুতি থেমে শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে বলল,
“আমি বললাম তো তার কোনো প্রয়োজন নেই। আমি ঠিক চলে যাবো একা। তুমি রাতে আমাকে ওভাবে বাঁচিয়ে আমার অনেক বড় উপকার করেছো মৃন্ময়, তার জন্য তোমায় ধন্যবাদ। থ্যাংক ইউ সো মাচ।”
মৃন্ময় কিছু বলে উঠতে পারলো না ঠিক আর, শ্রুতি বেরিয়ে এলো সেই ফ্ল্যাট থেকে। ব্যাগ হাতড়ে নিজের ফোনটা খুঁজে বের করতেই সে লক্ষ্য করলো ফোনটা সুইচড অফ। শ্রুতি রাস্তায় এসে বেশ কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে রইলো কোন অটো অথবা রিক্সার আশায়। কিন্তু সত্যিই কিছু পাওয়া গেলো না। এই ভোরে যদিওবা দুই একটা রিক্সা সামনে দিয়ে গেল, কিন্তু সেগুলোও প্যাসেঞ্জার নিয়ে যেতে চাইলো না এখন। শ্রুতি বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিলো হাঁটা ধরার। তখন আঁধার কাটিয়ে ভোরের আলো কেবলই ছড়িয়ে পড়া শুরু করেছে চারিপাশের পরিবেশে। দুই-এক পা এগিয়ে যেতেই মৃন্ময় বাইক নিয়ে এসে দাঁড়ালো তার সামনে। শ্রুতি তার দিকে তাকাতেই সে একটা হেলমেট তাকে এগিয়ে দিয়ে নরম কণ্ঠে বলল,
“উঠে বসো। ঠিকানাটা আমাকে বলো, আমি তোমাকে ছেড়ে দিচ্ছি। প্লীজ শ্রুতি কথাটা শোনো।”
শ্রুতি এবার আর কথাটা নাকচ করলো না, বিনাবাক্যে হেলমেটটা নিয়ে মাথায় পড়ে বাইকে উঠে বসলো। অবশ্য বসার সময় মাঝে নিজের ব্যাগটা রেখে সামান্য দূরত্ব বজায় রাখতেও ভুলল না সে।
শ্রুতির বলা ঠিকানায় এসে পৌঁছতেই শ্রুতি বাইকটা থামাতে বলল মৃন্ময়কে। মৃন্ময় বাইকটা থামালে সে নেমে দাঁড়ালো বাইক থেকে, মাথা থেকে হেলমেটটা খুলে মৃন্ময়ের হাতে দিয়ে “ধন্যবাদ।” বলেই সে ব্যস্ত পায়ে এগিয়ে গেল ফ্ল্যাটের দিকে। ফ্ল্যাটের সেকেন্ড ফ্লোরে থাকে শ্রুতি আর রণজয়, রণজয়ের কাজের সুবিধার্থেই মূলত শ্বশুর-শ্বাশুড়ি সকলের থেকে দূরে এই ফ্ল্যাটে থাকতে হয় তাদের।
শ্রুতি তড়িঘড়ি পায়ে সেকেন্ড ফ্লোরে আসে। তবে দরজার কাছে এসে যেইনা সে বাড়ির কলিংবেলটা বাজাতে যাবে তার ঠিক আগেই খুলে যায় দরজাটা। দরজার সামনে রণজয় এবং নিজের বেস্টফ্রেন্ড অদিতিকে দেখে অবাক হয় শ্রুতি। অদিতি এইসময় এখানে কী করছে সেটা প্রথমে বুঝে উঠতে কষ্ট হয় শ্রুতির। অদিতি আর রণজয় দুজন নিজেদের মাঝে হেসে হেসে কথা বলছিল, হঠাৎ সামনে শ্রুতিকে দেখতেই যেন মুখের হাসিটা চলে যায় তাদের। রণজয়ের শার্টের ওপরের দিকের বোতামগুলো খোলা ছিল, শ্রুতি রণজয়ের দিকে লক্ষ্য করতেই রনজয়ের গলার দিকে লাল দাগ দেখতে পায় সে। অদিতি অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে নিজের চুল ঠিক করতে করতে দ্রুত শ্রুতিকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় সেখান থেকে। ব্যপারগুলো মিলাতে যেন খুব একটা কষ্ট হয় না আর শ্রুতির। সে বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে! শেষে কিনা তার বেস্টফ্রেন্ড অদিতি! রণজয় বলতে যায়,
“তুমি…”
“অদিতিই সেই মেয়ে যাকে তুমি ভালোবাসো, তাইতো?”
চলবে,
#তবু_ভালো_আছি
#রাজেশ্বরী_দাস_রাজী
#পর্ব_১
[ বিঃদ্রঃ অনেকদিন পর আবারো একটি ধারাবাহিক গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে এলাম। গল্পটা তেমন খুব একটা বড় হয়তো হবে না। সামান্য ধৈর্য্য ধরে পাশে থাকার অনুরোধ রইলো। ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ। ]