তবুও_বর্ষণের_অপেক্ষা 26.

0
2430

#তবুও_বর্ষণের_অপেক্ষা
26.
#WriterঃMousumi_Akter

বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে আমি জানালা দিয়ে বৃষ্টি ধরার চেষ্টা করছি।বৃষ্টির পানি হাতের মুঠোয় নিয়ে এক অন্যরকম ভাল লাগা উপভোগ করছি।বরাবর ই আমি বৃষ্টিবিলাসী।বৃষ্টি আমাকে টানে খুব।বৃষ্টির মতো ভাললাগা আমার কাছে আর কোন কিছুতে নেই।বিহান ভাই ল্যাপটপ এর স্ক্রিনে তাকিয়ে আছেন মনোযোগ দিয়ে আর আমাকে বার বার ওয়ার্নিং দিচ্ছেন এই পুচকি তোর ঠান্ডা লেগে যাবে।দিয়া এই মহামরী তে মানুষ এমনি ভাল থাকছে না তার উপর ঠান্ডা লাগলে সমস্যা হবে।কে শোনে কার কথা আমার উনার কথা শোনার পাত্তাই নেই।আমি খুব প্রাণ খুলে হাসছি আর বিহান ভাই কে বলছি বিহান ভাই দেখুন না বাইরের প্রকৃতি টা কত সুন্দর লাগছে।

বিহান ভাই এর ব্লু জিন্সের উপোর এ্যাশ কালারের গেঞ্জি পরা।চোখে সাদা চশমা পরা এক গোছা চুল কপালে এসে পড়েছে।আমি হাত ভর্তি কাচের চুড়ি বাজাচ্ছি আর বৃষ্টি ধরার খেলায় মেতেছি।আমার ঘ্যান ঘ্যানানিতে বিহান ভাই ল্যাপটপ অফ করতে বাধ্য হলেন।বিহান ভাই এর রুমে বড় করে আমার একটা বৃষ্টিতে ভেজা পিকচার ওয়ালে লাগানো আছে।বিহান ভাই ল্যাপটপ টা অফ করে আমার পেছনএ এসে কোমর জড়িয়ে ধরে দাঁড়ালেন। আমার মুখে উনার মুখ মিশিয়ে আলতো স্পর্শ দিতে লাগলেন।বিহান ভাই আমাকে বলেন বাইরের কি অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য ডাকছেন মিসেস দিয়া।আমি বাইরে হাতের আঙুল দিয়ে ইশারা করে দেখালাম।বিহান ভাই আমার ঘাড়ে নাক ডুবিয়ে দিয়ে বলেন আমার চোখের সামনে যে সৌন্দর্য আছে সেটা উপেক্ষা করে অন্য কিছু দেখার সাধ্য আমার নেই।আমার চোখের সামনে একটা পরী প্রাণ খুলে হাসছে আর বৃষ্টির সাথে খেলা করছে।

আমি বিহান ভাই এর দিকে তাকিয়ে বললাম হ্যাঁ কালো পরী।

বিহান ভাই আমার নাক টেনে ধরে বলেন,ওলে আমার কালো পরী।নিজেকে কালো বলে কি প্রুভ করা হচ্ছে শুনি।আপনি কালো আর দুনিয়ার সব মানুষ সুন্দর। আমার এই সুন্দরী বউ কে ভুলেও আর কালো বলবি না।

বিহান ভাই কে বললাম আমি তো অসুন্দর ই।

বিহান ভাই আমাকে বলেন,,
ওহে বালিকা তুমি কি বুঝো সুন্দরের।সুন্দরের মর্ম বোঝে একজন প্রেমিক।একজন প্রেমিক জানে তার প্রেমিকা কত সুন্দর। এই সুন্দর গায়ের রং দেখে হয় না বালিকা।এই সুন্দর ভিতর থেকে আসে।

বিহান ভাই এর কানে ফিস ফিস করে বললাম ভিজবেন আমার সাথে।বিহান ভাই আমার দু গালে হাত দিয়ে বলেন তুই বললে জনম জনম ভিজতে রাজি।তোর চাওয়ার থেকে বড় আমার কাছে আর কিছু নেই।আমার জানপাখি টা ভিজতে চেয়েছে সেটা কি অপূর্ণ রাখতে পারি।

আপনি তো ভিজতে মোটেও পছন্দ করতেন না।

এখনো পছন্দ করছি না কারণ ভিজলে তোর ঠান্ডা লেগে যাবে তোর জ্বর হবে তুই কষ্ট পাবি আর তোর কষ্ট হলে আমার ও ভীষণ কষ্ট হবে।বাট দিয়া সত্যি বলতে যেটা তুই পছন্দ করিস ওইটা আমার কাছে বিশেষ ভাল লাগার হয়ে যায়।

বিহান ভাই কে বললাম, বিহান ভাই বৃষ্টি আমার ভীষণ পছন্দের আপনি জানেন না।আমি বড্ডা বৃষ্টিবিলাসী।বৃষ্টির সাথে খেলা করতে আমার খুব ভাল লাগে।

বিহান ভাই আমার কোমর আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলেন সারারাত এভাবে জড়িয়ে ধরে বৃষ্টিবিলাস করবো তবুও ভিজতে দিবো না।

আমি জানি জোরাজোরি করে লাভ নেই উনার সাথে।আমাকে যা করার কৌশলে করতে হবে।আমাকে উনি কিছুতেই ভিজতে দিবেন না।আজ আমাদের বিয়ের দু মাস হয়ে গিয়েছে।এই দু’মাসে বিহান ভাই অনেক চেঞ্জ হয়ে গিয়েছেন।ঘুম থেকে উঠানো,ব্রাশ করানো,টাইমলি খাওয়ানো,বই পড়ানো আমার সব কিছু আগে এলোমেলো ছিলো উনি সব টা যেনো গুছিয়ে দিয়েছেন।খুব যত্ন নিয়ে আমাকে পরিপাটি করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়েছেন।আমার এলোমেলো জীবন টা আজ বিহান এর আলোতে পরিপূর্ণ।

বিহান ভাই কে আস্তে করে বিছানার দিকে এনে উনাকে বেডের উপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দৌড় দিলাম।এই রুম ঝুম বৃষ্টিতে মনের আনন্দে ভিজছি আর নাচ করছি।বিহান ভাই জানেন যে আমি সারাদিনেও উঠবো না।কারণ ভিজতে আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না।

বিহান ভাই আমাকে বার বার ডাকছেন এই দিয়ে এবার চলে আয় অনেক ভিজছিস জ্বর ঠান্ডা হবে।

উচ্চস্বরে বললাম না আসবো না।আমার বর একজন ডাক্তার কিছু হবে না আমার।আমি আজ অনেক ভিজবো।

বিহান ভাই বলেন দিয়া জ্বর হয়ে গেলে মাইর হবে কিন্তু।

আমি বিহান ভাই কে অনুরোধ করলাম,,
বিহান ভাই প্লিজ আসুন না।একদিন ভিজে দেখুন না।প্লিজ বিহান ভাই আসুন না।আপনার সাথে ভিজতে চাই এই বরষায়।

বিহান ভাই বলেন নেভার, তুই এক্ষুণি উঠে আয়।

বিহান ভাই আসুন না।ভিজে দেখুন অনেক ভাল লাগবে।আমার ঘ্যান ঘ্যানে
বাধ্য হয়ে উনি একটা শুভ্র ছাতা নিয়ে আমার কাছে এলেন।ছাতা টা আমার মাথার উপোর ধরে বললেন প্রকৃতি তোকে দেখে ভালবেসে ফেলবে আমার সেটা সহ্য হবে না তার আগে রুমে চল দিয়া।ছাতা টা দূরে ফেলে দিয়ে বললাম এবার ভিজুন আমার সাথে।বিহান ভাই আমাকে কোলে তুলে বলেন গলা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখ।তাহলেই তোর প্রিয় বৃষ্টি আর তোর প্রিয়জনের সাথে বৃষ্টি বিলাস উপভোগ করতে পারবি।বিহান ভাই এর কোলে এক আকাশ বৃষ্টি নিয়ে ভিজলাম।

বিহান ভাই আমাকে নামিয়ে দিয়ে হাঁটু গেড়ে বসলেন আমার সামনে।পকেট থেকে একটু নূপুর বের করে আমার পায়ে পরিয়ে দিলেন আর পায়ের পাতায় একটু চুমু দিয়ে বলেন পৃথিবীর সর্বোশেষ্ট পায়ে নূপুর পরিয়ে দিলাম।বিহান ভাই পায়ে দুইটা অঙ্গুট ও পরিয়ে দিলেন।জানিনা কিভাবে আমার পছন্দ গুলো উনি বুঝে যান।দিয়া সারাজীবন এই বাচ্চামো এই পাগলামো নিয়ে থাকবি তো আমার পাশে।

বিহান ভাই এর এমন বাচ্চামো দেখে উনার সামনে বসে বললাম সেদিনের পর আর আমাকে বকেন না কেনো বিহান ভাই?

বিহান ভাই বলেন, বকলে তুই হারিয়ে যাস যদি।তোকে হারানোর বড্ড পাই আমি।সেদিন মাত্র দু ঘন্টা তোকে হারিয়ে বুঝেছিলাম তোকে ছাড়া বেঁচে থাকাটা কত যন্ত্রণার।এই পৃথিবীতে মাত্র একটা জিনিস আমি বড় বেশী ভয় পায় সেটা হলো তোকে হারানোর।

বিহান ভাই কে রাগিয়ে দেওয়ার জন্য বললাম দেখা গেলো সত্যি একদিন হারিয়ে গেলাম বা আমি মরে গেলাম কি করবেন?

বিহান ভাই আকাশের দিকে তাকিয়ে বলেন,সৃষ্টিকর্তা আমার আয়ু ওকে দিও তবুও ওই পুচকি টাকে বাঁচিয়ে রেখো।

দিনে দিনে উনার ভালবাসায় আমি মুগ্ধ।উনি আমার অগোছালো জীবন টাকে সম্পূর্ণ গুছিয়ে দিলেন।রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠিয়ে দেন,ব্রাশ করিয়ে দেন,গোসল করে ওয়াশরুমে ড্রেস রেখে আসি উনি রোদে শুকাতে দেন।আমার খাবারের দিকে খেয়াল।লেখাপড়া সব কিছুর খেয়াল উনি রাখেন।এক জীবনে এমন কেয়ারিং মানুষ পাওয়া সত্যি ভাগ্যর ব্যাপার।

উনার সাথে বৃষ্টিতে ভিজে জীবনের সেরা মূহুর্ত উপভোগ করলাম।
বিহান ভাই আমাকে বলেন গান শুনবি।তোকে দেখে মনে হচ্ছে তোর আহবানে এই বৃষ্টি হচ্ছে।আমি মাথা নেড়ে বললাম হুম শুনবো,,

তুমি চাইলে বৃষ্টি
মেঘও ছিল রাজী
অপেক্ষা শুধুই বর্ষনের…
মাতাল হাওয়া বইছে
দূরে পাখি গাইছে গান
বৃষ্টি তোমার আহবান……

তুমি চাইলে বৃষ্টি
মেঘও ছিল রাজী
অপেক্ষা শুধুই বর্ষনের…
মাতাল হাওয়া বইছে
দূরে পাখি গাইছে গান
বৃষ্টি তোমার আহবান…

সাদা রঙের স্বপ্ন গুলো
দিল নাকো ছুটি
তাইতো আমি বসে একা
ঘাসফুলেদের সাথে
আমি একাই কথা বলি
ঘাসফুল গুলো সব ছন্নছাড়া
সাদা রঙের স্বপ্ন গুলো
দিল নাকো ছুটি
তাইতো আমি বসে একা
ঘাসফুলেদের সাথে
আমি একাই কথা বলি
ঘাসফুল গুলো সব ছন্নছাড়া
ছন্নছাড়া…ছন্নছাড়া….ছন্নছাড়া…

ছন্নছাড়া…ছন্নছাড়া…

লালা লালালা লা…লা
লা লা লাল লালা লা …
তু তু রু তৃতু
লালা লালালা লা…লা
লা লা লাল লালা লা …
তু তু রু তৃতু

তুমি চাইলে জোছনা
স্বপ্নীল কোনো এক রাতে
আকাশটা ঘিরে প্রার্থনা
চাঁদটা বলবে হেসে
জোছনা এলে শেষে
জানিও তোমার অভ্যর্থনা..
তুমি চাইলে জোছনা
স্বপ্নীল কোনো এক রাতে
আকাশটা ঘিরে প্রার্থনা
চাঁদটা বলবে হেসে
জোছনা এলে শেষে
জানিও তোমার অভ্যর্থনা
সাদা রঙের স্বপ্ন গুলো
দিল নাকো ছুটি
তাইতো আমি বসে একা

ঘাসফুলেদের সাথে
আমি একাই কথা বলি
ঘাসফুল গুলো সব ছন্নছাড়া
সাদা রঙের স্বপ্ন গুলো দিল নাকো ছুটি
তাইতো আমি বসে একা
ঘাসফুলেদের সাথে
আমি একাই কথা বলি
ঘাসফুল গুলো সব ছন্নছাড়া।।

বিহান এর কন্ঠে এই প্রথম বার গান শুনলাম।বিহান ভাই এত টা সুন্দর গান জানেন।

অবশেষে রুমে এলাম ভেজা কাপড় চেঞ্জ করে নিলাম।কিচেন থেকে বিরিয়ানির দারুণ ঘ্রাণ আসছে।মামির কাছে বিরিয়ানি খেতে চেয়েছি,মামি সব সময় আমার আবদার গুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন তার সব থেকে বড় কারণ মামির মেয়ে নেই।মামিকে আজ বলেই দিয়েছি লেগ পিছ সব গুলা আমি খাবো।চিকেন বিরিয়ানি রান্না করেছে মামি।

এমন সময়,,ছাতা মাথায় দিয়ে দিয়ে এত গুলা মানুষের প্রবেশ দেখে প্রচন্ড বিরক্ত হলেন বিহান ভাই।আমিও রিতীমত অবাক।এই অঝর বৃষ্টিতে তোহা আপু,রুশা আপু,আলিপ,রিয়া,মেহনুবা,বিভোর ভাই,আবির ভাইয়া সবাই বিহান ভাই দের বাড়িতে কেনো?বিহান ভাই আমার দিকে তাকিয়ে বলে নে তোর লেগ পিস হাজির।ভাল ভাবে খা লেগপিস। সাথে অনেক গুলা বাদাম আর কোক নিয়ে হাজির আবার লুডু ও আছে সাথে।বিহান ভাই হাঁচি দিতে দিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলেন কি সমস্যা দিয়া তোর চৌদ্দ গুষ্টি এই বৃষ্টির মাঝে ভর সন্ধ্যাবেলা আমার বাড়িতে কেনো?ওদের কি কমন সেন্স নেই?এখন আমি বউ নিয়ে রোমান্স করবো।ওদের সাথে ফাউ বকবক এর টাইম নেই আমার।অদ্ভুত ওই আলিপ নামক গন্ডার কেনো এসেছে।ওকে জাস্ট সহ্য করতে পারিনা আমি।

বিহান ভাই এর দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে নাচিয়ে বললাম তা আলিপের জন্য কি আজ আবার আমায় মারবেন বিহান ভাই।

দিয়া আমি এখন তোর গায়ে হাত তুলতে পারিনা তুই ভাল করেই জানিস।তাছাড়া বউ মারে কাপুরুষ রা বিহান কি কাপুরুষ।তাছাড়া আমি জানি আমার বউ আমি ছাড়া অন্যর দিকে তাকায় না।সমস্য অন্যর হা হয়ে তাকিয়ে থাকে।

ওরা এসেই হৈ ,হুল্লোড় শুরু করলো।বিহান ভাই বিরক্তি নিয়ে হেসে ভদ্রতা রক্ষা করলেন।

আবির ভাইয়া এসেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো।ভাইয়ার জীবনের সব টা জুড়েই তার বোন।ভাইয়া আমাকে ল্যাপটপ দিতে এসেছে।ভাইয়ার হাতে ল্যাপটপ দেখে বিহান ভাই বলেন আবির ভাইয়া তুমি হঠাত ল্যাপটপ আনলে যে।ভাইয়া বিহান ভাই কে বললো দিয়া আমাকে মেসেজ করেছিলো ওর ল্যাপটপ চাই।বিহান ভাই রাগান্বিত কন্ঠে বলে কিরে দিয়া ল্যাপটপ চাই সেটা আমাকে না বলে ভাইয়া কে কেনো বলেছিস।আমি ভাইয়ার দিকে আসহায় দৃষ্টি তে তাকালাম।ভাইয়া বিহান ভাই কে বলে বিহান এটা কোনো ব্যাপার না।আমার বোন কে আমি দিবো এতে রাগ করার কি আছে।

মামি তো সবাইকে দেখে অনেক খুশি।মেহনুবা আপু বলেন মামি তুমি রাগ করোনিতো আমরা এসেছি।রিয়া বলে এত গুলা মানুষ এসে আবার বলছো মামি রাগ করেছে কিনা।সবার উপর করলেও আমাদের উপর রাগ করবে না তাইনা মামি।মামি বলেন তোরা আগে খেতে বস পাগলের দল।

মামি সবাইকে খেতে দিলেন।সবাই বিশাল আড্ডা জুড়ে দিলো।খেতে খেতে আলিপ আমার দিকে একটা কোক ছুড়ে দিয়ে বলে দিয়া তোমার জন্য।অনেক দিন কোক খাওয়াতে পারিনি তোমায়।আগে তো রোজ বায়না করতে কোক খেতে।আলিপের কথা শুনে বিহান ভাই আড়চোখে তাকালেন আলিপের দিকে।হঠাত বিহান ভাই এর নাকে মুখে খাবার উঠে যায়।আমি পানি দিতে দিতে তোহা আপু আমাকে ধাক্কা মেরে পানি ফেলে দিয়ে বিহান ভাই কে পানি দিলো।বিষয় টা আমার মোটেও ভাল লাগেনি।আমার হাত থেকে পানি ফেলে দিয়ে বিহান ভাই কে পানি দিলেন।যেনো আমার থেকে উনার বেশী লাগছে।

তাছাড়া তোহা আপু যেনো কেমন একটা চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে।আমার সাথে তেমন কথা বলছে না।তোহা আপুকে অন্য রকম লাগছে।

বিহান ভাই আমাকে বলেন দিয়া আমাকে পানি দে।তোহা এ বাড়ির আত্মীয় ও পানি দিলে বিষয় টা খারাপ দেখায়।আমি তোর হাতের পানি খেতে চাই।

যাক একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলাম।বিহান ভাই বুঝতে পেরেছেন আমার মন খারাপ হচ্ছিল।

চলবে,,,

(রি চেইক দেই নি।ভালবাসা সবাইকে।কমেন্ট করবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here