তবুও_বর্ষণের_অপেক্ষা ২২.

0
1930

#তবুও_বর্ষণের_অপেক্ষা
২২.
#WriterঃMousumi_আক্তের

বিছানায় পড়ে পড়ে ঘুমোচ্ছেন আমার মিস্টার হাজবেন্ড বিহান ভাই।আর চেয়ার টেবিলে বই খাতা খুলে হাইয়ার ম্যাথ নিয়ে ঘাটাঘাটি করছি আমি।এই ঝমরাজ সাব্জেক্ট পারিনা,কোন ভাবেই মাথায় ঢোকে না আমার কিছু।আমাকে সায়েন্স নেওয়ানো মানে এক প্রকার হাইয়ার ম্যাথ দিয়ে টর্চার করা।আবার টাইম ও ফিক্সড করে দিছেন।উনি এলার্ম দিয়ে ঘুমিয়েছেন ঠিক ই ৬০ মিনিটে উঠে যাবেন এটা আমি জানি।যদিও বা পারি টেনশনে ভুলে যাচ্ছি সব।।একটা ম্যাথ করতে গিয়ে ৫-৬ বার করে কাটাকাটি করেছি।কোন ভাবেই কোনো ম্যাথ মিলছে না।আমি ঘেমে এক্কেবারে নেয়ে গিয়েছি।খাতায় এত কাটাকাটি দেখলে তো উনি আমার খাতা ছুড়ে মারবেন।এই কড়া রোদে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখবেন তাও এক পা উঁচু করে।ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি এক ঘন্টা প্রায় হয়ে গিয়েছে ৫৮ মিনিট চলছে।

ঠিক এক ঘন্টা পর বিহান ভাই বিছানা ছেড়ে উঠলেন।ঘুম ভাঙতেই আমাকে বলেন এভাবে বসে আছিস কেনো? ম্যাথ ছাড়া কি আর কোনো বই ধরলে পাপ হবে।ম্যাথগুলা যখন করা হয়েই গিয়েছে তখন ফিজিক্স টা দেখতে পারতি।হৃদপিন্ড আমার থর থর করে কাঁপছে।উনি তো আর জানেন না আমি ম্যাথ ই শেষ করে পারিনি।উনি আমাকে বলেন আমি ফ্রেশ হয়ে এসে খাতা দেখছি বলেই ব্রাশ নিয়ে ওয়াশ রুমে ঢুকলেন।কি অদ্ভুত মানুষ দিনে কয়েক বার করে ব্রাশ করেন উনি।চোখে মুখে পানি লাগিয়ে এসে বলেন দেখি কি করেছিস।খাতা টা আমি উনার দিকে না দিয়ে চুপ হয়ে বসে আছি।বিহান ভাই বিরক্তি নিয়ে বলেন দ্রুত দে আমার এত টাইম নেই।আমাকে এক্ষুণি পড়তে বসতে হবে একটু পরেই গুগল এ মেডিকেল ক্লাস শুরু হবে আমার।খাতা টা এগিয়ে দিতেই খাতায় এমন জঘন্য কাটাকাটি দেখে সাদা ফ্রেমের চশমা টা একটু উঁচু করে ঠিক করে নিয়ে আমার দিকে তাকালেন।

উনি ভয়ানক মাত্রার বিরক্তি নিয়ে আমাকে বলেন,,

What is this diya? মাত্র ৫ টা অংক করেছিস।এইভাবে কাটাকাটি করেছিস কেনো খাতায়?।আর হাতের লেখার এমন বাজে অবস্থা কেনো?এটা কোনো হাতের লেখা হলো।খাতায় কি ইদুর,তেলাপোকা,মাছি আর তোর প্রতিচ্ছবি একেছিস।ব্রাভো দিয়া তুই চারুকলা তে পড়তে পারিস সিরিয়াসলি বলছি যে কলেজে পড়বি টপার করবি।আর স্কলারশিপ ও পেয়ে যাবি।বিদেশে গিয়ে পড়ার সুযোগ পাবি।দিয়া তোর তো ব্রাইট ফিউচার পড়ে আছে সামনে।উনার করা অপমান গুলো খুব একটা হজম হচ্ছিলো না আমার।ভদ্র ভাষায় আমাকে পঁচাচ্ছেন।কিছু যে বলবো তার ও উপায় নেই আমার।আমার অবস্থা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। দাঁতে দাঁত চেপে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,লেখাপড়ার ” ল” ও তোর দ্বারা হবে না।তুই তো কারো বাসার কাজের বুয়া হওয়ার ও যোগ্য না।অশিক্ষিত জাতির সাথে মিশে যা হইছে তোর।তুই কি অটো পাশের আশাতে বসে আছিস।তোর বান্ধবীরা সারাদিন ফুলসজ্জা নিয়ে পড়ে থাকে তুই ওদের সাথে ওইসব জগতের বাসিন্দা হয়ে গিয়েছিস লেখাপড়া কিভাবে হবে।। সারাদিন অসভ্য বন্ধু বান্ধবীদের নিয়ে বিয়ে নিয়ে গবেষণা করাই হলো তোর কাজ।সারাবছর কি শিখেছিস এখন একটা ম্যাথ ও পারলি না কেনো?তোর টিচারের নাম্বার দে।অপমান করে উনার মন শান্ত হয় নি এখন আমার টিচারের নাম্বার চাইছেন।উনাকে যদি এসব বলেন উনি কি ভাববেন।আমাকে যা বলছে বলুক সেটা বিষয় না আবার টিচারের নাম্বার চাইছে।উনার চোখে সব সময় এত রাগ আর গম্ভীরতা থাকে কেনো বুঝি না?রাগী রাগী মুডে আমার ফোন টা নিয়ে বললেন কি যেনো তোর টিচারের নাম হায়াত মাহমুদ তাইনা।উনার অনেক হায়াত কিন্তু টিকিয়ে রাখতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।উনার এই কথাটা শোনামাত্র আমার আর বুঝতে বাকি নেই উনি স্যার কে আমার অংক না পারার অপরাধে অপমান করবেন।

স্যার এর নাম্বার টা নিয়ে উনার ফোন দিয়ে ফোন দিলেন।বিহান ভাই এর কানে অল ওয়েজ ব্লুটুথ হেডফোন থাকে।ব্লুটুথ কানের সাথে সব সময় ই থাকে।এক্সাম এর সময় উনার ইউজ করা সিম অফ করে রাখেন একটা নাম্বার আছে যেটার নাম্বার শুধু উনার আম্মু আর আমি ছাড়া আর কেউ জানে না।কোনো আপডেট জানতে হলে নিজ থেকে কাউকে ফোন দেন তাছাড়া এক্সাম এর সময় উনার সোস্যাল মিডিয়া সহ সিম সব অফ।

হায়াত স্যারের নাম্বারে ফোন দিছেন ফোনে রিং হচ্ছে।ফোন টা ওপাশ থেকে রিসিভ হতেই বিহান ভাই বলেন,,

“আসসালামু আলাইকুম! আপনি কি দিয়ার ম্যাথের টিচার হায়াত মাহমুদ”

“ওয়ালাইকুম আসসালাম! জ্বী আপনি?”

“আমি বিহান”

“কোন বিহান”

“বিহান নামে কতজন কে চিনেন?”

“আপনি কি সেই বিহান।”

“সেই বিহান মানে।এ এলাকায় বিহান নাম নামেই ওয়ানলি আমি।”

“সরি ভাই আমি বুঝতে পারি নি।অনেক ভাগ্য আমার আমাকে ফোন দিয়েছেন।মানুষের মুখে শুধু বিহান নাম ই শুনি।।আপনাকে দূর থেকে অনেক বার দেখেছি কিন্তু কথা বলার সাহস হয় নি।আপনি তো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কারো দিকে তাকান ও না।তাছাড়া আপনি যে রাগী তাই ভয়ে ডাকি না।আমার স্টুডেন্ট দের মুখে শুধু আপনার ই নাম।”

“আপনার আমার প্রশংসা করতে হবে না।আমি আপনার প্রশংসা করার জন্য ফোন দিয়েছি।অনেক ভাল টিচার আপনি আপনার এক স্টুডেন্ট এর খাতা দেখে বুঝতে পারলাম।”

“সব ই আপনাদের দোয়া।”

“আপনি সহ প্রত্যোক মানুষ এ আমার নজরে থাকে।আসল কথায় আসি আপনার দেওয়া ম্যাথের সূত্র গুলো কিন্তু মারাত্মক। আপনার ছাত্রীরা বোড ছিদ্র করে পি এইস ডি কমপ্লিট করে ফেলবো।হায়াত মাহমুদ ভাই এই সূত্র গুকা কালেক্ট করেছেন কিভাবে?”

“কোন সূত্র টার কথা বলছেন ভাইয়া।”

“বালিকা তোমার প্রেমের পদ্ম দিও না এমন জন কে যে ফুলে ফুলে উড়ে মধু পান করে অবশেষে ভাঙে মন কে।এই সূত্র টা”

“ইয়ে মানে ভাইয়া!”

“এই ডাফার!প্রাইভেট পড়াস নাকি প্রেমের কারখানা খুলছোস।ছাত্রী দের সাথে লুচ্চামি।টিচার হয়ে বিবেক এ বাধে নি স্টুডেন্ট কে চিঠি দিতে।বাচ্চা বাচ্চা মেয়েদের পড়ানোর নামে তাদের প্রেম নিবেদন করা।শার্ট প্যান্ট খুলে রাস্তায় ছেড়ে দিবো যাতে ফিউচারে কোনো টিচার স্টুডেন্ট এর সাথে এমন নোংরামো করার সাহস না পায়”

“ভাইয়া দিয়া কি নালিশ দিছে।দেখুন ভাইয়া দিয়া নিজেই আমাকে বলেছিলো আমাকে তার ভাল লাগে।”

আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম আমি কবে উনাকে বলেছি।উনি নিজে বাঁচতে আমাকে এভাবে ফাঁসিয়ে দিলেন।বিহান ভাই আমাকে আজ মেরেই ফেলবেন।আমাকে কুচি কুচি করে কেটে ভাগ করে দিবেন আজকে।ভয়ে আমি ভ্যা ভ্যা করে কেঁদেই দিলাম।

উনি টিচারের সাথে কথা বলেই যাচ্ছেন।

আমি ওর হাজবেন্ড!তোর পুরা ব্যাচ ক্যান্সেল।হাউ ডেয়ার ইউ।তুই আমার বউ কে লাভ লেটার পাঠাস।হাত এমন ভাবে ভাঙবো না জীবনে লেটার কেনো খাবার ও ঠিক ভাবে খাইতে পারবি না।আর দিয়ার নামে মিথ্যা বলার জন্য তোর পানিশমেন্ট আরো বেড়ে গেলো।

ফোনটা কেটে আমার দিকে তাকিয়ে বলেন,,

কিরে টিচার এর সাথে এগুলা কি?

আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম ম্যাথের টিচার উনি।আমি ম্যাথ ভাল পারি না তাই বাধ্য হয়েই পড়ি উনার কাছে।আর কবে এটা দিছে তাই জানিনা।

তোর আশে পাশে কে কোন নজরে তাকায় ২৪ ঘন্টা আমার নজরে থাকে।এই চিঠি তোর হাতে পৌছানোর আগে আমার হাতে পৌছেছে।এভাবে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদলে তোর শাস্তি মাফ হবে না।আম্মু খালামনিদের বাসায় গিয়েছেন।ফিরতে সন্ধ্যা হবে।তুই চল খাবার খেতে হবে।বিহান ভাই সুযোগ পেলেই আমাকে নিজ হাতে খাইয়ে দেন।আজ মামি বাসায় নেই তাই খাইয়ে দিবে এটা আমি জানতাম।

বিহান ভাই আমাকে খাইয়ে দিতে দিতে বলেন,দিয়া জানিস তো আমার রাগ হলে মাথায় রক্ত উঠে যায়।মাথা ঠিক থাকে না।তোকে কেউ ভালবাসার কথা বললে আমার রক্ত টগবগ করে।আমার রক্তে আগুন জ্বলে।দিয়া তোর দিকে কেউ তাকালে আমি খুন করে ফেলবো।এটা শুধু আমার মুখের কথা নয়।তুই আমার মানে শুধুই আমার।উনার কথার উত্তর আমি খুব ই কম দেই।কারন আমার ভয় লাগে।

খাওয়া শেষে বলেন এভাবে প্লাজু আর টি-শার্ট পরলে তোকে চাইনিজ পুতুল এর মতো লাগে দিয়া।ইচ্ছা করে সোকেজ এ সাজিয়ে রাখি।তোকে বিয়ে করেছি আমার মনের মাঝে সাজিয়ে রাখার জন্য।ইদানিং ভয়ানক ভাবে তোর মায়ার পড়ে গেছিলাম
।তুই আমার সামনে না থাকলে আমার কোনো কাজেই মন বসছিলো না।

উনার ভালবাসার গভীরতা অনেক। যেটা পরিমাপ করা সম্ভব নয়।জানিনা এতটা ভাগ্য কোনো মেয়ের আছে কিনা এমন ভালবাসার মানুষ পাওয়া সত্যি ভাগ্যর ব্যাপার।

বিহান ভাই এর এক্সাম।উনার এক্সাম মানে পৃথিবীতে কেয়ামত হয়ে গেলেও কোনোদিকে পাত্তা নেই উনার।এই মুহুর্তে কে বউ কে বন্ধু কোনো কিছুই খেয়াল দেওয়ার টাইম নেই উনার।আমি দেখছি যে উনি ল্যাপটপ এ সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে অনলাইন ক্লাস করছেন।আমি পাশের রুমে সংগীত বাংলা চ্যানেল বেশ খানিক টা সাউন্ড দিয়ে চালিয়ে দিলাম।কপালে শনি থাকলে যা হয় আর কি সাউন্ড আরো খানিক টা বাড়িয়ে দিলাম।”আমি হলাম রোমিও পাক্কা প্লে বয় রোমিও “দেবের রোমিও গান শুনছিলাম আর মনের আনন্দে ডান্স করছিলাম।আল্লাহ ই জানে বিহান ভাই কখন এসে প্রখর মেজাজ খারাপ নিয়ে দরজায় প্যান্টের পকেটে হাত গুজে দাঁড়িয়ে আছেন।আমার উনার দিকে নজর যেতেই দ্রুত রিমুট দিয়ে টিভি টা অফ করে দিলাম।বিহান ভাই এর যে ক্লাস করতে সমস্যা হয়েছে সেটা বুঝতেই পারছি। আমাকে উনি বলেন দিয়া আমার রুমে আয় তো।কোনো কথা না বলে মাথা নিচু করে উনার সাথে গেলাম।উনি আবার ও বিছানায় বালিস হেলান দিয়ে বসে পায়ের উপর ল্যাপটপ রেখে ল্যাপটপ এ মন দিলেন।আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বলেন

দিয়া একটা চা নিয়ে আয় তো আমি পড়তে বসবো।

আমি অবাক হয়ে গেলাম আমাকে বকা না দিয়ে চা বানাতে বললেন।চা বানিয়ে উনার সামনে গিয়ে বললাম।এই যে আপনার চা।

চা টা হাতে নিয়ে বলেন দিয়া,

দিয়া দুধ চা নিয়ে আয়।আমার আজ দুধ চা খেতে ইচ্ছা হচ্ছে।কোনো উত্তর না দিয়ে আমি আবার ও চা বানাতে গেলাম।দুধ চা বানিয়ে আবার ও হাজির হলাম।বিহান ভাই আমাকে বলেন দিয়া তুই কি পাগল আমি দুধ চা কখনোই পছন্দ করি না।আমাকে এত দিনে চিনিস নি।

আমার এখন কফি খেতে ইচ্ছা করছে।
কড়া ব্ল্যাক কফি নিয়ে আয় যা।

রাগে আমার শরীর রি রি করছে। ইচ্ছা করে গান শোনার অপরাধে আমাকে দিয়ে খাটাচ্ছেন।উপায় নেই উনার কথা এখন চুপচাপ আমাকে মেনে নিতে হবে।

কফি এনে দিতেই উনি বলেন,,
নুন দিস নি কেনো?জানিস না আমি কফিতে নূন খাই।হালকা নূন দে।

আমি অবাক হয়ে গেলাম।কফিতে নূন।

বিহান ভাই বলেন কফিতে নূন পরে দিস আগে কাপড় গুলা স্ত্রী করে দে।আমি যে আয়রণ করতে পারিনা উনি জেনেই আমাকে এই কঠিন কাজ টা দিলেন।আয়রণ করতে।আয়রণ করতে গিয়েই উনার শার্ট পুড়িয়ে ফেললাম।বিহান ভাই আড়চোখে তাকিয়ে বলেন,, আমার সব থেকে ফেভারিট শার্ট টা পুড়িয়ে ফেলছিস।এটা বসে বসে সূচ সুতা দিয়ে সেলাই কর।উনি জীবনে সেলাই করা শার্ট পরবে না তবুও আমাকে দিয়ে সেলাই করালেন।প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে সেলাই করার পরে উনার কে বললাম হয়এ গেছে সেলাই।এবার উনি বললেন যা কফিতে এবার নূন দিয়ে নিয়ে আয়।রাগে একা একা ফুঁশ ফুশ করতে নিচে গিয়ে আবার নূন দিয়ে এনে কফিটা উনার দিকে দিলাম।এবার উনি ল্যাপটপের সাটার টা অফ করে বলেন সেই ঠান্ডা কফিতে নূন দিয়েছিস।আর সত্যি নূন দিয়েছিস। কফিতে কেউ নূন দেই।এবার আমি ধৈর্যর বাধ ভেঙে উনার কলার চেপে ধরে কফিটা মুখের মাঝে জোর করে দিয়ে বললাম এটাই আপনাকে খেতে হবে বুঝেছেন।এটাই খেতে হবে।খান বলছি।বিহান ভাই এর কলার চেপে ধরাতে উনি আচমকা ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে বিছানায় সুয়ে পড়লেন আর উনাকে ভর করে উনার বুকের উপর কফির মগ নিয়ে রণচন্ডী মুড নিয়ে তাকিয়ে আছি আমি।

উনি আমার হাত থেকে কফি টা নিয়ে মুখে ফু দিতে দিতে বলেন তার হাতের নূন যুক্ত কফিটা ও মারাত্মক টেস্ট।তার হাতের ছোয়াতে ও বোধ হয় যাদু আছে।পৃথিবীর বেষ্ট টেস্ট তার হাতের ছোয়াতে আছে।

চলবে,,,

(রি চেইক দিতে পারি নি।বানান গুলা নিজ দায়িত্বে বুঝে নিবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here