চুপিচুপি ভালোবাসি পর্ব ৫

0
1403

#চুপিচুপি_ভালোবাসি (পর্ব ০৫)
#আয়েশা_আক্তার
·
·
·
এখন একটা কথা আমার মনে খুব তীব্র ভাবে নাড়া দেয় আর আমি সেটা হলো আমি কেন যে সেদিন নির্ভীক ভাইয়াদের বাড়িতে এসেছিলাম! না আসলেই ভালো হতো। না নির্ভীক ভাইয়ার সাথে আমার দেখা হতো আর না আমার সাথে এতো কিছু ঘটতো। এই তিন বছরে আমি ঠিক কি কি সহ্য করেছি সেটা শুধু আমিই জানি। আবার ভাবতে লাগলাম অতীতের কথা!!

🍁
চাচ্চুর বিয়ের সব কাজ শেষ হওয়ার আগেই বাড়ি ফিরে এসেছিলাম আমি, আম্মু আর আমার ছোট বোন শাম্মী। ফিরে আসার কারণ টা ছিল আমার বোন। ও বেশি লোকজনের মাঝে থাকতে অভ্যস্ত নয় আর প্রচন্ড রকমের জেদি। একবার যেটা বলবে সেটাই করতে হবে নাহলে পুরো বাড়ি চেঁচিয়ে মাথায় তুলে ফেলতে ওর খুব বেশি সময় লাগে না। তাই ওর কথা শুনেই আব্বু আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলো। আমিও খুশি মনে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম যাক বাঁচা গেল, আর কোনদিনই ঐ নির্ভীক নামক রাক্ষস টার সামনে যেতে হবে না। আমি তো আর কখনোই ঐ বাড়িতে যাবো না। কিন্তু আমার ধারণা টা যে সম্পূর্ণ ভূল ছিল সেটা জানতাম না আমি। ভাগ্য নামক বস্তুটা যে কখনোই আমার সহায় হয় না সেটা ভূলেই গিয়েছিলাম আমি। খুশি মনে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম সেদিন। কিন্তু রাতটা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আমার খুশিও শেষ হয়ে গেলো।
ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে বাইরে এসে যা দেখলাম তাতে আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। উঠোনে একটা চেয়ার পেতে বসে আছেন নির্ভীক ভাইয়া। আর ওনার সামনেই বসে ওনার সাথে কথা বলছেন আমার শ্রোদ্ধেয় আব্বাজান। আমি হা করে তাকিয়ে আছি। আচ্ছা নির্ভীক ভাইয়া কি সত্যি এসেছেন নাকি আমি ভুল দেখছি? জানার জন্য নিজের হাতে একটা চিমটি কাটলাম। নাহ ব্যাথা তো পেলাম তারমানে এটা সত্য। কিন্তু এই সাত সকালে আমাদের বাড়িতে আসার কারণ টা কি হতে পারে সেটাই তো বুঝলাম না। আব্বু তো বলতো নির্ভীক ভাইয়া আমাদের বাড়িতে আসতে চায় না। তাহলে আজ হঠাৎ আসার কারণ টা কি হতে পারে? এসব ভাবনার মাঝেই ডাক পরলো। আম্মু বেশ জোরেই বলল,,

–“ওখানে দাঁড়িয়ে কি ভাবছিস? এখানে আয় দেখ নির্ভীক এসেছে ওকে ভেতরে নিয়ে যা। আর তোর বাপকেও বলি হারি ছেলেটা এসেছে কিসের একটু ঘরে নিয়ে গিয়ে বসাবে তা না গল্প করতে বসে গিয়েছে।যা ওকে নিয়ে যা।”

উনাকে ঘরে নিয়ে বসা! হুহ উনি কি ছোট বাচ্চা নাকি যে উনাকে নিয়ে যেতে হবে? নিজের মনে বিড়বিড় করতে করতে উনার সামনে গিয়ে সালাম দিয়ে বললাম,

–“এখানে রোদের মধ্যে বসে না থেকে ভেতরে চলুন। ফ্যানের হাওয়া খাবেন।”

নির্ভীক ভাইয়া উঠে দাঁড়ালেন। তারপর আমার পেছন পেছন ভেতরে আসলেন। উনি এসেই সোজা আমার রুমে গিয়ে খাটের উপর আরাম করে বসলেন। আমি বোকার মত দাঁড়িয়ে আছি। কিছুক্ষণ পর আম্মু এসে নির্ভীক ভাইয়াকে খাওয়ানো শুরু করলেন। আম্মু নির্ভীক ভাইয়ার সাথে কি সুন্দরভাবে কথা বলছে অথচ আমি নামক কেউ যে আছি সেটা আম্মুর চোখেই পড়ছে না। আম্মুর ছেলেদের প্রতি দুর্বলতা টা বেশি কারণ আমার কোন ভাই নেই। তাই নির্ভীক ভাইয়ার ভাগে যে আমার থেকে কয়েক গুণ বেশি ভালোবাসা জুটবে সেটা খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পারছি আমি। এই ছেলেটা এসেই আম্মুর ভালোবাসায় ভাগ বসিয়েছে এরপর নাজানি কি কি করবে আল্লাহ্ পাকই জানেন। আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছি আম্মু নির্ভীকে পুরো জামাই আদর করছে আর উনি দাত কেলিয়ে হাসছেন। উফ অসহ্যকর।

🍁
কলেজ এ এসে ক্লাসরুমে বসে আছি আমি। মারুফাও এসেছে কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত আমাদের সাবজেক্ট আলাদা। তাই আর দেখা হয়নি। কিছুক্ষণ পর নিলাও চলে এলো। ক্লাস শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে নিলা বলল,,
–“চল না একটু বাইরে থেকে হেঁটে আসি। কিছুক্ষণ পর তো ক্লাসেই আটকে যাবো। ৩ ঘন্টার আগে আর বের হতে পারবো না।”

ওর কথা অনুযায়ী ঘোড়াঘোড়ি করার জন্য বাইরে এলাম। ক্লাস রুমে বসে থাকতে একদমই ভালো লাগছিল না আমার। আর একবার ক্লাস শুরু হলে বের হওয়ার স্কোপ ই থাকে না। তাই চলে এলাম। বাইরে এসেই মারুফার সাথে দেখা হয়ে গেল। তিন জন মিলে ক্যাম্পাসের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করছি। ঠিক ঠাকই চলছিলো সব কিন্তু মাঝে থেকে হুট করেই নিলা বলে উঠলো,,,

–“ওয়াও! ছেলেটা কত্ত সুইট ইয়ার..!! দোস্ত আমি ক্রাশ খাইছি।”

নিলার কথা শুনে তেমন কোন হিলদোল হলো না আমার। কারণ ক্রাশ খাওয়াটা ওর জন্মগত অভ্যাস ই বলা চলে। যখন তখন যার তার উপর ই ক্রাশ খায় এই মেয়ে। তাই বিষয়টাতে তেমন ভ্রুক্ষেপ করলাম না। কিন্তু কিছুক্ষণ পর যখন মারুফা ও বললো,,

–“এত্ত সুন্দর কোন ছেলে হয় নাকি? দোস্ত আমার তো মনে হচ্ছে আমিও ক্রাশ খাইছি!”

এবার আমি অবাক না হয়ে পারলাম না। মারুফার মত মেয়ে কারোর উপর ক্রাশড্!! যে নাকি ক্রাশ নামক বাঁশ থেকে সবসময় দূরত্ব বজিয়ে চলে সেই আজ কারোর উপর ক্রাশড!! এবার তো ছেলেটাকে দেখতে হচ্ছে। মারুফার তো এই ক্রাশরোগ ছিলো না। তারমানে নিশ্চয়ই ছেলেটা কি মারাত্মক রকমের সুন্দর নাকি? ছেলেটাকে দেখার জন্য নিলা আর মারুফার দৃষ্টি অনুসরণ করে সামনের দিকে তাকালাম। যাকে দেখলাম তাকে দেখে আমার চোখ কপালে উঠে গেলো। ছেলেটা আর কেউ নয় নির্ভীক ভাইয়া! হোয়াইট কালার শার্ট এর উপর ব্লো ব্লেজার, ব্লো প্যান্ট, বামহাতে ব্র্যান্ডেড ঘড়ি, ডানহাতে সানগ্লাস নিয়ে বাইকের সাথে হেলান দিয়ে ঘোরাচ্ছে। সিল্কি চুলগুলো কপালের উপর পরে আছে। আগের দিন তো ক্রাশ খেয়েছিলাম,যদি ওনার চেহারার মতো মনটাও সুন্দর হতো তাহলে আজ নির্ঘাত প্রেমে পড়ে যেতাম। কিন্তু উনি যে ঠিক কতটা ভয়ানক সেটা আমিই জানি। কিন্তু উনি এখানে কিভাবে আর কেন? তবে কি উনি ছুটি পেয়েছেন নাকি? হ্যাঁ তাই হবে নাহলে উনি পড়াশোনা বাদ দিয়ে এখানে আসতেন না নিশ্চয়। এদিকে মারুফা আর নিলা এখনও উনার দিকেই তাকিয়ে আছে। আশেপাশে খেয়াল করে দেখলাম কলেজের প্রায় সবগুলো মেয়েই রসগোল্লার মতো চোখ বানিয়ে উনার দিকেই তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই গিলে খেয়ে নিবে। মুহূর্তেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেল আমার। এভাবে তাকিয়ে থাকার কি আছে সেটাই তো বুঝতে পারছি না। জীবনে কখনো সুন্দর ছেলে দেখে নাই নাকি? কিন্তু আমার হঠাৎ এতো রাগ কেন লাগছে? ওরা যা ইচ্ছা করুক তাতে আমার কি? আমার রাগা উচিত নয়, একদমই উচিত নয়। উনি আমাকে দেখে একটা সুইট স্মাইল দিলেন। উনার হাসি দেখে রাগটা আরো বেরে গেলো। উনার পেছন থেকে আয়াত ভাইয়া বের হলেন। ওনাকেও মাশা-আল্লাহ ভালোই কিউট লাগে। ক্লাস টাইম হওয়ায় সবাই ক্লাসে চলে এলাম। পুরো ক্লাস নিলা, নির্ভীক ভাইয়ার কথাই বলেছে। ছেলেটা এতো কিউট কেন? হ্যান, ত্যান! ইচ্ছে তো করছিলো ঠাটায় একটা চর মারি। আরে এসব আমি কিভাবে জানবো? কিন্তু হাজার হলেও বান্ধবী তো! নিলার বকবক শুনতে শুনতে ক্লাস শেষ হলো। ক্লাস শেষে বাইরে বের হতেই ঘটলো আরেক ঘটনা। মারুফা, আয়াত ভাইয়ার সাথে সেই ঝগড়া বাঁধিয়ে বসেছে। আর নির্ভীক ভাইয়া মাথায় হাত দিয়ে ওদের ঝগড়া দেখছে।এই মারুফার আবার কি হলো? আয়াত ভাইয়ার সাথে এরকম ঝগড়াই বা করছে কেন? ব্যাপারটা বোঝার জন্য ওদের দিকে এগিয়ে গেলাম আমি আর নিলা। মারুফার কাছে গিয়ে ওকে জিজ্ঞাসা করলাম, কি হয়েছে ও এরকম ঝগড়া করছে কেন? কিন্তু কে শোনে কার কথা। ও তো ঝগড়ায় ব্যাস্ত। এই দুই জনের কোন হেলদোল না দেখে এক প্রকার বাধ্য হয়েই নির্ভীক ভাইয়ার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। উনি আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালেন। আমি একবার মারুফা আর আয়াত ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আবার উনার দিকে তাকালাম। তারপর বললাম,,

–“একটু আগে এখানে কি হয়েছিল ভাইয়া! ওরা এরকম ইঁদুর বেড়ালের মত ফাইট করছে কেন? মারুফার ব্যাপারটা একটু হলেও আন্দাজ করতে পারছি কিন্তু আয়াত ভাইয়া! উনি তো এমনভাবে ঝগড়া করেন না! তাহলে?”

–“ঐ মেয়েটা তোর ফ্রেন্ড?” (মারুফাকে দেখিয়ে)

–“হুম।”

–“এইজন্যই এমনভাবে ঝগড়া করছে। তোর ই তো বান্ধবী তোর মতন তো হবেই।”

এই লোকটা এমন কেন? আমি একে বলছি কি আর ইনি আমাকে উত্তর দিচ্ছে কি। আমি একটু রাগী গলায় বললাম,,

–“ফালতু কথা বাদ দিয়ে যেটা জিজ্ঞেস করলাম সেটার উত্তর দিন। এরা এভাবে ঝগড়া কেন করছে সেটা বলুন।”

–“বাবা সাহস বেড়ে গিয়েছে মনে হচ্ছে! আমাকে ধমকাচ্ছিস তুই। আচ্ছা বাদ দে আয়াতের মনে হয় তোর বান্ধবী কে মনে ধরেছে। তাই হয়তো কথা বলতে গিয়েছিলো আরকি। তারপরেই এমন চিল্লাচিল্লি শুরু হয়েছে। আমি তো ভাবছি আয়াতের কথা‌, ও তো এমনভাবে কখনও ঝগড়া করে না। আজ এতো বুলি কিভাবে ফুটছে কে জানে।”

আমি উনাকে কিছু বলতেই যাচ্ছিলাম তার আগেই পেছন থেকে মারুফা এসে বলল,,
–“দোস্ত এই ছেলেটাকে একটা শিক্ষা দে তো! সেই কখন থেকে আমার পেছনে পড়ে আছে! একে বুঝিয়েও তো কোন লাভ হচ্ছে না।”(বিরক্ত গলায়)

আয়াত ভাইয়া দাঁত কেলিয়ে বললেন,,
–“আরে ক্যাটবেরি!! শর্মি আমায় কিছু বলবে না। ও তো আমার সাইডে তাই আমাকেই সাপোর্ট করবে তাইনা আপি?? তুমি বরং নিজের কথা ভাবো।”

ওরে বাপরে! এতো দেখি সুপার ফাস্ট। এর মধ্যে নিকনেম ও দিয়ে ফেলেছে! আমি আয়াত ভাইয়ার দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকালাম। আমার এরকম ভাবে তাকানো দেখে আয়াত ভাইয়া অণুনয়ের দৃষ্টিতে তাকালেন। হয়ত বোঝাতে চাইছে, প্লিজ!! আপুটা ভালো তোমার বান্ধবী টাকে একটু বোঝাও না! দেখনা আমি সকাল থেকে পেছনে পরে আছি অথচ আমায় পাত্তাই দিচ্ছে না! এখন তুমিই একমাত্র ভরসা! আমি বাঁকা হেসে বললাম,,

–“আরে ওয়াহ ভাইয়া! আপনি তো দেখছি দারুন ফাস্ট একদিনেই ক্যাটবেরি ডেকে ফেললেন না জানি ফিউচারে কি হবে?”

দেখলাম মারুফা আমার দিকে আগুন চোখে তাকিয়ে আছে। আর নিলা বেচারীর মাথায় হয়তো কিছু ঢুকছে না। ও আমাদের দিকে কেমন অসহায়ের মত তাকিয়ে আছে। ও আমার দিকে এগিয়ে এলো হয়তো আমাকে কিছু বলতে চাইছিলো তার আগেই নির্ভীক ভাইয়া আমির হাত ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিলেন। তারপর বললেন,,

–“এখানে দাঁড়িয়ে কাবাবের হাড্ডি হওয়ার কোন মানেই হয় না। এবার চল আম্মু তোকে নিয়ে যেতে বলেছে। সেই সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি আর পারবো না। এবার চল আর এদের (মারুফা আর আয়াত ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে) এখানেই ছেড়ে দে। আয়াতের ঝামেলা আয়াতকেই বুঝতে দে।”

আমি নিজের হাত ছাড়িয়ে বললাম,,
–“আমি যাবো না আপনাদের বাড়িতে।”

উনি রাগী গলায় বললেন
–“যাবি না তো! আম্মু ডেকেছে আর তুই যাবি না। আম্মু তোকে কত ভালোবাসে আর তোর কাছে তো আম্মুর কথার কোন গুরুত্বই নেই। ঠিক আছে আমি একাই চলে যাচ্ছি।”

বলেই উনার বাইকে গিয়ে বসলেন উনি। আচ্ছা আন্টি কি সত্যিই ডেকেছেন আমায়? কিন্তু এখন কেন ডাকতে যাবেন! এখন তো ডাকার কথা নয়। নির্ঘাত এটা উনার চালাকি। হুহ তাই হবে যাও যাও আমি যাচ্ছি না। কিন্তু আন্টি যদি সত্যিই ডেকে থাকেন তাহলে? আমি না গেলে তো কষ্ট পাবে। তাছাড়া উনি ডাকবেন আর আমি যাবো না ব্যপারটা বেয়াদবি হয়ে যাবে তো। বাইকের আওয়াজে ঘোড় কাটলো আমার। সাত পাঁচ না ভেবে দৌড়ে গিয়ে উনার বাইকে উঠে বসলাম। আমার কেমন একটা অস্বস্তি হচ্ছে‌। এর আগে আব্বু আর আদভিক আঙ্কেল ছাড়া আর কারো বাইকে উঠিনি কখনো। এখানে আমি অস্বস্তিতে মরে যাচ্ছি আর উনি আমার দিকে তাকিয়ে হাসছেন। উনার মধ্যে অস্বস্তির ছিটেফোঁটাও নেই। একদম স্বাভাবিক ভাবেই আছেন উনি। আমার দিকে তাকিয়ে সানগ্লাস পড়ে বললেন,,

–“ধরে বস! নাহলে পড়ে যাবি।”

আমি কিছু বললাম না। আমি কেন উনাকে ধরতে যাবো? আমি মোটেও ধরবো না‌। মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করলাম যাই হয়ে যাক না কেন আমি উনাকে ধরবো না কিছুতেই না। কিন্তু এই প্রতিজ্ঞা টাও বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। আচমকা বাইক চলতে শুরু করায় আমি পড়ে যাচ্ছিলাম। নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমি উনার কাঁধ খামচে ধরলাম। আর উনি আমার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসলেন। বাইক চলতে শুরু করল আপন গতিতে। কলেজ থেকে বের হওয়ার আগ মুহূর্তে দেখলাম সকলে আমাদের দিকে কেমন ভাবে যেন তাকিয়ে আছে। মারুফার মুখ শুকিয়ে গিয়েছে বেচারী এখন আয়াত ভাইয়ার টর্চার সহ্য করবে আর নিলা তো পুরাই থম মেরে দাঁড়িয়ে আছে। আর আমি ভাবছি কোন মাইনকা চিপায় পড়লাম। নিজের ইচ্ছার কোন মূল্য নেই। নাজানি আর কতদিন এই ফ্যাসাদে থাকতে হবে কে জানে। তারপর ই বেড়িয়ে এলো একটা দীর্ঘশ্বাস।
·
·
·
চলবে………………………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here