চারুর_সংসার পর্ব ১১

0
921

#চারুরু_সংসার
#Written_by_Nowshin
#পর্ব_১১
.
?
.

এভাবে দুইদিন চলে যায়,,,,,,দেখতে দেখতে সেইদিন চলে আসে।এতদিন নীলিমা চারুর সাথে অনেক ভালো আচরণ করে।একদম নিজের আপন বোনের মতো।চারুও মনেকরে হয়তো ভালো হয়ে গেছে নীলিমা!!

রাত ১২ টায়,সবাই সব আয়োজন করে ফেলে চারুর বার্থডে র।এখন ১২ টা বাজার অপেক্ষায়!শবনম চোখ বেধে চারুকে নিয়ে আসে!১২ টা বাজতেই চারুর চোখ খুলে দেয় শবনম♥।সে সামনে তাকিয়ে দেখে আনাফ,নীলিমা,মা আছেন দাড়িয়ে।আর চারিদিকে বেলুন আর বেলুন।আর টেবিলে একটি বড় চকলেট কেক রাখা।সবাই চিৎকার করে বলল—-

__ Happy Birthday To You Charu❤❤

চারু অবাক হয়ে মুখে হাত দিয়ে কান্না করে দেয়।এরপর চারু সবাইকে জড়িয়ে ধরে।সবাই মিলে কেক কাটে।চারু সবাইকে খাওয়ায়।সবাই তাকে শুভকামনা করে!ফোন করে অরু,মামা,মামী চারুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়।চারুর আজ নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে❤।

সবাই চারুকে ছোট খাটো গিফট দেয়।নীলিমা চারুকে একটি বড় সুন্দর ডল উপহার দেয়,শবনম চারুকে অনেকগুলো চকোলেট দেয়।মা দেন একটি অত্যাধিক সুন্দর শাড়ি এবং কয়েকটি ড্রেস।আনাফ কিছু দিচ্ছে না দেখে শবনম বলে….

শবনমঃকীরে ভাইয়া তুই আপুকে কিছু দিবিনা?

আনাফঃহুম দিবো কিন্তু এজন্য চারুকে আমার সাথে যেতে হবে।
চারুঃআচ্ছা আমি আসছি!

আনাফ ও চারু হেটে সামনের দিকে যায়।কিছুক্ষন হাটতে হাটতে চারু সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে।বিচের মধ্যখানে স্টেজের মতো করে বানানো হয়েছে আর চারিদিকে কেন্ডেল আর কেন্ডেল।বালির মাঝে ব্লাংকেট রাখা হয়েছে, আর চারিদিকে বালিশ রয়েছে।আর সামনে লিখা———Happy Birthday To U Charu?.

চারু হা হয়ে দাড়িয়ে আছে।মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না ওর!

চারুঃএগুলো আমার জন্য?
আনাফঃহ্যা তোমার পছন্দ হয়নি?
চারুঃখুবববব পছন্দ হয়েছে! অনেক সুন্দর!আমার অনেক ভালোলেগেছে।

দুজন সামনের দিকে আগাতে থাকে।মধখানে ব্লাংকেট দিয়ে যে স্টেজ টি বানানো হয়েছে সেখানে গিয়ে দাড়ায় দুজন।একদম কাছাকাছি দাড়িয়ে আছে দুজন।কোনো দুরত্ব নেই।হঠাৎ আনাফ হাটু গেড়ে বসে একটা রিং হাতে নিয়ে বলল….

___আই লাভ ইউ চারু।আই লাভ ইউ সো মাচ!

___আপনি কেনো?আই মিন অবশ্যই আপনি মানে এটা তো আমার করার কথা ছিলো।আমার প্লান ছিলো আমার জন্মদিনে আমি আপনাকে ভালোবাসি কথাটা বলবো।

___না এবার তো আমার পালা।

___(চারু কান্না করার মতো করে)

____কী ভালোবাসো না????

____না না না, অবশ্যই ভালোবাসি।ভালোবাসবো না কেনো??

____অহহহ অকেই।

আনাফ চারুর হাতে রিং পড়িয়ে দেয় আর চারু মুখে হাত দিয়ে হেসে বলে____Thankyou So Much.I’m So Happy?.

এরপর আনাফ চারুর একদম কাছে চলে আসে।চারু চোখ বন্ধ করে ফেলে।আনাফ হুট করেই চারুর ঠোঁটে কিস করে বসে।চারু আরো শক্ত করে চোখ বন্ধ করে ফেলে।আনাফ চারুর কোমড় জড়িয়ে ধরে চারুকে কিস করতে থাকে।

(ভাই এত্ত শখ কেন মানুষের রোমান্স দেখার,যান ভাগেন??)

এরপর দুজনে সবার কাছে যায়।আনাফকে চারুর হাত ধরে থাকতে দেখে তো নীলিমা জ্বলে উঠে। সে চুপচাপ সব সহ্য করে!

নীলিমাঃসব সত্য জানিয়ে দিবো আমি চারুকে!দেখে নিবো চারু কিভাবে ভালোবাসে তোমাকে আনাফ।(শয়তানি হেসে)

এভাবে কক্সবাজারের দিনগুলি কেটে যায় সবাই ঢাকায় ফিরে যায়।

চারু ও আনাফের ভালোবাসা আরো গভির হতে থাকে।মান-অভিমান,ঝগড়া-ঝাটি,ভালোবাসা-খুনসুটির মধ্য দিয়ে ১ মাস কেটে যায়।।

১ মাস পর…..

চারুঃওই শুনেন না?
আনাফঃহু বলো!
চারুঃকী করেন?
আনাফঃকিছু করছি না তবে এখন তোমার সাথে দুস্টামি করবো!??
চারুঃএই মোটেও না। আমি গেলাম(রেগে)

আনাফ আর কিছু বলে না হাসতে থাকে!আর চারু রান্না ঘরে চলে যায়।চারু রান্না করছিলো।সেখানে আনাফ গেলো।গিয়ে পিছন থেকে চারুকে জড়িয়ে ধরে।

চারুঃক্কে….কে!

চারুঃউফফফ আপনি আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।আচ্ছা আপনি উঠে আসতে গেলেন কেনো?আমাকে বলতেন আমি নিয়ে আসতাম।যদি পড়ে যেতেন?
আনাফঃউহুউউউউ!পড়তাম না পাখি!তুমি আছো না?
চারুঃহুহহহহ ঢং!!!!

আনাফ চারুর কাধে মুখ গুজে দেয়!চারু বলে–

চারুঃআচ্ছা আপনি না দেখে এগুলো কিভাবে পারেন??আমার তো মাঝেমধ্যে সন্দেহ হয়!
আনাফঃজানিনা!

আনাফ চারুর ঘাড়ে কিস করতে থাকে। চারুর কোমড় পর্যন্ত লম্বা চুল ছেড়ে দেয়।চারুর চুলে নাক ডুবিয়ে দেয় আনাফ।আর চারু তো অসস্থি ফিল করছে!

চারুঃছাড়ুন বলছি।দেখছেন না রান্না করছি।মা -শবনম হঠাৎ যদি এসে পড়ে তখন কী হবে ভাবছেন???

আনাফঃউহু কেউ আসবে না!

চারুঃহ্যা আপনাকে বলেছে!(হালকা রেগে)

আনাফঃআচ্ছা তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি?

চারুঃওকে।

আনাফঃআচ্ছা কখনো কী তুমি আমাকে ভুল বুঝে ছেড়ে চলে যাবে চারু?

চারুঃনা কক্ষনই না।তবে আমি জানি আপনি এমন কিছু করবেন না যাতে আমি আপনাকে ঘৃণা করি!

আনাফঃআমি যে এমন কিছু করে ফেলেছি চারু(মনেমনে)

হঠাৎ শবনম আসে সেখানে।

শবনমঃউহু,উহু(কেশে)

শবনম কে দেখে আনাফ চারুকে ছেড়ে দেয়।এবং দূরে সড়ে দাড়ায়।

শবনমঃকী কিচেন রোমান্স হচ্ছে?(চোখ টিপ দিয়ে)
আনাফঃএই পাকনি এসব কইথেক্কে শিখেছিস?
শবনমঃহিহিহিহিহিহিহিহিহি??।

সবাই মিলে গল্প করে কিছুক্ষন। এরপর আনাফ নিজের রুমে চলে যায়।হঠাৎ বাসার কলিংবেল বাজে। চারু গিয়ে দরজা খুলে দেয়। দেখে নীলিমা এসেছে।নীলিমা চারুকে জড়িয়ে ধরে কুশল বিনিময় করে।

দুজনে কিছুক্ষণ গল্প করে।

নীলিমাঃচারু আমি তোমাকে অতি জরুরি কিছু কথা বলতে এসেছি।যা তুমি জানো না এবং তুমাকে জানতেই হবে।

চারুঃহুম বলো দেখি তুমার জরুরি কথা।(শাড়ির আচলে ঘাম মুছতে মুছতে)






নীলিমা যা বলল তা শুনে চারু ধপ করে মাটিতে বসে পড়লো।সে অঝড়ো কাদতে লাগলো।এরপর চোখের পানি মুছে শবনমদের কাছে যায় তাদের সাথে কথা বলে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে সে আনাফের রুমে যায়।আর চারুর পিছু পিছু শবনম,মা যান উনারা অনেক ভয়ে আছেন!!!!!!

রুমে যেতেই আনাফ চারুকে বলে——-

আনাফঃচারু আমাকে ধরে নিয়ে একটু বারান্দায় দিয়ে আসো তো।
চারুঃআমি সব জেনে গেছি!আপনার খেল খতম আহান চৌধুরী (রেগে)
আনাফঃমানে কী বলছো চারু কিছুইতো বুঝতে পারছিনা–(মা ও শবনমের দিকে তাকিয়ে)
চারুঃপ্রচুরনাটক হয়েছে আর না।আপনার সিনেমায় অংশগ্রহণ করা উচিত।আপনার সবকিছু আমিজেনে গেছি!!!

চলবে……..

কেমন লাগলো আজকের পার্টটি??ভেবেছিলাম এই পার্টে সব প্যাচ খুলে দিবো!কিন্তু পারিনাই??।নেক্সট পার্টে সব খুইলা দিমু?।ইনশাআল্লাহ♥।

প্লিজ্জজ নাইস,নেক্সট কমেন্ট কইরেন না।গঠনমূলক মন্তব্য চাই?।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here