#চন্দ্রাবতী
#আমিনা আফরোজ
#পর্ব:-০৪
হেমন্তের পড়ন্ত বিকেল বেলায় গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথে দুই হাত ভর্তি জিলাপি, পান-সুপারি আর বাতাশা নিয়ে হেঁটে চলেছে রাশেদ। গন্তব্য চন্দ্রাদের বাড়ি রূপগঞ্জ। বিয়ের পর এই প্রথমবার শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে রাশেদ তাই মিষ্টি পান সুপারি সাথে নিয়ে যাচ্ছে ও। খালি হাতে তো আর শ্বশুর বাড়িতে যেতে পারে না। শত হোক নতুন শ্বশুড় বাড়ি বলে কথা।
প্রকৃতিতে এখন হেমন্ত। হেমন্তের এই পড়ন্ত বিকেল বেলায় প্রকৃতি তার নিজ রূপে সেজেছে। হেমন্তের বিকেলে পশ্চিম আকাশে এখনো ধূসর রঙয়ের ছায়া লেগে আছে। যেন পুরা আকাশের গায়ে কেউ অস্পষ্ট ঘুমের পলেস্তরা লেপ্টে দিয়েছে। ধূসর আকাশের এইদিক-সেইদিক উড়াউড়ি করছে হাজারো পাখির দল। দিনশেষে নিজ নিজ নীড়ে ফেরার পায়তাড়া করছে ওরা।
চন্দ্রাদের বাড়ী পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাশেদের প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এলো। সন্ধ্যা ঘনাতেই আজকের দিনটি যোগ হলো অতীতের খাতায় । রূপগঞ্জের প্রতিটি বাড়িতে জ্বলে ওঠেছে সন্ধ্যার সন্ধ্যা প্রদীপ। চন্দ্রা তখন দোরগড়াতেই বসে ছিল। রাশেদকে দেখেও কোন ভাবান্তর হলো না ওর। এখানে আসার তিন দিনের মধ্যে চন্দ্রা বুঝে গেছে সমাজের নির্মম বাস্তবতা। রূপগঞ্জে আসার তিন দিন পেরিয়ে আজ চতুর্থ দিন পড়ল চন্দ্রার। এই তিনদিন চন্দ্রকে শুনতে হয়েছে নানা কটু কথা কেউবা এসে শুনিয়েছে মানিয়ে নেবার নীতিকথা। পুরো গ্রামজুড়ে এখন চন্দ্রার ওর স্বামীর ঘর ছেড়ে এখানে চলে আসার কাহিনী শোনা যায়। এতকিছুর পরেও নিশ্চুপ চন্দ্রা। অপেক্ষা করছে একটু সুখের দিনগুলির দেখা পাবার জন্য। কে জানে আদৌ কোনো সুখ লেখা আছে কিনা চন্দ্রাবতীর কপালে? ছোটবেলা থেকে দারিদ্র্য যার সাথী তার কপালে সুখ জিনিসটা অনেকটা সোনার হরিণের মতো, যা শুধু অনুভব করা যায় কিন্তু ধরা ছোঁয়ার নাগালের বাহিরে।
এদিকে বাড়িতে জামাই আসায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বিলকিস বেগম । ছোট এই ঘরে কিভাবে জামাইকে আপ্যায়ন করবেন তা তিনি নিজেই বুঝতে পারছেন না। জামাই মানুষ বলে কথা অনাদর তো আর করা যায় না। রাশেদ আসাতেও চন্দ্রার মাঝে কোনো হেল-দোল দেখতে না পেয়ে চন্দ্রাকে ধমকে বলে উঠলেন,
–“ঐহানে এমন বলদের মতো বইস্যা আছোস কিল্লাই? জামাই আইছে দেখতাছোস না? এহানে আইয়্যা জামাইরে ওযুর পানি দে । আজান তো হইয়্যা গেল।”
মায়ের ধমক শুনে চন্দ্রা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
–” আইতাছি মা।”
অতঃপর কথাগুলো বলে চন্দ্রা রাশেদের জন্য কল পাড় থেকে পানি আনতে গেল। মিনিট পাঁচেকের মাথায় ওযুর পানি হাতে রাশেদের সামনে এসে দাড়ালো চন্দ্রা। চন্দ্রাকে সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রাশেদ ফিসেল হেসে বলল,
–” ক্যামন আছো চন্দ্রা ?”
চন্দ্রা রাশেদের প্রশ্নে শুনে লির্লিপ্ত কন্ঠে উত্তর দিলো,
–“ভালা ।”
–“আমারে জিগাইবানা হামি ক্যামন আছি?”
–” আপনার মুখ দেইখা বুঝা যাইতাছে আপনি বেশ ভালাই আছেন ।”
–“মুখ দেইখা কারো ভালো-মন্দ বুঝোন যায় নাহি?”
–“অন্য কারোডা বোঝা না গেলেও আপনারডা বোঝা যায় আর এই ভালো থাকোনের কারণটাও মুই জানি।”
চন্দ্র কথা শুনে রাশেদ ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞাসা করল,
–” কি কারন কও দেহি?”
–“হামি বাড়িত না থাকলে তো আপন্যার আর বড় ভাবির জন্য বেশ সুবিধাই হয়।”
রাশেদ চন্দ্রার কথা শুনে চাপা রাগ নিয়ে বলল,
–“কি কইবার চাইতাছো তুমি?”
–“হামারে রাগ দেখাইয়্যা লাভ নাই। আপন্যার কি মনে হয় হামি আপনার আর বড় ভাবীর অবৈধ সম্পর্কের কতা জানি না? আমিতো সেই আমাগোর বিয়ার প্রত্তম রাত থাইকাই জানি কিন্তু হামার মত পোড়া কপালির আর কোনো হানে যাওনের জায়গা নাই দেইখা এহনো আপনার কাছে পইরা রইছি।”
চন্দ্রার কথা শুনে রাশেদ হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইল চন্দ্রার দিকে। বড় ভাবীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে কথা ওরা দুজন ব্যতীত অন্য কেউ তো জানার কথা নয় তবে চন্দ্রা জানলো কিভাবে ? মনের ভেতর শঙ্কা কাজ করলেও বাশেদ চাপা রাগের স্বরে বলে উঠলো,
–“চুপ একদম চুপ । বাপের বাড়ি আইয়্যা সাহস বাইড়া গ্যাছে দেখতাছি। এই পাখনা ক্যামনে কাইটা দিতে হয় মুইতা জানি।”
–“কি করবেন আপনি ? বড়জোর দুই-একটা লাথি দিবেন এর থেকে আর বেশি কিছু করবার পারবেন না ।”
–“একদম খুন করে ফেলবো মুখে মুখে তর্ক করলে। সাপের পাঁচ পাও দেখছোছ তাই না । বুঝবা পারছি, ওই ছেমরিডার লাইগা এত সাহস বাড়ছে তোর তাই না ?”
–“খবরদার চারুর নামে একটাও বাজে কতা কইবেন না আপনি। ও এহনো কিছুই জানে না এসবের। তবে যেদিন জানবার পারব সেদিন ও যে আপনার কি হাল করব আপনি নিজেও জানেন না।”
–“কি করবো ওই মাইয়্যা হামার? ওই ছেমরি আমার কোন কিছুই করবার পারবো না । সর্ব প্রেথম কতা ও কিছু জানবার আগেই তোরে এহান থেকে লইয়া যামু আমি । তারপর দেখি তোর এই সাহস ক্যামনে থাহে?”
রাশেদের কথা শুনে চন্দ্রা মুখ বাঁকিয়ে বললো,
–” আপনি ভাবলেন ক্যামনে যে এত কিছু হওনের পরেও হামি আপনার লগে যামু ?”
–“তুই যাবি ,লগে তোর ঘাড়ও যাইবো। ছোটলোকের বাচ্চা, তোদের মত মাইয়্যারে কি কইরা সাইজ করতে হয় হেইডা মুই খুব ভালো কইরাই জানি ।”
কথাগুলো বলেই রাশেদ রেগে চন্দ্রাদের সেই ছোট্ট ঘরের দিকে চলে গেল। এদিকে চন্দ্রাও কাঁদতে কাঁদতে চলে এলো শান বাঁধানো পুকুর ঘাটের দিকে।
আকাশে আজ থমথমে পূর্ণিমার চাঁদ । তালগাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে পূর্ণিমার সেই রুপোলি গোল চাঁদ। চাঁদের আলোয় থৈথৈ করছে চারিদিক। চন্দ্রা একাকী সেই শান বাঁধানো পুকুর ঘাটে বসে আছে। চোখে ভেসে ওঠল সেই পুরোনো বাজে স্মৃতিগুলো।
আজ থেকে প্রায় মাস ছয়েক আগে রাশেদের সাথে বেশ ঘটা করেই বিয়ে হয় ওর। রাশেদের বাড়ি রুপালি নদীর ওপারের রায়পুর গ্রামে। রাশেদ ওর বাবা-মার দ্বিতীয় সন্তান। দেখতে গৌঢ় বর্নের, সুঠাম দেহ। রাশেদের বড় ভাই শাহেদ গত দুই বছর আগেই মারা গেলেও ওনার স্ত্রী সাইমা রয়ে যায় শ্বশুর বাড়িতেই। বিয়ের প্রথম রাতে রাশেদকে হঠাৎ মাঝরাতের দিকে ঘরে দেখতে না পেয়ে চন্দ্রা প্রথমে ভাববে হয়ত রাশেদ বাহিরে গিয়েছে কোন কাজে কিন্তু পরক্ষনেই পাশের ঘর থেকে বড় ভাবী আর রাশেদের গোঙ্গানোর আওয়াজ শুনেই বুঝে যায় আসল ব্যাপার। দেয়ালের ওপাশে যখন কেউ সুখের আবেশে পাড়ি জমাতে ব্যস্ত আর দেয়ালের এপাশে কেউ তখন ব্যস্ত চোখের পানিতে বালিশ ভেজাতে।
চন্দ্রা যখন অতীতের সেই কালো স্মৃতি মন্থনে ব্যস্ত ঠিক তখনই পেছন থেকে শোনা গেল এক ভরাট কণ্ঠস্বর। পুরুষালী ভরাট কণ্ঠস্বরে কেউ বলে উঠলো,
–“কেমন আছো চন্দ্রাবতী?”
পরিচিত কণ্ঠস্বর শুনেই পিছনে ঘুরে তাকাল চন্দ্রা। দেখতে পেল সুঠাম দেহের এক পুরুষকে, মাথাভর্তি তার ঝাঁকড়া চুলগুলো এই চাদের আলোতেও দৃশ্যমান। মুখে তার নিদারুণ কষ্টের ছাপ। লোকটাকে অনেকদিন পর দেখলো চন্দ্রা। এক সময় এই লোকটাই প্রিয়জন ছিল ওর আর আজ ঠিক ততটাই পর।
এদিকে চন্দ্রাকে চুপ করে থাকতে দেখে একপা – দু’পা করে এগিয়ে আসতে লাগল শ্যামবর্ণ পুরুষটি। কাঙ্খিত মানুষটি সামনে আসতে দেখেই ভয়ে বুক কেঁপে উঠল চন্দ্রার। আশে- পাশে তাকিয়ে দেখল কেউ আছে কি না। আশে-পাশে সতর্ক দৃষ্টিতে দেখে অন্য কারো উপস্থিতি না দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ল ও। এই রাতের বেলা গ্রামের কেউ যদি ওকে মানুষটির সাথে দেখে তবে কলঙ্কের দাগ লাগতে সময় লাগবে না। তাই কাঙ্ক্ষিত মানুষটিকে বলে ওঠল,
–” আর আগাইও না তুহিন ভাই। মানষে দেখলে যে কলঙ্ক লাগবো।”
চন্দরার কথা শুনে ঝাঁকড়া চুলের পুরুষটি বলে ওঠল,
–” ওমন দু-একটা কলঙ্ক থাকলে খুব বেশি একটা ক্ষতি হবে কি চন্দ্রাবতী?”
–” কলঙ্ক যে খুব খারাপ তুহিন ভাই।”
–” আমি না হয় সেই কলঙ্ক আমার ভালোবাসা দিয়ে মুছে দিবো।”
–” কলঙ্ক কহনো মুছোন যায় না তুহিন ভাই। কলঙ্কিত মাইয়্যারে যে সব্বাই খারাপ মাইয়্যা কইয়্যা ডাহে।”
–“চান্দের গাঁয়েও তো কলঙ্কের দাগ আছে তাই বইলা কি চাঁন্দের সৌন্দর্য কইমা গ্যাছে?”
–“আমি চান্দ না তুহিন ভাই। আমি রক্তে- মাংসে গড়া এক মাইয়্যা যার দুঃখের শ্যাষ নাই।”
–“আমারে কি সেই দুঃখের ভাগ দেওন যায় না চন্দ্রাবতী? আমি তোমারে আমার আকাশের চান্দ
কইরা রাখুম। শুধু একবার আমারে সেই সুযোগ দাও।”
–“এ হয় না তুহিন ভাই।”
–“ক্যান হয় না চন্দ্রাবতী? ক্যান হয় না? আজ আমার উত্তর চাই চন্দ্রাবতী। আমি আর এই কষ্ট সইবার পারতাছি না চন্দ্রাবতী। আমার বুকডা জ্বইলা যাইতাছে। আমি একটু শান্তি চাই চন্দ্রা, একটু শান্তি চাই।”
–“আমারে ভুইলা যাও তুহিন ভাই। মনে করো আমি
মইরা গেছি।”
চন্দ্রার শেষ কথাটি সহ্য করতে পারল না তুহিন। তাইতো ঝড়ের বেগে চন্দ্রার কাছে গিয়ে ওর গলায় চাপ দিয়ে রাগি গলায় বলে ওঠল,
–” তোর খুব মরার শখ তাই না। চল আজ দুজনে এক লগে মইরা যাই । এমনিতেই তোরে অন্য জনের লগে দেখলে আমি প্রতিটাক্ষন মৃত্যু যন্ত্রণা সহ্য করি। এরচেয়ে ভালা আজ সব কিছু শ্যাষ কইরা দেই। না থাকবি তুই আর না থাকমু আমি। ভালা নাহ্?”
তুহিন এত জোরে চন্দ্রার গলা চেপে ধরেছিল যে চন্দ্রার নিঃশ্বাস যেন এখন বন্ধ হয়ে যাবে। চন্দ্রার দুচোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ছে। তুবুও চন্দ্রা খুব ক্ষীনস্বরে বলল,
–” আমারে মাইরা ফালাও তুহিন ভাই। তাইলেই তুমি শান্তি পাইবা। ”
চন্দ্রার ক্ষীন স্বর শুনে তাড়াতাড়ি হাত ছাড়িয়ে নিল তুহিন। অতঃপর চন্দ্রার মুখ দুই হাতের ভরে চন্দ্রার মাথার সাথে নিজের মাথা আলতো করে চেপে ধরে বলে উঠলো,
–” খুব ব্যাথা পাইছো চন্দ্রাবতী? রাগের মাথায় কখন যে তোমারে ব্যথা দিছি নিজেও জানি না। যে হাত তোমারে ব্যাথা দিছে সেই হাতেরো কিছু শাস্তি পাইতে হইবো।”
কথাগুলো বলে তুহিন চন্দ্রাকে ছেড়ে দিয়ে শান বাঁধানো পুকুর ঘাটের পাশ থেকে ইটের টুকরো দিয়ে নিজেই নিজের হাতের ওপর পাগলের মতো আঘাত করতে লাগল আর বিড়বিড় করে বলতে লাগল,
–” এই হাত আমার চন্দ্রারে কষ্ট দিছে এরতো শাস্তি পাইতেই হইবো,পাইতেই হইবো শাস্তি।”
ইটের আঘাতে মুহূর্তের ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেল তুহিনের হাতদুটো। চন্দ্রা এগিয়ে এসে তুহিনকে থামিয়ে কান্নাভেজা কন্ঠে বলতে লাগল,
–” থামো তুহিন ভাই,থামো। তুমি তোমার চন্দ্রাবতীরে কোন কষ্ট দাও নাই। চোখ মেইলা চাইয়া দেহো তোমার চন্দ্রা ঠিক আছে।”
চন্দ্রার কথা শুনে থেমে গেল তুহিনের হাত। চন্দ্রার দিকে তাকিয়ে আকুতি ভরা কন্ঠে বলে ওঠল,
–” আমি কি করমু তুইই বলে দে চন্দ্রা। তোরে অন্য
কারোর লগে দেখলে সইতে পারি না আবার তোরে নিজের পরিবারের লাইগা কাছেও টানবার পারি না। এই চন্দ্রা চল না তুই আর আমি অনেক দূরে কোথাও পালাইয়া যাই যেখানে শুধু তুই আর আমি থাকুম আর থাকবো আমাগোর ছোট্ট টোনা-টুনির সংসার।”
তুহিনের আকুতি ভরা কন্ঠ শুনে আবারো ডুকরে কেঁদে উঠলো চন্দ্রা। তারপর তুহিনের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে ছুটে চলে গেল বাড়ির দিকে। কিন্তু বাড়ির কাছে আসতেই রাশেদকে দেখে ভয়ে চমকে ওঠল চন্দ্রা। রাশেদের মুখ দেখে বুঝতে পারল এতক্ষন ওর আর তুহিনের পুরো ঘটনাটাই রাশেদ দেখেছে। এদিকে রাশেদ চন্দ্রাকে দেখে হুঃকার ছেড়ে বলল,
–“পর পুরুষের লগে ঢলাঢলি করা শ্যাষ হইছে নষ্টা মাইয়া । ছোট লোকের বাচ্চা এত সাহস বাইড়া গ্যাছে তোর। পর পুরুষের লগে নষ্টামি করার শাস্তি আজ তোরে বুঝামো । চল আমার লগে। আজ বুঝবি এই রাশেদ কি জিনিস।”
কথাগুলো বলেই রাশেদ চন্দ্রার হাত ধরে টানতে টানতে চন্দ্রাদের সেই কুপি জ্বালানো ছোট্ট ঘরটির দিকে নিয়ে গেল। কে জানে আজ চন্দ্রার কপালে কি আছে?
এদিকে তুহিন তখনো সেই পুকুর পাড়ে বসে চন্দ্রার চলে যাওয়া পথের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সময় তার আপন খেয়ালে বয়ে চলেছে, সেই থাকে দীর্ঘ হচ্ছে পূর্নিমার এই চাঁদনী রাত। হায় নিয়তির কি পরিহাস, একজন চেয়েও তার প্রিয়তমাকে কাছে পায় না অন্যজন পেয়েও তার কদর করে না। সত্যিই নিয়তি বড় নিষ্ঠুর।
চলবে