চন্দ্রবিলাসীনি শেষ পর্ব

0
699

#চন্দ্রবিলাসীনি
#নুজহাত_আদিবা
পর্ব ২০
রৌদ্রূপ বিষ্মিত হয়ে কাগজটি হাতে তুলে নিলো। এটা তো একটা চিঠি। কে লিখলো?রৌদ্রূপ আঙুল দিয়ে কয়েকবার লেখাগুলোকে স্পর্শ করলো। বুকের ধুকপুকানিগুলো আরো বেড়ে গেল। চিঠিটাকে পড়তে শুরু করলো রৌদ্রূপ প্রথমে প্রান প্রিয় রৌদ্রপ লেখাটি দেখে রৌদ্রূপ এটুকু বুঝতে পারলো। যে, চিঠিটি তাঁর জন্যই লিখা। অশান্ত হৃদয়ে রৌদ্রূপ চিঠিটি পড়তে লাগলো। তাতে লেখা ছিল,

প্রানপ্রিয় রৌদ্রূপ,

শুধু মাত্র প্রিয় মানুষদের ক্ষেত্রেই প্রিয় কথাটি উল্লেখ করা হয়। আপনি আমার প্রানের চেয়েও প্রিয়। তাই, আপনার বেলায় আমার সম্মোধনটা হয়েছে প্রানপ্রিয়।

রৌদ্রূপ আপনার সাথে মেশার পর যেই ব্যাক্তি মুগ্ধ হবে না। তাঁর আসলে মন বলে কোনো বস্তুই নেই। একটি সাধারণ মানুষ হয়েও যেভাবে আমার জীবনটাকে অসাধারণভাবে গড়ে তুলেছেন৷ এতে আমি একটা কথা বলতে বাধ্য রৌদ্রূপ।আপনি একটি অসাধারণ ব্যাক্তিত্ত্বের মানুষ রৌদ্রূপ! আপনি চাইলেই আট-দশটা মানুষের মতো বিয়ের পর আমার সাথে সংসার করতে পারতেন। এতে আপনি ভালো থাকলেও আমি কখনোই ভালো থাকতাম না। আপনি নিজের দিকটি চিন্তা না করে সর্বদা আমাকে নিয়ে ভেবেছেন। আমার ভেতরের আমিটাকে পুনরায় আবার জাগ্রত করেছেন। আমি যতবার এই জীবন যুদ্ধে মুখ থুবড়ে আছরে পরেছি ততবার আপনি-ই আমাকে টেনে তুলেছেন। জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে আপনি আমাকে সাহায্য করেছেন। আপনি আমার শরীর খুঁজেননি। খুঁজেছেন আমাকে! আমার আমিটাকে আপনি খুব করে খুঁজেছেন।

বাসর ঘরে আমি যখন ভয়ে ভয়ে আপনাকে বললাম আমাকে ছুঁবেন না। আমার কাছে আসবেন না। এই কথাগুলো আপনার কাছে অদ্ভুত লাগলেও আমার জন্য সেই সময়টা কতটা ভয়ের ছিল সেটুকু শুধু আমি জানতাম। পুরুষ মানুষ নিয়ে আমার কেন ভীতি সেটি আপনাকে বহুপূর্বেই বলেছি। অবাক করার মতো বিষয় হলো আপনি সেই রাতে আমার থেকে বেশ দূরেই ছিলেন। আপনার আমার থেকে দূরে থাকার মতো ধৈর্য ক্ষমতা দেখে আপনার প্রতি আমার মুগ্ধতা বেড়ে গিয়েছিল আরো একরাশ। খানিকটা বিশ্বাস উদয় হয়েছিল মনে। এই স্বল্প পরিসরের বিশ্বাস নিয়েই আজ এতদূর রৌদ্রূপ। আমার জীবনে আরো অনেক ঘটনা আছে। সেগুলো প্রকাশ করার মতো সাহস এবং সুযোগ তখন না থাকলেও এখন আছে।

আমার মায়ের মৃত্যুটা আট-দশটা সাধারণ মানুষের মৃত্যুর মতো ছিল না। সবাই জানে আমার মা সাধারণ ভাবেই মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু, আমি জানি আমার মাকে খুন করা হয়েছে। ঔষধের পরিচয়ে দেওয়া হতো ভয়াবহ ড্রা/গজ! একটা মানুষকে মানসিক ভাবে অসুস্থ করে তুলতে যতটুকু চেষ্টা করা দরকার। তাঁর সবটাঔ আমার বাবা করছেন। এবং সফলও হয়েছেন। সঙ্গে কেড়ে নিয়েছেন আমার সুন্দর শৈশব। মায়ের পাগলের ন্যায় আচরণের কারণটা আমি বুঝতে পেরেছিলাম।মায়ের মৃত্যুর পরে। আমার বাবার একটা এফেয়ার ছিল। সেকারণেই করেছেন এত অন্যায়, অত্যাচার। নিরীহ মানুষটার ওপরে আমার বাবা কম অত্যাচার করেননি। মায়ের ওপরে আমার কোনো রাগ নেই। মা হয়তো অন্য সবার মতো আমাকে ভালোবাসতে চেয়েছিলেন। শুধুমাত্র বাবা নামক পরজীবির কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি। প্রমান থাকা সত্ত্বেও আমার মায়ের মৃত্যুটা ধামাচাপা পরে যায় শুধুমাত্র আমার পর্যাপ্ত সাহসের অভাবে। এই অনুতাপ বোধ আমাকে আমার মৃত্যু অবধি কুড়ে কুড়ে খাবে। পনেরো বছর বয়সে করা সেই বোকামির অনুতাপ বোধে কত রাত যে নিদ্রাহীন ভাবে কাটিয়েছি তাঁর হিসেব নেই।

আমি ভেবেছিলাম, এরপরে আর হয়তো কিছু হবে না। কিন্তু, আমি কখনো ঘুনাক্ষরেও ভাবতে পারিনি। এরপরের ঘটনা-টাই সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর হবে! হ্যাঁ রৌদ্রূপ! আমার ধর্ষ/ক আমার বাবা! আমি একবার নয়। বহুবার ধর্ষিত হয়েছি। মুখ আঁটকে অন্ধকার ঘরে ফেলে রাখা হয়েছিল আমাকে। ছেঁড়া কাটা দেহ নিয়ে পরেছিলাম সেদিন। হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। দূষিত রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল অর্ধ শরীর। ব্যাথা, যন্ত্রণা, মানসিক কষ্ট আমাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল। ভাবতেও পারিনি কখনো। নিজের বাবা কী করে? কিন্তু, আমি মানি আর না মানি। সত্য সবসময়ই সত্য। টিভিতে, খবরের কাগজে তো বহুবার পড়েছেন একটি সংলাপ। “বাবার কাছে ধর্ষিত হলো মেয়ে।” তবে, এই সংলাপটুকুতেই আঁটকে আছে আমার জীবনের গল্প।
আমার বাবা একজন ধর্ষক। এবং তিনি একজন খুনী। আমার মায়ের খুনী। মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত করেছেন আমাকে। মা দিবসে প্রতিবছর স্কুলে রচনা লিখতে হলো। আমি একগাদা মিথ্যা লিখে রাখতাম। এই মায়ের রচনা লিখে পুরস্কার পেয়েছি অনেকবার। তবে, অবাক হলেও সত্য, আমি কখনো মাকে কাছেই পাইনি।

উনি আমার বাবা। শত ঘৃণার পরেও আমার বাবার প্রতি আমার ভালোবাসা এক আকাশ সমান। কিন্তু, সত্য আসলে এতটাই নির্মম যে আমার বাবা কখনো ভালোই বাসেননি আমাকে। আমাকে কিংবা মাকে কাউকেই ভালোবাসেননি। ব্যাপারটা তখন না বুঝলেও এখন বুঝি। হায়! আমার বোকা মা সবকিছু জেনেও আমার জন্য সবকিছু সয়ে গেছেন। তবুও শেষ রক্ষা হলো না। ধর্ষিতার তকমা নিদারুণ ভাবে শরীরের সঙ্গে আঁটকে গেল।

দিনে যে রক্ষক রাতে সে ভক্ষকে পরিণত হলো। আমার দেহের প্রতিটা অংশ খুব বাজে ভাবে ছুলো। আমার আপন মানুষেরা আমার সঙ্গে চরম ভাবে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে রৌদ্রূপ। আপনার স্ত্রীকে আপনার আগে কেউ ছুঁয়েছে এটা যেমন আপনার জন্য কষ্টকর। তাঁর চেয়েও দ্বিগুণ কষ্টকর আমার জন্য। আমাকে আপনি ব্যাতীত কেউ বোঝেননি রৌদ্রূপ। কেউ না! শারিরিক কষ্টটা হয়তো ঔষধে সেরে যায়। তবে, মনের ব্যাথা বেদনা? সেটা কী ঔষধে আদৌও সারে? আপনি আমার জীবনের অতীব সম্মানীয় একজন মানুষ রৌদ্রূপ। আমি আপনাকে কখনো তুমি করে সম্মোধন করতে পারবো না। কারণ, আপনি শব্দটায় যতটা সম্মান, শ্রদ্ধা থাকে তুমি শব্দটায় তাঁর ছিটেফোঁটাও থাকে না। আপনি আমার কাছে চিরকাল আপনি সম্মোধনেই থাকবেন।

আপনার চোখে নিজেকে যতবার দেখতাম ততবার চমকে যেতাম। ক্ষনিক পরপরই আপনার গোপন ভালোবাসারবহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করতাম। একটা ছোট বাচ্চার মতো আপনি আমাকে দেখেশুনে রেখেছেন।আমার শেষ রক্তবিন্দু-টুকুও যদি আপনার নামে বিসর্জন দেই। তবুও, আপনার এই ঋন কখনো শোধ করতে পারবো না।

আপনার মনে আছে রৌদ্রূপ? আপনি আমাকে চাঁদ বলে ডাকতেন? তবে, শুনে রাখুন রৌদ্রূপ। আমি যদি চাঁদ হই তবে আপনি সূর্য। কারণ, চাঁদের কোনো নির্দিষ্ট আলো নেই। সূর্যের কারণেই চাঁদের মধ্যে আলোর প্রতিসরন ঘটে। আপনি ব্যাতীত আমারও যে কোনো আলো নেই রৌদ্রূপ! সূর্যবিহীন চাঁদ যেমন নিঃস্ব। আপনি বিহীন আমিও তেমনই নিঃস্ব! আমার প্রতি আপনার ভালোবাসা আমি প্রতি মূহুর্তে মূহুর্তে নিবিড়ভাবে অনুভব করেছি। ভালোবাসতে তো সবাই পারে। কিন্তু, কতজন পারে একটা ভাঙাচোরা আমিকে নতুন করে গড়তে? মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া একটি মেয়েকে আপনি নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছেন রৌদ্রূপ!

অতীতে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে। পুরুষ বলতে আমি শুধু হিঃস্র হায়েনার ন্যায় দেহভোগী জীব বুঝতাম। আপনাকে আমার জীবনে পাঠিয়ে সৃষ্টিকর্তা আমাকে দারুনভাবে ভুল প্রমানিত করেছেন। সব পুরুষ নারীদেহের প্রতি কামুক দৃষ্টিপাত করে না। আপনার মতো কিছু পুরুষ শুধুমাত্র নারী দেহকে নয়। নারীকেও ভালোবাসে। আর ভালোবেসে একটা মানুষের জন্য কতকিছু যে করা যায় তা হয়তো আপনাকে না দেখলে জানতেই পারতাম না রৌদ্রূপ! পৃথিবীতে সুন্দর মানুষ না থেকে যদি সুন্দর মন-মানসিকতার মানুষ থাকতো।তাহলে, হয়তো কোনো মানুষকে হয়তো আমার মতো কষ্ট পেতে হতো না। আল্লাহর কাছে এখন একটাই চাওয়া। আমার মতো প্রতিটি তারার জীবনে যেন একটা করে রৌদ্রূপ আসে। আপনি আমার জন্য এতকিছু করেছেন যে, আপনার মতো একটা মানুষকে যদি আমি ভালো না বাসি। তাহলে, আমার নিজেকে পাষান উপাধিতে ভূষিত করতে হবে। আমি আত্মসমর্পণ করলাম রৌদ্রূপ। আমি আর যাই হই না কেন। আমি পাষান না!

আমার জীবনের প্রথম পুরুষ আমার বাবা।এবং, আমার জীবনের দ্বিতীয় পুরুষ আপনি। আমি হলফ করে বলতে পারি,আমার জীবনের প্রথম পুরুষটি আমার সঙ্গে প্রতারনা করলেও দ্বিতীয় পুরুষটি তা করেননি।বরং আমাকে স্নেহের বাহুডোরে আগলে রেখেছে।
আমার প্রতি আপনার ভালোবাসাটা ছিল নিরব নিভৃত। আপনি প্রকাশ না করলেও আপনার আচার-আচরণ কাজকর্ম আমাকে বুঝিয়ে দিতো। আপনি আমাকে ঠিক কতটা ভালোবাসেন।
আপনি আমায় বলেছিলেন রৌদ্রূপ আপনি আমাকে মুক্ত করে দিয়েছেন। তবে, সত্য এটাই যে, আপনি আমাকে মুক্ত করে দিলেও আপনি হচ্ছেন আমার নীড়। সারাদিন যেখানে ইচ্ছে সেখানে উড়ে বেড়ালেও। দিনশেষে আপনি-ই আমার একান্ত এবং শেষ আশ্রয়।

আমার একটা ইচ্ছে পূরন করবেন রৌদ্রূপ? আমার একটা ছবি এঁকে দেবেন? মন দিয়ে আপনি আমাকে কোন নজরে দেখেন তা তো জেনেছিই। কিন্তু চোখ দিয়ে কোন নজরে দেখেন সেটা আমি জানি না। আমি শুধু একবার শুধু একবার দেখতে চাই। মনের দিক থেকে আপনি আমায় কীভাবে দেখতে পান।
আর হ্যাঁ আরেকটা কথা। আপনি বলেছিলেন আপনি আমাকে মনে মনে একটা বিশেষ নামে ডাকেন। কী নাম সেটা অনেক খুঁজেও বের করতে পারিনি। আমি চাই আপনি যখন আমার ছবিটা আঁকবেন। তখন, নিচে ছোট্ট করে সেই বিশেষ নামটি লিখে দেবেন। আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত। হুট করে এসে টুপ করে ছবিটি নিয়ে যাবো। হিহি!

আমি এই লেখাগুলো লিখেছি আজ সকালে। আমি আজ আপনার আগে আগেই ঘুম থেকে উঠেছি। আমি জানি, এই কথাগুলো মুখে বললে কখনোই আপনি পুরো কথা আমায় বলতে দিতেন না। সান্ত্বনা দিয়ে চুপ করিয়ে দিতেন। আপনি আমার কষ্ট দেখতে পারেন না। অতীতের কথা ভেবে আমি কষ্ট পাবো। সেকারণে কখনোই সেই প্রসঙ্গগুলোতে কথা বলতেন না। তবে, রৌদ্রূপ আমি আপনাকে এই কথাগুলো বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি বহুপূর্বেই। সেজন্যই আজকের এই চিঠি।

সর্বশেষে, চিঠিটা খুব বড় হয়ে গেছে না রৌদ্রূপ? এই সাদা পাতলা পৃষ্ঠা গুলোয় কীভাবে আমার মনের এলোমেলো কথাগুলো সাজাবো তা ভেবেই পাচ্ছিলাম না। আমার জীবনের কিছু বড় সত্যির কথা উল্লেখিত আছে রৌদ্রূপ এই চিঠিতে। তখন হয়তো আপনাকে শুধুমাত্র আত্নবিশ্বাসের অভাবে কথাগুলো বলতে পারিনি। তাই, আজ মনের সকল অভিব্যাক্তি এই চিঠিতে প্রকাশ করে গেলাম। আমি জানি রৌদ্রূপ, চিঠিটা বড় হলেও আপনি এই চিঠির প্রত্যেকটা লাইন অতি যত্নের সহিত পড়বেন। এই চিঠিটা আপনার প্রতি আমার থাকা শ্রদ্ধার প্রতীক। সংগোপন করে রাখা ভালোবাসার প্রতীক। আপনার প্রতি থাকা সকল অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে এই চিঠিটাতে রৌদ্রূপ। ওহ হ্যাঁ! আমার দুষ্টু ময়না পাখিটাকে দেখে রাখবেন। ও কিন্তু খুব দুষ্টুমি করে। পরেরবার এসে আপনি আর আমি মিলে ওর খুব সুন্দর একটা নাম দেবো। আরেকটা কথা, আপনার মতো আমিও কিন্তু মনে মনে একটা বিশেষ নামে ডাকি আপনাকে। কী নাম সেটা বলবো না। আপনিও আমার মতো করে ভাবুন। নামটা কিন্তু খুব সুন্দর! একেবারে আপনার মন-মানসিকতার মতন! একেবারে শেষ কথা, আপনি কিন্তু আপনার খেয়াল রাখবেন। আমাকে ভুলবেন না কিন্তু! আমি জানি আপনি আমাকে ভুলবেন না। তবুও, বলে রাখলাম। ভালো থাকবেন। এই সুদীর্ঘ চিঠিটি লিখার সময় বুকের ভেতরে কেমন একটা এলোমেলো অনুভূতি কাজ করছিল। আপনিও কী সেরকম অনুভব করছেন রৌদ্রূপ?

রৌদ্রূপ নির্বিগ্নে পরের পৃষ্ঠা উল্টে দেখলো। পরের পৃষ্ঠাটা একেবারে ফাঁকা! রৌদ্রূপ চিঠিটা ভাঁজ করে সুনিপুণ ভাবে বুক পকেটে গুঁজে রাখলো। রঙ তুলি নিয়ে টেবিলে বসলো। ছবি আঁকার খাতাটার নিচে লিখলো,” চন্দ্র তাহারে চোখে দেখে না।” নিচে আবার ছোট্ট করে লিখলো,
— চন্দ্রবিলাসীনি!

ছবিটা আঁকতে গিয়ে বারবার চোখ ভিজে যাচ্ছে রৌদ্রূপের। পরনে জামাটার হাতা দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে ঝাপসা চোখে আবারও রৌদ্রূপ নিচে লিখা নামটার দিকে তাকালো। এটা হবে রৌদ্রূপ আহসানের আঁকা সবচেয়ে সুন্দর ছবি! কারণ, এই ছবিটা রৌদ্রূপ আহসানের একান্ত ব্যাক্তিগত মানুষটার ছবি। রৌদ্রূপ আহসানের স্ত্রীর ছবি!

পরিশিষ্টঃ কিছুদিনের মধ্যেই রৌদ্রূপ আহসানের বাড়ির;বসার ঘরের দেয়ালটিতে স্থান পেল আরেকটি ছবি। প্রত্যেকটি ছবির মতো এই ছবিটিরও একটি সুন্দর নাম আছে। অদ্ভুত সুন্দর সেই ছবিটির নাম চন্দ্রবিলাসীনি।

সমাপ্ত…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here