#চন্দ্রপুকুর
||৬ষ্ঠ পর্ব||
-ঈপ্সিতা শিকদার
অতীতের কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে যামিনী। মেহনূরের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানান দেওয়া দিনটি কী যন্ত্রণাদায়কই না কেটেছিল তার! প্রথম প্রথম সে বিশ্বাস করতে চায়নি। তবে যেদিন নবাবের মহল থেকে আসা বাঁদীদের মুখেও একই কথা শুনতে পায় সেদিন সম্পন্ন রূপে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল তার সকল প্রত্যাশা।
মেহমাদ শাহের মা বেগম নূর বাহার। অবিলম্বেই তার মুখখানা মলিন হয়ে যায়।
“ময়-মুরব্বিদের থেকে শুনে এসেছি শয়তানের নাম নিলে শয়তান হাজির হয়। আজ তা স্বয়ং দেখলামও।”
উপস্থিত সকলে ভ্রু কুঁচকে তাঁর দৃষ্টি অনুসরণ করে যামিনীর দিকে তাকায়। সাথে সাথেই ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন বেগম লুৎফুন্নেসা।
যামিনী খুব দ্রুত ঝুঁকে বলে উঠে,
“আসসালামু আলাইকুম, দাদীজান ও আম্মিজান। কী অপরূপা দেখতে আপনারা! আপনাদের দর্শন পেয়ে ধন্য হলাম।”
যামিনী এগিয়ে তাদের দিকে যেতে নিলে বেগম লুৎফুন্নেসা দাঁড়িয়ে যান।
“আমি উঠছি, মেহনূর, নূর বাহার। আমার দ্বারা এই কলঙ্ককে এক মূহূর্ত দর্শন করা সম্ভব নয়। আর আমার জান শাহাজাদি মেহনূর, অন্ধকার থেকে দূরে রাখ নিজেকে। এদের কাজই আলোকে গ্রাস করা।”
“আমিও চলছি শাহাজাদি। নিজের খেয়াল রাখবে ও নবাবকে কাছে রাখবে। যেই আঁধার নেমেছে গগনের বুকে, প্রথম দিনই মহফিলে ব্যাঘাত ধরিয়ে দিল।”
বেগম লুৎফুন্নেসা ও বেগম নূর বাহার উভয়ই গমন করেন নিজ নিজ গন্তব্যে। তবে স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে যামিনী। নিমিষেই আঁখি ভরে উঠেছে নোনাজলে। এতোটা অবজ্ঞা ও অপমান তার গলাধঃকরণ করতে বেশ কষ্টই হচ্ছে। যদিও বেগম নূর বাহার মেহমাদ শাহের কে তা জানে না যামিনী, তবুও কটু ভাষা কি আর গায়ে না লেগে থাকে!
“বেগম চন্দ্রমল্লিকা, আসুন। বসুন আমার সাথে। গল্প-গুজব করি। এই মহলে আমার বয়সের কেউ নেই, আজ আপনাকে পেলাম। আসুন, কথা বলি।”
মেহনূরের হাস্যময় কণ্ঠ শুনে চমকিত হয়ে তাকায় যামিনী। বেশ শান্ত হয়ে তার পাশে যেয়ে বসলো।
“তোমার বিষয়ে অনেক শুনেছি যামিনী শাহের নিকট। সত্যিই দেখতে অনেক মোহনীয় তুমি!”
“সুন্দর ও বিপরীত বাক্যে অপমান করলেন বুঝি শাহাজাদি? আমি রূপ, বংশ হীন আমি জানি। যেখানে সবাই আমাকে আঁধার ডাকে সেখানে আপনার প্রসংশা পুরোটাই অমানানসই।”
“নানীজানের কথা বলছো? তাঁর কথায় মন খারাপ কোরো না। তিনি মানুষটা মন্দ নন। আসলে সবাই-ই তো চায় নিজের ঘরের জন্য যোগ্য পুত্রবধূ আনতে। নানীজানও চাইতেন শাহের জন্য, তুমিই একবার ভাবো তুমি নবাবের যোগ্য না কি শুধু ভাগ্যলিখনের জোরে পেয়ে বসেছো? যাকগে চলো তোমাকে অন্দরমহল ঘুরে দেখাই।”
মেহনূরের সূক্ষ্ম খোঁচা অতি সহজেই অনুধাবন করয়ে পারে যামিনী। যুবতীর নির্লজ্জভাবে হাসা দেখে তার হৃদয় তো বলছে কঠোর দু’টো বাণী শুনিয়ে দিতে, তবে সে তা করলো না। বরং, খুব সৌজন্যতার সহিত প্রত্যাখ্যান করলো তার প্রস্তাব।
“দুঃখিত শাহাজাদি। আজ যেতে হবে, অন্য একদিন ইনশাআল্লাহ।”
যামিনী নিজের কক্ষের পথে হাঁটা ধরলো। কক্ষের যাওয়ার সরু রাস্তায় এক বয়োজ্যেষ্ঠ নারী বিদ্রূপ করে উঠলো,
“কেমন লাগলো অপমানিত হয়ে বেগম? এই রাজমহল হলো বিশালাকৃতির এক অজগর, হয় লড়তে হবে, নয় মরতে হবে। অন্যান্য গ্রামের সাধারণ সংসারের ন্যায় চাইলেও এখানে মাটি কামড়ে থাকা যায় না। পদে পদে দংশিত হতে হতে, একসময় বিষে ডুবে মরতে হয়।”
হাসতে হাসতে তিনি চলে যান। কিশোরীকে কিছু বলার একদফা সুযোগও দেন না। তবে এই নারীর কথাবার্তায় তীব্র আক্রোশের স্পষ্ট ছোঁয়া পায় সে।
নিজের হৃদয়ের আর্তনাদের মাঝে এতো সব খেয়াল করতে পারে না সে। নিজের কক্ষে চলে যেয়ে মেঝেতে লুটিয়ে কাঁদতে শুরু করে।
___
মাগরিবের নামাজ শেষ করে যামিনী উদাস মনে কক্ষের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এমন সময় একজন দাসী নিয়ম মোতাবেক সালাম দিয়ে জানালেন,
“বেগম, জমিদার নবাব শাহ আপনাকে তাঁর কক্ষে ডেকেছেন।”
রমণী মেহমাদ শাহের আদেশ মোতাবেক দাসীর সাথে তাঁর কক্ষের বাহিরে দাঁড়িয়ে দরজায় কড়াঘাত করে। যুবক আদেশ করলে প্রহরী দরজা খুলে দেয়।
প্রবেশ করতেই কোনোদিকে না তাকিয়েই ছুটে যেয়ে গলা আঁকড়ে ধরে তার প্রিয়তমের যামিনী। ক্রন্দনোন্মুখে জিজ্ঞেস করে,
“আপনি কোথায় ছিলেন বাবু মশাই? আপনি জানেন না আপনাকে ছাড়া কতোটা অসহায় আপনার চন্দ্রমল্লিকা এই নিষ্ঠুর জগতে। দুনিয়ার মানব আমাকে কথার দড়িতে গলা চেপে হত্যা করতে প্রস্তুত শুধু আপনার স্ত্রী হয়েছি বলে।”
মেহমাদ শাহ দু’হাতে প্রেয়সীর মুখশ্রী আঁকড়ে ধরে অনুভূতি মাখা চুম্বন করে ললাটে। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে জমিদার নিজেই যেন।
“আমি জানি যামিনী। আমি সবটুকু জানি। তবে এই অন্দরমহল বা কারো হৃদয়ে ও মস্তিষ্কে আমার নিয়ন্ত্রণ নেই। তোমার স্থান ও মর্যাদা তোমাকেই তৈরি করে নিতে হবে।”
কিছুটা সময় বিরতি নিয়ে পুনরায় মুখ খুলে যুবক,
“যাই হোক। এখন আমার এই মুখশ্রী থেকে সকল ক্রন্দন, হতাশা, বেদনার ছাপ সরিয়ে ফেল। এখন তোমাকে আমি গোটা অন্দরমহল ঘুরে দেখাবো।”
সায় জানায় রমণী। অতঃপর দুজন বেড়িয়ে পড়ে অন্দরমহল পরিদর্শনে।
মেহমাদ শাহ একে একে অন্দরমহলের প্রতিটি কোণাকে পরিচিত করায় যামিনীর সাথে। অন্দরমহলের সাজসজ্জা ও আভিজাত্য দেখে কিশোরীর মনে হচ্ছে সে অন্য এক জগতে পা রেখেছে।
অন্দরমহল হলো নবাববাড়ি তথা মহলের অভ্যন্তরের ও পিছনের ভাগ। যার বাগান ও বাহিরের সীমানা সম্মুখের অংশ থেকে পৃথক করা হয়েছে উঁচু দুটো দেয়াল দ্বারা এবং মহল থেকে বিভক্ত করা হয়েছে তিনটি প্রকাশ্য ও বেশ কিছু গোপণ দরজার দ্বারা। বিরাটকার আঙ্গিনা, বাগান, বা’দিকে দু’টো পুকুর ও একপাশে মহল থেকে আলাদা করে গড়ে তুলা হয়েছে দু’কক্ষের একটি রঙ্গালয়। যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা।
যাত্রা শেষে যামিনী ও মেহমাদ শাহ তার কক্ষে ফিরে আসে। যুবক তার প্রেয়সীর হাত দু’টো মুঠোয় নিয়ে প্রশ্ন করে,
“কেমন লাগলো তোমার নিজের বাস্তব ঠিকানা? মানে এই নবাববাড়িকে কেমন লাগলো?”
“আসলেই কি আমার বাস্তব ঠিকানা এটা নবাব? তবে কেন আরেকজন নারীকে নিজের জীবনে জড়াচ্ছেন? এ বিষয়টি যে ছুড়ি হয়ে হৃদয়ে আঘাত করছে আমার।”
তার আবেগঘন এই বচনে সেদিনের ন্যায় আজও ক্ষিপ্ত হয় মেহমাদ শাহ। দূরে সরে যায়।
“তোমাকে সেদিন কঠোর ভাবে নিষেধ করা সত্ত্বেও তুমি পুনরায় আমার সিদ্ধান্তের কৈফত চাওয়ার দুঃসাহস করছো! কেমন অশিষ্টতা! চলে যাও! চলে যাও আমার নজরের বাইরে!”
যামিনী ওড়নায় মুখশ্রী ঢেকে চাপা কাঁদতে কাঁদতে স্থান ত্যাগ করে। নিজের কক্ষে যেয়ে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। দিলরুবার সান্ত্বনা বাণীও শ্রবণগোচর হচ্ছে না আজ।
এমন সময় দরজা খোলার শব্দ। দ্রুতো নয়নযুগল ও কপোল মুছে মেঝে থেকে উঠে দাঁড়ায় কিশোরী। চোখ উঠাতেই দেখেতে পায় মোর্শেদা খাতুনকে।
“আসসালামু আলাইকুম, আম্মাজান।”
তিনি এগিয়ে এসে মাথায় বাহুতে সান্ত্বনা দেওয়ার ভঙ্গিতে হস্ত রাখেন। চিবুক ধরে মুখ উঠিয়ে শুধান,
“অশ্রু লুকানোর প্রয়োজন নেই, আমার তো অশ্রু ও বেদনার সাথে আদিকাল থেকে সম্পর্ক। তবে নিজ অভিজ্ঞতা থেকে একটা উপদেশ দিতে পারি।
এই কান্না, আত্মচিৎকার সব বিফলে যাবে। সুতরাং, নিজেকে আর ক্লান্ত করবে না চন্দ্রমল্লিকা। এই নবাববাড়ির মানুষের সম্ভ্রম ও সম্পত্তি যতো বিশাল, ততোই ক্ষুদ্র তাঁদের শ্রবণশক্তি। কিছুই তাঁদের কানে যাবে না।”
যামিনী ঢুকরে কেঁদে উঠে।
“যতোই হৃদয়কে বুঝাই আম্মাজান, হৃদয় যে আপনার পুত্রের প্রেমে ডুবে। কী করে মেনে নিবে তার ভাগ অন্যকাউকে নিতে দেখে! না চাইতেও যে অশ্রু বর্ষণ হয়ে যায়।”
“শোনো চন্দ্রমল্লিকা, আমি ব্যর্থ হয়েছি এই জমিদারি, নবাববাড়ির খেলায়। তুমি ব্যর্থ হয়ো না সবটা হারাবে। রুখে দাঁড়ানো শিখো, নিজের অস্তিত্ব শুধু থাকলেই হবে না, সবাইকে বুঝাতে হবে তুমিও আছো। বুদ্ধিমতীর জন্য ইশারাই যথেষ্ট। আশা করি তোমার ক্ষেত্রেও তাই হবে।
মনে রেখো, নবাব হতে শুধু রাজ্য জয় করলেই চলে, রাজত্ব ও মর্যাদা একাই আসে। কিন্তু মল্লিকা হতে হলে নবাবের হৃদয়, রাজ্য, রাজত্ব, কূটনীতি ও যোগ্যতা সবই অর্জন করা লাগে।”
তিনি বাঁকা হাসি দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চলে যান। যামিনী নিজের মাঝেই তাঁর কথাগুলো বিশ্লেষণ করতে শুরু করে।
ইশার আজান পড়ে যায় তার বিচার-বিশ্লেষণ করতে করতে। অতঃপর মুখশ্রীতে এক দৃঢ় হাসি ফুটে উঠে। বিড়বিড়ায়,
“যা আমার তা আমারই থাকবে।”
নামাজ পড়ে উঠতেই দাসী উপস্থিত হয়। অনুময়ি পেয়ে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
“বেগম চন্দ্রমল্লিকা, একটু বাদেই খাবারের সময়। নবাব উপস্থিত হবেন। আপনাকে ভোজনশালায় উপস্থিত থাকতে বলেছেন মোর্শেদা খাতুন।”
“ঠিক আছে, তুমি যাও। আমি আসছি।”
রমণী কিছু একটা ভেবেই ভোজনশালায় যাওয়ার পূর্বে মেহমাদ শাহের কক্ষের দিকে। নিকটে পৌঁছাতেই খেয়াল করে নবাব বেশ খাণেক দূরে অবস্থিত একটি কক্ষে প্রবেশ করেছেন। পাশের এক দাসীকে ডেকে জিজ্ঞেস করতেই জানায় কক্ষটি মেহনূরের। অনতিবিলম্বেই চুপিসারে দরজার সম্মুখে যেয়ে আড়িপাতার উদ্দেশ্যে দাঁড়ায় যামিনী।
প্রহরী তার আগমনের খবর উচ্চারণ করতে যাবে তার পূর্বেই সে হৃদয়ের ভীতি ঢেকে তীব্র রাগান্বিত ও চাপা কণ্ঠে বলে উঠে,
“একদম চুপ থাকো! তুমি জানো কে আমি? আমি নবাব মেহমাদ শাহের একমাত্র বিবাহিত স্ত্রী বেগম চন্দ্রমল্লিকা। মুখ খুললে তোমার এই দৃঢ়কায়ের থেকে গর্দানটা খুলে পড়তে সময় লাগবে না।”
তার উদ্দেশ্য সফল হয় প্রহরীরা নিঃশ্চুপ থাকে। সে আবারও দরজায় কান বসায়।
শুনতে পায় তার বাবু মশাই মেহনূরের উদ্দেশ্যে বলছে,
“এই গোপন কথা যেন তোমার আমার মাঝেই স্থির থাকে শাহাজাদি। এর বিপরীতে কিছু হলে তার মূল্যও তোমায় দিতে হবে। আর যদি আমার কার্য ঠিক-ঠাক সম্পাদন তবে তুমি যেটা চাও, সেটাই প্রাপ্তির খাতায় তুলবো আমি।”
“আপনি চিন্তা করবেন না শাহ। আপনার গোপন কথা, আমারও গোপন কথা। ইনশাআল্লাহ আপনি আমার দিকে হতাশ বা রাগান্বিত কিংবা ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকানোর সুযোগ পাবেন না। তবে একটা কথা…?”
“হ্যাঁ, বলো চন্দ্রপ্রভা?”
“আপনি এই কথাগুলো যামিনীকে বলছেন না কেন? এতে তো তার-ই…”
“এই নবাববাড়িতে যার যার স্থান তাকে নিজেই অর্জন করে নিতে হয়। তাকেও তা করতে হবে। নাহলে বিলিন হনে এটাই সত্য। এখন চলো, ভোজনশালার দিকে যাওয়া যাক।”
আর ভাবার সময় পেলো না শেষবাক্যটি শুনে। তড়িৎ গতিতে দূরে সরে গেল। দীর্ঘশ্বাস নির্গত হলো দেহ থেকে তবে এবার আর সে কাঁদলো না। তবে শ্রবণেন্দ্রিয়ে প্রবেশ করা কথোপকথন নিয়ে ভাবনার আসর বসিয়ে সেও ভোজনশালার দিকে অগ্রসর হলো।
দেখতে পেল নবাব পরিবারের সবাই খাবার সাজিয়ে রাখা চৌকির সম্মুখে বসে গল্প করতে ব্যস্ত। সেও নৈশব্দে যেয়ে বসলো নবাবের আসনের ডান দিকের আসনে। একটু ক্ষুণ্ণ দেখালো এবার উপস্থিত মানুষদের।একটু বাদেই প্রবেশ করলো মেহমাদ শাহ ও মেহনূর। সকলে উঠে দাঁড়িয়ে সালাম জানালো।
বেগম নূর বাহার বলে উঠলেন,
“মাশা আল্লাহ! কী সুন্দর লাগছে আমার পুত্রকে মেহনূরের সাথে! যেন চন্দ্রপ্রভা বস্তুতই এসে পড়েছে আমার সিংহের গায়ে।”
“খাওয়া শুরু করা যাক। বিসমিল্লাহ্।”
নৈশব্দে ভোজন শুরু করলো উপস্থিত সকলে। নানা পদের খাদ্য। যামিনী চেয়েও স্বাদ নিতে পারছে না কিছুর। থালায় বিদ্যমান খাবার নড়াচড়া করেই যাচ্ছে শুধু।
বেগম লুৎফুন্নেসা খাওয়ায় খাণিক মুহূর্তের বিরতি নিয়ে আদেশ করে উঠেন মেহমাদ শাহকে,
“তোমায় কাল চার দিনের জন্য শহরে যেতে হবে মেহমাদ। জরুরি দরকার পড়েছে ব্যবসার কাজের। তুমি নিজে না যেয়ে দেখলে চলবে না।”
এই বচন কর্ণগোচর হতেই দেহ শীতল হয়ে পড়ে যামিনীর। তবে কি তার বাবু মশাইয়ের অনুপস্থিতিতেই তার সাথে ভয়ংকর কিছু করেই তাকে তাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন দাদীজান?
||