“আমি তোমার পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করতে পারব না বাবা। আমি দুঃখিত। এই বিয়ে আমার পক্ষে কোনোমতেই করা সম্ভব নয়। জেদের বশে রাজি হয়েছিলাম বিয়েতে। কিন্তু এটা সারাজীবনের ব্যাপার।”
জুবুথুবু হয়ে দুটো হাঁটু গেঁড়ে বসে থাকা রাগিনী অশ্রুসিক্ত নয়নে ভেজা গলায় কথাগুলো বলে দিলো এবার সাহস করে। কথাটা কুর্ণকুহরে পৌঁছানো মাত্রই মুখ ঘুরিয়ে নিলেন রাশেদ সাহেব অর্থাৎ রাগিনীর বাবা। তিনি ভাবতেও পারেন নি উনার মেয়ে যে কিনা কখনোই তার কথার অবাধ্য হয়নি সে আজকে কোনোকিছুর পরোয়া না করে সিদ্ধান্তে অসম্মতি জানালো। রাশেদ সাহেব ভার গলায় জিজ্ঞেস করলেন,
“বিয়ে না করার কারণটা কি অফিসার নির্জন আহমেদ কোহিনূর?”
রাগিনী নীরব রইল। মুখে এলো না কোনো কথা। রাশেদ সাহেব বেশ সহজেই মেয়ের মৌনতা দেখে বুঝে নিলেন তার মনের অভ্যন্তরের কথা। দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি মেয়েকে বোঝালেন,
“একটা কথা বোঝার চেষ্টা করো রাগিনী! অফিসার কোহিনূর একজন সিক্রেট অফিসার। ও এতদিন যা যা করেছে তার পেছনে কিছু উদ্দেশ্য ছিল। আর সে সেই উদ্দেশ্য হাসিল করার পর নিজে থেকে দূরে সরে গিয়েছে। তোমার অনুভূতিগুলোর কথা সে বুঝেও বোঝেনি।”
“না বাবা। উনার সঙ্গে আজ আমার দেখা হয়েছিল। আমায় সবটা বলেছেন। এটাও বলেছেন তুমি উনাকে প্রত্যাখান করেছো। আর তুমি আমায় এটাও কখনো জানাও নি যে আমার মতো দেখতে আরো একজন আছে। সে আমার চেহারা নিয়ে এই পুরো শহরটাকে ধ্বংস করছে। এসব কেন লুকিয়ে গিয়েছো?”
রাশেদ সাহেব চমকালেন রাগিনীর কথায়। উনি আশা করেননি রাগিনী এত দ্রুত সবটা জানবে। তিনি চেয়েছিলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার মেয়ের সঙ্গে তার বন্ধুর ছেলে অভিরূপের বিয়েটা দিয়ে অন্যদেশে পাঠিয়ে এই ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে। তিনি চাননি তার একমাত্র মেয়ে এই মাকড়সার জালের ন্যায় ছড়িয়ে থাকা ষড়’যন্ত্রের মাঝে জড়িয়ে যাক। ইতিমধ্যে তো কম সইতে হচ্ছে না। রাশেদ সাহেব শান্ত গলায় জবাব দিলেন,
“আমি কখনোই ভাবিনি তুমি আমার কাজের উপরে প্রশ্ন তুলবে। তুমি কয়েকদিন যাবত ডিপ্রেশনে ভুগছিলে। আর এর চেয়ে ভয়া’নক অসুস্থতা আর নেই। তাই একজন বাবা আর সাইকোলজিস্ট হিসেবে তোমার কাছে এসব গোপন রাখি। ভেবেছিলাম সময় করে বলব কখনো। আর কোহিনূরকে প্রত্যাখান করার কথা বলছ? যার নিজের জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই সে তোমার জীবনের দায়িত্ব কী করে নেবে?”
রাশেদ সাহেবের বলার প্রতিটা বাক্য রাগিনীকে বিমূঢ় করে তুলল। ভেতরে চেপে রাখা সমস্ত সীমাহীন অস্থিরতার মান যেন আরো বাড়ল। তবুও সে মানবে না। নিজের বক্ষপিঞ্জর থেকে মুক্তি দিতে পারবে না তার ভালোবাসার রত্নকে। সে বাচ্চাদের মতো করে জেদ ধরে বলল,
“আমার কিছু হবে না বাবা। আমি ভালো থাকব। একটু বিশ্বাস রাখো কোহিনূরের…”
“অন্ধ হয়ে গিয়েছ রাগিনী। সামান্য কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত আবেগের জন্য তুমি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিচ্ছো। তুমি কি জানো? কোহিনূরকে কয়েকদিন আগেই আক্র’মণ করা হয়েছিল? তাকে মা’রার চেষ্টা করা হয়েছিল।”
রাগিনীর কথায় মাঝে রাশেদ সাহেব কথাটা বলে রাগিনীর উত্তর চাইলেন। রাগিনী থমথমে গলায় বলল,
“হ্যাঁ জানি।”
“তাহলে? কীসের বিশ্বাসের কথা বলছ? আর অভিরূপ এত ভালো ছেলে। ওকে দেখে মনে হয়েছিল ও তোমায় পছন্দ করে। তোমায় ভালো রাখতে পারবে।”
রাগিনী এবার চাপা কান্নার মাঝেও চোখে টলমলে পানি নিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে ফেলল। অবাক হলেন রাশেদ সাহেব।
“আমার চেয়ে তুমি তো সাইকোলজি বেশি বোঝো তাই না বাবা?”
রাগিনীর এমন প্রশ্নে রাশেদ সাহেবের বোধগম্য হলো না এসবের সঙ্গে সাইকোলজির কী সম্পর্ক। তিনি পাল্টা কিছু বলার আগেই রাগিনী ফের বলা শুরু করল,
“অভিরূপের পছন্দ করা, উনার ভালো লাগা, উনি যেই মানুষটার সঙ্গে ভবিষ্যৎ কাটাতে চান সেই নারীটার চেহারা আমার মতো হতে পারে। কিন্তু মানুষটা আমি ছিলাম না। উনার মনে আমি কখনোই জায়গায় করতে পারিনি। উনি সবসময় আমার মতো দেখতে ওই মেয়েকে ভালোবেসেছেন। আমি জানি না ওই ধূর্ত এবং ভয়ঙ্করী নারীর মাঝে এমন কী দেখেছেন যেটাতে উনি মত্ত হয়েছেন। তবে এটা নিশ্চিত সেই মানবী আমি নই।”
অবিশ্বাস্য নয়নে চেয়ে রইলেন রাশেদ সাহেব। বিশ্বাস হতে চাইল না কিছুই। তিনি রেগে এবং জেদের বশে বললেন,
“তাহলে তুমি বিয়েটা করছ না?”
রাগিনী অকপটে মাথা নাড়াল। সে বিয়ে করবে না কিছুতেই। রাশেদ সাহেবও শক্ত গলায় বললেন,
“ঠিক আছে। বিয়ে করতে হবে না তোমায়। কিন্তু তোমার সব আবদার আমি মানতে পারব না। কালকে তুমি চট্টগ্রাম ব্যাক করছ। তাও সকাল হওয়ার আগেই। ভোরবেলা তোমাকে রেলস্টেশনে নামিয়ে দিয়ে আসা হবে। না চাইতেও তোমার আর অভিরূপের এঙ্গেজমেন্টের কথাটা মিডিয়া জেনে নিয়েছে। আমি চাই না এই নিয়ে আর কোনো কাহিনী হক। কেউ কিছু জানার আগে তুমি ঢাকা শহর ছাড়বে।”
আঁতকে উঠল রাগিনী। সত্যিই বুঝি এবার ঢাকা ছাড়তে হবে? দূরে যেতে হবে প্রিয় মানুষটির থেকে? আর তার বাবা এত কঠিন কবে হলো? রাগিনীর ছলছল দৃষ্টি রাশেদ সাহেবের মন গলাতে পারল না। তিনি এবার নিজের সিদ্ধান্তে অটল। রাগিনী কিছু বলতে উদ্যত হলেও রাশেদ সাহেব তাকে থামিয়ে বললেন,
“আমি আর কোনো কথা শুনতে চাইছি না তোমার। আমার ভেতর থেকে ভেঙে দিয়েছ তুমি। এখন যদি আমার এই কথাও না মানো তবে আমি প্রতি মূহুর্তে নিজের মৃ’ত্যু কামনা করব।”
রাগিনী ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল এবার। রাশেদ সাহেব সেসবের তোয়াক্কা না করে উঠে পড়লেন চেয়ার থেকে। বেরিয়ে গেলেন নিজের ঘর থেকে। রাগিনী নেতিয়ে পড়ল ফ্লোরে। চারিপাশটা বি’ষাক্ত হওয়ার সাথে সাথে যেন নিজের বাবাও নি’ষ্ঠুর হয়ে উঠছে। একটাই কথা মন বলছে যে, সাইকোলজিস্ট শাহ্ রাশেদ সকল মানুষের মনের কথা বুঝলেও তার নিজের মেয়ের মনের কথা বোধগম্য হলো না।
একের পর এক শক্ত লা’ঠির বাড়ি কবিরের শরীরটাকে কাঁপিয়ে তুলছে। তবুও তার জবান খোলা সম্ভব হচ্ছে না। কবির নিজের প্রতিজ্ঞায় অবিচল। সে নিজের আত’ঙ্কবা’দী দলের কোনোরকম তথ্য পুলিশদের বলতে রাজি নয়। খালি গায়ে শ্যামলা চামড়ায় লাল দাগগুলো মৃদু আলোয় ভেসে উঠেছে। তবুও কনস্টেবল থামছে না। গেইট খুলে ভেতরে প্রবেশ করল রায়ান। তার নেমব্যাচটা সরে যাওয়ায় ঠিক করতে করতে এগিয়ে এলো মা’র খেয়ে নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে থাকা কবিরের কাছে। পকেটে হাত দিয়ে কনস্টেবলের দিকে তাকাতেই কনস্টেবল মাথা ঝাঁকিয়ে বলল,
“লাভ হচ্ছে না স্যার। বিগত এক ঘণ্টা ধরে একটা শব্দও বলছে না সে।”
“এভাবে লাভ হবেও না। তুমি যেভাবে ওকে মা’রছ এভাবে স্কুলে পড়া না পারলে টিচার লা’ঠি দিয়ে কয়েকবার উত্তমমধ্যম দেয়। এটা ক্রি’মিনালের জন্য নয়। স্পেশাল ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করো ওর।”
রায়ানের শেষ কথাটা বেশ ভালোভাবেই বুঝল কনস্টেবল। মাথা একবার নত করে সে চলল ব্যবস্থা করতে। রায়ান কবিরের মাথার কাছে এসে এক হাঁটু গেঁড়ে বসল। কবিরের চুল ধরে টেনে মাথা উঠিয়ে ভার গলায় প্রশ্ন করল,
“কিছু বলবি? যা বলার এখনি বলে দে। নিজের ভালো কিন্তু পা’গলেও বোঝে।”
কবির কোনো কথা না বলে শুধু হাসল। এ যেন তার জয়ের হাসি! রায়ানের গা জ্বলে গেল তার হাসিতে। সে কবিরের মাথা ঠুকে দিল ফ্লোরে। রাগে কটমট করে উঠে দাঁড়াতেই হুড়মুড়িয়ে কবির রায়ানের রি’ভলবা’রের কভার থেকে রি’ভলবা’র বের করে নিজের কপালে চেপে ধরল। আকস্মিক ঘটনায় কিছু করতে পারল না রায়ান। হতবিহ্বল হয়ে চেয়ে রইল। কবির আর কিছু না ভেবেই নিজের কপালে তাক করে ট্রগারে চাপ দিলো। এই বুঝি মুক্তি! কিন্তু অনুভূত হলো না কোনো যন্ত্রণা। চোখ মেলে তাকাল কবির। তার সামনে দৃশ্যমান হলো রায়ানের হাসোজ্জল মুখখানা। কবিরের হাত থেকে সে ছোঁ মে’রে রিভ’লবার নিয়ে নিজের প্যান্টের সঙ্গে ঝুলতে থাকা কভারে ঢুকিয়ে রেখে বলল,
“প্রতিটা মানুষই নিজেকে চালাক মনে করে। তোর কী মনে হলো? আমি এতটাই বোকা? যে তোর সামনে বু’লেট ভরা রি’ভলবা’র এনে দাঁড়াব? তোর মুখ থেকে কোনো তথ্য না বের হওয়া অবধি তোর মুক্তি নেই।”
“আমি কিছু বলব না। আমার মুখ থেকে কিছু বের করতে পারবি না।”
“গুড কনফিডেন্স।”
কিছুক্ষণ পরেই কবিরকে চেয়ারে বসিয়ে বেঁ’ধে দেওয়া হলো। একের পর এক হাই ভোল্টেজের শক তার সর্বাঙ্গ কাঁপিয়ে তুলল। যখনই তাকে শক দেওয়া হলো তখনই যেন অনুভব করল এক মূহুর্তের জন্য হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জ্বালা করা সারা শরীর তখন থরথর করে কাঁপতে থাকল। এ যেন বারবার মৃ’ত্যুসম দেওয়া যন্ত্র’ণা। প্রতিটা শক দেওয়ার সময়ই রায়ান একটা একটা করে প্রশ্ন করতে থাকল। সবশেষে হঠাৎ একবার কবির জবান খুলে বলল,
“পুরো দলের লিডার একজন ছেলে মানুষ। যে নকল রাগিনীকেও পরিচালনা করে। তার ব্যাপারে আমি আর কিচ্ছু জানি না।”
“নাম! নামটা তো জানিস তুই! সবটা বল।”
কবিরকে আবারও শক দেওয়া হয়। কবিরের মাথা ঘুরতে থাকে। দুচোখে কেমন যেন অন্ধকার দেখে। ঝাপসা হয়ে আসে চারিপাশ। গা গুলিয়ে আসছে তার। গড়গড়িয়ে বমি করে ফেলল সে। সেই অবস্থাতেই অস্পষ্ট সুরে বলল,
“ডার্ক ম্যাক্স…!”
রায়ানের কানে এলো কবিরের অস্পষ্ট সেই বানী। তবে বমি আর ছটফটানি দেখে সন্দেহ হলো। সন্দেহ প্রগাঢ় হলো তখন যখন কবিরের চোখটা বন্ধ হতে থাকল। রায়ান দ্রুততার সঙ্গে কনস্টেবলকে প্রশ্ন করল,
“রাতের খাবার কি ওকে দেওয়া হয়েছিল?”
“ইয়েস স্যার। বাহিরে থেকে আনানো হয়েছিল।”
“ওহ শিট! ওই খাবারে নিশ্চয় কোনো কেমিক্যাল ছিল। এম্বুলেন্স ডাকো। ফাস্ট!”
কনস্টেবল বিলম্ব না করে কাজে ছুটে গেল। ততক্ষণে নিভে এলো কবিরের চোখটাও। শেষবারের মতো কানে ভেসে এলো রায়ানের চিৎকার।
“তুই কি সিউর যে তুই অভিরূপকে বিয়ে করছিস না?”
উর্মিলার কথায় হতাশা ভরা দৃষ্টিতে তাকাল রাগিনী। নির্জনের সঙ্গে যখন শেষবার দেখা হয় এবং সবটা জানতে পারে তারপর থেকে সে উর্মিলার বাড়িতেই ছিল। এরপর বাবার অসুস্থতার কথা মনে করে সে উর্মিলার সঙ্গেই বাড়ি ফিরেছিল। আর এখন এত ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও উর্মিলা বিশ্বাস করতে পারছে না যে রাগিনীর সঙ্গে ফেমাস অভিরূপ চৌধুরীর বিয়েটা হচ্ছেনা। যাকে একবার সামনা-সামনি দেখার জন্য কতশত ছেলেমেয়েরা মুখিয়ে থাকে তাকে কিনা এত সহজে রিজেক্ট করে দিতে পারল তার বান্ধবী? এটা কোমল হৃদয় নাকি পাথরের তৈরি এক হৃদয় ভাবতেই উর্মিলার মাথা ভনভন করছে।
“বিয়েটা করব না আর কতবার বলব তোকে? কাল ভোরে আমি চলে যাচ্ছি। আবার কবে ফিরব জানি না।”
“আর তোর সিক্রেট অফিসারের কী হবে? তাকে তো ভালোবাসিস নাকি?”
রাগিনী ঘনঘন শ্বাস ফেলে বেড থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আলমারির উপর থেকে লাগেজ নামিয়ে বলল,
“ভালোবাসি আমি দুজনকেই। বাবাকেও ভালোবাসি। কখনো কোনো মেয়ে চাইবে না তার জন্য তার বাবা নিজের মৃ’ত্যু কামনা করুক। এই ভালোবাসার গল্প না হয় অপূর্ণতায় পূর্ণতা পাক।”
“আঙ্কেলকে বুঝিয়ে বল!”
“লাভ নেই। বাবা এক কথার মানুষ। তার এমন জেদি আচরণ আমার কাছেও অচেনা।”
কথায় কথায় সাহেব রিও এসে লাগেজের উপর বসল। তাকে সরাতে রাগিনী আদুরে ভঙ্গিতে কোলে তুলে নিলো। তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
“তোমায় নিয়েই যাব রিও সাহেব। চিন্তা করো না।”
দরজায় টোকা পড়ল এবার। রাগিনী আর উর্মিলা দুজনই দরজার দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকাল। দরজা খুলে এলোমেলো পায়ে ঘরে প্রবেশ করল অভিরূপ। তার বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে থমকালো রাগিনী। চোখমুখ ফোলা দেখে বুঝতে বাকি রইল না এই পুরুষটি হয়ত বাচ্চাদের মতো কেঁদেও ফেলেছে। তার মনে রাখা প্রেয়সী বুঝি তাকে এতই পীড়া দেয়? অবশ্য ভালোবাসা জিনিসটাই এমন যেটা পীড়াদায়ক হলেও সেই পীড়া গ্রহণ করতে আপত্তি থাকে না কাঙ্ক্ষিত প্রেমিক বা প্রেমিকার।
চলবে…
#গোধূলি_বেলায়_তুমি_এসেছিলে
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ১ (২য় খণ্ড)
[বি.দ্র. যারা ১ম খণ্ড পড়েন নি তারা ২য় খণ্ডের কিছুই বুঝবেন না। কারণ দুটো খণ্ড একই গল্পের এবং একই কাহিনীর। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।]