গুছিয়ে রাখা আবেগ পর্ব ১৭

0
539

#গুছিয়ে_রাখা_আবেগ
#পর্ব_১৭
#আজরিনা_জ্যামি

“আমার গুছিয়ে রাখা আবেগ গুলো সব তোমায় দিতে চাই সেগুলো নিবে। তুমি জানো সেগুলো আমি খুব সুন্দর করে যত্ন করে রেখেছিলাম আমার মনিকোঠায়। তুমি কি জানো তোমাতেই আমি আটকে ছিলাম কিন্তু তুমি আমার না। এর আগে চিরকুট এ তুমি বলেছিলে না আমি কখনো তোমার ছিলাম -ই না ঠিক তেমনটাই আমারও মনে হচ্ছে তুমি তো কখনো আমার ছিলেই না।”

সকালে ফোনটা হাতে নিতেই আরুহি দেখে ওর ফোনটা বন্ধ সেই রাতে কখন মায়ের সাথে গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে পরেছে মায়ের কোলে ঠিক বলতে পারছে না। ফজরের নামাজ পড়ে হাঁটাহাঁটি করে ফোন তুলতেই আরুহি দেখলো আবরার এর মেসেজ। আরুহি মুচকি হেসে বলল,,

“লোকটা বোধহয় পাগল হয়ে গেছে। এখন না আটকালে বোধহয় লোকটা সত্যি সত্যি পাগল হয়ে যাবে! কিন্তু তার পাগলামি যে দেখতে ইচ্ছে করছে। না থাক আর একদিন দেখবো কাল বলে দেব। দেখি লোকটা আমার জামাইয়ের ব্যাপারে জানতে চায় কিনা। তার আগে জ্বালানোর জন্য নিশি কে একটা কল দিই।”

________________

খান বাড়ির খান টেবিলে পিনপতন নীরবতা হুট করে আফরিন বলল,,,

“জানো ভাইয়া আমাদের সাথে আরুহিরও বিয়ে হবে। আমার আর আরুহির কতো দিনের শখ আমরা একসাথে বিয়ে করবো। তাই আরুহি আমাদের সাথেই বিয়েটা করবে। কি বলবো তোমায় ভাইয়াটা এত কিউট কি সুন্দর করে কথা বলে।”

এ কথা শুনে নাসরিন খান আর নাহিয়ান খান মিটিমিটি হাসছে। কিন্তু আবরারের খুব রাগ আর কষ্ট হচ্ছে। আবরার বলল,,

“বিয়ে হবে ভালো কথা কিন্তু অন্যের জামাইয়ের কথা আমারে বলছিস কেন?”

“আরে তোমার হইলো বিয়াইন তোমার একটা দায়িত্ব আছে না তোমার বিয়াইন এর কোথায় কার সাথে ছেলে ভালো কি না দেখতে হবে না।”

“ভালো না হইলে কি তোর হিটলার বান্ধবী বিয়ে করতো। তোর বান্ধবী সব দেখেশুনেই রাজি হয়েছে।”

“আমার বান্ধবীকে হিটলার বলছো কেন? আমার বান্ধবী লাখে এক।”

“লাখে তো এক হবেই ওনার মতো হৃদয়হীনা আর কজন আছে। ওনার যার সাথে বিয়ে হচ্ছে হোক তাতে আমার কি।”

“তা ঠিক তাতে তোমার কি? যাই হোক বান্ধবীর জামাই কিন্তু সেই পার্সন যদিও মাঝে মাঝে বিনা কারনে রেগে যায়। সেটা কোন ব্যাপার না তার আচার আচরণ তো অনেক সুন্দর তাছাড়া দেখতেও তো মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর। ওফফ!”

“তা তোর ঐ সুন্দর বান্ধবীর জামাই কি করে?’

“পড়াশোনা পাশাপাশি বাবার বিজনেস এ দেখাশোনা করে। দেখেছো কতোটা দায়িত্ববান ছেলে এরকম ছেলে দুইটা হয় না।”

“এহ আইছে এরকম ছেলে দুইটা হয় না। তা আমি যে পড়াশোনা করি আবার বাবার বিজনেস ও দেখি। এতে আর কি এমন আছে।”

“হুম এটা আর কি রকম কাজ তুরি মারলেই হয়ে যায়।”

“হুম তা তো হয়ই!”

“তুমি জানো সে আরুহির কতো খেয়াল রাখে। কতো কেয়ার করে!”

এ কথা শুনে আবরারের খুব রাগ হলো আর বলল,,

“তার জামাই তার কেয়ার করবে তা তুই আমাকে বলছিস কেন? তাছাড়া তোর ও বান্ধবীর জামাই কি করলো না করলো আমাকে বলছিস কেন?”

বলেই আবরার টেবিল থেকে ওঠে বেরিয়ে পরলো। ওর যাওয়ার পর তিনজনেই হেঁসে উঠল। আবরার সোজা আরুহিদের বাড়িতে গেল না আর সহ্য হচ্ছে না ওর। আরুহিরা খাবার খেয়ে উঠতে যাচ্ছিল। তখনি কলিং বেল শুনে আরহামের মা দরজা খুলে দিল। আবরার কে দেখে উনি বললেন,,

“আরে আবারার এতো সকাল সকাল।”

‘কেন আস্তে পারি না নাকি ভালো মা নাকি দুদিনেই আমাকে পর করে দিলে !”

“তা না আসতে পারো তা খাবার খেয়ে এসেছো নাকি খাবার দিব।”

“দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব করবে নাকি।”

“আরে না ভেতরে আসো।”

আবরার বিরবির করে বলল,,

“আর খাওয়া তোমার মেয়ে আর আফরিন আমার খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফেলছে। ওদের জন্য শান্তিতে খেতেও পারলাম না।”

আরুহি পেছনে দাঁড়িয়ে সব শুনছিল আবরার ভেতরে ঢুকতেই ও বলল,,

“মা তোমার এই ছেলে কি পাগল হয়ে গেল নাকি একা একাই বিরবির করছে। তা মিস্টার খেয়ে এসেছেন নাকি খাবেন।”

“না আমি খেয়ে এসেছি আপনার সাথে কথা আছে।”

“ভাইয়া আরা মায়ের সামনেই বলুন না!”

“না পার্সোনাল কিছু কথা!’

তখন আরহাম বলল,,

“আরু দ্যাখ ও কি বলতে চায় শুনে নে।”

“আসুন!”

আরুহি রুমের চলল পেছনে আবরার রুমে গিয়ে আবরার বলল

“আপনি সত্যি সত্যিই বিয়েটা করছেন?”

আরুহি অবাক হওয়ার ভান ধরে বলল,,

“মিথ্যে বিয়ে কেন করতে যাবো বলুন তো । তাছাড়া উনি কতো ভালো আজকাল কার যুগে এমন ছেলে পাওয়া মুশকিল। আমায় কতো ভালোবাসে সে।”

এ কথা শুনে আবরার রেগে বলল,,

‘কি এমন আছে ঐ ছেলের মধ্যে যা আজকাল যুগে পাওয়া যাবে না।”

“আছে তো অনেক কিছুই আপনাকে কেন বলবো‌। বাই দা ওয়ে আপনি কি আমার ফিউচার জামাইয়ের ব্যাপারে পার্সোনাল কথা বলতে এসেছেন নাকি‌।”

“না আমি আপনার আর আমার ব্যাপারে বলতে এসেছি। লাস্ট সুযোগ দিয়েই দেখুন না কথা দিচ্ছি কোন অভিযোগ রাখতে দেব না।””

“কিসের লাস্ট সুযোগ বলুন তো। সে আমাকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসে। আর ভবিষ্যতেও খুশি রাখতে পারবে।”

এ কথা আবরার একটু নরম হয়ে বলল,,

“আমিও আপনাকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি আপনি তখন ক্লাস সেভেনে পরতেন তখন থেকেই আমি আপনার মায়ায় পরে যাই। আপনাকে তখন থেকে কতোবার লুকিয়ে লুকিয়ে দেখেছি সেটা বলতে পারবো না। আর যখন আপনি আমায় চিরকুট লিখতে শুরু করলেন আমিও তৃতীয় বার চিরকুট পেয়েছি বুঝতে পেরেছিলাম আপনিই সে সেদিন আমি যে কতো খুশি হয়েছিলাম আপনি বুঝতে পারবেন না। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি আপনাকে আমার থেকে দূরে সরানোর জন্য চেষ্টা করি। কারন আপনি ভুল পথে যাচ্ছিলেন। যদিও আমরা প্রেম করতাম না তবুও আপনি আমায় ভেবে আপনার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছিলেন। সেদিন আমি ওগুলো কতটা কষ্ট নিয়ে বলেছিলাম আপনি ভাবতেও পারবেন না। আমি আপনার দিকে তাকাই নি সেদিন কারন আমি আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলতে পারতাম না। আপনি যাওয়ার পর আমি রুমে গিয়ে অনেক কেঁদেছি। লুকিয়ে লুকিয়ে আপনাকে খেয়াল করেছি আমি বুঝতে পারতাম আপনি কাঁদতেন তখন আপনার কান্না ভেজা চোখ দেখে আমার বুকটা মোচড় দিয়ে উঠতো। তখন আপনাকে বলতে ইচ্ছে করতো বোকা মেয়ে কাঁদছো কেন আমি তোমার সাথে আছি। কিন্তু কখনো বলা হয়ে ওঠেনি । তারপর আপনারা বিদেশে চলে গেলেন আপনাকে হাড়িয়ে পাগল পাগল মনে হচ্ছিল আমি নিজেও আপনাকে খুঁজতাম কোথায় আপনি আপনাকে দেখার ইচ্ছে গুলো আমাকে গলা চেপে ধরবো। সবসময় অপেক্ষা করতাম এই বোধহয় আপনাকে দেখতে পারবো। আপনার জন্য প্রতিদিন আবেগগুলো যত্ন করে গুছিয়ে রাখতাম। আপনি আসতেন না আমার গুছিয়ে রাখা আবেগ গুলো নিতে। আমার খুব অভিমান হতো। যদিও আপনি এলেন হয়তো আমার থেকে কষ্ট পেয়ে আমার থেকে দূরে থাকতে শুরু করলেন অচেনা দের মতো ব্যবহার করতে লাগলেন। তখন আমার খুব কষ্ট হতো আমি তো শুধু আমার পুরোনো সুভাসিনীকে চাইতাম। কিন্তু আপনি তো সুভাসিনীকে মেরে ফেলেছিলেন। প্লিজ আরুহি আমার হয়ে যান না । আমার হয়ে আমার গুছিয়ে রাখা আবেগ গুলো নিন না।

আবরারের চোখ থেকে একফোঁটা পানি গড়িয়ে পরল। আরুহির ও তাই দুজনে দুজনের দিকে অশ্রু চোখে তাকিয়ে আছে। আরুহি বলল,,

“আর কিছু বলবেন?”

“আচ্ছা সে কি আমার থেকে ও আপনাকে ভালোবাসতে পারবে।”

“হয়তো বা।”

“এতকিছুর পরেও কি আপনি তাকে গ্ৰহন করবেন। আমার হবেন না।”

“আপনি কি বলতে চাইছেন আমি বিয়েটা ক্যানসেল করে দিই।”

এ কথা শুনে আবরার মাথা নিচু করে দাঁড়ালো। তা দেখে আমার আরুহি মুচকি হেসে বলল,,

“এতকিছু বললেন তা আপনি আমার ফিউচার হাজবেন্ড কে দেখতে চাইলেন না কেন?”

“তাকে দেখলে হয়তো সহ্য করতে পারবো না। আপনার পাশে তাকে দাঁড়ানো ভাবে কল্পনা করলেও তাকে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করবে। ”

“আমার সাথে এদিকে আসুন!”

“কোথায়?”

“আরে আসুন না। চোখ বন্ধ করুন।

“কেন?”

“আরে করুন না। কোন কাজ তো সময় মতো করেন নি।আমার এই কথাটা সময় মতো রাখুন।”

আবরার তো বন্ধ করলো আরুহি ওকে আয়নার সামনে নিয়ে গেল। তারপর বলল,,

“এবার চোখ খুলে আমার ফিউচার হাজবেন্ড কে দেখুন যদি মারতে ইচ্ছে হয় তাতেও সমস্যা নেই। আপনি মারতে পারেন।”

আবরারের ভয় হচ্ছে কেন যেন। ও আকাশ কুসুম ভাবছে না জানি কে হবে ওর থেকে অনেক সুন্দর বোধহয় নাহলে আরুহি ওকে ছেড়ে অন্যজন কে বিয়ে করবে কেন? যাকে কিনা আরুহি ভালোবাসাতো একসময় মনে হয় এখনো বাসে। আবরার আস্তে আস্তে চোখ খুললো। আর খুলে অবাক হয়ে নিজের প্রতিবিম্ব আয়নায় দেখতে পেল। আরুহি বলল,,

“এই যে আপনার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে এনার সাথেই আমার বিয়ে ঠিক আর ইনিই আমার ফিউচার হাজবেন্ড। এখন একে আপনি মারবেন নাকি‌।”

আবরার বোকা চোখে আরুহির দিকে তাকালো আর মাথা দিয়ে জিজ্ঞেস করল এটা সত্যি। আরুহিও মাথা নাড়িয়ে বলল সত্যি। এ কথা শুনে আবরারের অজান্তেই চোখ থেকে দু ফোঁটা পানি পরলো। আর ঠোঁটে লেগে আছে তৃপ্তির হাসি। ও বোকার মতো হাসতে লাগলো আর বলল,,

“আমি কতো বড় গাধা হলে এরকম করতে পারি। আমার ভয় হচ্ছিল কে হবে সেই ছেলেটা যার নাম বা চেহারা কোনটাই জানতে বা দেখতে চাই নি। উল্টো না দেখে নিজেকে নিজেই মারতে চাইছিলাম। নিশু বলেছে ছেলেটা পড়াশোনা করে আবার বাবার বিজনেস ও দেখে ও আমাকেই বলছিল অথচ আমি বুঝতে পারি নি।”

আরুহির বোকা বোকা হাসি কান্না দেখে আরুহি মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে রইল। সে তাকে ভালোবেসেছে সেই মানুষটাও তাকে ভালোবেসেছে। তার ভালোর জন্য তাকে ছেড়েছে। আবরার এগিয়ে এসে বলল,,

“অবাক হয়ে কি দেখছেন?”

“ছেলেদের বোকা হাসি কান্না এতো সুন্দর কেন?”

“তারমানে বলছেন আমাকে এইভাবে দেখে আপনি মুগ্ধ হচ্ছেন।”

এ কথা শুনে আরুহি চোখ ফিরিয়ে মুচকি হাসলো। আবরার বলল,

‘তা আমার সাথে বিয়ে ঠিক করে আমাকে না জানানোর কারন?”

“একটু উচিত শিক্ষা দিলাম আর কি! যদিও কাল সব সত্য আপনাকে বলে দিতাম কিন্তু আপনার পাগলামির জন্য আজকেই বলতে হলো।”

“তা আমাকে বিয়ে করার কারন আপনার ভাষায় তো আমি আপনাকে কষ্ট দিয়েছিলাম।”

“আমার ভাষায় মানে আপনি তো সত্যি সত্যি আমাকে কষ্ট দিয়েছিলেন।”

“হুম।”

“এখন আপনি যান আমি ভার্সিটি যাবো।”

“আমিও তো যাবো! আজ আমি আপনি আরহাম ভাইয়া একসাথেই যাই।”

‘তো যান নিচে যান ব্রেকফাস্ট করুন আমি রেডি হয়ে আসছি।”
________________

আবরার আরুহি আর আরহাম আজ একসাথে ভার্সিটি এসেছে। যদিও আলাদা গাড়িতে। ভার্সিটির অনেকেই জেনে গেছে আরহাম আর আরুহি ভাইবোন। আরুহি নামতেই ওর ফোনে একটা আননোন নাম্বার থেকে কল এলো ও আরহাম কে বলল,,

“ভাইয়া তুমি যাও আমি আসছি একটা কল এসেছে।”
আরহাম চলে গেল আরুহি রিসিভ করে সালাম দিল,,

“আসসালামু আলাইকুম!”

“ওয়ালাইকুমুস সালাম!”

কন্ঠ টা শুনে আরুহি একটু থমকালো তারপর বলল,,

“কে বলছেন?”

“আপনি কি মিস এ.এম.কে ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর এম.ডি আরুহি মাহমুদ খান বলেছেন?’

‘কেন মিস্টার এখনো আপনার কোন সন্দেহ আছে নাকি। যদিও সেদিনের জন্য একটু কনফিউজড হয়েছিলেন।”

“ওহ হো আরুহি এই জন্যই তো তোমাকে এত ভালো লাগে কন্ঠ শুনলেই বুঝে ফেলো কে ফোন করেছে।”

“ওহ হো মিস্টার আব্দুল লতিফ আপনার কন্ঠটা এত ফুটফুটে সুন্দর যে কি বলবো ভুলতেই পারি না। তবে আপনার সাথে বোধহয় খুব তাড়াতাড়ি দেখা হচ্ছে। সবকিছুর জন্য প্রস্তুতি নিন। আপনার জন্য সারপ্রাইজ আছে।

“সারপ্রাইজ পেতে তো আমার দারুন লাগে। তবে বোধহয় তোমার থেকে সারপ্রাইজ পাওয়া হলো না।”

“মানে?”

“মানে টা কিছুক্ষণ পরেই বুঝতে পারবে কিন্তু আমাকে বলার মতো অবস্থায় থাকবে না।”

এটা শুনে আরুহি একটু চিন্তায় পরে গেল ও চোখ বন্ধ করলো তখনি ঘড়ির কাটার মতো টিক টিক আওয়াজ শুনতে পেল। আর ফোনে হাসির আওয়াজ আসলো আর সে বলল,,

“সারপ্রাইজ পর ইউ আরুহি! বোমমমমমম!!!

~চলবে,,

বিঃদ্রঃ আসসালামু আলাইকুম। দেরি করে গল্প দেওয়ার জন্য দুঃখিত। পার্সোনাল কিছু সমস্যার জন্য ভেবেছিলাম আজকে গল্প দিতেই পারবো না। আলহামদুলিল্লাহ ছোট হলেও দিতে পারলাম। ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here