#গুছিয়ে_রাখা_আবেগ
#পর্ব_১৫
#আজরিনা_জ্যামি
আরহাম আর আফরিন বাগানে চলে এলো । কারো মুখে কোন কথা নেই। হুট করে আফরিন বলল,
“আপনার কি মনে হয় আমার ভাই আপনার বোনের যোগ্য নয়!”
“হঠাৎ এই প্রশ্ন?”
“না মানে ভাইয়া এতবার করে আরুকে বলছে সব ভুলে নতুন করে শুরু করতে কিন্তু আরু মানছেই না।”
“হুমায়ূন স্যার বলেছিলেন , পৃথিবীর সবচেয়ে তীব্র শোক হচ্ছে জীবিত মানুষ হাড়িয়ে যাবার শোক! আমার বোন তোমার ভাইকে নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবেসেছিল কিন্তু কতটা ভালোবেসেছিল সেটা সে কারো সামনে প্রকাশ করে নি। শুধু কয়েকটা শব্দে প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সেই কয়েকটা শব্দের কথাগুলো কতটা গভীর ছিল সেটা হয়তো অপরজন বা তুমি উপলব্ধি করতে পারবে না। এই যে আরুহি কে দেখছো সে পাঁচটা বছর ধরে মন খুলে হাসে না। মাঝে মাঝে কথার মাঝেই তার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই তার কথা মনে পরে বুকে অসহ্য যন্ত্রনা হয়। দম বন্ধ হয়ে আসে।জোরে জোরে শ্বাস নিতে হয় যাতে কষ্টটা কমে। রাতে হুট করেই ঘুম ভেঙে যায় একলা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। কত রাত নির্ঘুম যায় সেটা শুধু সেই-ই জানে। এগুলো খুব কষ্টদায়ক আর ভয়ংকর ব্যাপার। এগুলো ভোলা সহজ নয় আফরিন।”
কথাগুলো শুনে আফরিন এর চোখ ছলছল করে উঠলো। তার বেস্ট ফ্রেন্ড কতোটা কষ্টে ছিল বা আছে সেটা সে উপলব্ধিই করতে পারে নি।পারবে কি করে আরুহি যে কখনো তাদের বলে নি। শুধু ভালো থাকার অভিনয় করে গেছে। আরহাম বলল,,
“ওসব কথা বাদ দাও একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। ওদের টা ওরা বুঝে নিবে। খুব তাড়াতাড়িই ওদের মাঝে বোঝাপড়াটা হবে। এখন বলতো তুমি নাকি আমাকে পছন্দ করে করো?”
এ কথা শুনে আফরিন থতমত খেয়ে বলল,,
‘আমি আপনাকে পছন্দ করি আপনাকে কে বলল?’
“কে আবার বলবে তুমি নিজেই তো পাঁচ বছর আগে বলেছিলে।”
এ কথা শুনে আফরিন নিজের মুখ হাত দিয়ে ঢেকে মনে মনে নিজেকেই গালি দিল কথায় এতটায় থতমত খেয়েছিল যে ও ভুলেই গেছিল পাঁচ বছর আগে ও আরহাম কে বলেছিল। কিন্তু আফরিন দমলো না। বলল,,
“পাঁচ বছর আগে বলেছিলাম তো কি হয়েছে এই পাঁচ বছরে কি মানুষের পছন্দ চেন্জ হতে পারে না।”
“তা পারে!”
“তাহলে! এখন আমিও আর আগের মতো নেই। আর আমার পছন্দও।”
“তাই নাকি! তাহলে কার কাছে থেকে যেন শুনলাম আমি না চাইলেও তুলে নিয়ে বিয়ে করবে।”
“হ্যা করবোই তো!”
এ কথা বলেই আফরিন মুখে হাত দিলো। তা দেখে আরহাম হেঁসে বলল,,
“তোমার আমাকে তোমার অনুভুতি প্রকাশ করার স্টাইলটা অনেক ভাললাগছিল। ঐ বান্ধবীর ভাই আপনাকে এত ঘটা করে কিছু বলতে পারবো না। আপনাকে আমি পছন্দ করি।”
“স্টাইল পছন্দ হলে কি হবে আপনি তো উত্তর-ই দেন নি!”
“তখনকার সময়ে তোমাকে কি উত্তর দেব আমার জানা ছিল না। তারপর তো আমাদের দেখাই হয় নি।”
“হুম তা এখন সেটার উত্তর দিন না।”
“হ্যা মা! আসছি মা ডাকছে চলো ভেতরে যাই।”
“আরে ভালো মা কখন ডাকলো!”
“তুমি তো আমার ধ্যানে ছিলে তাই শুনতে পাও নি। এখন বেশি কথা না বলে চলো।”
আরহাম বাড়ির তাড়াতাড়ি করে ভেতরে চলে গেল। তা দেখে আফরিন হেঁসে বলল,,
“আজকেও পালালেন সেদিনের মতো। সেদিন ও আপনি ঐ কথাটা শোনামাত্র ওখান থেকে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় যে আমাকে আপনার ব্যাপারে অবগত করে।”
___________________
আরুহির জ্বর এখন নেই বললেই চলে। ও আস্তে আস্তে নিচে আসার চেষ্টা করছে। তবুও শরীর টা দূর্বল তাই আস্তে আস্তে আসছে। নিচ থেকে রেহানা খান দেখে তাড়াতাড়ি করে ওপরে গেলেন সবাই নিচেই ছিল ওনার তাড়াতাড়ি করে যাওয়ার ব্যাপারটা কেউ বুঝতে পারল না। অবশেষে ওপরে তাকাতেই বুঝতে পারল। আরহাম ও তাড়াতাড়ি করে ওপরে চলে গেল। রেহানা খান আরুহির এক হাত ধরে বলল,,
“অসুস্থ শরীর নিয়ে পাকনামো না করলে ভালো লাগে না তোর। ”
‘কি করবো বলুন আন্টি সেই ছোটবেলার অভ্যাস।”
তখন আরহাম আরেক হাত ধরে বলল,,
“তোকে সব সময় মারের ওপরে রাখা উচিৎ এখন যদি তুই পরে যেতি তাহলে মাথা এইবার শেষ।”
“যে একবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসে সে এত সহজে মরে না।”
এ কথা শুনে রেহানা খান এর বুকটা ধক করে উঠলো। আর আরহাম অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো। আরহাম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বলল,,
“থাক বইন তোর দুঃখের কথা এহন হুনুনের সময় বা টাইম কোনটাই নাই। এহন অফ যা আমার খিদা লাগছে এহন খাওয়ার টাইম।”
এ কথা শুনে আরুহি হাসলো আর বলল,,
‘পেটুক কোথাকার !”
“তুই তোর বাপে, তোর জামাই, তোর ভাই , তোর চৌদ্দ গুষ্টি পেটুক।”
“আমার ভাই আর আমার চৌদ্দ গুষ্টির মধ্যে তুমি ও পরো।”
“তারমানে নিজের বেজ্জতি নিজেই করলাম। না এই একদিনে মান সম্মান সব গেল।”
এ কথা শুনে আরুহি হেসে উঠলো। তা দেখে আরহাম বলল,,।
“ঐ মাইয়া একদম হাসবি না। তোর ঐ হাসি এহন আমার গায়ে জ্বলন ধরাইতেছে।”
“আচ্ছা চলো নিচে আমি একাই যাইতে পারতাম কিন্তু তোমরা দুজনে আমাকে আটকে দিলে।”
ওরা তিনজন নিচে চলে এলো। সবাই একসাথে খাওয়া শুরু করলো রেহানা খান আরুহিকে খায়িয়ে দিতে চাইলে ও বলল ভাইয়া খায়িয়ে দেবে আজ। আর ওনাকে ওদের সাথে বসলো। রেহানা দ্বিমত করলে আরহাম জোর করলো তাই উনিও বসলো। হুট করে আরুহি বলল,,
“আংকেল আজ অফিসের পরে একেবারে আমাদের বাড়িতে আসবেন। আসলে শুক্রবার এর কথাগুলো আজকেই শেষ করতে চাই আর খুব তাড়াতাড়ি কাজ টা সেরে ফেলতে চাই।”
“আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু তোমার মায়ের বিষয়ে সবকিছু ক্লিয়ার করা উচিৎ। যদি ওর সবকিছু মনেই থাকে তাহলে আমাদের কেন বললো না।”
“আসলে আংকেল ওনার আগের সত্যি কিছু মনে ছিল না লাস্ট ডোজ ওষুধ নেওয়ার পর উনার সবকিছু মনে পড়ে। কিন্তু উনি কোন একটা কারনে কাউকে জানান নি।”
“আরুহি তুমি কিভাবে জানলে?”
“সে জেনেছি এটা নিয়ে তো বিস্তারিত উনিই বলতে পারবে। আপনারা অফিসের পর আমাদের এখানে আসবেন তখন সব কথা হবে। আর হ্যা আপনি অফিসে যান আন্টি আফরিন আর মিস্টার নিশান আবরার এখানেই থাকুক।”
“নিশানকে আমার সাথে যেতে হবে।”
“আচ্ছা তাহলে আন্টি আর আফরিন থাকুক।”
“আচ্ছা ঠিক আছে।”
ওনারা খেয়ে দেয়ে চলে গেল । আরুহি আরহাম কে নিয়ে ওপরে গেল। আর রেহানা খান কে বলে গেলেন আফরিন দের সাথে থাকতে। রেহানা খান এগিয়ে আর গেলেন না।
______________
“ভাইয়া আমার বিয়েও ঠিক করবে আজ!”
“মানে! তুই আর বিয়ে কিন্তু কার সাথে!”
“আমার জামাই এর সাথে!”
“না বলে দিলে বুঝবো কিভাবে তোর জামাই কে?”
“এই দেখো এনাকে!”
আরুহি ফোনটা আরহামের সামনে ধরলো। সেখানে কাল রাতে আবরার যে কথা গুলো বলেছে সেগুলো রেকর্ড করা যা আফরিন কাল রাতেই পাঠিয়েছে। আরুহি আজ ফোন চেক করতেই দেখতে পেল। এটা দেখে আরহাম খুব খুশি। ও খুশি হয়ে বলল,,
“আবরার কে! ইয়ে আমার বোনের বিয়ে হবে।”
“আরে কি করছো পাগল হলে নাকি। এভাবে ছোট বাচ্চাদের মতো কি করছো।”
“আমি কতটা খুশি তোকে বলে বোঝাতে পারবো না।”
“তা আরুহি মাহমুদ এর বিয়ে কি এমনি এমনি হবে?”
“একদম না গ্ৰান্ড সেলিবেশন হবে। সব আমি দেখবো নিজ দায়িত্বে।”
“তোমার আর আমার বিয়ে তো একদিনেই তাহলে তুমি কিভাবে সব করবে।”
“একদিনে মানে?”
“আমরা দুই ভাই বোন একসাথে একদিনে বিয়ে করবো!নিশিরা ওরাও তাই করবে।”
“না বোনু না আমার কতোদিন এর ইচ্ছে আমার বোনের বিয়েতে আমি সব করবো আর খুব মজা করবো।”
“তোমার বিয়ে হলে কি হবে তুমি কি মজা করতে পারবে না।”
“ওভাবে মজা করা যায় না।”
“না আমি একদিনেই বিয়ে করবো। আমাদের দুই বান্ধবীর কতো দিনের শখ আমরা একসাথে বিয়ে করবো।”
“ওহ আচ্ছা তাহলে এই ব্যাপার আচ্ছা ঠিক আছে সব ডান।”
“থ্যাঙ্ক ইউ ভাইয়া। তবে নিশান এর সাথে আমার বিয়ে এটা নিশান কে জানাবে না। আগে ওনাকে কয়েকদিন শাস্তি দিই তারপর বলবো। ব্যাটা আমাকে কষ্ট দিয়েছে এবার হারে হারে টের পাওয়াবো।”
“আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু মায়ের ব্যাপার টা কি করবি।”
‘দুপুরে খাওয়ার সময় সর্ট আউট করবো।”
“আচ্ছা ঠিক আছে।”
________________
আবরার মিটিং শেষ করে আরুহিকে ফোন করলো। আরুষি শুয়ে ছিল আরহাম নিজের রুমে কাজ করছিল আফরিনরা নিজেদের রুমে ছিল। আরুহি ফোন তুলে সালাম দিল,,
“আসসালামু আলাইকুম!”
‘ওয়ালাইকুমুস সালাম! এখন কেমন লাগছে আবার জ্বর আসে নি তো?’
“আলহামদুলিল্লাহ এখন ঠিক আছি। জ্বর নেই বললেই চলে। তা এই সময় ফোন দিয়েছেন কেন?”
“মিটিং শেষ করে আপনার কথা মনে পরলো তাই কল দিলাম।”
“এমনি তো আমার অগোচরে আপনি আমায় তুমি করে ডাকেন তাহলে সামনে এলে আপনি করে কেন বলেন?”
এ কথা শুনে আবরার একটু থতমত খেল। আর বলল,,
“আপনার এমন কেন মনে হলো আমি আপনার অগোচরে আপনাকে তুমি করি বলি।”
“ওহ আচ্ছা বলেন না বুঝি।”
“আমি কখন বললাম বলি না।”
“তারমানে বলেন?”
“বললেই বা কি আর না বললেই কি আমি শুধু জিজ্ঞেস করলাম আপনার এমন কেন মনে হলো।”
“ঐ এমনি বললাম!
“ওহ আচ্ছা!”
“হুম!”
“আজকের আকাশ টা দেখেছেন কি সুন্দর!”
“না দেখি নি আমি তো আজ বেলকনিতে যাই নি।”
‘ওহ!”
‘হুম!”
“একটা চিরকুট লিখেছি শুনবেন?”
“আমি না বললে কি আপনি শোনাবেন না।”
“আচ্ছা শোনাচ্ছি ,,সে কি জানে তার আগে আমি মুগ্ধ হয়েছি তার চোখের মায়াতে। তার রেগে গাল ফুলোনো স্বভাব সবসময় আমাকে মুগ্ধ করতো।”
“আর কিছু পেলেন না গাল ফোলানো তে মুগ্ধ হলেন।”
“এই যে কথার মাঝে কথা বললেন এখনো তো চিরকুট টা শেষ হয় নি।”
“আমি আর শুনতে চাই না।”
‘আমি যখনি এক পা আগাই আপনি তখন আবার তিন পা পিছিয়ে দেন।”
“আচ্ছা ঠিক আছে রাখছি পরে কথা হবে এমনিতেও অনেক অহেতুক কথা হয়ে গেছে। আল্লাহ হাফেজ।”
আরুহি ফোন কেটে দিল। তখন আফরিন এলো ওর রুমে ওরা কিছুক্ষণ কথা বলল। দুপুরে খাবার টেবিলে বসে আরুহি রেহানা খান কে বলল,,
“আন্টি আপনাকে কি বলে সম্বোধন করবো বলুন তো?”
একথা শুনে রেহানা খান বলল,,
“কেন?”
“আরে দেখুন না আপনি ভাইয়ার ওপর নিজের অধিকার ফলাচ্ছেন দেখছি মার ও দিতে চাইছেন অথচ আমি আপনাকে আন্টি বলে যাচ্ছি আপনার কোন সারা শব্দ নেই।”
“ও তো তুই অসুস্থ দেখে ছাড় দিচ্ছি। সুস্থ হ তারপর শাস্তি দেব।
“ওহ আচ্ছা!”
ওদের খাওয়া শেষ হতেই আবরার আর নাহিয়ান খান এলো। ওদের খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই ড্রয়িংরুমে বসেছে রেহানা খানের কথা শুনতে। আরহাম বলল,,
“তো মা এখন বলো তুমি ওনাদের কাছে গেলে কি করে আর তোমার সব মনে পরার পরেও আমাদের কিছু জানালে না কেন?’
“আসলে সেদিন একটা এক্সিডেন্ট হয়েছিল। তারপর আমি কিছু জানিনা যখন চোখ খুলি তখন আমি হাসপাতালে ছিলাম। আমার অতীতের কিছু মনে ছিল না তাই নাহিয়ান ভাই বলে আমি নাকি ওনার বোন। এরপর সুস্থ হয়ে ওনাদের বাড়ি নিয়ে যান অনেকটা সুস্থ হওয়ার পর আমার আবছা কিছু মনে পরে তখন মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা হয়। এভাবেই দিন যাচ্ছিল। ডাক্তার বলে আমি ধীরে ধীরে নাকি সব মনে করতে পারবো। লাস্ট ডোজ ওষুধ দেওয়ার পর আমার সব ঠিকই মনে পরে কিন্তু পুরোনো কিছু ভেবে আমি কাউকে জানাই নি।কারন আমি বেঁচে আছি জানতে পারলে সে তোদের কে মেরে ফেলতে চাইবে যেভাবে আমাকে চেয়েছিল। আমি তোদের কাছে আসলেই তারা আমাকে চিনে ফেলবে। কিন্তু আমি জানতাম না তাদের সাথে তোদের যোগাযোগ নেই। তোরা দুই ভাইবোন আলাদা থাকিস। আর সেদিন তোদের কে আরো বলি নি কারন আমি নিজেই কনফিউজড ছিলাম তোরাই কিনা।”
“কিন্তু তোমার এক্সিডেন্ট হলো কি করে?”
“ভাইয়া বাদ দাও সেসব পরে শোনা যাবে। তো আংকেল এখন থেকে মা আমাদের সাথে থাকবে আপনার কোন সমস্যা নেই তো!”
“আমি রুনাকে আমার বোন বলেই সব সময় মেনে এসেছি। কিন্তু তার থেকে বড় ও তোমাদের মা এতদিন তো রুনার কেউ ছিল না। কিন্তু এখন আছে তাই ও তোমাদের সাথেই থাকবে।”
“ধন্যবাদ আংকেল!এবার তাহলে বিয়ের কথায় আসি”
তখন আফরিন বলল,,
“কার বিয়ে?”
“তোর বিয়ে?”
‘আমার বিয়ে আর আমি জানিনা। কার সাথে?”
“আমার ভাইয়ার সাথে!”
“ওহ আচ্ছা….. কিইইইইইইইই”
বলেই আফরিন একটি চিৎকার দেয়। ওর চিৎকারে সবাই হেঁসে উঠে । আফরিন দৌড়ে ওখান থেকে চলে যায়। এদিকে সবাই ডেট ফিক্সড করে। আরহাম আবারার এর অগোচরে নাহিয়ান খানের সাথে আবরার আর আরুহির বিয়ের কথাও সেরে ফেলে। প্রথমে নাহিয়ান খান একটু ইতস্তত করছিল কিন্তু পরে ভেবে দেখেন মন্দ নয়। বিকালে সবাই চলে গেল আফরিন তো লজ্জায় আরহামের সামনেই আসে নি। রাতে খাবার টেবিলে আরুহি বলল,,
“তার সাথে দেখা করার সময় হয়ে গেছে?”
“কার কথা বলছিস?”
“তার কথা যার জন্য আমাদের থেকে আমাদের মা হাড়িয়ে গেছিলো। যার জন্য আমার মা এতগুলো বছর আমাদের থেকে দূরে ছিল।”
“মা তুমি কি তাকে জানো?”
“তোরা কার কথা বলছিস!”
“তারমানে তুমি মনে করো ওটা সত্যি এক্সিডেন্ট ছিল। ওটা সত্যি এক্সিডেন্ট ছিল না ওটা ইচ্ছে করে করানো হয়েছিল। আর তোমার নামে সে আনোয়ার খানের পরিবার কে বলেছে তুমি পালিয়ে গেছো।”
“সেটা আমি জানি!”
“ওহ হো সামনের সপ্তাহে আনোয়ার খানের বাড়িতে যাচ্ছি আমাদের বিয়ের দাওয়াত দিতে। আর মা তুমি ও আমাদের সঙ্গে যাবে।”
~চলবে,,