কেন আমি ডাকি তারে -২৩
রেহান রাতে ফোন করল নিতুকে।
নিতু, কবে ফিরতে চাও ঠিক করেছ?
নিতু বলল, না, আমি কিছুদিন এখানে থাকব।
হ্যা, সেটা তো জানি, কিন্তু তাও। তুমি কবে ফিরতে চাও সেটা আমাকে জানাতে পারবে না?
নিতু বলল, জানাব। আচ্ছা তুহিনের সাথে আপনার কথা হয়েছিল?
রেহান বলল, হ্যা!
সেটা আমাকে বলেন নি কেন?
বলার মত সুযোগ পাই নি।
আচ্ছা।
তুহিন কী বলেছে তোমাকে?
না, তেমন কিছু না৷ আমাকে পাচ্ছিল না তাই চিন্তা করছিল। ও আসবে কয়েক মাসের মধ্যে।
গুড! কংগ্রাচুলেশনস। এজন্য ফিরতে চাইছ না, তাই তো!
না, সেরকম কিছু না।
নিতু, আমার কাছে তোমাকে ফিরতে হবে, এমন কোনো কমিটমেন্ট আমাদের ছিল না। কিন্তু আমার মনে হয়, তুহিনের বিষয়ে তোমার ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। ওর আচরন আমার সন্দেহ জনক লাগে।
কেমন সন্দেহ? কী করেছে তুহিন!
রেহান কোনো উত্তর দিতে পারল না।
নিতু বলল, আন্দাজ করে কাউকে জাজ করা উচিৎ না।
আজ রাখছি তাহলে।
কেন, তুহিন ফোন করবে?
কি আশ্চর্য, করলে করবে! এটাই তো স্বাভাবিক!
রেহান বলল, নিতু কোনটা অস্বাভাবিক? আমরা কি একটুও কাছাকাছি আসি নি?
নিতু বলল, এসেছি। সেটাও স্বাভাবিক ছিল। আপনি নিজেই আমাকে বলেছেন, আপনি সায়রা ছাড়া কাউকে ভাবতে পারেন না। তারপরেও আমরা কাছাকাছি গিয়েছি, সেটা ছিল প্রাকৃতিক! ন্যাচারাল। আমি না হয়ে অন্য একটা মেয়ে হলেও আপনি ক্লোজ হতেন, সেম আমার ক্ষেত্রেও, বিষয়টা পুরোপুরি হরমোণাল, নারী পুরুষের চিরায়ত টান!
এসব কথা কি তুহিন শিখিয়ে দিয়েছে তোমাকে?
রেহানের কন্ঠস্বরে রাগ বোঝা যায়।
না, এগুলো তুহিন বলে নি।
নিতু, আমি কাল তোমাকে নিতে আসব। তুমি আমার সাথে ফিরে আসবে।
সরি রেহান, আমার একটু সময় প্রয়োজন৷ এখানে কয়েকটা দিন আমি একটু একা থাকি। আর
– নিতু স্পষ্ট জবাব দিলেও থামল…
-আর কি?
– মিউচুয়াল সেপারেশন না ডিভোর্স নাকি দুটোই এক, এই বিষয়ে একটু খোজ নেওয়া প্রয়োজন। আমি কিছুই জানি না।
রেহান বলল, আমিও জানি না। হয়তো জানতেও চাচ্ছি না।
নিতু বলল, না চাইলেও জানতে হবে। বান্দরবানের কথাগুলে আমারও মনে আছে। আপনি আরেকটা মেয়কে ঠকাতে পারেন না।
রেহান ফোন রেখে দিলো! বিষন্ন লাগছে।
ফোন রাখার পরে নিতুর কান্না পেলো। কোনো অজানা কারণে নিতু ফুঁপিয়ে কাদতে লাগল।
চলবে
শানজানা আলম