কৃষ্ণময়ীর অলংকার অংশবিশেষ

0
1221

#কৃষ্ণময়ীর_অলংকার
#রাহনুমা_রাহা

অংশবিশেষ

ভাতের থালা হাতে নিয়ে পাক্কা একঘন্টা সময় ধরে পালকি ও তিলকের পিছু পিছু দৌড়াচ্ছে তপা। এত কসরতের পরও অর্ধেকটা খাবার অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে এখন অবধি। ড্রয়িং রুমের অবস্থা দু’জনে নাজেহাল করে ফেলেছে। সোফার কুশন পড়ে আছে ডাইনিং টেবিলের নিচে। টি টেবিলের সোনা রঙা টেবিল ক্লথটা মেঝেতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। ফুলদানির তাজা ফুলের পাপড়িগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এ কোণা থেকে ও কোণায়। তপার মনে হচ্ছে ড্রয়িং রুমে ফুল দিয়ে বাসর সাজানো হয়েছে। সাধারণত হয় বাসর ঘর। কিন্তু ড্রয়িং রুমের এ অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বাসর বসার ঘর।

ক্লান্ত শরীরে সোফার উপর ধপ করে বসে পড়ল তপা। পা দুটো আর চলছে না। যে পরিমাণ দৌড়েছে, ম্যারাথনে নাম লেখালে প্রথম না হলেও দ্বিতীয় স্থান তার জন্য বরাদ্দ থাকতো। দীর্ঘশ্বাস ফেলে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে কিটকিটিয়ে হাসতে থাকা বাচ্চাদুটোর দিকে তাকাল। কি নিষ্পাপ মুখ। অথচ হাড়ে হাড়ে বজ্জাত। ঠিক এদের বাবার মত।

পায়েল তাজওয়ার ড্রয়িং রুমে এসে মৃদু হাসলেন। এটা নতুন নয়। প্রতিবেলা খাওয়ানোর সময়ই টর্নেডো বয়ে যায় বসার ঘরটায়। একমাত্র পলক খায়িয়ে দিলে চুপচাপ খেয়ে নেয় তারা। বাবার কাছে তাদের কোনো অরুচি নেই। কোনো তালবাহানা নেই। তাদের জ্বালাতন শুধু মায়ের কাছে এলেই শুরু হয়।

পায়েল তপার পাশাপাশি বসে নমনীয় গলায় বলল,
“পলক কে দুপুরে আসতে বলিস কাল থেকে। যেমন দুষ্টু বাচ্চার জন্ম দিছে তেমন কষ্ট করে এসে খাবার খায়িয়ে যাবে। আমি বুঝতে পারি না দুটো বাচ্চাই বাবার স্বভাব পেল কেন? একজন তো তোর মত হতে পারতো।”
তপা ক্লান্ত ঠোঁটে মুচকি হাসল।
“মা আপনার ছেলে এমনিতেই ব্যস্ত থাকে। দুপুরে এসে খায়িয়ে গেলে তার আরও প্রেসার পড়বে। তাছাড়া রাতে আর সকালে তো সে-ই খায়িয়েই দেয়। আমি একবেলা খাওয়াতেই নাজেহাল হয়ে যাই। বাচ্চা দুটোই অতিরিক্ত পরিমাণে দুষ্ট।”
পায়েল তাজওয়ার হেসে বললেন,
“এরা তো এদের বাপের এক কানাকড়িও না। ওদের বাপ আরও দুই ডিগ্রী ওপরে ছিল। একটা বাচ্চা আসতে পারতো না ওর জন্য। আমার দু একজন বন্ধু বা কলিগ বাচ্চা নিয়ে এলে দশমিনিটেই কেঁদে কেটে অস্থির হয়ে যেতো। পরে তদন্ত করে জানতে পারতাম তা ওই বজ্জাতটারই কর্ম। পরে সবাই মোটামুটি বয়কট করেই চলতো এবাড়ি। বাচ্চারা তাজমহলে এলেই মনে হতো কেউ যেন ক্রাইং গ্যাস ছেড়ে দিয়েছে। কাঁদতেই থাকত।”
তপা খিলখিলিয়ে হেসে উঠল।

পায়েল পুনরায় বলল,
“বিনুনি করা নিয়ে আমাকে কি পরিমাণ জালিয়েছে জানিস? ও আমার চুলে বিনুনি করে দিতো। ওর বিনুনির আবার একটা স্টাইল আছে। শেষ অংশে দুটো গিট দিয়ে দেয়। আগে খেয়াল করেছিস কিনা জানিনা। এখন দেখ তোর বিনুনিতেও আছে।”
তপা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলল। শ্বাশুড়ি বিনা সংকোচে বলে দিচ্ছে তার ছেলে, ছেলে বউয়ের চুল বেঁধে দেওয়ার কাহিনী। পলক টাও হয়েছে। সকাল সন্ধ্যা চুল নিয়ে মাতামাতি না করলে তার শান্তি নেই। ইউটিউব ঘেঁটে নতুন নতুন স্টাইল শিখে অত্যাচার চালায় প্রতিবেলা। তপাও এনজয় করে মিষ্টি মিষ্টি অত্যাচারগুলো।

তপার লজ্জা পাওয়া দেখে পায়েল মুচকি হাসল। পুনরায় বলল,
“লজ্জা পাচ্ছিস কেন? আমরা আমরাই তো। পলক টা ছোট থেকে ল্যাদাবাচ্চার মত থাকলেও আসলে কিন্তু ও মিচকে শয়তান। মুখ দেখে গলে যাবি তুই। ও কিন্তু তখন ভেতরে ভেতরে হেসে কুটিকুটি হচ্ছে। দেখলি না আমি বিয়ের কথা বললে বলতো কাউকে ভালবাসে সে পাত্তা দিচ্ছে না। অথচ তলে তলে বাচ্চা ফুটিয়ে বসে আছে। বাচ্চাগুলোও এদের বাবার মত হলে তুই চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে যেতি। আমি একটা নিয়েই হাঁপিয়ে উঠছিলাম। এরা তো দুজন। বাবার ছিটেফোঁটা দুষ্টুমিও ওরা করে না।”

তপা শ্বাশুড়ির কথা শুনতে শুনতে নিজের নাড়ীছেড়া ধন বাচ্চাদুটোর দিকে তাকাল। চার বছরের ছোট ছোট দুটো পুতুল। একটা ছেলে পুতুল একটা মেয়ে পুতুল। জীবন্ত পুতুল দুটো তার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি মিষ্টি হাসছে। আবার দুজন কানে কানে কিছু বলাবলি করছে।
তপা হাত বাড়িয়ে কাছে ডাকল।
পালকি নিজের ছোট ছোট চুলে করা দুই ঝুঁটি দুলিয়ে চোখের পলকে ছুটে এল। পিছুপিছু দৌড়ে এলো তিলকও। দুজন দু’হাতে আঁকড়ে ধরল তাদের অতি আপন মাম্মা কে। আধো আধো বুলিতে বলল,
“আই লাভ ইউ মাম্মা।”
তপা চোখে খুশির অশ্রু নিয়ে শ্বাশুড়ির পানে তাকাল। পায়েল তাজওয়ার মৃদু হেসে তাকিয়ে রইল।
তপা দু’জনের কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে নিল বক্ষপিঞ্জরে।

ঘড়িতে সময় ছয় টার ঘর পেরিয়েছে কিছু সময় আগেই। তপা জানালার গ্রিল ধরে নিজের অতীতের স্মৃতি হাতড়াচ্ছিল। এত এত দুঃখের স্মৃতির ভীড়ে সুখের স্মৃতিগুলোই কেবল মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

কলিং বেলের আওয়াজ পেয়ে পালকি তিলক বিছানা থেকে লাফিয়ে নামল। তপা পেছন ফিরে তাকালে দুজন হেসে বলল,
“বাবাই আসছে। বাবাই আসছে।”
বলে অপেক্ষা করল না তপার কথা বা অনুমতির। ছুটতে ছুটতে চলে গেল ঘর ছেড়ে।
মিনিট কয়েক পর পলক দু’জনকে দু কোলে তুলে অনায়াসে হেঁটে চলে এলো। বিছানায় বসিয়ে নিজে ফ্রেশ হয়ে নিল। তপা তখনও জানালার ধারে নির্বিকার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে।
পলক বাচ্চাদের ফিসফিস করে বলল,
“কি হয়েছে বাপ জানেরা? আপনাদের মাম্মা বিরহে ডুবে আছে কেন? কোন পাকামি করেছেন আপনারা?”
দুজন মাথা নিচু করে ফেলল। পলক বুঝতে পারল বাচ্চারা আবার খাওয়া নিয়ে অত্যাচার চালিয়েছে তপার উপর।
বিছানা ছেড়ে ধীর পায়ে হেঁটে তপার পেছনে দাঁড়াল পলক। হাত ধরে তপাকে সামনে ঘুরাতেই দেখতে পেল চোখের কার্নিশে চিকচিক করতে থাকা নোনাজল।
তপার পেছনেই হাঁটু গেড়ে বসে হাত বাড়িয়ে দিল পালকি তিলকের দিকে। দুজন দৌড়ে এসে বাবার বুকের দুই পাশে মিশে গেল।
পলক দু’জনকে দুবাহুতে আঁকড়ে ধরে বলল,
“আজ আবার খাওয়া নিয়ে বায়না করেছো? মাম্মার হাতে খাওনি?”
দুজন নিষ্পাপ ভঙ্গিতে মাথা নাড়ালো। পলক মৃদু হাসল। এতো তারই স্টাইল কপি করা। দুষ্টুমি করে ইনোসেন্ট সাজা।
দুজনের দিকে পরপর তাকিয়ে বলল,
“বাবাই তো দুবার খায়িয়ে দেয়। একবার মাম্মার কাছে খাওয়া যায় না? মাম্মার প্রিন্স এন্ড প্রিন্সেস না খেলে মাম্মা তো কষ্ট পায়। দেখ মাম্মা কাঁদছে। সরি বলো। বলো কাল থেকে মাম্মার হাতে খাবে।”
পালকি মায়ের মুখের দিকে তাকাল। খানিক্ষন ভাবার ভঙ্গি করে বলল,
“বাবাই মাম্মা আমাদের জন্য কাঁদছে না। মাম্মা তো আমাদের খাওয়ার পরও আদর করে দিয়েছে। মাম্মা তো আমার বাবাইয়ের জন্য কাঁদছে। বাবাই আজ দেরি করে এসেছে না? তাই জন্য। মাম্মা বাবাইকে মিস করেছিল। তাই না মাম্মা? এই ভাই বল না।”
পলক শুকনো মুখে কেশে উঠল। তপা চোখ পিটপিট করে তাকাল। মনে মনে ভাবল বেশ হয়েছে। কুলক তাজওয়ারের বাচ্চা তার মত তো হবেই। এখন নিজেই জব্দ হোক। আমিতো সারাদিনই হই। এখন ঠ্যালা সামালাও।
তিলক মায়ের হাত ধরে ঝাকিয়ে বলল,
“কাল থেকে আর বায়না করব না মাম্মা। লক্ষী হয়ে খাব। কাঁদে না মাম্মা। বাবাই কষ্ট পাচ্ছে। তাই না বাবাই?”
পলক আবারও খুকখুক শব্দে কেশে উঠল পুনরায়। তপার এবার গড়াগড়ি খেয়ে হাসতে ইচ্ছে করছে।

পলক দুজনের দিকে তাকিয়ে বলল,
“বাপজানেরা এবার দাদু দিদানের কাছে যান। মাম্মার এখন ম্যাজিকাল টাইম লাগবে। বাবাই ম্যাজিক করে মাম্মার মন খারাপ ভালো করে দেবে। ততক্ষণ দাদু দিদানের কাছে থাকুন। কেমন?”
পালকি তিলক হেসে বলল,
“ঠিক আছে বাবাই।”

বাচ্চাদের পিছুপিছু তপাও ঘর ছাড়ার জন্য পা বাড়ালে হাত টেনে নিজের কাছে এনে এনে বলল,
“এই কৃষ্ণময়ী, তুমি কোথায় যাচ্ছো? তুমি চলে গেলে ম্যাজিক্যাল টাইম কি আমি ভুতের সাথে স্পেন্ড করব?”
তপা মৃদু স্বরে বলল,
“দু’ঘন্টা যেখানে ছিলেন সেখানে যান না।”
পলক বুঝতে পারল তার অভিমানিনীর অভিমান আকাশ ছুঁয়েছে। তাই তো সম্মোধনে আপনি চলে এসেছে।
“অফিসে প্রচুর কাজ ছিল তিয়াশা। আমি চাইলেও সময়ে আসতে পারি নি। এমপ্লয়িদের ছুটির ঘন্টা চারটায় বাজলেও আমার তো ছুটির ঘন্টা নেই কৃষ্ণময়ী। কাজ শেষ না হওয়া অবধি আমি অন ডিউটি। এজন্য অভিমান করলে আমি কি করব কৃষ্ণময়ী? তুমি তো আমাকে বোঝো। এখন একটু বোঝো না জান। একটুখানি ভালবাসো না।”
পলকের কথার সুর পাল্টাতে দেখে তপা হকচকিয়ে গেল। ছুটার জন্য ছটফট করতে করতে বলল,
“দেখ এখন এসব জান-টান, সোনা-টোনা কিচ্ছু চলবে না। ছাড়ো আমাকে। একদম ছুঁবে না। যেমন বাচ্চারা জ্বালায় তেমনি তার বাপ। ছাড়ো বলছি।”
পলক ছাড়ল না। আরও নিবিড়ভাবে আঁকড়ে ধরে বলল,
“সারাদিন আর কোথায় পাই? সারাক্ষণ তো অফিসেই পরে থাকতে হয়। আমার তো ইচ্ছে করে সারাক্ষণ বৌয়ের আঁচলের তলায় ঘুরঘুর করি। আর বছরে বছরে দুটো করে সন্তানের বাবা হই।”
তপা এবার জোর করে দূরে সরে গেল। চোখ ছোট ছোট করে বলল,
“মাথা খারাপ হয়েছে আমার? দুটো নিয়েই আমার জীবন ওষ্ঠাগত। বছরে বছরে হলে আমায় তাজমহল বাদ দিয়ে পাবনায় থাকতে হবে। দুটোই তোমার মত হাড়ে বজ্জাত হয়েছে। ভবিষ্যতে যতগুলো হবে সবগুলোই এমনই হবে। সেই রিস্ক আমি নিতে পারব না। মাফ চাই ভাই।”
পলক কিটকিটিয়ে হেসে বলল,
“এমা তুমিই না চাইতে বাচ্চারা আমার মত হোক। এখন পাল্টি খাচ্ছো কেন?”
তপা চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,
“তখন কি জানতাম নাকি আপনি এমন ত্যাদর টাইপের। তখন তো ল্যাদাবাচ্চার মত থাকতেন। একদম শান্তশিষ্ট, ম্যাচিউর। আমি কি জানতাম নাকি ছোট বেলায় মিচকে শয়তান ছিলেন।”
পলক হাসতে হাসতেই বলল,
“আরও দেখো আমার ছবি। এবার চার দেয়ালেই লাগাবো।”
তপা মাথা নাড়িয়ে বলল,
“এই ভুল আর করছি না। কাল থেকে ওদের অফিসে নিয়ে যাবেন। আমি আর এসবে নেই। আমার পা ওদের পেছনে ছুটতে ছুটতে দুই ইঞ্চি ছোট হয়ে গেছে বোধহয়। ফাইব জি স্পিডে এনার্জি লস হচ্ছে দিনকে দিন।”
পলক আবার তপার হাত টেনে বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বলল,
“এসো তবে এনার্জি ফুল করে দেই। কাল পুনরায় ছুটতে হবে তো।”

দুই হাঁটুর ওপর দুজন কে বসিয়ে অতি যত্নে খাবার মুখে পুরে দিচ্ছে পলক। বাচ্চা দুটোও বিনা বিতর্কে খেয়ে নিচ্ছে। তপা অদূরেই বসে বাবা মেয়ের কীর্তি পরখ করছে।
খানিক পরে অভিমানী গলায় বলল,
“এখন কোনো ঝামেলা নেই। অথচ আমি খাওয়াতে গেলে এদের যত ভীমরতি শুরু হয়।”
পলক মৃদু হাসল। বাচ্চাদের মুখে পুনরায় খাবার তুলে দিয়ে বলল,
“কাল থেকে মাম্মার হাতে লক্ষী বাচ্চার মত খেয়ে নেবে। ঠিক আছে?”
পালকি এবং তিলক দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে মাথা নাড়ালো। অর্থাৎ তারা খাবে। কিন্তু তাদের মুচকি হাসি স্পষ্ট বলে দিচ্ছে তারা খাবে না।
পলক এবার হেসে ফেলল তপার মুখটা দেখে।
“আচ্ছা, ঠিক আছে। বাবাই থাকে না বলেই তো মাম্মাকে এত জ্বালাতন করো তোমরা। কাল থেকে খাওয়ার সময় ভিডিও কল দেবে তিয়াশা। আমি দেখব আমার প্রিন্স এন্ড প্রিন্সেস কত শান্ত ভাবে খেয়ে নেয়। কেমন?”

তপা মাথা নাড়ালো। পালকি তিলক দুজন আবার দুজনের দিকে তাকাল। এই চাহনির অর্থ তারা ফেঁসে গেছে।
তপা মুগ্ধ নয়নে স্বামী সন্তানের দিকে তাকিয়ে আছে। এই তো তার সুখের স্বর্গ। স্বপ্নের পরিবার।
পলক তপার চাহনি দেখে মুচকি হাসল। বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলল,
“তোমাদের মাম্মা তোমাদের খাবারের দিকে নজর দিচ্ছে। একবার খায়িয়ে দেই?”
বাচ্চাগুলোও মুখ টিপে হেসে ফিসফিস করে বলল,
“ঠিক আছে বাবাই।”
পলক তপার মুগ্ধ চাহনিতে দৃষ্টি বুলিয়ে এক লোকমা ভাত তুলে দিল মুখের সামনে। তপা হকচকিয়ে গেল। চোখ গরম করে বলল,
“কি করছো বাচ্চাদের সামনে।”
পলক ভ্রু কুঁচকে বলল,
“আমাকে চোখ দেখাচ্ছো তুমি, আবার?”
তপা হেসে ফেলল। বলল,
“হ্যা। পলক তাজওয়ারের বউয়ের অধিকার আছে চোখ দেখানোর।”
পলক তপার কথায় হেসে বলল,
“হা করো তো। হাত ব্যথা হয়ে গেল।”
তপা বিনা বাক্যে খাবারটুকু মুখে তুলে নিল।
পলক পুনরায় নিজের জায়গায় বসে বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে উচ্চশব্দে বলল,
“রেডি, ওয়ান টু থ্রি..”
অতঃপর অতি অল্প সময়ে দুটো বাচ্চা ও একটি পরিপূর্ণ পুরুষালী কণ্ঠে উচ্চারিত হলো,
“কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি…..”

সমাপ্তি এক টুকরো ভালবাসার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here