কানামাছি,পর্ব:৪

0
1925

#কানামাছি
#পার্টঃ৪
#জান্নাতুল কুহু (ছদ্মনাম)
ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফিরে বসার ঘরে নাহিদ, ফুফু-ফুফাকে দেখে মেজাজ গরম হয়ে গেলো সাঁঝের। সিড়ি থেকে পড়ে গিয়েও বেশি আহত হয়নি দেখছি। একদম পিঠ সোজা করে বসে আছে নাহিদ। হাতে কয়েক জায়গায় ছিলে গিয়েছে এর থেকে বেশি আর কোন আঘাত খুঁজে পেলো না। সবাই তার দিকে দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সাঁঝ সবার দৃষ্টি উপেক্ষা করে নিজের ঘরে চলে আসলো। ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে যাওয়ার পরে দেখলো ফুফু খাবার রেডি করছে কিন্তু তার প্লেট নেই। এগুলোতে সে অভ্যস্থ হয়ে গেছে।ফুফুর চোখের আড়ালে পানি খেয়ে আর কিছুটা পানি চেয়ার ফেলে চলে আসলো। ব্যাগের থেকে মেমোরি কার্ডটা উল্টে পাল্টে দেখতে দেখতে অনিকের কথা মনে হতেই গা ঘিনঘিন করে উঠলো।
এরপর খাওয়ার টেবিল থেকে নাহিদের আওয়াজ পেলো,

—” ভাবী চেয়ারে পানি কেন? আমার প্যান্ট ভিজে গেলো তো”

—” পানি কিভাবে পড়লো? আমি তো মুছেই দিয়েছি”

সাঁঝ দেখতে না পেলেও বুঝতে পারলো সবাই তার ঘরের দিকেই তাকিয়ে আছে। এরপর ফুফু বলল,

—” যাও প্যান্ট বদলে আসো”

নাহিদ বিরক্তি নিয়ে বলল,

—” এমনি কোমড়ে ব্যথা তারপর বারবার যাওয়া আসা আর চেঞ্জ এগুলো ভালো লাগে?”

একপ্রকার রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেলো। সাঁঝ আনমনে কিছুটা হেসে ঘুমিয়ে পড়লো।
ক্ষিদার চোটে ঘুম ভেঙে দেখলো লাইট অন করেই অনেকক্ষণ ঘুমিয়েছে সে। এখন পেটের মধ্যে মনে হচ্ছে ইঁদুর দৌড়াদৌড়ি করছে। হাতমুখ ধুয়ে ঘরের বাইরে এসে দেখলো লাইট অফ। সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। রান্নাঘরে গিয়ে নিজের প্লেটে খাবার বাড়তে শুরু করলো। প্লেটে খাবার নেয়া শেষে পিছনে ঘুরতেই চমকে উঠলো। তার গা ঘেঁষে নাহিদ দাঁড়িয়ে আছে। সাঁঝ দুই পা পিছিয়ে বলল,

—” আরে নাহিদ কাকা আপনি? আপনার না কোমড়ে ব্যথা? যান গিয়ে রেস্ট নেন”

নাহিদ হিংস্রভাবে বলল,

—” আমাকে কাকা ডাকবে না। আমার বয়স এতোটাও বেশি না”

—” তাহলে কি ডাকবো ভাই? আপনাকে ভাই ডেকে ভাই শব্দটাকে আর অপমান করতে পারবো না বুঝলেন”

নাহিদ তার দিকে তাকিয়ে থাকলো। সে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে গেলে তার পথ আটকে দুই পা সাঁঝের দিকে এগিয়ে বলল,

—” সাঁঝ আমি সব বুঝতে পারছি সব তুমিই করেছো। ঠিক করোনি তুমি এগুলো করে। আমি বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছি মেনে নাও। নাহলে পস্তাবে”

সাঁঝ হেসে দিলো। হেসে বলল,

—” জানেন যখন তখন এটা ভালো খবর। ঘরে যেয়ে ওষুধ খেয়ে এখন ঘুমান। আর বিয়ে? তাও আবার আপনার মতো লোকের সাথে?আপনি ভালো কল্পনা করতে পারেন”

নাহিদ সাঁঝের দিকে আরো একপা আগাতে গেলেই সাঁঝ নাহিদের হাতে ছিলে যাওয়া জায়গা চেপে ধরলো। নাহিদ প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে বুঝতে পেরে চাপা স্বরে আর্তনাদ করে বলল,

—” আ… হ। সাঁঝ ছাড়ো!”

নাহিদ সাঁঝের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করেও পারলো না। কোমড়ে ব্যথার কারণে বেশি নড়তে পারছে না। সাঁঝ জোরে চেপে ধরে রাখলো। বলল,

—” এবার কাটা ঘায়ে লবণ ধরেছি এরপর মরিচও ধরবো। শোন চিৎকার করিস না। আমি চিৎকার করলে পুরো এলাকে চলে আসবে। আর তোকে বদনাম করতে সময় লাগবে না। এটা আমার এলাকা। আর এলাকার মানুষ আমাকে গুন্ডি বলে ডাকে। আমার সাথে লাগতে আসলে এমন গুন্ডামো করবো যে আর এখানে আসার কথা ভাবতেও পারবি না। মনে থাকে যেনো”

সাঁঝ হাতে আরো যে কয়টা জায়গা কাটা ছিলো সেখানে লবণ ছিটিয়ে দিলো। নাহিদ কোন প্রতিবাদ করতে পারলো না। এরপর বলল,

—” আসি নাহিদ কাকা। ভালো থাকবেন”

সাঁঝ একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে খাবারের প্লেট নিয়ে নিজের ঘরে চলে আসলো। খাওয়া শেষে রান্নাঘরে নাহিদকে আর দেখতে পেলো না।
,
,
,
?
সেই মেমোরি কার্ডটা নিয়ে বসলো। মোবাইলে মেমোরি কার্ড ঢোকানোর পরে কেবল একটা ফাইল দেখতে পেলো। কানে হেডফোন দিয়ে প্রায় নিঃশ্বাস বন্ধ করে শুনতে থাকলো। প্রথমেই একজন লোকের গলা,

—” অফিসার আমার ছেলেকে ছেড়ে দিন। ও তো কিছু করেনি। ওকে কেন ধরে রেখেছেন?”

এরপর অনিকের গলায় শুনলো,

—” মাদকদ্রব্য পাচারকারী একটা বড় দলের সাথে ধরা পড়েছে ও। আর আপনি বলছেন ছেড়ে দিতে?”

—” ও তো এগুলোর কিছু জানেই না। বরং ওই দলটা ওকে ধরে রেখেছিলো কারণ ও কিছু পাচার করার সময় কিছু জিনিস দেখে ফেলেছিলো তাই”

অনিক হেসে বলল,

—” সেটা তো আমিও জানি ও কিছু করেনি। এমনি ফেসে গেছে।”

লোকটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,

—” আপনি সব জেনে ওকে ধরে রেখেছেন কেন? কেস কোর্টে উঠলে ওর ছাড়া পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে”

—” হুম সেটাও জানি। এবার আপনি ভালো করে শুনুন আমি প্রস্তাব দিচ্ছি। যদি ওই মাদক পাচারকারী দলটা ধরা নাও পড়তো তাহলেও আপনার নিজের ছেলেকে ওদের থেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে টাকা খরচ করতে হতো। তাহলে এখন আপনি সেই টাকাটা আমাকে দিন। আমি ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করছি”

—” মানে আপনাকে টাকা দিতে হবে?”

—” হ্যা। আচ্ছা আপনি কত দিতে পারবেন বলেন? পাঁচ লক্ষ?”

—” আমি এতো টাকা কোথায় পাবো? আমি দিন আনি দিন খাই। একটাই মাত্র ছেলে। ওকে ছেড়ে দিন”

অনিক একটু গম্ভীর গলায় বলল,

—” দেখুন মশাই এই অনিক মাহমুদ এক কথার মানুষ। আপনি চাচার বয়সী তাই কম করেই বললাম। এখন আপনি ভাবুন। অল্প সময় আছে হাতে। দেখুন কি হয়”

লোকটার আওয়াজ আর শুনতে না পেলো না সাঁঝ। এরপর অনিক বলল,

—” আপনার জন্য চা আনতে বলি। আপনি ভাবুন”

এরপর অনিকই আবার বলল,

—” আরিফ একটা চা নিয়ে আসো তো”

অনেকক্ষণ শুধু পিছনের বিভিন্ন শব্দ অন্যান্য মানুষের শুনতে পেলো। সাঁঝ কিছুটা টেনে দিলো অডিওটা। এরপর আবার শুনতে পেলো অনিকের গলায়,

—” ভেবে দেখুন কি করবেন। আর হ্যা এগুলো বাইরে জানালে আপনার ছেলে যে ওই দলের সদস্য এবং অনেক পাচার করেছে এবং তার অপরাধের আরো রেকর্ড আছে এই রকম চার্জশিট যাবে কোর্টে”

ক্ষীণ গলায় শোনা গেলো

—” জি”

এরপর আর কোন কথা শোনা গেলো না। রাস্তার আওয়াজ, রিকশা ঠিক করা সহ বিভিন্ন শব্দ বেশ অনেকক্ষণ চলার পরে থেমে গেলো অডিও।

সাঁঝ বুঝতে পারলো আশিক কেন এটা কোথাও দিতে চাচ্ছিলো না। এটা শুধু অডিও। অনিক যেরকম মানুষ তাতে এটাকে ভুয়া বা তাকে ফাঁসানো হয়েছে এরকম কিছু বলে কাটিয়ে দিবে। এই অডিও তার বিরুদ্ধে ধোপে টিকবে না। কিন্তু সে নিজে কি করবে সেটা ঠিক করা হয়ে গেছে। আশিক কিছু না করলেও সে অনিককে ছাড়বে না। তাছাড়া অনিকের অনেক বড় একটা দূর্বলতা সাঁঝ নিজেই। মায়া, মোহ বা ভালোবাসা যেটার কারণেই হোক অনিক তার উপর প্রচন্ডভাবে দূর্বল। নিজেকে একবছরে অনিকের সবচেয়ে বড় দূর্বলতা হিসেবে গড়ে তুলেছে। এখন এটাকেই কাজে লাগাবে সে। সাঁঝ মনের শান্তি নিয়ে ঘুমাতে গেলো।

সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইলে একগাদা মিসড কল আর মেসেজ দেখে বেশ অবাক হলো। ফোন সাইলেন্ট করে রেখেছিলো তা টের পায়নি। অনিক ফোন দিয়েছিলো। হঠাৎ এতো জরুরি কি প্রয়োজন হলো যে এতো ফোন? সাঁঝ মেসেজ দেখলো। সেখানে লেখা,
সাঁঝ,
আমার আর্জেন্ট একটা কেসের ব্যাপারে বাইরে যেতে হচ্ছে। হঠাৎই খবর পেলাম। তোমাকে ফোন দিয়েছি কিন্তু হয়তো ঘুমাচ্ছো। আমার আসতে আসতে একসপ্তাহ লাগবে হয়তো। আমার জন্য চিন্তা করো না। নিজের খেয়াল রেখো।

মেসেজটা পড়ে সাঁঝের মন একটু খারাপ হয়ে গেলো তার কাজটা পিছিয়ে গেলো। ভাবলো তাহলে এই কয়দিন ভার্সিটি যাবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। রেডি হয়ে বের হয়ে গেলো বাইরে এসে নাহিদকে দেখতে না পেয়ে শান্তি পেলো। এরপর ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলো।
,
,
,
?
ইহান ইন্টারভিউ শেষে ভার্সিটির বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। নিজের ক্যাম্পাস, নিজের টিচার, সবই নিজের কিন্তু তাও ইন্টারভিউ দেয়ার সময় ভয় লাগছিলো। কিন্তু ভালো মতোই দিয়েছে। এবং চাকরিটা যে হবে এই ব্যাপারেও শিউর। কিছু কাগজপত্রে কাজ বাদ আছে। সেগুলো করতে হবে। অফিসে কাগজ রেডি করছে বলে তাকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সামনে মাঠের ছেলে মেয়েদের আড্ডা দেখে নিজের ছাত্রজীবনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেও একসময় একই জায়গায় আড্ডা দিতো , ক্লাস ক্লাস করতো, লাইব্রেরিতে ঘুরতো। ভিতর থেকে ডাক পড়ায় সে ভিতরে চলে গেলো।

সাঁঝ ভার্সিটিতে এসে আরেক দফা খুশি হয়ে গেলো। আশিক বললো অনিকের কিছু ছবি যোগাড় করার চেষ্টা চলছে। দেখা যাক হয় কিনা। হলে তো সাঁঝের জন্য দারুণ খবর।
আজ সে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে কয়েকবার অফিস আর ভিসির রুমের আশেপাশে উঁকি মেরেছে কালকের সেই লম্বু ছেলেটা আছে কিনা দেখার জন্য। লম্বু নামটা আনমনেই দিয়ে দিয়েছে। কেন জানি ভার্সিটিতে আসার পরেই ছেলেটার কথা মনে হয়েছে। তাকে আরেকবার দেখার খুব ইচ্ছা হচ্ছিলো। কিন্তু খুঁজে পায়নি। তাই ক্লাস শেষে আবার দূর থেকে অফিসের ওইদিকে দেখে এসেছে। খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে মাঠে একা একাই হাঁটছিলো। আকাশে মেঘ হয়েছে। তার বন্ধুদের কারোর ক্লাস শেষ হয়নি। এখন বাসায় যাবে না অপেক্ষা করবে সেটা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছে।
হঠাৎ করেই বৃষ্টি নামতে শুরু করলে কোন রকমে দৌড়ে করিডরে গিয়ে উঠে। আরো অনেকেই উঠে এসেছে করিডরে।
অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ জোরে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। সাঁঝ হাত বাড়িতে বৃষ্টির পানি নিয়ে একপ্রকার খেলা করতে শুরু করলো। তার বৃষ্টি পছন্দের কিন্তু বজ্রপাতে ভয় পায় অনেক। যখন বাবা আর ভাই ছিলো তখন ভাইয়ার সাথে বৃষ্টিতে ভিজতো। একা ভিজতে ভয় হয়। আর বজ্রপাত হলে বাবাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরতো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ভেজা দূরে থাক বৃষ্টির পানিতে হাত দেয়া হয় না। আকাশ মেঘলা হলেই দরজা জানালা বন্ধ করে ঘরে বসে থাকতো।

আজ মনটা খুব ভালো তাই পানিতে হাত দিয়েছে। কিন্তু বিধি বাম! হঠাৎ জোরে মেঘ ডাকতে শুরু করলো। সাথে আছে আলোর ঝলকানি। সাঁঝ ভয় পেয়ে পিছনে সরে আসলো। ভয় আকড়ে ধরেছে। এখানে তো আপন কেউ নেই। কি করবে? আরো একবার জোরে আলোর ঝলকানি আর শব্দ শুনে সাঁঝ ভয়ে আরো পিছিয়ে আসলো। কারোর সাথে ধাক্কা লাগলে দেখলো সেই লম্বু ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। শান্ত ভাবে তার দিকে তাকিয়ে আছে। সাঁঝের মুখে এতো ভয় দেখে ইহান জিজ্ঞেস করলো,

—” কি হয়েছে? কোন সমস্যা? ”

সাঁঝ কিছু বলবে তার আগেই আবারো বজ্রপাত হলে সে ইহানের শার্টের হাতা খামচে ধরলো। ইহান বুঝে গেলো মেয়েটা শব্দে ভয় পাচ্ছে। একটু হেসে বলল,

—” রিল্যাক্স। ভয় নেই। আমি আছি”

সাঁঝ কোন একটা অজানা কারণে ছেলেটার দৃষ্টি আর কথার মধ্যে অনেক ভরসা পেলো। সে শার্টের হাতা ছেড়ে দিলো। গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজ শুনে ইহান বলল,

—” এখানে বেশি শব্দ হচ্ছে। ওই দিকে চলুন”

সাঁঝ কোন কথা না বলে ইহানের পিছন পিছন হাঁটতে থাকলো। যেনো একটু ছেলেটার থেকে একটু পিছিয়ে পড়লেও সে হারিয়ে যাবে। বেশ ভিতরের দিকে সিড়ির কাছে একটা জায়গায় এসে দাঁড়ালো। এখানেও অনেক মানুষ। এতো মানুষের কথার শব্দে বজ্রপাতের শব্দ বেশি শোনা যাচ্ছে না। তাও ইহান বৃষ্টি থামা পর্যন্ত সাঁঝের সাথে দাঁড়িয়ে থাকলো। ইহানের মেয়েটাকে একা রেখে যেতে মায়া হচ্ছিলো। বেচারি ভয় পাচ্ছে খুব। বৃষ্টি থেমে গেলে ইহান জিজ্ঞেস করলো,

—” এবার আর সমস্যা আছে?”

—” না”

ইহান তবুও দাঁড়িয়ে থাকলো। সাঁঝে একটু পরে আবার বললো,

—” ধন্যবাদ। আমি আসি”

সাঁঝ আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে আসলো।
মেয়েটা যাওয়ার ইহানের মনে হলো নাম মেয়েটার নাম জিজ্ঞেস করা হলো।

এরপর থেকে প্রতিদিন সাঁঝ ভার্সিটিতে এসে প্রথমে ইহানের খোঁজ করে। দূর থেকে দেখে যায় প্রতিদিন। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে ইহান এখানকার নতুন লেকচারার। ইঞ্জিনিয়ারিং এর। কিন্তু সে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়ায় তার সাথে ক্লাস নেই। কোনদিন ইহানের সামনেও পড়ে যায়। তখন খুব অস্বস্তি হয়। কোনরকমে পাশ কাটিয়ে চলে আসে।
,
,
,
?
অনিকের যাওয়ার আটদিন পরে সকালে সাঁঝের কাছে অনিকের মেসেজ আসে,
সাঁঝ,
আমি ফেরত এসেছি। কয়েকদিন খুব কাজের প্রেশার গেছে। শারিরীক আর মানসিকভাবে আমি অনেক ক্লান্ত। আজ বিকালে আবার দুই দিনের জন্য একটা অপারেশনে যেতে হবে। নিজের খেয়াল রেখো। সময় পেলে ফোন দিও।

মেসেজটা দেখে সাঁঝ ঠিক করে নিলো আজকে অনিককে একটা পরিণতি দিবে। অনিক মানসিক ভাবে ক্লান্ত যেটা সাঁঝের জন্য সুখবর। সে বড় একটা শ্বাস নিয়ে অনিককে কল দিলো। (চলবে)

(আগের পর্ব কমেন্টে। কেউ কপি করবেন না)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here