কাননবালা পর্বঃ২১

0
799

#কাননবালা!
#আয়েশা_সিদ্দিকা
পর্বঃ২১

অভীক অস্থির ভঙ্গিতে পায়চারি করছে ছাদের পাটাতনে। ভোরের মিহি বাতাসেও ঘেমে উঠেছে প্রশস্ত ললাট।বুকের ভিতর অজানা ভয়ে ধুকপুক করছে!তার সাথে এসব কি হচ্ছে নিজেই ভেবে পাচ্ছে না?
কখনো চুলে হাত বুলাচ্ছে , কখনো দাঁত দিয়ে নখ কাটছে কখনো বা হাতঘড়ির ডায়ালে নজর বুলাচ্ছে অস্থির দৃষ্টিতে।
একটা ছোট্ট মেসেজ যে এতটা অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়াবে কে জানতো?
“একটু ছাদে আসবেন? প্লিজ!”
এই ছোট্ট একটা মেসেজ নীতু তাকে পাঠিয়েছে। মেসেজটা পেয়েই অভীক হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসেছে ছাদে।কিন্তু নীতু এখনো আসেনি। কিসের জন্য এই তলব অভীক জানে না। এই চৌত্রিশ বছর বয়সে এসে টগবগে যুবকের মত উত্তেজনায় অভীকের হাত পা ঘামছে!কি আশ্চর্য?

একটা সময় কারো পায়ের শব্দে অভীকের উতপ্ত স্নায়ু অবশ হয়ে এলো।ছাদের রেলিং ঘেসে দাঁড়িয়ে পরলো ঠেস দিয়ে। কচি পাতা রঙের জামা,গাঢ় নীল ওড়নাটা বুকের কাছে ছড়িয়ে পরেছে,কোমড় ছাপিয়ে পড়া লম্বা চুল ছেড়ে দেয়া হয়েছে বড় যত্নে, সাজ সজ্জাহীন স্নিগ্ধ মুখশ্রীতে একটুকরো কোমল মৃদু হাসি লেপ্টে রয়েছে। নীতু হাসলো।
মৃদু হাসিতেই ফোলা গাল দুটো আরো একটু ফুলে উঠলো।নীতুর হাতে দুটো ধূমায়িত কফির মগ।মুখের হাসি যেন চোখেও ঝিলিক দিচ্ছে! অভীক দৃষ্টি নত করে ফেললো।
নীতুর দ্বিধাহীন হাস্যজ্জোল অবয়ব দেখে অভীকের সকল অস্থিরতা, উত্তেজনা নিমিষেই দূর হয়ে আঁখি জুড়ে একই সাথে মুগ্ধতা ও আফসোস দেখা দিলো।তিনবছর আগের করা কর্মকান্ডের জন্য নিজেকেই কুৎসিত কুৎসিত গালি দিতে মনে চাইলো।
কফি হাতে নীতু এগিয়ে এসে পাশে দাঁড়ালো।চোখে মুখে এখনো হাসি লেপ্টে আছে।একটা কফির মগ অভীকের দিকে বাড়িয়ে দিল বড় যত্নে,এরপরই বললো…”শুভ সকাল!”
অভীক শুভ সকাল বলতে পারলো না।সকালটা শুভ নাকি অশুভ এখনো বলতে পারছে না। নীতু নিজের কফির মগটা রেলিঙের উপর রেখে বললো,” ভোরের আকাশটা দেখেছেন? কত সুন্দর! ”
অভীক নিজেও নীতুর পাশে দাঁড়ালো।কফির মগটা স্থান পেলো নীতুর কফির মগের পাশে।দুজনেরই দৃষ্টি ভোরের আকাশের দিকে।একজনের চোখে মুগ্ধতা,আর একজনের চোখে কৌতুহল! দুটো মানুষের দূরত্ব কেবল মাঝখানে রাখা দুটি ধূমায়িত কফির মগের। এ্যাশ রঙের ট্রাউজার আর কালো গেঞ্জি পরিহিত সুদর্শন পুরুষটির দৃষ্টি এখন পাশে দাঁড়ানো কৃষ্ণবর্ণের নারীটির দিকে।যার চুলগুলো বাতাসে উড়ছে,ভোরের আকাশের স্নিগ্ধতা যার চোখে মুখে,মুখের একটাপাশ দখল করে আছে ভোরের কমলা রঙা পেলব মিঠে রোদ!
নীতু আকাশ দেখলেও অভীক দেখছিল নীতুকে।ভালো লাগছিল অভীকের!ভীষণ ভালো!বুকের মধ্য খানটায় সুপ্ত অনুভূতির আন্দোলনটা টের পাচ্ছিল ভীষণ করে!

আকাশে কমলা রঙা রোদ, নারী পুরুষ দুটি স্বত্বা পাশাপাশি দাঁড়ানো। একজন আকাশ দেখলেও আর একজন খুব যত্ন করে দেখছে পাশের রমণীটিকে।পুরো মুখস্থ, ঠুটস্থ, কন্ঠস্থ করতে চাইছে!মাঝখানে ধূমায়িত দুটো কফির মগের দূরত্ব। এই দৃশ্য যেন ক্যানভাসে আকাঁ কোন ছবি।ছেলেটা বুঝতে পারছে তার সকল অনুভূতি।মন থেকে চাইছে নিরাবতায় বুঝে নিক পাশের সঙ্গীটি সকল না বলা কথা!রমণীটির মনে কি চলছে তা কি আদৌও আমরা জানি?

একসময় নিরাবতা ভেঙে নীতু কথা বলে উঠলো।দৃষ্টি তখনও দূরের আকাশে।অভীক এক হাত পকেটে পুরে অন্য হাতে তুলে নেয় কফির মগ।মনোযোগী দৃষ্টিতে তাকায় নীতুর দিকে ।নীতুর বলা আর না বলা সকল কথা যেন গোগ্রাসে গিলে ফেলতে চায়!
নীতু শান্ত ভঙ্গিতে বলে ওঠে, “আজকে আপনাকে কিছু ব্যক্তিগত কথা বলবো। আমি সহসা নিজের কথা অন্যকে বলি না।কিন্তু আজ মনে হলো আপনার জানা উচিত। ”

অভীকের বুকের ভিতর তোলপাড় শুরু হলো। কি এমন কথা?
“মি.অভীক আমাদের সমাজ বড় অদ্ভুত! একটা মেয়ে কালো হয়ে জন্মালে তার বিয়ের বাজারে মূল্য থাকে না। আর মেয়েটি যদি হয় খুব সুন্দরী তবে তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।মেয়েটি মোটা হলে তাকে হাতি উপাধি দেওয়া হয়।তার খাওয়া নিয়ে ওঠে নানা ধরনের কথা! আর মেয়েটা শুকনা হলে সে রোগাক্রান্ত! বাশঁপাতা!
লম্বা হলে বোধ কম,খাটো হলে কুটিল। চাকরি করে মেয়ে?তবে তো সাত ঘাঁটের পানি খাওয়া! গৃহিণী?সারাজীবন পড়াশোনা করে করলেটা কি?প্রতিবাদ করে মেয়ে?তবে তো মুখরা! চুপচাপ? তবে তো অহংকারী মেয়ে! পড়াশোনা শেষে বিয়ে করছে?নির্ঘাত কোন দোষ ছিল মেয়ের নাহলে বয়সখাটিয়ে বিয়ে হচ্ছে কেন?এছাড়াও একটা মেয়ের যে কতশত খুঁত থাকে। মেয়েরা হল শুভ্র কাপড়ের মত।দেখতে নির্মল নিষ্পাপ পবিত্র। একটু দাগেই সেই নির্মল পবিত্রতা ক্ষুন্ন হয়ে যায় সমাজের চোখে!

আমার যখন জন্ম হলো তখন বাবা আর দাদু ছাড়া কেউ খুশি হলো না।নিজের মাও মুখ ফিরিয়ে রেখেছিল।দাদুর মুখে শুনেছি আমার জন্মের পর মা আঠারো দিন পর্যন্ত আমাকে কোলে নেন নি,এমনকি দুধ পানও করান নি।আমার মা দেখতে সুন্দর। তার পেটে একটা কালো মেয়ে জন্মালো তা তিনি মানতে পারলেন না।আঠারো দিন পর যখন দেখলেন দাদু, মা আমার ব্যপারে বড়ই উদাসিন।তখনই তিনি আমাকে কৌটার দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দিলেন।তিন চার ঘন্টা কান্নার পর মায়ের মন গললো।আমাকে কোলে তুলে নিয়ে ছিলেন। এরপর একটা সময়ে আমার উপর মায়া পড়ে গেল। যত যাই হোক তার নারী ছেড়া ধন তো আমি!
এরপর একটু বড় হতেই বুঝতে পারলাম, আমায় নিয়ে বড্ড চিন্তে সবার।বাবার বন্ধু গোত্রের সকলে হাসতে হাসতে বলতো,” তোর নীতুকে বিয়ে দিতে তো অনেক টাকা গচ্চা যাবে।তাই বুঝি আমাদের না খায়িয়ে টাকা জমাচ্ছিস?”
ছোট হলেও আমি বুঝতাম,বাবা ব্যথিত হতেন। আমি কেঁদে ফেলতাম।বাবা মাথায় হাত বুলিয়ে বলতো,কাঁদছিস কেন রে?তোকে তো আমি বিয়েই দিবো না।তুই বড় চাকরি করবি,তারপর বাপ মেয়ে দুজনে বিন্দাস থাকবো।”
আমি সেই ঠিক ছোট্ট বেলায় বুঝে গিয়েছিলাম,আমার কালো গায়ের রঙ ঢাকতে আমায় একটা চাকরি করতে হবে!

এরপরে মায়ের হাত ধরে স্কুলে যেতাম।সহপাঠীদের মায়েরা জোহুরীর চোখে পর্যবেক্ষণ করতো আমায়।কন্ঠে একরাশ আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইতো মায়ের কাছে,”আপনারা দুজনেই তো সুন্দর ভাবি, নীতু এত কালো হলো কেন?” কি সহজ প্রশ্ন!সুন্দরের ডেফিনেশন তাদের কাছে ফর্সা রঙ! তাদের করা প্রশ্নে মা বিব্রত,লজ্জিত হত!মায়ের চোখে আমার জন্য একরাশ চিন্তা খেলা করতো। ওই সব আন্টিরাই আফসোসের সুরে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলতো,” চিন্তা করবেন না ভাবি।নীতু কালো হয়েছে তো কি হয়েছে? পড়াশোনাটা ভালো মত করাবেন,তাহলেই লাইফ সেট!” কালো মেয়েদের বিয়ের বাজারে একটা চাকরি থাকা বাধ্যতামূলক।তাদের মতে, টাকা ও যোগ্যতায় নির্ভর করে বিয়ে নামক বন্ধন!

কিশোরী বয়সে কত মেয়ে প্রেম পত্র পায়। আমি পায়নি।একবার এক ছেলে একটা কাগজের দলা ছুড়ে মারলো। তোমাকে আমার ভীষণ পছন্দ, এই একটা বাক্য লেখা।ছেলেটিকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম,আমাকে তোমার পছন্দ? ছেলেটি কি করলো জানেন? নাক সিঁটকালো।বলল,”তোমাকে কোন দুঃখে পছন্দ করবো?নেহাৎই ভুল করে তোমার কাছে পড়েছে চিঠিটা,তাতেই নিজেকে নায়িকা ভাবছো?”
ভুল সম্পর্ক,ভুল সময় সবকিছু যেন আমার জন্যই বরাদ্দ ছিল।
আমার চোখে জল এসে পড়লো।সহপাঠীরা হাসাহাসি শুরু করলো।একসময় আমাকে কাঁদতে দেখে তাদের করুণা হলো। দুয়েক কথায় স্বান্তনা দিলো।

সকল পারিবারিক অনুষ্ঠানে দেখেছি মা আমাকে নিয়ে ভীষণ চিন্তিত থাকতো।আর ভাই বোনেরা কিভাবে সাজলো,কি খেলো,কি করলো তাতে তার কোন মাথা ব্যথা না থাকলেও আমার জন্য চিন্তা ছিল।কি ভাবছেন ভালোবাসে বেশি তাই এমন করে? না। আমাকে সবার কাছে মা পারফেক্ট দেখাতে চাইতো।অথচ কোন মানুষই শতভাগ পারফেক্ট নয়।আমি কি পোশাক পড়লাম তাতে মানাবে তো? লোকে হাসবে না তো?আমি ভদ্রস্থ হয়ে আছি তো?লোকে নিন্দে করছে না তো? আমার আচরণ, আমার খাওয়া, আমার হাসি, কান্না সবকিছু নির্ভর করতো।লোকে কি বলবে বা ভাববে তার উপরে।
ছোটবেলায় মা সব ধরনের ঘরের কাজ আমাকে শিখিয়েছে।পড়াশোনার ফাঁকে রান্না, সেলাই,সংসারের সকল খুঁটিনাটি কাজ মা শিখাতো।অথচ আমার অন্য বোনেরা রান্নাঘরের চৌকাঠও মাড়াতো না।এত কিছু কেন করতো জানেন?কালো রঙটা যেন ছাপিয়ে যায় আমার গুণের ভারে।
পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলোতে সব কাজিনরা যখন আনন্দ-হৈচৈ করতো,মা তখন আমাকে সবার আপ্যায়নের কাজে ব্যস্ত রাখতো।মুরুব্বিদের কাছাকাছি থাকতে হতো আমাকে। সবাইকে দেখাতো চাইতো, আমি কালো হলে কি হবে? ঘরসংসারের কাজে আমি পারফেক্ট।
চাচাতো বোনের বিয়ে ছিল।হলুদের দিন হলুদ শাড়ি পড়লাম।কালো গায়ে ক্যাটক্যাটে হলুদ রঙ।কি বিচ্ছিরি তাই না?কিন্তু আমার নিজেকে ভালো লাগছিল।কাজিনদের ঠোঁট টিপে হাসতে দেখে আমার মায়ের ভালো লাগলো না।ক্যাটক্যাটে রঙ পড়ে কেন লোক হাসালাম? এরজন্য মায়ের হাতে গোটা দুয়েক চড় থাপ্পড়ও খেলাম।আত্মীয় মহলের দয়া হলো।কাজিনরা টেনে নিয়ে আমার সাথে ছবি তোলা শুরু করলো।অথচ আমি স্পষ্ট ওদের চোখে আমার জন্য করুণা দেখতে পেয়েছিলাম!

মি.অভীক ছোট বেলা থেকে আমি সেজেছি অন্যের জন্য। আমার হাসি কান্না দুটোই ছিল অন্যের জন্য। মানুষের চোখে নিজেকে পারফেক্ট সাজাতে সাজাতে একসময় নিজের চোখেই ইমপারফাক্ট হয়ে পড়লাম! পিঠ দেয়ালে ঠেকে পড়েছিল।আয়নায় নিজেকে আবিষ্কার করতাম,অন্য নীতুকে!যাকে গড়ে পিটে মানুষ করা হয়েছে অন্যের রুচিতে!আমার এই জীবনে সমালোচনা, কটাক্ষ, অবহেলা অনেক সয়েছি।তাতে বিন্দু মাত্র আফসোস নেই আমার।যতদিন বেঁচে থাকবো সইবো।কিন্তু করুণা বা দয়া বলুন সেটা আমি নিতে পারবো না।”

নীতু থামলো। অভীকের নিজেকে ধিক্কার দিতে মনে চাইলো।সে কি নিজেও একই দোষে দোষী নয়? নীতুর জীবনে ঘটা কিছু অংশ জেনেই অভীকের খারাপ লাগলো। আরো কত না বলা কথা যে মেয়েটা চেপে রেখেছে কে জানে?অভীক স্বীকার করতে বাধ্য হলো,মেয়েদের সকল গুণের মধ্যে অন্যতম গুণটি হলো,খুচরো পয়সার মত মেয়েরা খুব যত্নে মনের মধ্যে কথা জমিয়ে রাখতে জানে!খুচরো পয়সার মত খুচরো খুচরো কথা!যা অতি প্রয়োজন ছাড়া মেয়েরা খরচ করে না!
কফি ঠান্ডা হয়েছে অনেক্ক্ষণ। অভীক কপাল কুঁচকে এতক্ষণে বললো,”এইসব কথা আমায় বলার কারণ,মিস নীতু?”
অভীক অবশ্য কারণ জানে তবুও বললো।নীতু পুনরায় হাসলো।পদ্মদিঘীর মত চোখদুটোও হেসে উঠলো সাথে।তারপর বললো,”অবহেলা,তাচ্ছিল্য মেনে নিতে পারি কিন্তু কারো করুণার পাত্রী হতে বড্ড আঁতে লাগে মি.অভীক! ”

অভীক আহত চোখে তাকালো।নীতু তাকে বুঝতে ভুল করেছে।মেয়েটা কি মনে করেছে? তাকে আমি করুণা করছি?এত বড় ভুল কি করে বুঝলো? ভুল ভাঙাবার সময় পেল না অভীক তার আগেই নীতু বললো,”আসছি।”

অভীকের কন্ঠে অনুযোগ ঝড়ে পড়লো, “চলে যাচ্ছেন?”

নীতু দাঁড়িয়ে পড়লো। চোখে মুখে দুষ্টুমি ফুটিয়ে বললো, “এখন যে যেতেই হবে।অফিসের বসটা বুঝলেন, বড়ই খ্যাচড়া।সময় মত না পৌছালে ডিপ্লোমেটিক কথা শুনায়।”

অভীক বড় বড় চোখে তাকিয়ে বললো,”কি?” চিৎকারের মত শুনালো অভীকের কন্ঠ।

নীতু মাথা দুলিয়ে ঠোঁট টিপে হাসলো।

অভীক কোমড়ে দুই হাত রেখে বললো,”বসের নিন্দে করা হচ্ছে? তাও আমার কাছে?”

নীতু যেতে যেতে বললো,”প্রতিবেশীর ধর্ম পালন করলাম,এতে দোষের কিছু নেই।এক প্রতিবেশী আর এক প্রতিবেশীর কাছে লোকের নিন্দে করতেই পারে।”

অভীকের সেদিনের বলা কথা নীতু ঘুরিয়ে পেচিয়ে অভীককেই বলে গেলো।

নীতু চলে গেলো।অভীকের কপালে ভাঁজ পড়লো।নীতুর ভুল কি করে ভাঙানো যায় সেই চিন্তা করতে লাগলো। মনে মনে করে বসলো, কঠিন এক প্রতিজ্ঞা!
নীতু জানতেও পারলো না তার অগোচরে তাকে নিয়েই কঠিন এক প্রতিজ্ঞা করে বসেছে অভীক নামক ব্যক্তিটা!

চলবে,
আজকের পর্ব কেবল নীতু আর অভীক ময়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here