#কাছে_দূরে ??
#muhtarizah_moumita
#পর্ব___৬৬
পরদিন বোনের জ্বর সত্যিই কমে গেলো। আমি আর শিলা তো তাজ্জব বনে গেলাম। এতো জ্বর মাত্র এক রাতের ব্যবধানে কমে গেলো! এটা কি কোনো ভাবেও সম্ভব? শিলা আমাকে বলল,’ম্যাডাম আপনার জন্যই আপা সুস্থ হয়ে উঠছে। আপনাকে আপা সত্যি খুব ভালোবাসে।’ আমি শিলার কথা শুনে বিরক্তি প্রকাশ করলাম। ভালোবাসে না ছাই সেটা কয়দিন পরেই বোঝা যাবে। যেদিন বোন সুস্থ হলো সেদিনই ও ভার্সিটি যেতে চাইল। কতগুলো দিন গ্যাব হয়েছে,কত পড়া মিস হয়ে গেলো এসব ভেবেই ওর মাথায় হাত। আমি ওকে বললাম মাঝে মাঝে আমি গিয়েছি ভার্সিটি,ওর যা দরকার সব নাইরা-রিনাতের থেকে কালেক্ট করে নিয়ে এসেছি। তাই আজ তাড়াহুড়ো করে কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। বোন আমার কথা মেনে এক কথাতেই রাজি হয়ে গেলো। সুস্থ হতেই সে আবার আগের মতো হয়ে গেলো। বাসার সব কাজ,রান্নাবান্না সব নিজেই শুরু করলো।
দেখতে দেখতে ১৪ফেব্রুযারি এসে পড়ল। আমি গত দু-দিন ধরে ভেবেছি আজকের দিনে আমি রিয়াদকে আবারও প্রপোজ করব। আর যদি প্রপোজালে রাজি না হয় তাহলে নিজের সম্মানের উপর দাগ লাগিয়ে রিয়াদকে ফাঁসাবো। আর একবার রিয়াদ ফেঁসে গেলে ওকে আমাকে বিয়ে করতেই হবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। খুব সু্ন্দর করে সেজেগুজে চলে গেলাম ভার্সিটিতে। আমি জানতাম না বোন বোরিয়েছে কি না দেখারও প্রয়োজন মনে করিনি। কারন প্রতি বছর বোন এই দিনে কোথায় যায় না। বরং রুমে বসে নিজের মতো করে পড়াশোনা করে।
আমি চলে এলাম ভার্সিটি। স্টুডেন্টরা আজকের দিনটা পালন করার জন্য বেশ ঝাঁক ঝমক করে সাজিয়েছে। হয়তো কোনো পারফরম্যান্স হবে। আমার মন বলছিলো আজ রিয়াদ কনিকার খোঁজে এখানে আসবে। আর এতক্ষণে এসে পড়ার কথা। আমি ভীর ঠেলে ভেতরে গিয়ে দাঁড়াতেই কেউ আমায় হেঁচকা টান দিয়ে ভীড় থেকে বাইরে নিয়ে এলো। মুহুর্তেই মনে হলো এটা হয়তো রিয়াদ কনিকা কে ভেবে আমাকে নিয়ে এসেছে। অন্যান্য দিন রিয়াদ আমার চোখগুলোকে কেমন করে যেন দেখতো আর খানিক বাদেই চলে যেতো। আজও সেই ভয় কাজ করল মনে। আজও যদি রিয়াদ চলে যায় তাহলে তো চলবে না। তাই ভুল করেও ওর দিকে তাকানো যাবেনা। ও আমায় কনিকা ভেবে যেদিকে ইচ্ছে নিয়ে যাক। এই ভেবে আমি আর মুখ উঁচিয়ে দেখলাম না ওকে। ও হয়তো ভীড়ের মাঝে আমাকে ভালো করে দেখার সুযোগ পায়নি। হাত ধরে টেনে নিয়ে যেত লাগলো তার গন্তব্যে।
________
—-‘ উঁহুম উঁহুম।’
রিয়াদ আঁড়চোখে কনিকার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসল। কনিকা লজ্জায় মুখ তুলতে পারছেনা। কি করে বলবে সে তার মনের কথা। কনিকা তাকাচ্ছে না দেখেই রিয়াদ গলা খাঁকারি দিলো। যাতে কনিকা একটু তাকায় তার দিকে। টোপ কাজে লাগল। রিয়াদ গলা খাঁকারি দিতেই কনিকা চমকে উঠে তাকালো। রিয়াদের মুখের দিকে ভালো করে তাকিয়ে বিচলিত কন্ঠে বলে উঠলো,
—-‘ ক-কি হয়েছে?’
রিয়াদ অবাক হওয়ার চেষ্টা করে চোখ দুটো গোলাকার বানিয়ে বলল,
—-‘ কি হবে?’
রিয়াদের চোখে চোখ পড়তেই লজ্জায় মিইয়ে পড়ল কনিকা। হাসফাস করতে করতে চোখ নামিয়ে আবারও মাটিতে বিদ্ধ করল দৃষ্টি। রিয়াদ এবার বেশ অসহায় বোধ করল। অসহায় কন্ঠেই বলল,
—-‘ আমার থেকে কি এই মাটিকে বেশি পছন্দ হয়ে গেলো নাকি? ভুল করেও একবার আমাকে দেখা হচ্ছে না। বলি এতো লজ্জা পেলে ম্যাডাম এখানে আসল কেন? না এলেই হতো! আমি বরং চলে যাচ্ছি তিনি বসে থেকে লজ্জা পাক।’
এই বলে রিয়াদ উঠে যেতে নিলেই কনিকা আচমকা তার হাত টেনে ধরল যা রিয়াদের কাছে দুঃস্বপ্নের থেকেও ভয়াবহ মনে হচ্ছিল। কনিকা তার হাত ধরা তো দূর তার কথায় যে আজ এখানে চলে এলো সেটাই তো অবিশ্বাস্য ছিলো। রিয়াদ এবার বিস্ময় নিয়েই তাকাল কনিকার দিকে। কনিকার মুখ খানা চিকচিক করছে সোনালী রোদে। রিয়াদের চোখ জুড়িয়ে এলো। কনিকার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,
—-‘ কিছু বলবে?’
কনিকার চোখমুখ শুঁকিয়ে আসল অজানা ভয়ে। সঙ্গে সঙ্গে হাত-পা কাঁপতে শুরু করলো। ভয়ে বুকের ভেতর ধড়ফড় করছে। কি বলবে সে রিয়াদকে? মুখে কিছু বলতে না পারলেও মাথা নাড়ল। অর্থাৎ হ্যাঁ, সে কিছু বলবে তাকে। রিয়াদ পূনরায় চেয়ারে বসতে বসতে অধৈর্য্যে কন্ঠে বলল,
—-‘ আজ টানা ১৯টা দিন অপেক্ষা করিয়েছো! আর দয়াকরে অপেক্ষা করিয়ো না! এতো অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে কিন্তু আমি মরে যাবো এই বলে দিলা-
রিয়াদ কথাটা পরিপূর্ণ করার মাঝেই আকস্মিক কনিকা রিয়াদের মুখ চেপে ধরে কন্ঠে খানিক রাগ ঢেলে বলল,
—-‘ পাগল হয়ে গেছেন আপনি? কি সব যাতা বলছেন!’
রিয়াদ আকস্মিক বোকা বনে গেলো। গোল গোল চোখ পাকিয়ে স্রেফ তাকিয়ে রইলো কনিকার অগ্নিমূর্তি ধারন করা মুখমণ্ডলে।
—-‘ ভালোবাসি আপনাকে। আপনি যদি মরে যান তবে আমার কি হবে?’
কনিকার এহেম কথায় এবার যেন রিয়াদের চোখ জোড়া কোটর থেকেই বেরিয়ে আসবে। কনিকা তার মুখে হাত চেপে আছে সেই সুযোগে সে কনিকার হাতে চুমু খেয়ে প্রফুল্ল কন্ঠে বলল,
—-‘ আমিও তোমাকে ভালোবাসি মায়াবতী। বিশেষ করে তোমার ঐ মায়াবী চোখ জোড়াকে। তুমি একবার তাকালেই আমি ঘায়েল হয়ে যাই।’
কনিকা হেসে পড়ে বলল,
—-‘ আপনি না একদম বদ্ধ পাগল একটা।’
রিয়াদ চোখ টিপে বলল,
—-‘ সবটাই তো তোমার জন্য।’
_________
রিয়াদ আমাকে কিছুদূর নিয়ে এসে আকস্মিক আমার চোখ বেঁধে দিলো। আমি অবাক হয়ে বলে উঠলাম,
—-‘ একি কি করছো? তুমি আমার চোখ বাঁধছো কেন?’
রিয়াদ আমার চোখ বেঁধে দিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,
—-‘ সারপ্রাইজ।’
এই বলে আবারও কোথাও একটা নিয়ে এলো। মিনিট পাঁচেক পরে আমার চোখ খুলে দিতেই আমি আবিস্কার করলাম স্বর্গের মতো একটা জায়গা। যেখানে কেবল ফুলফুলে স্বর্গ তৈরি করা হয়েছে। আমি চারপাশ টা দেখার মাঝেই হঠাৎ কিছু একটা নেমে এলো আমার সামনে। আমি প্রথমে খেয়াল করিনি তাই চমকে উঠেছি। পরে ঠিক করে দেখতেই মনে হলো এটা একটা বোর্ড। ডেকোরেট করে সাজানো হয়েছে। বোর্ডের মাঝে বিভিন্ন লাইটিং দিয়ে সুন্দর করে কনিকার নামটা সাজানো হয়েছে। যেটা দেখা মাত্রই শরীরে আগুন জ্বলে উঠলো আমার। কিন্তু এই মুহুর্তে কোনো রকম বোকামি করলে চলবে না কারন আমি এখন কনিকা। তাই খুশি হওয়ার নাটক করতে হবে। ঠিক কনিকার নামটার নিচেই আলোয় আলোয় জ্বলে উঠে দৃশ্যমান হলো ‘আই লাভ ইউ।’ সেটা দেখতেই আমার রাগ নিভে গেলো। আমি ভীষণ খুশি হয়ে গেলাম। মুখে হাত চেপে পেছন মুড়ে রিয়াদের দিকে তাকাতেই যেন ধাক্কা খেলাম। একি! এটা কে? কনিকা কয়জনকে তার প্রেমের জ্বালে ফাঁসিয়েছে?
আমি পেছন মুড়ে তাকাতেই ছেলেটা বাঁকা হাসল। মাথা চুলকে লজ্জা লজ্জা ভাব করে বলল,
—-‘ আই রিয়েলি লাভ ইউ কনিকা।’
আমার হঠাৎই মনে পড়ে গেলো একে আমি কোথায় দেখেছিলাম। আমি রাগান্বিত স্বরে চেঁচিয়ে উঠে বললাম,
—-‘ হোয়াট দ্য হেল! আপনি এখানে কি করেন? রিয়াদ কোথায়?’
ছেলেটা বাঁকা হেসেই জবাব দিলো,
—-‘ মাইসেল্ফ ফরহাদ রেজা। রিয়াদের বেস্ট ফ্রেন্ড তবে সেটা শুধুই রিয়াদ মানে। আমি নই। তুমি বলতে পারো আমি রিয়াদের বেস্ট এনিমি।’
ছেলেটা ছিল রেজা। সেদিন ওকে রিয়াদের সাথে দেখেছিলাম। কিন্তু প্রশ্ন হলো ও নিজেকে রিয়াদের শত্রু বলে কেন দাবী করছে? ঘাটতে হচ্ছে তো ব্যাপারটা। আমি কপাল কুঁচকে বললাম,
—-‘ বেস্ট এনিমি মানে? হোয়াট ডু ইউ মিন বাই বেস্ট এনিমি?’
রেজা হেসে পড়ল। আচমকা আমাকে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে ধরলো। কেমন অদ্ভুত আচরন করে বলতে লাগল,
—-‘ বলব পাখি। তার আগে একটু স্বাদ নেই।’
রেজার কথা শুনে আমার বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠল। আমি নিজেকে ছাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বললাম,
—-‘ ছাড়ুন আমাকে! ছাড়ুন! আমি কিন্তু চেঁচাবো।’
রেজা আমাকে ছেড়ে দিলো। ছেড়ে দিয়ে আবার অদ্ভুত সুরে হাসতে লাগল। আমার চারোপাশে ঘুরে ঘুরে হাসতে হাসতে বলল,
—-‘ আমার খুব ছোট বেলায় মা মারা যায়। বাবা ছিলেন প্যারালাইজড রোগী। খুব কষ্ট করে,মেহনতী করে,খেটেখুটে আজ এই অব্দি এসেছি। কিন্তু রিয়াদকে দেখো__ ওকে প্রশ্ন করো কষ্ট কি? ও কখনও এর কোনো সংজ্ঞাই দিতে পারবে না! কারন ও জানেই না কষ্ট কি? আর জানবেই বা কি করে? ইরানীর বংশীয় ছেলে! ওর তো জন্মই হয়েছে কারিকারি টাকার উপর। ওর বাল্যকাল, শৈশব কাল,কৈশোর কাল.. সব! সবটা টাকার উপর শুয়ে শুয়ে কেটেছে। আর আমায় দেখো শালার জন্ম নিতেই মা-টা মরেছে। ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে গেছে একটা অসু্স্থ বোঝা। তাই আমি ওকে কোনোদিনও সহ্য করতে পারিনা। উপরে উপরে বুঝাই আমার থেকে ভালো বন্ধু ও কোনোদিনও পাবেনা। আর ভেতর ভেতর আমার লোভ শুধু ওর টাকার উপর। আর তুমি হলে ওর যৌবন কালের সুখ! তাই আমি ওকে কিছুতেই তোমায় পেতে দিবো না কনিকা। কনিকা ও তোমায় আমার মতো করে ভালো রাখতে পারবেনা। ট্রাস্ট মি। আমি তোমায় যতটা মাথায় তুলে রাখতে পারবো ততটা রিয়াদ পারবে না। ওর কাছে শুধু টাকা আছে, কিন্তু ভালোবাসা নেই। কিন্তু আমার কাছে টাকাও থাকবে আর ভালোবাসাও থাকবে। তুমি আমার হয়ে যাও কনিকা। তুমি আমার হয়ে যাও।’
রেজার কথাগুলো শুনে মনে হলো আমি আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে গিয়েছি। এক তো রিয়াদ এমন সু-পুরুষ তার উপর এতো বড়লোক একটা ছেলে পেলে তো জীবন টাকাময় হয়ে যাবে। রেজার শেষ কথা গুলো আমার কান অব্দি পৌঁছাল না। আমি আপন মনে বিরবির করতে করতে এখান যেতে নিলেই রেজা আমাকে টেনে ধরে। বাঁকা হেসে বলে,
—-‘ কোথায় যাচ্ছো পাখি? রিয়াদের কাছে? কিন্তু আমি তো তোমাকে আজ এখান থেকে কোথাও যেতে দিবো না!’
রেজার কথায় অন্যকিছুর আভাস পাচ্ছিলাম। রেজার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললাম,
—-‘ আমায় যেতে দাও।’
রেজা আমার কাছে এগিয়ে এসে বলল,
—-‘ যেতে দিবো? হ্যাঁ যেতে দিতেই পারি কিন্তু তার আগে আমার মনের তৃপ্তিটুকু তো মিটিয়ে দিয়ে যাও!’
রেজার কথা শুনে মেজাজ বিগড়ে গেল আমার। ওকে স্বজোরে ধাক্কা মেরে বললাম,
—-‘ আরে আমি কনিকা নই। আমি কনিকার জমজ বোন মনিকা।’
এই বলেই বেরিয়ে এলাম। বুঝলাম রেজা তখনও অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু আমার রেজার প্রতি কোনো আগ্রহ ছিলো না। আমার মুল আগ্রহ ছিলো রিয়াদ। আমি ছুটে গেলাম রিয়াদকে খুঁজতে। কিন্তু পেলাম না-
মনিকা কথাটা শেষ করতেই মীরের হাত থেকে রিভলবার কেড়ে আনলো হীর। সোজা তাক করল মনিকার কপাল বরাবর। অতঃপর রিভলবারটা থেকে পরপর গুলি বেরিয়ে এসে মুহুর্তেই অতিষ্ঠ করে তুললো চারিপাশ। মনিকা গলা কাটা পাখির মতো ছটফট করতে করতে রক্তে ভেসে উঠলো। রোজ আঁতকে উঠে খামচে ধরলো আদ্রিককে। আদ্রিক রোজকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে জড়িয়ে ধরল। রোজের শরীর শীতল হয়ে গেলো। হাত-পা অবশ হয়ে এলো। আদ্রিকে জড়িয়ে ধরার শক্তি টুকুও সে হারিয়েছে যেন।
হীর রেজার দিকে তাকালো। হীর তাকাতেই রেজার জান কবচ হয়ে যাওয়ার মতো দশা হলো। আতংকে ছটফট করতে করতে বলল,
—-‘ আ-আ-আমায় ক্ষমা করে দাও হীর! আমায় যেতে দাও। কথা দিচ্ছি আর কোনো দিন তোমাদের সামনে আসব না। কথা দিচ্ছি। আমার প্রান টা ভিক্ষা দাও হীর! দয়াকরে-
হীর আঙ্গুল উঁচিয়ে শীতল কন্ঠে বলল,
—-‘ শশশ… যত আকুতি-মিনতি করবে গুলির সংখ্যা তত বেশি হবে। সুতরাং? চুপ-
—-‘ আ-আ-আজিম ভাই-
রেজার মুখে আকস্মিক আজিম সাহেবের নাম শুনতেই চমকে উঠলো সবাই। সবচেয়ে বেশি চমকালো সাবাব। শূন্য দৃষ্টিতে পেছন মুড়ে তাকাতেই দেখল এক হাতে রিভলবার নিয়ে বিধ্বস্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে তার বাবা।
#চলব___
[ বিঃদ্রঃ খুব কষ্ট করে তো পড়লেন। এবার ছোট্ট একটা মতামত জানিয়ে দিন। তাতে আপনার মানইজ্জত চলে যাবেনা ভাই/আপু?]