#কাছে_দূরে ??
#muhtarizah_moumita
#পর্ব___৫৮
জঙ্গলের পাশের মেইন রোডে এসে গাড়ি থামাতে হলো আভিককে। মাহদী চেঁচানো সুরে বলল, ‘হীরের লোকেশন এখানেই বলছে।’ এটুকু শুনতেই গাড়ি থামালো আভিক। সাবাব ছটফট করে উঠলো মাহদীর বার্তায়। বুকের ভেতরটা কয়েক সেকেন্ডের জন্য যেন শিথিল হয়ে গেলো। কিন্তু সেই শিথিলতা ক্ষনকালেই কেটে গেলো। মীর গাড়ির কাচ ভেদ করে জঙ্গলের দিকে দৃষ্টি পাত করে বলল,
—-‘ এখানে তো কেবল জঙ্গল। কোনো মানুষ থাকে বলে মনে হচ্ছে না।’
মীরের কথায় সায় দিয়ে মাথা নাড়লো আভিক আর ইভান। কয়েক মুহুর্তের জন্য হীরকে খুঁজে পাওয়ার আশায় বুকটা ভরে উঠলেও সেই আশা নিভে যেতে মীরের যুক্তিসঙ্গত কথাটাই যথেষ্ট হলো। মাহদী ল্যাপটপটা তুলে ধরে সবাইকে দেখিয়ে বলল,
—-‘ এই যে দেখুন স্যার। লোকেশন এটাই। আমাদের বের হয়ে একবার দেখা উচিৎ!’
মাহদীর কথায় সবাই সায় দিলো। সাবাব দ্রুত নেমে গেলো গাড়ি থেকে। ল্যাপটপ থেকে সঠিক লোকশনটা দেখে নিয়ে জঙ্গলের ভেতর ঢুকে গেলো সে। সাবাবের হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়াতে ভড়কে গেলো সবাই। আচমকা গাড়ি থেকে নেমে কোথায় হারালো! ইভান বলল,
—-‘ স্যার বোধহয় জঙ্গলের ভেতর ঢুকে গেছেন। আমাদেরও যাওয়া উচিৎ। এমন একটা সিচুয়েশনে কেউ একা থাকা মানের লাইফ রিস্ক।’
ইভানের কথায় সবাই সম্মতি দিয়ে হ্যাঁ সূচক মাথা নেড়ে ছুটলো সেদিকে। দিনের ফকফকা আলোতেও জঙ্গলের ভেতর থেকে মনে হচ্ছে সন্ধ্যে নামতে চলেছে। এই জঙ্গল কোনো সাধারণ জঙ্গল নয়। এ যেন এক ভয়ানক মৃত্যুপুরী। যত ভেতরে এগোনো হচ্ছে ততই হচ্ছে জঙ্গলেের শুরু হচ্ছে। চারপাশ টা কাঁটাঝোপে ভরপুর। সামনে পা ফেলতেই বুক কাঁপছে সাবাবের। যেদিকেই এগোনে হচ্ছে সেদিক থেকেই হাত টা কেটে ছিঁড়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে সমানে কেউ ব্লেড দিয়ে শরীর চিঁড়ে দিচ্ছে। সাবাবের গালের ডান পাশে একাধারে অনেক গুলো দাগ পড়লো কাঁটাবনের আঘাতে। কপালের কোন টাতেও কেটে গেছে। মরিচ লাগার মতো জ্বলছে তার পুরো শরীর। তবুও এগোচ্ছে। কি আছে এই জঙ্গলের আড়ালে? তাকে বের করতেই হবে।
আরও কিছু পথ অতিক্রম করতে হঠাৎ কাঙ্ক্ষিত কোনো জিনিস দেখতেই থমকে গেলো সাবাব। কাঁটাবনের উপর পড়ে আছে হীরের ফোনটা। সাবাব হুমড়ে পড়ে ফোনটা উঠালো। ফেনটা হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখে নিশ্চিত হলো এটা হীরেরই ফোন। চারপাশে তৃষ্ণার্থের মতো দৃষ্টি ঘোরালো। এই ভয়ানক জঙ্গলের শেষ কোথায়? কোথায় আছে তার হীর?
—-‘ ভাই? ভাই পেলি কোনো ক্লু?’
পেছনে থেকে দৌড়ে এসে ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলে কথাটা জিজ্ঞেস করলো মীর। সাবাব পেছনে তাদের অস্তিত্ব পেয়ে সেদিকে না ফিরেই হীরের ফোনটা উঁচিয়ে ধরলো। মীর হীরের ফোনটা দেখতেই নিজের দিকে কেঁড়ে নিলো। অসহায় কন্ঠে বলল,
—-‘ ক..কার রে?’
পেছন থেকে মাহদী উদ্বিগ্ন কন্ঠে বলল,
—-‘ স্যার,এটাই তো লোকেশন দিচ্ছে। তার মানে এটা হীরের ফোন।’
ইভান আর আভিক বিষ্ময় নিয়ে দেখলো ফোনটা। সামনে থেকে সাবাব অধৈর্য্য হয়ে চাপা নিঃশ্বাস ফেললো। নিজেকে সংযত করে স্বাভাবিক কন্ঠে বলল,
—-‘ তবে কি হীরকে এই জঙ্গলের ভেতর থেকে নেওয়া হয়েছে? আর যেতে যেতে ওর ফোনটা এখানে পড়ে গেছে? নাহ্! হিসেব মিলছে না! এই জঙ্গলের শুরু তো আছে কিন্তু শেষ নেই। সুতরাং, এখান থেকে হীরকে নিয়ে কোনো দিকে যাওয়াই পসিবল না। হতে পারে হীরকে ঐ রোড থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে! আর ওর ফোনটা কেউ ইচ্ছে করে এদিকে ফেলে রেখে গেছে। যেন আমরা ওর লোকেশন ট্রাক করতে চাইলেও ভুল লোকশনে এসে পড়ি। আর আমাদের মূল্যবান সময় গুলো এসব মিথ্যে ক্লু খোঁজার পেছনেই ব্যায় হয়ে যায়। আর ওদিকে থেকে ওরা ওদের কাজ টা সারতে পারে।’
সবাই চিন্তিত হয়ে পড়লো। ভাবুক কন্ঠে আভিক বলল,
—-‘ তবে তো স্যার আমরা ঠিক লোকশনেই এসেছি।’
আভিকের কথা বুঝতে না পেরে সবার কপাল কুঁচকে এলো। ইভান আর মাহদী মুখ চাওয়াচাওয়ি করে বলে উঠলো,
—-‘ মানে?’
আভিক মাহদী আর ইভানের দিকে এক পলক দেখে সাবাবের দিকে তাকালো। সাবাব উদ্বিগ্ন কন্ঠে বলল,
—-‘ বুঝয়িে বলো?’
আভিক হ্যাঁ সূচক মাথা নেড়ে বলতে আরম্ভ করল,
—-‘ দেখুন স্যার, ওরা ভেবেছিলো হীরের ফোনটা এখানে ফেলে দিয়ে গেলে আমরা ভুল লোকশনে এসে হীরকে খুঁজব। কিন্তু ওরা এটা ভাবেনি রাস্তা তো একই। ওরা হীরকে নিয়ে মেইন রোড থেকে গিয়েছে আর আমাদের বুঝিয়ে দিয়ে গেছে হীরকে নিয়ে ওরা জঙ্গলের ভেতর থেকে গেছে। অথচ এই জঙ্গলের আগা গোড়া কোনোটাই নেই। শুধু বাড়তেই থাকে। কিন্তু বের হওয়ার পথ নেই। তবে আমরা যদি রোড ধরে এই জঙ্গলের শেষে যেতে চাই তাহলে তো অবশ্যই এ জঙ্গলের শেষ মাথায় পৌঁছাতে পারবো। কেননা,জঙ্গলের ঘনত্ব এতো বেশি যে আমরা চাইলেও মাথা ঠিক রেখে জঙ্গলের শুরু শেষ বের করতে পারবোনা। সুতরাং আমাদের এখন মেইন রোড ধরেই জঙ্গলের শেষ মাথায় পৌঁছাতে হবে। তাহলে আম সিওর আমরা কোনো না কোনো উপায় ঠিক পাবো। হীর,তরী আর কিরন ওদেরকে ঠিকই খুঁজে বের করতে পারবো।’
আভিকের কথায় সবার মুখেই হাসির রেখা ফুটলো। সবাই একসাথে গলা মিলিয়ে বলল,
—-‘ ইয়েস পসিবল।’
তারা পূনরায় রওনা হলো জঙ্গলের শীর্ষে পৌঁছাতে।
________________?
হীরের বাঁধা হাত দুটোতে ভর দিয়ে হীরের সম্মুখে এগিয়ে গেলো ফরহাদ রেজা। বাঁধা হাতে অতিরিক্ত ভর এবং চাপ সহ্য করতে না পেরে কাতরে উঠলো হীর। হীরের কাতর কন্ঠে রেজা শকুনি দৃষ্টিতে তাকালো। হীরের হাতের উপর থেকে ভর ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো। হীর ব্যাথা থেকে মুক্তি পেয়ে যেন দম ছেড়ে বাঁচল। হাত দুটো নাড়াতে চেষ্টা করলো। বিষাক্ত ব্যাথা করছে হাত দুটোয়। হীরকে নড়তে চড়তে দেখে রেজা বাঁকা হাসলো। হাতের রিভলভারটা ঘোরাতে ঘোরাতে বলল,
—-‘ সেই চোখ,সেই মুখ। সেই চাহনি। তোমায় দেখে আমার বরাবরই মনে হয়েছে এ যেন রিয়াদ-কনিকার সম্মিলিত এক অনন্য রূপ। যার মাঝে তারা দু’জনেই আছে। একদম জীবন্ত।’
হীর দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে শুঁকনো গলায় ঢোক গিলল। ক্লান্ত চোখে তাকালো রেজার দিকে। শান্ত কন্ঠে বলার চেষ্টা করল,
—-‘ যাদের তুমি নিজের হাতে খুন করেছো তাদেরকে যে কারোর মাঝে হ্যালুসিনেট করাটাই স্বাভাবিক। তাই না ফরহাদ রেজা?’
হীরের শান্ত ভঙ্গিতে বুক কাঁপানো কথায় কেঁপে উঠলো রেজা। কেঁপে উঠলো মনিকাও। আকষ্মিক হীরের থেকে এমন ধরনের কথা তারা কস্মিনকালেও আশা করেনি।
রেজা মনিকার দিকে তাকালো। মনিকাও রেজার দিকে তাকালো। দু’জনের হতবিহ্বল রিয়াকশনে হীর হেসে উঠলো। মনিকা আর রেজার মুখের দিকে তাকাতে তাকাতে বলল,
—-‘ কি? আমার থেকে এধরনের কথা তোমরা আশা করোনি তাই তো? না করাটাই স্বাভাবিক! কারন হীর যে গভীর জলের মাছ মনি। তাকে এতো সহজে ধরতে পারা___ হাহাহা হাস্যকর বটে।’
রেজা হীরের কথা হতবাক হয়ে শুনছে। তার চোখেমুখে চড়াও হয়েছে ভয়ানক বিষ্ময়। হীর একই ভঙ্গিতে পূরনায় বলল,
—-‘ তুমি না ঠিকই বলেছো। আমার ভেতরে আমার বাবা আর মা দু’জনই আছে। আর একদম জীবন্ত। আমার বাবা বেঁচে আছে জলন্ত অগ্নিকুণ্ডের মতো আর মা বেঁচে আছে ঠান্ডা বরফের মতো। বাবা বেঁচে আছে রেজা,মনিকা আর আজিম আহমেদকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দিতে। আর মা বেঁচে আছে তোমাদের মৃত্যুকান্ডের সাক্ষী হয়ে ঐ জলন্ত শিখায় বরফের পানি ঢালতে। তবে যতক্ষণে মা তোমাদের পানি দিবে ততক্ষণে তোমরা জ্বলেপুড়ে খাক।’
রেজা কেঁপে উঠলো। পিছিয়ে গেলো দু-কদম। মনিকা উঠে এসে রেজার পাশে দাঁড়ালো। হীর তাদের আচরন দেখে হাসতে লাগলো। তার হাসির শব্দে ঝনঝন করে কাঁপছে ঘরময়। তার পাগলের মতো হাসির শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠলো মনিকা আর রেজা। মনিকা রেগে-মেগে ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে গেলো হীরের দিকে। রাগ আর চাপা ক্ষোভে স্ব জোরে চড় বসালো হীরের গালে। হীর চড় খেয়ে ঝুঁকে গেলো পাশ ফিরে। মনিকা রাগে কাঁপতে কাঁপতে হীরের চুলের মুঠি চেপে ধরে তার দিকে মুখ ফিরিয়ে আনলো। দু’জনের চোখের জলন্ত আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। মনিকা হীরের রক্তিম চোখের দিকে তাকিয়ে আবারও থাপ্পড় মারে। হীর অসহ্য ব্যাথায় চোখ বুঁজে নিয়ে গিলে খেলো ব্যাথা। মুখে চুপ রইলো। মনিকা হীরের মুখ টা শক্ত করে চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
—-‘ একদম নয় হীর। বাবার মতো ওভারস্মার্ট হওয়া চলবে না। জানোই তো তাদের শেষ পরিনতি। কিভাবে মরতে হয়েছিলো আমাদের হাতে? মনে করো? তোমার মা,তোমার বাবা! ঠিক ওভাবেই মরবে তুমিও! আমি মারবো! আম-
মনিকা কথাটা সম্পূর্ণ করার আগেই হীর করে বসলো এক অভাবনীয় কাজ! মনিকা তার উপর চড়ায় হওয়ায় মনিকার পা তার পায়ের কাছে থাকাতে সে নীচ থেকেই মনিকার পায়ে লাথিয়ে বসিয়ে দিলো। আচমকা এমন হামলাতে মনিকা নিজের ব্যালেন্স রাখতে না পেরে হুমড়ি খেয়ে নীচে পড়লো। প্রচন্ড ব্যাথায় কুকিয়ে উঠলেই চমকে উঠলো রেজা। মনিকাকে তুলতে গিয়ে অবাক চোখে দেখলো একবার হীরকে। এ কেমন ধূর্ততা হীরের। মনিকা রাগে ক্ষোভে চিৎকার করে উঠলো। হীর মনিকার অবস্থা দেখে হেসে উঠে বলল,
—-‘ নিজেকে কি ভাবছো বলোতো মনি? তোমার থেকে ওয়েল ট্রেইনড কিন্তু আমি। কোথায় কখন কোন এঙ্গেলে আঘাত করতে হয় সেটা তোমার থেকে ভালো রপ্ত করেছি আমি। ইশশ, ব্যাথা পেলে গো?’
মনিকা নিজের রাগ আর ক্ষোভ কোনোটাই সংযত রাখতে পারলো না। কোনো রকমে উঠে দাঁড়িয়ে এবার হীরের চেয়ার বরাবরই লাথি দিলো। হীর নিজেকে সামলাতে গিয়ে চেয়ার নিয়ে ঢলে পড়লো নীচে। নীচে পড়ে ফ্লোরে স্লিপ কেটে অনেক দূরে চলে গেলো চেয়ার। বা হাতটা একদম নিচে পড়ায় সাদা চুরিদারের জামার হাতাটা ছিঁড়ে হাতের চামড়া ছিলে গেলো বেশখানিকটা। ব্যাথায় প্রানটা ছিটকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও মুখ বুঝে সহ্য করে নিলো হীর। রেজা চেঁচিয়ে উঠে কাউকে ডাকলো। দুটো লোক ভেতরে এসে হীরকে আবারও চেয়ার সুদ্ধ টেনে তুললো। হীরের অসহনীয় অবস্থা দেখে মনিকা খেঁকখেঁক করে হেসে উঠলো। বলল,
—-‘ আমার থেকে ওয়েল ট্রেইনড হলেও প্রফেশনে তুমি একদম নতুন হীর। আর আমি তো অভ্যস্ত এসবে। তোমার থেকে বেশি অভিজ্ঞ আমি। এই যে দেখছো না? উনি? উনি কিন্তু তোমার বাবার খুব কাছের এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফরহাদ রেজা। উনার থেকেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আমি। বারো বছরের অভিজ্ঞতা।’
হীর ব্যাথা নিয়েই হেসে পড়লো। রেজার দিকে তাকিয়ে বলল,
—-‘ তোমার বউ বারো বছর ধরে অভিজ্ঞ ফরহাদ রেজা। আর আমার জন্মই তো হয়েছে এসব নিয়ে। আমি তো জন্মগত ভাবেই ওয়েল ট্রেইনড এন্ড ওয়েল ট্রেইনার!’
মনিকা ফুঁসে উঠে হীরের দিকে তেড়ে যেতে নিলেই রেজা তার হাত ধরে ফেলে। কর্কশ কন্ঠে চেঁচিয়ে উঠে বলে,
—-‘ শান্ত হও মনি! এখন এসব করার সময় নয়। ওকে মারার সময় অনেক পাবে। আমাদের আগে নিজেদের কাজ হাসিল করতে হবে। এসো?’
মনিকা ছিটকে উঠে বলল,
—-‘ না আমার কোনো কাজ করার নেই। আগে আমি ওকে মারবো এটাই আমার আসল কাজ।’
রেজা দাঁতে দাঁত চেপে তাকালো মনিকার দিকে। মনিকাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে টেনে নিয়ে বাইরে চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাঁটা ধরলো। হীর রেজার যাওয়ার পানে তাকিয়ে ক্ষেপা কন্ঠে বলে উঠলো,
—-‘ দাঁড়াও ফরহাদ রেজা। আমার বাবা-মাকে খুন করার পেছনে বাকি দু’জনের স্বার্থ তো একদম পরিষ্কার কিন্তু তুমি? তোমার কি উদ্দেশ্য ছিলো ওদের দু’জনকে মারার? তুমি তো বাবার খুব কাছের মানুষ ছিলে? যাকে বাবা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারত? সেই তুমি-! কেন করলে এমন?’
হীরের প্রশ্নে দাঁড়িয়ে গেলো রেজা। পেছন মুড়ে হীরের দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,
—-‘ সিক্রেট।’
বলেই দাঁত কেলিয়ে হাসলো রেজা। রেজার হাসি দেখে হীরের শরীরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠলো। সমস্ত শরীরে ভর করলো খুনের নেশা। পৃথিবী থেকে ফরহাদ রেজার মতো বিশ্বাসঘাতক বন্ধুকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলার নেশা। ভয়ানক নেশা।
#চলব___