#কাঁচের_চুড়ি
কলমে : #ফারহানা_কবীর_মানাল
পার্ট -৬
চারিদিকে অন্ধকার, কি করে সমাধান হবে সবকিছু! বাড়িতে ফিরে মা’য়ের কাছে গেলাম। মা’য়ের সাথে সময় কাটালে হয়তো একটু ভালো লাগবে। মা তখন রান্নার আয়োজন করতে ব্যস্ত। ইফতারে কি কি তৈরি করবে রাতে কি রান্না করবে সবকিছু গুছিয়ে রাখছে।
” মা দাদির না হয় বয়স হয়েছে, কিন্তু ফুফু তো তোমাকে সাহায্য করতে পারে।”
” তা অবশ্য পারে, তবে কাজ করতে গেলে নিজের ইচ্ছে থাকতে হয়। জোর করে কাউকে দায়িত্ববোধ বা সহমর্মিতা শেখানো যায় না। ”
” তুমি কিছু বলো না কেন?”
” কিছু বলার নেই রে বাবা। যখন আমি অবিবাহিত ছিলাম, তখন কোন কাজ করতাম না। ভাবি মা এঁরা কাজ করতে আমি শুধু শুয়ে বসে দিন পার করলাম। মনে করতে পারিস এটা আমার কর্মফল। ”
” তুমি এতো গম্ভীর হয়ে কথা বলছো কেন?”
” কিছু না, তুই যা এখন। বিরক্ত করিস না, আমাকে কাজ করতে দে।”
অগত্যা রুমে চলে এলাম, কিছু ভালো লাগছে না, বিছানায় শুয়ে রইলাম। যোহরের আজান দিতে বেশি বাকি নেই। গোসল করতে হবে কিন্তু উঠতে ইচ্ছে করছে না। শরীরের সব শক্তি যেন বাতাসে মিলিয়ে যাচ্ছে। সাত-পাঁচ চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম। ঘুম থেকে উঠতে উঠতে বেলা তিনটা।
তড়িঘড়ি করে গোসল সেজে নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর শার্টের বোতাম লাগতে লাগতে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। এখন দুইটা কাজ আমার। জসিম কাকার সাথে দেখা করতে যাবো আর মানিকদের বাড়িতে। মানিকের বাবা আজ বাড়িতে আছে। একটু আগে মামিক কল দিয়ে জানালো, বাবার সাথে কথা বলতে হলে চলে আমাদের বাড়িতে চলে আয়। ওঁদের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে বেশ দূরে, সাইকেলে যেতেও বিশ মিনিটের মতো সময় লাগে। মানিক আমাকে চারটার মধ্যে যেতে বলেছিল, কিন্তু আমার বড্ড দেরি হয়ে গেছে। ঘুম থেকে উঠে গোসল সেরে নামাজ পড়লাম, আর এখন সাইকেল চালাচ্ছি।
দমানিকদের বাড়িতে পৌঁছে দেখলাম, ওর বাবা সোফায় বসে আছে। কাছে গিয়ে সালাম দিলাম।
” আসসালামু আলাইকুম আংকেল। কেমন আছেন? ”
” ওয়ালাইকুম আসসালাম, এইতো আলহামদুলিল্লাহ। তুমি কেমন আছো? ”
“জ্বি, আমিও ভালো আছি। ”
” একি! তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেন? বসে পড়ো। ”
উনার কথা মতো সোফাতে বসলাম। আংকেল হাতে কয়েকটা কাগজ নিয়ে গম্ভীর হয়ে সেদিকে তাকিয়ে আছেন।
” তা বাদশা বাবা, কি মনে করে আসলে? তোমাকে তো তেমন দেখা যায় না এদিকে। ”
” মানিকের কাছ থেকে সাজেশন নিতে এসেছি। এমনিই তেমন আসা হয় না। পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তারপর রোজা থাকতে হয়। ”
“তা অবশ্য ঠিক। তাছাড়া আমাদের বাড়িটা এলাকার শেষ প্রান্তে, আসা-যাওয়ার পথে হলে তাও আসতে পারতে। ”
” একটা কথা জিজ্ঞেস করবো। ”
” হ্যাঁ নিশ্চয়ই। ”
“আপনার কি করে খু’নে’র অ*প*রা*ধীদের খুঁজে বের করেন?”
” প্রতিটা বিষয় খুব গভীরভাবে লক্ষ্য করতে হয়। ”
” কি কি বিষয় গভীরভাবে লক্ষ্য রাখতে হয়?”
” এই কাজে কার কি লাভ হতে পারে, কেন তাকে খু”ন করা হলো, প্রতিটা সূত্র মিলিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাও। সব থেকে বড় বিষয় হলো সন্দেহকারীকে নজর বন্দী করে রাখা। তার প্রতি মুহুর্তের আপডেট জোগাড় করা। কোথায় কি করছে, খু*ন হওয়ার পর কার মনোভাব কেমন ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে সব অ”প”রা”ধী কোন না কোন ভুল নিশ্চয়ই করে। তোমার কাজ হলো সে-ই ভুলটাকে খুঁজে বের করা। ”
” আমাদের বাড়ির কাছে একটা বাচ্চা মেয়ে মা”রা গেছে, ওর কে*সটা কতদূর এগিয়েছে?”
” খোঁজ চলছে, তবে এখনও কিছু পাওয়া যায়নি। ”
” ওহ আচ্ছা। আমি তাহলে এখন যাই, পরে আবার আসবো। ”
” আচ্ছা। ”
মানিকের বাবা কিসব কাজ করছে, আমার যাওয়ায় তেমন গুরুত্ব দিলো না। কথা শেষ করে নিজের মনে কাজ করছে। কোথায় ভাবলাম ইফতারি করে যেতে বলবে আমাকে!
ওঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম। সাইকেলে বসে মনে মনে সন্দেহজনক লোকের তালিকা বানাচ্ছি। তালিকার প্রথম নাম ফুফুর, ফুফু যেভাবে সেদিন আমার থেকে কাঁচের চুড়ির টুকরোগুলো নিয়ে নষ্ট করে ফেললো। এরপর তাঁকে আর বিশ্বাস হয় না। দ্বিতীয়জন হলো জসিম কাকেদের বাড়িতে দেখা সেই নতুন কাকা। এই দু’জন লোকের বাইরে আপাতত আর কেউ সন্দেহজনক নেই। এখন থেকে এদের উপর কড়া নজর রাখতে হবে। দরকার হলে কয়েকদিন পড়তে যাবো না। তবুও কড়া নজরে রাখবো এদের। প্রকৃতির টানে সাইকেল থামিয়ে ঝোপের আড়াল চলে গেলাম।
ঝোপের আড়ালে গিয়ে এক অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করলাম। নতুন কাকা আমার থেকে বিশ হাত দূরে দাঁড়িয়ে আছে, তাঁর সাথে আরো একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। সন্দেহ হলো, আস্তে আস্তে পা টিপেটিপে ওদের কাছে গেলাম। একটা গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে সবকিছু শুনতে চেষ্টা করলাম, দুইজন একে-অপরের সাথে কথা বলছে,
” আপনি সময়মতো সবকিছু সামলে নিতে পারবেন তো? ”
” তুমি চিন্তা করো না, সবকিছু ভেবে রেখেছি । ”
“যা-ই বলেন জায়গাটা দারুণ , এখানে খুব সুন্দর শপিংমল হবে। জায়গায় মালিকের সাথে কথা বলতে হবে।”
” হুম, তবে আমি বেশি সময় দিতে পারবো না, আমার ভাগ্নি মা*রা গেছে দুইদিন আগে। এখন আপাকে সময় দেওয়া জরুরি। ”
” হ্যাঁ, ঠিকই, চলেন এখন ফিরে যাই। ”
উনারা চলে গেলেন। ভেবেছিলাম কি না কি নিয়ে কথা বলছে, কিন্তু এদের কথোপকথন শুনে মনে হলো আমি ভুল। তবে এই লোকের ব্যাপারে আমার সবকিছু জানতে হবে। কাকিমা কতটা বলবেন জানি না। তবে জসিম কাকা যতটুকু জানে আশা করি সবটা বলে দিবেন।
সচারাচর এ সময়ে ক্ষেতে কাজ করতেন জসিম চাচা। কিন্তু এখন কোথায় আছে বলতে পারবো না, প্রথমে ক্ষেতে গিয়ে দেখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
প্রচন্ড রোদ চারদিকে, এতো রোদের ভিতরও জসিম কাকা কাজ করেছে। রাস্তার পাশে সাইকেল রেখে হেঁটে হেঁটে উনার কাছে গেলাম।
” আসসালামু আলাইকুম কাকা। ”
” ওয়ালাইকুম আসসালাম বাবা, কিছু বলবে?”
” জ্বি, একটু কথা ছিলো আপনার সাথে।”
” তবে ছায়ায় চলো, এতো রোদে দাঁড়ালে অসুস্থ হয়ে যাবে। ”
আমি কাকার পিছনে পিছনে হাঁটতে লাগলাম। একটা গাছের নিচে গিয়ে দাড়ালাম দু’জন। কাকা কোমরে পেঁচিয়ে রাখা গামছাটা খুলে গায়ের ঘাম মুছতে লাগলেন।
” কাকা একটু পানি খেয়ে নিন। এতো রোদে কাজ করেন কেন?”
” সে-ই ছোট্ট বেলা থেকে এভাবে কাজ করে আসছি, আমার কিছু হবে না। পানি খাবো না, রোজা আছি। ”
” এতো রোদে কাজ করেও আপনি রোজা থাকেন?”
” মাঠের কাজগুলো শেষ করা জরুরি, শরীরের যত্নও গুরুত্বপূর্ণ তবে রোজা ফরজ, আবশ্যিক বিষয়। সে যাইহোক! তুমি কি বলবে? ”
” আপনাদের বাড়িতে এই নতুন লোকটা কে?”
” তিন্নির মা’য়ের গ্রামের লোক। এলাকায় নাকি কিসব শপিংমল করবে তাই এসেছে। লোকটার থাকার জায়গা ছিলো না বলে আমাদের বাড়িতে থাকতে বলেছি।”
” ক’দিন ধরে আছেন উনি?”
” তা প্রায় মাসখানেক হলো। ”
” এতোদিনে একবারও চোখে পড়লো না আমার! ”
” সিরাজুল ভাই তেমন ঘর থেকে বের হয় না। সারাদিন কাগজপত্র, ল্যাপটপ, মোবাইল এসব নিয়ে কাজ করে। তবে লোকটা বেশ ভালো। মিশুক ধরণের। ”
” আচ্ছা কাকা আমি তাহলে এখন গেলাম, পরে আসবো। ”
” আচ্ছা বাবা আমার ফুলের মতো মেয়েটার সাথে কে এমন করলো?”
” এখনোও জানি না, তবে খুঁজে বের করবো ইনশাআল্লাহ। আপনি এই অবস্থা কাজ করছেন কেন? বাড়িতে থাকতে পারতেন।”
” কাজ করে নিজেকে ব্যস্ত রাখি। বাড়িতে গেলে কলিজা ছিঁ”ড়ে যায় আমার। ”
” হুম। ”
কথা শেষ করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। রোজা রেখে শেষ বিকালে সাইকেল চালাতে কষ্ট হচ্ছে আমার, অন্যদিকে জসিম কাকা মাঠে কাজ করছে! পৃথিবীর মানুষগুলো কত অদ্ভুত! বাড়ি ফেরার পথে তামিম ভাইয়ের সাথে দেখা। এলাকায় বড় ভাই। আমাকে দেখে ডাক দিলেন।
” বাদশা এদিকে শোন। ”
” জ্বি ভাইয়া, বলেন। ”
” রমজানের শেষ দশদিনের জন্য একটা পরিকল্পনা করেছি। তোকেও আমাদের সাথে থাকতে হবে। ”
” কি পরিকল্পনা ভাই?”
” ইফতারে দোকান দেবো। তুই হবি আমাদের দোকানদার। ”
” ঠিক বুঝতে পারলাম না। ”
” আরে পা*গ*ল, এদিকে আয়। রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে সব কথা বলতে নেই।”
” নাও এবার বলো, আমার অনেক কাজ আছে। ”
” ওরে আমার কাজের ছেলে রে! আসল কথা বলি, আমরা বন্ধুরা এবং গ্রামের কয়েকজন মিলে শেষ দশ রমজান সকলের জন্য ইফতারে ব্যবস্থা করবো। তোদের মতো কয়েকজন বাচ্চা ছেলে লাগবে আমাদের। ”
” আচ্ছা ভালো উদ্যোগ। তা এসব ইফতারের টাকা কোথায় পাবে? লোকজনকে কিনে খেতে হলে তেমন কেউই আসবে না। ”
” কোন টাকা পয়সার ব্যাপার নেই। ফ্রিতে এসব বিক্রি করবো আমরা। স্বেচ্ছায় কাজ করতে হবে সবাইকে, কোন প্রকার পারিশ্রমিক নেই। তুই রাজি থাকলে জানাবি কেমন? ”
” আচ্ছা ভাই, বাড়িতে কথা বলে জানাবো। তবে জানো তো মূল্যবান কিছু আদান-প্রদান না হলে ক্রয়-বিক্রি হয় না।”
” পন্ডিত হয়েছে একটা। আচ্ছা ঠিক আছে। কালকের ভিতর জানাবি কিন্তু!”
ভাইকে বিদায় দিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিলাম। শরীরে বিন্দুমাত্র শক্তি অবশিষ্ট নেই। বাড়িতে গিয়ে বিছানায় পিঠ এলিয়ে দিলাম। ইচ্ছে ছিলো তিন্নিদের বাড়িতে গিয়ে ওই লোকটার খোঁজ নিবো। জসিম কাকা কি যেন বলেছিল লোকটার নাম। ওহ হ্যাঁ মনে পড়েছে। সিরাজুল!
মা’য়ের ডাকে ঘুম ভাঙলো। মাগরিবের আজান দেওয়ার সময় হয়ে এসেছে। আমার হাতে একটা টিফিন বক্স ধরিয়ে দিয়ে মা বললেন, ” এইটা তিন্নির মা’কে দিয়ে আয়। বেচারি আজ রোজা ছিলো। ”
মা’য়ের হাত থেকে বক্সটা নিয়ে ওদের বাড়িতে গেলাম। আশেপাশে কাউকে দেখতে পেলাম না, দরজায় কয়েকবার কড়া নাড়লাম কিন্তু কারো কোন সাড়া শব্দ নেই। অগত্যা দরজা ঠেলে ঘরের ভিতর চলে গেলাম। কাকি মা ভিতরের পুকুরে কিসব ধুচ্ছিল, আমাকে দেখে বলে উঠলো, ” কি মনে করে আসলে তুমি?”
” এই তো মা তোমাকে এটা দিতে বললো।”
” আচ্ছা একটু দাঁড়াও আর ব্যস্ত হলে ঘরে গিয়ে টেবিলের উপর রেখে দাও। হাতের কাজ শেষ না করে উঠতে পারছি না। ”
পাঁচ দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে তেমন অসুবিধা ছিলো না, তবে সিরাজুল কাকার ঘরটা দেখার খুব ইচ্ছে হলো। তাই তড়িঘড়ি করে ঘরে ভিতর চলে এলাম। কোনটা সিরাজুল কাকার ঘর ঠিক জানি না তবে রান্নাঘরের পাশের ঘরটা উনার মনে হলো। উঁকি দিয়ে দেখলাম আলনার উপর একটা শার্ট পড়ে আছে। এই শার্টটা উনি আগের দিন পরে ছিলেন। ব্যাস! শতভাগ নিশ্চিত হয়ে গেলাম এটা উনার ঘর। ঘরটা একদম পরিপাটি করে সাজানো। খুঁজে দেখার মতো কিছু নেই। হতাশ হয়ে ফিরে আসছিলাম এমন সময় মনে হলো একটু খুঁজে দেখি, সবসময় যে সবকিছু লুকিয়ে রাখতে হবে এমনটা নয়। লুকিয়ে রাখার জন্য মানুষের চোখের সামনেই সব থেকে নিরাপদ জায়গা। কারো স*ন্দে*হ হয় না। আলনার কাছে গিয়ে কয়েকটা শার্ট-প্যান্টের পকেটে খুঁজে দেখলাম, একটা প্যান্টের পকেটে একটা কানের দূল পেলাম, হ্যাঁ আমি নিশ্চিত এটা তিন্নির কানের দূল। জসিম কাকা যেদিন তিন্নিকে এই কানের দূল জোড়া দিয়েছিলেন, সেদিন তিন্নি আমাকে দেখিয়েছিলো।
সেদিন,
খাটের উপর বসে মোবাইলে কার্টুন দেখছি। তিন্নি দৌড়াতে দৌড়াতে আমার কাছে এলো।
” এই বাদশা ভাই তুমি এই বয়সে কার্টুন দেখো?”
” তোর কোন সমস্যা? ”
” না সমস্যা নেই বাপু। এই দেখ ছেলে আমাকে কানের দূল বানিয়ে দিয়েছে। ”
” সোনার নাকি?”
” হয়, তবে সোনা রূপা মিশানো। এই যে সাদা সাদা বলগুলো। এগুলো রূপার। ”
” বাবা রে, তুই কত পেকেছিস! হারিয়ে ফেলবি কাকি মা’য়ের কাছে দিয়ে আয়। ”
” আমি পেকে গেছি, আর তুমি কাঁচা রয়ে গেলে হুহ। ”
তিন্নি দৌঁড়ে চলে গেল। আমি কার্টুন দেখায় মন দিলাম।
।
অতীতের স্মৃতি থেকে বেরিয়ে এলাম। চোখের কোণে পানি জমেছে। কানের দূলটা জায়গা মতো রেখে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। কে কখন চলে আসে বলা যায় না। তবে সিরাজুল কাকা যে বললো বাড়িতে আসবে, তাহলে এখন ঘরে নেই কেন। লোকটার ঘর আরো খুজেতে হবে, পরে সময় করে আসবো।
বাড়িতে ঢুকতেই দাদি ডাক দিলো।
” হ্যাঁ রে বাদশা। ফুফুকে একটু ডাক দে তো। মেয়েটা হয়তো ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে গেছে। ”
যদিও দাদির কথায় রাগ হলো, তবুও উনাকে বুঝতে দিলাম না। ফুফুর ঘরের দরজা লাগানো, আস্তে করে ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেলো। ফুফু একটা কানের দূল হাতে নিয়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ভালো করে কানের দূলটা লক্ষ্য করলাম, একি! এতো তিন্নির কানের দূলের এক অংশ! সত্যি বলতে এমন অদ্ভুত কানের দূল অন্য কারো কাছে দেখিনি আগে পরে। তাই এতো নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি এটা তিন্নির।
চলবে