#এটা গল্প হলেও পারতো
#পর্ব ৭
বেল বাজার আওয়াজে চমকে খাটে উঠে বসলো দিতি, বিছানায় শুয়ে কাঁদতে কাঁদতে কখন যেনো চোখটা একটু লেগে এসেছিলো। কাল বাড়িতে ঢোকার পর থেকেই অর্ক ওর সঙ্গে একটাও কথা বলে নি, রাতে অন্য ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েছিলো! কিন্তু ওই বা কি করবে! ও তো আর পাগল নয় যে অহেতুক বানিয়ে বানিয়ে অর্ক কে তার বাবা মায়ের সামনে ছোটো করতে চাইবে! অর্ক কে ছোটো করা মানে যে নিজেকেও ছোটো করা সেটা কি ও বোঝে না!
এলোমেলো ভাবনার মধ্যেই দ্বিতীয় বার বেলটা বেজে উঠলো, এবার বেশ কয়েকবার একসঙ্গে, অদিতি তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। খাট থেকে মাটিতে পা দিতেই মাথাটা হালকা একটু ঘুরে গেলো, শরীরটা খুব দূর্বল লাগছে, বেডরুমের দেওয়ালটা ধরে ফেললো অদিতি। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকার উপায় নেই, এবার বেলটা একটানা বেজে যাচ্ছে, কেউ অধৈর্য্য হয়ে বারবার বেল টিপছে, কোনরকমে দেওয়াল ধরেই এগিয়ে গিয়ে দরজাটা খুললো অদিতি।
অর্ক আর ধৈর্য্য রাখতে পারছিলো না, প্রায় মিনিট পনেরো ধরে বেল বাজানোর পরেও যখন অদিতি দরজা খুললো না তখন ওর হটাৎ করেই ভীষণ ভয় লাগলো। ওর কি শরীর খারাপ হলো হটাৎ! না হলে এই ভর সন্ধ্যেবেলা একটা মানুষ এতো ঘুমোতে পারে নাকি! কি করা উচিৎ এই ভাবনার মধ্যেই অদিতি দরজা খুললো, নিজের অজান্তেই অর্কর গলা থেকে উৎকণ্ঠার আওয়াজ বেরিয়ে এলো,
দরজা খুলছিলে না কেনো? শরীর খারাপ নাকি!
দেওয়াল ধরেই ঘরের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে, মুখে কিছু না বলে মাথা নাড়লো অদিতি, অর্কর একটু অস্বাভাবিক লাগলো। ও আস্তে আস্তে পেছনে পেছনে ঢুকে এলো। হাত, মুখ ধুয়ে সঙ্গে করে নিয়ে আসা চাইনিজ এর প্যাকেটটা দুটো প্লেটে ঢেলে নিয়ে ঘরে ঢুকলো অর্ক, অদিতি একটু অবাক দৃষ্টিতে তাকালো।
নাও, খেয়ে নাও, তোমার পছন্দের জিনিস, দিদির রান্না গুলো আমি ফ্রিজে তুলে রেখেছি,
যেনো দুদিন ধরে কোনো কিছুই ঘটেনি এমন ভঙ্গিতে বললো অর্ক, একটু চুপ করে থেকে অদিতি প্লেটের দিকে হাত বাড়ালো।
তোমার শরীর কি খুব খারাপ? বাপ্পার বিয়েতে যেতে পারবে না?
খেতে খেতেই জিজ্ঞেস করলো অর্ক।
শরীর খারাপ তবে যেতে পারবো না এমন নয় এখনও, চেষ্টা করবো যেতে, ও অনেক বার বলেছে আমাকে,
অদিতির কথায় অর্ক একটু নিশ্চিন্ত হলো। আগামী মাসে ওর মাসতুতো ভাইয়ের বিয়ে, অনেকদিন ধরেই যাওয়ার ঠিক হয়ে আছে, এখন এই পরিস্থিতিতে অদিতি যদি না যেতে রাজি হতো তাহলে আবার মাসী কে কিছু মিথ্যে কথা বলতে হতো।
ও আসলে আমাকেও অনেক বার ফোন করেছে সেই কবে থেকে, আমি ওকে কথাও দিয়েছি আসবো বলে। কিন্তু তুমি না গেলে তোমাকে একা রেখে তো যেতে পারবো না, তাই তোমার শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে ওকে জানিয়ে দেবো না হয়।
অর্কর কথায় একটু খুশি হলো অদিতি, যাক! তাহলে ও ওকে নিয়েই যেতে চায়। কিন্তু এখনই কিছু বলবে না ও, এমনও হতে পারে শুধুই বিয়ের অনুষ্ঠান টা একসঙ্গে বাধ্য হয়ে কাটানোর জন্যেই ও দিতি কে ম্যানেজ করতে চাইছে।
সে তো এখন দেরি আছে, তখন যদি ভালো থাকি তাহলে যাবো,
ইচ্ছে করেই বললো অদিতি,
দেরি আর কোথায়! আমি ভেবেছিলাম আমাদের শান্তিনিকেতন তো যাওয়া হয়নি, দুদিন আগেই যেতাম তাই। শনিবার কলেজ করে চলে যেতাম, তাহলে বিয়ের আগে দুদিন ঘুরে নিতাম একটু, কিন্তু তোমার শরীর ভালো না থাকলে তো ঘুরতেও ভালো লাগবে না
এবার একটু ভাবলো অদিতি, ওর নিজেরও শান্তিনিকেতন যাওয়ার ইচ্ছে অনেকদিন থেকেই, ওরা দুজনেই অনেকবার ভেবেছিলো যেহেতু মাসিরা বোলপুরে থাকেই তাই ওদের বাড়িতে গেলে ঘুরে আসবে। কিন্তু প্রায় বছর খানেক ধরে সেটা প্ল্যান হয়েই থেকে গেছে শুধু, এই সুযোগে সেটা হলে খুব খারাপ হবে না। আর অর্কর সঙ্গেও সম্পর্কটা ভালো হবে হয়ত।
যাবে তো?
অদিতি কে অন্যমনস্ক ভঙ্গিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললো অর্ক, অদিতির ডিসিশনের ওপরে সবটাই নির্ভর করছে। ও সত্যিই ভেবেছে বেড়ানোর কথা, এর থেকে ভালো সুযোগ আর আসবে না কখনো। এখন দিতি যদি না যেতে চায়, তাহলে ওর প্ল্যানটা সম্পূর্ন পাল্টে যাবে, ও ভেবেছিলো বেড়াতে গেলে দিতি র মন টাও ভালো হয়ে যাবে, আগামী দিনগুলোতে আর কোনো ঝগড়া রাখতে চায় না ও।
একবার একটা ভুলের জন্যে তো আর সারাজীবনের মতো অশান্তি টেনে নিয়ে যাওয়া যায় না! আর একই রকম কথা ও ও বলেছে সেদিন, তাই এবার এই পর্ব টা শেষ করতে চাইছিলো ও। এই যে দুজনে দু ঘরে শুয়েছিলো কাল, তাতে ও ও তো ভালো থাকে নি, ওর নিজেরই তো রাগ কমে আসার পর থেকেই উঠে চলে আসতে ইচ্ছে করেছে রাতে এঘরে, কিন্তু নিজের ইগো সরিয়ে সেটা করা সম্ভব হয়নি। আজ সাথীর কথা শোনার পর ও এগুলো ভুলে যেতে চাইছে। আর ইগো নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, দিতির মনের কথাটাও ভাবতে হবে। এই বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে যদি এগুলো মিটমাট হয়ে যায় ক্ষতি কি!
কি হলো বললে না কিছু! তাহলে আমি কাল সকালেই ফোন করে দিতাম বাপ্পা কে।
বলতে বলতে খাটে বালিশ টেনে নিয়ে শুয়ে পড়লো অর্ক। গত কাল রাতে ও আলাদা ঘরে ছিলো, অদিতি ঠিক করেই নিয়েছিলো আর নিজে থেকে এঘরে ডাকবে না অর্ক কে, আজ ওকে নিজে এসে শুতে দেখে খুশি হলো ও, তারমানে অর্ক সত্যি সবকিছু ঠিক করে নিতে চাইছে!
যাবো, ফোন করে দিও বাপ্পা কে,
লাইট নিভিয়ে দিয়ে অর্কর পাশে শুয়ে পড়লো দিতি, অর্কও খুশি হলো, ওর ধারণা ছিলো ওকে এই খাটে শুয়ে পড়তে দেখে দিতি নিশ্চয়ই কিছু বলবে। কিন্তু ওকে চুপ করে শুয়ে পড়তে দেখে বুঝলো ও ও মিটিয়ে নিতেই চাইছে গন্ডগোল, তাই মিটিয়ে নেওয়ার এই সুযোগটা ও একটুও নষ্ট করতে চাইলো না ও, পাশ ফিরেই জড়িয়ে ধরলো অদিতি কে।
পরের দিন সকালে চায়ের টেবিলে বসে অদিতি কে অনেকটাই স্বাভাবিক লাগছে দেখে একটু দোনোমনো করে প্রসঙ্গটা তুলেই ফেললো অর্ক,
তুমি কি এখনো আমার ওপরে রেগে আছো দিতি?
অদিতি মাথা নাড়লো, আস্তে আস্তে বললো,
রাগ নয় আমার খুব কষ্ট হয়েছিলো, ওই ফোনটা এলো আর তার ঘন্টাখানেক পর থেকেই তুমি আর আমার ফোন রিসিভ করলেনা। এমনকি রাতের দিকে বন্ধও করে দিলে! সবটা মিলিয়েই মনে হচ্ছিলো তুমি আমাকে অ্যাভয়েড করতে চাইছো!
বিশ্বাস করো, সত্যি আমি ফোনটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তুমি দিদি কে জিজ্ঞেস করো, আমি পরের দিন ওকেও জিজ্ঞেস করেছিলাম। অথচ তুমি ফোন না ধরলে টেনশন করো বলেই আমি কিন্তু সত্যি এবার খুব সতর্ক ছিলাম। আমার স্পষ্ট মনে আছে ক্লাসের পরে আমি সাইলেন্ট মোডে রাখিনি আর, এমনকি বাড়িতেও ওটা সোফার ওপরেই ছিলো। তাও কি করে যে হলো! যাকগে, ছেড়ে দাও, আর কোনোদিনও হবে না! সরি!
অদিতি খুশি হলো, অর্কর হাতটা ধরে বললো,
আমারও ভুল হয়ে গেছে, বাইরের কারোর কথায় আমি কেনো যে তোমাকে ভুল বুঝলাম! কিন্তু এরকম একটা ফোন কে আমাকে করলো বলোতো? যদি রান্ডম কল করে কেউ মজা করতো, তাহলে সে তোমার নাম জানতো কি করে? এটাই না আমার খুব আশ্চর্য্য লাগছে!
অর্ক এই সুযোগের অপেক্ষাই করেছিলো, অদিতির হাতটা ধরে রেখেই বললো,
জানো তো, আজ মেট্রোতে ফেরার সময় অরিন্দমের এক বন্ধুর সঙ্গে হটাৎ দেখা হলো। ভদ্রমহিলার নাম সাথী, অরিন্দম পরিচয় করিয়ে দিলো, উনি নাকি সাইকোলজিস্ট, খুব ভালো কাউন্সিলিং করেন। তোমার প্রেগন্যান্সির কথা শুনে কথায় কথায় বললেন যে, এই সময় নাকি কারো কারো মুড সুইং, ডিপ্রেসন এসব হতে পারে। তুমি কি ওখানে একা একা খুব ডিপ্রেসড ফিল করছিলে দিতি?
দিতি একটু চুপ করে থাকলো, তারপর বললো,
এমনিতে তো কোনো অসুবিধা ছিলো না, তবে মা তো আমাকে কিছুই করতে দিতো না, তাই সারাদিন শুয়ে শুয়ে একটু বোর হচ্ছিলাম তো বটেই।
এখানেও তো সেটাই হবে তাই না? আমি কলেজে চলে যাবো, তোমার তো আবার সারাদিন একা কাটানো মুশকিল হয়ে যাবে! একা একা থাকলেই মনের মধ্যে আজেবাজে চিন্তা আসবে! সাথী বলছিলো, তোমার যদি খুব ডিপ্রেসড লাগে তাহলে তুমি ওর সাথে কথা বলতে পারো, নাহলে হয়তো পরে আরো বেড়ে যাবে!
কিছুক্ষন চুপ করে থেকে সায় দিলো অদিতি,
ঠিক আছে! কথা বলো তাহলে। ওনার সঙ্গে কথা বলেই দেখি একবার!
কলেজের দেরি হয়ে যাচ্ছিলো, অদিতি যে এতো সহজে রাজি হয়ে যাবে এটা ওর ধারণা ছিলো না। তাই সোজাসুজি না বলে সাথীর কথাটা একটু বানিয়েই বলতে হলো। স্নানে যাবার জন্যে উঠতে উঠতে ঘাড় নাড়লো অর্ক,
ঠিক আছে, অরিন্দম কে দিয়ে আজই কলেজে গিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে নিচ্ছি।
কলেজে ঢুকেই নিজেই অরিন্দম কে খুঁজে নিলো অর্ক,
ভাই, দিতি রাজি হয়ে গিয়েছে! তুই একটা তাড়াতাড়ি অ্যাপয়েন্টমন্ট করে দে না প্লিজ!
অরিন্দম অবাক হলো,
এতো সহজে রাজি হলো! কি করে অসাধ্য সাধন করলি!
অর্ক হাসলো,
শোন না, আমি একটু মিথ্যে বলেছি! বলেছি তোর আর আমার সাথে সাথীর মেট্রোতে হটাৎ দেখা হয়েছিলো। ওকে ফোন করেছিলাম জানলে দিতি রাগ করতো, ভাবতো আমি ওকে পাগল ভাবছি। তুই সাথী কে একটু বলে রাখিস সব টা।
পরের দিন বিকেলেই সাথীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া গেলো অরিন্দমের চেষ্টায়, দিতি কে নিয়ে অর্ক চেম্বারে ঢুকলো। সাথী বেশ হাসিখুশি, দিতির বেশ পছন্দ হলো। সাথী দিতি র দিকে তাকিয়ে হাসলো,
বলুন, কেমন আছেন? কি সমস্যা হচ্ছে আপনার?
একটু ভেবে সবটাই বেশ গুছিয়ে বললো অদিতি, যেটুকু ভুল হচ্ছিলো, পাশে বসে অর্ক হেল্প করলো। দুজনের সঙ্গেই আলাদা করেও কথা বললো সাথী।
আপনি কি করে শিওর হচ্ছেন অর্ক বাবু, যে সত্যিই কোনো ফোন আসে নি?
অর্ক একটু ভাবলো, তারপর বললো,
কারণ আমার এমন কাউকে মনে হচ্ছে না, যে কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এই কাজটা করতে পারে। আমার সেরকম কোনো শত্রু নেই, সবার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক খুব ভালো। তাছাড়া এমনিতেই ও একটু এরকমই, মাঝে মাঝেই ফোন বন্ধ রাখা বা সাইলেন্ট রাখা নিয়ে ওর সঙ্গে আমার ঝামেলা হয়েছে। আমার মনে হয় এবার ও ওখানে এই অবস্থায় একা ছিলো, তাই একটু বাড়াবাড়ি ভেবে ফেলেছে।
আলাদা করে দিতির সঙ্গেও কথা বললো সাথী, ঘটনা টা সত্যিও হতে পারে এটা মেনে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এর পেছনের কোনো কারণ দিতির কাছে জানতে চাইলো সাথী। আগে কোনোদিন অর্কর ব্যবহারে ওর এরকম কিছু মনে হয়েছে কিনা, বা অর্ক সত্যি এরকম করতে পারে কিনা এর উত্তরেও নাই বললো দিতি। সাথীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষন যুক্তি তর্ক দিয়ে বিচার করার পরে অদিতি নিজেই বিশ্বাস করলো যে এটা ওরই মনের ভুল। কেউ ওকে ফোন করেনি, ও নিজের কল্পনায় এসব ভেবে নিয়েছে।
যখন দুজনেই কথা বলে খুশি মনে বেরোচ্ছিল, তখন সাথী অর্ক কে আলাদা করে ডেকে দিতির দেওয়া ফোন নম্বরটা একটু সেভ করে রাখতে বললো, একটু অনিচ্ছা সত্বেও সেভ করলো অর্ক।
দিন দুয়েকের মধ্যেই অদিতি একদম স্বাভাবিক হয়ে গেলো, গত এক সপ্তাহের ঘটনা মন থেকে মুছে ফেললো দুজনেই। এমনকি শাশুড়ি কে ফোন করে নিজের পাগলামির জন্যে লজ্জা প্রকাশ করলো অদিতি, রুমা এবং সমরেশ দুজনেই শান্তি পেলেন। ছেলে, বউয়ের গন্ডগোলের জন্যে তাঁদের মধ্যেও অশান্তির সৃষ্টি হয়েছিলো। কোনো কিছু সঠিক ভাবে না জেনেই অর্ক কে ডেকে পাঠানোর জন্যে স্ত্রীর ওপর যথেষ্টই বিরক্ত হয়েছিলেন সমরেশ।
প্রায় মাসখানেক কোনো সমস্যা ছাড়াই কেটে গেলো, অর্কও নিজে যথেষ্ট সতর্ক থাকলো, ফোন বন্ধ বা সাইলেন্ট যাতে না থাকে সে বিষয়ে মনোযোগী হলো। সাথীর সঙ্গে বার দুয়েক সিটিংয়ে সব কিছুই স্বাভাবিক হয়ে গেলো। ক্রমশ বাপ্পার বিয়ে এগিয়ে আসছিলো, অদিতি গোছগাছ শুরু করলো। মাঝে মধ্যে টুকটাক অশান্তি হলেও সেগুলো বিরাট আকার ধারণ করছিলো না।
শান্তিনিকেতন যাওয়ার দিন তিনেক আগে একদিন কলেজে ঢুকেই ছুটির দরখাস্ত লিখতে বসলো অর্ক, যাবার দিন প্রায় এসে গিয়েছে অথচ আসল কাজটাই করা হয় নি এখনো। দরখাস্ত লিখে ছুটির ব্যবস্থা করে অফিস থেকে বেরিয়ে এসে কলেজ ক্যান্টিনের সামনে ও থার্ড ইয়ারের গ্রুপটার মুখোমুখি হলো। ওকে দেখেই কৌশিক এগিয়ে এলো,
স্যার, কিছু জিনিস একটু অসুবিধা হচ্ছে, দু একদিনের মধ্যে আপনি ফ্রী থাকলে বুঝতাম একটু!
অর্ক মাথা নাড়লো,
এ সপ্তাহে হবে না কিছুতেই! আমি দিন তিনেকের জন্যে একটু বাইরে যাচ্ছি, নেক্সট উইকে একটা দিন দেখো তোমরা।
কোথায় যাচ্ছেন স্যার?
অর্কর কথা শুনতে পেয়ে একটু দূরে দাঁড়িয়েই অনির্বাণ জিজ্ঞেস করলো, অর্ক একটু হাসলো,
শান্তিনিকেতন।
ক্রমশ