এক ফালি রোদ্দুর পর্ব:২২

0
525

#এক_ফালি_রোদ্দুর?
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম?
#পর্ব:২২

—-“ওহ তার মানে শুধু মাএ শিফা আর আহান ভাইয়ার সাথে দেখা করানোর জন্য আমরা এখানে এসেছি….

“গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে চরম প্রকার অবাক হয়ে কথাটা বলে উঠল রুহি আমায় আর রিয়াদ ভাইয়াকে’!!কারন আমরা এতক্ষন রুহিকে সব বলছিলাম কেন আমরা এখানে এসেছি….

”রুহির কথা শুনে আমি আর রিয়াদ ভাইয়া দুজনেই মাথা নাড়িয়ে বললামঃ

—-“হুম….

“সুন্দর একটা ব্রিজের উপর গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি, রিয়াদ ভাইয়া আর রুহি’!!আর আমাদের থেকে বেশ দূরত্বে উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছে শিফা আর আহান’!!

“এখানে আসার মূল কারন হলো আহান ভাইয়ার সাথে শিফার কথা বলা,কাল রাতেই আহান ভাইয়া বলে ছিল আমায়, আমি যাতে একটু প্রাইভেসিভাবে ওনার আর শিফার কথা বলিয়ে দেই,তাই তো কাল ওতো রাতে এইসব প্লান করলাম,যেহেতু কাল আহান ভাইয়া আর রিয়াদ ভাইয়া চলে যাবে আমেরিকায় তাই যাতে যাওয়ার আগে আহান ভাইয়া শিফাকে তার মনের কথা বলতে পারে তার জন্যই এখানে আসা….,এখন বেশ ভালো লাগছে আমার,এখানে আসার জন্য খালামনিকে(শিফার আম্মু) কত মিথ্যে কথা বলা লাগলো,

“তবে যাইহোক শিফা, আহান ভাইয়া খুশি সাথে আমিও খুশি….

“শপিং এর নাম করে শিফা আর রুহিকে এখানে এনেছি,খালামনি আর কি করে জানবে তার মেয়ের জন্য জামাই দেখছি…

“আনমনেই হেঁসে উঠলাম’!!আমার হাসি দেখে রিয়াদ ভাইয়া বলে উঠলঃ

—-“কি হলো তুই একা একা হাসছিস কেনো তানজু?

—-“না তেমন কিছু নয়…

“এই বলে আমি দাঁড়িয়ে পরলাম ব্রিজের রেলিং ধরে ব্রিজের উপর’!!আর গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে রইলো রিয়াদ ভাইয়া আর আহান’!!

“প্রচন্ড বাতাস হচ্ছে এখানে,ব্রিজের নিচেই রয়েছে মস্ত বড় নদী,নদীর উপর দিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে কয়েকটা নৌকা আর ছোট ছোট কিছু লঞ্চ আমি আনমনেই তাকিয়ে আছি নিচে….

.

“এদিকে রিয়াদ তাকিয়ে আছে তানজুর দিকে,একরাশ মুগ্ধতা এসে গ্রাস করেছে তাকে,মেরুন রঙের জর্জেট থ্রি-পিচ পড়েছে তানজু,চুলগুলো খোলা,কানে রয়েছে এক জোড়া ছোট্ট ঝুমকা,যেগুলো বাতাসে হাল্কা দুলছে,রিয়াদের বেশ লাগছে বিষয়টা,ইদানীং রিয়াদ তানজুকে যেভাবে দেখে সেভাবেই ভালো লাগে,

—-“আচ্ছা আমি এতো তানজুকে নিয়ে ভাবি কেন?

“মনে মনেই প্রশ্নটা করলো রিয়াদ নিজেকে,উওর খুঁজে পাচ্ছে না সে….

.

“এদিকে আরেকজন রুহি তাকিয়ে আছে রিয়াদের দিকে,আজকে রিয়াদ ব্লাক এন্ড ওয়াইট মিশ্রিত টিশার্ট পড়েছে,ব্লাক জিন্স,চোখে ব্লাক চশমা,চুলগুলো বাতাসে উড়ছে খুব’ আনমনেই মুচকি হাসলো রুহি,তার বেশ ভালো লাগছে রিয়াদকে,

—-“আচ্ছা আমি যে রিয়াদ ভাইয়াকে ভালোবাসি সেটা কি এক্ষুনি বলে দেওয়া উচিত, না থাক পড়ে বলবো যদি রেগে যায় তখন…

“মনে মনে বক বক করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো রুহি…..

“এরা জানে না এদের জন্য সামনে কি অপেক্ষা করছে,কেউ পুরাতন ভুলে নতুন কিছু আঁকড়ে ধরার স্বপ্ন দেখছে,আর কেউ নিজের অজান্তেই ফিলিংস তৈরি করছে,কেউ ভালোবাসা বুঝতে পারছে না, আর কেউ ভালোবাসা বুঝাতে চাইছে না,,

“আর একজন তো এদের দুজনের থেকে পুরোই আলাদা তার মধ্যে না আছে কোনো ফিলিংস না আছে কাউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার ইচ্ছে,,সে তো তার লাইফে বিন্দাস আছে,কোনো প্যারা নেই জাস্ট চিল…..

“আর বাকিটা ভবিষ্যত বলবে…..

______________

“পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে শিফা আর আহান,দুজনেরই দৃষ্টি ওই নিচে থাকা পানির দিকে,দুজনেই নীরব কারো মুখে কোনো কথা নেই,এমনটা নয় যে তাঁরা কিছু বলতে চাইছে না,দুজনেই অনেককিছু বলতে চাইছে কিন্তু কিছুই বলতে পারছে না!’দুজনেই অসম্ভব নার্ভাস যেন পরিক্ষা শুরু হওয়ার আগ মুহুর্ত…..

“হর্ঠাৎই নীরবতার বাঁধ ভেঙে বলে উঠল শিফাঃ

—-“আপনি কালকে চলে যাবেন….

“শিফার কথা শুনে নার্ভাসভাবেই বললো আহানঃ

—-“হুম….

“আহানের কথা শুনে শিফা নিচের দিকে তাকিয়েই আমতা আমতা করে বললোঃ

—-“বলছি আপনি কি কিছু বলবেন আমায়…

“শিফার কথায় আরো নার্ভাস হয়ে পড়লো আহান,নার্ভাস ভাবেই বললো সেঃ

—-“অনেক কিছুই তো বলতে চাইছি বাট বলতে পারছি কই…?’

“বিনিময়ে কিছু বললো না শিফা’!!আবারো মনযোগ দিলো সে নিচে থাকা পানির দিকে,এমনটা নয় যে, শিফা বুঝতে পারছে না আহান কি বলতে চাইছে তাকে,কিন্তু আহানের অবস্থা দেখে শিফার বেশ মজা লাগছে তাই তো বিষয়টার মজা নিচ্ছে শিফা….

.
.
.

বিরক্তির চরম সীমানা অতিক্রম করে দাঁড়িয়ে আছি আমি ব্রিজের সাথে হেলান দিয়ে সেই কখন থেকে এখানে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু ওই আহান শিফার কোনো খবর নেই, তাঁরা তো সেই আগের মতোই আগের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে’!!কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বললাম আমিঃ

—-“এঁরা কি কিছু বলছে রুহি,নাকি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে বলতো….

“আমার কথা শুনে রুহি হাতের নখ কাটতে কাটতে বললোঃ

—-“কি করে বলবো….

—-“আরে এতক্ষণ সময় লাগে নাকি কাউকে ভালোবাসি বলতে আহান ভাইয়ার জায়গায় আমি থাকলে এতক্ষণে হয়ে যেত…

“আমার কথা শুনে রিয়াদ ভাইয়া বলে উঠলঃ

—-“ওহ তাই নাকি…

—-“তাই নয় তো কি এত সময় লাগে নাকি,আহান ভাইয়া যেভাবে আছে মনে তো হচ্ছে না এ যুগে কিছু বলতে পারবে তার চেয়ে বরং আমি গিয়ে বলে দেই শিফাকে আহান ভাইয়া ওকে ভালোবাসে….

“বলেই দু’পা এগোতেই রিয়াদ ভাইয়া আমার হাত ধরে বললঃ

—-“চুপচাপ দাঁড়া এখানে,এত বেশি বুঝোস কেন তুই,একটু পাকামি না করলে চলে না নাকি…

—-“উফ,তুমি বুঝতে পারছো না ভাইয়া আমি না গেলে ওরা কখনোই বলতে পারবে না….

—-“বেশি কথা না বলে চুপচাপ দাঁড়া এখানে,না হলে ধাক্কা মেরে পানিতে ফেলে দিবো তোকে….

—-“কি….

“এদিকে রুহি রিয়াদের কাজ দেখে হাসছে’!!ওর হাসি দেখে বলে উঠলাম আমিঃ

—-“ওই তুই হাসছিস কেন?

—-“না কিছু না…

“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে আমিও আর কিছু না বলে আবারো আগের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রইলাম,হর্ঠাৎই ব্রিজের নিচে থাকা একটা খোলা মাঠের দিকে চোখ গেল,সাথে সাথে খুশি হয়ে বললাম আমিঃ

—-“তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে থাক, আমি আসছি…

—-“কোথায় যাচ্ছিস তুই… (রুহি)

—-“আরে আসছি বললাম তো…

“বলেই আমি দৌড়!’

“এদিকে রিয়াদ তানজুর কাজ দেখে অবাক হয়ে বললোঃ

—-“কোথায় গেল বলতো রুহি…

—-“কি জানি…

“এমন সময় রিয়াদের ফোনে কল আসায় রিয়াদ চলে যায় একটু সাইডে….,আর রুহি নিরাশ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো গাড়ির পাশে,তারও বিরক্ত লাগছে সেও বুঝতে পারছে না আহান – শিফা এতক্ষণ কি করছে…….

__________________________

“বিরক্ত লাগছে শিফার কারন সেই কখন থেকে হাবলার মতো দাঁড়িয়ে আছে তাঁরা’!!না আহান কিছু বলছে আর না সে কিছু বলছে,অনেক ভেবে চিন্তে শিফা সিদ্ধান্ত নিলো সেই বলে দেবে আহানকে!’আহানের দাঁড়া কিছু হবে না যা করার তাকেই করতে হবে…

“শিফা প্রস্তুতি নিলো আহানের দিকে তাকিয়ে বলে দিবে আই লাভ ইউ আহান’!!শিফা জোরে এক শ্বাস ফেলে আহান দিকে ঘুরে যেই না কিছু বলতে যাবে তার আগেই আহান বলে উঠলঃ

—-“আই লাভ ইউ….

“জিনিসটা হুট করে হয়ে যাওয়াতে শিফা কিছুটা ভরকে গেল’!!তাই বললো সেঃ

—-“কি?’

—-“আই লাভ ইউ শিফা,জানি না কখন কোথায় কিভাবে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি আমি,কিন্তু তোমায় বড্ড ভালোবাসি আমি,তুমি কি আমার ভালোবাসা গ্রহণ করবে,সেই কখন থেকে এই কথাটা বলার চেষ্টা করছি তোমাকে বাট নার্ভাসের জন্য কিছু বলতেই পারছিলাম না,জানি না তুমি বিষয়টা কিভাবে নিবে,কিন্তু এটাই সত্যি আমি তোমায় খুব ভালোবাসি,তোমার সাথে কথা না বললে আমার ভালো লাগে না,তুমি যখন গ্রাম থেকে চলে এসেছিলে তখনই বুঝে গেছিলাম তোমায় কতটা ভালোবাসি আমি,তোমায় ছাড়া সবকিছু শুন্য শুন্য লাগছিল গ্রামে,মনে হচ্ছিল আমার প্রিয় জিনিসটা আমার কাছ থেকে হাতছাড়া হয়ে গেছে, তোমার হাসি,নজর কারা চোখ, মায়াবী মুখ সবকিছুতেই মুগ্ধ আমি…

“গড়গড় করে কথাগুলো বলেই আহান তার পকেট থেকে একটা ডায়মন্ডের রিং বের করে হাঁটু গেড়ে বসে বললো____

“অবশেষে বলবো….

—“Do you Love me sifa….

“বলেই রিংটা এগিয়ে দিলো আহান শিফার দিকে’!!

“এদিকে শিফা হা হয়ে তাকিয়ে আছে আহানের দিকে!’ সে ভাবতে পারে নি আহান তার মনে কথা বলতে পারবে,শিফা আহানের কাজে মুগ্ধ হয়ে মুচকি হেঁসে বললোঃ

—-“yes,i do…

“শিফার কথা শুনে আহান খুশি হয়ে রিং টা পরিয়ে দিল শিফার আঙুলে,তারপর বসা থেকে উঠে শিফাকে যেই না জড়িয়ে ধরতে যাবে তার আগেই শিফা বললোঃ

—-“এখনি কোনো জড়িয়ে ধরা যাবে না মিস্টার…

“শিফার কাজে আহান অবাক হয়ে বললোঃ

—-“কেন?’…

—-“আগে বিয়ে করুন মশাই তারপর,বিয়ের আগে কোনো কিছু নয়….

“শিফার কথা শুনে আহান বেশই অবাক হয়েছে,সে যতদূর জানে কাউকে ভালোবাসার কথা বললে প্রেমিকা নিজ থেকে জড়িয়ে ধরে আবার কিসও করে কিন্তু এখানে তো পুরোই উল্টো, তবে যাইহোক আহান খুশি,আহান খুশি হয়ে বললোঃ

—-“ঠিক আছে,আমাদের মধ্যে যা হবে সব বিয়ের পর….

“আহানের কাজে মুগ্ধ শিফা’!!কারন সে ভাবতে পারে নি আহান ইজিলি মেনে নিবি সবটা কোনো কারন জিজ্ঞেস না করেই,শিফা মুচকি হেঁসে বললোঃ

—-“আপনি খুব ভালো আহান…

“বিনিময়ে আহান আর কোনো উওর দিলো না,শুধু মুচকি হাসলো,তারপর তাদের মধ্যে শুরু হলো কিছু প্রেম আলাপ……

||

“হা হয়ে তাকিয়ে আছে রিয়াদ ব্রিজের নিচে থাকা তানজুর দিকে,কারন তানজু নিচে ছোট ছোট পিচ্চি ছেলে মেয়েদের সাথে ফুটবল খেলছে’!!রিয়াদ কিছুক্ষন আগেই ব্রিজের উপর থেকে দেখেছে তানজু দৌড়ে নিচে বাচ্চাদের কাছে গেল আর খেলা জুড়ে দিল…রিয়াদ ভেবে পাচ্ছে না…

—-“এই মেয়েটা যেখানে যায় সেখানেই এইরকম পিচ্চিদের সাথে মিশে যায় কিভাবে?’ ,,অবশ্য তানজুকে শুধু মেয়ে বললে ভুলই হবে ও নিজেই তো পিচ্চি…..

“হেঁসে উঠলো রিয়াদ…..

.
.

“দেড় ঘন্টা পর কিছু পিচ্চি ছেলেমেয়েদের সাথে ফুটবল খেলে ক্লান্ত হয়ে চলে আসলাম আমি গাড়ির কাছে,কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো এখনো আহান আর শিফা আগের মতো দাঁড়িয়ে আছে, গাড়ির ভিতর পানির বোতলটা বের করে ঢকঢক করে পানি খেয়ে বললাম আমি রুহিকেঃ

—-“ওদের কি এখনো হয় নি রুহি….

—-“জানি না তো….

“এইবার আমার রাগ হচ্ছে কোনোকিছু না ভেবেই হনহন করে চললাম আমি ওদের কাছে,আমার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল রিয়াদ ভাইয়া, কিন্তু এবার আটকালো না হয়তো সেও আমার মতো বিরক্ত হচ্ছে….

“আমি ওদের সামনে দাঁড়িয়ে বললামঃ

—-“ওই তোদের কি আজকে হবে না বাড়ি ফিরতে হবে ভুলে গেছিস নাকি……

“আমার কথা শুনে শিফা কিছু না বলেই হেঁসে চলে গেল’!!আমি ওর কাজ দেখে অবাক হয়ে বললামঃ

—-“ও চলে গেল কেন?

—-“হয়তো লজ্জা পেয়েছে, (আহান)

—-“যাহ বাব্বা কি এমন বললাম যে ও লজ্জা পেয়ে চলে গেল….

—-“ওটা তুমি বুঝবে না তানজু…

—-“ওতো শতো বুঝে আমার কাজ নেই,আগে বলো তোমার কাজটা হয়ে গেছে….

“আহান আমার কথা শুনে হেঁসে বললোঃ

—-“থ্যাংক ইউ সো মাচ তানজু,আজকে সবটা তোমার জন্য সম্ভব হলো…

”আহান ভাইয়ার কথা শুনে আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না আহান ভাইয়া সব বলে দিয়েছে শিফাকে’!!তাই আমিও খুশি হয়ে বললামঃ

—-“ম্যানশন নট,হুড়রে আর একটা বিয়া খামু….

“বিনিময়ে আহান ভাইয়াও আর কিছু না বলে হেঁসে চলে গেল….

“হয়তো সেও লজ্জা পেয়েছে……

_________________________________________

_____________________

“রাত_৯ঃ০০টা……

“বই নিয়ে টেবিলে বসে ঝিমাচ্ছি আমি,ধুর ছাতা কে যে এই পড়াশোনা তৈরি করলো,পড়তে আর ভালো লাগছে না এই ভেবে বই রেখে মোবাইলটা হাতে নিলাম আমি…..

“ফেসবুক অন করতেই একসাথে দুটো মেসেজ আসলো একটা শিফার আর একটা আহান ভাইয়ার দুজনেই থ্যাংকস জানালো আমায়,আমিও মুচকি হেঁসে রিপ্লে দিলামঃ

“মোস্ট ওয়েকাম”…..

“যাক যা হয় ভালোর জন্যই হয় আজকে শিফা আহান দুজনেই খুব খুশি,সাথে আমিও….

“এরই ভিতর আম্মু ডাক দিল আমায়,আমিও বেশি কিছু না ভেবে মুচকি হেঁসে চললাম রুমের বাহিরে….

.

“দুই বো’ওম আচার হাতে দাঁড়িয়ে আছে আম্মু যা দেখে আমি অবাক হয়ে বললামঃ

—-“এগুলো নিয়ে কোথায় যাচ্ছো তুমি আম্মু..?’

—-“একটু রিয়াদদের বাসায়….

—-“এই রাতের বেলা….

—-“তাতে কি হইছে..?’শোন টেবিলের উপর আরো দুই বো’ওম আচার আছে নিয়ে আয় তাড়াতাড়ি আর চল আমার সাথে…

—-“কিন্তু এত আচার নিয়ে তুমি এখন রিয়াদ ভাইয়াদের বাসায় কেন যাবে আম্মু…

—-“এত কথা না বলে চল তো,আফরিনের জন্য এগুলো পাঠিয়ে দিবো ও তো এগুলো খুব ভালো বাসে…

—-“তা নয় বুঝলাম কিন্তু এই রাতের বেলা কেন কাল সকালেও তো দিতে পারো ভাইয়া তো সেই কাল রাতের ফ্লাইটে যাবে….

—–“আমি কোনো রিস্ক নিতে চাই না তানজু,যদি ভুলে যাই এমনিতেও কাল অনেক ব্যস্ত থাকবো, কাল আমি নিজ হাতে রিয়াদকে রান্না করে খাওয়াবো তাই বেশি কথা না বলে চল তাড়াতাড়ি….

“শেষমেশ আমিও আর কথা না বারিয়ে চললাম আচার নিয়ে আম্মুর সাথে…..

_________

“নিজের রুমে দাঁড়িয়ে সবকিছু গোছাচ্ছে রিয়াদ,তার মোটেও এই মুহুর্তে আমেরিকা যেতে ইচ্ছে করছে না কিন্তু কি করার যেতে তো তাকে হবেই,একরাশ শূন্যতা এসে গ্রাস করলো রিয়াদকে,কিন্তু রিয়াদ বুঝতে পারছে না তার এমন কেন লাগছে,,বিরক্ত হয়ে রিয়াদ গোছানো বাদ দিয়ে চলে যায় বেলকনিতে……..
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে……

[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর গল্প কেমন লাগছে কমেন্ট করে জানাবে’!!]

#TanjiL_Mim♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here