এক ফাগুনের গল্প part 4

0
336

এক_ফাগুনের_গল্প
পর্বঃ-০৪

রকিদের বাসায় যখন পৌঁছলাম তখন রাত দশটার বেশি বেজে গেছে, মোজাফফর আঙ্কেল নিজে নেমে এসে ইজিবাইকে উঠিয়ে তারপর গেলেন। যতক্ষণ ছিলাম ততক্ষণে বৃষ্টির সাথে আর দেখা হয়নি, মনে হয় মেয়েটা বড্ড অদ্ভুত ধরনের। আঙ্কেলের কাছে জানলাম বৃষ্টি নাকি এবছর অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ে দৌলতপুর বিএল (বজ্রলাল কলেজ)।

ভাবছি আমি একা কেঁদে কেঁদে সব ছেড়ে যাবো চল, কারো ডাকে আমি আর ফিরবনা । অনেকটা দিন যায় দিন গুনে কষ্টের জাল বুনে জানবেনা কেউ কোন দিন আমার আপন ছিল। মনের মধ্যে নিষ্পাপ স্বপ্ন গুলো হয়ে গেলো এলোমেলো, জীবনটা বর্ণ বিহীন হয়ে গেছে অজানা কারণে। যদি কখনো একাকী সময় কাটে বুঝে নিও আমার অধ্যায় , নিঃসঙ্গ ইচ্ছেঘুড়ি এলোমেলো দুরে কোথাও কোন সে সুনয়না আমায় ভালবাসে? দুঃখের প্রহরে সুখের ছোয়ায় বিষন্ন হৃদয়ে এক মুহূর্ত স্পর্শে আকাশনীলা তারার মেলায় তুমি চিরন্তন ছায়ামানবী তুমি আমার ভালবাসা ।

– রকি সবকিছু শুনে বললো, এখন কি করবি? তুই যে এমন একটা ঘুরপ্যাঁচের মধ্যে পরবি সেটা কখনো আন্দাজ করতে পারি নাই। তাছাড়া মেয়ে তো মনে হয় তোকে ভালবেসে ফেলেছে তাহলে দুজনেই যে করে হোক এক হয়ে যাহহ।

– আমি সেটাই বোঝাতে চাচ্ছি কিন্তু অর্পিতা সেটা করতে পারবে না। সে তার মা-বাবা আর ধর্ম অনেক ভালবাসে, আমিও তার সেই ভালবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু কথা হচ্ছে নিজেকে কীভাবে ফেরাব?

– আচ্ছা আরেকবার কথা বলে দেখ যদি বোঝানো সম্ভব হয় তাহলে তো ভাল হবে।

– চেষ্টা করবো, আচ্ছা তুই যার সাথে সম্পর্ক করতি তার সাথে কি যোগাযোগ ছিল আর?

– নাহহ, কেন বলতো?

– ভাবছি, তোদের দুজনের কত সুন্দর জুটি ছিল সেই জুটি ভেঙ্গে গেল। সে যদি তোকে ভুলে গিয়ে থাকতে পারে তবে তো অর্পিতাও আমাকে ছেড়ে থাকতে পারবে। তাই না?

– বন্ধু, ভালবাসা হচ্ছে বাস্তবতার কাছে পরাজিত একটা জিনিস সময়ের সাথে সাথে পৃথিবীর অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। জীবন কখনো কারো জন্য থেমে যায় না, হয়তো ক্ষনিকের জন্য কষ্ট হয়।

★★

অনেক রাত পর্যন্ত জাগ্রত ছিলাম হয়তো, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলাম মোবাইলের শব্দে। নাম্বার অপরিচিত, কতটা বিরক্ত লেগেছে সেটা বলে লাভ নেই। রিসিভ করে অবাক হলামঃ-

– হ্যালো আসসালামু আলাইকুম।

– ওয়া আলাইকুম আসসালাম, এখনো ঘুমাচ্ছেন আপনি? কি অলস মানুষ রে বাবা।

– কে আপনি?

– আমি বৃষ্টি।

– কোন বৃষ্টি?

– কয় হাজার বৃষ্টির সাথে আপনার পরিচয় আছে মিস্টার রোমিও?

– আশ্চর্য আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন?

– আচ্ছা ঠিক আছে, যে কথা বলার জন্য কল দিয়ে বিরক্ত করেছি সেটা বলছি তাহলে?

– হুম কিন্তু তার আগে পরিচয়?

– আপনি গতকাল রাতে যার সাথে ছাঁদে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন, আমি সেই মেয়ের আর আপনার জীবনের গল্পটা জানতে চাই।

– ওহহ আচ্ছা, মোজাফফর আঙ্কেলের মেয়ে তুমি?

– আজ্ঞে হ্যাঁ।

– আমার নাম্বার তোমার কাছে কীভাবে গেল?

– সংগ্রহীত বাই বাবার মোবাইল।

– জীবন বৃত্তান্ত জেনে কি লাভ?

– কৌতূহল, যেভাবে কথা বলছিলেন তাতে কৌতূহল জাগ্রত না হয়ে পারে?

– আচ্ছা ঠিক আছে কীভাবে জানতে চাও? ফোনে কল দিয়েই শুনবে নাকি সরাসরি?

– অবশ্যই সরাসরি জানতে চাই।

– ঠিক আছে খুলনা শহর ত্যাগ করার পূর্বে তোমার সাথে দেখা করে যাবো। তবে সঠিক কথা দিতে পারি না কারণ যদি দেখা করতে না পারি তখন আবার দোষারোপ করো না। যদি সত্যি সত্যি দেখা নাহয় তবে ভেবে নিও ভাগ্য সুপ্রসন্ন নয়।

– আমাদের বাসায় আর আসবেন না?

– দেখি কি করা যায়?

– আপনি একটু অদ্ভুত।

– হয়তো।

বেলকনিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখি কত বিচিত্র দৃশ্যের ঘটনা। পৃথিবীর সবকিছু আপন নিয়মে চলে যাচ্ছে, কারো জীবন সুখ দিয়ে ভরপুর আবার কারো জীবন অন্ধকার ল্যাম্পপোস্ট বিহীন।

সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে চট্টগ্রাম থেকে আমার এক বন্ধু কল দিল। তার নাম আজমল, সে সানজিদার সঙ্গে দেখা করতে আসার বিষয়টা সম্পুর্ণ জানে। কথা ছিল এখানে এসে সবকিছু তাকে পাই টু পাই আপডেট জানাবো কিন্তু যেখানে নিজেই বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে? সেখানে তাকে কি বলবো?

ক রিসিভ করে বললাম, কিরে আজমল কেন আচোচ দুস্ত?

– আঁর আর থাহা, আঁই তো বওত সধনার ফেম সফল গরিবেল্লাই হোনোমিক্কে নযাই, ইতাল্লাই আঁত্তনতুন হনো হবর নাই।

– গুস্সা নঅইস দুস্ত,আসলে এন্ডে উগ্গের ফর উগ্গে সমস্যা সৃষ্টি অদ্দে যে আঁই ফঅল অইবের অবস্তা।

– কি অইয়েদে সজিব? চায় হতো আঁরে।

-আঁই যার লগে দেহা গোইত্তাম আইস্সিলাম তার অরজিনাল নাম সানজিদা ন।তার নাম অইলদ্দি অর্পিতা, ও হিন্দু মানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিন্তু ও তার ফরিচয় গোফন গোইজ্জে।

– কি হঅস্ ? এহন কি সিদ্ধান্ত লইয়ুস?

– তারে বুজাইতাম চেষ্টা গরির কিন্তু ও আঁরে ফিরাই দের,জীবনের সবচেয়ে বড় হষ্টগান হয়তো ফাইগেলাম দুস্ত।

– মন হারাপ নগরিস, তারলগে কি দেহা অইয়ে না তোর?

– উম্ অইয়ে্

– ও কি তোরে ভালোবাসে নো?

– উম্

– তইলে তার লগে সামনাসামনি বইয়েনে দুনোজনেই মিলি উগ্গে সিদ্ধান্ত ল। একজনে আরেকজনেরে চারা তাঁহিত ফারিবিনি ইয়ান দুনোজনই ভাবি চা।

-চেষ্টা গইজ্জুম আরেকবার দেহা গরিবেল্লাই।

– ভেরি গুড, ফরে আবার কল দিয়ুম আর সমস্যার কিসু অইলে কল দিস লগে লগে।

– ঠিগ আছে।

★★

কারো কথা মাথার মধ্যে ঢুকছে না, তাই চলে যাবো।
অনেক ভেবে চিন্তে এখান থেকে চট্টগ্রামে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম, জীবনের একটা অংশ দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে গেছে। জানি হয়তো তাকে ভুলে থাকা যাবে না তবুও সামনে দাঁড়িয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বারবার বিরক্তিকর কারন হওয়ারও ইচ্ছে নেই।
তারচেয়ে বরং আমার চট্টগ্রামের সেই চিরপরিচিত জন্মভূমিতে বিচরণ করে কাটিয়ে দেবো।

দুপুরের দিকে অর্পিতার কাছে একটা বার্তা পাঠাতে ইচ্ছে করলো। নিজের সকল অনুভূতি গুলো ক্ষুদ্র আকারে প্রকাশ করতে চাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা। যেহেতু মেসেজে এতবড় মেসেজ সেন্ট হবে না তাই অর্পিতার মেসেঞ্জারে গিয়ে লিখতে লাগলাম।

প্রিয়,

বসন্তের প্রাথমিক প্রহরে ফাগুনের শুভেচ্ছা নিও, যে ফাগুনের গল্প রচিত হয় বিষাদ দিয়ে সেই ফাগুনের শুভেচ্ছা দেয়া যায় কিনা জানিনা আমি। তবুও একটু চেষ্টা করে দেখা যেতে দোষ কি? আজকে তোমাকে নিজের ক্ষুদ্র জীবনের কিছু গল্প শোনাবো, জানিনা সেটা পড়ার ধৈর্য তোমার হবে কিনা।

খুব ছোটবেলায় মা মারা গেছে, দাদা-দাদী জন্মের আগে থেকেই ছিল না। ব্যস্ত শহরে আমাকে নিয়ে চলতে বাবার কষ্ট হয়ে গেল, সারাদিন অফিস করে বাসায় এসে কীভাবে কি করবে? তাই তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করে আবার নতুন করে শুরু করলেন। আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম, আমার মা মারা না গিয়ে যদি বাবা মারা যেতো তাহলে কি মা আমাকে রেখে অন্য কাউকে বিয়ে করতো?

আস্তে আস্তে অনেক তিরস্কার আর অবহেলার মধ্যে দিয়ে বড় হলাম, সারাজীবন শুধু একটু ভালবাসা আর পরম স্নেহের সন্ধান করেছি। ক্লাস সেভেন থেকে আমি টিউশনি করে নিজের খরচ চালাই, আজ পর্যন্ত সেই টিউশনি চলছে। তবে স্টুডেন্ট পরবর্তী হচ্ছে।

নিজের কাছাকাছি বন্ধুদের দেখতাম কেউ কেউ ভালবেসে কষ্ট পাচ্ছে, তাই কাউকে ভালবাসতে ভয় করতো। কিন্তু হঠাৎ করে তোমার সাথে পরিচয় হয়ে গেল আট মাস আগে। আস্তে আস্তে অপরিচিত সেই তোমার সাথে কথা বলতে বলতে একটা মায়া তৈরি হয়ে গেল। নিজের অজান্তেই তোমাকে ভালবেসেছি যেটা কল্পনা করতে পারি না। তোমাকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম, সুখী হতে চাইলাম। ভাবলাম এই জীবনে হয়তো এতদিন পরে ভালবাসা আর মমতায় জড়িয়ে একজন আসছে। বিশ্বাস করো এখানে যেদিন এসেছিলাম সেদিনও বুক ভর্তি কত আশা ছিল তোমাকে ঘিরে। তোমার সাথে বইমেলায় দেখা হবার পরে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হলো। আমার জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিনের তালিকায় এই দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

কিন্তু যখন তুমি বললে যে তুমি সানজিদা নয়, তখন সামান্য আঘাত পেলাম তবে খুব বেশি নয়। কারণ কেন যেন বারবার মনে হচ্ছিল তুমি আমার সেই চিরচেনা স্বপ্নে দেখা সুখের ভুবন। গতকাল তোমার সাথে যখন ছিলাম তখনও অনেকটা আনন্দে কেটে গেছে, যদিও তুমি নিজেকে সানজিদার বান্ধবী হিসেবে পরিচয় দিয়েছ তবুও কেন যেন একবারও আমার সেটা মনে হয় নাই।

তোমার দেওয়া উপহার আমি সাদরে গ্রহণ করলাম, ব্যবহার করার জন্য নয়, সারাজীবন স্মৃতি করে রাখার জন্য। তবে তোমার কাছে আমার কোন স্মৃতি রইল না বলে প্রথমে মন খারাপ হয়েছে। পরক্ষণেই ভাবলাম তুমি আমার স্মৃতি দিয়ে কি করবে? কেন শুধু শুধু তোমার কাছে বিরক্তির কারণ হবো?

কি আশ্চর্য!
এ জীবনে আর আমাদের দেখা হবে না। দুজনেরই দুটো পথ আঁকাবাকা হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে অন্তরালে। চোখের অজস্র পানিতে কখনো শ্যাওলা ধরে না, সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষটাও নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করে পেরে ওঠে না।

খুব জানতে ইচ্ছে করে আবরও যদি কোনদিন হঠাৎ করে আমাদের দেখা হয়ে যায় সেদিন কি তুমি মুখ ফিরিয়ে নেবে? নাকি একটু হেসে কেমন আছো বলে জিজ্ঞেস করবে? উত্তরটা দিতে হবে না, যদি সত্যি সত্যি কখনো দেখা হয় সেদিন নাহয় উত্তরটা দেখে নেবো। এতটুকু কৌতূহল নাহয় নিজের কাছে জমা করে রাখি, এতে কি ক্ষতি হবে?

আমি আজকেই চট্টগ্রামে চলে যাচ্ছি, এই ফাগুনের বসন্তে জীবনে নতুন কোকিলের ডাক দিল না বরং ফুটে যাওয়া ফুলকে সরিয়ে দিল। জীবনে বারবার বসন্ত আসে আবার ফিরে যায়, জগৎ চলছে তার আপন নিয়মে। মাঝখানে শুধু কেবল কিছু মানুষের আর্তনাদ সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ছোটবেলা থেকে মনে হতো জীবনে একা একা থাকার মতো আনন্দ আর নেই। যখন তোমাকে ভালবেসে নতুন করে স্বপ্ন সাজালাম তখন অনেকের কাছে শুনতাম তারা বলতো, জীবনে একা একা চলা বড় সুখের। কিন্তু আজ বুঝতে পারছি, যারা এসব কথা বলতো তারা একদিন হয়তো সবকিছু দিয়ে একজনকে অনেক ভালবেসে। আজ সব হারিয়ে সেও একা থাকতে শিখে গেছে, হয়তো আমিও একদিন চুপ হয়ে যাবো।

অনেক দুরে হারিয়ে যাবো
ফিরে আসবো না আর।
হাসির মাঝে লুকিয়ে রাখবো
বেদনার পাহাড়।

স্মৃতি গুলো পরবে মনে
হঠাৎ করেই জানি।
মনের অজান্তেই বেরিয়ে যাবে
এই দুচোখের পানি।

আর কোনদিন বাসবো না ভালো
স্বপ্ন দেখবো না আর।
সৃষ্টি হবে না কখনো তবে
হৃদয়ের চিৎকার।

সুখে থেকো ভালো থেকো
সারাটা জীবন ধরে।
আমি নাহয় থাকবো পরে
রোদনভরা ভরা নীড়ে।

চলে যাচ্ছি তোমার শহর ছেড়ে
সময় অনেক স্বল্প।
খুব সহজেই শেষ হয়ে গেল
এক ফাগুনের গল্প।

খোদা হাফেজ।

★★★

সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে টিকিট সংগ্রহ করে অপেক্ষা করে আছি। ঘড়িতে সন্ধ্যা ছয়টা পার হয়ে গেছে, বাস ছাড়বে সাতটা পনের মিনিটে। রকি আর তার মা-বাবা আরো কিছুদিন থাকতে বলেছিলেন কিন্তু আমি নারাজ। যেই উদ্দেশ্য নিয়ে একবুক আশা করে এসেছি সেই আশা যখন হতাশায় নিমজ্জিত তাই থেকে কি লাভ?

ইজিবাইকের মধ্যে যখন ছিলাম তখন বৃষ্টি তিনবার কল করেছিল কিন্তু রিসিভ করতে পারি নাই। পরে আর কল করা হয়নি, ভেবেছিলাম এখন কল দিয়ে কথা বলে নেবো কিন্তু কেন যেন ইচ্ছে করছে না তাই আর কল দিলাম না। মোবাইল হাতে নাড়াচাড়া করি, অর্পিতা এখনো মেসেজ সিন করেনি সিন করলে কল দিয়ে কথা বলতো কিনা জানিনা।

সাড়ে ছয়টার দিকে অর্পিতা কল দিল, মনে হয় মেসেজ সিন করেছে। আমি কল কেটে দিয়ে সিম বন্ধ করে রাখলাম, মায়া নামক বস্তুকে আর প্রশ্রয় দিতে চাই না। জানি কষ্ট হবে তবুও সহ্য করতে হবে।

– হঠাৎ করে পিছন থেকে, আরে সজীব ভাই না? কি ব্যাপার কোথায় যাচ্ছেন?

– তাকিয়ে দেখি বৃষ্টি দাঁড়িয়ে আছে, আশ্চর্য সে এখানে আসলো কীভাবে? বললাম, চট্টগ্রামে যাচ্ছি জরুরি কাজ পরে গেছে তাই তোমাকে আর বলা হয়ে ওঠে নাই। কিন্তু তুমি এখনে কেন?

– আমার বড়মামা গ্রাম থেকে আসতেছেন তাই তাকে নেবার জন্য আসলাম। মামা বৃদ্ধ মানুষ আর তাছাড়া কখনো গ্রাম থেকে শহরে আসে নাই। কিন্তু আপনার কি এমন জরুরি কাজ পরে গেল জানতে পারি আমি?

চলবে…?

লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here