এক ফাগুনের গল্প last part

0
670

এক_ফাগুনের_গল্প!
শেষ_পর্ব।

ধুলোমাখা পিচঢালা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে সজীব, একটু পরে বড় রাস্তায় উঠবো। সম্মুখে হঠাৎ করে বেশ কিছু মানুষের জটলা দেখা যাচ্ছে, আরেকটু সামনে গিয়ে বুঝতে পারলো রাজনৈতিক নেতাদের কোন এক সমাবেশ হচ্ছে। বারবার মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে মোহনার নাম্বারের দিকে তাকিয়ে আছে। অর্পিতাকে সে ভালবেসেছে, তার জন্য অনেক রাতে অজান্তেই কেঁদেছে। কিন্তু আজকে মোহনার চলে যাওয়া আর বুকের মধ্যে কিছু কষ্ট অনুভব করতে অসহ্য লাগছে।

সময় পরিবর্তন হয়ে যায়, বছর শেষে গাছের পুরনো পাতা ঝরে যায়, ফাগুন মাসে নতুন নতুন পাতা দিয়ে সেজে ওঠে প্রকৃতি। মানুষের জীবনে তেমনি করেই কষ্টের বোঝা গুলো একটা একটা পুরনো হয়। হঠাৎ করে সেই পুরাতন কষ্টের উপর নতুন কষ্ট বাসা তৈরী করে। কষ্টের উপর কষ্ট, স্মৃতি হয়ে সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছে জীবনের শেষ লগ্নে থাকবে বলে।

মোহনার নাম্বারে আবারও কল দিল সজীব, সজীব ভেবেছিল মোহনা হয়তো রিসিভ করবে না। কিন্তু সে যখন রিসিভ করলো তখন সজীব এর মুখটা যেন এক অদ্ভুত ভাললাগায় ঝলমল করে উঠলো। কিন্তু তার সেই আনন্দমাখন ঝলমলে মুখটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না।

– কারণ মোহনা বললো, কি হইছে? কল দিচ্ছ কেন?

– সজীব যেন আচমকা এক ধাক্কা খেয়ে গেল, সত্যি বলতে সে নিজেই কল দেবার কারণ জানে না। কেন কল করেছে সে? সামান্য কিছু মুহুর্তের মধ্যে মোহনা কে কল দেয়া এখন কি অপরাধ হচ্ছে? জগতের সব অদ্ভুত অদ্ভুত খেলা, এত তাড়াতাড়ি কীভাবে সকল কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়?

– সজীব চুপ করে ভাবছিল তখন মোহনা আবার বললো, কথা বলছো না কেন?

– না মানে বলছিলাম যে, না গেলে হয় না?

– কোথায়?

– এ-ই যে আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছ।

– থেকে কি করবো?

– যে স্বপ্ন নিয়ে চট্টগ্রামে এসেছিলে সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য থাকতে পারো না?

– ইচ্ছে করছে স্বপ্ন পূর্ন হোক কিন্তু সম্ভব না।

– তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে।

– আমার ক্ষুদ্র জীবনের মধ্যে আমি ভুল কম করেছি সজীব, তবে একটা সবচেয়ে জ্বলজ্যান্ত ভুল আমার হয়েছে সেটা অনেক বড়।

– জানি আমি।

– কি জানো?

– ভুল করে ভুল সময়ে ভুল একটা মানুষকে তুমি ভালবেসেছ, তাই অনেক সময় নষ্ট হয়ে গেছে।

– কীভাবে জানলে?

– হাহাহা, জন্মের পর থেকে এসব ভুল করতে করতে বড় হয়েছি মোহনা। কষ্ট পেলে এখন আর আল্লাহর কাছে নালিশ করি না কারণ এটা হচ্ছে নিয়তি।

মোবাইল পকেটে রাখতে বাধ্য হলো সজীব, কারণ তার সামনে সেই রাজনৈতিক সমাবেশের মধ্যে হঠাৎ মারামারি অবস্থা শুরু হয়ে গেছে। কমপক্ষে পাঁচশ ছেলেরা রাস্তার মধ্যে জড়াজড়ি করে যাচ্ছে, এদের মধ্যে নিজেদের মানুষ কে আবার বিপক্ষের মানুষ কে সেটা কীভাবে সনাক্ত করে সজীব জানে না। মিনিট খানেকের মধ্যে সজীব এর চারিপাশে ছড়িয়ে গেছে সবাই, সজীব চাইলেই এখন বেড়িয়ে যেতে পারবে না মনে হয়। বহুকষ্টে ঠেলেঠুলে ঢুকে গেল সামনের দিকে কিন্তু এত সহজে বেরানো সম্ভব না। অনেক কষ্ট করে যখন ভিড় এড়িয়ে বের হলো তখন একটু স্বস্তি পেল সজীব। কিন্তু সেই ছেলেগুলোকে আবার এদিকে দৌড়ে আসতে দেখে সজীব নিজেও দিল দৌড় তবে সেটা ছিল তার জন্য বিপদ। কারণ একটু সামনে বাম দিকে একটা রাস্তা গেছে সেই রাস্তা দিয়ে একটা ছোট পিক-আপ গাড়ি বেরিয়ে এলো এবং সজীব এর সাথে সরাসরি ধাক্কা। সমস্ত শরীরে মুহুর্তের মধ্যেই রক্তে মাখামাখি হয়ে গেল, তীব্র বেদনায় যাতনায় চিৎকার করতে গিয়েও সজীব চিৎকার করতে পারলো না। চোখ দুটো বন্ধ হওয়ার আগ মুহূর্তে সে শুধু মনে মনে বললো, ” এই বেশ হইল, জগতের সব যাতনা থেকে ছুটি নিয়ে আমি এবার যাত্রা আরম্ভ। ”

★★

সজীব এর সাথে কথা বলে অসমাপ্ত অবস্থায় যখন বারবার মোহনা হ্যালো হ্যালো বলছিল তখন সজীব ছিল নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু মোহনা গাড়ির মধ্যে বসে অপর প্রান্তে সজীব এর মোবাইলে সজীব এর কথার পরিবর্তে অসংখ্য মানুষের চিৎকার চেচামেচি শুনতে পাচ্ছে। সজীব এর সাথে কঠিন ভাবে কথা বলতে তার কষ্ট হচ্ছিল কিন্তু এখন টেনশনে আরো বেশি কষ্ট হচ্ছে। বাধ্য হয়ে মোহনা কল কেটে দিয়ে আবার কলব্যাক করলো কিন্তু সর্বনাশ…! এখন আর কল রিসিভ হচ্ছে না, এরচেয়ে তো কল না কাটলেই ভালো হতো। অন্তত কিছু মানুষের শব্দ শোনা যাচ্ছে কিন্তু সেটাও তো গেল।

গাড়ির গ্লাস নামিয়ে দিয়ে মোহনা বাহিরে মুখ তাক করে কান্না শুরু করে দিল। মেয়ের কান্না দেখে একটু অবাক হয়ে গেল মোহনার বাবা। বাইরে তাকিয়ে দেখেন যে তাদের গাড়ি এই মুহূর্তে বন্দরটিলা স্ট্যান্ড পেরিয়ে একটু সামনে এসেছে। ডানদিকে একটা বড় কবরস্থান দেখা যাচ্ছে, কবরস্থানের পাশেই বিশাল বড় জামে মসজিদ।

মোহনার বাবা ড্রাইভারকে গাড়ি দাঁড় করাতে হুকুম দিলেন, ড্রাইভার গাড়ি রাস্তায় পাশে বন্ধ করলো।

– মোহনার বাবা মোহনার দিকে তাকিয়ে বললো, কি হইছে মা?

– মোহনা সেভাবেই অন্য দিকে তাকিয়ে জবাব দিল, কিছু না।

– সজীব এর জন্য কষ্ট হচ্ছে?

– মোহনা চুপচাপ।

– সজীব এর কাছে যেতে চাও?

– মোহনা এবার বাবার দিকে তাকিয়ে রইল, তারপর চোখের পানিতে টলমল করা পাপড়ি আর ভেজা গালসহ মাথাটা উপর নিচ করে হ্যা সূচক ইশারায় জবাব দিল।

– মোহনার বাবা বললো, এই গাড়ি নিয়ে তাহলে চলে যা মা, আমিও যেতাম কিন্তু ঢাকা পৌঁছান আমার খুব জরুরি। আমি একটা সিএনজি নিয়ে এয়ারপোর্ট চলে যাচ্ছি, তুই গাড়ি নিয়ে সজীব এর কাছে চলে যা।

– কিন্তু বাবা!

– অর্পিতা..?

– হ্যাঁ।

– আমার অফিসের যেই ছেলে মারা গেছে সেই ছেলে হচ্ছে অর্পিতার স্বামী। সজীব এর জীবনে ফেরার জন্য সে আসে নাই, সজীব ওই মেয়েকে সত্যি হয়তো ভালবাসতো একসময়। কিন্তু এটাও সত্য যে, সজীব সবকিছু ভুলে তোকে নিয়ে বাঁচতে চায়।

– বাবা আমি কিন্তু অবাক হচ্ছি।

– হঠাৎ করে আমি পরিবর্তন হচ্ছি তাই?

– হ্যাঁ।

– আমি কেন এতদিন তোদের মাঝে কাটা হয়েছি আর কেন আজ সরে যাচ্ছি সেই সকল প্রশ্নের জবাব আমি সজীব এর কাছে দেবো।

– আমি তাহলে যাবো ওর কাছে?

– হ্যাঁ চলে যাও।

– মেলা মেলা ধন্যবাদ বাবা, এ কথা বলে মোহনা তার বাবাকে জড়িয়ে ধরলো। বাবা মেয়ের এই আনন্দময় মুহূর্ত সামনে বসা ড্রাইভার চুপচাপ উপভোগ করতে লাগলো।

,
,

গাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে সজীব এর বাসার দিকে আর মোহনা একইভাবে কল দিয়ে যাচ্ছে সজীব এর সেই নাম্বারে কিন্তু নাম্বার বন্ধ। যতটা আনন্দিত লাগছে তারচেয়ে বেশি টেনশন হচ্ছে সজীব এর নাম্বার বন্ধ থাকার জন্য।

প্রায় দেড় ঘন্টা সময় পরে সজীব এর বাসার কাছে পৌঁছে গেল মোহনা। দরজা নক করার প্রয়োজন হয় নাই কারণ সজীব এর মা মনে হচ্ছে তাড়াহুড়ো করে বের হচ্ছেন। তিনি মোহনাকে দেখে অবাক হলেন।

– মোহনা বললো, কোথায় যাচ্ছেন আন্টি?

– তুমি এখানে? তাহলে সজীব?

– সজীব আমার সাথে ছিল কিন্তু আমি ওকে রেখে বাবার সাথে চলে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আবারও ফিরে এসেছি বাবা সবকিছু মেনে নিবেন বলেছে। কিন্তু সজীব এর নাম্বার বন্ধ পাচ্ছি তাই তাড়াহুড়ো করে বাসায় আসলাম মাত্র।

– সজীব এর বাবা কল দিছিল একটু আগে, সজীব নাকি মারাত্মক ধরনের এক্সিডেন্ট করে চকবাজার মেডিকেলে ভর্তি। আমি এখন সেখানে যাবার জন্য বের হলাম, আমার সতীনের সন্তান বলে আমি ওর সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি। আজকের এই দিনে ওর কাছে না গিয়ে থাকতে পারবো না, তুমিও আমার সাথে চলো তাহলে।

মোহনার গাড়িতে করে তারা চকবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রওনা দিল। কিন্তু সজীব এর এক্সিডেন্টের কথা শুনে মোহনার যেন বুক ফেটে চিৎকার আসতে চায়। মনে মনে ভাবলো, সে যদি চলে না আসতো তাবে এমনটা নাও হতে পারতো। মোহনার মনটা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেল কারণ তার মনে সঙ্কা লাগলো যে সজীব কি ইচ্ছে করে মরতে চাচ্ছে নাকি?

আত্মহত্যার কথা মনে আসতেই মোহনার দুচোখ ভর্তি হয়ে জল বের হয়ে গেল। কারণ কেউ যদি নিজ হাতে আত্মহত্যা করতে চায় তাহলে তাকে বাঁচিয়ে তোলা কষ্টকর। কারণ যেখানে রুগী নিজেই বাঁচার পরিবর্তে মরতে চায় সেখানে ডাক্তার কি করবে?

হাসপাতালে পৌঁছে মোহনার ভয় অনেকটা দুর হয়ে গেল, সজীব এর বাবা বললো যে অবস্থা খুব বেশি গুরুতর নয়। তবে রক্ত বেশি বেরিয়েছে বলে তিনি ঘাবড়ে গেছিলেন তাই স্ত্রীর কাছে বলেছেন মারাত্মক এক্সিডেন্ট করেছে। ডাক্তার সাহেব সকল ক্ষতস্থানে পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছেন। সজীব এর জ্ঞান ফিরেছে হাসপাতালে আসার পরপরই তাই মোহনা চাইলে দেখা করতে পারে।

– চোখের সামনে মোহনাকে দেখে অবাক হয়ে গেল সজীব, আশ্চর্য হয়ে শোয়া থেকে বসতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে গেল। মোহনা তখন দ্রুত তাকে বাধা দিয়ে বললো, উঠতে হবে না শুয়ে থাকো।

– তুমি এখানে?

– তাহলে কি অর্পিতাকে আশা করছিলে নাকি?

– সজীব চুপ করে গেল।

– ওরে বাপরে, একটুতেই মন খারাপ হয়ে গেছে? বাব্বাহ…! কি ভেবেছ? চলে গেছি? এত সহজে যাচ্ছি না আমি। তোমার হাড় খাবো, মাংস খাবো তারপর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাবো।

– সজীব হাসতে চেষ্টা করলো।

– কীভাবে হলো এমন?

– সজীব সংক্ষিপ্ত আকারে ঘটনা বললো।

– মোহনা বললো, আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া আদায় করছি যে তোমাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আচ্ছা একটু অপেক্ষা করো আমি বাবার কাছে কল দিয়ে তোমার এই এক্সিডেন্টের খবর জানিয়ে দেই।

– স্যার কি তোমাকে পাঠিয়েছে আমার কাছে?

– হ্যাঁ।

– কিন্তু কেন?

– তা তো আমিও জানি না, বলছেন কারণগুলো সে তোমার সাথে বলবে।

– তাহলে কল দাও এখনই জেনে দেখি, হঠাৎ করে তিনি তার মতামত পরিবর্তন করলো কেন? নাকি নতুন কোন মতলব আছে?

– ধুর কি যে বলো না।

মোহনা তার বাবার নাম্বারে কল দিল, ব্যাগের ভেতর হেডফোন ছিল সেটা দুজনে দুই কানে লাগিয়ে নিল। মোহনার বাবা কি বলেন সেগুলো নিজেও শুনতে চায় মোহনা।

– হ্যালো মোহনা? সজীবকে পেয়েছিস মা?

– হ্যাঁ বাবা পেয়েছি সামান্য একটু এক্সিডেন্ট করেছে তাই হাসপাতালে আছে।

– বলিস কি? বেশি নয় তো?

– না তেমন কিছু না, তুমি কথা বলবে ওর সাথে?

– হ্যাঁ মোবাইল ওর কাছে দে।

– মোবাইল দে্ার দরকার হলো না কারণ তারা দুজন তো হেডফোন লাগিয়ে আছে। সজীব বললো, স্যার আসসালামু আলাইকুম।

– ওয়া আলাইকুম আসসালাম, এখন আর স্যার বলে ডাকার দরকার নেই সজীব। বাবা বলে ডাকবে।

– ঠিক বুঝতে পারলাম না।

– আমি হঠাৎ গিরগিটির মতো রঙ বদলে গেলাম কেন তাই তো?

– জ্বি।

– এর পিছনে দুটো কারণ আছে সজীব।

– জানতে বড্ড ইচ্ছে করছে স্যার।

– ১০ মিনিটের মধ্যে আমার বিমান ছাড়বে, ঢাকা পৌঁছে তারপর বলি?

– নাহহ, ততক্ষণে যদি আবার মতামত পরিবর্তন হয়ে যায়?

– হাহাহা হাহাহা তুমি তো বেশ বলেছো।

– বলেন স্যার।

– প্রথম কারণ হচ্ছে, আমার সাথে একদিন তোমাকে নিয়ে তর্ক করতে গিয়ে মোহনা বলেছিল পৃথিবীর কোন শক্তি নাকি সজীব এর কাছ থেকে মোহনাকে আলাদা করতে পারবে না। তাই মোহনার সেই ভুল ধারণা পাল্টে দিলাম।

– আর দ্বিতীয় কারণ?

– দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, আমার একমাত্র মেয়ে যার সাথে সারাজীবন অন্ধ বিশ্বাসে কাটাতে চায়। সেই মানুষটা সত্যি সত্যি আমার মেয়ের সেই ভালবাসার সঠিক মূল্য দিয়ে আমার মেয়েকে আগলে রাখতে পারবে কি না সেটা যাচাই করা। সেই মানুষ অন্য কোন মেয়ের দিকে চলে যাবে কিনা? এসব যাচাই করার জন্য এতকিছুর ব্যবস্থা সজীব।

– আপনি সত্যি খুব অদ্ভুত মানুষ স্যার।

– এসব আবার মোহনার কাছে বলবে না কিন্তু, এটা তোমার আমার মানে শশুর জামাইয়ের গোপন এক আলোচনা।

– মোহনা তখন বললো, কিন্তু সেই শশুর জামাইয়ের গোপন আলোচনা সভার মধ্যে গোপনে সিসি টিভি ক্যামেরা লাগিয়ে দেওয়া আমি।

– তুই সব শুনে ফেলেছিস? ইসস কি লজ্জা। এ কথা বলে তিনি কল কেটে দিলেন।

হেডফোনের জন্য মোহনা এতক্ষণ তার মাথা নিচু করে সজীব এর বুক বরাবর করে রেখেছিল। সজীব তার সেই মাথাটা বাম হাত দিয়ে ধরে আস্তে করে নিজের রক্তমাখা শরীরের সঙ্গে চেপে ধরলো। তার শরীরে হয়তো ব্যথা টনটন করছে কিন্তু মোহনাকে বুকে জড়িয়ে ধরে মনের মধ্যে শান্তি পাবার জন্য এতটুকু শারীরিক কষ্ট সহ্য করাই যায়।

অবশেষে প্রমাণিত হয়েছে আমি সজীব।

লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here