#একটা_বসন্ত_বিকেলে
#অরনিশা_সাথী
|৬|
–“আয়ু এখন আমার কি হবে বলো? আমি না পারছি গিলতে আর না পারছি উপড়ে ফেলে দিতে।”
–“আমার কথা তুমি শুনবে ফারাবী?”
–“চেষ্টা করে এসেছি তো এই অব্দি।”
–“বিয়েটা যেভাবেই হোক, হয়েছে তো। এটা তো অস্বীকার করার মতো কিছু নেই। ফারাবী বিয়ে একটা পবিত্র সম্পর্ক। সম্পর্কটাকে একটা সুযোগ দিয়ে দেখো তুমি। বাকী রইলো রাইতার কথা, ভুল না রীতিমতো অন্যায় করেছে ও। ওর শাস্তি ও ঠিক পেয়ে যাবে। রিভেঞ্জ অফ ন্যাচার বলেও একটা কথা আছে৷ আল্লাহ ছাড় দেন, ছেড়ে দেন না। তুমি সবটা নতুন ভাবে শুরু করার চেষ্টা করো ফারাবী।”
–“এরপরও তুমি এসব বলছো? নতুন করে শুরু করতে বলছো সবটা? আয়ু এসবকিছু তোমার আর আমার হতো সেখানে রাইতা___”
–“কি করবো আমি এখন? রাইতার সংসার ভাঙবো?”
–“এতকিছুর পরেও তুমি ওর কথা কিভাবে ভাবছো আয়ু?”
–“হয়তো বাস্তবতাটা মানতে শিখেছি।”
–“রাইতার সঙ্গে আমাকে দেখলে সহ্য করতে পারবে তুমি? কষ্ট হবে না?”
–“তুমি ভালো থাকো এইটুকুই চাই।”
–“তোমার মাঝেই আমার ভালো থাকা আয়ু।”
–“রাইতার মাঝে ভালো থাকাটা খুঁজে নাও।”
–“পারবো না___”
–“সময় নাও, ধীরে ধীরে সবটা ঠিক হবে।”
–“তুমি ভালো থাকবে?”
–“কেন থাকবো না? তুমি ভালো আছো জানলেও আমি ভালো থাকবো।”
কথাটা বলে উঠে দাঁড়ালো আয়াত৷ ধীর পায়ে হেঁটে ফারাবীর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। ধরা গলায় বললো,
–“শেষ বারের মতো তোমার বুকে মাথা রাখতে দিবে ফারাবী?”
ফারাবী জাপ্টে ধরলো আয়াতকে। আয়াত ফারাবীকের বুকে মাথা রেখে নিঃশব্দে কাঁদছে। ফারাবীরও কম কষ্ট হচ্ছে না। যে মানুষটাকে নিজের থেকে বেশি ভালোবেসেছে তাকে ছেড়ে সারাটা জীবন অন্য একজনের সাথে থাকতে হবে৷ আয়াত নিজেকে সামলে নিয়ে সরে দাঁড়ালো। তারপর বললো,
–“ভালো থেকো।”
এইটুকু বলেই দৌড়ে চলে গেলো আয়াত৷ ফারাবীও আয়াতের যাওয়ার পানে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকিয়ে রইলো।
–
বিছানায় আধশোয়া হয়ে ফোন দেখছিলো রাইতা। এমন সময় ফারাবী এসে উপস্থিত হলো। রাইতা ফোন রেখে ফারাবীর কাছে গিয়ে বললো,
–“তুমি আজ আয়াতের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলে?”
–“হ্যাঁ গিয়েছিলাম।”
কথাটা বলেই কাবার্ড থেকে টাওজার আর টি-শার্ট নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো ফারাবী। এদিকে রাইতার কষ্ট হচ্ছে ভীষণ। যাকে পাওয়ার জন্য এতকিছু করলো সে এখনো সেই আয়াতেই আটকে আছে৷ রাইতার দিকে ঘুরেও তাকাচ্ছে না। মিনিট দশেক বাদে ফারাবী ফ্রেশ হয়ে বের হলে রাইতা ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়৷ ভেজা গলায় বলে,
–“আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে ফারাবী। ঘরে স্ত্রী রেখে তুমি এখনো আয়াতের কাছে যেতে পারো না।”
–“তোমাকে স্ত্রী বলে মেনেছি আমি? মানিনি তো, তাহলে এরপরও বারবার কেন স্ত্রী শব্দটা উচ্চারণ করছো তুমি?”
ফারাবীর কথায় রাইতার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। কান্নাভেজা গলায় অনুরোধের স্বরে বললো,
–“জানি তোমাকে পাওয়ার রাস্তাটা ঠিক ছিলো না। কিন্তু তবুও একটা সুযোগ দেওয়া যায় না আমায়? সবকিছু শুধরে নিবো আমি।”
রাইতার কথায় তাচ্ছিল্য হাসলো ফারাবী। তারপর বললো,
–“তোমার কারণে আমার যে সম্মানটা হারিয়েছি পারবে আমার সেই সম্মান ফিরিয়ে দিতে? পারবে আমার আয়াতকে আমার জীবনে ফিরিয়ে দিতে?”
চুপ করে রইলো রাইতা৷ বলার মতো কিছু খুঁজে পেলো না। ফারাবী আবারো বললো,
–“এখন চুপ করে আছো যে? কথা বের হচ্ছে না মুখ দিয়ে?”
–“আয়াতকে তোমার জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার হলে এই মিথ্যে নাটকটা করে তোমায় বিয়ে করার কোনো প্রয়োজন ছিলো না আমার। তোমাকে ছাড়তে পারবো না আমি।”
ফারাবী কিছু না বলে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে। রাইতা সেখানে দাঁড়িয়েই চোখের জল ফেলতে লাগলো। কিছু একটা ভেবে চোখের পানি মুছে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো রাইতা।
রাইতা এবং ফারাবীর পরিবারের সকলেই উপস্থিত ড্রয়িংরুমে। রাইতা নিজে ডেকেছে সকলকে। সবাই জিজ্ঞেস করছে এভাবে ডাকার কারণ কি? রাইতা বেশ কিছু সময় চুপ থেকে বললো,
–“আমার কিছু বলার আছে সবাইকে।”
ফারাবী তাচ্ছিল্য হেসে বললো,
–“আবার কোন নাটক শুরু করবে?”
রাইতা ছলছলে চোখে তাকালো ফারাবীর দিকে। তারপর বললো,
–“আজ আর কোনো নাটক করবো না ফারাবী, সবাইকে সত্যিটাই বলবো।”
রাইতার কথায় ভ্রু কুঁচকায় সকলে। ফারাবীর মা এসে জিজ্ঞেস করে কোন সত্যির কথা বলছে ওরা? রাইতা মাথা নিচু করে সবটা বলে দেয়। ফারাবীর কোনো দোষ ছিলো না ও নিজেই ফারাবীকে পাওয়ার জন্য ওরকম বাজে একটা নাটক সাজিয়েছে৷ সব শুনে ফারাবীর আম্মু সজোড়ে চ/ড় বসায় রাইতার গালে। রাইতার মাও থা/প্প/ড় মারে মেয়েকে৷ রাইতা মাথা নিচু করে চুপচাপ কাঁদতে থাকে৷ ফারাবীর মা ফারাবীর সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
–“ফারাবী বাবা___”
ফারাবী গটগট করে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো। ছেলের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আঁচলে মুখ গুজে কেঁদে উঠলো ফারাবীর মা৷ ছেলেকে অবিশ্বাস করে অনেক বড় ভুল করেছেন তিনি। বড্ড কষ্ট দিয়ে ফেলেছে ছেলেটাকে। এই ভেবে কাঁদতে কাঁদতে নিজের ঘরে চলে গেলেন উনি।
–
ভার্সিটির মাঠে বসে আছে আয়াত আর ইরা। সবেই ক্লাস শেষ করে বের হলো ওরা। আয়াতের থেকে ইরা সবকিছু শুনে রাইতার উপর বেশ চটে গেলো। রাগান্বিত স্বরে বললো,
–“আমার তো ইচ্ছে করছে ওই রাইতাকে খুন করে ফেলতে। তুই কিচ্ছু বলবি না ওকে?”
আয়াত ভাবলেশহীন ভাবে বললো,
–“কি বলবো?”
–“মানে? তোর ভালোবাসাকে কেড়ে নিলো ফারাবী ভাইয়ার নামে বদনাম রটিয়ে বিয়ে করে নিলো ওকে___”
–“কি করবো এখন আমি? ভালোবাসা কখনো কেড়ে নেওয়া যায় না আয়ু। যে সত্যিকারের অর্থে ভালোবাসে তার মনের এক কোনে অপর মানুষটা আজীবন থেকে যায়। মনের কোনো এক বদ্ধ কুঠুরিতে আজীবন সেই মানুষটা রয়ে যায়।”
–“তবুও রাইতাকে এভাবে ছেড়ে দেওয়াটা__”
–“ওর শাস্তি ও কোনো না কোনো ভাবে ঠিক পেয়ে যাবে৷”
–“সব বুঝলাম, কিন্তু তুই ফারাবী ভাইয়াকে বললি কেন রাইতাকে একটা সুযোগ দিতে? ফারাবী ভাইয়া তো ফিরেছিলো তোর কাছে৷ তুই চাইলেই তো পারতি নিজের ভালোবাসাকে নিজের করে নিতে।”
–“রাইতার সংসার ভাঙতে বলছিস?”
–“ওদের সংসারটা হয়নি আয়ু, বিয়েটা__”
–“বিয়েটা সত্যি ছিলো। বিয়ে একটা পবিত্র বন্ধন, আর এই বন্ধনটা এত সহজে ভেঙে ফেলা যায় না ইরা। তাই আমি চাই ফারাবী এই বিয়েটাকে একটা সুযোগ দিক।”
–“কষ্ট হবে না তোর?”
–“হচ্ছে তো।”
ইরা কিছু না বলে জড়িয়ে ধরলো আয়াতকে। আয়াত মুচকি হাসলো। এই ইরা মেয়েটা বড্ড ভালোবাসে ওকে। দুজনে আরো কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে বাসায় চলে যায়।
–
সপ্তাহ পেরিয়ে মাস হয়। রাইতা এখন নিজের কর্মকাণ্ডে বেশ অনুতপ্ত। ফারাবীর মন জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অনবরত। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হচ্ছে৷ রাইতা হাল ছাড়বে না, ঠিক করেছে যেভাবেই হোক ফারাবীর মন জয় করবে ও। এর মাঝে আয়াতকে ফোন করেও ওর কাছে ক্ষমা চেয়েছে।
সাড়ে দশটা নাগাদ বাজে। ডিনার সেরে রুমে এসেছে আয়াত। ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, এমন সময় আয়াতের ফোন বেজে উঠলো। বালিশের পাশ থেকে ফোন হাতে নিয়ে দেখলো শানের নাম্বার। আয়াত অবাক হলো, এসময়ে শানের ফোন দেখে। ফোন রিসিভ করতেই শান বললো,
–“কেমন আছো আয়ু?”
–“এই তো আলহামদুলিল্লাহ, তোমাদের কি খবর?”
–“খুউউব ভালো।”
–“খুব খুশি মনে হচ্ছে?”
–“হ্যাঁ প্রচুর।”
–“রিজন কি?”
–“সেটা আপাতত অজানাই থাক তোমার কাছে। তবে হ্যাঁ খুব শীঘ্রই জানাবো তোমায়।”
শানের কথায় ভ্রু কুঁচকায় আয়াত। শানের খুশি হওয়ার কারণটা আয়াত ঠিক ভেবে পেলো না ও। শানের কথাও বুঝতে পারছে না৷ আয়াত বললো,
–“তুমি কি বলছো আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না শান।”
–“এখন আর বুঝতে হবে না ঘুমাও তুমি, রাখছি।”
আয়াতকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই লাইন কেটে দিলো শান। আয়াত শানের কথাগুলো নিয়ে ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে গেলো।
–
ল্যাপটপে অফিসের কিছু ডকুমেন্টস চেক করছিলো শ্রাবণ। সানিয়া মেহরাব শ্রাবণের দরজায় কড়া নেরে বললো,
–“আসবো?”
শ্রাবণ ল্যাপটপে মনোযোগ রেখেই বললো,
–“আমার ঘরে আসবে এতে পারমিশন নেওয়ার কি আছে আম্মু?”
সানিয়া মেহরাব গিয়ে শ্রাবণের পাশে বসে বললো,
–“কিছু কথা ছিলো।”
–“হু বলো।”
সানিয়া মেহরাব শ্রাবণের দিকে তাকালেন। শ্রাবণ তখনো ল্যাপটপে মনোযোগ দিয়ে রেখেছে। সানিয়া মেহরাব বিরক্তি নিয়ে বললো,
–“ল্যাপটপ অফ করে ভালো ভাবে আমার কথাটা শুনলে খুশি হতাম।”
শ্রাবণ এবার মায়ের দিকে তাকালো। বললো,
–“শুনছি তো আমি, তুমি বলো না কি বলবে?”
–“এই মূহুর্তে অফিসের কাজটা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা যাচ্ছে না?”
শ্রাবণ এবার ল্যাপটপ অফ করে মায়ের দিকে ঘুরে বসলো। সানিয়া মেহরাব এর হাত দুটো নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বললো,
–“এবার বলো।”
সানিয়া মেহরাব মনে মনে আরো একবার কথাগুলো গুছিয়ে নিলো। শ্রাবণ তখনো সানিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। শ্রাবণ আবারো বললো,
–“কি হলো বলো?”
এবার মুখ খুললেন সানিয়া মেহরাব। উনি যা বললেন শ্রাবণ তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। চট করেই বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলো শ্রাবণ। চোখমুখ শক্ত করে বললো,
–“ইম্পসিবল।”
সানিয়া মেহরাব শ্রাবণের বাহু ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বললো,
–“বাবা আমার___”
–“স্যরি আম্মু।”
–“কিন্তু কেন?”
–“কারণটা তোমার অজানা নয় নিশ্চয়ই। আম্মু আমি চাই না এ বিষয়ে নেক্সট টাইম আর কোনো কথা হোক।”
–“ঠিক আছে, কষ্ট দিতে চাচ্ছিস না? কাঁদাতে চাইছিস না আমায়? আচ্ছা আমার ছেলে যদি আমার কষ্ট দিয়ে খুশি হয় তবে তাই হোক। আমি আর কিচ্ছু বলবো না। ঘরবন্দী করবো নিজেকে। কেউ যেন আমার দরজার সামনে গিয়ে ঘুরঘুর না করে।”
কথাটা বলেই শ্রাবণের ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো সানিয়া মেহরাব। শ্রাবণও মায়ের পিছু ছুটলো।
–
ভার্সিটির পাশেরই একটা রেস্তোরাঁ থেকে লাঞ্চ করে বের হলো আয়াত আর ইরা। ক্লাস শেষেই এসেছে এখানে। এখন দুই বান্ধবী মিলে শপিং করতে যাবে। অনেকদিন হলো একসাথে শপিং করা হয় না। সেজন্যই আজ হাতে সময় নিয়ে বের হয়েছে দুজনে। এ দোকান থেকে ও দোকান ঘুরছে দুজনে। তেমন একটা পছন্দ হচ্ছে না কিছুই। অবশেষে একটা দোকানে গিয়ে ড্রেস পছন্দ হলো দুজনের। দুজনে একই রকম কূর্তি, স্কার্ট-টপস, চুড়িদার নিলো। একটা একটা করেই নিলো সব। বিল পে করার সময় একটা শাড়িতে চোখ আটকে যায় আয়াতের। হালকা গোলাপী রঙের টিস্যু শাড়ি৷ শাড়িটাতে আবার এমব্রয়ডারি কাজ করা। আয়াত শাড়িটা দেখাতে বললো। ইরারও ভীষণ মনে ধরলো শাড়িটা। অতঃপর দুজনে একই রকম দুটো শাড়িও নেয়। বিল পে করে বের হওয়ার সময় আয়াতের ফোন বেজে উঠলো। মায়ের নাম্বার দেখে দ্রুত রিসিভ করলো আয়াত৷ আশা বললো,
–“কোথায় আছিস?”
–“শপিংমলে। বলে আসলাম না আজ একটু ফিরতে লেট হবে।”
–“হ্যাঁ তা বলেছিলি, কেনাকাটা হয়েছে?”
–“হ্যাঁ প্রায় শেষ, কিছু লাগবে তোমার?”
–“উঁহু, তুই বাসায় আয় দ্রুত।”
–“কিছু কি হয়েছে?”
–“চিন্তার কিছু নেই আয়ু, বাড়ি আসলেই দেখতে পাবি দ্রুত আয়। আর হ্যাঁ ইরা আছে না সাথে? ওকেও নিয়ে আসিস।”
আয়াত সম্মতি জানিয়ে লাইন কেটে দিলো। একটা রিকশা থামিয়ে উঠে পড়লো দুজনে। রিকশা তার গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর এদিকে চিন্তায় পড়ে গেলো আয়াত, হঠাৎ করে এভাবে ফোন করে দ্রুত বাড়ি যাওয়ার কারণ খুঁজে পেলো না ও। বাসায় সব ঠিকঠাক আছে তো? মাথার মধ্যে নানারকম চিন্তাভাবনা উঁকি দিতে শুরু করলো। এত জরুরি ডাকলো কেন সেটা জানার জন্য মনে মনে বড্ড অস্থির হয়ে উঠলো আয়াত।
চলবে~