একটা বসন্ত বিকেলে পর্ব ৫

0
777

#একটা_বসন্ত_বিকেলে
#অরনিশা_সাথী

|৫|

শ্রাবণ একমনে ড্রাইভ করছে। আয়াত বাইরের পরিবেশ দেখতে ব্যস্ত৷ গাড়ি চলছে অনেকটা সময় যাবত। কিন্তু এই লোক মুখে কুলুপ এঁটে বসে গাড়ি চালাচ্ছেন। আচ্ছা মানুষ এতটা গোমড়ামুখো কি করে হতে পারে? ভেবে পায় না আয়াত৷ লোকটা যেহেতু কথা বলেনি তাই আয়াতও কথা বলার চেষ্টা করেনি। ব্যাগ থেকে ইয়ারফোন বের করে কানে গুজে নিলো। তারপর পছন্দের একটা গান ছাড়লো। সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে চুপচাপ গান শোনায় মনোযোগ দিলো। ফোনের রিংটোনে আয়াতের মনোযোগ ভাঙে৷ ফোনস্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলো ফারাবীর নাম জ্বলজ্বল করছে। তপ্ত একটা শ্বাস ফেলে আবারো চোখ বন্ধ করে পড়ে রইলো আয়াত৷ যাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাইছে ও সেই বারবার সামনে এসে পড়ছে। ফারাবীর বিয়ের পর থেকেই ফারাবী বারবার ফোন করে যাচ্ছে আয়াতকে। আয়াত ফোন রিসিভ করেনি। ও ফারাবীর সাথে কথা বলে ওর মনের ঘাঁ আরো তাজা করতে চায় না। যেভাবে চলছে চলতে থাকুক। আয়াত আর পুরোনো ক্ষতটাকে জাগাতে চায় না। বারবার ফোন বাজছে। শেষে বাধ্য হয়েই আয়াত ফোন রিসিভ করলো। ফারাবী বললো,
–“আয়ু আমার ফোন তুলছো না কেন তুমি? ফোন তুলছো না বাসা থেকে বের হচ্ছো না। শুনলাম লাস্ট কয়েকদিন যাবত ঢাকায় আছো___”

–“কেন ফোন করেছো?”

–“তোমাকে ফোন দিতে কারণ কবে থেকে লাগে আয়ু?”

–“কারণটা আগে লাগতো না। কিন্তু এখন আমাদের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে গেছে। নতুন কেউ এসেছে তোমার জীবনে। তাই এখন আমাকে ফোন না দেওয়াটাই ভালো। ফোন দিও না আমায়। আমিও আর তোমার ফোন তুলতে চাইছি না।”

–“এত সহজে সবকিছু শেষ হয়ে যায় আয়ু? আমাদের এতদিনের ভালোবাসা, আমাদের একসাথে এত এত স্মৃতি সব ভুলে যাওয়া যায়?”

–“সবকিছু ভুলে তুমি যেখানে বিয়ে করে নিতো পারো সেখানে আমার কি করনীয়?”

–“আয়ু ভুল বুঝছো তুমি আমায়। বিয়েটা আমার ইচ্ছেতে হয়নি, বাধ্য হয়েছি আমি।”

–“যেভাবেই হোক বিয়েটা হয়েছে ফারাবী। বিয়েটা যেহেতু হয়েই গেছে সেহেতু এখন বিয়েটা নিয়েই ভাবা উচিত তোমার। আমার কথা ভেবো না। আমি একদম ঠিক আছি। রাখছি।”

–“তোমাকে আমার অনেক কিছু বলার আছে আয়ু।”

চুপ করে রইলো আয়াত। কান্নাগুলো গলায় আটকে আছে। কিন্তু ও কাঁদতে চাইছে না। ভেঙে পড়লে চলবে না৷ যেভাবেই হোক ফারাবী আর রাইতার বিয়েটা হয়েছে তাই ও চাইছে না আর ওদের মাঝে থাকতে। নিজেকে সামলে নিয়ে আয়াত বললো,
–“আমি কিচ্ছু জানতে চাই না ফারাবী। নিজের সংসারে মনোযোগ দাও।”

–“কথাগুলো আমার বলা প্রয়োজন। কথাগুলো শুনে নাও একবার৷ তারপর ভেবে যা বলার বলবে।”

–“এখানে ভাবাভাবির কিছু নেই তো।”

–“প্লিজ, আমার জন্য?”

এবার আর আয়াত না করতে পারলো না। ধীর গলায় বললো,
–“আচ্ছা শুনবো, বাড়ি ফিরছি আমি আজ। তারপর___”

–“আচ্ছা তাহলে কাল দেখা করছি আমরা। আগে যেখানে দেখা করতাম সেখানেই চলে আসবে প্লিজ।”

–“হু।”

এইটুকু বলেই আয়ার দ্রুত লাইন কেটে দিলো। ফারাবীর সাথে যত কথা বলবে ততই দূর্বল হয়ে পড়বে ও। তাই এভাবেই ফোন রেখে দিলো। একবার আড়চোখে শ্রাবণের দিকে তাকালো আয়াত। লোকটা তখনো একমনে ড্রাইভ করছে। আয়াত একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবারো সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে রইলো।

হঠাৎই গাড়ি থামানোর ফলে আয়াত চোখ মেলে তাকালো। শ্রাবণকে উদ্দেশ্য করে বললো,
–“গাড়ি থামালেন কেন?”

–“হোটেল/রেস্তোরাঁয় মানুষ কিজন্য যায়?”

থমথমে গলায় বললো শ্রাবণ৷ আয়াতের নিজের চুল নিজেরই ছিড়তে ইচ্ছে করছে। কি দরকার ছিলো লোকটাকে এই কথা জিজ্ঞেস করার জন্য? একটু আশেপাশে চোখ বুলালেই তো হতো৷ নিজের বোকামির কথা ভেবে নিজের উপরই প্রচন্ড রাগ হচ্ছে আয়াতের৷ শ্রাবণ ততক্ষণে গাড়ি থেকে নেমে গেছে। আয়াতের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর স্বরে বললো,
–“তোমাকে কি এখন ইনভাইটেশন কার্ড দিয়ে গাড়ি থেকে নামতে বলতে হবে?”

আয়াত দ্রুত নেমে গেলো গাড়ি থেকে। তারপর শ্রাবণের পিছু পিছু রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়লো। শ্রাবণ আয়াতের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
–“কি খাবে তুমি?”

আয়াত একটু ভেবে বললো,
–“চিকেন স্যান্ডউইচ অর চকলেট প্রেস্টি।”

অতঃপর শ্রাবণ আয়াতের জন্য চিকেন স্যান্ডউইচ অর চকলেট প্রেস্টি এবং নিজের জন্য থাই স্যুপ আর চিকেন সালাদ অর্ডার দিলো। দুজনে খাওয়া শেষ করে আবারো গাড়িতে গিয়ে বসলো চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে।

আয়াতদের বাসার সামনে এসে গাড়ি থামালো শ্রাবণ। আশা এবং ইরফানের সাথে টুকটাক কথা বলে নিজের কাজে চলে যায় ও। আশা রিকুয়েষ্ট করেছিলো শ্রাবণকে বাসায় আসার জন্য৷ কিন্তু ওর মিটিং আছে বলে ও বাসার সামনে থেকেই চলে যায়৷ মূলত অফিসের কাজেই শ্রাবণের চট্টগ্রাম আসা৷ এখান থেকে সোজা হোটেলে উঠে মিটিং এটেন্ড করবে শ্রাবণ। তাই আশাও বেশি জোড়াজুড়ি করতে পারেনি।

বাসায় ফিরে শাওয়ার নিয়েই ঘুমিয়েছিলো আয়াত। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘুম ভাঙে আয়াতের। আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসতেই কোত্থেকে যেন ইরা দৌড়ে এসে জাপ্টে ধরে আয়াতকে। আয়াত বিছানায় হাতের ভর দিয়ে সামলে নেয় নিজেকে। ইরা আয়াতকে ছেড়ে ওর পাশে বসলো। তারপর জিজ্ঞেস করলো,
–“কেমন আছিস বল? আর ঢাকায় এই সাতদিন কেমন কাটলো তোর?”

–“তোর দুটো প্রশ্নের উত্তরই খুব ভালো।”

ইরা আবারো আয়াতকে জড়িয়ে ধরে বললো,
–“এই ক’দিন তোকে ভীষণ মিস করেছি। তোকে ছাড়া যেন নিজেকে ভাবতেই পারি না।”

–“ভাবতে বলছে কে? তাড়াতাড়ি বিয়েটা করে সারাজীবনের জন্য এ বাসায় চলে আয় তাহলেই হলো।”

আয়াতের কথায় ইরা হেসে বললো,
–“কিন্তু তুই তো আবার এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাবি। তখন তো সেই একা একাই লাগবে নিজেকে।”

ইরার কথায় ভ্রু কুঁচকায় আয়াত। জিজ্ঞেস করে,
–“আমি এ বাড়ি ছেড়ে কোথায় যাবো? এটা তো আমাদেরই বাড়ি।”

আশা হাতে খাবার ট্রে নিয়ে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বললো,
–“হ্যাঁ তোর বাড়ি। কিন্তু তোকেও তো বিয়ে করে এই বাড়ি ছেড়ে স্বামীর ঘরে যেতে হবে মা।”

বিয়ে, স্বামী এই দুটো কথা শুনে আয়াত অন্যমনস্ক হয়ে গেলো৷ আশা বিছানায় খাবারের ট্রে রেখে বললো,
–“কেন বিয়ে করে স্বামীর ঘরে যাবি না তুই?”

ফের মায়ের কথায় হুশ ফিরে আয়াতের। ধরা গলায় বললো,
–“বিয়ে__হ্যাঁ বিয়ে করে যাবো, যাবো তো স্বামীর ঘরে।”

ইরা আয়াতের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে আয়াতের মাথাটা নিজের বুকের সাথে চেপে ধরলো। আয়াত জোড়ে একটা শ্বাস নিয়ে শান্ত হলো। ইরা কথা ঘোরানোর জন্য বললো,
–“আয়ু যা ফ্রেস হয়ে আয়। আন্টি নুডলস এনেছে ঠান্ডা হয়ে যাবে তো।”

কথাটা বলে আয়াতকে ঠেলেঠুলে ওয়াশরুমে পাঠিয়ে দিলো ইরা। আশা ওদের গল্প করতে বলে চলে গেলো রাতের রান্না বসাতে।

একটা রেস্টুরেন্টে মুখোমুখি বসে আছে আয়াত আর ফারাবী। আয়াতের বড্ড অস্বস্তি হচ্ছে। অথচ আগে কত সময় দুজনে একসাথে কাটিয়েছে। ওদিকে ফারাবী হাত কচলাচ্ছে। কিভাবে কোত্থেকে শুরু করবে ভেবে পাচ্ছে না। অনেকটা সময় যাবত ফারাবীকে নিরব থাকতে দেখে আয়াত উঠে দাঁড়ালো। ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে বললো,
–“আসছি তাহলে আমি___”

–“আর একটু বসো প্লিজ। কথাগুলো গুছাতে সময় লাগছে আমার।”

আয়াত তপ্ত শ্বাস ফেলে বসে পড়লো। ফারাবী বললো,
–“তুমি তো জানো আয়ু আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি।”

–“জানতাম।”

–“এখন জানো না?”

–“যা বলবে সরাসরি বলো, বাসায় ফিরতে হবে আমার।”

–“আগে তো এত তাড়া ছিলো না তোমার।”

–“সেসব অতীত। আর অতীতের কোনো কথা মনে রাখতে চাই না আমি।”

–“রাইতার সাথে বিয়ের দিন সকালেও তোমার সাথে কথা হয়েছে আমার আয়ু।”

–“হ্যাঁ আফসোস সেখানেই___তখনো বুঝতে পারিনি সন্ধ্যা হতেই মানুষটা আর আমার থাকবে না।”

–“আমি নিজেও জানতাম না আমাদের জন্য এমন কিছু অপেক্ষা করছে আয়ু।”

–“তোমার মত ছিলো বলেই তোমার আর রাইতার বিয়েটা হয়েছে ফারাবী। যা হয়েছে, হয়েছে, এখন এসব নিয়ে আমি কিছু বলতে/শুনতে চাই না প্লিজ।”

–“তোমার সাথে কথা বলার সময় বললাম না? আজই বাসায় জানাবো আমাদের ব্যাপারে? তারপর আব্বু আম্মুকে পাঠাবো তোমাদের বাসায়?”

আয়াত চুপ করে রইলো। ফারাবী বললো,
–“তোমাকে ভালো না বাসলে ওসব বলতাম না আয়ু। তোমাকে বলা ওসব কথাগুলো রুমের বাইরে থেকে রাইতা শুনতে পেয়েছিলো বোধহয়। তোমার ফোন রাখার পর ও হঠাৎ করেই ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেয়৷ আমি কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ও নিজের জামা এলোমেলো করে দিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। আমি ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ও কোনো ভাবেই আমাকে ছাড়ছিলো না আর আমিও গিয়ে দরজা খুলতে পারছিলাম না। ততক্ষণে দরজার বাইরে বাসার সকলে ভীর জমিয়েছে। ভিতরে কি হচ্ছে না হচ্ছে জানালা দিয়ে সবাই দেখেও আমাকে ভুল বুঝে ওই রাইতাকেই বিশ্বাস করে। আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়ে এসব দেখে। রাইতার কান্নাকাটি, ওর আব্বু-আম্মুর আমার উপর আঙুল তোলা কে বিয়ে করবে রাইতাকে___আরো অনেক কিছু। তারপর, তারপরই রাইতার সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অসুস্থ আম্মুর কথায় এই বিয়ে। কেউ বিশ্বাস করেনি আমায়। নিজের আম্মুও না। তারা কি না কি দেখলো সেটা ভেবেই ধরে নিয়েছে তাদের ছেলে খারাপ।”

কথাগুলো বলে থামলো ফারাবী৷ আয়াতের চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। ফারাবী ধরা গলায় বললো,
–“আচ্ছা আয়ু তুমি তো আমায় ভালোবাসো। গত সাড়ে তিন বছর যাবত তুমি আমায় চেনো। আচ্ছা আয়ু তোমারও কি মনে হয় আমি ওরকম কিছু করতে পারি বলো? তোমায়ও তো কত একা পেয়েছি কখনো সেসবের সুযোগ নিয়েছি বলো আয়ু? আমাকে কি সত্যিই সেরকম ছেলে মনে হয় তোমার?”

আয়াত এবার শব্দ করেই কেঁদে দিলো। ফারাবী আয়াতের হাতের উপর হাত রেখে বললো,
–“তুমিও রাইতাকেই বিশ্বাস করছো তাই না? যেখানে আমার জন্মদাত্রী মা আমায় বিশ্বাস করেনি সেখানে তুমি আমায় বিশ্বাস করবে এটা ভাবা বোকামী ছা___”

আয়াত শক্ত করে ফারাবীর হাত চেপে ধরে বললো,
–“বিশ্বাস করি, আমি বিশ্বাস করি তোমাকে।”

ফারাবীর চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। আয়াত ফারাবীর চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো,
–“কেঁদো না, ছেলেদের চোখে পানি মানায় না।”

ফারাবী আয়াতের হাত ধরে বললো,
–“দোষ না করেও আজ আমি দোষী আয়ু। সবাই তো রাইতার সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এতকিছু করলো অথচ আগাগোড়া সবটাই হারালাম আমি। বাসার সবার চোখে খারাপ একটা ছেলে আমি। নিজের সম্মানের সাথে সাথে ভালোবাসাটাও হারিয়েছি আমি আয়ু। তোমাকেও হারিয়েছি আমি। আমার সম্মান কে ফিরিয়ে দিবে আয়ু? যার জন্য আমার সম্মান, ভালোবাসা হারালাম তাকেই সবসময় আমার চোখের সামনে দেখতে হয়। রুম শেয়ার করতে হয়। এসব নিতে পারি না আয়ু। একদম নিতে পারি না এসব। কি দোষ ছিলো আমাদের? কেন এমন হলো আমার সাথে?”

আয়াত উঠে গিয়ে শক্ত করে জাপ্টে ধরলো ফারাবীকে। ফারাবীও আয়াতের কাঁধে মুখ গুজে কাঁদতে লাগলো। আয়াত জানতো ওর ফারাবী ওকে কক্ষনো ঠকাতে পারে না। নিশ্চয়ই এমন কিছু ঘটেছিলো যার কারণে রাইতাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে ফারাবী। প্রথম থেকেই এটা বিশ্বাস করতো আয়াত। ও ভুল চিনেনি ওর ফারাবীকে। ওর ফারাবী সত্যিই ভালোবাসে ওকে। ফারাবী শুধু আয়াতকেই ভালোবাসে। এসব ভেবে মনের মাঝে প্রশান্তি কাজ করলেও রাইতার কথা মনে হতেই কষ্ট হতে লাগলো। যেভাবেই হোক বিয়েটা তো আর মিথ্যে না। হারিয়ে ফেলেছে আয়াত ফারাবীকে। চিরতরে হারিয়ে ফেলেছে। আয়াতের এই ভেবে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে যে ওদের এত খাঁটি ভালোবাসাও রাইতার নাটকবাজির কাছে হেরে গেলো। আয়াতের সত্যিকারের ভালোবাসা ফারাবীকে ওর করে দিতে পারেনি। রাইতার নাটকবাজিই ফারাবীকে কেড়ে নিলো আয়াতের থেকে। এসব ভাবতেই আয়াতের চোখ জলে ভরে উঠলো।

চলবে~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here