উড়ো পাতার ঢেউ পর্ব ৩৯

0
504

#উড়ো_পাতার_ঢেউ
#লেখা: ইফরাত মিলি
#পর্ব: ৩৯
_________________

ক্যানিয়লের কথাগুলো ইরতিজার কর্ণকুহর স্তব্ধ করে রাখলো অনেকক্ষণ। কথাগুলো তার মনে যে বিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে, সেই বিক্রিয়া এর আগে কখনও সৃষ্টি হয়নি। হঠাৎ এমন ভিন্ন বিক্রিয়ার সাক্ষাতে এসে তার অনুভূতিরা কেমন ছন্নছাড়া প্রগাঢ় মিষ্টি জৌলুস ছড়িয়ে দিলো। বক্ষস্থল তিরতির করে কম্পমান হচ্ছে, কায়াখানিও যেন কাঁপছে অত্যল্পভাবে। তবে তার দৃষ্টিজোড়া অনিবার্যভাবে ক্যানিয়লের উপর স্থায়ী এবং পলকহীন।

অনেকক্ষণ ধরে নির্বাক এবং নিশ্চল ইরতিজাকে দেখে ক্যানিয়ল বললো,
“প্রেমে পড়লে কি মানুষ নির্বাক হয়ে যায় পাকিস্টানি গার্ল? তুমি এত নিশ্চুপ কেন?”

ইরতিজার বক্ষস্থল এবার একটু জোরেশোরেই কেঁপে উঠে বেরিয়ে এলো বেঘোর জগৎ থেকে। কথারা অপ্রস্তুত। অপ্রস্তুত কথারা আর নিজেদের সাজিয়ে-গুছিয়ে উঠতে পারলো না। বিব্রত কণ্ঠে বললো,
“আমি বাসায় ফিরছি।”
বলেই যাওয়ার জন্য ঘুরলো। ক্যানিয়ল সামনে এসে বাধা দিয়ে বললো,
“বাসায় যাচ্ছ মানে? তোমাকে যে নিউ পার্টনার বানালাম তার কী হবে?”

“আমি বললাম তো যাওয়া সম্ভব নয়।”

“ঠিক আছে, আমি তাহলে তোমাকে অসম্ভব ভাবেই নিয়ে যাব।”

বলে সে ইরতিজার একটা হাত আঁকড়ে ধরলো। ওকে নিয়ে যেতে লাগলো নিজের সঙ্গে। ইরতিজা অনুনয় করে বললো,
“কোথায় নিয়ে যাচ্ছ? দেখো এমনটা করো না। আমি কোথাও যেতে চাই না তোমার সাথে। প্লিজ হাত ছাড়ো।”

ক্যানিয়ল দাঁড়িয়ে গেল। কিন্তু হাতটা ছাড়লো না। পিছনে ফিরে দেখলো ইরতিজা মুখ সংকুচিত করে দাঁড়িয়ে আছে। বললো,
“হাত ছেড়ে দেবো? তাহলে তুমি কি চাও হাত ছেড়ে দিয়ে তোমাকে পাঁজাকোলা করে নিই?”

ইরতিজা চমকে উঠলো আকস্মিক এই কথায়।
“অবশ্যই না। অবশ্যই এটা আমি চাই না। আমি কখন বললাম যে আমি এটা চাই?”

“তাহলে কি চাও রোমান্টিক ভাবে হেঁটে যাই? আমার পায়ের পাতায় ভর করে হাঁটতে চাও তুমি?”

ইরতিজা আরেকবার বিস্ময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বললো,
“আমি কখন বললাম আমি ওভাবে হাঁটতে চাই?”

ক্যানিয়ল ইরতিজার অতি নিকটে এগিয়ে এসে বললো,
“চাও না?”

ক্যানিয়লের এত কাছে এগিয়ে আসায় বিব্রত আর অস্বস্তিতে শেষ হয়ে যাচ্ছিল ইরতিজা। ক্যানিয়লের ঠোঁটের কোণে হাসিটা নজরে এলো তার। ক্যানিয়ল তাকে মজার পাত্রী ভাবছে? একটুখানি রাগই লাগলো ইরতিজার। সে দুই হাত দিয়ে ক্যানিয়লকে ঠ্যালা দিয়ে সরিয়ে দিলো কাছ থেকে। একটু মেজাজি কণ্ঠেই বললো,
“আসলেই তোমার সাথে কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়। তুমি হলে একটা পাজি ছেলে!”

ইরতিজা তড়িৎ গতিতে সামনে পা বাড়ালো। ক্যানিয়ল আবারও তার একহাত ধরে ফেললো খুব দক্ষতার সাথে। হাত ধরে টান দিতেই ইরতিজা আবারও ফিরে এলো ক্যানিয়লের কাছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ক্যানিয়ল তার দুই হাতে কিছু একটা প্যাঁচাতে শুরু করলো। ইরতিজা দেখলো খুব চিকন একটা দড়ি জাতীয় বস্তু দিয়ে ক্যানিয়ল তার হাত বেঁধে ফেলছে। সে অবাক এবং অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে বললো,
“হেই, কী করছো?”

হাত দুটো পুরোপুরি বেঁধে ফেলেছে ক্যানিয়ল। ইরতিজার চোখ জোড়ায় চোখ রেখে বললো,
“আমি অবাধ্য হতে পারি, কিন্তু অন্যের অবাধ্যতা সহ্য করতে পারি না।”
একটু বিরতি নিয়ে শুধালো,
“সেই অনেক আগে মেরিমুর পার্কে যখন আসছিলাম তখন আমার পিঠে অনেক জোরে আঘাত করেছিলে তুমি। এখনও মাঝে মধ্যে সেই স্থানে ব্যথা অনুভব করি। সেদিনই বুঝতে পেরেছিলাম কেমন বজ্জাত মেয়ে তুমি। তাই চাই না দ্বিতীয় বার আর ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটুক। তার জন্যই এই ব্যবস্থা। তোমার বজ্জাত রূপটা দেখতে আমি মোটেই পছন্দ করবো না।”

ক্যানিয়ল ইরতিজাকে নিয়ে এলো পার্কের বাইরে। ওর গাড়িটা পার্কের বাইরে দাঁড় করানো ছিল। ইরতিজার সিটবেল্টটা বেঁধে দিয়ে নিজের সিটবেল্টও বেঁধে নিলো সে। এরপর গাড়ি স্টার্ট করে চলতে লাগলো গন্তব্যে।
ইরতিজার মুখে একরাশ চিন্তা এসে ঘাপটি মারলো। আব্বু অথবা মা কেউ যদি জানতে পারে সে ক্যানিয়লের সাথে ট্রি হাউজে জোনাকি পোকা দেখতে গিয়েছিল তখন কী হবে? এটা জেনে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, কিন্তু তাও যদি কোনো রকম জেনে যায় তখন করণীয় কী হবে? বাবা কি তাকে তাৎক্ষণিক সাজিদের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেবে? ইরতিজার কল্পনায় এমনই একটা বীভৎস দৃশ্য ভেসে উঠলো। সারা শরীর কাঁটা দিয়ে উঠলো তার। বাবা কি আসলেই এমনটা করবে? কীভাবে সম্ভব? যে বিয়েতে তার মত নেই সে বিয়ে বাবা এমনভাবে করিয়ে দিতে পারে না! কিন্তু যদি জোর করে বিয়ে দিতে চায় তখন কী করবে? বাবার সিদ্ধান্তকে তো সে সহজে উপেক্ষা করতে পারবে না। ক্যানিয়লের দিকে তাকালো। ক্যানিয়ল আপন মনে গাড়ি ড্রাইভ করছে। ওর মাঝে নেই কোনো চিন্তা, ভাবনাহীন সুখে বসে আছে ও। ইরতিজা বললো,
“তোমার কারণে যদি আমি বিপদে পড়ি তাহলে তোমাকেও আমি ছা’ড়বো না।”

“দিয়ো না ছেড়ে। আগলে রেখো। আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে আগলে রাখেনি। আমার নিজের মম আমাকে ছেড়ে চলে গেছে! আমার ড্যাডের কাছে সময়ই বা কোথায় যে আমার দেখাশোনা করবে? আমার ভাই-বোনেরা যে যার মতো জীবন প্রতিষ্ঠা করছে। তাদের অনেকের কাছে তো আমি চক্ষুশূল। সামুরা আমাকে ভালোবাসে, কিন্তু ওর ভালোবাসাটা আগলে রাখার মতো বিষয়টিকে স্পর্শ করতে পারেনি। মাদার সোফিয়া। তাকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে চিনি। সেও আমাকে আগলে রাখেনি। আমার সেই আট বছর বয়স থেকেই আমি একা। জানি না কারো আগলে রাখার অনুভূতিটা কেমন!”

ইরতিজা ডুবে গেল কথাগুলোর মাঝে। সে বুঝতে পারলো ক্যানিয়লের জীবনটা আসলে খুব কষ্টের! ওর উপরিভাগ দেখে ওকে অনেক সুখী মনে হয়। কিন্তু আসলে ওর ভিতরটা প্রতি মুহূর্তে বিষাদে শ্বাস নেয়।

“তোমার মম চলে যাওয়ার পর থেকেই তুমি একা, তাই না?” জিজ্ঞেস করলো ইরতিজা।

“একা ছিলাম। নিজেকে খুব একা মনে হতো। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমি একা নই। এখন মনে হয়, তুমি তো আছো।”

ইরতিজার হৃৎকমলের সংকুচিত পাপড়িগুলো হঠাৎ প্রসারিত হয়ে ফুঁটে উঠলো। একটা গাঢ় অনুভূতির রেশ ছুঁয়ে গেল তার অতলস্পর্শ। এই অনুভূতি আরও গভীরের দিকে নিয়ে গেল না সে। বললো,
“কিন্তু আমি তো নেই।”

ইরতিজার কথায় অবাক হয়ে ক্যানিয়ল বললো,
“তুমি তো আমারই পাশে বসে আছো।”

ইরতিজা একটু হাসলো। অতঃপর বললো,
“তখন তুমি জিজ্ঞেস করেছিলে না, মানুষ প্রেমে পড়লে নির্বাক হয়ে যায় কি না? হুম যায়, তার মুখ নির্বাক হয়ে যায় অনেক সময়। তবে তখন তার হৃদয় কথা বলে। মুখ নিশ্চুপ থাকলেও হৃদয় অনর্গল কথা বলে যায়।”

“ও তাহলে এতক্ষণ ধরে বিরতিহীন যে বকর বকরটা শুনতে পাচ্ছিলাম আমি সেটা তোমার হৃদয়ের কথা ছিল?”

ইরতিজা অবাকের সাথে বললো,
“শুনতে পাচ্ছিলে মানে?”

“হুম শুনতে পাচ্ছিলাম তো তোমার হৃদয়ের কথা। মানুষের হৃদয়ও যে এত উচ্চ শব্দে কথা বলতে পারে ধারণাই ছিল না আমার। আমি তো ভাবছিলাম কে কথা বলছে? একবার ভাবলাম মনের ভুল। কিন্তু না, এখন বুঝলাম ওটা তোমার হৃদয়ের কণ্ঠ ছিল।”

ইরতিজা তাজ্জব বনে গেল। বলছে কী ক্যানিয়ল? ছেলেটা আবারও তার সাথে মজার আসর জমিয়ে বসেছে?
“তা কী শুনতে পেয়েছো? কী বলেছে আমার হৃদয়?”

“সেসব কি আর মুখে আনার মতো কোনো কথা ছিল? বলবো কী করে আমি মুখে? তুমি ফোরটি থাউজ‍্যান্ড হোয়াইট পেপার এবং ফোর থাউজ‍্যান্ড পেন নিয়ে এসো, আমি লিখে দিচ্ছি তোমাকে।”

“ফোরটি থাউজ‍্যান্ড পেপার?” চক্ষু কপালে উঠলো ইরতিজার।

“পারবে না আনতে? ঠিক আছে শুনতেও হবে না তাহলে।”
ক্যানিয়ল কথার সমাপ্তি টেনে দিয়ে আবার বললো,
“আর হ্যাঁ, তোমার হৃদয়কে একটু আস্তে কথা বলতে বলো। দু কান বিষ করে দিলো আমার নিজেদের কথা শোনাতে শোনাতে। তোমার হৃদয়টাও একেবারে তোমার মতোই।”

“আমার মতো মানে?”

“তোমার মতোই তোমার হৃদয়ের কণ্ঠেও বজ্র ঝরে।”

“এর মানে?” রেগে গিয়ে বললো ইরতিজা।

“যেটা বুঝেছো সেটাই।”

________________

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, আর সন্ধ্যা গড়িয়ে নামলো রাত। জঙ্গলের ভিতর অন্ধকার। অন্ধকারের মাঝে আলোর নিশানা জ্বালিয়েছে জোনাকির দল। এছাড়া ক্যানিয়লের ট্রি হাউজ খানায় কৃত্রিম আলোর উৎস আছে। চোখের সামনে এত এত জোনাকির ওড়াউড়ি দেখে ইরতিজার দু চোখের মুগ্ধতা কমছিল না, বরং আরও গভীর থেকে গভীর হচ্ছিল ক্রমশ। সে ছুটছিল জোনাকির পিছন পিছন। হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দিচ্ছিল জোনাকিদের। আহ্লাদে তার হৃদয় আটখানা হচ্ছিল। আর ইরতিজার এসব পাগলামি দেখে মুগ্ধ হচ্ছিল ক্যানিয়ল। আজ সে যতটা মনোযোগ দিয়ে ইরতিজাকে দেখছিল এমন মনোযোগের সহিত আর কাউকে কোনো দিন দেখেনি। ভালো লাগছিল মেয়েটার আনন্দমুখরিত আচরণটা। ইরতিজা অলিন্দের রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে জোনাকি পোকার মেলা দেখছিল। অন্ধকারের বুকে কী সুন্দর লাগছে জোনাকির বিচরণ। মনে হচ্ছে পুরো অরণ্যই যেন আজ দখল করেছে জোনাকির দল। অরণ্যের এক টুকরো জায়গাও যেন আজ অন্ধকারে ঢেকে নেই। জোনাকিরা অরণ্যের সর্বত্রটা দখল করছিল। ইরতিজার চোখ দুটো চকচক করছিল আনন্দ উদ্দীপনায়। ক্যানিয়ল ইরতিজার পাশে এসে দাঁড়িয়ে বললো,
“তুমি কি খুশি?”

ইরতিজা সঙ্গে সঙ্গে মাথা দুলিয়ে উত্তর দিলো,
“হু অনেক খুশি। আমি জানতাম না এখানে এত জোনাকি দেখা যায়। আমি জাস্ট বিমুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। রিশন যখন এখানে ভিডিয়ো শুট করার জন্য এসেছিল তখন তো তেমন জোনাকিই ছিল না। কিন্তু আজ…অনেক ধন্যবাদ তোমায় আমাকে এত সুন্দর একটি পরিবেশে নিয়ে আসার জন্য।”

ক্যানিয়ল প্রত্যুত্তরে শুধু মৃদু হাসলো। সে ডান হাতে আঁকড়ে আছে এক গুচ্ছ ভায়োবিন ফুল। আসার সময় তুলে নিয়েছিল সবুজের বুকে থাকা ভায়োবিন ফুলদের। মনে হচ্ছে সে এগুলো ইরতিজার জন্য তুলে এনেছে। কিন্তু ইরতিজাকে যে এগুলো দেবে তা একদমই পারছে না। ইতস্তত বোধ করছে। সে ফুলগুলো না দিয়ে বরং ফেলে দিলো। তারপর গলাটা একটু কেশে পরিষ্কার করে নিয়ে বললো,
“আমার উডবি ওয়াইফকে কেমন লেগেছে তোমার?”

আকস্মিক এমন প্রশ্নে ইরতিজার মুগ্ধতা কেমন হযবরল পাকিয়ে গেল। বিস্মিত আঁখি জোড়া মেলে ক্যানিয়লের দিকে তাকিয়ে বললো,
“হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন করছো?”

“প্রশ্নের জবাবে প্রশ্ন না করে উত্তর দাও সততার সাথে।”

“কেমন লাগবে? ভালো লেগেছে।”

“সততার সাথে উত্তর দিতে বলেছিলাম, মিথ্যার সাথে নয়।”

ইরতিজার হঠাৎই এসব সহ্য হলো না। বলে উঠলো,
“তোমার উডবি ওয়াইফ নিঃসন্দেহে রূপে গুণে অনন্য! কিন্তু সত্যি কথা বলতে আমার তাকে ভালো লাগেনি। কেন ভালো লাগেনি জানি না আমি। শুধু জানি তাকে ভালো লাগেনি!”

“কিন্তু আমি জানি তোমার কেন মিরান্ডাকে ভালো লাগেনি। কারণ হলো-ও আমার উডবি ওয়াইফ। মিরান্ডারও কিন্তু তোমাকে ভালো লাগেনি। তুমি ভীষণ অপছন্দের একজন মানুষ ওর কাছে, অসহ্যও বটে।”

এমন কথা শুনে ইরতিজার মুখটা শুকিয়ে একটুখানি হয়ে গেল। সে আচমকা ক্যানিয়লকে প্রশ্ন করে বসলো,
“আর তোমার কাকে পছন্দ?”

প্রশ্নটায় হকচকিয়ে গেল ক্যানিয়ল। এমন একটা প্রশ্ন তার কাছে আসতে পারে তা ধারণা সীমার বাইরে ছিল। সে যখন মনে মনে ভাবছিল কী উত্তর দেবে ঠিক তখনই কানে ভেসে এলো একটা পুরুষ কণ্ঠ,
“তুমি এই অসভ্য ছেলের সাথে এই অন্ধকার রাতে কী করছো আমার সুইটহার্ট?”

হঠাৎ করে কণ্ঠটা শুনতে পেয়ে ভয়ে চমকে উঠলো ইরতিজা। তার চোখ ছুটে গেল সিঁড়ির দিকে। যেখানে দেখা যাচ্ছে জোনাস দাঁড়িয়ে আছে। ইরতিজার মুখ ফসকে প্রশ্নটা বেরিয়ে আসে,
“তুমি এখানে কেন?”

জোনাস হেসে শুধালো,
“যেখানে থাকবে প্রিয়তমা, সেখানেই তো হবে প্রিয়র আনাগোনা। আমি তোমার প্রিয় নই টিজা?”

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here