ইভিল মিস্ট্রি,( পর্ব-০২)
লেখক- Riaz Raj
লোকটির চোখ দুটো আচমকা লাল বর্ণে তৈরি হয়ে গেছে।যেনো লাল দুটো লাইট জ্বলছে তার চোখে।ভয়ে এক চিৎকার দিয়ে রিয়াজ সামনের দিকে দৌড় শুরু করে।পিছন থেকে গর্জনের শব্দটা আরো জোরে আওয়াজ করা শুরু করেছে।
জঙ্গলের আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে অজানা গন্তব্যে ছুটে যাচ্ছে রিয়াজ।দুইদিকে ছোট ছোট গাছের পাতারা রিয়াজের মুখে আঘাত করছে অনবরত।চারপাশ জুড়ে ইয়া বড় বড় গাছ দাঁড়িয়ে আছে। অন্ধকারের মধ্যে এ যেনো ঘোর অন্ধকার। অগন্তব্য পথে গন্তব্যের সন্ধানীয় যাত্রায় রিয়াজ ছুটছে। পিছন পিছন সেই অজানা দানবের আগমন স্পষ্ট বুঝতে পারে রিয়াজ।দৌড়াতে দৌড়াতে হটাৎ রিয়াজ অনুভব করে তার পায়ের কাছে মাটি নেই।অনুভব আর সময়ের ব্যবধান খুব কম হয়ে গেছে। রিয়াজ নিছের দিকে তলিয়ে যাচ্ছে তা বুঝতে বাকি নেই। অনুভব এর মাঝে এ যেনো মহানুভাব। অর্থাৎ জঙ্গল পেরিয়ে রিয়াজ পাহাড়ের কিনারায় চলে এসেছে।কিনারা থেকে সোজা নিছে গতিবিধি হচ্ছে। নিছে পাথর নাকি কাঁটাযুক্ত গাছ আছে,তা তো জানেনা।তবে পড়তে পড়তে রিয়াজের প্রার্থনা ছিলো একটাই,সে যেনো বেচে যায়।
টুপ করে পানিতে পড়ার শব্দ চারপাশ আয়ত্ত করে নেয়। হুট করে পানিতে পড়ে হাবুডুবু খেতে লাগলো রিয়াজ। অবশেষে সাতার কেটে কিনারায় আসে।ঝির ঝির পানি পড়ার শব্দ আসছে। অন্ধকার এ স্পষ্ট না বুঝলেও এইটুকু বুঝতে পারে,সে কোনো ঝরনাধারার সামনে আছে। পানিটা হয়তো ঝরনার পানি। পানির গতিবেগ আর আঘাতের প্রভাবে এই পুকুর তৈরি। পাহাড়ের কিনারায় অর্থাৎ সেই পুকুর পাড়ে রিয়াজ শুড়ে পড়ে ক্লান্ত হয়ে। ঝরনার পাশের পাথরগুলো খুব মজবুত।ভাগ্যিস সে পানিতে পড়েছিলো।
পাখির কলরব আর শা শা শব্দে ঘুম ভাঙ্গে রিয়াজের। শরীর প্রচন্ড ব্যথা। হাত নাড়াতে গিয়েও ব্যর্থ হয় সে। সূর্যের রশ্নী পাতার আড়াল বেয়ে ঝিলমিল করে সোজা অবির্ভূত হচ্ছে রিয়াজের চোখে। অনেক কষ্টে চোখ মেলেই নিজেকে আবিষ্কার করলো বিশাল এক ঝরনার পাশে।পানি পড়ার শা শা শব্দ আর পাহাড়ের গাছগাছালির মাঝে পাখিদের কলরব অপরুপ এক দৃশ্য তৈরি হয়েছে। রিয়াজ কোনোভাবে পাথরের উপর ভর করে দাঁড়ায়। মনে করতে লাগলো কাল রাতের ঘটে যাওয়া ঘঠনা সমূহ। শার্ট অনেকটাই ছেঁড়া-পাটা হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে মনে পড়ে যায় সব। কপাল খুব ব্যথা।সম্ভবত কাটার আঘাতে কেটে গিয়েছে। কিন্তু ভাবনায় ঢুবে যায় রিয়াজ। দুজন লোকের মারামারি, এরপর পুলিশ আর পুলিশের থেকে সোজা জঙ্গল।ব্যাপারটা কেমন ঘোলাটে দেখাচ্ছে।কি থেকে কি হয়ে গেছে সেটাই বুঝে উঠার মুরুদ হচ্ছেনা তার।যাই হয়েছে,এখন রিয়াজের প্রথম কাজ হচ্ছে বাড়ি ফিরে যাওয়া। ঝরনার পানি ধারা পশ্চিম দিকে যাচ্ছে।এই স্রোত নিশ্চয় কোনো গ্রামের উপর দিয়ে যাচ্ছে। তাই সিদ্ধান্ত নিলো স্রোত বেয়েই এগিয়ে যাবে সে।যদি কোনো বসতবাড়ির দেখা পায়, তবে মন্দ হবেনা।মনে জোর নিয়ে রিয়াজ হাটা শুরু করে স্রোতের কিনারা বেয়ে।
কিছুদূর যেতেই রিয়াজের কানে একটা শব্দ আটক হয়।জায়গায় দাঁড়িয়ে যায় রিয়াজ।চারপাশ ভালোভাবে তাকিয়ে দেখে কিছু নেই।তবে কিছু তো আছেই। মিছেমিছি শব্দ হওয়ার কোনো মানে হয়না।ভাবনার মাঝেই পিছন থেকে কারো দৌড়ে আসার পায়ের শব্দ পায়। সঙ্গে সঙ্গে রিয়াজ পিছনে তাকায়।দেখতে পায় একটা মেয়ে দৌড়ে রিয়াজের দিকে আসছে।রিয়াজ মেয়েটির দিকে তাকাতেই পুরো স্তব্ধ হয়ে যায়।চুলগুলো খোলা মেলা বাতাসে উড়ছে।চোখে কাজল লাগিয়েছে হয়তো,তাই মায়াবী টানা টানা সেই চোখ রিয়াজের চোখকে একঘুয়ে করে দিয়েছে।ঠোটের উপর ভাসছে এক মিষ্টি রাগ।রাগের মধ্যে আছে মেয়েটি,তবে এই রাগটা মেয়েটিকে আরো সুন্দর করে তুলেছে।গায়ে একটা অদ্ভুত গেঞ্জি।সেনাবাহিনীর পোষাকের মতো।আর ঝিমস এর একটা টাইট প্যান্ট পড়া।মেয়েটির দৌড়ে আসা দেখে রিয়াজ আরো মুগ্ধ। কেমন যেনো তার প্রতি একটা মায়া কাজ করতে লাগলো রিয়াজের।মনের অজান্তেই রিয়াজের মুখে একটা মুচকি হাসি চলে আসে।এরই মাঝে মেয়েটি এসে সোজা রিয়াজের বুকে ঘুষি মেরে দেয়।সকল ফিলিং নিমিষেই বাতাসে উড়ে যায়।ফিলিং এর সাথে রিয়াজও ঊড়ে গিয়ে পড়লো একটা ঝোপের উপর।
মেয়েটি আবার দৌড়ে এসে রিয়াজের পা ধরে।এরপর পা ধরেই নিক্ষেপ করে পানির দিকে।রিয়াজ উড়ে গিয়ে পানির কিনারায় পড়ে।এরপর শুয়ে থেকেই বলল,
– আরে আরে থামুন এইবার। অপরাধ কি আমার?
মেয়েটি আবার আঘাত করতে এসে থেমে গেলো।এরপর দূর থেকেই রিয়াজকে জবাব দিচ্ছে,
– বল শয়তান। সব কিছু তোর প্লান তাইনা? আমাকে অপহরণ করেছিস? জানিস আমি কে? একেবারে ছাল তুলে ফেলবো।
– ও মেডাম।আপনাকে আমার জীবনে এই প্রথম দেখেছি।আপনার ভয়েজ ও শুনছি এই প্রথম। আমি আপনাকে অপহরণ করতে যাবো কোন খুশিতে? এখানে তো আমি নিজেই আটকা পড়ে গেছি।
– মানে? কে আপনি?
– তা আর বলার সময় দিলেন কোথায়? এসেই তো আমাকে ঘুড়ির মতো উড়াচ্ছেন। বাপরে,মেয়ে মানুষের গায়ে এতো শক্তি?
– নাটক বন্ধ করুন তো? পরিচয় দিন আপনার।
– আমি রিয়াজ।গতকাল রাতে এক বৈশাখী ঝড় হয়েছে।সেই ঝড়ের গতিবেগ এতোই প্রবল ছিলো।যা আমাকে এখানে এনেছে আপনার হাতে উড়ার জন্য।
– জানামতে গতকাল তো ঝড় হয়নি।আর বৈশাখী ঝড় মানে কি? এখন কি বৈশাখ মাস নাকি।
– বুঝিয়ে বলছি।
রিয়াজে মেয়েটিকে কাল রাতের ঘটনা স্পষ্ট করে।মেয়েটি রিয়াজের কথা শুনে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থেকে বলল।
– আমার আর আপনার কাহিনী একই।আমার নাম রশনী। গতকাল রাতে কোনো কারণ ছাড়াই কয়েকজন লোক আমাকে অপহরণ করে।গাড়িতে তুলেই এক চড় মেরেছে,চোখ মেলে দেখি আমি এই স্রোতের কিনারায়।
– ভাগ্য ভালো দানবের হাতে পড়েননি।আমি মরতে মরতে বেচে গেছি।
– যাইহোক, আমরা দুজন একই পথের পথিক। চলুন এগিয়ে যাওয়া যাক।দেখি বসতবাড়ির সন্ধান মিলে কিনা।
– উঠবো?
– তো এখানে শুয়ে থাকবেন নাকি।
-মারবেন নাতো?
– আশ্চর্য তো! ওটা মিষ্টেক ছিলো।
– তাহলে ঠিক আছে।চলুন।
রিয়াজ আর রশনী হাটতে লাগলো অজানা গন্তব্যের দিকে। এর শেষ কোথায় তা দুজনেরই অজানা।তবে সব কিছুর শুরু যেহেতু থাকে,তবে তার শেষটাও থাকে।সেই আশাবাদী রিয়াজ এবং রশনী।হাটার সময় রিয়াজ রশনীকে বলল,
– তা তোমার বাড়ি কোথায়?
– দেখা হতে না হতেই তুমি হয়ে গেলাম?
– ওহ সরি সরি।আপনার বাড়ি কোথায়?
– জেনে কি করবেন? বাসায় যাবেন নাকি।
– আপনি তো প্রচুর ত্যাড়া? সোজা ভাষায় উত্তর দিতে পারেন না?
– আপনাকে কেনো উত্তর দিবো সেটাই তো বুঝলাম না।
– আচ্ছা দিতে হবেনা।
– ধন্যবাদ। ঐ দেখুন একটা বাড়ি দেখা যাচ্ছে।চলুন এগিয়ে যাওয়া যাক।
– কেনো যাবো?
– অদ্ভুত তো? বাসায় যাবেন না?
– বাসায় কেনো যাবো?
– তো থাকুন এখানে
বলেই রশনী জোরে হেটে যেতে লাগলো।পিছন থেকে রিয়াজও আসছে আর বলছে,
– আরেহ,আপনার মনে তো মায়া বলতে কিছু নেই।একটা নিরীহ ছেলেকে ফেলে যাচ্ছেন।লজ্জা থাকা উচিৎ।
রশনী উত্তর দিলোনা।
সেই বাসার সামনে দাঁড়িয়ে দুজনেই ভাবছে।এইটা একটা অদ্ভুত বাসা।পুরো বাসাটা কাঠ দিয়ে নির্মিত করেছে। কাঠের সিঁড়ি, কাঠের দেওয়াল,কাঠের ফ্লোর।দুই তলা বাড়ি।উপরে দুচালা একটা ছাদনা। দেখতে ভূতুড়ে বাড়ির মতো।হরর মুভিতে এমন কাঠের অদ্ভুত বাড়ি দেখা যায়।বাস্তবে এরকম কিছু আছে,তা ওদের অজানা ছিলো।অজানা কিছু জানার আয়ত্তে আসলে অদ্ভুত সবারই লাগে।তাদেরও লেগেছে। রশনী রিয়াজকে বলল,
– চলুন ভিতরে যাই। দেখি কেও আছে কিনা। থাকলে অন্তত সাহায্য করতে পারবে।
বলেই রশনী বাড়িটির দিকে এগিয়ে যায়।দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ায় রশনী। পিছনে তাকিয়ে দেখে রিয়াজ এখনো জঙ্গলে দাঁড়িয়ে আছে। রশনী আবার বলল,
– আজব, দাঁড়িয়ে গেলেন কেনো?
– ভিতরে যদি ভূত থাকে? আপনি বরং ভিতরে দেখে আসুন।আমি এখানে অপেক্ষা করি।যদি বিপদে পড়েন,তবে আমাকে ডাক দিবেন।আমি সাহায্য করতে আসবো।
– আপনি সাহায্য করবেন? হাহাহাহা। আমার চিৎকার শুনলে আপনার দৌড়ের গতি যে ৩ডিগ্রি বেড়ে যাবে।তা বুঝে গেছি।চলুন ভিতরে।
– না না,আমি আছি এখানে।আপনি ভয় পাচ্ছেন কেনো? আমি তো বাহিরে আছি তাইনা?
– শুনেছি এই জঙ্গলে বাঘ থাকে। যদি সামনে চলে আসে,তবে ভয় পাবার কিছু নেই।আপনি দৌড়ে পানিতে নেমে যাবেন কেমন? আমি যাই।
কথাটা শুনে রিয়াজ এক দৌড়ে রশনীর সামনে চলে আসে।এরপর বলল,
– ভিতরে বিপদ হতে পারে।চলুন আমিও যাই আপনার সাথে।ভয় পাবেন না।আমি পিছন পিছন আসছি।
রশনী আর রিয়াজ সেই অদ্ভুত আর ভাঙ্গা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো।দরজা খুলে একটু হেটে যেতেই দুজনের পায়ের নিছের কাঠ হুট করে ভেঙ্গে যায়।রিয়াজ মাগো বলে এক চিৎকার দেয়।রশনী আর রিয়াজ দুজনেই কাঠ ভেঙ্গে একটা সুড়ঙ্গের মধ্যে পড়ে গেলো।ঘষামাজা খেয়ে দুজনেই তলিয়ে যেতে লাগলো। বালির মতো মাটির উপর পিচ্ছিল খাচ্ছে দুজনই।সুড়ঙ্গ যেনো শেষই হচ্ছেনা। তাদের কোথায় নিয়ে ফেলবে,সেটা ভাবছেনা।এখান থেকে পড়ার পর আস্ত থাকবে কিনা তা ভাবছে।
হুট করে আবার টুপ করা শব্দ।অর্থাৎ দুজনে আবার পানির উপর পড়েছে। এইটা কোথায় এসেছে তারা নিজেরাও বুঝতে পারছেনা। সামনে তাকিয়ে দেখে দেওয়ালের মধ্যে জ্বালানি দ্বারা আগুন জ্বলছে।অর্থাৎ সামনের গুহায় কোনো রাস্তা আছে।ওরা যে পুকুরে আছে,সেটার উত্তর দিকেই একটা গুহা আছে। পানিতে সাতার কেটে দুজনে স্থলে উঠে গেছে।সামনে গুহার পথ দেখে তাদের মনে হলো পথ অনেকদূর গিয়েছে।তাই দুজনে হাটা শুরু করে গুহার পথে।আর এমন অদ্ভুত জায়গায় আগুন জ্বলছে।তাদের আশা,এখানে কেও একজন আছে। বিপদের উপর এ যেনো মহাবিপদ।
কিছুদূর গিয়ে ওরা একটা দরজা আবিষ্কার করলো।দরজার ওপাড়ে কিছু আছে,কিন্তু দরজা খোলার কোনো জায়গা নেই। দুই পাশে আলাদা হবার সারি আছে। কিন্তু আলাদা হবে কিভাবে। রশনীকে দুশ্চিন্তা করতে দেখে রিয়াজ বলল,
– আলিফ লায়লাতে দেখেছি দরজার আশেপাশে কোনো পাথর কিংবা চিহ্ন থাকে। দেখুন সেরকম কিছু আছে কিনা।
– আমরা কি আলিফ লায়লা মুভির শুটিং করতে এসেছি?
– তা বলেছিলাম কিনা মনে নেই।তবে হতেও তো পারে।
– আপনি অকাজের ঢেকি একটা।দরজাটা জলদি খুলুন। দেখুন কিভাবে খোলা যায়।
রিয়াজ আর রশনী আশেপাশে দেখতে শুরু করে।কোনো চাবি কিংবা উপায় নেই খোলার। হটাৎ রশনী বলল,
– এই পাথরটা অদ্ভুত তাইনা? দেখুন,মানুষের মতো।
– ওটা মেয়ে মূর্তি নাকি ছেলে মূর্তি।
– নিজে এসে দেখে যান।
– মেয়ে মূর্তি হলে দেখবো।ছেলে মূর্তি দেখে লাভ কি।ওর যা আমারো তা।
– অদ্ভুত একটা লোক আপনি।
– দেখুন ওটা দিয়ে খোলা যায় কিনা
রশনী মূর্তিটাকে স্পর্শ করতেই দরজাটা কেপে উঠে। রিয়াজ এমন দেখে নিজেও পাথরের মূর্তির কাছে যায়।একটা মেয়ে মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে।পায়ের দিকে দুইটা দাগ আছে।একটা লাল,আরেকটা কালো।মূর্তি লাল দাগের উপর।রিয়াজ বলল,
– অর্থাৎ এখানে বুঝাচ্ছে মূর্তিটাকে কালো দাগের উপর ঠেলে নিতে হবে। তাহলে দরজা খুলবে।
– আপনি শিওর?
– ১০০%
রিয়াজ মূর্তিটাকে ধরে কালো দাগের উপর টেনে নেয়।আর অদ্ভুতভাবে দরজাটাও খুলে গেলো।কিন্তু দরজা খোলার পর এমন কিছু হবে,তা ভাবনার বাহিরে ছিলো তাদের।দরজার ওপাশে কালো একটা দানব।দাত গুলো বিশাল।আর চোখ দুটো লাল।দেখতে প্রায় ১০ ফুটের চেয়ে লম্বা।রশনী দানব দেখেই উল্টো দৌড় দেয় পুকুরের দিকে।পুকুরের কিনারা অব্দি যেতেই রশনী থেমে গেলো।পিছনে তাকিয়ে দেখে,দানবকে রক্তাক্ত করে মাটিতে ফেলে রেখেছে রিয়াজ।হটাৎ রিয়াজকে এমন ভয়ংকর রুপে দেখবে,এইটা রশনীর ভাবনায় ছিলোনা।রিয়াজের ঠোটের উপর থেকে,দুইটা দাত বের হয়ে এসেছে।দেহের সাইজ আগের থেকে বড় হয়ে গেছে।৬ ফুটের উপরে থাকা রিয়াজ হটাৎ প্রায় ১২ ফুট লম্বা হয়ে গেছে।রশনী ভয়ে কপতে লাগলো।রিয়াজ ভয়ংকর গর্জন ছেড়ে রশনীর দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।এক মুহূর্তের জন্য রশনীর মনে হচ্ছে,একটা নেকড়ে মানব তার দিকে তেড়ে আসছে।
চলবে……?