#আমি_তারে_দেখেছি (কপি করা নিষেধ)
#৮ম_পর্ব
নবনীতা এখন ও ফ্যালফ্যালিয়ে তাকিয়ে আছে। লোকটির কি তার ছেড়া? সম্পূর্ণ ছেড়া? নবনীতা বিড়বিড় করে বললো,
“বিয়েটা পিছাতে হবে, বাবাকে একমাস বেড রেস্ট দেওয়া হয়েছে”
“জানি”
“জানেন?”
“হ্যাঁ, জানি। আমিও সেই আর্জি নিয়েই এসেছিলাম। যাক ভালোই হলো, শ্বশুরমশাই আমাকে দোষারোপ করতে পারবেন না আর আমার হবু বউ এর সাথে প্রকাশ্যে প্রেম করার আকাশকুসুম স্বপ্নটাও পূর্ণ হবে। একে বলে সাপ ও মরলো লাঠিও ভাঙ্গলো না। ভালো বুদ্ধি না?”
শান্তর এতো দিনের লুকায়িত মনোবাঞ্ছার কথাখানা কর্ণপাত হতেই নবনীতার কোমল শ্যামলা গালজোড়ায় রক্ত জমতে লাগলো। শিহরন বয়ে গেলো মেরুদন্ড দিয়ে। কঠিন হৃদয়টা মুহূর্তের জন্য চঞ্চল হয়ে উঠল। উচাটনের মাত্রা বাড়তেই দৃষ্টি সরিয়ে নিলো নবনীতা। বিড়বিড় করে বললো,
“আজাইরা”
“বিশ্বাস হচ্ছে না? আমার সত্যি এটাই স্বপ্ন। আকাশকুসুম স্বপ্ন। কি আমার সাথে প্রেম করবে না তুমি?”
“বয়েই গেছে আমার”
বলেই কেবিনের দিকে হাঁটা দিলো নবনীতা। শান্ত আনমনেই হাসলো। নবনীতাকে বিরক্তি মাখা মুখখানা তাকে প্রবলভাবে আনন্দ দিচ্ছে, একেবারেই বাংলা সাহিত্যে যাকে বলে “প্রসন্নদায়ক প্রশান্তি”। নবনীতা একটু দাঁড়ালো, পেছনে না ফিরেই বললো,
“হাসি থামান, মানুষ পাগল ভাববে আপনাকে”
“ভাবলে ভাবুক, পাগলির মনে স্থান করতে একটু পাগল হতে দ্বিধা নেই”
বলেই পিছু নিলো নবনীতার। নবনীতার মুখে তখন স্মিত হাসির রেশ। অযাচিত সম্পর্কটা মন্দ লাগছে না তো। মদনমোহন তর্কালংকারের কাজগুলো অসহ্য বটে, তবে সতেজতাও অনুভূত হয়। এই যে দোলার সাথে কথা বলার তিক্ততাটা এখন হৃদয় থেকে মুছে গেছে কারণ হৃদয়ের সকল একাগ্রতা এই অসহ্যকর, না না চরম অসহ্যকর মানুষটির প্রতি কেন্দ্রীভূত_______
জসীম সাহেব মোটেই প্রসন্ন হলেন না শান্তকে দেখে। তার কপালে তীব্র ভাঁজ পড়েছে। চোখে মুখে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ পাচ্ছে তার। আরোও বেশি বিরক্ত হচ্ছেন আত্মীয়স্বজনের আদিক্ষেতার ঘনঘটা দেখে। এতোসময় তাদের মুখে চিন্তার প্রগাঢ় মেঘ ছিলো জসীম সাহেবের জন্য, কিন্তু এই গা/ধা পুলিশটা আসার পর পর ই তাকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যেন মানুষ নয় দেবদূত এসে টপকেছে। আর পুলিশটার ঢং তার বিরক্তির মাত্রা সপ্তম আসমানে পৌঁছে দিলো। এমন একটা হাবভাব যেন তার পরম আপনজনের মহা অসুখ হয়েছে। ফুলের তোড়া, ফল, হরলিক্স— সব মিলিয়ে এলাহি ব্যাপার। জসীম সাহেবের মতে পুলিশ মানেই হাড়কিপটে। সরকারের ধার্য করা বেতন এবং মানুষকে পিষে যে টাকা তাদের পকেট ভারী হয়ে থাকে, তা মোটেই খরচা করতে তারা আগ্রহী নয়। ভেবেছিলেন শান্ত ও এমন ই হবে। খালি হাতে, দাঁত কেলিয়ে এসে দাঁড়াবে আর জিজ্ঞেস করবে,
“আংকেল এখন শরীর কেমন?
প্রতিউত্তরে জসীম সাহেব গদগদ মনে স্ত্রীকে টিটকারি দিয়ে বললেন,
“দেখেছো? এই ছেলেকে মেয়ের জন্য বাছাই করেছো? এতো গা/ধাই নয় হাড়কিপটে”
কিন্তু আফসোস এমন কিছুই হলো না। তার কথাগুলো মনে মনেই হজম করতে হচ্ছে। এদিকে শান্ত তার পাশের সাইড টেবিলে হরলিক্স এর বোয়াম রাখতে রাখতে বললো,
“আংকেল, এটা প্রতিদিন খাবেন। হাড় শক্ত হবে। না হলে দোকানদারটাকে জেলে পুরে রাখবো। সে হলফ করে বলেছে এই হরলিক্সে নাকি হাড় শক্ত হয়”
“এতো খরচা করার কি ছিল? তুমি তো দেখি অর্থের মূল্য ই বুঝো না। সারাক্ষণ ই কি এমন টাকা উড়াও নাকি? তাহলে আমার মেয়েকে কি খাওয়াবে! এই হল তোমাদের জেনারেশনের সমস্যা, তোমরা টাকাকে ভাবো তেজপাতা। তাই তো ছিড়ে চা বানাতেও দুবার ভাবো না। হাহ!”
আজ আর জসীম সাহেবের কথায় অবাক হলো না শান্ত। সে সুন্দর নিজের পকেট থেকে রসিদ বের করে বললো,
“বেশি খরচ করি নি আংকেল, মাত্র পনেরো শ টাকা। এখন হবু শ্বশুরমশাই এর মাজা ভাঙায় এটুকু খরচা তো করতেই পারি। আপনি চিন্তা করবেন না, আমার ব্যাংকে এখনো অনেক টাকা আছে”
“ঘু/ষ খাও টাও নাকি?”
“ছি ছি। সেটা তো পাপ। আমার মৃত্যু এবং পরকাল উভয় ভয় আছে। আমি খুব মিতব্যয়ী মানুষ। ভেবে চিন্তে খরচা করি। কিন্তু আংকেল, শ্বশুরের মাজা তো প্রতিদিন ভাঙে না। তাই কার্পণ্য মানায় না। হ্যাঁ, এরপরের বার আর খরচা করবো না। তখন শুকনো মুখে এসেই আপনার শারীরিক অবস্থা কথা শুধাবো। ঠিক আছে আংকেল?”
শান্তর কথায় জসীম সাহেবের হাসি উবে গেলো। তার শান্ত বাক্য ফুটন্ত তেলের মতো লাগলো। কিন্তু উহ! করার উপায় ছিল না। শান্তকে তিনি অপছন্দ করেন এটা তার না বোঝার অবকাশ নেই, তাই তার প্রিয় হওয়ার ও ইচ্ছে নেই শান্তর। লাগুক একটু ঝগড়া। শ্বশুর জামাই এর সম্পর্ক সর্বদা আম দুধ হয় না, মাঝে মাঝে সেটা হয় বুনোওল এবং বাঘাতেঁতুলের। শান্ত এতে আপত্তি নেই। শুধু শ্বশুরের কন্যাকে পেলেই হলো, শ্বশুরের মন দিয়ে তো মুড়ি ভাজবে না। এদিকে শারমিন বেগমের মুখ হাসিহাসি। মেয়েকে একটু গু/তো দিয়ে বললেন,
“আজ তোর বাপ জব্দ। একেবারে খাপে খাপ”
“তুমি তো শুধু সুযোগ খুঁজো আমার নিরীহ বাবাটাকে জব্দ করার। শোনো, ওমন পুলিশ আসবে যাবে কিন্তু আমার বাবার মতো নিরীহ পুরুষ পাবে না, যে নিজের সারাজীবন তোমাকে বিলীন করেছে”
নবনীতা অভিমানী স্বরে মাকে কথাগুলো বললো। শারমিন বেগম হাসলেন। নবনীতা এখনো শান্তর দিকে তাকিয়ে রইল অনিমেষ চোখে। তার বাবাকে চুপ করানোর জো সবার নেই। অথচ এই লোক শুধু মিঠা বাক্যেই পরাস্ত করেছে, এতোটাও গা/ধা নয় সে। নবনীতা দৃষ্টি থাই গ্লাসের বাহিরে নিলো। আকাশে এখনো ছাইরঙা মেঘের আস্তরণ। ঝিরিঝিরি বাতাস মুখ ছুঁয়ে যাচ্ছে তার শ্যামলা মুখশ্রী। তার চোখ বুজে এলো, ঠোঁটের কোনে এখনো হাসি লেগে লাগে। বিচিত্র হাসি_______
শান্তকে এগিয়ে দিতে হাসপাতালের বাহির পর্যন্ত এলো নবনীতা। বাহিরে তখন মেঘের তীব্র ক্রন্দন। চৈত্র মাসে এমন বৃষ্টি নিয়মের বহির্ভূত ঠেকলো। কালবৈশাখি ব্যাপারটা ভুলেই গিয়েছিল অত্যাধুনিক পৃথিবী। স্রষ্টা আবার স্মরণ করিয়ে দিলেন। বেহিসেবি বৃষ্টি দেখে শান্তর মুখ শুকিয়ে গেলো। তার কাছে ছাতা নেই। মোটর সাইকেল চালিয়ে থানায় যেতে যেতে ভিজে একাকার হয়ে যেতে হবে। তার শুকনো, মলিন মুখখানা দেখে একটা ভাঙ্গা ছাতা এগিয়ে দিলো নবনীতা। ছাতাটার উপর যে কত ঝড় গেছে তার হিসেব নেই। ছাতাতা খুলতেই জিজ্ঞাসু চোখে তাকালো শান্ত, যার অর্থ, “এমন দশা কেন ছাতার?”
নবনীতা প্রত্যুত্তরে নির্লিপ্ত কণ্ঠে বলল,
“না ভালো লাগলে ভিজে যান”
“না, না। চলবে”
“আচ্ছা, একটা প্রশ্ন ছিল?”
“কি?”
“আমাকে থানায় যেতে হবে না?”
“ওহ! আমি ভুলে গিয়েছিলাম। কেস ক্লোজ। আর কেউ তোমাকে যন্ত্রণা করবে না।“
“মানে? ওর খু/নিকে ধরা হবে না?”
“দেখ, এটা হাইপোথ্যাটিক্যালি খু/ন। প্রমাণ কিন্তু কারোর কাছেই নেই। আর যেখানে তার মাতাপিতার মাথাব্যথা নেই সেখানে আমাদের হাত বাঁধা। তাই আমরা কিছু করতে পারবো না। আর ডিসি স্যারের অর্ডার প্রত্যাখ্যানের সাহস নেই।“
“মানে মামুন সাহেব নিজেই তার ছেলের খু/নিকে ধরতে চাচ্ছেন না। অর্থাৎ কেউ উনাকে হুমকি দিয়েছে। হয়ত খু/নি তার খুব কাছের বা পরিচিত কেউ?”
নবনীতার কথা শুনতেই সশব্দে হেসে উঠল শান্ত। যা প্রচন্ড বিরক্ত করলো নবনীতাকে। ক্ষিপ্র স্বরে বলল,
“আপনি হাসছেন কেন?”
“আমার ড্রিম মেশিনের বুদ্ধি আমাকে অবাক নয়, মুগ্ধ করছে। লেখক হলে তোমার উপাধি দিতাম “লেডি শার্লক”। থাক, আসছি। সুইট ড্রিমস, মাই লেডি”
বলেই পা বাড়াতেই নবনীতা পিছু ডাকলো। শান্ত পেছন ফিরতেই দেখলো তার থমথম মুখখানা। কিছু একটা বিষয় তাকে বেশ ইতস্তততায় ভুগাচ্ছে। শান্ত গাঢ় স্বরে বলল,
“কিছু বলবে?”
“আমি আবার একটি স্বপ্ন দেখেছি। জানি আপনি বিশ্বাস করবেন না। তবুও মনে হলো আপনাকে বলা যায়”
“কি স্বপ্ন?”
খুব শীতল এবং শান্ত স্বরে শুধালো শান্ত। নবনীতা প্রথমে বেশ ইতস্ততবোধ করলেও, শেষমেশ বলেই উঠল,
“দোলাকে খু/ন করা হবে। এবারের খু/ন টা গ/লা চে/পে হবে”
“কে করবে?”
“একই মানুষ। কালো মাস্কধারী”
শান্ত স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে নবনীতার দিকে। তার মনে হাজারো প্রশ্ন। কিন্তু সেই প্রশ্ন করার সুযোগ নেই। কারণ তাকে যেতে হবে আজমল সাহেবের কাছে। আজমল স্যারের সাথেও মিটিং আছে। রিপোর্ট জমা দিতে হবে। অনেক কাজ। কিন্তু মেয়েটির নিরীহ, কোমল মুখশ্রীর সামনে সেটা বলা দায় হয়ে ঠেকেছে__________
************
আজমল স্যারের হাতের কফির কাপ। লোকটির চিরাচরিত স্বভাব করা ব্লাক কফি খাওয়া। তিতো কফির মধ্যে চিনি দিবেন তিন চামচ, কেন কফির তিক্ততা জিহ্বায় না লাগে। শান্তর এই লজিক মাথায় ঢুকে না, যদি কড়া জিনিসের কড়া ভাবটাই অদৃশ্য করে দেওয়া হয় তবে তার নিজস্বতা কোথায়? কিন্তু প্রশ্নটা করা যাচ্ছে না মানুষটিকে। কারণ নিয়ম অনুসারে মহাজনদের হ্যাঁ স্যার, জি স্যার করতে হয়। আজমল সাহেব যেমন ই হোক না কেন, তার মহাজন ই বটে। যদিও শাব্দিক অর্থে সেখানে ভুল আছে, কারণ তার বেতন বা মজুরি আজমল সাহেব দেন না। কিন্তু লক্ষ্যার্থে তিনি তার মহাজন। তাই তো হবু বউ কে সান্ত্বনা দিয়ে তার অতি অদ্ভুত স্বপ্নের অর্থ গবেষণা না করেই এই অর্ধপাগল মানুষের সাথে দেখা করতে আসা। অবশ্য নবনীতার স্বপ্নের আদ্যোপান্ত কিছুই বুঝে নি শান্ত। সিন বাই সিন চিন্তা করলে দোলাকে রাতের আঁধারে জনশূন্য কোনো স্থানে খু/ন করবে। যেখানে নবনীতার উপস্থিতিও থাকবে। যা অনেকাংশে অসম্ভব। আর স্থান, কাল, সময় কিছুই মেয়েটি বলতে পারছে না। শুধু বলছে দোলা নামক মেয়েটিকে গ/লা চে/পে মারা হবে। ফলে শান্ত বেশ জটিল চিন্তায় পড়েছে। প্রথম চিন্তাটি হলো, সে যদি মেয়েটিকে বাঁচাতে চায় তাহলে তাকে প্রটেকশন দিতে হবে। যখন ই সে প্রটেকশন নেবার জন্য পারমিশন নিবেন তখন ই প্রশ্নটি আসবে কেন? এখানে দোলা কোনো রিপোর্ট করে নি, আর স্বপ্নের বুজরুগি দেওয়া যাবে না। দ্বিতীয় চিন্তাটি হল, এখানে নিয়নের মৃত্যুকে কাজে লাগানো যেতো। কিন্তু সেখানেও বাঁধা কারণ কেস ক্লোজ। তাই সব দিকেই হাত পা বা/ধা। আজমল সাহেব তার অতিমিষ্টি কফি শেষ করে বললেন,
“আমার শ্যা/ল/কের আবেগে ভেসে যাওয়ার জন্য তোমার বিয়ে পিছাতে হলো। ভাবিকে বলো আমার উপর রাগ না করতে।”
“নো নো স্যার, ইটস ওকে। আমি মাকে সামলে নিব। আর এমনিও আমার শ্বশুরের মাজা ভেঙেছে। তাই একমাস আর সানাই বাজবে না। তবে স্যার, কেসটা সরলের মধ্যে জটিল। শুধু হার্ট অ্যাটাক ভেবে ক্লোজ করে দেওয়াটা মন সায় দিচ্ছে না। কিন্তু এখানে কিছুই করার নেই”
“এটা সরল না বলছো?”
“অনেক জটিলতা আছে স্যার। অনেক প্রশ্ন আছে। অন্তত সেই প্রশ্নের উত্তর পেলে কনফিউশন থাকতো না”
আজমল সাহেব কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন। তার কপালে প্রগাঢ় ভাঁজ। তারপর গম্ভীর স্বরে বললেন,
“মানুষ দু ধরনের হয়। প্রথম ধরণ তুমি মা রা গেলে তোমাকে কবর দিবে, দ্বিতীয় ধরণ তুমি মা রা গেলে তোমাকে কবর দিবে, সেই কবরে থু থু দিয়ে গোলাপ ফুলের চারা লাগিয়ে গোলাপ ফুলের চাষ করবে। এখন তুমি ভেবে দেখো, তুমি কোন ধরনের?”
আজমল সাহেবের কথাটা শুনেই ঠোঁটে স্মিত হাসি ফুটে উঠলো শান্তর। বিনা ভনিতায় বলল,
“দ্বিতীয় ধরনের হওয়াটাই বেশি প্রেফার করছি, স্যার”
এর মাঝেই তার ফোনটা ভাইব্রেট করে উঠলো। উঠে দাঁড়ালো শান্ত। বিনয়ী স্বরে বলল,
“আসছি স্যার”
বলেই স্যালুট দিয়ে বেড়িয়ে গেলো সে। রুম থেকে বের হতেই ফোনটা হাতে নিলো। সেখানে ইরশাদের নামটা ভেসে উঠল। আজ ছুটি, তাহলে কেন ফোন দিচ্ছে? ফোন ধরতেই ইরশাদের জোড়ালো স্বর কানে আসলো,
“স্যার কি একটু বনানীর এদিক আসতে পারবেন?”
“কেন বলতো?”
“আরেকটা অদ্ভুত আত্ম/হ/ত্যার কেস এসেছে স্যার।“
“আমরা কি করতে পারি এতে?”
“সেটা প্রথমে ভাবলেও যে মা/রা গেছে তার নামটি শুনলে ব্যাপারটাকে এতো সহজভাবে নিতেন না। মেয়েটির নাম দোলা। এবং এই মেয়েটির নাম নিয়নের সু/ই/সাই/ড নোটে উল্লেখ ছিলো………………
চলবে