আমার রাজ্যের রানী পর্ব-৯

0
1045

#আমার রাজ্যের রানী
#Part : 9
# Writer : Sriti Nur Avni

?
টেবিলে বই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে একমনে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে অভনী। সকালের স্নীগ্ধ মৃদ্যু হাওয়ায় বাইরের পরিবেশ টা কি সুন্দর ই না লাগছে।হালকা হালকা আলো ফুটে উঠছে আস্তে আস্তে।এমন একটা পরিবেশ দেখা মিস করে বইয়ের দিকে মুখ গুজে রাখতে একদম ইচ্ছে করছে না অভনীর।নিজের মনের কথায় সায় দিয়ে রান্নঘরে গিয়ে এক কাপ চা বানিয়ে ছাদের দিকে পা বাড়ালো অভনী।এই বাড়িতে আসার পর কাজের চাপে ছাঁদে যাওয়া হয়নি একবার ও।

সিঁড়ি বেয়ে ছাদের কাছে আসার পর কারো গুনগুনিয়ে গিটারের শব্দে থেমে গেলো অভনী।এতো সকাল বেলা গান করছে কে?অভনী আরেকটু এগিয়ে গিয়ে দেখলো একটি ছেলে ছাদের এক কোনে বসে চোখ বন্ধ করে গিটার বাজিয়ে গুনগুন করে গান গাইছে।অভনী দ্বিধাদ্বন্দ্বে পরে গেলো তার কি এখন ছাঁদে যাওয়া উচিৎ? কিন্তু এমন একটা পরিবেশ মিস করতে সায় দিচ্ছে না অভনীর মন।ছেলেটা তো চোখ বন্ধ করেই আছে তো সমস্যা কি?অভনী পা টিপে টিপে হেঁটে ছাদের অন্যপাশ টায় চলে গেলো,,,ছাঁদ টা খুব সুন্দর চারদিকেই ফুল ফলের গাছ দিয়ে ভরা,,,যা খুব সুন্দর করে ছাঁদ টাকে ফুটিয়ে তুলেছে,,,।হালকা বাতাশ বয়ে আসছে চারদিক থেকে,,, সকালের সুন্দর এই পরিবেশের সাথে গিটারের টুংটাং শব্দ আর গুনগুন গান দুটোই বাতাসের সাথে মিশে যাচ্ছে যেনো।অভনীর খুব ভালোই লাগছে,,,এক হাতে ছাঁদের রেলিং ধরে আরেক হাতে চা নিয়ে নিচে নারিকেল গাছের চূড়ায় বসে থাকা হলুদ রঙের পাখি টার দিকে তাকিয়ে আছে সে।পাখি টার মতোই ছন্নছাড়া মনে হচ্ছে তার নিজেদের।পাখিরা একবার এই গাছ তো আরেক বার ওই গাছ এ ঘোরে বেড়ায়।ঠিক তেমনি অভনীদেরও হয়তো এই বাসা থেকে ওই বাসা করতে হবে কারন নিজেদের বাড়ি টা যে আর নেই।পিকুর কথা বড্ড মনে পরছে অভনীর,, কিন্তু কিছুই করার নেই কাউকে গিফট দিয়ে আবার ফিরিয়ে তো আর আনা যায়না। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবারো পাখি টার দিকে তাকিয়ে আছে অভনী।

এখন আর গান বা গিটারের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না অভনী আর কিছু না ভেবেই নিচে যাবার জন্য পা বাড়ালো। কিন্তু কিছুদূর এগিয়েই জামেলা বেঁধে গেলো।অভনীর হাত থেকে বেখেয়ালি ভাবে টুপ করে নিচে পড়ে গেলো চায়ের কাপ টা।এতে বেশি সমস্যা না হলেও চায়ের কাপের ভাঙা টুকরো গুলো তুলে উপরে উঠে যখন দেখলো ছেলেটা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে তখনি ওর কাঁপাকাপি শুরু হয়ে গেলো।ছেলেটা বেশ কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে অভনী কে প্রশ্ন করে বসলো,,,

—কে আপনি?এই বাসায় থাকেন?আগে তো কখনো দেখিনি।আপনি ছাঁদে আসলেন ই বা কখন?আপনি জানেন না ছাঁদে বাচ্চাদের আসা নিষেধ?

ছেলেটির কথা শুনে অভনীর কাঁপাকাঁপি আরো বেড়ে গেলো।ওকে দেখলে মনে হবে ও কাঁপাকাঁপির প্রতিযোগিতায় নেমেছে কিন্তু এতে ছেলেটা যেন আরো বিরক্ত হচ্ছে।

—কাঁপাকাঁপি বন্ধ করে উত্তর দিন (ধমক দিয়ে)

অভনীর মুখ দিয়ে এবার গড়গড় করে কথা বেড়িয়ে আসতে লাগলো,,,

—আআমি অঅভভনী।এএই বাবাড়িতেই থাকি।২ ততলা তে। (অভনী)

অভনীর কাঁপাকাঁপি দেখে ছেলেটা এবার ফিক করে হেসে দিলো।ছেলেটার হাসি তে অভনী যেন একটু সাহস পেলো তবুও ঠিক করে দাঁড়াতে পারছে না সে।ছেলেটা হাসি বন্ধ করে বললো,,

—কাঁপাকাঁপির মিশন বন্ধ করুন নইলে যেকোনো সময় ছাঁদ থেকে পরে যেতে পারেন।আমি কিন্তু অত মহান নই যে ধরবো।btw বাচ্চাদের ছাঁদে আসা নিষেধ জানেন না?

অভনীর এবার রাগ হচ্ছে প্রচুর ওকে কি দেখে বাচ্চা মনে হয় নাকি যে ও ছাঁদে এসে ফুল ছিঁড়ে ফেলবে বা ছাঁদ থেকে পড়ে যাবে?

—আমি বাচ্চা নই।১৮ বছর বয়স আমার।জব ও করি আমি তাই আমায় বাচ্চা বলতে পারেন না আপনি।

—ওহ রিয়েলি তুমি বাচ্চা নও?১৮ বছর বয়স তোমার?কিন্তু দেঁখতে তো একদম পিঁকাচো বাচ্চা দের মতো লাগছে।

এটা বলেই ছেলেটি খিলখিল করে হাসতে লাগলো আর অভনীর রাগ যেনো দ্বিগুণ বেড়ে গেলো। এতো সুন্দর সকাল টা যাচ্ছিলো তার মধ্যে জুটে গেলো এক জামেলা।অভনী কিছু না বলে রাগে সিড়ির দিকে এগিয়ে যেতে নিলেই ওর পায়ের ভিতর চায়ের কাপের কাঁচ ফুটে গেলো।অভনী ব্যাথায় কুকরিয়ে উঠলো,,,
ছেলেটি দৌঁড়ে গেলো অবনীর কাছে কিন্তু অভনী কাচের টুকরো টা বের করে ব্যাথা নিয়েই চলে গেলো আর প্রত্যেক টা সিঁড়ি তেই ওর পায়ের রক্ত লাগতে লাগলো। ছেলেটি চিল্লিয়ে বলে উঠলো,,,

—হে জাল মরিচ সাবধানে!!

অভনী কোন রকম হেঁটে নিজের রুমে গেলো,,,পা কেঁটে গেছে মা দেখলে রাগ করবে তাই তারাতাড়ি করে একটা কাপড় দিয়ে পা টা বেঁধে নিলো।বিরক্ত লাগছে তার কাছে প্রচন্ড রকমের বিরক্ত,,, এই বিরক্ত শব্দ টাতেও যেন এখন এক বস্তা বিরক্ত এসে ভড় করেছে।এতো সুন্দর সকাল টা হোট করে ওই পাঁজি চামচিকা ছেলেটার সামনে পড়ে নষ্ট হয়ে গেলো।ছেলেটাকে মনে মনে আচ্ছা মতো বকাঝকা করতে করতে রেডি হতে লাগলো অভনী।প্রথম মাসেই অফিস কামাই দেয়া ঠিক হবে না বলেই মনে হলো অভনীর তাই কাটা পা নিয়েই কালো রঙের সুতি কাপড় পড়ে চুল গুলো বিনুনি করে বেড়িয়ে গেলো অফিসের উদ্দেশ্য।

?
সকালে ঘুম থেকে উঠেই পিকুর সাথে কথা বলতে ছিলো নীল। পিকুর সাথে কথা বলতে খুব ভালোই লাগে তার নীল যা বলে পুনরায় সেই ধ্বনি গুলোই উচ্চারণ করে পিকু।কিন্তু আজ বারবার নীলের কথার সাথেও অনী অনী করছে।যেই শব্দ টা বড্ড ভাবাচ্ছে নীল কে।ছোটখাট বিষয় গুলো কে খুব মনোযোগ দিয়ে ভাবা টাই নীলের স্বভাব।কিছুক্ষন ভাবার পর তার মনে হলো,, আচ্ছা পিকু অভনী কে অনী অনী বলছে না তো?পোষা পাখি বলতেই পারে হয়তো মিস করছে তার মালিক কে,,,মানুষ রা ভালোবাসার মূল্য দিতে না পারলেও পশু পাখি ঠিকই দেয়।একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পিকু কে রেখে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হতে নিলো সে।আজ একটা ইম্পরট্যান্ট ক্লাস থাকায় অফিসে যেতো না সে।কিন্তু পিকু অভনী কে খুব বেশি মিস করছে বলেই মনে হলো তার।তাই পিকু কে নিয়ে অফিসেই যাবে আজ।

কাঁটা পা নিয়ে খুব কষ্ট করেই নিজের কেবিনে এসে বসলো অভনী।প্রথম প্রথম ব্যাথা কম হলেও আস্তে আস্তে যেনো ব্যাথা বাড়ছে।সকাল টা ভালো গেলেও এখন মন ভালো নেই অভনীর।মাথা নিচু করে বসে আছে সে।কিছুক্ষন পরেই কেউ এসে ডেকে উঠলো,,,

—হেই এটিটিউট গার্ল।

অভনীর আর বুঝতে বাকি রইলো না যে এটা নির্ঝয়। এখন তার নিজের চুল গুলোই নিজে ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে।আজকেই কেনো?আজকেই কেনো এই প্যারা টা কেও আসতে হলো?অভনী বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে বলে উঠলো,,,

—ভাইয়া আপনি এখানে?

অভনীর মুখে ভাইয়া ডাক টা শুনার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলো না নির্ঝয়। তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে বলে উঠলো,,,

—হুম এটিটিউট গার্ল টাকে খুব মিস করছিলাম।অনেক দিন যাবৎ দেখা হয়না।নীল বলেছিল তুমি এই অফিসে কাজ করো তাই চলে এলাম।btw আমাকে ভাইয়া বলবা না।

—কেন ভাইয়া? আমি কি ভুল কিছু বলেছি ভাইয়া?আসলে ভাইয়া আপনি তো আমার ভাইয়া ই হন তাইনা?ভাইয়া আমাকে কেনো মিস করছিলেন ভাইয়া?ওহ আমি আপনার ছোটো বোনের মতো তাইনা ভাইয়া?

অভনীর মুখে এমন এক বার বার ভাইয়া শুনতে একদমই ভালো লাগছে না নির্ঝয় এর।ওর মনেহচ্ছে আমি কেনো ওকে বোন ভাবতে যাবো?এই মেয়ে কি কিছুই বুঝে না?নির্ঝয় বুঝতে পারছে এখন যা কথাই বলুক মা কেন ভাইয়া ভাইয়া ই বলবে এই মেয়ে তাই আসছি বলে আপাতত কেটে পড়লো সেখান থেকে।নীলের কেবিনে গিয়ে নীলের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।

নির্ঝয় চলে যাওয়াতে অভনী খিলখিল করে হেসে উঠলো। কাউকে বোরিং লাগলে সে যেটা না চায় সেটাই বার বার করলে এমন ভাবেই উদাও হয়ে যায় বলেই মনে হয় অভনীর।

পিকু কে নিয়ে প্রথমেই অভনীর কেবিনে ডুকে ওকে এভাবে খিলখিল করে হাসতে দেখে অবাক হলো নীল।অবাক হলেও আবারো হাড়িয়ে গেলো অভনীর মায়াবি হাসিতে।
অভনী হাসতে হাসতে যখন দরজার দিকে তাকালো দেখলো নীল দাঁড়িয়ে আছে,,,

—আরে আরে হিরো সাহেব আসুন আসুন ভিতরে আসুন দাঁড়িয়ে আছেন কেনো?

অভনীর কথায় নীল ভিতরে ডুকলো।ভিতরে ডুকেই অবনী কে বললো,,,

—অনী চোখ বন্ধ করো তো।

নীলের কথায় অভনী অবাক হয়ে গেলো।নাম টা শুনে চমকে উঠলো সে ও কি শুনতে ভুল করলো নাকি হিরো হাসেব পিকুর কাছে শুনেছে এই নাম?

—কি হলো চোখ বন্ধ করতে বললাম না?(ধমক দিয়ে)

অভনী সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললো।পিকুর অনী অনী ডাকে দুম করে চোখ মেলে তাকালো সে।সামনে পিকু কে দেখে তার খুশি যেনো আর ধরে না।

—হেই পিকু পিকু পিকু কেমন আছিস তুই?নিশ্চয়ই হিরো সাহেবের কাছে খুব ভালো আছিস তুই?জানিস হিরো সাহেব না খুব ভালো তোকে খুব ভালো রাখবে ভালো ভালো খাবার দিবে। তুই কিন্তু সব কথা শুনবি ওনার।

অভনীর যে পা কেঁটে গেছে সেদিকে অভনীর কোনো খেয়াল ই নেই।লাফানোর ফলে আবারো রক্ত পরে কাপড় ভিজে ফ্লোরে পড়তে লাগলো।অভনীর খেয়াল না থাকলেও নীল নীল ফ্লোরে রক্ত আর কাপড় দিয়ে অভনীর পা বাঁধা দেখে চমকে উঠলো।

—অভনী তোমার পা কাঁটা সেদিকে কি তোমার কোনো খেয়াল ই নেই?দেখো তো রক্ত পরে ফ্লোর ভরে যাচ্ছে তারাতাড়ি চেয়ারে বসো (ধমক দিয়ে)

নীলের কথায় অভনী চমকো উঠলো।ও তো শাড়ি পা পর্যন্ত ডেকে পরেছে যেনো কেউ দেখতে না পায় ওর পা কাঁটা।অভনী নিচের দিকে তাকিয়ে দেখলো ফ্লোরে রক্ত লেগে আছে।
নীল অভনীর হাত ধরে টেনে চেয়ারে বসিয়ে দিলো।রুমি কে কল দিয়ে ফাস্ট এইড বক্স নিয়ে আসতে বলে দিয়েছে নীল।প্রায় সাথে সাথেই রুমি ফাস্ট এইড বক্স নিয়ে অভনীর কেবিনে হাজির,,,

—-কি হয়েছে স্যার? এনি প্রবলেম? (রুমি)

—অভনীর পা কেঁটে গেছে। তুমি যাও নিজের কাজ করো আমি দেখছি।

নীলের কথায় রুমি একটু অবাক হলেও রুম থেকে বেড়িয়ে নিজের কেবিনে চলে গেলো।

—নড়াচড়া করবে তো একটা আছাড় মেরে সব হাড়গোড় ভেঙ্গে দিবো বেয়াদব মেয়ে (নীল)

নীলের এমন রাগ দেখে অভনী ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো।সবার সামনে রাগি হলেও অভনীর সামনে আগে কখনো রাগ দেখায় নি নীল।অভনীর প্রায় কান্না করে দেবার দশা।কাঁদো কাঁদো মুখ করে মুখে এক আংগুল দিয়ে আরেক হাতে পিকু কে নিয়ে চুপ করে বসে আছে সে।
নীল পরমযত্নে নিচে হাটুগেড়ে বসে অভনীর কাঁটা পা নিজের হাটুর উপর রেখে কাপড় টা খুলে ব্যান্ডেজ করে দিতে লাগলো,,,আর একটু পর পর অভনীর দিকে রাগি চোখে তাকাতে লাগলো,,,

অভনী চুপটি করে বাচ্চাদের মতো মুখে আংগুল দিয়ে একনজরে তাকিয়ে আছে তার সামনে বসে থাকা সূদর্শন পুরুষ টার দিকে,,,আর ভাবছে,,,এতো টা কেয়ার তো আমায় মাহিন ও করতো না হিটো সাহেব তাহলে আপনি কেন করছেন?আজ আমার পিকুর জন্য মন খারাপ ছিলো আর অমনি আপনি পিকু কে আমাট কাছে নিয়ে আসলেন।আচ্ছা হিরো সাহেব আপনি কি আমার মনের কথা পরতে পারেন?আমার অন্য সব ছেলে কাছে আসলে কথা বলতে চাইলে বিরক্ত লাগলেও আপনার সাথে কথা বলতে বিরক্ত লাগে না কেনো? মনে মনে প্রশ্ন রইলো মনে মনেই উত্তর টা দিয়ে দিবেন প্লিজ হিরো সাহেব।

মনে মনে প্রশ্নের উত্তর দেবার কথা বলে নিজে নিজেই ফিক করে হেসে উঠলো অভনী,,,অভনীর হাসি দেখে নীল রাগি চোখে তাকাতেই আবারো মুখে আংগুল দিয়ে চুপ করে গেলো সে।অভনী এমন হঠাৎ হঠাৎ ফিক করে হেসে উঠে আবার কখনো কখনো একা একাই হাসে কেনো তা মাথায় ডুকছে না নীলের।এই মেয়েটার সাথে আবার জ্বিন ভূত নেই তো?

চলবে,,,,,

(রোদ আপুর গল্প আমিও পরি,,,কালকে নদীর পাড়ের কিছু কথা আমার ভালো লেগেছিলো বলেই ওনার সাথে মিল রেখে একটু দিয়েছিলাম।আমি তো না ও করিনি।তাই বলে আমার পুরো গল্পটা ওনার সাথে মিলে যায় এটা কিভাবে বলতে পারেন??এক জনের লেখা আরেকজনের মতো হতে পারে না??ভালো না লাগলে বলবেন এই গল্প আর লিখবো না)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here